নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান

ম জ বাসার

ম জ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজার ব্যবসা

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২

প্রকাশ থাকে যে, প্রচলিত মারেফাতী দল বা তরীকা পন্থির অধিকাংশই (সকলে নয়) গড়ে ওঠে স্ব স্ব পীর-মাজারকে কেন্দ্র করে। বংশের মধ্যে কোন প্রকারে একজন পীর খেতাব ধারণ করতে পারলে তার ছিল্ছিলা চলে শত পুরুষ পর্যন্ত; বংশের মাজার যত বাড়ে, পরিবারের আয়-রোজগার বাড়ে তার লক্ষ-কোটি গুণ বেশি। মাজার নয়, মাজার শরিফ! গুরুদের আকর্শণীয় কলেমা হলো: ‘নারী-পুরুষ হয়ে দরবারে এসো না! ভক্ত হয়ে এসো।’ অর্থাৎ দরবার শরীফ নারী-পুরুষের অবাধ নিরাপদ বিচরণ কেন্দ্র। সুতরাং যুবক ও ধনাঢ্য ভক্তদের উত্তরোত্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়; আর এটুকু নিরাপদ বাড়তি ভোগের জন্য গুরু-পীরের বাড়তি কেরামতির প্রচারনাও চালাতে হয়।

ভক্ত-খাদিমগণ মৃত পীরের মাজারগুলি অঢেল অর্থ খরচে (নিজেদের টাকা নয়) শ্বেত পাথর, মার্বেল পাথরে গম্বুজ, মাজার-প্রাসাদ গড়ে তোলেন; বছর বছর মাজারকে আতর-গোলাপ জল দিয়ে গোসল, গেলাপ-সামিয়ানা পরিবর্তন, দিনে-রাতে টাটকা ফুল-মালা অর্পণ, আগরবাতি জ্বালিয়ে আকর্শণীয়ভাবে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখেন এবং যথাস্থানে বড় তালা ঝোলা মস্ত বড় লোহার দান বাক্স রাখেন। রাস্তা-ঘাটেও অনুরূপ মিনি বাক্স লটকানো থাকে; বিশেষ করে খাজা বাবার নামে। ওরশ মোবারক তাদের বাৎসরিক মওসুম।

খাদেম-ভক্তদের প্রধান প্রচার থাকে যে, ‘বাবাজান মরেননি, দেহ ত্যাগ করেছেন বা আড়ালে গিয়েছেন; তার দেহ মোবারক যেমন ছিল ঠিক তেমনই আছেন, কোন দিনও পচবেন না; প্রমান স্বরূপ দেহ ত্যাগের দীর্ঘ পরে কোন এক সময় কবর খুঁড়ে অমুক ভক্ত(গণ) স্ব-চক্ষে গুরুর অপরিবর্তিত লাশ মোবারক দেখেছেন।’ অন্ধ বিশ্বাসী দূর্বল-সাধারণ আগন্তুকগণ শুনে আরো দূর্বল হয়ে পড়েন, রুকু সেজদায় পড়ে যান; এমনকি মৃত বাবার ভক্ত হয়ে যান, হালাল-হারাম মকছুদ পূরণে ঢালতে থাকেন হারাম-হালাল উপার্জিত অর্থ সম্পদ।



সমাজে এ সমস্ত বিষয় প্রশ্ন উঠলে সরাসরি নিম্ন বর্ণিত আয়াতটি তুলে ধরেন:

আল্লার পথে যারা নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না; তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালক থেকে তারা জীবিকা প্রাপ্ত হয়; কিন্তু তোমরা উহা উপলব্ধি করতে পার না। [৩: ১৬৯; ২; ১৫৪]

আয়াতটির মূল শব্দত্রয়: কতল=খুন, নিহত এবং হায়া ও রেজ্ক‘ শব্দত্রয়ের অসংখ্য অর্থ আছে; ব্যবহৃত অর্থ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য অর্থ: হায়া=সাক্ষি, অভিজ্ঞতা, অভিনন্দন, প্রফুল্ল; রেজ্ক= দান, আশীর্বাদ, উপহার, আয়, যৌতুক, সম্পত্তি।

উহাদের গবেষণা, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে প্রচলিত অনুবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করা যায়। সংক্ষেপে এটুকু মাত্র আলোচনা করলেই যথেষ্ট যে, পীর-গুরুগণ আল্লাহর পথে থাকলেও প্রধানতঃ তারা অন্যের হাতে নিহত হন না বা হননি। আল্লাহর কাছে জীবিত ও রিজ্জিক প্রাপ্ত হলেও রওজা শরিফের লাশ মোবারক জীবিতও নন! রিজ্জিকপ্রাপ্তও নন! উপরন্তু আত্মার রিজ্জিক আর দেহের রিজ্জিক এক নয়। ইত্যাদি সঙ্গত প্রশ্নের সম্মুখীন হলে তারা (সকলে নয়) সোজা বলে দেন যে, ৭ম শতাব্দির পুরাণো কোরান আধুনিক সমাজে অচল তাই তারা মানেন না; আবার কেহ বলেন, সবাক কোরান মানেন, নির্বাক কাগুজে কোরান মানেন না ইত্যাদি। সবাক কোরান বলতে তারা স্ব স্ব পীর-গুরুজনকে বুঝে থাকেন, যাদের মধ্যে শরিয়তের মতই পরস্পর কম-বেশি মতবিরোধ, ঝগড়া-ফাছাদ এমনকি লাঠা-লাঠিও হয়।

