নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার নাম- মাহমুদুর রহমান।কোন কুসংস্কারে বিশ্বাস করি না।যে কোন ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করি।নিজের ধর্ম ইসলামকে খুব ভালোবাসি।ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে মানবিক হতে শিখায়,সহনশীল হতে শিখায়,সামাজিক হতে শিখায়।নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি।

মাহমুদুর রহমান

এই পৃথিবীর বিরাট খাতায়, পাঠ্য যেসব পাতায় পাতায় শিখছি সে সব কৌতূহলে, নেই দ্বিধা লেশ মাত্র, বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।

মাহমুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বোধ শ্রেনীর মতবাদ, সাম্যবাদ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৯


সাম্যবাদ, এটি সমান অধিকার,সম্মান প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মতবাদ যা সবার জন্য নির্দেশ করে।অর্থাৎ সাম্যবাদ হলো এমন একটি ব্যাপার যেখানে একটি শ্রেনীহীন সমাজ ব্যাবস্থা থাকবে যার নিয়ন্ত্রন থাকবে এমন একজন ব্যক্তির ওপর যিনি থাকবেন রাষ্ট্রপ্রধান।আর এটা সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা কেন্দ্রিক।এটাকে বলা হয় সমাজতন্ত্রের একটি উন্নত ও অগ্রসর রুপ।বিশ্বাস করা হয় যে সাম্যবাদ থাকলে ধনী গরীবের ব্যবধান থাকবে না। এখানে কায়েম থাকবে সকল পেশাজীবি মানুষের শাসন।ধারনা করা হয়, অন্য যে কোনো মতাদর্শের ব্যাবস্থা ও সমাজ ব্যাবস্থা থেকে এটা ভিন্ন এবং মানব ইতিহাসে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশী সম্পূর্ণ , প্রগতিশীল , বিপ্লবী ও যুক্তিসঙ্গত।

সাম্যবাদের স্তর দুটো,

১। উচ্চতরস্তর বা সম্পূর্ণ সাম্যবাদ।এতে রয়েছে কমিউনিজমের মূলনীতি," প্রত্যেকের কাছ থেকে সামর্থ অনুযায়ী, প্রত্যেকে চাহিদা অনুযায়ী"। অর্থাৎ শ্রম অনুসারে বণ্টন ছেড়ে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে চাহিদা অনুযায়ী বণ্টনের দিকে।এখানে শ্রম একজন ব্যক্তি কম কিংবা বেশী দিতেই পারেন যার যার সামর্থ্য মোতাবেক তবে এটা কোন বিষয় নয়।মূল কথা হলো সবাই যার যার চাহিদা মোতাবেক পারিশ্রমিক পাবেন।

২। নিম্মতম বা সমাজতন্ত্র, যেখানে কোন নিজস্ব মালিকানা থাকবে না।ফলে উৎপাদন শক্তির সুপরিকল্পিত বিকাশে কোন বাধা থাকবে না।এর মূল লক্ষ্য জনগনের সচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ।


এখন সাম্যবাদকে আপনার কাছে খুব সুন্দর পদ্ধতি মনে হলেও সত্যিই কি এটা মানুষের যাবতীয় সকল সমস্যা থেকে মুক্তির পথ?
আসুন এবার একটু গভীরে যাওয়া যাক।মানুষের মাঝে স্রষ্টা কর্তৃক বিশেষ দুটো গুন বিদ্যমান।একটি সহযোগিতা আর অন্যটি প্রতিযোগিতা।সাম্যবাদ সহযোগিতার কথা বললেও অন্যটি কিন্তু ধনতন্ত্রের ওপর গুরুত্ব দেয়।ধনতন্ত্র এমন একটি ব্যাপার যার গুরুত্ব বিত্তশালীদের কেন্দ্র করে।ফলে অর্থহীনরা শোষিত শ্রেনীর মাঝে পড়ে যায়।আর এই জন্য সাম্যবাদের প্রতি চোখ দিতে হয় নির্বোধ বিশেষজ্ঞদের।তারা তখন মধ্যযুগীয় কমিউনের যুক্তি দাঁড় করায় যেখানে মানুষের বিশ্বাস , মূল্যবোধ , জীবনযাত্রার মান হবে একই ধরনের।এটা সুন্দর ভাবনা মনে হলেও এখানে ব্যাক্তিগত স্বাধীনতা ব্যাহত হওয়ার শতভাগ শঙ্কা আছে।আবার একজন মানুষ পরিশ্রম করুক আকাশ সমান কিন্তু তার প্রয়োজন মোতাবেক পারিশ্রমিকই তাকে দেয়া হবে।তিনি কখনওই তার ন্যায্যতা দাবি করতে পারবেন না।এটাও অনেক বড় একটা সমস্যা।

