![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
ছোট বেলায় স্কুলে পড়ার সময় কিছু বুঝতাম না। গণিতে দুর্বল থাকার কারণে এক-ওক-কে এক,দুই-ওক-কে দুই,তিন-ওক-কে তিন এভাবে গুনতে শিখেছিলাম।
স্কুল যেতাম আসতাম,খাইতাম,ঘুরতাম, খেলতাম,আর দিনে একটাই বিরাট কাজ ছিল স্কুলে যাইতাম!!
ক্লাসের রোল-টোল এসব খোজ খবর রাখতাম না! তবে এক থেকে দুই বড়,দুই থেকে তিন বড় এসব হিসেবে যখন বু্ঝলাম তখন মনে হতো এক টাকার থেকে দুই টাকা বড়,দুই টাকার থেকে পাঁচ টাকা বড়! এক টাকা দিলে নিতাম না,দুই টাকা দিলে নিতাম। তো একদিন বাড়িতে অনেক আত্মীয় স্বজন এসেছে। আমাদের শহরের আত্মীয়ারা। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করলো,মোমেন তোমার স্কুলের রোল নম্বর কত?
হেসে হেসে বলছিলাম,আমার রোল নম্বর ৬২! আমাকে জিজ্ঞেস করলো,তোমাদের ক্লাসে ছাতছাত্রী কত গুলো? আবারও হেসে বললাম,৬৪ জন!! আমাকে ইতিমতো সবাই ধরে বসলো,আমার রোল নম্বর এত দূরে কেন?
আমি রোল নম্বর বলতে যত বেশি হবে ততো বেশি ভালো ছাত্র হিসেবে বুঝতাম!
কারণ ছোট থেকে জানছি,টাকা যত বেশি বড় হবে তার গুরুত্বও ততো বেশি হবে! তাই যার যত বেশি রোল নম্বর হবে সে ততো বেশি ভালো ছাত্র হবে!!
আমার এসব সাইন্টিফিক কথাবার্তা শুনে সবাই হো হো করে হেসে দিল! সেদিনই প্রথম শুনেছিলাম রোল যত কম হবে সে ততো ভালো ছাত্র হবে!!
মানে যার রোল নম্বর এক সে ক্লাসের সবচেয়ে ভালো ছাত্র হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পাবে!
এটা গেল আমার স্কুলের কথা! গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকায় দেখছি, বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী দরিদ্র জেলার তালিকায় দিনাজপুর দুই নম্বরে অবস্থান করছে
তাহলে এত উন্নয়ন গেল কোথায়?
যদি স্কুলের রোলের মতই হতো,এক বা দুই মানে অনেক ভালো কিছু তাহলে আমরা কতই না আনন্দ ফূর্তি করতাম! কত টাকা খরচ করে কত গেট দিয়ে,কত এমপি মন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে,কত ব্যানার বানিয়ে রাস্তায় কত মোটরসাইকেলের শো-ডাউন দিতাম!
দুই নম্বরের জায়গায় যদি মঙ্গা কথাটা না থেকে উন্নতির কথা থাকতো তাহলে আমাদের নেতারাও বুক ফুলিয়ে মুখ ফাটিয়ে মাইকের আওয়াজে বেশ কয়েকরাত ঘুম হারাম করে দিতো!!
যাক বাবা! ভাগ্যিস তালিকায় আমরা দুই নম্বরে আছি! এক নম্বরে থাকা কুড়িগ্রামের কথা ভেবে ভেবে আমাদের অনেক নেতানেত্রী হয়ত রাতের ঘুম হারাম করেছেন!! তবে একটা বিষয় সত্যি,দিনাজপুরের যত নেতাকর্মী আছেন ওনারা কোনো ভাবেই গরীব বা মঙ্গা নয়! কম বেশি সবারই শহরে বাড়ি,গ্রামে বাড়ি,ব্যাংকে টাকা,জমিজমা অনেক আছে! এসব বিষয় বিবেচনা করে হয়ত জরিপ চালানো হয়নি!!
জরিপে যাই হোক,নেতাকর্মীরা মিটিং মিছিলে আর বড় গলায় কথা বলতে পারছেন না আপাতত! তবে এই মঙ্গা আর গরীব মানুষ গুলোকে নিয়ে একটা রাজনীতি হবে! মাথার রাজনীতি! গরীব বলে বলে যা প্রজেক্ট আনবে তার বেশির ভাগই যাবে বড়লোকের ঘরে!!
ইস! এখন যদি আমার রোল নম্বরের মতই আমার জেলাটাও একটু বেশি নম্বরে থাকতো তাহলে খুব ভালো লাগত!
২| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি কিছুদিন আগে ফরিদপুরের কয়েকটা গ্রামে গিয়ে ছিলাম। বেশ কয়েকটা গ্রাম তো একেবারে দরিদ্র।
৩| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫
কাইকর বলেছেন: এটার সাথে একমত হতে পারলাম না।রংপুর সাইটে দরিদ্র বেশী।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
অর্ক বলেছেন: কয়লাখনি, স্বপ্নপুরী লিচুও দিনাজপুরবাসীর অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পারেনি! আসলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর কী এক রহস্যময় কারণে যেন দারিদ্র্যতার আর শেষ হয় না! রাষ্ট্রের এব্যাপারে উদ্যোগ দরকার।
ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য। সবার শুভদৃষ্টির উদয় হোক।