নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হুমায়ূন আহমেদের বই যখন পড়ি, তখন আমার লেখার ইচ্ছাটা জেগে উঠে। আপাতত ছোট গল্প দিয়ে না হয় শুরু করলাম..

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমণ কাহিনী : ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন, সীতাকুন্ড

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

চট্টগ্রাম শহরের সকল সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে, চট্টগ্রাম শহর থেকে কিছুটা বাহিরে। তেমনি একটা জায়গা হচ্ছে, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক, সীতাকুন্ড।

চট্টগ্রাম শহরের একেখান মোড় থেকে, হাইওয়ে বাসে মাত্র ৩০ টাকায়, যাওয়া যায় সীতাকুন্ড ইকোপার্ক।
সেখানে নেমে, চাইলে, শুকনো খাবার দোকান থেকে, কিনে নিতে পারেন। তার কারণ হচ্ছে, ইকোপার্কের ভিতর, সব কিছুর দাম ডাবল।

প্রধান সড়ক থেকে প্রায় ১৫ মিনিটের পথ হাঁটলেই, ইকোপার্কের প্রধান গেইট।
সেখান থেকে ২০ টাকা টিকেট করে, ভেতরে ডুকলেই, যেনো সৌন্দর্যরূপ ধরা পড়ে, ইকোপার্কের।

পুরা ম্যাপটা একবার চোখ ভুলিয়ে নিতে পারেন। ইকোপার্কের প্রধান আর্কষণ হলো ২টি ঝর্ণা : সুপ্তধারা এবং সহস্রধারা।

ভেতর থেকে সিএনজি করে ঝর্ণায় যাওয়া যায়। সিএনজি নেওয়াটা হবে, চরম বোকামি।

হেঁটে হেঁটে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো এডভেঞ্চার আর কি হতে পারে !

এ ইকোপার্কটি কাপলদের জন্য সেরা একটি জায়গা। আপনি গেলেই, একটু পর পর কাপলদের, প্রেম নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখবেন।

আপনি যখনি একটু হাঁপিয়ে উঠবেন, তখনি দেখবেন, আপনার বিশ্রামের জন্য, সুন্দর, ছায়াযুক্ত বসার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।

আপনি যখন ২য় বিশ্রামের জন্য থামবেন, তখন আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।
সামনে নীল সমুদ্র এবং সমুদ্র পেরিয়ে একটি দ্বীপ "সন্দ্বীপ " দেখা যাবে এইখান থেকে।

এভাবে আপনি ৫০ মিনিট হাঁটার পর এবং সমতল ভূমি থেকে ১০২০ফুট উপরে উঠে সহস্রধারার মুখ দেখতে পাবেন। এখানে সামান্য বিশ্রাম নিতে পারেন । এখন থেকে অনেক দূরে সহস্রধারার একাংশ দেখা যায়। আপনার মন চাইবে এখনি সেখানে যেতে।

এবার এখান থেকে ঝর্ণা দেখা এবং ভিজার উদ্দেশ্যে আপনাকে নামতে হবে ৪৮৩ টি সিঁড়ি ।
আপনি সিঁড়ি বেয়ে নামনে ও হাঁপিয়ে যাবেন, তাই পথিমধ্যে রাখা হয়েছে আবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা।

অনেক কষ্ট করেছেন না ? যখনি দেখবেন ঝর্ণা, তখনি আপনার মনটা ফুরফুর আনন্দে ভরে যাবে।
আপনি অবশ্যই এক্সটা কাপড় নিয়ে যাবেন, তা না হলে, গোসল করতে প্রবলেমে পড়বেন।
এখানে অনায়াসেই গোসল করতে পারেন। কোন বিপদের আশঙ্কা নেই।

আরেকটা কথা মনে করিয়ে দি, যতটুকু হেঁটে আসবেন, চেষ্ঠা করবেন, রাস্তার মধ্যে দিয়ে হাঁটার জন্য। কারণ, এখানে প্রচুর জোঁকের ভয়। এখানে এমন কেই নেই যে, জোঁকের কবল থেকে রক্ষা পায় নি।

ঝর্ণার উপর উঠতে চাইলে, আপনাকে ঝর্ণা অভিমুখের ডানপাশে, একটি রাস্তা আছে, খাড়া সেটি দিয়ে উপরে উঠতে হবে।

একটি সত্যিকারের এডভেঞ্চারের স্বাদ পাবেন এখানে। খুব সতর্কতার সাথে উঠতে হবে। উপরে উঠে, সামান্য বামে হেঁটে, আবার সামান্য একটু নামলেই পেয়ে যাবেন, ঝর্ণার উপরের অংশ।
কিন্তুু সত্যিকার অর্থে, একটি ঝর্ণা কোথ থেকে শুরু, সেটা আপনি খুঁজে পাবেন না।

ফিরার সময় আবার ৪৮৩ টি সিঁড়ি, বেঁয়ে উপরে উঠে, যখন সিএনজি দেখবেন প্রধান গেটে আসার জন্য, তখন ভাড়ার কথা শুনলেই মনে হবে, আপনি ঢাকা যাবেন, তার ভাড়া চাওয়া হচ্ছে!

নিচে নেমে, আপনি রেস্ট নিতে পারেন, ছোটদের জন্য করা শিশুপার্কের পাশের ব্রীজে।

এতোঘুরে আপনি হয়তো অনেক টার্য়াড । প্রচুর ক্ষিধে নিয়ে আপনি আরেকটু কষ্ট করে, প্রধান সড়কে এসে, সীতাকুন্ড চলে আসেন। এখানে, আপন নিবাস নামক রেষ্টুরেন্টে আপনি খেয়ে প্রচুর তৃপ্তি নিয়ে বাসায় ফিরতে পারবেন..

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.