![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত দেড়টা, জরুরী বিভাগে দাঁড়িয়ে। ডাক্তার দেখাবেন কিংবা দুর্ঘটনায় কবলিত রোগী জরুরী বিভাগে ভর্তি করাবেন। টেনশান মাথায়। গেলেন টিকেট কাউন্টারে..
টিকেটের মূল্য ১০ টাকা। মাইকে একটা কন্ঠ বলে যাচ্ছে, অতিরিক্ত টাকা দিবেন না। আমি ২০ টাকা দিলাম,ফিরত দিলো না। জিগাস করলাম টিকেট কতো? বলে ২০ টাকা, কিছু বললাম না, আমার সময় কম, বাবার অবস্থা খারাপ।
মেডিকেল অফিসারের কাছে গেলাম, টিকেট থেকে নাম, বয়স এন্টি করে, আবার কাউন্টারে যেতে বললো। গেলাম, আবার ২০ টাকা চাইলো।
দিলাম।
এরপর ১৩ নং ওর্য়াডে গেলাম।
সিট খালি নেই। নিচে বেড দিলো।
এলো ইন্টার্নি ডাক্তার।
একজন অসুস্থ রোগী যার অবস্থা খুবই খারাপ। তাকে এমন ভাবে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করা হচ্ছে। যেনো এইমাত্র তিনি কোন মার্ডার করে আসলেন এবং ইন্টার্নি ডাক্তার একজন গোয়েন্দা পুলিশ।
তার কিছুক্ষণ পর, একটা প্রেসক্রিপশন লিখে ধরিয়ো দিলো এবং ২ ব্যাগ রক্তের কথা বললো।
প্রেসক্রিপশন নিয়ে ওর্য়াড থেকে বের না হতেই, একজন কাছে এসে বললো,ঔষুধ লাগবে? আসেন আমার দোকান আছে।
লোকটাকে এভয়েড করতে চাইলাম। লোকটাকে এভয়েড করে, লিফট দিয়ে নামলাম। লোকটা আমার আগেই, লিফট নামার আগেই লিফটের দরজায় হাজির। লিফটম্যান লোকটাকে বললো, ভাই ওনার মনে হয় ঔষুধ লাগবে নিয়া যান দোকানে।
বুঝলাম এভয়েড যতই করতে চাচ্ছি, ততই একটা সিন্ডিকেটের ভিতরে ডুকে যাচ্ছি।
লোকটা আমার হাত থেকে, প্রেসক্রিপশন নিয়ে বললো, কিছু মনে করবেন না ভাই। রাতের বেলা, যাতে, মানুষের অসুবিধা না হয়, তাই ঘুরে বেড়াই ওর্য়াডে। চলুন, ঔষুধ নি। দোকানটা আমার মেডিকেলের বাহিরে।
গেলাম, ঔষুধ নিলাম। বিল দিলো ৭৯০ টাকা । দিলাম। খটকা লাগলো। এতো !
ওর্য়াডে এসে ওর্য়াড বয়ের হাতে দিলাম। বললো, কতো নিলো ?
টাকার কথা বলাতে, ওর্য়াড দিলো আমায় ধমক !
এখানে ৭৯০ টাকার ঔষুধ?
যান ফিরত দিয়ে মেডিকেলের ডিসপেনসারি থেকে নিয়া আসেন !
এখানে ৩০০-৪০০ টাকার বেশী হবেই না, বিল !
একে তো মাথা ঠিক নেই, বাবার অবস্থা খারাপ। তারউপর এই কাহিনী। এই সময় আম্মা দিলেন ভরসা। চল আমি যাবো, ফিরত দিতে ।
আম্মা আর আমি গেলাম। বললাম ডাক্তার বলছে, ঔষুধ এগুলো লাগবে না। ডিসপেনসারির লোকগুলার মুখে কালো ছাপ পড়লো। কেনো কালো ছাপ পড়লো বুঝলাম যখন মেডিকেলের ডিসপেনসারি থেকে ঔষুধগুলা ৪০৮ টাকা বিল দিয়ে নিলাম !
