নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিশ্চুপ কাব্যিক

নিশ্চুপ কাব্যিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য নিজগুনেই প্রকাশিত হবে, দ্বীন বিজীত হবে

১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০১

আলহামদুলিল্লাহ, দ্বীনের বিজয় এভাবেই ত্বরান্বিত হবে।
.
শহিদী কাফেলার একজন যাত্রীহয়ে কাজ করছি সেই ২০০৯সাল থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক শাখায় কাজ করার সুবাদে অসংখ ছাত্রের মাঝে দাওয়াত নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি এই দীর্ঘ সময়ে। দাওয়াত দিতেগিয়ে বিভিন্ন প্রকার অভিজ্ঞতারও সঞ্চার হয়েছে মোটামুটি।
.
প্রতিষ্ঠানিক শাখায় সাধারনত ব্যাক্তিগত ভাবে একজনকে টার্গেট নিয়ে ধীরে ধীরে তার মান উন্নয়ন করানোর সুযোগ কম, বিশেষ করে যখন আপনি দায়িত্বশীল। কারন একজন দুজনকে ব্যাক্তিগত টার্গেটে নিয়ে কাজ করলে কাজের সুযোগ অনুপাতে কাজের মান কম হয়ে যায়। এজন্য আমরা সাধারনত ক্লাসের অধিকাংশ ছাত্রের মাঝে একসাথে দাওয়াত উপস্থাপন করি। সেখানে স্বভাবতই তিনঘরানার লোকের উপস্থিতি থাকে, ১.আওয়ামী (ধর্মনিরপেক্ষ)। ২.জাতিয়তাবাদী
৩.ইসলামি রেঁনেসার আদর্শের।
স্বভাবতই তিনঘরানার লোকের প্রতিক্রিয়া তিন ধরনের হয় এবং তার মোধ্য হতেই মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের জন্য এক দলকে বাছাই করেন এবং আমরা তাদেরকে নিয়েই কাজ করি।
.
ভিন্ন কথা হচ্ছে, আমি যে ওয়র্ড়ে থাকি সেটা একটা আবাসিক শাখা। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও এখানে কোন সংগঠন দাঁড় করাতে পারিনী। না পারার পেছনে দুটি কারন আছে।
১.এই ওয়ার্ড় থেকেই আওয়ামী রাজনিতীর ইউনিয়ন এবং জেলা শহর পর্যন্ত নেতৃত্ব সাপ্লাই দেয়া হয়, সুতরাং এই ওয়ার্ডকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদিদের একটি ঘাঁটি বলা যায়।
২. এলাকায় শিবির হিসেবে আমার একটা সাধারন পরিচয় সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে যেই ছেলেকেই আমার সাথে মিশতে দেখবে তাকেই আওয়ামি ছ্যালারা টার্গেটে নিয়ে নেয় এবং মাইন্ড ওয়াশ থ্যারাপি দিতে থাকে। আর এই মাইন্ড ওয়াশ থ্যারাপির ডাক্তার হিসেবে কাজ করে তাবলীগ জামাতের দ্বীনি(!) ভাইয়েরা। তারা অত্যন্ত সূক্ষভাবে মওদূদী ভীতি ছড়ানোর মাধ্যমে এই কাজটি সফলতা সসাথে করে থাকেন।
.
আজ আছর পড়ে দোকানের দিকে যাচ্ছিলাম পত্রিকা পাঠের উদ্বেশ্যে। একজন ছাত্র এসে বলল "ভাইয়া আমি ছাত্রশিবিরের কর্মি হতে চাই।"
আমি অবাক, বিস্মিত, নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। খবর নিয়ে জানতে পারলাম তাকে কেউ সংগঠনের দাওয়াত দেয়নি! বরং সে নিজ প্রচেষ্টায় সংগঠনের বাহ্যিক বিষয়ে কিছুটা অবগত হয়েছে। এখন সে সংগঠনে নিজেকে সামিল করতে চায়। আলহামদুলিল্লাহ।
.