প্রশ্ন হলো সবাক কোরান অর্থাৎ গুরুর মৃত্যুর পরে নির্বাক অদৃশ্য হয়ে যায়; তখন ভক্তগণ সবাক-নির্বাক উভয় কোরান হারিয়ে এতিম অবস্থায় মাজার পুজা/ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন।

‘লাশ পচে না বা পচেনি’ এমন ঘটনা বিশেষ ক্ষেত্রে অসম্ভবের কিছু নয়; কিন্তু দেখতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে শরিয়তের আশ্রয় নিয়ে ফতোয়া দেন যে, কবর খোড়া যায়েজ নয় অথবা আধ্যাত্বিক ভয়-ভীতিও প্রদর্শন করা হয়।

যে লাশ পূর্বের মত খায় না, মোরাকাবা-মোশাহেদা করে না, এলহাম প্রাপ্ত হয় না, নড়ে চড়ে না! সেই লাশের সঙ্গে হিন্দুদের মাটির মূর্তি, ঘরে-বাইরে দেয়ালের ছবি-মুর্তি, মাটির নীচে হাজার হাজার বছর পূর্বের উদ্ধারকৃত অক্ষত কষ্ঠিপাথরের মূর্তি, কোটি কোটি বছর পূর্বে ডাইনোসারের কঙ্কাল, মাটি-পাথর, মরা গাছের গুড়ি ইত্যাদিও মধ্যে ব্যবসা-বানিজ্যের পার্থক্য ব্যতীত আর কোন পার্থক্য নেই। জ্যান্ত মানুষ বা ধর্ম-অধর্মের উপর আত্মার কর্তৃত্ব থাকলেও (অপ্রমানিত) লাশের কর্তৃত্ব বিয়োগ শুণ্যের (-০) কোঠায়; স্বয়ং গুরু নিজেই যা ত্যাগ করেছেন! উহাকে পূঁজি করে পীর-মাজার ব্যবসা অবশ্যই প্রতারণা! সুতরাং দর্শন বিশ্বাস (আইনুল একিন), বিজ্ঞান বা শিক্ষাগত বিশ্বাস (এলমুল একিন) ও যুক্তি- বিশ্বাসের (হাক্বুল একিন) আলোকে প্রকৃত সন্মানিত পীর-গুরূর ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় দেহত্যাগী আত্মা কথিত ভক্ত-শিষ্যদের ঐ সমস্ত কাল্পনিক (জুন্নুন একিন) আর্থিক-অনার্থিক, ব্যবসায়িক কার্যকলাপে কিছুতেই সন্তুষ্ট হ’তে পারেন না; বরং অপমানবোধ ও দুঃখিত হওয়াই স্বাভাবিক। অতএব সন্মানিত জীবিত গুরু=শিষ্যদের এ বিষয় ভেবে দেখা জরুরী।

ভক্তগণ স্ব স্ব গুরুকে আল্লাহ জ্ঞান করেন, মাজারকে আল্লাহর মাজার ভাবেন কি না জানা নেই। ‘আল্লাহ’ এমন একটি নাম যা সৃষ্টি-অসৃষ্টির যাবতিয় নামের সর্বনাম বা মোট ঐক্য, অখন্ড অর্থাৎ ‘০’ শুণ্য নাম। খন্ডিত মানুষ খন্ডিত গুরুর মধ্যে যা কিছু পায় তাও খন্ডিত। আল্লাহর পূর্ণ অবয়ব অনুভূতি রাছুল, নবি বা গুরূ কোন খন্ডিত মানুষের পক্ষে দর্শন লাভ কোন দিনও সম্ভব নয়। এমনকি ক্ষুদ্র বিন্দু,একটি বলের দিকে তাকালে বলটির পুর্ণ অবয়ব দর্শন করা সম্ভব হয় না। গুরুর দিকে তাকালে গুরুর এক পাশ দেখা যায়; সুতরাং গুরুকে আল্লাহ বলে দাবি বা স্বীকার করার অর্থই শিরক বা অহং। ‘আলো আর আলোকিত,’ ‘রং আর রঞ্জিত’ উভয়ের পার্থক্য আকাশ পাতাল। গুরুগণ আলোকিত হন, কিন্তু আলো নন! জ্ঞানী হন কিন্তু জ্ঞান নন! অতএব তারা আল্লাহ হতেই পারেন না; বরং অখন্ড আলোয় খন্ডিত দেহ আল্লাহময় বা রব্বানী হন ( ৩: ৭৯)!

