![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[লেখাটি আমু’র রূশদী সাহেবের ‘ইহুদিদের কাছে মুহাম্মদের ঋণ’ প্রতিবেদন; অতপর শাহবাজ নজরুল সাহেবের একটি জবাবের আংশিক সমালোচনা মাত্র; ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ বিধায় প্রিয় সামুতে পোষ্ট করা হলো]
১. রাছুল ইহুদিদের কাছে ঋণ নন! বরং বলতে পারতেন মূছার কাছে ঋণী।
মুহাম্মদ শুধু মাত্র মুছার কাছেই ঋনী নন! বরং অতীত সকল নবি/রাছুলের কাছেই ঋনী! হ. ইব্রাহীম ব্যতীত সকল নবি/রাছুল পরস্পর ঋণী। কোরান বার বার বলে ইহা অতীত কেতাবের সমার্থক, সমর্থক এবং সংরক্ষক! এবং ইহারই বিশদ তফছির ব্যাখ্যা মাত্র। কোরানে একটি মাত্র নতুন দর্শন নেই, সুতরাং রুশদী সাহেবের ধারণাটা নতুন গবেষণা/আবিস্কার নয়! (দেখুন: ৫: ৪৮; ৪১: ৪৩; ২২: ৭৮; ৩: ৩, ৯৫; ২: ৮৯, ৯৭, ১০১, ১৩৬; ১০; ৩৭; ১২: ৩৮, ১১১; ৩৫: ৩১; ১৬: ২৩; ৪২: ১৩, ১৪)
২. মহানবি মূর্খ/বকলম ছিলেন না:
রাছুল ডক্টরেট, মেকানিক্যাল বা মেরীন ইঞ্জিনিয়ার না হলেয়ো গন্ড মূর্খ বা বকলম ছিলেন না। এবং তা প্রমান করার জন্য তার জ্ঞাতি গোষ্ঠীর এ্যাকাডামিক কোয়ালিফিকেসন পরিক্ষা-নিরীক্ষা করা নিষ্প্রয়োজন! কারণ কোরানই যথেষ্ট।
তিনি পড়তে জান্তেন:
ক. [৬২: ২] -তাদের নিকট তাঁর আয়াত/কেতাব পড়ে শুনায়; তাদের পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত-।
খ. [৪৪: ১৪]-অতঃপর তারা তাকে অমান্য করে বলে, ‘শিক্ষিত পাগল/শিখানো কথা বলে, সে ত পাগল।’
গ. [২৯: ৪৫] তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পড়-।
তিনি পড়তে/লিখতেও জান্তেন:
ঘ. [২৫: ৫] উহারা বলে, এগুলি তো আদিকালের উপকথা, যা সে (মোহাম্মদ) লিখে রাখে। যেগুলি সকাল সন্ধা তাকে পড়ানো/শিখানো হয়/তাঁর নিকট আবৃতি করা হয়।
ঙ. [৯৬: ১-৪] তোমার প্রতিপালকের নামে পড়-যিনি লিখিতভাবে/লিখার মাধ্যমে (পেন্সিল/কলমের সাহায্যে) শিক্ষা দিয়েছেন।
চ. [২৯: ৪৮] তুমি তো অতীতের কোন কিতাব (নিজে) লিখনি বা পড়নিও, যাতে মিথ্যাবাদীগণ তোমাকে সন্দেহ করতে পারে। (লেখ-পড়া না জানলে তারা তাকে সন্দেহ করার কোনই হেতু ছিল না!)
উল্লিখিত আয়াতগুলি পরিস্কার সাক্ষ্য দেয় যে, তিনি লিখতে জানতেন, পড়তে জানতেন, পড়াতে জানতেন, শিক্ষা দিতেন! এমন কি শিক্ষকতাও করতেন!
