নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হুমায়ূন আহমেদের বই যখন পড়ি, তখন আমার লেখার ইচ্ছাটা জেগে উঠে। আপাতত ছোট গল্প দিয়ে না হয় শুরু করলাম..

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রমণ কাহিনী : কমলদাহ, ছাগলকান্দা, পাথরভাঙ্গা ঝর্ণা

২০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

ঝর্ণা হচ্ছে, বিধাতার অপরুপ সৃষ্টি। এমনি এক ঝর্ণা দেখতে গেলাম বড়দারগারহাট।

প্রথমেই চট্টগ্রাম শহরের একেখান থেকে ডিস্ট্রিক বাসে ৪০টাকা করে, পৌছে গেলাম বড়দারগারহাট বাজারে। একেখান থেকে প্রায় ঘন্টা খানেক লাগবে, বড়দারগারহাট বাজারে পৌছাতে।
সেখান থেকে, শুকনা খাবার আর পানি নিয়ে, নিতে হবে। ভেতরে দোকান পাওয়া যাবে না।

এখান থেকেই শুরু হাঁটা। বাজার থেকে ঢাকার দিকে প্রায় ৫ মিনিট হাঁটলেই একটা ইটাখোলা দেখতে পাবেন। সেখান থেকে ২ মিনিট হাঁটলেই, একটা রাস্তা দেখতে পাবেন হাতের বামে। রাস্তা ধরে প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটলেই ছড়া দেখতে পাবেন। ছড়ার আগেই প্রয়োজন মতো,কাপড় চেইন্জ করে নিতে পারেন।

ছড়া ধরে, আরো ১৫ মিনিটের মতো হাঁটলেই প্রথম ঝর্ণা "কমলদাহ ঝর্ণা " দেখতে পাবেন।

এতোক্ষণ হেঁটে, যে ক্লান্তি, সবদূর হয়ে যাবে এ কমলদাহ ঝর্ণা দেখে, এবং এখানে ঝর্ণার পানিতে গোসল করে। ৩ ধাপের এ ঝর্ণা নিচ থেকে মাত্র ১ ধাপ দেখা যায়। বাকি ২ ধাপ দেখতে হলে আপনাকে ঝর্ণা বেয়ে উপরে উঠতে হবে।
উপরে উঠার অনেক সাবধানতা অবলম্বল করতে হবে। অনেক পিচ্ছিল, একটু অসর্তক হলে, পড়ে হাত - পা ভাঙ্গার সাথে মৃত্যুর ভয় ও থাকে।
এ ঝর্ণার নিচে গোসল শেষে, অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে, উপরে উঠে হাঁটতে থাকবেন।

হাঁটতে হাঁটতে, প্রায় মিনিট ৩০ আসার পর দেখবেন, সামনের পথটি ইংরেজী Y আকার ধারণ করেছে। আপনি হাতের বামদিকে হাঁটবেন ।
অপরুপ পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখতে দেখতে, বারবার ক্যামেরা বের করার ইচ্ছা জাগবেই।

সামনে আবার দেখবেন পথটি Y আকার ধারণ করেছে। আবার ও হাতের বামে হাঁটবেন।

এভাবে, একসময় পেয়ে যাবেন ২য় ঝর্ণাটি। যার নাম ছাগলকান্দা। এখানে, পানিতে নামার আগে বাঁশ কিংবা লাঠি দিয়ে দেখে নিবেন গভীরতা কতটুকু ।

এরপর, আসল এবং ভয়ংকর ট্র্যাকের পালা। ছাগলকান্দা থেকে পাথরভাঙ্গা যেতে হলে, বাইতে হবে পাহাড়। পাহাড়ের রাস্তাটি খুবই ভয়ংকর, উঠতে উঠতে রাস্তাটি, এতটাই সরু হয়েছে যে, এক পা কোনমতে রাখা যায়। ডানপাশে লতা, শিকড় ধরে খুব সাবধানে রাস্তা পার হতে হবে।একটু অসর্তকতা হলেই, একবারে ৫০-৬০ ফুট নিচে, একেবারে ঝর্ণার উপর। যেখানে রয়েছে পাথর !

পাথরভাঙ্গার এ ভয়ংকর ট্র্যাকটি রয়েছে ছাগলকান্দার সামান্য আগে, কয়েক পা ফেলে। ঝর্ণার দিকে মুখ করে ডানে।

উপরে উঠে, মিনিট দশেক হাঁটলেই, পাথরভাঙ্গা ঝর্ণাটি দেখতে পাওয়া যাবে।

নামার পথে,কমলদাহ আসার আগে, কমলদাহ ঝর্ণা দিয়ে না নেমে, কমলদাহ ঝর্ণার ঠিক আগে, ব্যাক করার সময়, হাতের বাম দিকে, একটি ট্র্যাক রয়েছে, ওটা দিয়ে নেমে যাবেন। খুবই সহজ পথ। চিনতে অসুবিধে হলে, ওখানে স্থানীয়দের আনাগোনা রয়েছে, যারা বাঁশ কেটে জীবন অতিবাহিত করে, তাদের জিজ্ঞাস করে নিতে পারেন।

আমাদের এই ট্র্যাকটি শুরু করেছিলাম সকাল ১০ টায়, আর শেষ হয়েছিলো, ঠিক বিকালে ৪টায়।
অবশ্য আমরা একবার, পথ হারিয়ে ও ফেলেছিলাম।
পথ হারানো ছিলো আমাদের জন্য আরো আনন্দের আরো ভয়ংকর।ছোট ছোট ক্যাসকেড দেখেও আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।

উপরে ট্র্যাকে হাঁটতে বাটার প্লাসিকের জুতা খুবই উপকার করবে। ট্র্যাকে হাঁটতে হাঁটতে, পা কাটার সম্ভাবনা অনেক বেশী, তাই ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ রাখবেন সাথে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.