অপচন লাশ সম্বন্ধে শরিয়তের বিশ্বাস ঘোর বিপরিত; তাদের ধারণা, ‘অত্যাধিক পাপী বা অপবিত্র লাশ পবিত্র মাটি কখনও গ্রহণ করে না, তাই পচেনা।’ পক্ষান্তরে রাছুলের লাশ মোবারক কেয়ামতের আগ পর্যন্ত পচবেন না বলেও বিশ্বাস করেন। শুধু তাইই নয় তিনি কবরে এখনও জীবিত আছেন বলেই বিশ্বাস করেন। কোন তফসির কেতাবে নাকি লেখা আছে যে, ’মহানবি কবরে এখনও জীবিত আছেন এবং কেয়ামত পর্যন্ত জীবিত থাকবেন। প্রমান স্বরূপ কোন এক হজ্জের সময় তিনি কবরের মধ্য থেকে হাত বের করেছিলেন এবং তা ৯০ হাজার হাজী প্রত্যক্ষ দর্শন করেছিলেন!‘ (তথ্যসুত্র: সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা, তাং- অজ্ঞাত, নিউ ইয়র্ক; ফোন: ৭১৮-৪৮২৯৯২৩; লেখক: মদিনা মসজিদের বিতর্কিত ইমাম ও খতিব মাও. মুহিব্বুর রহমান)!

আল্লাহ মহানবির জীবন হরণ করে লাশ মোবারক গোরস্থ করতঃ পুনঃ জীবিত করে কেয়ামত পর্যন্ত মাটি চাপা দিয়ে রাখার কাল্পনিক বিশ্বাস মহানবির নামে গুরুতর মিথ্যা অপবাদ! কলঙ্ক না গুণগান-সন্মান! সমাজের জন্য বিভ্রান্তকর! তা আলেম/আল্লামাগণ কখনও ভেবে দেখেনি।

ধর্ম বিশ্বের আজ করুণ অবস্থা; একদল মসজিদ পুজারী, ২য় দল মাজার পুজারী আর ৩য় দল জনগণ,গণজন প্রতারী।

বিনীত।



মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪

নিশাচর নাইম বলেছেন: ع ر س এই তিনটি অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত আরবী শব্দ "উরস" অর্থ হচ্ছে: বিয়ে। তথাকথিত পীর-ফকিরেরা যে দিন মারা যায়, সেদিন তাদের আত্মা নাকি দেহ থেকে "মুক্ত" হয়ে আল্লাহর সাথে গিয়ে মিলিত হয় - আল্লাহর সাথে তাদের বিয়ে বা মিলন হয় (নাউযুবিল্লাহ্!) - ব্যাপারটা highest order-এর শিরক ও কুফর! এর পর বছর বছর ঐ পীরের অনুসারীরা তার মৃত্যু দিবসকে (বা তার "বিয়ে"-র দিনকে) commemorate করতে তার "উরস" দিবস বা "ওরশ" পালন করে থাকে! বুঝলেন তো?? আল্লাহ আমাদের এসব থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক্ব দান করুন! আমীন!!

(মেরিনার ভাই থেকে শুনা )

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪

নষ্ট ছেলে বলেছেন: মাজার মানেই গাঞ্জার আড্ডা।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

নিষিক্ত বলেছেন: ভাই এত লেখেন কখন... আমি ১০ বছর ধরে একটা বই লেখার কাজ করছি, ( মানুষ মুহাম্মাদ ) কিন্তু সবে ২৫% হয়েছে.. কবে যে শেষ হবে... আপনার কাছে ট্রেনিং নিতে হবে দেখছি..... + দিলাম...

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩১

হা...হা...হা... বলেছেন: আপনি কোরবানীর ঈদের দিন সাধারণত কি কি করেন আর এবার কি কি করবেন বলে চিন্তা করছেন একটু শেয়ার করবেন?

যেমন আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ থেকে এসে কোরবানি নিয়ে প্রায় সারাদিন কেটে যায়। সন্ধার দিকে বন্ধুদের সাথে দেখা করি আড্ডা দিই। সাধারণত গত বেশ কয়েক বছর এটাই রুটিন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
'কোরবানীর ঈদের দিন' বাক্যটির সহজ অর্থ দাড়ায়: পশু হত্যার খুশীর দিন/ পশু হত্যানন্দ-ফুর্তি/উল্লাশের দিন।
ঐ দিনের সাথে অন্যান্য দিনের কোনই পার্থক্য হয়নি/হয় না। আর কেহ গোস্ত দিতে সাহস পায় না।
বিনীত।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৪

তমাল আকন্ধ বলেছেন: নিশাচর নাইম বলেছেন: ع ر س এই তিনটি অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত আরবী শব্দ "উরস" অর্থ হচ্ছে: বিয়ে। তথাকথিত পীর-ফকিরেরা যে দিন মারা যায়, সেদিন তাদের আত্মা নাকি দেহ থেকে "মুক্ত" হয়ে আল্লাহর সাথে গিয়ে মিলিত হয় - আল্লাহর সাথে তাদের বিয়ে বা মিলন হয় (নাউযুবিল্লাহ্!) - ব্যাপারটা highest order-এর শিরক ও কুফর! এর পর বছর বছর ঐ পীরের অনুসারীরা তার মৃত্যু দিবসকে (বা তার "বিয়ে"-র দিনকে) commemorate করতে তার "উরস" দিবস বা "ওরশ" পালন করে থাকে! বুঝলেন তো?? আল্লাহ আমাদের এসব থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক্ব দান করুন! আমীন!!