চ নং বারবার দেখে নিশ্চিত হোন যে, অতীতের গ্রন্থগুলি, যাতে নবি-রাছুল আগমণের ভবিষ্যৎ বাণী উল্লেখ আছে যা’ তিনি নিজে লিখেননি, নিজে পড়েননি, নিজে অনুসরণ করেননি; এমনকি তিনি তখন উপস্থিতও ছিলেন না, যাতে অবিশ্বাসীগণ সন্দেহ করতে পারে যে, মোহাম্মদ স্বয়ং উহা নিজ হাতে নকল করেছে।
আদিকাল থেকে রাছুলের নামে কুৎসা রটিত হয়ে আসছে যে, তিনি মূর্খ বকলম ছিলেন এবং বকলম নবির মাধ্যমে কোরান অহি হয়ে প্রকাশ করাকে বেদাতী শিয়া/ছুন্নী মুছলমানগণ একটি অন্যতম মোজেজা বলেও বিশ্বময় প্রচার করতে গৌরব বোধ করেন; এবং তার স্বপক্ষে কোরানে উল্লিখিত ‘উম্মী’ শব্দটি ব্যবহার করেন। মূলতঃ ‘উম্মী’ শব্দটির অর্থ প্রধানতঃ সাদাসিধা, নির্দোষ, সরল প্রকৃতির; ইংরাজিতে যাকে ‘ইন্নোছেন্ট’ বলে কিন্তু তিনি ইল্লিটারেট বা ইডিয়ট ছিলেন না।
আল্লাহ কি! অহি কি! কেতাব কি! জিব্রাইল কি! ইত্যাদি সম্বন্ধে তিনি সম্পূর্ণ অজ্ঞ (উম্মী) ছিলেন। এ অর্থেই তিনি উম্মী ছিলেন এবং তাঁর সম্প্রদায়ও উম্মী ছিলেন; যাদের কাছে এর পূর্বে কোন নবি-রাছুল আসেনি, কেতাবও আসেনি! এমন সম্পদায়কেই কোরানে উম্মী বলা হয়েছে (সাক্ষি নিন: ৩: ২০; ৬২: ২; ২: ৭৮)। এজন্যই নবিসহ আবুযেহেল, আবু সুফিয়ান, আলী, পন্ডিত মাবিয়াসহ কবি-সাহিত্যিক, দার্শনিক, রাজনীতিবিদসহ পূর্ণ জাতিটিকেই ‘উম্মী’ বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত:
মূলতঃ তিনি আবুযেহেলদের চেয়েও উন্নত লেখা-পড়া জানতেন এবং গাণিতিক হিসাব নিকাশও জানতেন; নতুবা বিবি খাদিজার আন্তর্জাতিক ব্যবসা কি করে পরিচালনা করতেন!
বকলম, মূর্খ নবি বলে শরিয়ত অধিক গৌরব অনুভব করে! কারণ তাতে আল্লাহর বাণী প্রমানে তারা একটি ঠুনকো যুক্তি পায় বিধায় শব্দটিকে কেন্দ্র করেই শিয়া/ছুন্নীগণ ‘মূর্খ/বকলম বা নিরক্ষর নবি’ বলে সর্বত্রই ধৃষ্টতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
কথিত হয় যে, কোরান কতিপয় লেখক দ্বারা লিখাইতেন এবং উহা জনসাধারণের সন্দেহ মুক্ত ও বিতর্ক এড়াবার জন্য জিব্রাঈল দ্বারা ২বার পরীক্ষা করা হয়েছে বলে গাজাখোরী মিথ্যা হাদিছ রচনা করেছেন; আর এ কারণে সন্দেহ আরো বাড়ার কথা। কারণ: অহি করেছে আল্লাহ, বহন করেছে জিব্রাইল, শুনেছেন মোহাম্মদ, লিখেছেন ছাহাবাগণ; অতঃপর ছাহাবাদের লেখা পরীক্ষা করেছে জিব্রাইল। সুতরাং কোরানের নির্ভূলতা সম্বন্ধে শোনা (গৌণ)সাক্ষি ছাড়া মহানবির দেখা বা পড়া (মুখ্য)সাক্ষির কোন নিশ্চয়তা থাকে না; তাদের বিশ্বাস মোহাম্মদের সে যোগ্যতাও ছিল না!
