![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" এক বাঙালী ছেলে দেশ থেকে বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে করাচী গেল । যাওয়ার সময় তার এক বন্ধুকে বলে গিয়েছিল তার জন্য একটি বাসা ঠিক করার জন্য যেন বউ নিয়ে সেখানে উঠতে পারে । এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সিতে করে নতুন বউ নিয়ে সোজা জেকব লাইনসের বন্ধুর বাড়িতে গেল । বন্ধুর বাড়ির সন্নিকটে ট্যাক্সিই যায় না তাই একটু দূরে বউসহ ট্যাক্সি রেখে , ট্যক্সিওয়ালাকে বলে গেল একটু অপেক্ষা করতে ,সে এখনই আসবে । বন্ধুসহ ফিরে এসে দেখে ওখানে ট্যাক্সি নেই , বউও নেই । একি কথা! তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । অনেক লোক জমা হয়ে গেল । কি করা যায়। অনেকে বলল থানায় এজাহার করতে । থানায় এজাহার করলেও অন্যভাবে এগুতে হবে । চল ইষ্ট পাকিস্তান এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারীর বাসায় যাই । সবাই মিলে জেরারেল সেক্রেটারীর বাসায় গিয়ে তাকে সব কথা বলল । জেনারেল সেক্রেটারী সাহেব খুব রাগী লোক ছিলেন। সব কথা শুনে রাগে গড়গড় করতে করত স্বামী লোকটাকে খুব জোরে এক থাপ্পড় মারলেন এবং বললেন " এতবড় বোকামী কি মানুষ করে "। (স্মৃতি অম্লান , ১৪ই ডিসেম্বর , ২০০১ . দৈনিক ইত্তেফাক )।
সেই জেনারেল সেক্রেটারী মানুষটা কি বোকা ছিলেন না , বোকার মত মানুষের জন্য ভালবাসা উজাড় করে দেন নি জীবন ভর । অসময়ে চলে যাবার ক্ষন ঘনিয়ে এল তার, স্ত্রীকে ডেকে বললেন , " তোমার জন্য আমি তেমন কিছুই রেখে যেতে পারলাম না , রত্ন রেখে যাচ্ছি -- আমাদের ছেলে মেয়ে " । চলে গেলেন নিজ ঠিকানায়।
তার আদরের ছেলে মেয়েরা কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হল , তবে তাদের মা আপোষহীন সন্তানদের মানুষ করবার জন্য । বললেন , " আমি একাই ওদের বাবা এবং মা ; আগে ওদের কেউ কিছু বললে লক্ষ্য করবার প্রয়োজন ছিল না । এখন ওদের মন ছোট হোক কোনভাবেই চাই না "। তাই এমনকি মামা , বড় ভাই সবার অমতে তার সন্তানদের মানুষ করতে চাইলেন বাবার ইচ্ছে পূর্ন করতে । বললেন ," কষ্ট হোক ,তবু মাথা উঁচু করে বাচঁবে । তোমাদের স্বাধীনতা দেয়া হোল নিজের মত চলার , সদ্ব্যবহার করো সে স্বাধীনতার ।"
পেরেছে বাবা মায়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে তার সন্তানেরা । সব কিছু আছে , আব্বা নেই সেই কবে থেকে । উনি চলে যাবার পরে , অনেক সময় পথে ঘাটে চলতে চলতে ভেবেছি যদি দেখি আছে কোথাও , আল্লাহ সব পারে ; চাইলেই ফিরিয়ে দিতে পারে তাকে পৃথিবীতে , দেয় নি নিয়ম ভেঙ্গে । এক একবার মন খারাপ হয় , মনে পড়ে যায় তার অপত্য স্নেহ ।
ঈদের দিন নতুন চাদর বিছিয়ে তার উপরে সবার কাপড় , জুতো , চুড়ি , ক্লিপ ইত্যাদি আলাদা আলাদা করে সাজিয়ে রাখা ছিল তার কাজ । আমাদের যত্ন নিতে সে কখনো ক্লান্ত হোত না । অনেক কিছু মনে আসছে , লিখতে গিয়ে এগুতে পারছি না । এখন যদি দেখি কারো বাবা নেই , কষ্ট হয় বুকের মধ্যে ।
