![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতি,লাথালাথি এবং নাক ফাটাফাটি হয়েছে!! এখন ঢাবির অনেক ভাই ব্রাদার বলবেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে লেখার যোগ্যতা আমার হয় নাই! এই লেখার পর জাতি আমাকে মেনে নেউক আর না নেউক তবুও কিছু কথা বলতেই হয়!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষককের উপস্থিতিতে দেশের সেরা বিদ্যাপিঠ নামে পরিচিত এবং যেখানে সেরাদের গড়ে তোলেন কিন্তু তারাই যদি হাতাহাতি লাথালাথি করে নাক ফাটান তাহলে দেশের আবাল-বৃদ্ধ, অশিক্ষিত মানুষরা নাক ফাটাকো দূরের কথা বরং বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে মারলে দোষের কি ?
আমরা অসুস্থ রাজনীতি,অসুস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা,অসুস্থ পরিবশে আর অসুস্থ মন নিয়ে দেশ চালাই এবং চলতেছি! অসুস্থ মন নিয়ে নাক ফাটানো ছাড়া আর কি করতে পারি !!
ঢাবি বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় জায়গা করে নিতে পারেনা কেন জানেন ? এজন্যই!!
এর আগে ঢাবির একজন শিক্ষক রাস্তায় বলেছিলেন,আমি কে জানিস ? এরকম কি জানি বলেছিলেন ?
এতে অবশ্য অনেক ঢাবিয়ানরা বলেছিলেন,একজন শিক্ষককে দিয়ে বাকিদের বিচার করা যায়না!! কিন্তু আমি আজকে ৪০০ শিক্ষকের উপস্থিতিতে নাক ফাটানোর ঘটনাকে কি বলবো ?
এটা নিয়ে তদন্ত হবে,বিচার প্রক্রিয়া হতে হতে হয়ত কয়েক যুগ পার হয়ে যাবে আবার অনেকের চাকরিও শেষ হবে কিন্তু বিচার হবে কিনা সঠিক বলা যাবেনা!!
আচ্ছা অক্সফোর্ডখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন ঘটনা হবে কেন ? আমার প্রশ্নটাই হলো হবে কেন ? এই ঘটনাই প্রথম মানলাম কিন্তু এই ঘটনা প্রথম হিসেবেই হবে কেন ??
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমারও একটি প্রিয় জায়গা,আমিও জানি এখানে দেশের সেরা মেধাবীরা জায়গা করে নেয়,এখানে অনেক ভালো মানুষ তৈরি হয় কিন্তু এসব ধারণা ভাঙ্গতে শিক্ষকদের নাক ফাটানোর ঘটনাটাই কি যথেষ্ট নয় ?
পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী,ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল সাবেক ভিসি সম্পর্কে কয়েকজন শিক্ষক অনেক সমালোচনা করেছেন এবং ভিসিকে অনেকভাবে কথা বলেছেন! যিনি আহত হয়েছেন এবং যেই শিক্ষককে লাথি মারা হয়েছে তিনি ভিসির পক্ষে কথা বলতে গিয়ে এমন ঘটনার জন্ম হয়!!
যেদেশে সূর্য উঠা থেকে ডুবা পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে বিরোধী দল,আমলা থেকে কামলা পর্যন্ত একে অপরের সমালোচনা করে থাকে সেখানে শিক্ষকরা বাদ যাবে কেন!!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় আমাদের পুরো জাতি আজ লজ্জিত! জাতি হিসেবে আমরা ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছি সেটা পরিস্কার!
আমাদের পরিবর্তন হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই কারণ কোনো দেশকে ধ্বংস করতে হলে সবার আগে সেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়!
যেটা ৫২,৭১ এ পাকিস্তানিরা করেছিল! সত্যিই আমরা শেষ হয়ে যাবো একদিন,সেদিন আর বেশি দূরে নয়!!
আমরা কোনো দেশের রোহিঙ্গা হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো!! খুব বেশি দিন বাকি নেই………এ লজ্জা আমাদের সবার…
২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
বিষাদ সময় বলেছেন: এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন কেন! হয়তো ঢাবিতে বক্সিং এ অনার্স চালু করা হবে এটা তারই মহরত...
৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য এর ছাত্র হওয়ার প্রয়োজন নাই। যে কেউই এই করতে পারেন, এটা একটা জাতীয় সম্পদ।
২। এখানে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ৫২, ৭১, এবং পাকিস্তানকে টেনে আনা হয়েছে।
৩। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫২ এমন কি ৭১ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসাবে খ্যাত ছিল।
৪। বরং ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে জারি করার পর থেকে এর মান প্রতি বছর ধাপে ধাপে কমতে থাকে।
৫। ঐ অধ্যাদেশের কারণে শিক্ষকবৃন্দ রাজনৈতিক দলের মত সাদা, নীল ও গোলাপি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে পরে।
৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতীক বা একটা মানদণ্ড।
৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের পতন মানে, সারা দেশের শিক্ষার মানের পতন।
৮। এমন না যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের পতন হয়েছে, কিন্তু দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মান বেড়েছে।
৯। কিছু দিন আগে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দেখলাম বাংলাদেশের অমুক বিশ্ববিদ্যালয় (নাম উল্লেখ করছি না, কারণ ঐ বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করার ইচ্ছা আমার নাই) বিশ্বের ৩০০ নাম করা ইউনিভার্সিটির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। মনটা খুশীতে ভরে গেল, যদিও সেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না। ইন্টারনেটে তন্নতন্ন করে খুঁজলাম। ১০০০ ইউনিভার্সিটির মধ্যেও বাংলাদেশের কোন ইউনিভার্সিটির নাম নাই।
৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি, শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ না করলে এগুলো হবে। পেশাজীবিরা রাজনীতি করবেন তবে ক্যাম্পাসে নয়, বাইরে...
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এই মারামারির খবর জাতীয় খবরের কাগজে দেখেছি।
এর জন্য দায়ীদেরকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি । শিক্ষকদের নীজেদের একটি মিটিংএ যদি তাঁরা শৃংখলা বজায় রাখতে না পারেন তবে তার জন্য দু:খ প্রকাশ আর নিন্দা জানানো ছাড়া বলার আর কি থাকে । এখন এই মারামারির ঘটনাকে সামনে রেখে আরো বড় কোন অঘটন ঘটানোর পায়তারা না করলে হয় । ভার্সিটিতে কথায় কথায় ক্লাশ বর্জন , অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভার্সিটি বন্ধ , ২৪ ঘন্টার মধ্যে ছাত্রদের হল্ ত্যাগ এগুলিতো নতুন কিছু নয় । এতে শুধু সাধারণ ছাত্রদের দুর্ভোগ বাড়ে ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়ানোর জন্য এখন কি কি ব্যবস্থা নেয়া উচিত সে বিষয়ের কিছু আলোকপাত পোষ্টে থাকলে আলোচনাটি আরো একটু গঠণমুলক দিকে মোর নিতে পারত । লেখাটিতে অনেক হতাশা ব্যক্ত হয়েছে , সে গুলির প্রেক্ষিতে এখন আশাপ্রদ হওয়ার পরামর্শগুলি নিয়ে আলোচনা হলে ভাল একটা দিক খুলে যেতে পারে । আমরা যদি চাই তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার পুর্ব গৌরব ফিরে পেতে পারে অনায়াসে ।
অপরিনামদর্শী দু'চারজন হট্টগুল সৃস্টিকারীকে কঠীন শাস্তি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা খুব একটা কঠীন কাজ হবে বলে মনে হয়না , যদি তাদের সদিচ্ছা আদৌ থাকে। অতীত থেকে চালু নীল সাদা প্যনেল কোন একদিন যে এমন ডিম দিবে তা মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল , শুধু ডিম ফুটে বাচ্চা বেরুতে একটু সময় নিয়েছে । তবে এটা ঠিক, মানি লোকদেরকে বেশী কথা বলা লাগেনা , ভবিষ্যতের দুরাবস্তার কথা আঁচ করতে পেরে অল্পতেই তাঁরা শুদ্ধ হতে পারেন , যদি সে বোধ তাদের থাকে !!!!
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একটু উল্টে বলি কাজির কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই।।
আর বস্তবতার দিকে তাকালে পয়সা নেই কিন্তু বাস্তবে পড়ালেখার স্বাদ আছে, তাদের জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান!!
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতীক বা একটা মানদণ্ড। এটা আপনাকে কে বলেছে। সুত্র বলেন।
২। এমন না যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের পতন হয়েছে, কিন্তু দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মান বেড়েছে। এটা আপনাকে কে বলেছে। সুত্র বলেন।
মনের মাধুরী মিশিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গুলি তুলনা করবেন না। এটা করার মাপকাঠি আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্ররা দলীয় লেজুর বৃত্তীক রাজনীতি করতে করতে আজকে এ অবস্থা এনেছ।
৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:
৭ নং মন্তব্য-কারীর শেষ বাক্যের সাথে একমত। আমি আমর ৩ নং মন্তব্যে বলেছি,
"৪। বরং ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে জারি করার পর থেকে এর মান প্রতি বছর ধাপে ধাপে কমতে থাকে।
৫। ঐ অধ্যাদেশের কারণে শিক্ষকবৃন্দ রাজনৈতিক দলের মত সাদা, নীল ও গোলাপি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে পরে।"
আর আপনার প্রথম দুইটা পয়েন্টের জবাবে বলতে চাই, আমার সূত্র জানার তো কোন প্রয়োজন নাই।
আপনি দেয়া করে প্রমাণ করুন,
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতীক বা মানদণ্ড না। এবং
২। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের পতন হয়েছে, কিন্তু দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মান বেড়েছে।
অথবা অপ্রমাণ করুন,
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতীক বা একটা মানদণ্ড।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
নাক ফাটানোর অক্স, কিংবা নাক ফাটানোর ফোর্ড