তাদের বংশ পরম্পরায় মৌলবাদী অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করত: উল্লিখিত আয়াতগুলি মূল্যায়ন করা উচিৎ যে, উহাতে প্রমান করে ‘মোহাম্মদ লিখতে-পড়তে পারতেন।’ সুতরাং তারা যদি উল্লিখিত আয়াতগুলি অস্বীকার না করতেন তবে: “অহি শুনেছেন মোহাম্মদ, লিখেছেন মোহাম্মদ, প্রচার করেছেন মোহাম্মদ এমনকি পরীক্ষাও করেছেন স্বয়ং মোহাম্মদ;” এই বাস্তব সুত্রের উপরে বিশ্বাস থাকতো। আর তাতে কাল্পনিক এবং অপ্রামানিক নেশাগ্রস্ত সাক্ষি দেওয়ার জন্য জিব্রাইল সাহেবকে টেনে আনার দরকার হতো না! মহানবিকেও খাটো করার প্রয়োজন হতো না! শুধু মোহাম্মদই নন, এমন উম্মী ছিলেন আদম থেকে সকল রাছুল-নবিগণ; বিশ্বের অধিকাংশ শ্রেষ্ঠ দার্শনিক, বৈজ্ঞানিকগণ; তাই বলে তারা লিখতেও জানতেন না পড়তেও জানতে না এ ধারণা গন্ড মূর্খরাই করতে পারে।
মাত্রাতিরিক্ত:
তাছাড়া সময় অসময় নেই অহি আসতো আর তিনি ভোরে বা রাতে লেখকদের খবর দিতেন, অপেক্ষায় থাকতেন লিখাবার জন্য? কোরানে এমন কোন সাক্ষি নেই যে দীর্ঘ ৩০পারা কোরান লিখাতে নবিকে কখনও অহি করেছেন যে, ‘অমুককে ডেকে আনো এক্ষুণি অহি করা হবে!’
মূলতঃ মহানবি যে লেখা-পড়া জানতেন বা লিখতে পড়তে পারতেন তা এমনকি শরিয়তের হাদিছেও প্রমান দেয় যে, তিনি যেখানেই যেতেন পকেটে সকল সময়ই কাগজ-কলম রাখতেন। [দ্র: সাবমিশনডটঅর্গ]
নিজে কাগজ-কলম সঙ্গে রাখতেন, অথচ লিখতে পারতেন না! আর অহি হলেই পকেট থেকে কাগজ-কলম বের করে অন্যের স্মরণাপন্ন হতেন! শরিয়তের একটি মাত্র হাদিছেও তা প্রমান নেই।
বিবি খাদিজা, বিবি আয়শাসহ তাঁর অনেক বিবিগণই লেখাপড়া জানতেন বলে ইতিহাস পাওয়া যায়, এবং হাদিছ সাক্ষি দেয় যে, বিবি আয়শার বিছানায় ঘুমাইলে রাতে নাকি অহি বেশি বেশি আসতো (দ্র: বোখারী, ৩য় খন্ড,পৃ: ১১, সাইখ আজীজুল হক)! কিন্তু মহানবি অহি লেখাবার জন্য বিবি আয়শা বা অন্য বিবিগণের স্মরণাপন্ন হতেন বলে কোন ইতিহাস নেই, নেই একটি মাত্র হাদিছ।
কথিত হয় যে, মহানবির জীবণ সায়াহ্নে লিখিতভাবে উত্তরাধিকার নিযুক্ত করতে চেয়েছিলেন এবং ছাহাবাদের কাছে কাগজ-কলম চেয়ে ছিলেন; কিন্তু হযরত ওমর তাঁর অসুস্থতার অজুহাতে কাগজ-কলম দেননি। বাস্তবিকই যদি তিনি লিখতে না জানতেন তবে কাগজ-কলম চাইতেন না আর ওমরও প্রতিবাদ করতেন না; বরং শরিয়তের ধারণা মতে তিনি যা লিখতে চেয়েছিলেন তা মৌখিক ঘোষনাই করে দিতেন! কিন্তু তিনি লেখার সুযোগ পাননি বলে মনের কথা ঘোষনাও করেননি!
এবার আশা করা যায় যে, শিয়া/ছুন্নীহানাফি/কাদিয়ানীদের ১৫ শ' বছরের ভ্রান্ত ধারণা/কলংক থেকে মহানবিকে মুক্ত করা হলো!