ঈদে একবার কাপড় এনে বললেন , " এটা মার্কেটের সেরা ড্রেস " ( তেমন কিছু ছিল না সেটি , খুশী করবার জন্য বলা ) । ঈদের দিন সেটা পরে সবাইকে বলেছি , এটা সবচেয়ে ভাল ড্রেস , আব্বাজী বলেছেন ।
আমি ছিলাম তার সবচেয়ে আদরের । আম্মা বলতেন , " ছোটটিকে বেশী আদর না করে গুড্ডুকে ( আমার পারিবারিক নাম ) বেশী আদর করেন কেন "? বলতেন , " তা না হলে যে হিংসে করবে ছোটটিকে "। আসলে সেই ছোটবেলা থেকে আব্বার মত করে সব করতে চাইতাম । মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছে সে । তাঁর জীবনেও মানুষের ভালবাসা পেয়েছে , মরনের পরেও দেখেছি সে সব ফুরিয়ে যায় নি তার । বিশ্বাস করতেন মানুষকে অত্যন্ত বেশী । কত জন কত ভাবে ঠকিয়েছে । এমনকি অবসরে যাবার পরেও একজন এসে তাঁর কাছে আশ্রয় চাইলো চাকরী দিতে হবে । কাউকে ফেরাতে পারতেন না । সেই লোকটি একদিন আব্বার ব্রিফকেস নিয়ে পালিয়ে গেল । সারা জীবনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল সেটিতে । লোকটি আর ফিরে এল না । কত অসুবিধা হয়েছে আব্বাজীর কাগজপত্র সব হারিয়ে । তবু মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যায় নি । অদ্ভুত মানুষ ছিলেন , বৈচিত্রে ভরা তার জীবন ।
এক একবার তাঁর কথা মনে এলে মন মানে না । প্রতিবেশী মেয়ে ভিখারুন্নেসা স্কুলে পড়ে , সেখানে পড়লে আমাদের সুবিধা হয় । আব্বাজীর হাত ধরে স্কুলের ফর্ম এনেছি , ভিখারুন্নেসা স্কুলের এখনকার মনোয়ারা হাসপাতালের দিকের গেট দিয়ে ঢুকেছিলাম সেবার ; মনে হল বড় মাঠ নেই , কেমন গুমোট লাগছিল । অন্য যে স্কুলটায় গেলাম , সেটার বড় মাঠ দেখে চাইলাম সেখানে পড়বো , ছোট ছিলাম , তবু ইচ্ছাকে আমার অগাহ্য করা হোল না । ছোট ছিলাম , কেমন ভুলিয়ে রাখতে পারতেন । যখন
ক্যানসার ছড়িয়ে গেছে শরীরে , অসুস্থ ভীষন ; স্কুলের হাফইয়ার্লী পরীক্ষার কটা খাতা দেখিয়েছে , বাসায় এসে বললাম , আব্বা , আমি পাচঁটার মধ্যে চারটিতে হাইয়েষ্ট পেয়েছি । শুয়ে ছিলেন , উঠে বসলেন । বললেন , " জান আমার অসুখ অর্ধেক ভাল হয়ে গেছে , তোমার বাকী খাতাগুলো কবে দেবে ? এমন ভাল রেজাল্ট সেগুলোতে হলে আমি পুরো সুস্থ হয়ে যাব "। পুরো বিশ্বাস করেছিলাম কথা তার । তাই অপেক্ষা সইছিল না খাতা পাবার ; কি দিয়ে কি হয়ে গেল । রেজাল্ট ঠিকই আমার ভাল হয়েছিল , তবে আব্বাজী যে বলেছিলেন , অসুখ ভাল হয়ে যাবার কথা , সেটা মিথ্যা বলেছিলেন । আমি তো বিশ্বাস করে খুশী ছিলাম , তাহলে কেন ফাঁকি দিলেন ? বরাবর জানি বাবা মায়েরা মিথ্যা কথা বলেনা । কেন বললেন সেবার । এতটুকু ছোট মেয়ের সাথে মিথ্যা বললেন কেন ? সেই মেয়েটা দিনের পরে দিন অপেক্ষা করেছে তার বাবার জন্য । একসময়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছে তার গুড্ডু , তবু আসেনি , একবারও আসেনি । পারেননি আসতে ।
তা না হলে কি থাকতো অমন করে লুকিয়ে ।
এখনও মাঝে মাঝে মনে হয় , আব্বাজী আছেন , কোথাও আছেন । হঠাৎ এসে পড়বেন , গেটের কাছে এসে জোরে কাশি দেবেন ; তারপরে ঘরে ঢুকবেন ।