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৬

মৈত্রী বলেছেন: প্লাস......

মাযারে আরো অনেক নোংরামি হয় যা নিয়ে আপনি কিছুই লেখেননি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
একটু উন্নত করা হয়েছে, দেখুন।
বিনীত।

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১০

হা...হা...হা... বলেছেন: আপনি কি কি করেন সেটা বলেন। ঈদের নামাজ পড়েন?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:১৯

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
ঈদের নমাজ মানে `ফুর্তির নমাজ' তা পড়িয়ো না করিয়ো না।
বি:দ্র: প্রসংগহীন প্রশ্ন দয়া করে আর না করুণ।
বিনীত।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৪

হা...হা...হা... বলেছেন: ঈদের নামাজ ফুর্তি? অন্য নামাজ গুলো পড়েন? মানে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩৬

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
ঈদ অর্থ বুঝেন্তো?
১. কোরানে নেই।
২. মজ বাসার বোখারীদের উম্মত নয়।
৩. শিয়া/সুন্নী/ কাদিয়ানীয়ো নয়।
৪. 'নমাজ' শব্দটি ২/১০/১৫বার পড়া হয়। আপনিতো এক্ষণে ৩বার পড়ে ফেলেছেন।
বিনীত।

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০০

হা...হা...হা... বলেছেন: আমি আসলে আপনার কথা কনফিউজ। নামাজ ২/১০/১৫বার পড়া হয় মানে কি? নফল নামাজ তো ১০০ বারো পড়া যায়। কিন্তু ফরজ নামা তো পাঁচবারের উপর পড়া যায় না। আর আমি তিনবার পড়েছি মানে কি? ব্লগ পড়া কি নামাজ পড়া নাকি!!!

নাকি আপনি নামাজ পড়াটাকেই বিশ্বাস করেন না? অথবা নামাজ বলতে অন্যকিছু বোঝেন?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ধর্ম সম্বন্ধে তর্ক-বিতর্ক করতে হলে অন্তত কিছুটা (৫%) লেখা পড়া দরকার। ১০% দরকার অনুশীলণ।
২. ৫ বারের বেশী পড়া যায় না এটা কোন্‌ আল্লাহ আর কোন নবির মাধ্যমে অহি করেছেন? ৬/১০ বার পড়লে আল্লাহর গা জ্বালা হয়?
৩. পড়া আর করার মধ্যে পার্থক্য বুঝেন্তো?
৪. পড়া আর উচ্চারণের ভেদমর্ম জানেন্তো? ৪টি জবাবে মোট ১০ বার 'নামাজ' শব্দটি পড়েছেন।
৫. নামাজ শব্দের অর্থ বুঝেন্তো?
৬. নামাজ সম্বন্ধে পর পর ৫টি পর্ব পোষ্ট করা হয়েছে; তখন লা জবাব ছিলেন কেন? আপনার ঐ সকল শিশুসুলভ প্রশ্নেরো উত্তর উহাতে দেয়া আছে। দরকার হলে খুজে পড়ুন।
৭.অতপর পুন কোন জবাব চাইলে প্রশ্নগুলির জবাব দিন।
৮. বাহেজ করার খায়েস থাকলে কোন আলেম/আল্লামা/মুফতি ভাড়া করুণ।
বিনীত।

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০০

শিপু ভাই বলেছেন: @হা হা হা ভাই, আপ্নে কার লগে কথা কন?
এইটাতো একখান বিরিক্তিকর বিনুদুন!!

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:১৮

হা...হা...হা... বলেছেন: শিপু ভাই, এটা যে একটা ভন্ড তা অনেক আগে থেকেই জানি। তাই তো ধরলাম।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৬

মৈত্রী বলেছেন: "নামায" একটা ফার্সি শব্দ। এই নিয়ে কয়বার এই শব্দটা এই ব্লগে পড়লাম আল্লাহ মালুম!! ১৫/২০ বার হয়ে গেছে হয়ত.......

তবে লেখকের "৬/১০ বার পড়লে আল্লাহর গা জ্বালা হয়?........" এই এ্যাপ্রোচটা ভালো লাগেনি।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৯

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. দুখিত! মজ বাসার এমন লোক নয় যে, শতভাগ লোকের শতভাগ প্রশ্নের শতভাগ সঠিক উত্তর দিয়ে শথভাগ লোককে সন্তুষ্ট করার।

২. 'কিন্তু ফরজ নামাজ তো পাঁচবারের উপর পড়া যায় না। ' (**)
সমস্যাটা কি? এটার সমাধান দিয়ে অতপর 'এ্যাপ্রোচ' বিষয় বল্লে আমারো ভালো লাগতো।
বিনীত।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সালাম মজ বাসার।

আপনার এই পোষ্টি যেন ধান বানতে শিবের গীত টাইপ লাগল!

