![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেই স্বর্গলোভ কিংবা কল্প-নরকের ভয়,/অলীক সাফল্যমুক্ত কর্মময় পৃথিবী আমার৷ চর্মচোখে যা যা দেখি, শারীরিক ইন্দ্রিয় যা ধরে,/তাকেই গ্রহন করি৷ জানি, নিরাকার অপ্রত্যক্ষ/শুধুই ছলনা, বিশ্বাস করি না ভাগ্যে, দেবতার বরে৷ আমার জগৎ মুগ্ধ বাস্তবের বস্তুপুঞ্জে ঠাসা,/তাই সে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, অতীন্দ্রিয় নয়৷/অন্ধতার বধ্যভূমি আমার হদৃয়৷ সেই শ্রেষ্ঠ মানব-সন্তান, যার মন মুক্ত ভগবান৷/আমার মস্তক নিত্য নত সেই নাস্তিকের তরে৷ নাস্তিক - নির্মলেন্দু গুণ
গৌতম বুদ্ধ, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা। তার জন্ম বর্তমান ভারত-নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন নেপালের লুম্বিনি গ্রামে। পিতৃপ্রদত্ত বাল্যনাম সিদ্ধার্থ গৌতম। পরবর্তীতে আধ্যাত্মিক সাধনা ও জীবন নিয়ে নিজস্ব জ্ঞান-উপলব্ধির পর বুদ্ধ নামটি তিনি নিজেই গ্রহণ করেন। তাছাড়া যোদ্ধাজাতি শাক্য সম্প্রদায়ের সন্তান হওয়ায় তাকে শাক্যমুনিও বলা হয়। তার জন্ম ও মৃত্যু সাল অনিশ্চিত হলেও তা ৫৬৩ - ৪৮৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে মনে করা হয়। তবে কেউ কেউ খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ বা ৪১০ সালকে তার মৃত্যু সাল হিসেবে গণ্য করেন। আক্ষরিক অর্থে বুদ্ধ বলতে একজন জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী, জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয়। সেই অর্থে যে কোনো মানুষই বোধপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত এবং জাগরিত হতে পারে। সিদ্ধার্থ গৌতম এইকালের এমনই একজন 'বুদ্ধ'।
এবার নজর দেই তার ব্যক্তিজীবনের দিকে। গৌতম ছিলেন ছোট্ট একটি রাজ্যের রাজপুত্র। তার জন্মের সময়ই পন্ডিতেরা তার মধ্যে ভবিষ্যতে একজন অসাধারন জ্ঞানী অথবা পরাক্রমশালী শাসক হয়ে উঠবার চিহ্ন দেখতে পান। তার পিতাও তাকে একজন পরাক্রমশালী যোদ্ধা ও শাসক হিসাবেই দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে খুব অল্প বয়সেই ধ্যানের প্রতি আগ্রহ দেখা যায় যা তাকে পরবর্তীতে একজন ধার্মিক দার্শনিকে পরিণত করে। পিতার ইচ্ছাকে উপেক্ষা করে খুব অল্প বয়সেই তিনি বিয়ে করেন। তার বিয়ে সমন্ধে অবশ্য দুধরনের মত আছে। প্রথম মত অনুসারে ১৬ বছর বয়সে তিনি একটি প্রতিযোগিতায় তার স্ত্রীকে লাভ করেন। আর একটি মত অনুসারে ২৮ বছর বয়সে তাকে সংসারের প্রতি মনযোগী করার জন্য তার পিতামাতা তাকে রাজকন্যা যশধরার সাথে বিয়ে দেন। অতঃপর পুত্র রাহূল জন্মগ্রহণ করে। তিনি নিজের এই নিশ্চিন্ত বিলাসী ক্ষয়িষ্ণু জীবন যাপনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। বুঝতে পারেন কি অন্তঃসারশূণ্য তার এই জীবন। তাই পুত্র রাহূলের বয়স যখন মাত্র ৭ দিন তখন গৌতম বুদ্ধ যাবতীয় মানবীয় বন্ধন ছিন্ন করে শান্তি আর পুর্নজন্মের শিকল হতে মুক্তির খোঁজে সংসার ত্যাগ করেন। বিশ বছর বয়সে তার পিতা গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব অর্জন করে কপিলাবস্তু তে ফিরে আসলে পুত্র পিতার কাছ থেকে দীক্ষিত হয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুতে পরিণত হন।