(*** সারাদিন চেষ্টা করে এই লেখাটা লিখেছি । অনেক মেয়ের জীবনে মায়ের ভূমিকা অনেক বেশী থাকে , আমার জীবনে আব্বাজী আম্মার চেয়ে কোন অংশে কম নন ; বরঞ্চ তার প্রভাব এবং চারিত্রিক গড়ন আমার ক্ষেত্রে বেশী ।)
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:১১
মেহবুবা বলেছেন: অনেকবার থেমেছি , কেঁদেছি । এলেখাটা লিখতে কষ্ট হল খুব ।
সবার জন্য দোয়া চাই ।
২| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এম. হাবীব বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে , বাবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:১১
মেহবুবা বলেছেন: শ্রদ্ধা সকল বাবা এবং মায়ের জন্য ।
৩| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ লেখা। +++++
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৫২
মেহবুবা বলেছেন: আমার অসাধারন বাবার জন্য এ সামান্য মনোযোগ আমার ।
উনি না থেকেও অনেক বেশী করে আছেন , অনেক শক্তি নিয়ে , আমাদের শক্তি বাড়িয়ে দিতে ।
৪| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১২
সমীরণ বলেছেন: আপনার ভালবাসার প্রকাশ খুব ভালো লাগলো...
পৃথিবীর সকল বাবাদের জন্য বুক ভরা শ্রদ্ধা।
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৫৪
মেহবুবা বলেছেন: আমার ভালবাসা আমার আশে পাশের এবং পরিচিত সবার জন্য ; সেটা শিখেছি বা জন্মগত ভাবে পেয়েছি যার কাছ থেকে সে আমার আব্বা ।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা ।
৫| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫
অন্তরা. বলেছেন: হৃদয়ের গভীর ছুয়েঁ গেল ......
অসাধারণ লেখা। +++++
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:১০
মেহবুবা বলেছেন: আজ কোন কাজে মন বসছে না ।
অসাধারন বাবার এক অতি সাধারন কন্যার লেখা ।
৬| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
অলস ছেলে বলেছেন: ভালো লেগেছে।
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৪৮
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
৭| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সোহানা মাহবুব বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব কান্না পাচ্ছে।প্রার্থনা করি,বাবার আদর্শে অনেক বড় হোন।
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
মেহবুবা বলেছেন: আজ এ লেখাটা তিনবার প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছি । লিখতে লিখতে কেঁদেছি ।
ছেলেকে কাছে ডেকে একবার ছলছল চোখে বলেছি , তুমি আমার এখনের আব্বুজী । বলেছে , তাইতো ।
৮| ২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ভালো বাবা হতে চাই, দোয়া করবেন
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৫৫
মেহবুবা বলেছেন: দোয়া করি ভাল বাবা যেন হতে পারেন , আপনিও দোয়া করবেন যেন ভাল মানুষ হয়ে থাকতে পারি শেষদিন পর্যন্ত ।
৯| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:০৩
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: মনটা এমন ভাবে ছুঁয়ে গেল, চোখে ঝাপসা দেখছি। অসাধারণ লিখা, অসাধারণ!
