![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
কলেজ ক্যাম্পাসে সেদিন পরিচিত-অপরিচিত ছোট বড় সবাইকে একত্রিত করে একটি বৃত্ত তৈরি করেছিলাম। বৃত্তের মাঝে কয়েকটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমরা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি কিংবা কল্পনায় চলে যাই তাহলেই আমাদের সমাজের আসল চিত্র বুঝতে পারবো। আমরা আসলে নারীদের কতটা বৃত্তের বাইরে অর্থাৎ ঘরের বাইরে বেরোতে দেই ?
নারী সমাজ আমাদের দেশে এখনো তেমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি যেমনটা আমরা মুখে বলি ! বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৮০ শতাংশ নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
পুলিশ রিপোর্ট অনুযায়ী, সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা-বিষয়ক মামলা রুজুর হার বেড়ে চলেছে। যেমন: ২০১০ সালে সারা দেশে এ বিষয়ক মামলা রুজু হয়েছিল মোট ১৭ হাজার ৭৫২টি, সেখানে ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২১ হাজার ২২০টি। বর্তমানে ক্রমান্বয়ে তা বেড়েই চলেছে !
দেশে আইন থাকা সত্বেও প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা ! বাসে,রাস্তাঘাটে কিংবা জোর পূর্বক নারী নির্যাতন,ধর্ষণের মত জঘন্য অনেক ঘটনাই প্রায় আমাদের চোখে পড়ছে ! তাহলে এর থেকে আমরা কিভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি ? নাকি নারীর প্রতি সহিংসতা চলবেই ?
একটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার যত আইন বা বিধিনিষেধই করুক না কেন তার প্রয়োগ কতটা হচ্ছে এটাও দেখার বিষয় আবার ক্ষমতা কিংবা জনসাধারণের অসযোগিতাও নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বাঁধা প্রদান করছে বলেও আমার মনে হয় ! কেননা অনেক সময় আইনের ফাকফোকর কিংবা অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি কম থাকায় অনেকেই নারী নির্যাতনের মত ঘটনার সাথে জড়িত হচ্ছে !
আবার কেউ কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতা কিংবা অর্থের বলায়ে নিজেদের অপরাধ ঢেকে রাখছে ! এর ফলেও নারী নির্যাতনের মত ঘটনাও ঘটছে ! সর্বশেষ,সাধারণ মানুষের এসব বিষয়ে সর্বাধিক সচেতনতা তৈরি করা দরকার। যেখানেই যেভাবে নারী নির্যাতনের শিকার হতে দেখবেন সেখানেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
আসুন,আমরা আমাদের দেশকে সহযোগিতা করে এবং নারীর প্রতি সম্মান রেখে নারী নির্যাতনের প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
লেখকঃ এম এ মোমেন খান
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,দিনাজপুর সরকারি কলেজ।
২| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৬
রাকু হাসান বলেছেন: নারী পুরুষ ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই । ছবি দিয়েই অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন ।
৩| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ক্যাম্পাসে ইয়াবা টিয়াবা আছে তো, মাথা ভালোই কাজ করে।
৪| ২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৫
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: মানুষ পরিস্থিতির শীকার হয়ে ন্যায় ও অন্যায় করে থাকে। আমাদের দেশে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ও খারাপ মনমানসিকতা সৃষ্টির বেশকিছু কারন রয়েছে যেমনঃ- সবকিছুতে ভেজাল-কেমিক্যাল,পচা রাজনীতি ব্যবস্থা,ব্যবসা-প্রতিষ্টান-কোম্পানী ও সকল বিষয়ে মগজধোলায় জনিত কর্মকান্ডের সৃষ্টি,ইংলিশ-হিন্দি-বাংলা চলচিত্র ও গেমস এর কারনে টোটাল উদ্ভাট ও উন্মাদের সৃষ্টি,আবালদের ভূলভাবে ধর্ম ধারন, স্বাস্থ না বোঝা-পরতে না বোঝা-কথা বলতে না বোঝা ও রাষ্ট্রিয় আইনের কঠোরতার অভাব ইত্যাদী। অথচ সাধারন মানুষ আজও মনে করেন-মানুষ তার অপরাধের জন্য সে একমাত্র নিজেই দায়ী। অপরাধী ব্যক্তি তার অপরাধের জন্য ৪৯% দায়ী আর বাকি ৫১% পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র ও পরিস্থিতি দায়ী। (চাদগাজী সাহেবের মন্তব্যে ধন্যবাদ)।
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: গণতন্ত্রের সফল বাস্তবায়ন করবে বাকশাল। উন্নয়নের গণতন্ত্রের নাম বাকশাল!
যোগ দিন, সফল করুন!
জয় বাংলা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৪
কাইকর বলেছেন: ধর্ম অনুযায়ী নারীরা ঘরের মধ্যে থাকবে। তাদের বাহিরে বের হওয়ার দরকার নেই। তবে, আধুনিক যুগের আধুনিক পরিবেশে নারীরা বাহিরে বের হবে, কাজ করবে। সমান সমান সুযোগ পাবে। সবকিছুতেই সমান সুযোগ পাবে।