এছাড়াও ভাবুন আপনি এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন ১০০ মন।প্রতি মন ধানের বাজার মূল্য ৪০ টাকা।কিন্তু আপনার ইচ্ছা হবে বাজারে প্রতি মন ধানে ১০ টাকা বেশী মুনাফা যেন অর্জন করতে পারেন।এখান থেকে প্রকাশ পায় মনুষ্য স্বভাবের একটি গভীরতম দিক - উচ্চাকাঙ্ক্ষা।মানুষ সব সময় আপন ক্ষমতার ওপর টিকে থাকতে চায়।আপন পরিশ্রমের চেয়ে দশগুন বেশী মুনাফা লাভের আকাঙ্ক্ষা মানুষের মনে দাপিয়ে বেড়ায় সর্বক্ষণ।আর এখান থেকেই শুরু হয় কে কার আগে যাবে বা প্রতিযোগিতা। আর এটাই হবে উৎপাদন শক্তির সুপরিকল্পিত বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায় আমার বিশ্বাস।তাই অত ব্যাখ্যায় যেতে চাই না শুধু সংক্ষেপে বলতে চাই, আপনি যদি সাম্যবাদকে প্রতিষ্ঠা লাভ করাতে চান আপনাকে হতে হবে মার মুখী।হতে হবে প্রচন্ড ক্ষমতার অধিকারী।না হলে সাম্যবাদ কখনোই প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।কারন ব্যক্তিগত স্বাধীনতা মানুষের কাছে মহামূল্যবান সম্পদ।এটা কেই বা চাইবে ঘোলাপানিতে ছেড়ে দিতে?

সাম্যবাদ হলো ঘোলা পানি।কারন সাম্যবাদ ব্যক্তিগত স্বাধীনতা বিরোধী,একজনকে দিয়ে এক আকাশ পরিশ্রম করিয়ে নেবে কিন্তু তাকে তার ন্যায্য পারিশ্রমিক দিবে না, একজন শিক্ষক ও একজন মুচির মাঝে তফাৎ থাকবে না।কারন উভয়ের সম্মান থাকবে সমান সমান।তখন মুচি একজন শিক্ষক থেকে নিজেকে কোন অংশে কম মনে করবে না।সে ভাবতে বাধ্য হবে যে শিক্ষক ও তার জ্ঞান সমান সমান তাই তাদের সম্মানও সমান সমান।ফলে সে একজন শিক্ষকের কাছ থেকে কোন উপদেশ গ্রহন করতে চাইবে না।ফলে তৈরি হবে সংঘাত।মূল কথা হলো একটা শ্রেনী ভিত্তিক সমাজ আছে বলেই পৃথিবীটা আজও শান্ত আছে। না হলে অনেক আগেই ধবংস হয়ে যেত।উপযুক্ত উদাহরন হলো,একজন ব্যাক্তি যিনি প্রধান শিক্ষক তার সম্মান ,তার অধিকার এবং বেতন অন্যান্য শিক্ষকদের তুলনায় বেশি ফলে সবাই তাকে মান্য করে।কিন্তু যখনই সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা হবে তখন সম্মান, অধিকার, বেতন সবার একই থাকবে যার ফলে কেউ কাউকে মানতে চাইবে না।আর এই জন্যই সাম্যবাদ হচ্ছে ধবংসের মূল।আমি জোর গলায় বলতে চাই, আমি সাম্যবাদ বিরোধী একজন মানুষ।

_মাহমুদুর রহমান।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৫

এ্যাক্সজাবিয়ান বলেছেন: কম্যুনিষ্ট, সাম্যবাদ হচ্ছে রাজার সম্পদ টাউটারী করে ফকির বাটপার খাবে, ইহা চরম স্বার্থপরদের রাজনীতি। +++

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমাজতন্ত্র আপনি বুঝতে পারলে, মানুষকে অর্থনীতিতে পিএইচডি করার দরকার হতো না; আপনি যথাসম্ভব মাদ্রাসার পিএচডি!

