![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
একটি দেশের মানব সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে একমাত্র উপকরণ হতে পারে কারিগরি শিক্ষা ।কারিগরি শিক্ষা ছাড়া জনশক্তিকে মানব সম্পদে রুপান্তর করা সম্ভব হবে না। আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখি তাহলে বিশেষ করে আজকে যারা বিশ্বকে শাসন করছে বা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে আছে তারা কিন্তু সবাই কারিগরি শিক্ষার দিক থেকে অনেক উন্নত।
যুক্তরাষ্ট্র,জাপান,চীন,রাশিয়া এবং কি প্রতিবেশী দেশ ভারতও তাদের জনশক্তিকে সম্পদে রুপান্তেরের মাধ্যমে বিশ্বে ক্ষমতার দ্বার উম্মোচন করে নিজেদের জানান দিচ্ছে ! অথচ আমাদের দেশে কোটি কোটি জনশক্তি থাকলেও সেটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারছি না!! কেন পারছি না এটারও একটা বিষয় আমি লক্ষ করেছি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের চাল-চিত্র দেখে ! আসুন তাহলে আমার সোনার বাংলার কারিগরি প্রতিষ্ঠান গুলোর কথাই একটু সমালোচনা করি !
জেলা ভিত্তিক যেসব কারিগরি সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোতে প্রতি বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার ! একদিকে জনশক্তিকে সম্পদে রুপান্তর করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে অপর দিকে এসব জনশক্তি সম্পদের বদলে লম্পট হয়ে দেশের জনশক্তিকে বিপদের মুখে ফেলে !!
আবার যেসব কারিগরি স্কুল কলেজ আছে সে সেগুলো দৈন্যদশা দেখলে যেমন হাসি পাবে তেমনি কষ্টও লাগবে! বেশির ভাগ স্কুল কলেজ গুলোতে ছাত্র ভর্তি থাকলেও প্রতিষ্ঠানে আসে না! শিক্ষকরা বেতন নিলেও দায়িত্ব পালন করে না!
আমাদের শিক্ষকরাও অবশ্য আমার মনে হয় সুযোগ সন্ধানী ! কারণ তারা সরকারি বেতন পেলে পায়ের উপর পা তুলে খেতে পারলে আর মাস গেলে ব্যাংকের একাউন্টে টাকা জমা হলেই হলো !! শিক্ষকরা জনশক্তিকে সম্পদে রুপান্তর করার দায়িত্ব নিলেও সেই দায়িত্বের টাকা ভোগ বিলাস করে কতজনকে সম্পদ বানাতে পারছে সেটা খুব একটা দৃশ্যমান নয়!
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলোতে তিন মাস/ছয় মাস মেয়াদী কোনো কোর্সে ভর্তি হলে ক্লাস না করেও শুধু পরীক্ষার মাধ্যমে পাস করা যায়!! এমন চিত্র নিজের চোখে অনেক দেখা আছে! আমি আমার দেখা খুব কাছের একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেই এমনটা দেখেছি! বিষয়টা প্রায় সব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলোতেই একই অবস্থা!!
পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে হলেও একজনের পরীক্ষা আরেকজন নতুবা একজনের দেখে আরেকজন পরীক্ষা দিচ্ছে! একটা কোর্সে ভর্তি হলে মাসে দুই একবার ক্লাস করে ৫০/১০০ টাকা পিয়নের পকেটে দিলেই কোর্সের উপস্থিতি শতভাগ হচ্ছে ৃ! এদিকে ছাত্ররা সম্পদে রুপান্তরের বিষয়ে কতটা শিখছে সেটার নজরও দেন না শিক্ষকরা!! অনেক শিক্ষক নিজেও তেমন একটা জানেন না। জানবেন কিভাবে,ক্লাস না করে টাকার বিনিময়ে কিংবা লোবিং করে চাকরি নেওয়া শিক্ষকটাও তো এক সময়ের ফাঁকিবাজ ছাত্র ছিলেন!
এসবের ফলে আমাদের জনশক্তিকে সম্পদের বিপরীতে বেশির ভাগ সময় লম্পটে পরিণত করার জন্যই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো দায়ী থাকছে! আমাদের এত ছোট দেশে এত মানুষ থাকতেও আমরা কর্মহীন! এসবের তদারকি হয় না,হলেও শুধু খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ!
আমাদের চিন্তা চেতনা বৃদ্ধির পাশাপাশি যেসব কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গুলো আছে সেগুলোকে সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে যথাযথভাবে জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি ।
২| ২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে অনেক কম।
৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৩
এমজেডএফ বলেছেন: আমাদের দেশে যেরকম গ্রামে শহরে অহরহ সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নত বিশ্বে তেমনি অহরহ কারগরি প্রতিষ্ঠান। কারণ বাস্তবে কারগরি শিক্ষার চাহিদা বেশি, চাকুরিও সহজলভ্য। বাংলাদেশে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলি। আমাদের গ্রামে দেখেছি এসএসসি-এইসএসসি পাশ করে অনেক তরুণ বেকার। কয়েক বছর আড্ডা-দলবাজি করে সময় নষ্ট করে পরে ৩ থেকে ৪ লাখ খরচ করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে নিম্নমানের চাকুরি করে মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতনে! তার যাওয়ার টাকা উঠাতেই লেগে যাবে ২ বছর। আর বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামে পাকা ঘর বানাবার জন্য রাজমিস্ত্রি তো পাওয়াই যায় না, এমনকি রাজমিস্ত্রি র হেল্পার পাওয়া গেলেও বেতন দৈনিক ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। অর্থাৎ মাসিক আয় ২০ হাজার টাকা।
৪| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৫৩
স্ব বর্ন বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য যেখানে সেখানে ভালো কিছুর আশা করাটাও পাপ। আপনার সাথে একমত আমি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সহমত, আপনার সাথে।