বৌদ্ধ ধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন আর এর ধর্মগ্রন্থের নাম "ত্রিপিটক"। এটি মূলত বুদ্ধের নিজস্ব দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। এটি কোরান বা বাইবেলের মত ঈশ্বরপ্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ নয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান অনুশাসন হিসাবে এটিকে গণ্য করা যায়। বুদ্ধ কোনো গ্রন্থের মাধ্যমে তার উপদেশাবলি রেখে যাননি। তার মৃত্যুর পরে শিষ্যরা উপদেশগুলো ত্রিপিটক আকারে সংরক্ষন করেন। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে শিষ্যরা গৌতম বুদ্ধকে তার উত্তরাধিকারী মনোনীত করার অনুরোধ তিনি তা অস্বীকার করে তাদেরকে অধ্যবসায়ের সাথে মুক্তির জন্য কাজ করে যেতে বলেন।
বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। বুদ্ধ দুঃখের কারণ, দুঃখ দূর করার উপায় সমন্ধে উপদেশ দিয়েছেন। তার মতে জীবন দুঃখপূর্ণ। দুঃখের হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দুঃখজনক। আর বাসনাই হল সব দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখমিশ্রিত। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেয়। নিবার্ণ লাভে এই দুঃখের অবসান। বাসনার নিস্তারের মাঝে অজ্ঞানের অবসান। এতেই পূর্ণ শান্তি। বুদ্ধ পরকাল সমন্ধে বিশদ ব্যাখা না দিলেও পরকালের অস্তিত্ব অস্বীকার করেননি। দেহ কি আত্মা হতে অবচ্ছিন্ন বা মৃত্যুর পর আত্মা থাকে কিনা, এইসব প্রসংগ তিনি এড়িয়ে গেছেন।
এবার একটা গল্প শোনা যাক; অবশ্য সত্যিও হতে পারে। সাধারনত প্রত্যেক ধর্মেই কিছু গল্প থাকে। সত্য-মিথ্যা যাই হোক কথিত আছে, একদিন রাজকুমার সিদ্ধার্থ বেড়াতে বের হলে ৪ জন ব্যাক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। প্রথমে তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ, অতঃপর একজন অসুস্থ মানুষ এবং শেষে একজন মৃত মানুষকে দেখতে পান। তিনি তার সহিস চন্নকে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে চন্ন তাকে বুঝিয়ে বলে যে এটিই সকল মানুষের নিয়তি। আবার আরেকদিন তিনি চন্নকে নিয়ে বের হলেন। এবারে তিনি দেখা পেলেন একজন সাধুর, যার মাথা মুড়ানো এবং হলুদ রং এর জীর্ন পোশাক পরা। চন্নকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে উনি একজন সন্নাসী, যিনি নিজ জীবন ত্যাগ করেছেন মানুষের দুঃখের জন্য। সেদিন রাত্রেই ঘুমন্ত স্ত্রী, পুত্র, পরিবারকে নিঃশব্দ বিদায় জানিয়ে তিনি প্রাসাদ ত্যাগ করেন। সাথে নিলেন চন্নকে। প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বনের শেষ সীমায় পৌছে তিনি থামলেন। তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেললেন তার লম্বা চুল। অতঃপর চন্নকে বিদায় জানিয়ে যাত্রা শুরু করলেন আলোকের খোঁজে, মাত্র ২৯ বছর বয়সে। দুঃখ ও দুঃখের কারণ সমন্ধে জানতে সিদ্ধার্থ যাত্রা অব্যাহত রাখেন। প্রথমে তিনি আলারা নামক একজন সন্নাসীর কাছে যান। তার উত্তরে সন্তুষ্ট হতে না পেরে তিনি যান উদ্দক নামক আর একজনের কাছে। কিন্তু এখানেও কোনো ফল পেলেন না। এভাবে কিছু দিন যাবার পর তিনি মগধের উরুবিল্ব নামক স্থানে একটি গাছের নিচে ধ্যান শুরু করেন। কঠোর সাধণার ফলে তার শরীর ক্ষয়ে যায়। কিন্তু এ তপস্যায় তিনি ভয়, লোভ ও লালসাকে অতিক্রম করে নিজের মনের উপর সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করতে সক্ষম হলেন। সহসা তিনি বুঝতে পারলেন এভাবে আলোকলাভ হবেনা। তিনি তাই আবার খাদ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেন। সুগত নাম্নী এক নারীর কাছ হতে তিনি এক পাত্র দই আহার করলেন। অতঃপর তিনি নদীতে স্নান করে পুনরায় ধ্যাণে বসেন। অবশেষে কঠোর তপস্যার পর তিনি আলোকপ্রাপ্ত হলেন। তিনি দুঃখ, দুঃখের কারন, প্রতিকার প্রভৃতি সমন্ধে জ্ঞান লাভ করলেন।