আপনি একটা ভন্ডামীর মুখৌশ খুলতে গিয়ে পুরাো একটা সিস্টেমেরই বিরুদ্ধে দাড়িয়ে গেলেন??!!

আপনার কিছূ লেখায় মনে হয় গভীরতার সন্ধানে আছেন। আবার কিছূ লেখা এতটাই কন্ট্রডিক্টরী - থতমত খেয়ে.. ভাবতে হয় জলের উপরে নয় শূন্যেই ভাসছেন- গভীর দূরে থাকুক।
কিছূ মনে করবেন না এটা আমার অনুভব মাত্র।

আল্লাহ, নবী, রাসূল - হাকীকত আম অর্থে আর খাস অর্থের পার্থক্য কখনো যেন গুলীয়ে ফেলছেন!

> রাসূল , রিসালাত কি?

>মানুষ মৃত্যুর পর কি হয়?

>অলী আউলিয়া/ মুক্তি প্রাপ্ত আত্মা (প্রসংগত স্মরতব্য.. আপনার পিতা নানা) তারা কোথায় কি অবস্থায় থাকেন।?

>সাধারন আত্মা আর মুক্তি প্রাপ্ত আত্মার সাথে এই দুনিয়ায় কোন যোগাযোগ থাকে কিনা? কিভাবে?

অপেক্ষায় রইলাম। এর উত্তরের সাথে রিলেটেড আরো কিছু প্রশ্ন নিয়ে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০৬

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম মি: ভৃগু।
১. পূর্বসুত্রিতা না থাকলে হঠাত পড়লে এমনই মনে হবে। প্রধানত যাদের জন্য লেখা তারা এখন পর্যন্ত বিষয়টি টেকআপ করেননি।
২. না। শুধু মাত্র মাজার ব্যবসার কথা বলা হয়েছে।
৩. সম্ভবত! এমন একটি মাত্র উদাহরণ দিন যাতে মজ বাসার সতর্ক হতে পারে।
৪. সম্ভবত! জীবন এবং দেহ অনুরূপ গুলিয়ে গেলে ঐ সমস্যাটি আর থাকে না।
৫. চৈতন্যপ্রাপ্তি হয়োয়া। জীবনের সাথে দেহের সাক্ষাত/পরিচয় হয়োয়া।
৬. জীবন য়ো দেহের ইনগ্রিডিয়েন্টগুলি স্ব স্ব স্থানে ধাপে ধাপে ফিরে যায়। আম, জাম কোথায় যায়? পানি খেলে কোথায় যায়?
৭. তারা স্বাধীন থাকলেয়ো প্রধানত আমি না চায়োয়া পর্যন্ত/উপযুক্ত না হয়োয়া পর্যন্ত তাদের কিছু করার নেই/আগ্রহ নেই। আপনার বাড়ীর কোথায়ো কিছু গুপ্তধন আছে। তার সংগে আপনি স্ব উদ্বোগে সম্পর্ক, জানা পরিচয় না করা পর্যন্ত ঐ ধন আপনার উপর কোনই প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
৮. প্রধানত/সাধারণত না। তবে দেহ/জীবন, দৃশ্য/অদৃশ্য অংগাংগীভাবে জড়িত।দরকার শুধু দেহের ইচ্চায় আত্মার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা বা চৈতন্যপ্রাপ্ত হয়োয়া। ৭ নং দ্রষ্টব্য।
৯. মজ বাসার সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়া/সকলকে সন্তুষ্ট করার লোক নয়।
১০. খুউউব জটিল প্রশ্ন এবঙ এইই প্রথম। কোরান বনাম শরিয়ত গ্রন্থের অন্তত ‘ধর্ম দর্শন’ প্রতিবেদনটি পড়া উচিত। link: http://www.youngmuslimsociety.com
বিনীত।

১৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছালাম মজ বাসার।

আপনার উত্তর গুলৌ মন দিয়ে চৈতন্য জাগ্রত রেখে বোঝার চেষ্টা করছি।

৫-৮ দারুন ইম্প্রেসিভ। থ্যাংকস...

আসলেই তাই। কেউ ইচ্ছা না করলে যেমন এমএস ওয়ার্ডও তার কাছে কঠিনতর কিছু..তেমনি না জেনে না বুঝে সত্য, আল্লাহ রাসূল নিয়ে ভাবা বা বলা তারচেও কঠিনতর..