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০১
মেহবুবা বলেছেন: অসাধারন তোমাদের মন । দোয়া করি যেন একদিন তোমার কথাও লেখা হয় ।
১০| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৩০
এস মাহবুব বলেছেন: খুব ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে।
ধন্যবাদ।
২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:২২
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও । এ লেখাটা কঠিন ছিল আমার জন্য , পেরেছি যাহোক ।
১১| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৪১
মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: প্রতিটি বাবা যদি এমন হতেন? কতই না সুন্ধর হতো এ পৃথিবী। সুন্ধর লেখার জন্য ধন্যবাদ
২২ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৮
মেহবুবা বলেছেন: এই কথাটা ঠিক , তার মত করে মানুষকে ভালবেসে , মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতে পারলে অনেক কিছুই সহজ হোত , সুন্দর হোত ।
১২| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৫৩
লীনা দিলরূবা বলেছেন: চোখ ভিজে গেল। গুড্ডুর জন্য, গুড্ডুর বাবার জন্য।
২২ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৪০
মেহবুবা বলেছেন: আমার আজও খুব মন খারাপ করছিল ; কতদিন হয়ে গেল , সেই শূন্যতা আপর পূরন হয় না ।
সবার বাবা মা যেন দীর্ঘজীবি হয় ।
১৩| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৩৭
মুহাম্মদ তসলিম বলেছেন: পৃথিবীটা আপনার বাবার মত মানুষদের জন্য এত সুন্দর....
এই রকম বাবা হতে চাই।
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৪৭
মেহবুবা বলেছেন: কথাটা আমার এখন এই বয়সে এসে সত্যি মনে হয় ; একসময়ে কিছুটা ভুল বুঝেছি তার বৈষয়িক বুদ্ধির অভাব দেখে ।
দোয়া করি যেন তাঁর চেয়ে ভাল বাবা এবং মানুষ হতে পারেন ।
১৪| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:১৭
শত রুপা বলেছেন: সুন্দর লেখা। বাবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রইলো।
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৪৭
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ শতরূপা তোমাকে । মনে থাকে তোমাদের সবার কথা ।
১৫| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:২৯
মনজুরুল হক বলেছেন:
আমার বাবা আমাকে পছন্দ করতেন না!
আমার বাবা আমার আদর্শকে মানতেন না!
অথচ বাবা আমাকে পৃথিবীর সবথেকে বেশি ভালবাসতেন
অথচ আমি বাবাকে পৃথিবীর সবথেকে বেশি ভালবাসতাম।
আমার মাথার ওপর থেকে বাবার ছায়াটা একদিন নেই হয়ে গেল !!!
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৮:৫২
মেহবুবা বলেছেন: আমার বাবা আমাকে পছন্দ করতেন ।
আমার সেই ছোট বেলায় তেমন আদর্শ ছিল না যা মানবার প্রশ্ন উঠতে পারে ।
অথচ মনে হত আব্বাজী আমাকে সবচেয়ে বেশী ভাল বাসতেন ( এটা আমার অন্য ভাইবোনদের কথা ) ।
অথচ আমি আব্বাজীকে সবচেয়ে ভালবাসতাম এবং বাসি ।
পৃথিবী অন্ধকার করে দিয়ে সেই আব্বাজী একদিন নেই হয়ে গেলেন ।
তাঁর থাকবার প্রয়োজন ছিল ছায়া হয়ে নয় , বাস্তবে ।
সবই স্রষ্ঠার ইচ্ছা ।
আপনার জন্য সহমর্মিতা অনেক অনেক ।
১৬| ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫৪
সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: সত্যিই দারুন।
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:২৫
মেহবুবা বলেছেন: দারুন ছিল সেই সময়গুলো যা আর কোনদিন ফিরে আসবে না ।
১৭| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:০৩
তারার হাসি বলেছেন:
আমি কি তোমার কপালে একটা আদর দিতে পারি, সত্যিকারের একটা আবেগমাখা লেখার জন্য ?
আদর !
