![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাসী পাখি নিঝুম রাতে নদীর তীরে করি ডাকাডাকি। আমি এক মুকুল সবুজ লালের বুকে আছি জুড়ে মায়ের দু'কূল। আমি এক স্বপ্নদেখা ছবি ভাল লাগে আকাশ বাতাস ভাল লাগে সবি।
বানিয়াচঙ্গের হলদারপুর গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
একাত্তরে হলদাপুরে আতংকে দিন কাটে
সোনা রঙা ধান কাটতে গেলো কিষাণ মাঠে
পুরুষ সবাই ধানের খেতে তুলবে ফসল ঘরে
এমন সময় শোনে বিমান বিকট শব্দ করে।
একটা নয় দুইটা নয় পাখির মাতো ঝাঁকে
হামলা চালায় বিমান দিয়ে নরপশু ওই পাকে
সোনার মা, আঙুর, রিজি, এবং তৈয়ব জান
খাতুন, ফজল, রমজানেরা জীবন দিয়ে যান।
কালাইনঝুরার হবিব সহ মরলো সেদিন শত
নামটি সবার যায়নি পাওয়া দুঃখ আহা কতো!
আহতরা আছেন বেঁচে সাক্ষি নিয়ে বুকে
পাহাড় ধ্বসে তাঁদের শ্বাসে একাত্তরের দুখে।
________________________________
হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গ উপজেলার হলদারপুর। পুরুষরা সবাই ধান কাটতে ব্যস্ত। বাড়িতে নারী ও শিশুরা। হঠাৎ শো শো শব্দ শোনে সবাই আকাশে তাকায়। দেখে একটি নয় দুইটি নয় অসংখ্য বিমান দিয়ে গ্রামে হামলা করছে পাকবাহিনী। মূহুর্তের সাথে নারী ও শিশুসহ অসংখ্য লোক মারা যায়। সবার নাম উদ্ধার করা যায়নি। মসজিদ, গাছপালা সব সেদিন ধ্বংশ করে দেয় নরপশুরা। যাঁদের নাম উদ্ধার হয়েছে-আয়ূব আলীর স্ত্রী (সোনার মা), আয়ূব আলীর যুবতী মেয়ে আঙুর, রিজিয়া খাতুন, আমিনা খাতুন, ফজল মিয়া, রমজান আলী, তৈয়ব জান বিবি ও কালাইনঝুরা গ্রামের হবিবুর রহমান প্রমুখ। আর সেদিন গুরুতর আহত হয়ে আজো বেঁচে আছেন অনেকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
বিদ্যুৎ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখার জন্য। গতকাল সামুতে আমার খুব বাজে দিন গেছে। যত গুলো লেখা পড়েছি মনে হয়েছে সময় নষ্ট হয়েছে আর পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। তাই খুব অতৃপ্তি নিয়ে ঘুমে গিয়েছিলাম। আজ একটু দেরিতে ঘুম থেকে উঠে হাতের কিছু কাজ শেষ করে আসলাম সামুতে। প্রথমেই আপনার কবিতা দেখে আগ্রহ হল পড়ার। পড়লাম প্রায় এক নিঃশ্বাসে। খুবই ভাল লেগেছে পড়ে। এই কবিতার অর্থ ও তাৎপর্য ব্যাপক।
এক কথায় আপনার কবিতা অসাধারণ। শুভ কামনা ভাল থাকবেন সব সময়।