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অর্থনীতিতে পিএইচডি করে কি হয়েছে শেষ পর্যন্ত?সবাই ঐ ধনতন্ত্রকেই তো গুরুত্ব দিচ্ছে।ফলে কার্ল মার্ক্সের থিউরি সেখানে মার খেয়ে যাচ্ছে।কার্ল মার্ক্স আবেগ দিয়ে ভেবেছে বিবেক দিয়ে নয় আর সে জন্যই সাম্যবাদ এখনো ঝুলে আছে,থাকবে।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: সাম্যবাদের কনসেপ্ট সুন্দর কিন্তু এতে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। পোষ্টে আপনিও বলেছেন যেমন একজন মানুষ যদি বেশী পরিশ্রম করে সে স্বাভাবিকভাবে চাইবে বেশী পারিশ্রমিক। যদি তা সে না পায় তাহলে সে নিরুৎসাহিত হবে বেশি পরিশ্রম করার জন্য, এখানে পুঁজিবাদ সাম্যবাদ থেকে এগিয়ে কারণ যে যত কাজ করবে তার পারিশ্রমিক বেশী। সাম্যবাদ অলস করে দিতে পারে মানুষকে, আবার সমাজের সকলের মান সম্মান যদি এক হয়, অর্থাৎ একজন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার এবং সাধারণ কর্মজীবী মানুষের সম্মান যদি সমান হয় তাহলে সমাজের ড্রাইভিং ফোঁস থাকবে না! মানুষ কষ্ট করে কেন তাহলে ডাক্তার হতে চাইবে? ইঞ্জিনিয়ার হতে চাইবে ? এখানেও ডিমোটিবেটেড হবে মানুষ।

আবার বর্তমান গলা কাটা পুঁজিবাদ মানুষের শতভাগ সুখী করতে পারছে না, সাধারণ মানুষ শেষ বয়সে অনেক কষ্ট করে, জমানো টাকা পয়সা চিকিৎসা, সন্তানদের লেখাপড়ায় ব্যয় করে, অর্থনৈতিকভাবে কষ্ট এ জীবন যাপন করেন।

তাই শতভাগ পুঁজিবাদ এবং সমাজতন্ত্র দুটোই অকার্যকর আমার কাছে, ইউরোপের অনেক দেশ আছে যেমন ডেনমার্ক, সুইডেন ইত্যাদি তারা সেখানে সাম্যবাদ এবং পুঁজিবাদের মাঝামাঝি একটি ব্যবস্থা চালু করেছে। সরকার সকল সন্তানদের লেখাপড়া, চিকিৎসা সেবা, সবার জন্য পেনসন, বিভিন্ন ভাতা যেমন বেকার বাতা, চাইল্ড বেনিফিট নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। জনগণ তাদের ইনকামের উপর নির্ভর করে মোটা অংকের ট্যাক্স প্রধান করে, বিনিময়ে সরকার তাদের নাগরিকদের আমি যেগুলো বললাম সেই নাগরিক সুবিধা দিয়ে থাকে।

এই সমাজ ব্যবস্থা আমার কাছে মনে হয় অনেক কার্যকর, এটা যেমন পুরোপুরি শতভাগ পুঁজিবাদ নয় তেমনি সমাজতন্ত্র ও নয়, এই দুইটার মাঝামাঝি।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: জনগণের কল্যানে সমাজতন্ত্রের বেশ কিছু কনসেপ্ট গ্রহণ করে অনেক পুঁজিবাদী দেশ কল্যানমুলক রাষ্ট্রের আদলে পরিচালিত হচ্ছে | সে সকল দেশে সার্বজনীন ফ্রি চিকিৎসা ও শিক্ষার পাশাপাশি স্বল্পমূল্যে সরকারি আবাসন ও চাকুরীচ্যুতদের বেকারভাতা মতো মানবিক ব্যবস্থাগুলো চালু রয়েছে | এই সকল রাষ্ট্রের মানুষ আর যাই হোক অন্তুত: একেবারে পানিতে পড়ার মতো অবস্থায় নিপতিত হবে না | এই সকল মানবিক কনসেপ্ট অন্যান্য সিস্টেমের রাষ্ট্রগুলোতে এতো ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয় নি | তাই অন্যান্য দেশে দরিদ্র, অসহায় ও প্রবীণদের অবস্থা বেশ করুনই বলতে হবে | তাই মানুষ অনেক সময় বাধ্য হয়ে চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি, চাঁদাবাজির মতো মন্দ পথের আশ্রয় নেয়, যা কল্যানমুলক রাষ্ট্রগুলোতে তুলনামূলক কম | কল্যানমুলক রাষ্ট্রগুলোতে শাস্তিও অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় মডারেট | সেখানে অপরাধের জন্য গুরুদণ্ড দেয়ার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না |

তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে | সব মানুষ এক রকম হয় না | সমাজে একেক মানুষের চাহিদার মাত্রা একেক রকম | অনেকে তাদের কষ্টার্জিত আয়ের একাংশ সরকার কর্তৃক জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে ব্যয় করাকে অপছন্দ করে | আবার অনেকে বেকার ভাতায় সন্তুষ্ট না হয়ে এই সিস্টেমের বাহিরের কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে | সুতরাং অনেক ভালো দিক থাকা সত্বেও এই সিস্টেমকে অনেকের অপছন্দ করা হয়তো মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতিরই অংশ |

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মানুষ নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা কেন জনগনের কল্যানে ব্যয় করবে না,অবশ্যই করবে।মানুষ চায় তার পাশাপাশি অন্যরাও যেন সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন পার করে।কিন্তু কেউ চায় না তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করুক।আয়ের টাকা ১ কোটি হলে ঐ ব্যক্তি ১০ লক্ষ টাকা দান করলে তাতে কোন সমস্যা নেই।সমস্যাটা শুরু হয় তখন যখন তার অনুমতি ছাড়াই তার কাছ থেকে টাকা কেটে রাখা হয়।বড় অংকের টাকা।এটা অনেকটা চুরি কিংবা ডাকাতির সমতুল্য।আর সাম্যবাদ এটাকেই সমর্থন করে যা সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না। একমত হতে পারলাম না। বড্ড বেশী একপেশে ভাবনা।

ইসলাম কিন্তু পূর্ণ এবং মৌলিক সাম্যের আহবান করেছে সব সময়।
মানুষে মানুষে কোন ভেদ নেই। প্রত্যেকোর রয়েছে সমান অধিকার। তাইতো দেখী কৃষকও আমিরুল মোমিনিনকে খুতবার মাঝখানে আটকে দিতে পারে- জবাবদিহিতার জন্য। এবং জবাব দিয়েই খলিফাকে সন্তুষ্ট করতে হয়।

এখানে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রয়োজনের বিষয়ে কোন ভেদ নেই। সম্মান এবং মানুষ হিসেবে মর্যাদা দানে অবশ্যই সবাই সমান। কাজের শ্রেণী বিভাগ দিয়ে মানুষকে বিচার করলে তা প্রকারান্তরে সেই আদি বৈষম্যবাদকেই উস্কে দয় না। যেখানে সামন্ত মানসিকতা দৃঢ়।
খোলাফায়ে রাশেদার সময় দেখি সাম্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বাইতুল মাল থেকে প্রয়োজনের ভিত্তিতে সাম্যতার অতুলনীয় উদাহরন বাস্তব প্রয়োগিকতায়। তা যেমন নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ডালে, তেমনি বস্ত্রে, আচরণে, সম্মানে।

কাছের মানুষ ভাইয়ের মন্তব্যে সহমত। কল্যান রাষ্ট্রের ধারনা সেই মধ্যম পথ।
আর শিক্ষা জ্ঞান এবং সম্মান বিষয়টাতে আপনি যেভাবে বলছেন, তা আপত্তিকর। সাম্যবাদে মুচি আর শিক্ষক সমান হয় কিভাবে? আবার মুচিকে মুচি বলে নিন্দা করলে তো আপনি সুস্থ মানুষের কাতারেই পড়েন না। প্রত্যেকেই স্ব স্ব কর্মে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের অধিকারী।