বুদ্ধের মৃত্যুর পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কোরিয়া সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৬
লাইটহাউজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৪
ক্যাচাল বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন আর এর ধর্মগ্রন্থের নাম "ত্রিপিটক"। এটি মূলত বুদ্ধের নিজস্ব দর্শন এবং উপদেশের সংকলন। এটি কোরান বা বাইবেলের মত ঈশ্বরপ্রদত্ত ধর্মগ্রন্থ নয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান অনুশাসন হিসাবে এটিকে গণ্য করা যায়।
সুন্দর পোস্টের জন্য সালাম আপনাকে!+
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৮
লাইটহাউজ বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের আপনার পুরোনো সেই ইচ্ছাটা এখনো আছে কি?
এই ধর্মে অন্যান্য ধর্মের আর ধর্মগুরুদের বাড়াবাড়ি নেই।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৯
মদনবাবু বলেছেন: একটা সহজ প্রশ্ন। বৌদ্ধ ধর্মের কথা অল কোরআনে কী উল্লেখ আছে ?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০১
লাইটহাউজ বলেছেন: আমার জানা নেই।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪২
ক্যাচাল বলেছেন: ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩৮
লেখক বলেছেন: বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের আপনার পুরোনো সেই ইচ্ছাটা এখনো আছে কি?
এই ধর্মে অন্যান্য ধর্মের আর ধর্মগুরুদের বাড়াবাড়ি নেই।
বুদ্ধ ধর্ম কিন্তু কোন ঈশ্বর/ আল্লাহ/গড এ বিশ্বাসী না , ওরা আসলে নাস্তিকবাদে বিশ্বাসী। ঐ জিনিসটা ই আমাকে আকর্ষন করে।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৪
মদনবাবু বলেছেন: লাইটহাউজ কে এই পোস্টি দায়সারা ভাবে লেখার জন্য জরিমানা হিসাবে ( - ) । সিদ্ধার্থ কে নিয়ে আরও ব্যপক লেখা উচিৎ ছিলো ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৪
লাইটহাউজ বলেছেন: আপনি ধরতে পেরেছেন।
অনেক তথ্য জোগাড় করেছিলাম কিন্তু সময়াভাবে লিখতে পারিনি।
যাই হোক ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই বুদ্ধের জীবনের অজানা কিছু নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট দেব।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৩
নিভৃত পথচারী বলেছেন: হুমমমমম....
৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৫
ক্যাচাল বলেছেন: মদনবাবু বলেছেন: একটা সহজ প্রশ্ন। বৌদ্ধ ধর্মের কথা অল কোরআনে কী উল্লেখ আছে ?
নাই, নবীজী কে ঐ ডার কথা কেউ জানায় নাই, আর খলিফা উসমান ও ব্যাপারটা জানতো না।
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৬
মদনবাবু বলেছেন: ক্যাচাল বলেছেন:বুদ্ধ ধর্ম কিন্তু কোন ঈশ্বর/ আল্লাহ/গড এ বিশ্বাসী না , ওরা আসলে নাস্তিকবাদে বিশ্বাসী।
নাস্তিকবাদ না কী প্রকৃতিবাদ ।
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৭
ক্যাচাল বলেছেন: অনেকটা প্রকৃতিবাদ ও বটে!