আমি কেন অবাক হয়েছি জানেন? কারন ছেলেটি নিজ প্রচেষ্টায় এমন একটি সংগঠনকে নিজের জন্য বেচে নিয়েছে যে সংগঠনটি এখন অঘোষিত নিষিদ্ধ সময় পার করছে। যে সংগঠনের বিরুদ্ধে রগকাটার অভিযোগ আছে, জঙ্গিবাদের অভিযোগ আছে, জ্বালাও পোড়াওয়ের অভিযোগ আছে, দেশবিরোধি কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ আছে, যাদেরকে নব্য রাজাকার বলা হয় ছেলেটি সেই সংগঠনে নিজেকে সামিল করতে চায়। সেই ছেলেটি দেখছে এবং জানে, এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাতহলে বিচানার সাথে পিঠ লাগাতে পারছেনা, গ্রেপ্তার হলে রিমান্ডে নিয়ে পাঁ থেতলে দিচ্ছে, যৌনক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতিদের। যাদের রোল মডেলদের একে একে চিণ্হিত করা হচ্ছে খুনি, রাজাকার, ধর্ষক আর দেশদ্রোহী হিসেবে! এতকিছুর পরও ছেলেটি এই সংগঠনের অধিন হতে চায়,,,,,,,!!!
কেন,,,,??
.
ছেলেটি কি জানে না(?) ক্ষমতাসীনদের ছাত্রসংগঠনে নিজেকে সামিল করে কোনরকম একটা ওয়ার্ড সভাপতির পদ নিতে পারলেই লাখপতি হওয়ার স্বপ্নপূরন করা যায় খুব সহজে? ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা আর দাদাগিরি দেখানোর জন্য রাশি রাশি অস্ত্র পাওয়া যাবে শিশুদের খেলনার মত? তবু কেন তাকে শিবিরেই যোগ দিতে হবে? কেন,,,,,,??
কোন সে শক্তি যা তাকে এমন একটি সংগঠনে আবদ্ধ হতে উৎসাহ দিচ্ছে, যে সংগঠনটি তার পথচলার আটত্রিশটি বসন্তের সবচেয়ে বৈরিতাপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছে?
.
নিঃসন্দেহে এটি এক মহাসত্যের শক্তি, এক ঐশী বানীর শক্তি, যে বাণীর স্পুলিঙ্গ পৃথিবীময় ছড়িয়েছিল সাড়ে চোদ্দশত বছর পূর্বে আরবের হেরা গুহা থেকে। এ মহাসত্য প্রচারিত হয় নিজশক্তি বলে। পৃথিবীর এমন কোন শক্তি নেই যা নির্বাপিত করতে পারে এ সত্যের স্পুলিঙ্গকে। শাহ জালাল, শাহ পরান, শাহ মাখদূমে আর বখতিয়ার খলজির এই জমিনেও সেই মহাশক্তির মহাপ্রলয় আজ সময়ের ব্যাপার মাত্র। শহীদ কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামান, আলি আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদদের রক্ত সেই স্পুলিঙ্গের তিব্রতা বাড়িয়ে দিবে শতগুন।
.
জালিমরা আমাদের নেতাদের চরিত্রে কালিমা লেপন করতে চায় অথচ ভোরের সূর্য পুবআকাশে উদিত হলে পৃথিবীর পরিবেশ যেমন আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায় তার চেয়ে অনেকগুন বেশী পরিষ্কার আমাদের নিকট আমাদের নেতাদের চারিত্রিক মাধূর্য আর আদর্শের দৃঢ়তা। অথচ জালিমরা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেই যাচ্ছে, আর এটাই তাদের টিকে থাকার একমাত্র হাতিয়ার। সেদিন বেশি দুরে নয় যেদিন শহীদ মালেক, সাব্বির, শিপন, মুজাহিদ, হাফেজ মাসুম আর হাফেজ আব্দুল্লাহ আল-সালমানদের রক্তস্রোতে খড়কুটোর মত ভেসে যাবে মিথ্যার ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত জালিমের প্রাসাদ। দিনের আলোর মত প্রকাশ হয়ে পড়বে একের পর এক মিথ্যা দিয়ে সাঁঝানো প্রহসন। আল্লাহ তার দ্বীনকে এতসব মিথ্যার উপর বিজয়ী করতে বদ্ধপরিকর এবং অবশ্যই সক্ষম।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.