![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ি পূর্ব পাড়া ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি রাতের আধারে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, শিক্ষক ও এলাকাবাসী এমন কি নব গঠিত কমিটির সকল সদস্যকেও না জানিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের সুপার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ,ঢাকা কতৃক সর্বশেষ প্রকাশিত (২৩ জুলাই,২০০৯) গেজেট (প্রজ্ঞাপন) থেকে জানা যায়, দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে ৭ (ঘ) ধারা অনুযায়ী ৪ জন অভিভাবক সদস্য ও ৭ (ঙ) ধারা অনুযায়ী ১ জন সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য থাকে। কিন্তু অত্র প্রতিষ্ঠানটিতে ৭ (ঘ) ধারা উপেক্ষা করে ৩ জনকে ( ছাত্রী অভিভাবক নয়) মোঃ রুস্তম আলী, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও মোঃ আঃ কুদ্দুছ মন্ডলকে অভিভাবক সদস্য দেখানো হয়েছে। ২ (ক) ধারা অনুযায়ী অভিভাবক বলতে বুঝায়, দাখিল বা আলিম স্তরের মাদ্রাসায় অধ্যয়ণরত (অ) কোন শিক্ষার্থীর পিতা অথবা মাতা; (আ) কোন শিক্ষার্থীর পিতা ও মাতা কেহ জীবিত না থাকিলে তাহার আইনগত অভিভাবক । কিন্তু উপরিউক্ত নিয়ম অনুযায়ী উল্লেখিত তিন জনের কেউ বৈধ অভিভাবক নয়। এ বিষয়ে সুপারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। মোঃ রুস্তম আলীকে তার ভাতিজির অভিভাবক দেখানো হয়েছে, মোঃ দেলোয়ার হুসেনকেও তার ভাতিজির অভিভাবক দেখানো হয়েছে এবং মোঃ কুদ্দুস মন্ডলকে তার ভাগিনীর অভিভাবক দেখানো হয়েছে। অথচ উপরিউল্লেখিত তিন জন শিক্ষার্থীর পিতাই জীবিত। সুতরাং তারা ২ (ক) ধারা অনুযায়ী বৈধ অভিভাবক নয়।
এছাড়া ও ৭ (ঝ) ধারায় উল্লেখ আছে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদনের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে প্রথম সভা ডেকে কমিটির সংখ্যা গরিষ্ঠের সমর্থনে একজনকে বিদ্যেৎসাহী নিয়োগ করতে হবে। কমিটি অনুমোদন কপিতে দেখা যায়, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা রেজিস্ট্রার গত ১৭ জুলাই , ১৪ স্বাক্ষর করেন। ৩০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্তÍ নতুন কমিটির প্রথম সভা ডাকা হয়নি।কমিটির সদস্যরা অভিযোগ করেন কমিটি গঠনের বিষয়ে তাদের সবাইকে অবহিত করা হয়নি। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা, শিক্ষক ও নতুন কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মোহাম্মদ আলী ও সাবেক সভাপতি (২০১০-২০১৪, দুইবার)সার্জেন্ট (অবঃ) সাইফুল ইসলাম জানান কমিটি সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করা হয়নি।এ বিষয়ে সুপার আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি সবাইকে জানিয়েছি।
প্রতিষ্ঠানটির সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎসহ নানা অভিযোগ এসেছে। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত উপজেলার তালাব ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। তার ইনডেক্্র নাম্বার ৩৩২৪৮৮ । সেখানে শিক্ষকতা অবস্থায় ১৯৮৬ সালে ফাযিল ও ১৯৮৮ সালে নিয়মিত কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। অথচ সরকারী বিধি মোতাবেক চাকুরীরত অবস্থায় কেউ নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিবেনা ।
কেউ পরীক্ষা দিতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে প্রাইভেট পরীক্ষা দিতে হবে। অথচ সুপারের ফাযিল ও কামিলের সার্টিফিকেটে দেখা যায় তিনি নিয়মিত পরীক্ষার্থী। যা সরকারী আইনের সম্পুর্ণ পরিপন্থী। ফাযিল ও কামিলের (নিয়মিত) সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি ১৯৯০ সালে মল্লিকবাড়ি পূর্ব পাড়া ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে যোগদান করেন।https://muktagachanewsbd.wordpress.com/
©somewhere in net ltd.