১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫১
মদনবাবু বলেছেন: ক্যাচাল বলেছেন: মদনবাবু বলেছেন: একটা সহজ প্রশ্ন। বৌদ্ধ ধর্মের কথা অল কোরআনে কী উল্লেখ আছে ?
নাই, নবীজী কে ঐ ডার কথা কেউ জানায় নাই, আর খলিফা উসমান ও ব্যাপারটা জানতো না।
ইসলাম কী বৌদ্ধ ধর্ম কে তাহলে ধর্ম হিসেবে মানে না ।
১১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৪
ক্যাচাল বলেছেন: কোরআনে শুধুমাত্র ইহুদি আর খ্রিস্টান এর কথা লেখা আছে রে ভাই, হিন্ডু ও বুদ্ধ ধর্মের কথা কোন জায়গায় উল্লেখ নাই। ঐ দুই টা কথা উনাকে জিবরাইল ভাইসাহেব কয় নাই, উসমান খলিফা আপডেইট করার সময় উনি ও জানতেন না ! হইছে?
১২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৪
মদনবাবু বলেছেন: ডোরাকাটা বলেছেন:আপনি আবার মাইণ্ড করলেন নাতো আমার কমেন্টে? আপনার তো আবার রয়েল বেংগলের টাইগার বেশ ডিজলাইক করেন।
লাইটহাউজের মন্তব্যের ভুল মানে বুঝেছেন আপনি । ইংগিত অন্যরকম ছিলো ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
লাইটহাউজ বলেছেন: ভাই পরপর দুটো রয়েলের ছবি দেখে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
১৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৫৫
মদনবাবু বলেছেন: ক্যাচাল বলেছেন: কোরআনে শুধুমাত্র ইহুদি আর খ্রিস্টান এর কথা লেখা আছে রে ভাই, হিন্ডু ও বুদ্ধ ধর্মের কথা কোন জায়গায় উল্লেখ নাই। ঐ দুই টা কথা উনাকে জিবরাইল ভাইসাহেব কয় নাই, উসমান খলিফা আপডেইট করার সময় উনি ও জানতেন না ! হইছে?
দেখি অন্যরাও কি বলেন ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
লাইটহাউজ বলেছেন: দেখি অন্যরাও কি বলেন ।
১৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
পদ্মানন্দ বলেছেন: ইসলাম বা খৃষ্ট ধর্মেরও আগের ধর্ম বৌদ্ধ ধর্ম ;
কিন্তু সব ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক ধর্ম এই বোদ্ধ ধর্ম ।
এই ধর্মের ৮ টি বিষয়ের প্রধান টি হচ্ছে সত্যাগ্রহ বা সত্যানুসন্ধান ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১০
লাইটহাউজ বলেছেন: সহমত।
ধর্মগুরুদের বাড়াবাড়ি নেই এখানে।
১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৭
ক্যাচাল বলেছেন: waiting, eta niye alada post dile kemon hoy?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:০৯
লাইটহাউজ বলেছেন: বু্দ্ধকে নিয়ে এই ব্লগে গবেষনা কম হয়েছে।
পোস্টের অপেক্ষায়।
১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
মদনবাবু বলেছেন:
পদ্মানন্দ বলেছেন:কিন্তু সব ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে বৈজ্ঞানিক ধর্ম এই বোদ্ধ ধর্ম ।
আরেকটু বলেন। এতো আগে বিজ্ঞান আসলো ক্যামনে।
১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
ক্যাচাল বলেছেন: একটা জিনিস বুঝি না, সবাই বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলাতে চায় কেন? মুসলমান রা বলে = কোরআন বিজ্ঞান সম্মত, অন্যরা ও তাই।
বিজ্ঞান তো বলে না আমরা কোরআন সম্মত?
তার মানে কি তাই নয়: বিজ্ঞান ই সারভাইবিং ফোর্স?
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
লাইটহাউজ বলেছেন: ধর্ম তো বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে পারেনা।
তাই বুজরুকি ঠেকিয়ে রাখতে বিজ্ঞানের আশ্রয় গ্রহণ করে।
১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
মদনবাবু বলেছেন: বিজ্ঞান তো বলে না আমরা কোরআন সম্মত?