বিনীত।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
ক থেকে চ পর্যন্ত ৬টি সাক্ষির মৌলিক দর্শন, সমর্থন মতে রায় দিলে ভালো হতো।
বিনীত।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: কোরআন আসার আগে নবী সাঃ অজ্ঞ ছিলেন।
সূরা নিসা-১১৩> আল্লাহ্ আপনার প্রতি ঐশী গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না । আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা অসীম।
জানতেন না মানে অজ্ঞ ছিলেন। আর পরবর্তীতে বিজ্ঞ হওয়ার পর উনি শিক্ষা দিতেই পারেন। তার মানে এই নয় যে তিনি ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞ ছিলেন। তিনি সাধারণ ব্যক্তির মতোই ছিলেন। তবে কোরআন নাজিলের পর তিনি হলেন শিক্ষক যিনি তার সাহাবীদের শেখাতেন কিতাব ও হিকমাহ।
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. অজ্ঞ আর নিরক্ষর, বর্বর, মূর্খ, বকলম এক কথা নয়।
বিনীত।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪
কে এস আরেফিন বলেছেন: আপনার এই লেখা পড়ে অনেকে দ্বিধায় পড়বে সন্ধেহ নাই।
আপনারা যারা এই লেখা পড়ে দ্বিধায় পড়বেন তাদের কাছে আমার অনুরোধ এখানে উল্লেখ করা আয়াত গুলো নিজে কোরআন শরীফ দেখে আরবি এবং বাংলা অর্থ পড়ুন এবং বুঝুন এরপর এখানকার কথা গুলো মিলিয়ে দেখুন দেখবেন কত নগন্য উপায়ে ইসলামকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ধরনের লেখা এই জন্য লেখা হয় যে এরা জানে যে মুসলমান আজ তার ধর্ম থেকে অনেক দুরে সরে গেছে, মুসলমানরা নিজেরাই নিজেরদের ধর্ম ঠিকমত জানে না এমন কি জানার চেষ্টাও করেনা। আজ যদি আমরা নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখতাম তাহলে এই ধরনের লেখা লেখার আগে অনেক চিন্তা করা হত।
এবার আপনার উত্তরে যাই-
ক. [৬২: ২] -তাদের নিকট তাঁর আয়াত/কেতাব পড়ে শুনায়; তাদের পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত-।
সঠিক:-
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত| ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত|
খ. [৪৪: ১৪]-অতঃপর তারা তাকে অমান্য করে বলে, ‘শিক্ষিত পাগল/শিখানো কথা বলে, সে ত পাগল।’
সঠিক:-
ثُمَّ تَوَلَّوْا عَنْهُ وَقَالُوا مُعَلَّمٌ مَّجْنُونٌ
অত:পর তারা তাকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে এবং বলে, সে তো উম্মাদ-শিখানো কথা বলে
গ. [২৯: ৪৫] তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পড়-।
সঠিক:-
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন| নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে| আল্লাহ্ র স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ| আল্লাহ্ জানেন তোমরা যা কর|
তিনি পড়তে/লিখতেও জান্তেন:
গ. [২৫: ৫] উহারা বলে, এগুলি তো আদিকালের উপকথা, যা সে (মোহাম্মদ) লিখে রাখে। যেগুলি সকাল সন্ধা তাকে পড়ানো/শিখানো হয়/তাঁর নিকট আবৃতি করা হয়।
সঠিক:-
وَقَالُوا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلَى عَلَيْهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
তারা বলে, এগুলো তো পুরাকালের রূপকথা, যা তিনি লিখে রেখেছেন| এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর কাছে শেখানো হয়|
ঘ. [৯৬: ১-৪] তোমার প্রতিপালকের নামে পড়-যিনি লিখিতভাবে/লিখার মাধ্যমে (পেন্সিল/কলমের সাহায্যে) শিক্ষা দিয়েছেন।
সঠিক:-
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِنْ عَلَقٍ
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে।
পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।
যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন।
চ. [২৯: ৪৮] তুমি তো অতীতের কোন কিতাব (নিজে) লিখনি বা পড়নিও, যাতে মিথ্যাবাদীগণ তোমাকে সন্দেহ করতে পারে। (লেখ-পড়া না জানলে তারা তাকে সন্দেহ করার কোনই হেতু ছিল না!)
সঠিক:-
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি| এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত|
এগুলোর পর আমি বলি কি আপনি হয়তো জানেন না কোরআন হেফজ করা যায় আর হেফজ হওয়ার পর আর দেখে পাঠ করা লাগে না। আজ পৃথীবিতে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ কোরআন হেফজ করে আছেন, কোরআন ছাড়া আরও অনেক গ্রন্থ আছে কিন্তু কোন গ্রন্থই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সাধারন মানুষের হেফজ করেছে এমন কোন নজির দেখাতে পারা যায় না। এটাই কোরআনের এবং রসুল(সা এর মোজেজা।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. সম্ভবত আপনি আরবিতে পন্ডিত হলেয়ো (কি জানি!) বাংলায় এবং দোয়াল্লীন/জোয়াল্লীনে একটু সমস্যা আছে।
২. উভয়ের কোট করা অনুবাদগুলি পরস্পর বিপরীত কিছু আছে বলে প্রমান হয়নি। আপনার অনুবাদ গ্রহনেয়ো কোন বিপত্তি নেই!