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৪৪
মেহবুবা বলেছেন: তোমার লেখা পড়লে আমার সব সময়ে মনে হয়েছে তুমি আমার বোন ;
তোমার আদর আমার কপাল জুড়ে রইল ।
ভাগ্যবতী হও ।
১৮| ২২ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ১:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কোন জবাব নেই-শুধু প্রিয়তে রেখেদিলাম। থ্যাঙ্কস ফর এস এম এস।
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৪৬
মেহবুবা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন ।
এমন একটা লেখাকে আপনার প্রিয় পোষ্টের তালিকায় নেয়ায় অনুপ্রানিত বোধ করছি ।
১৯| ২২ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭
অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার আবেগভরা লেখাটা ... আপনার বাবা ঠিক যেমনটি চেয়েছিলেন তেমনটি হয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিন আপনার আব্বা আপনাকে সবচেয়ে আদর এজন্যই করতেন যেন, তিনি জানতেন যে একদিন তার মেয়ে, তার সব স্বপ্ন সত্যি করে দেখাবে ...
আপনার আব্বার জন্য অনেক শ্রদ্ধা ...
২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৪৮
মেহবুবা বলেছেন: তোমাকে বলা হয় নি যে কথাটা ,সেটা হলো ব্লগে যে কজন সুশীল ব্লগার আছে , যারা প্রখর ধীশক্তির অধিকারী এবং মার্জিত তুমি তাদের মধ্যে একজন ।
তোমার জন্য শুভকামনা রইল ।
২০| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:০৭
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
প্রিয়েতে রাখলাম।বাবাকে ভালোবাসি। কখনো বুঝতে দেই না। আমি জানি বাবা ঠিকই বুঝে। যেমন বুঝি।
২৩ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫৬
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ এমন একটি লেখা আপনার প্রিয় পোষ্টে , এটা আমার আব্বার জন্য সন্মান ।
বাবাকে ভাল বাসেন সে ঠিকই বুঝতে পারবে । চেষ্টা করবেন পার্থিব কিছু দিয়েও বুঝতে দিতে ।
২১| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৩১
রুবেল শাহ বলেছেন: অনন্য অসাধারণ.......................
ভাল লাগা রইল
২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:৩৩
মেহবুবা বলেছেন: অনেক কিছু মনে আসছিল , সবার মধ্যে ভাগ করে দেয়া অনুভুতি আমার ।
শুভকামনা আপনার জন্য ।
২২| ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:৫১
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য বলেছেন:
একটি কান্না রেখে গেলাম, একটি কান্না নিয়ে গেলাম...
২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:২৪
মেহবুবা বলেছেন: লেখাটা তোমাদের কাঁদাবে সেটা আমি জানতাম না ।
শুভকামনা রইল ।
২৩| ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:০১
নাজনীন১ বলেছেন: আমাদের তিন ভাইবোনেরই আব্বার সাথে খাতির বেশী, গল্প বেশী। আব্বা সরারসরি বুঝতে দেন না আমরা দূরে থাকাতে কতটা মিস করেন, কিন্তু মাঝে মাঝে দুই-একটা ঘটনা আম্মার কাছে শুনি, তখন মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। ভাল থাকবেন।
০১ লা জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:০৭
মেহবুবা বলেছেন: আব্বা আম্মারা এমনই , বুঝতে দিতে চান না তাদের কষ্ট সন্তানদের ।
তোমার আব্বা আম্মার জন্য শ্রদ্ধা রইল ।
২৪| ২৪ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪০
রিয়াজ উদ্দিন বলেছেন: অ-নে-ক ভালো লাগলো।
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:২২
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । জবাব দিতে দেরী হয়ে গেল বলে দু:খিত ।
২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৩৭
অপ্সরা বলেছেন:
সুন্দর একটা লেখা
কেমন আছো আপু?
১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:২২
মেহবুবা বলেছেন: কেমন আছি সেটা আজকের পোষ্টে বুঝবে । সারাদিন অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে কেটেছে ।
২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:২০
~স্বপ্নজয়~ বলেছেন: অসাধারণ - এর বেশী বলার ক্ষমতা নেই আমার - এত আবেগ দিয়ে লেখা ...
