![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
কাঁচা বাজারে গেলে মনটা তিন চারশ রকমের খারাপ হয়ে যায়!! আব্বা তরকারির দোকান করে বলে ছোট থেকে তরকারি কেনার অভ্যাস ছিলনা। আব্বার দোকান থেকে তরকারি নিয়ে আসতাম প্রতিদিন। কোনটার কত দাম সেটা হিসেব কষার সময় কিংবা ইচ্ছেও ছিলনা!!
বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাইরের পরিবেশে নিজেকে মানানসই করতে কিংবা পড়া লেখার তাগিদে বাইরে থাকতে হয় প্রায় সময়-ই।
তিন বেলা খাওয়ার জন্য বাজার তো লাগবেই! কাঁচা বাজারের সাথে আমার যেহেতু জম্মের পর থেকেই পরিচয় সেহেতু কাঁচা বাজার সম্পর্কে আমার একটা আলাদা টান আছে। কারণ আব্বা তো আমাদের কাঁচা বাজারে দোকান করেই বড় করেছেন। তাই শ্রদ্ধাবোধটাও একটু বেশিই থাকার কথা,আর সেটা আছেও।
কাঁচা বাজারের আলু,পটল,বেগুন,করলা,মরিচ পিঁয়াজ সব কিছুর সাথে আমার ছোট থেকেই পরিচয়। আমার শৈশব কৈশর তো এসবের মধ্যেই কেটেছে! কিন্তু ইদানিং বাজার করতে গেলে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়! একশত টাকার একটা নোটের বাজার করতে গিয়ে চোখে পানি আসে!! সব কিছুর আকাশ চুম্বুন দাম শুনে পলিথিনের ব্যাগের অর্ধেকটাই খালি পড়ে রয়।
বাজারে কাঁচা মরিচ লাট সাহেব সাজে,বেগুন ৬০ টাকা,ঢেঁড়স ২০০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,আলু ২০ টাকা,পিয়াজ ৬০ টাকা,সিম ১০০ টাকাসহ বাজারে মোটা চালের দামও ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে!!
১০০ টাকার খরচে যখন ব্যাগের তলাই ভর্তি হয়না তখন শের শাহের আমলের কথা মনে পড়ে। ইস !! মাত্র এক টাকায় ৮ মন চাল কিনতে পাওয়া যেত!!
বাজারের যেসব মেসের ছেলে মেয়েরা সকালে ঘুম থেকে চোখ মুছতে মুছতে বাজারে আসে সেসব ছেলে মেয়েদের সাদা রঙ্গের ব্যাগ গুলো বেশিটাই খালি থেকে যায়!!
তার উপর শহরে তো টাটকা জিনিস পাওয়া মুশকিল!! কয়দিনের বাসি তরকারি আর কীটনাশকের আবরণে মোড়ানো এসব খাদ্য আমরা খাচ্ছি সেটাও বলা বাহুল্য!!
৩০০ টাকার দৈনিক রোজগারের মানুষ গুলো সংসারের ৫/৬ জন আহারী পেট গুলোকে হয়ত অতি কষ্টে তিন বেলার জায়গায় দুইবার খাবার তুলে দিচ্ছেন।
এভাবে আর কত দিন চলবে জানিনা তবে আমাদের খাদ্য উৎপাদন যেমন বাড়ানো দরকার তেমনি খাদ্য সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা সেদিকটাও দেখা দরকার..............
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১
বারিধারা বলেছেন: সরকার একদিকে রোহিঙ্গা, আরেকদিকে প্রধান বিচারপতি নিয়ে নানা ক্যাচালে আছে - তরিতরকারির দাম দস্তুর নিয়ে দেখাশোনার সময় তার নেই।