হ্যাঁ চৈতনোদয়ের প্রচেষ্টা কারীর নিকট আজো সেই দন্ড আসে। নামে সাংর্ঘিষকতা এড়াতে অন্য নামই শ্রেয়ো!! (আপনার ষ্টাইলে লিকলাম) :):):)

হ্যা আপনার কোরআন বনাম শরীয়ত বইটার ডাউনলোড করেছি। পড়ে প্রশ্ন আসলে জানাব।
আশাকরি বিরক্ত হবেন না।

আর আমার ব্যাক্তি অভিমত হল খুব প্রাসংগিক এবং প্রয়োজন না হলে বিশ্বাসে সাংর্ঘষিক ব্যাপার গুলৌ সফটলি হ্যান্ডল করা।

কোন ঝাকুনি আচে চেতনা জাগায়; আবার স্থান কাল রুপ ভেদে ঝাকুনিতে মৃত্যুও হতে পারে। ;)

ভাল থাকুন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আপনার বক্তব্যগুলি ব্যক্তি/দলীয় স্বার্থহীণ, নির্মল; এজন্যই প্রত্যুত্তর দেয়ার প্রয়োজন মনে করিনি।বইটি পড়ার পড়ের প্রশ্নের জন্য তৈরী হচ্ছিলাম।
বিনীত।

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছালাম।
এই পোষ্টের কিছূ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন পর্যাক্রমে করছি। আশা করব উত্তরের-

১ম : আপনার লেখা থেকে "গুরুদের আকর্শণীয় কলেমা হলো: ‘নারী-পুরুষ হয়ে দরবারে এসো না! ভক্ত হয়ে এসো।’ অর্থাৎ দরবার শরীফ নারী-পুরুষের অবাধ নিরাপদ বিচরণ কেন্দ্র। সুতরাং যুবক ও ধনাঢ্য ভক্তদের উত্তরোত্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়; আর এটুকু নিরাপদ বাড়তি ভোগের জন্য গুরু-পীরের বাড়তি কেরামতির প্রচারনাও চালাতে হয়। "

আমার আপত্তি: গুরুদের শব্দটা সকল গুরুকূলকে মিন করে। কিন্তু সকলেই কি ঔ শ্রেণী ভূক্ত? আপনি শিউর?
তবে! এই শব্দটার বদলে গুরু নামধারী কিছূ কিচূ ভন্ড বলতেন যদি, তবে তা কাউকে আহত করত না। এবং গুরুশ্রেণীর (আপনার পিতা এবং নানা সহ) অসম্মান হতোনা। তাই নয় কি?

২য়>>
পীর-গুরুগণ আল্লাহর পথে থাকলেও প্রধানতঃ তারা অন্যের হাতে নিহত হন না বা হননি। আল্লাহর কাছে জীবিত ও রিজ্জিক প্রাপ্ত হলেও রওজা শরিফের লাশ মোবারক জীবিতও নন!

আআ=আপনি কি শিউর???
আপনার কথা মতোই যদি বলি..
৬. জীবন য়ো দেহের ইনগ্রিডিয়েন্টগুলি স্ব স্ব স্থানে ধাপে ধাপে ফিরে যায়। আম, জাম কোথায় যায়? পানি খেলে কোথায় যায়?

এই সত্যের পরে দেহ নিয়ে প্রশ্ন তোলা কি কন্ট্রাডিক্টরি নয়!!!

আর সত্যের সেই রুপ বা সত্যকে সন্ধানে রতাবস্থায় কোন কেবলা থাকা কি আপত্তিকর কিছু?

৩য়>>ভক্তগণ স্ব স্ব গুরুকে আল্লাহ জ্ঞান করেন, মাজারকে আল্লাহর মাজার ভাবেন কি না জানা নেই।
‘আল্লাহ’ এমন একটি নাম যা সৃষ্টি-অসৃষ্টির যাবতিয় নামের সর্বনাম বা মোট ঐক্য, অখন্ড অর্থাৎ ‘০’ শুণ্য নাম। খন্ডিত মানুষ খন্ডিত গুরুর মধ্যে যা কিছু পায় তাও খন্ডিত।

আআ= জানা নেই এমন বিষয়ে বলাতো মজ বাসারের নীতিতে যাবার কথা নয়! নয় কি?
অখন্ড শূন্য নামে আবার সকল নাম সর্বনামে পরিণত হয় যে নাম সমূহ আল্লাহময় বা রব্বানী হয়।

মানতেকুত তোয়ায়ের পড়েছেন নিশ্চয়ই। পাখিদের রাজা সী মোরগের সন্ধানে নিজেদের সী মোরগ রুপে আবিস্কারের রহস্য!!!

৪র্থ>>গুরুর দিকে তাকালে গুরুর এক পাশ দেখা যায়; সুতরাং গুরুকে আল্লাহ বলে দাবি বা স্বীকার করার অর্থই শিরক বা অহং।

আআ=গুরু আল্লাহ নন। আবার পৃথকও নন। বিশেষত আপনার সর্বেশ্বরবাদ তত্ত্বে তো তাই মানা হয়। নাকি?