হুমম। আসলেই তো । চিন্তার ব্যপার ।
১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
এবি+ বলেছেন: আমি শুধু বলতে চেয়েছি একমাত্র বুদ্ধ ধর্মই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিকে অস্বীকার করেনা ,
বৌদ্ধধর্ম বলেনা কোন টা সত্যে, বরং বলে সত্যকে জান । এর প্রমান পাবেন ৮বিধ উপায়ের ১মটি সম্যক ধারনা থেকে । উইকিপেডিয়া তে দেখুন -
বৌদ্ধ ধর্ম বা ধর্ম (পালি ভাষায় ধম্ম) গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দিতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম। বুদ্বের মৃত্যুর পরে ভারতীয় উপমহাদেশ সহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার হয়। বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি প্রধান মতবাদে বিভক্ত। প্রধান অংশটি হচ্ছে হীনযান বা থেরবাদ (সংস্কৃত: স্থবিরবাদ)। দ্বিতীয়টি মহাযান নামে পরিচিত। ভর্যযান বা তান্ত্রিক মতবাদটি মহাযানের একটি অংশ। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, মায়ানমার, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কোরিয়া সহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে।
সূচিপত্র
১ ব্যুৎপত্তি
২ বুদ্ধের দর্শন
২.১ পরকাল
৩ বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি
৩.১ চার আর্যসত্য
৩.২ অষ্টবিধ উপায়
৩.৩ ত্রিশরণ মন্ত্র
৩.৪ দুঃখ
ব্যুৎপত্তি
আক্ষরিক অর্থে বুদ্ধ বলতে একজন জ্ঞানপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত, জ্ঞানী, জাগরিত মানুষকে বোঝায়। উপাসনার মাধ্যমে উদ্ভাসিত আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং পরম জ্ঞানকে বোধি বলা হয় (যে অশ্বত্থ গাছের নীচে তপস্যা করতে করতে বুদ্ধদেব বুদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন তার নাম এখন বোধি বৃক্ষ)। সেই অর্থে যে কোনো মানুষই বোধপ্রাপ্ত, উদ্বোধিত এবং জাগরিত হতে পারে। সিদ্ধার্থ গৌতম আমাদের এইকালের এমনই একজন 'বুদ্ধ'।
বুদ্ধের দর্শন
বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। এটাকে নির্বাণ (nirvana) বলা হয়। নির্বাণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিভে যাওয়া (দীপনির্বাণ, নির্বাণোন্মুখ প্রদীপ), বিলুপ্তি, বিলয়, অবসান। এই সম্বন্ধে বুদ্ধদেবের চারটি উপদেশ যা আর্যসত্য ((চত্বারি আর্য্য সত্যানি, Four Noble Truths) নামে পরিচিত। তিনি অষ্টবিধ উপায়ের মাধ্যমে মধ্যপন্থা অবলম্বনের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
পরকাল
বুদ্ধ পরকাল সমন্ধে বিশদভাবে কিছু ব্যাখা করেননি। কিন্তু পরকালে অস্তিত্ব অস্বীকার করেননি। দেহ কি আত্মা হতে অবচ্ছিন্ন বা মৃত্যুর পর আত্মা থাকে কিনা , এইসব প্রসংগ তিনি এড়িয়ে গেছেন। হাতী সমন্ধে যেমন অন্ধের কোনো সঠিক জ্ঞান হয়না, বিভিন্ন অন্ধের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়, তেমনই যে বিষয় প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করা যায়না, সে বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করতেন ।
বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি:
চারটি আর্যসত্য হচ্ছে:
যথা দুঃখ
দুঃখ সমুদয়: দুঃখের কারণ
দুঃখ নিরোধ: দুঃখ নিরোধের সত্য
দুঃখ নিরোধ মার্গ : দুঃখ নিরোধের পথ
অষ্টবিধ উপায়
সম্যক্ ধারণা
সম্যক্ সংকল্প
সম্যক্ বাক্