১৯ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৪
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭
সহজ্ বলেছেন: লেখাটি পড়ে চোখে পানি এলো।ভাবছি এ দুর্বার কষ্টটি এখন বুঝি একটি দুর্বার শক্তি এবং প্রেরনা।খালাম্মার আত্মবিশ্বাস আর বলিষ্ঠতা আর চাচার মানুষকে শ্রদ্ধা করা ও ভালোবাসার দৃষ্টান্ত আমাদেরও উদ্বুদ্ধ করে।আমার সর্বকালিন গভীর শ্রদ্ধা তাঁদের জন্য।
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:১৫
মেহবুবা বলেছেন: এই পোষ্ট দেবার পরে মনে হয়েছিল যে তুমি এটা দেখে ভাবতে পার মন খারাপ করছি আমি । অথচ তুমি ঠিক ধরতে পেরেছো , আব্বাজী আমার জীবনে শক্তি , অনেক বর্তমান বাবার চেয়ে ক্ষমতাবান । আমার অন্য এক জগৎ , যেখানে আলোকবর্তিকা হয়ে সে সঠিক দিক নির্দেনা দেয় ।
তোমার জন্য শুভকামনা ।
২৮| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:২৫
সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
তোমার এ লেখার আগেও পড়েছি........অনেকবার।
চোখ ভেসে যায়.........বাবারা শান্তিতে থাক........যেখানে আছে সেখানে।
আব্বাকে খুব মিস করি.......।
বাইরে চলে আসলাম ।আর ফিরে গিয়ে পেলাম না।
কত মানুষ হেঁটে বেড়ায় পৃথিবীতে............
এখনো দেশে গেলে মনে হয় এবার বুঝি আব্বা আসবে...........এয়ারপোর্টে।
কত মিরাকল হয়............
শুধু মানুষ চলে গেলে আর আসেনা।
কেমন আছো মেহবুবা।
তোমাকে মনে পড়ে।
শুভেচ্ছা।
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:১৬
মেহবুবা বলেছেন: তোমার লেখার হাত আমার চেয়ে ভাল , তাছাড়া তোমার সাথে অনেক মিলে যায় আমার হয়তো সেটা আমাদের ছোটবেলার বেড়ে ওঠার পরিবেশ বা শিক্ষা , বড়দের আচরন ।
তোমার মানসিকতা এবং মানসিক জোর কে আমি সন্মান জানাই ।
ভাল আছি , তবে ব্যস্ত একটু বেশী । জানি না কিভাবে শেষ করব ।
তোমাকে মনে থাকে আমার ।
বাচ্চাদের আদর দিও ।
২৯| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
আইরিন সুলতানা বলেছেন: ভাল থাকা হয় যেন...পুরো পরিবারের প্রতি ভালবাসা এবং শুভকামনা।
৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৬
মেহবুবা বলেছেন: তোমার জন্য এবং তোমার অন্য সবার জন্য ভালবাসা ।
৩০| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ১:২১
পাথুরে বলেছেন: বাবার জন্য শ্রদ্ধা।
৩১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২
মেহবুবা বলেছেন: তোমার জন্য শুভেচ্ছা ।
৩১| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯
নুশেরা বলেছেন: এমন পরম আবেগী লেখায় মন্তব্য করাটা স্কিপ করে যেতে চাই... তোমার নতুন লেখার খোঁজ নেই বলে এসেছিলাম তাগাদা দিতে...
কেমন আছো মেহবুবা? বাচ্চারা ভালো তো?
৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৭
মেহবুবা বলেছেন: লেখাটা একটু কেমন হয়ে গেল তাই না নুশেরা ?
আব্বাজী আমার জীবনের অনেকখানি , সেখানে আমি আর বড় হই না ।
ভাল আছি , আয়মানের সব কান্ড সারাক্ষন , ভাল না থেকে উপায় কি বল ?
ক'দিন RST ক্লাস করে অসুবিধা হয়ে গেল , সে দিন গান গাইছে
" বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম , আহা আজি এ বসন্তে...." মিস নাকি বলেছে সব কিছুর আগে বিসমিল্লাহ বলতে হয় ।
ও তো আমার বুড়ো বাবা ।
মেয়েকে আদর দিও ।
৩২| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৯
আবু সালেহ বলেছেন:
এরকম আবেগী লেখাটাতে কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না....