আর আপনি দৈহিক অবয়বের কথা বলে থাকলে ঠিক আছে। কিন্তু হাকীকতে গুরুর আবার পাশ কি? আমি ৩ মাত্রায় বসে ৪র্থ বা ৫ম - ৯ম মাত্রার কল্পনা করতে পারিনা, তাই বলে তাতো মিথ্যা নয়।
অখন্ড সত্ত্বা মিলিত রব্বানী গুরুকে আমাদের নাদানদের সহনীয় ৩ মাত্রায় দৃশ্যমান রাখতে তাঁর দৃশ্যমানতা আর হাকিকী সত্ত্বা কি এক?
সেই হাকীকতকেই না আমরা খুজছি? তবে আর শিরকের স্থান থাকলো কোথায়?

এক সাথে অনেক গুলৌ হয়ে গেল। মনে অপ্রীতিবোধ রাখবেন না যেন।:)

১০ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম মি: বিদ্রোহী,
১ম: প্রতিবেদনের ১ম লাইনেই ব্রাকেটে (সকলে নয়) নোটিশমূলক বাক্যাংশটি চোখে না পড়ার কোনই কারণ নেই (বিশেষ উদ্যেশ্য ব্যতীত)। গ্রাম্য প্রবচন: লোম্বা বাছতে কম্বলের অস্তিত্ব থাকে না। সেখানে ‌কিছু কিছু ভন্ড’ বলার সুযোগ কই? আমার পিতা/নানার অনুরূপ ব্যবসায়ীক মাজান নেই; সুতরাং আপনি চেষ্টা করেয়ো তাদের ঐ আয়োতায় আন্তে পারছেন্না। আর তারা আপনার গুরুর (সম্ভবত) মত কাউকে শিষ্যয়ো করতেন্না।
২. ক. আমার শিউর/বে-শিউরে আপনার কিছু যায় আসে না। আপনার সন্দেহ থাকলে আপনার গুরুর মাজার মোবারক খুড়ে সন্দেহ দূর করতে পারেন। অথবা ম জ বাসারের দর্শন যুক্তি প্রমান দিয়ে খন্ডন করতে পারেন। যেটাই আপনার ইচ্ছা। 'আআ' আর 'হা-হা-হা’র মধ্যে পার্থক্য থাকলেয়ো খুব একটা বেশি নয়! উহা আদর্শ পন্থা নয়।
খ. এই সত্যের পরে মাজার/লাশের আর কোনই গুরুত্ব/ভুমিকা থাকে না। আর থাকলেই শিরকী! সেটাই বুঝানো হয়েছে! কন্ট্রাডিক্টরি কোথায়? বুঝিয়ে বলুন, সতর্ক হয়োয়া যাবে।
গ. সত্যের রূপটা কি? জীবনের আকৃতিতে লাশ? না কি লাশের আকৃতিতে জীবন? এখানেই অধিকাংশ পীর/শিষ্যগণ হোচট খান, বিভ্রান্ত হন! অতপর মাজার পুজায় শিরকী জীবন কাটান। আপন চেহাড়ায় থুথু মেরে অন্যের চেহাড়ার ভজন করে।
‘সত্যকে সন্ধান’ এর ‘সত্য’ শব্দটিই কিব্লা। দ্বিতীয় কোন শব্দ যোগই শরিকী।
৩. বিষয়টি পরিস্কার না করার অর্থ আপনিয়ো তা হলে জানেন না? অর্থাত জানা থাকলে তো বলেই ফেলতেন! আবারো বলি: মানুষ আলো নয় কিন্তু আলোকময় হয়! জ্ঞান নয় কিন্তু জ্ঞানী/জ্ঞানময় হয়! রং নয় কিন্তু রংগীন/রঞ্জিত হয়। শক্তি নয়, শক্তিমান হয়।এতে সন্দেহ থাকলে আলামত দিয়ে সন্দেহ দূর করলেই তো লেটা চুকে যায়, বিতর্কের অবসান হয়, সম্পর্ক নিবিড় হয়।
ক. সী মুরগী!! না এমন মাশালা/মাশায়েল চোখে পড়েনি। বিষয়টা বিস্তারিত লিখলে পড়া যেত।
৪. ৪র্থ প্রশ্নটি ঠিক ৪র্থ শ্রেনীর মতই হলো? গুরু আল্লাহ নয় গুরু থেকে পৃথকো নয়। তাই বলে গুরু আল্লাহ হয়ে গেল? জীবন লাশ নয়, লাশ থেকে জীবন আলাদা নয়। তাই বলে লাশ জীবিত হয়ে গেল? ৩ নং দেখুন।
ক. সর্বেশ্বরবাদ মজ বাসার বা তার বাপ/নানার নয়। বার বার বলা হচ্ছে উহা কোরানের মূল-মৌলিক দর্শন, সর্ব কালের সর্বযুগের নবি-রাছুলদের দর্শন (৫৭: ৩; ২; ২৫৫; ১১২: ১-৪)। ১. আউয়ল ২. আখের ৩. জাহের ৪. বাতেন। উহার কোন একটি অংশ আল্রাহ থেকে পৃথক না হলে কি সে অংশটিকে ‘‌আল্লাহ’বলা যায়? এই একই বিষয়টি বহুবার তুলে ধরা হয়েছ আর হুবহুবার তা এড়িয়ে যায়োয়া হয় কেন? কোথায় আপনার ব্যাথা/দুর্বলতা?
খ. লেখার শেষ অংশটিতে ৩, ৬ বা সাড়ে ৬ স্কেল এবং ‘হাকিকত’ শব্দটি শরিয়তের নমাজ, হাদিছ, সুন্নত ইত্যাদি শব্দগুলির মতই মূল বিষয়টা ধামা চাপা দেয়ার একটি পুরাণো কৌশল বলেই মনে হয়। সুতরাং পরবর্তিতে শব্দটির বংগার্থ (ব্যাখ্যা নয়)ব্যবহার করলে বুঝতে সুবিধা হবে।
বিনীত।

১৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছালাম এবং ধন্যবাদ।
ধৈর্যের সাথে উত্তর দেয়া প্রীতিবোধ করছি।
আসলেই ১ম: প্রতিবেদনের ১ম লাইনেই ব্রাকেটে (সকলে নয়) নোটিশমূলক - চোখে পড়েনি দুঃখিত। তাই বিশেষ উদ্ধেশ্য নাই এই সংশয় কাটবে আশা করি

আসলে আআ= দিয়ে আমার আপত্তি এইটা বুঝানো হয়েছে। সংক্ষেপ রুপে।

সত্য নিজেই কিব্লা তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সত্যে পৌছাতে কিছূ ব্যবহার নিশ্চয়ই শিরক নয়। যেমন আমি লক্ষ্য চাটগা যাব। আমাকে লক্ষ্যে পৌছতে বাস ট্রেন যেমন চড়তে হবে , তেমনি ঐ স্থান সম্পর্কে জানা মানুষ থেকেও সাহায্য নিতে হবে। তাতে তো শিরকী আসবে বলে মনে হয় না।

>>
ক. সর্বেশ্বরবাদ মজ বাসার বা তার বাপ/নানার নয়। বার বার বলা হচ্ছে উহা কোরানের মূল-মৌলিক দর্শন, সর্ব কালের সর্বযুগের নবি-রাছুলদের দর্শন (৫৭: ৩; ২; ২৫৫; ১১২: ১-৪)। ১. আউয়ল ২. আখের ৩. জাহের ৪. বাতেন। উহার কোন একটি অংশ আল্রাহ থেকে পৃথক না হলে কি সে অংশটিকে ‘‌আল্লাহ’বলা যায়? এই একই বিষয়টি বহুবার তুলে ধরা হয়েছ আর হুবহুবার তা এড়িয়ে যায়োয়া হয় কেন? কোথায় আপনার ব্যাথা/দুর্বলতা?
>> না প্রিয় ভাই। এড়িযে যাওয়া নয়। আরও দৃঢ়তা লাভ বলতে পারেন। কিন্তু আপনি কি বিরক্ত হচ্ছের বা গোস্বা।
তবে এই খানেই ক্ষান্ত।!!!

সী মোরগ কোন মাসলা মাছায়েল নয়। শেখ ফরিদ (রহঃ ) লিখিত মারেফতের একটি গ্রন্থ। যেখানে রুপক অর্থে পাখি সম্প্রদায় দিয়ে বোঝানো হয়েছে- পাখিরা তাদের প্রভূ সী মোরগের সন্ধানে যায়- ১০০০ এ মাত্র ১টি পাখি পৌছতে পারে; সেই অচেনার দেশে.. এবং পৌছে তারা যখন ক্লানত শ্রন্ত তখন এক আহবানকারী তাদের আগমনের কারণ জানতে চাইলে.. তারা বলে আমরা (সী মোরগ) প্রভূর সন্ধানে এসেছি।
তখন আহবানকারী বলে যে তোমরা আয়নায় তাকাও।
তারা তাকিয়ে দেখে তারাই সী মোরগ রুপে বিরাজমান।

এই বিষয়টা সংক্ষেপে বলতে চেয়েছিলাম।

---

১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কোন একটি বিষয় যুক্তি-প্রমান দিলে উহা বারবার উপেক্ষা করে বারবারএকই দর্শন উপস্থাপন অর্থহীন হেতু বিব্রতবোধ অস্বাভাবিক নয়।
২.আমি স্বয়ং গুরুবাদী। ইহার শক্তিশালী যুক্তিপ্রমান কোরানে আদম-ইব্লিসের ঘটনা; ইব্লিস মানুষই ছিল; তাকে বলা হয়েছিল আদমকে গুরু স্বীকার কর।
৩. আপনার বক্তব্য সম্ভবত অপ্রাসংগিক।চিটাগং যেতে লাশ/মাজারো অপ্রাসিঙ্গক।
বিনীত।
৪. আয়নায় তাকালে গুরুর লাশ/মাজার দেখা যায় না। যা দেখা যায় তা কোরানেই উল্লেখ আছে।

১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: খুব মন দিয়ে পড়লাম মন্তব্যসহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.