সম্যক্ আচরণ
সম্যক্ জীবনধারণ
সম্যক্ মনন
সম্যক্ ধ্যান
ত্রিশরণ মন্ত্র :
আর্যসত্য এবং অষ্টবিধ উপায় অবলম্বনের পূর্বে ত্রিশরণ মন্ত্র গ্রহণ করতে হয়। এই মন্ত্রের তাত্পর্য:
' বুদ্বাং সরঙ্গচ্ছামি' - আমি বুদ্বের শরণ নিলাম। বোধি লাভ জীবনের মূখ্য উদ্দেশ্য। বুদ্বত্ব মানে পূর্ণ সত্য, পবিত্রতা, চরম আধাত্মিক জ্ঞান।
'ধম্মাং সরঙ্গচ্ছামি'- আমি ধর্মের শরণ নিলাম। যে সাধনা অভ্যাস দ্বারা সত্য লাভ হয়, আধ্যাত্মিকতার পূর্ণ বিকাশ হয় তাই ধর্ম।
'সংঘাং সরঙ্গচ্ছামি' - আমি সংঘের শরণ নিলাম। যেখানে পূর্ণ জ্ঞান লাভের জন্য ধর্মের সাধনা সম্যক্ ভাবে করা যায় তাই সংঘ।
দুঃখ
বুদ্ধ দুঃখের কারণ, দুঃখ দূর করার উপায় সমন্ধে উপদেশ দিয়েছেন। উনার মতে জীবন দুঃখপূর্ণ। দুঃখের হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দুঃখজনক। বাসনা সব দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখ মিশ্রিত। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেয়। নিবার্ণ লাভে এই দুঃখের অবসান। বাসনার নিস্তারের মাঝে অজ্ঞানের অবসান। এতেই পূর্ণ শান্তি।
Click This Link
২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩
লাইটহাউজ বলেছেন: মহা চিন্তার ব্যপার !!!
২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সুখী মানুষ বলেছেন: এক নিঃশাসে পড়লাম। ভালো লাগলো, ধন্যবাদ
২২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
মদনবাবু বলেছেন: বুদ্ধের দর্শন : বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। এটাকে নির্বাণ (nirvana) বলা হয়।
পরকাল : হাতী সমন্ধে যেমন অন্ধের কোনো সঠিক জ্ঞান হয়না, বিভিন্ন অন্ধের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়, তেমনই যে বিষয় প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ করা যায়না, সে বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই বলে তিনি মনে করতেন ।
অনে ক সহজে সহজ সরল ব্যাখ্যা।
ভালো লাগলো । ধন্যবাদ এবি+ আপনাকে ।
২৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:০৮
ব্লুজ বলেছেন: ভাল লেগেছে। কিন্তু দায় সারা গোছের। +
২৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০০৮ দুপুর ১:০৯
আইকোনাস ক্লাস্টাস বলেছেন: ভুল হলে শুধ্রিয়ে দিবেন আশা করিঃ
আপনি লিখেছেন, “বুদ্ধ পরকাল সমন্ধে বিশদ ব্যাখা না দিলেও পরকালের অস্তিত্ব অস্বীকার করেননি। দেহ কি আত্মা হতে অবচ্ছিন্ন বা মৃত্যুর পর আত্মা থাকে কিনা, এইসব প্রসংগ তিনি এড়িয়ে গেছেন”- এই কথা গুলো হয়তো একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। আমার মনে হয় বুদ্ধ ১২ টা প্রশ্ন না করার জন্য বলেছিলেন... আত্মা আছে কি নেই, আত্মা কি অবিনশ্বর কি না, পরকাল আছে কি নেই, এই জাতের ১২ টা প্রশ্ন। সবগুলো চাইলে বের করা যায়, কিন্তু এখানে প্রাসংগিক হল, কোন জাতের প্রশ্ন তিনি করতে বারন করেছিলেন এবং কেন?
• এই প্রশ্ন গুলোর কোন বস্তুগত প্রমান দেওয়া যায় না - বিশ্বাস প্রমানের ধার ধারে না।
• এই প্রশ্নের উত্তরে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ কোনক্রমেই আরেকটু সুগম হয় না, বরং আরো জটিল মনে হতে পারে সেই লক্ষ্যে পৌছান।
আমার জানা মতে এই কারন গুলো বিশেষ নজরের দাবি রাখে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৬
মানুষ বলেছেন: ভাল পোষ্ট