![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ২ নং ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মন্ডলপাড়া হয়ে সমশের ভেন্ডারের বাড়ি হয়ে আমতলী বাজার যাওয়ার রাস্তায় ভুল্লী নদীর উপর জোড়া ব্রীজটি দু’বছর আগে হলেও রাস্তা না থাকার কারণে ব্রীজটি অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে !
হোসেনপুর গ্রামের কয়েক’শ মানুষের যাতায়াত এই ভুল্লী নদীর জোড়া ব্রীজের উপর দিয়ে কিন্তু বছর দুয়েক আগে ব্রীজ হলেও রাস্তা না থাকার কারণে ব্রীজটি ব্যবহার করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ফলে ব্রীজের নিচ দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্ষার মৌসুমে ব্রীজটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলে জানিয়েছেন একাধিক ব্যক্তি।
অথচ বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর নিজের ইউনিয়নের এমন উন্নয়নের ব্যাপারে শুধুমাত্র সামান্য রাস্তার কারণে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্রীজ নষ্ট হতে চলেছে ! বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি’র নিজ নির্বাচনী এলাকা এবং নিজ ইউনিয়নের ভুল্লী নদীর জোড়া ব্রীজটির রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করে উঁচু না করলে সরকারের ৬৫ লাখ টাকা পুরোটাই জলে ভেসে যাবে বলেও মনে করেন অনেকেই !
পৃথক দুটি ব্রীজের ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৩৯ টাকা করে মোট ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দের এই জোড়া ব্রীজটি কোনো কাজেই লাগছে না। বর্তমানে ৬৫ লাখ টাকা মাটির উপর ভেসে আছে !
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ব্রীজের দুই পাশেই রাস্তা নেই,ব্রীজের নিচ দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছেন এবং ব্রীজটি পুরোটাই অকার্যকর অবস্থায় পরিত্যাক্তভাবে পড়ে আছে !
ব্রীজের ব্যবহার বিষয়ে জানতে চাইলে এলাকার সুরত আলী বলেন, আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে দাবী ছিল এই ব্রীজটির। ব্রীজটি দুই বছর আগে হলেও আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। রাস্তাটি না থাকার কারণে ব্রীজের উপর দিয়ে আমরা যাতায়াত করি না। এবিষয়ে এলাকার আকছেদ আলী,আমিনুল ইসলাম,কেতাবজুল ইসলাম বলেন, আমরা ব্রীজ পেয়েছি। কিন্তু রাস্তা পাইনি,ফলে ব্রীজটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এনে দ্রুত রাস্তাটির মেরামত করে ব্রীজটি আমাদের চলাচলের উপযোগি করে দিলে আমাদের এখানের মানুষ সুবিধা পাবে।
৩০০ মিটার রাস্তার ব্রীজই হলো ১৫+১৫=৩০ মিটার,বাকি ২৭০ মিটার রাস্তাটি ব্রীজের দুই পাশে খালি পড়ে আছে। রাস্তাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকলেও এতদিনেও ঠিক করা হয়নি। ব্রীজ বিষয়ে ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যা (৪,৫,৬ আসন) মোছাঃ শিল্পী বেগম বলেন,আমি ব্রীজের বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়কে অনেক আগেই জানিয়েছিলাম,তিনি আমাকে বলেছিলেন হবে হবে কিন্তু এখানো হয়নি । আমি বিষয়টি আবার পরিষদের মিটিং এ উপস্থাপন করবো।
মন্ত্রীর নিজ ইউনিয়নের উন্নয়ন এবং চলাচলের রাস্তাটিরও এই অবস্থা দেখে অনেকেই বলেন,আমাদের মন্ত্রী উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন কিন্তু এগুলোর সঠিক তদারকি হচ্ছে না। ফলে উন্নয়নের অনেকাংশই নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী, যথাযথ কর্তৃপক্ষ ভুল্লী নদীর এই জোড়া ব্রীজের রাস্তাটি দ্রুততার সাথে সংস্কার করে ব্রীজটি চলাচলের জন্য সবার উপযোগি করে করে তুলবেন।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩০
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: কিছু বলারও ভাষা নেই !
২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৫
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: শূন্য ভাষা নিয়ে তো অনেক কিছু বলে দিলেন, বলে যান বলিষ্ঠ কণ্ঠে। হয়ত দ্রুতই আপনার এলাকার আশপাশের ভুগান্তিরা সবাই রাস্তায় নেমে আসবে।
কেউ রাস্তায় না নামলে আমাদের প্রশাসনের চোখে পড়ে না, আপাতত এটার মাধ্যমেই আপনাদের রাস্তা তার প্রাণ ফিরে পাক।
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৫২
মো: আব্দুল মোমেন বলেছেন: আমি মুক্তমনা। আমার শরীরের জোর নেই ,কলমের জোর দেখাই। কলমের কালি দিয়ে মারামারি করি। আমি যখন লিখেছি কাজও করে ছাড়বো। হয়ত আমার উপর একটা গোষ্ঠী শক্র হয়ে উঠবে কিন্তু কাজটি হলে বড় একটা গোষ্ঠীর ভালোবাসা পাবো।
আমরা মুখে ভাষা প্রকাশ না করলেও কমলে করি। কালিতে করি। লেখাতে করি। যা হবার হবে । মরতেই তো হবে।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারীর সাথে একমত। তিনি আমার মনের কথা বলে দিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:২৫
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: মন্ত্রীরা যখন এই সকল গ্রাম্য মানুষের কথা বলার জন্য দায়িত্ব নিয়ে সংসদে যান তখন তারা সংসদের আশপাশকে নিজ এলাকা মনে করে সেখানেই ঘরবাড়ি তৈরি করেন; জনগণের এসমস্থ রাস্তার টাকা দিয়ে। ভুলে যান নিজেদের ওয়াদা পালনে। নিজে নিজের কাজের তদারকি নেন না, অন্যদের তদারকি কি করবেন? এমন আরো কত অপকর্মের স্বীকৃতি যে এরা দিচ্ছেন তার তো কোন হিসেব নেই।
আমাদের দেশে জবাবদিহিতা নেই, গণতন্ত্র নেই সেই ৭২ এর পর থেকে।