তাই সাম্যবাদের মতো একটা ধারনাকে নির্বোধ মতবাদ বলার মতো সরলীকরণ মনে হয় যথার্থ নয়।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সাম্যবাদ শ্রেণীহীনতার কথা বলে।তাই এক্ষেত্রে একজন মুচি আর একজন শিক্ষকের অধিকার এবং সম্মান সমান সমান।আমি মুচি আর শিক্ষক উভয়কে সম্মান করি।তারা মানুষ।তাই তাদের প্রতি আমার সমান সম্মান রয়েছে।কিন্তু আপনাকে যখন বলা হবে উভয়ের মধ্যে কে সবচেয়ে জ্ঞানী তখন সম্মানটা শিক্ষকের দিকেই ধাবিত হবে।কারন ব্যাখ্যা করতে চাই না।আর এক্ষেত্রে মুচিকে ছোট করেই দেখতে হবে।কিন্ত ঘৃণা করে নয়।

সাম্যবাদে প্রথমে গোটা জাতিকে এবং শেষপর্যন্ত গোটা বিশ্বকেই একটি কমিউনে রূপান্তরিত করার কথা বলা হয় যেখানে সকল মানুষ একসাথে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবেন এবং ফলাফল সমানভাবে ভাগ করে নেবেন।আর এখানেই চলে আসে মানবচরিত্রের একটি গভীর দিক। উচ্চাকাঙ্ক্ষা (ambition)। মানুষ সবসময়েই নিজের ক্ষমতার ওপর ভর করে ওপরে উঠতে চায়, যে যেভাবে পারে। মানুষ সবসময়েই চায় অন্য সকলের চেয়ে আলাদা হতে। নিজের বিশেষ ক্ষমতা বা বাড়তি পরিশ্রমের ফল অর্জন করতে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক । বিষয়টা যদি আপনি বুঝতে না পারেন তবে আপনি বোঝার চেষ্টা করুন।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের গ্রামে একটা কথা আছে- ছোটলোকের ছেলে যদি জমিদারি পায়, কানের আগায় কলম গুঁজে বাঈজি নাচায়।

০৫ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর প্রবাদ,সত্য প্রবাদ।

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০১

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সহমত। ইসলাম, কথিত সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম, ধর্মীয় উগ্রবাদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে যাবে। তবে ধর্মীয় উগ্রবাদ উধাও হতে অনেক সময় লাগবে। ২০৫০ এর মধ্যে উগ্রবাদ কমবেনা।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:২৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: একটি দেশের সরকার কর্তৃক জনগণের আয় থেকে কর কেটে রাখাকে আপনি চুরি বা ডাকাতির সঙ্গে কিভাবে তুলনা করছেন ? সরকার কর্তৃক রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মকান্ডে ব্যয় করা | এমনকি অনেক মুসলিম দেশও একসময় বিধর্মীদের থেকে জিজিয়া কর আদায় করতো - তাকেও কি আপনি ডাকাতি বলবেন ?

আপনার কথায় আমি এই প্রবাস জীবনে একটি বিশেষ দেশের লোকদের কথার প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছি | ওই দেশটির লোকজন ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার যতরকম উপায় আছে অবলম্বন করে এবং ট্যাক্সের চরম সমালোচনা করে | এমনকি এটাও বলে থাকে ইহুদি নাসারাদের দেশে ট্যাক্স দিয়ে লাভ কি ? অথচ তারা ওই দেশের সরকারি যতরকম সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে আন্ডার দ্য টেবিল কাজকর্মও করে থাকে |

০৯ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আমি যা বোঝাতে চেয়েছি সেটা বোঝাতে পারিনি আপনাকে আর এই জন্য আমি দুঃখিত।

আমি বোঝাতে চেয়েছি, আমার আয় ১ কোটি টাকা হোক।এটা আমার আর আমার ও জন্যগনের নিরাপত্তা কিংবা উন্নয়নের স্বার্থে আমার কাছে থেকে সরকার যে টাকা কেটে নেবে সেটা দিতে আমার কোন আপত্তি নেই।আমার আপত্তি ঠিক সেই স্থানে যেখানে সরকার নিজেই নির্ধারণ করে দিবে আমার হাত খরচ কতটাকা এবং সেই অন্যযায়ী আমাকে বেতন দিবে।এই ক্ষেত্রে আমার পরিশ্রম আমার প্রতি কি জুলুম করছে না সরকার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.