আমি হতাশ। কিছু করতে পারছি না। এতো অন্যায় ঘটে চলেছে চোখের সামনে।
লিফট দিয়ে উঠার সময় লিফটম্যান বললো, চা খাবো ! টাকা দিন। তখন রাত ২ টা। বিরক্তির শেষ সীমায় পৌছে দিলাম ১০ টাকা ।
ওর্য়াডে ডুকতে যাবো, এমন সময় ওর্য়াডের গেইটম্যান দিবে না ডুকতে। জোর করে ডুকলাম। মাথা এতই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো, আরেকটু হলে, মেরেই বসতাম।
আমাকে বের করার জন্য, সে ওর্য়াড অফিসে ক্লেইম করলো। পারলো না বের করতে।
পরে ওর্য়াড বয় বললো, ওরে ২০ টাকা দিতেন। তারপর বুঝতেন, ও আপনার প্রতি কতটা সদয় হতো !
ওর্য়াড বয় এবার বললো, ১০০ টা টাকা দিন।
আবার টাকা !
সে, স্যালাইন লাগাই দিছিলো। সেজন্য তারে সেলামি দিতে হবে।
কেনো ভাই, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি ওদের ফ্রীতে কাজ দিছে, হাসপাতালে ?
বাবাকে এখানে রাখবো না। চট্টগ্রাম মেডিকেলের সার্ভিস ভালো, কিন্তুু খুব ধীরগতি !
বের হবো, আয়া, গেইটম্যান থেকে শুরু করে, ওয়ার্ড বয় সবাইকে আমার খুশি করতে হবে !
মানে টাকা ছড়াতে হবে !
রোগী নিয়ে গেলাম নাকি টাকা ছড়াতে গেলাম।
এতো মানুষিক চাপে থেকে, এতো কিছু সহ্য করা, অসহ্য ।
মজার ব্যাপার মেডিকেলে পুলিশ ও আছে। আসলে পুলিশ হচ্ছে শো-পিচ ।
এতো অনিয়ম ঘটে চলেছে সরকারি একটা মেডিকেলে, সববুঝি চোখ এড়িয়ে যায় !?
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: ছোট থাকতে রোগ থেকে মুক্তি পেতে আর্মির সি এম এইচ যেতাম, সেখানে এরকম নাই। তবে সরকারী জন সাধারনের জন্য যেগুলো আছে তা আপনার বিবরণের মতই মনে হচ্ছে।
একদলা অবসাদ নিয়ে চোখটা বন্ধ করলাম... মাঝে মাঝে মনে হয় আমি হতাস হয়ে গিয়েছি... আর কত....
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: হতাশ#
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: কোন লাভ নাই। আবার হয়তো একই সমস্যায় পড়বে। কিছু শুয়োরের বাচ্চা যারা দায়িত্তে থাকে তারা মিডিয়ার সামনে বলে কোথাও কেউ নাই। আপনারা আসার এক সেকেন্ড আগেই সবারে বিদায় করছি। কেউ কেউ তো আবার পারলে নিজের মায়ের কাছ থেকেও টাকা নেয়।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪০
খন্দকার সানাউল ইসলাম তিতাস বলেছেন: একমাত্র এভাবেই দেশের উন্নতি সম্ভব!
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
Hasin mahtab বলেছেন: ভাই এটাই দেশের অবস্থা! প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু হাস্পাতালে তো ডাক্তার থাকার পরেও ডিউটি তে আসে না, তারা প্রাইভেট রোগী দেখেন ! আর বড় কর্তারা যখন অনিয়ম করে , তখন আর কর্মচারীদের কি দোষ?
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
সুমন কর বলেছেন: তাহলে এটা চট্টগ্রাম মেডিকেলের অবস্থা ? যদিও সব সরকারী মেডিকেলের অবস্থা একই !!
জানি, জীবিত অবস্থায় এর প্রতিকার দেখে যেতে পারবো না !!!!!
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশ ভরে গেছে মারাঠায়
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারি হাসপাতাল গুলোর অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে গেলেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। হাসপাতালের দাড়োয়ান থেকে শুরু করে প্রতিটা লোক এক একটা শুওয়ের বাচ্চা।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১
ধ্রুবক আলো বলেছেন: মেডিকেল হেনস্থা একমাত্র এদেশেই ঘটে।
সমবেদনা জানালাম। শেখ মুজিবর রহমান ঠিক কথাই বলেছিলেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২০
প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: এইসব আমাদের জাতির রক্তের সমস্যা। বাংগালি আর তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলেই এগুলো সম্ভব।