তবে উপলব্দি করতে পারছি আপনার আবেগ....
দোয়া রইলো এবং সেই সাথে গভীর শ্রদ্ধা.....
০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৮
মেহবুবা বলেছেন: আপনার জন্য অনেক শুভকামনা ।
৩৩| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০২
সামছা আকিদা জাহান বলেছেন: তুমি এত সুন্দর লেখ। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। কিভাবে এমন লেখ। তোমার সব গুলি পোস্ট পড়লাম। আমি অভিভুত। অসাধারন তোমার লেখনি।
০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:২৮
মেহবুবা বলেছেন: তোমরাও অনেক অনেক ভাল লেখ । আমাকে এভাবে বলা যে বিনয় বুঝতে পারি ।
তোমার লেখা আমার পড়া হয় , হয়তো সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয় না ।
৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৫৩
শম্পা শাহরিয়ার বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুবই ভাল লাগল ।
১৩ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:৫৭
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । লেখাটা লিখতে আমার যে খারাপটা লাগছিল সেটা আপনাদের ভাল লাগায় পূরণ হয়ে গেল ।
৩৫| ১০ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫
পারভেজ বলেছেন: শ্রদ্ধা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৪
মেহবুবা বলেছেন: শ্রদ্ধা সব বাবাদের জন্য , জীবিত অথবা মৃত ।
৩৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: দারুন। ধন্যবাদ।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
মেহবুবা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
৩৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৩
রাগ ইমন বলেছেন: আব্বুজান রা যে কেন মিথ্যা বলে!!!!
আপনার কষ্টটুক অনুভব করতে পারছি । কিন্তু কিছুই বলতে পারছি না ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৪
মেহবুবা বলেছেন: তুমি আমার কষ্ট বুঝতে পারবে জানি আমি । তোমার লেখা আমি অনেক আগে থেকেই পড়ি । জানি তোমাকে ।
বিজয়ের শুভেচ্ছা তোমার জন্য ।
৩৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৯
লাল নীল দীপাবলী বলেছেন: আমার আব্বুও অনেক মিথ্যা কথা বলে......।+++
২১ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫৪
মেহবুবা বলেছেন: তবু , তবুও আব্বু সব আব্বু অনেক প্রিয় । তাই না ?
৩৯| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
ভাঙ্গন বলেছেন: অসাধারণ এই লেখাটা খুঁজে এসে পড়ে গেলাম।
৪০| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১:২৯
সুরঞ্জনা বলেছেন: এখন বুঝলাম তুমি ছোট্টবাবাটার প্রতি এতো বেশী দুর্বল কেনো। ঔ তো তোমার আব্বাজী। ইনশাল্লাহ আল্লাহ রাহমানুর রাহিম আব্বাজীকে জান্নাতুল ফেরদাউসে শান্তিতে রেখেছেন।
৪১| ২০ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:১৫
মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: অনেক ভালবাসা আর দোয়া আপনার বাবার জন্য..... আমি সৌভাগ্যবান আমার বাবা আছেন, অনেক দুরে আছি.. খুব মিস করি.... কিন্তু আমার আরো একটা কুটু বাবা আছে.. তাকে আমি আমার জীবনের থেকেও ভালবাসি....
৪২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৫
সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল ম্যাম
৪৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০২
মেহবুবা বলেছেন: সকালে অফিসে ইত্তেফাক পত্রিকা হাতে নিয়ে রিদাতের ছবিটা আর খবরটা দেখতে গিয়ে চোখ থেকে পানি পড়তে শুরু করল;
কষ্ট মনে হচ্ছিল বেশী হচ্ছিল।
দীপন চেনা ছিল না,অথচ কি ভীষন ক্ষত করে দিল তার মৃত্যু।
তার সন্তানের ছবি কি করুন কি কঠিন !
কি কঠিন আমাদের সময়!
রিদাত আর তার ছোট বোনকে বলবার মত কোন ভাষা নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪
কালপুরুষ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো লেখাটা। মন ছুঁয়ে গেল। বাবার জন্য দোয়া রইলো, সাথে গভীর শ্রদ্ধা।