![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
গ্রামে গরু দিয়ে সরিষা থেকে তেল বের করার পদ্ধতি হয়ত অনেকেই দেখেছেন! না দেখলে আমার বাড়িতে আসতে পারেন,আমি দেখাতে পারবো। আমাদের পাড়ায় একটা "তেলের ঘানি" আছে। একটা মোটা গাছের গোরা দিয়ে বানানো তেলের ঘানিতে একটা গরুকে চোখ বেঁধে দেওয়া হয়! গরুটার কাজ শুধু তেলের ঘানিটার চারিদিকে ঘুরতে থাকা! পাথর জাতীয় ভারী কিছু গরুর কাঁধের সাথে বসানো থাকে!
গরুটা যতক্ষণ ঘুরবে তেলের ঘানি দিয়ে ততোটা সময় এক ফোটা দু ফোটা করে তেল বের হবে!! বিষয়টা সাময়িকভাবে সবার চোখেই খুবই বেদনা দায়ক,যন্ত্রনার মনে হতে পারে এবং সত্যিই এইটা একটা যন্ত্রনার! বিশেষ করে গরুটার জন্য! গরুটার প্রতি অনুভূতির নির্মমতা দেখে হয়ত আহ! উহ! ইস! ইমোশনালি নার্ভাস হতে পারেন!
আচ্ছা আমাদের নিম্মমধ্যবিত্ত বাবাদের সারাদিনের খাটুনি কি তার থেকে কোনো অংশে কম? বাবারা তো গরুর থেকেও বেশি পরিশ্রম করেন,খুবই বেশি!! গরুটার একটা নির্ধারিত সময় থাকে,নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গরুটা কষ্ট পায় কিন্তু বাবাদের নির্দিষ্ট কোনো সময় থাকে কি? আচ্ছা বাদ দেন এসব আজগুবি গপ্প! আসল কথায় আসি....
"অভাব শব্দটি দেশে নেই" বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত যে মন্তব্য করেছেন তা একদম নির্ভুল নির্মমচিত্রে মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি!! বাজেটের আকার বাড়ে,করের ধরণ বাড়ে,বাজেটের সীমানা বাড়ে কিন্তু বাড়ে না নিম্মমধ্যবিত্ত বাবাদের পকেট!!
আমার জ্ঞান হবার পর থেকে একজন বাবাকে খুব কাছ থেকে দেখে আসছি এখনো দেখছি। কিভাবে এই মোটা অংকের বাজেটেও পরিবারের ঘানি টানে!!
একসময় দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৭০ শতাংশ। গত সাত বছর আগেও দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৩০ শতাংশ। এখন দেশে দরিদ্র মানুষের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ। হ্যাঁ এগুলো সত্য এবং নির্ভুল তথ্য! (আমার মনে হয় না) হয়তবা এই ২২ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যেই সকল নিম্ম-নিম্মমধ্য কিংবা আমাদের মত গরীব মানুষ গুলোর অবস্থান! প্রশ্ন করতে পারেন,ভাই ফাইজলামি করেন,বাবাদের পকেট বাড়ানোর জন্য তো দর্জির কাছে গেলেই হয়! দর্জিকে বলে পকেটটা একটু বাড়িয়ে নিবেন!!
দেশে অভাব নেই কথাটা এমপি,মন্ত্রী,আমলা,নেতাদের মুখেই মানায়। আমাদের মত কামলাদের মুখে অভাব নেই কথাটা মানায় না! কারণ আমরা তো প্রতিনিয়তই দেখছি,বাবা যদি রান্নার চাল আনছেন তাহলে তেল নাই,মা বাবাকে তেলের কথা বললেও সন্তান এদিকে জামা নেই,প্যান্ট নেই বলে দাবী করে বসে!
এগুলো অবশ্য অভাবের মধ্যে পড়ে না! এগুলো সৌখিনতার মধ্যে পড়ে! গরীব মানুষ গুলোর বেশি সৌখিনতা!!
বেকারদের অভাব নেই,তাদের কথা বললাম না! সরকারি হিসেব মতেই শুধু ২৮/২৯ লক্ষ বেকার ভাইবোনেরা বাস করছেন! তাদের কোনো অভাব অবশ্য চোখে পড়ে না! কারণ বেকারদের কিসের অভাব? তাদের বউ বাচ্চা নেই,বাবা মা নেই,ঘরসংসার নেই! তাদের মুখে অভাব কথাটা মানায় না!
বেকারদের অভাব নিয়ে আরেকদিন লিখবো! আপাতত সবাই একসুরে গান গাই,কারণ যারা অভাব আছে বলবেন তারা আবার বিরোধী দলের বলে গণ্য হতে পারেন!! সুতরাং আমরা অ-ন-ভাবী মানুষ....!!
লেখকঃ এম এ মোমেন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,দিনাজপুর সরকারি কলেজ।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৩
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: ব্যাংকারদেরও যোগাযোগ আছে মালের সাথে!
২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:০৫
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: একসময় দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৭০ শতাংশ। গত সাত বছর আগেও দেশে দরিদ্র মানুষের হার ছিল ৩০ শতাংশ। এখন দেশে দরিদ্র মানুষের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশ।
মিথ্যা তিন ধরনের মিথ্যা, ডাহামিথ্যা ও পরিসংখ্যান। মাথাপিছু আয়ের হিসাবে ধনী গরীব নির্ধারণ করা হয়, মাথাপিছু খরচের খবর কেউ রাখে না। বাপ ত্রিশ হাজার টাকায় যে স্ট্যান্ডার্ডে চলতে পারতো ছেলে এখন পঞ্চাশ হাজারেও সেই স্ট্যান্ডার্ড ধরে রাখতে পারছে না।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৪
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: এইসব তথ্য মত্য আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ আমরা তো নিজেরাই সাক্ষী আছি আমাদের কি করুন অবস্থায় দিন যাচ্ছে।
৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মো: আব্দুল মোমেন ,
আমরা কামলারাই সেই কলুর বলদ যারা সারাদিন খেটেখুটে ঘানি টেনে চেনে রাষ্ট্র নামক যন্ত্রটির চরকায় তেল সরবরাহ করি । সে যন্ত্রের পিঠে সওয়ারী সবাই তেলের মতোই চলে শুধু কামলারা বেগার খেটে মরে ।
তার ঘর চলেনা, সংসার চলেনা , চলেনা জীবন ..........................।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৫
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: ভাই গো এই কথা গুলো কারে বুঝাবেন ! আমরা তো পারছিনা কিছু করতে পারছি আবার সইতে!
৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:২৭
সনেট কবি বলেছেন: এ কষ্টের বুঝি শেষ নেই!
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৫
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: আমাদের মত নিম্মমধ্যবিত্তদের সত্যিই কষ্ট কখনোই শেষ হয় না!
৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নিম্ণ মধ্যবিত্তদের অবস্থা খুব খারাপ এখন...
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৫
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: হ্যা ভাই।
৬| ০৯ ই জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আজ যে শিশু জন্ম নেবে, তার মাথায় ৬০ হাজার টাকা ঋণের দায় চাপবে। কারণ বর্তমানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের মাথাপিছু এ পরিমাণ ঋণ রয়েছে।
০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৬
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: জীবনটা তামা তামা হয়ে গেছে !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুহিতের অফিসে বসুন্ধরা, ওরিয়ন, বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার, আলম ব্রাদার্শের লোকের নিয়মিত অফিস করে; এরা জানায় তাদের কোম্পানীর প্ল্যান প্রোগ্রাম; সেই অনুসারে বাজেট করা হয়।