৩. ক্ষেত্র বিশেষে পূর্ণ আয়াতটি দেয়া হয়নি; তা যে অপূর্ণ বা সংক্ষেপ তা বাক্যের মাঝে মাঝে দেখুন ( - ) ড্যাস আছে; প্রতিপাদ্যে যা দরকার শুধু মাত্র সেটুকুই তুলে ধরা হযেছ! তাতে সমস্যার কোন কারণ নেই! আর মূল দর্শনে কোনই ব্যাঘাত ঘটে নাই। সা:, আ: মো: ইত্যাদিতে সমস্যা আজ পর্যন্ত হয়নি!
৪. ব্লগারগণ কিন্তু য়োয়াজ নছিহত শুন্তে আগ্রহী নন! নির্ভরশীলো নন! তারা যুক্তি, দলীল প্রমানের উপর নির্ভরশীল; সুতরাং শিয়া/ছুন্নীদেরকে নিয়ে আপনার হতাস হয়োয়ার কারন নেই।
৫. দেড় লক্ষ হাফেজের মাথায় স্ব স্ব বিশ্বাস রাখলেই ঐ দিন আপনাকে ছাড় দেয়া হবে না। আপনি বরং এখনি অন্তত ১টি মাত্র ছুরা বাকারা মুখস্ত করে মাস খানেক পরে পরীক্ষা করে দেখুন যে, হুবহু আপনার মনে আছে কিনা! তাতে বংশ পরম্পরায় অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করত হাক্বুল একিনে পৌছতে পারবেন! কোরানের নামে মিথ্যা বা অনুমান করে য়োয়াজ করার দরকার হবে না। তা না পারলে অন্তত বাংলাদেশের ১০ জন হাফেজের হঠাত করে সতর্কতার সহিত পরীক্ষা নিন যে, তাদের মুখস্ত করা কুরান হুবহু মুখস্ত আছে কি না? মাত্র ১বার পরীক্ষা করলেই কোরানের মোজেজা বুঝে যাবেন। আপনাকে য়োয়াদা দেয়া যায় যে, মাত্র ১ জন হাফেজো পাশ করতে পারবেন্না। যেমন পাশ করা সম্ভব নয় ২/৫ বছর পূর্বের একজন বি এ পাশ করা লোক এক্ষণে ঐ একই প্রশ্ন পত্রে পরীক্ষা দিয়ে পুন পাশ করা। আশা করি বিশাল অন্ধ-ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে এ মুহুর্তে আল্লাহ আপনাকে মুক্তি দিলেন!
৬. বক্তৃতা করা আর বক্তৃতা পাঠ করার পার্থক্য আপনার জানা বোঝা উচিত যেহেতু আপনি কোন না কোন রাজনীতির নেতা। নমাজ পড়া আর মুনাজাত করা; অজু পড়া, পায়খানা পেশাব পড়া প্রার্থনা, পুজা পড়া আর বই-কেতাব পড়া সমান নয়।
৭. সে যাক মৌলিক কথা হলো আপনার বিশাল বক্তব্যে রাছুল যে, গন্ড মূর্খ, নিরক্ষর, বর্বর বা বকলম! তা প্রমান করতে সফল হননি! তবুয়ো তাকে ১৫ শ' বছর যাবত মিথ্যা অভিযোগের আসামী করে রেখেছেন! কিন্তু কেন??? কি স্বার্থ বেদাত প্রযুক্ত শিয়া/ছুন্নী/কাদিয়ানীদের?? কি স্বার্থ উদ্ধার হইছে রাছুলের উম্মত থেকে আবু হানিফা গংদের উম্মতে কনভার্ট হয়োয়ায়?? এবার কোরানের দিকে ফিরে আসবনে কি??????
বিনীত।
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: সুরা আল আ'লা আয়াত ৬ ও ৭ : আমি আপনাকে পাঠ করাতে থাকব, ফলে আপনি বিস্মৃত হবেন না । আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত। নিশ্চয় তিনি জানেন প্রকাশ্য ও গোপন বিষয়।
কোরআন রাসুল(স.) এর হৃদয়ে সংরক্ষিত হয়েছে - কেতাবে নয়। সাহাবী(রা.) গনও প্রতিটি আয়াত নাজিল হওয়া মাত্র মুখস্ত করে নিতেন। কেতাব আকারে কোরআন সংকলিত হয়েছে উসমান(রা.) এর খেলাফতের সময়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. যাক এবারে রাছুলের বকলমত্বতা, মূর্খতার পক্ষে আর সাক্ষি দিচ্ছেন্না?
২. তা হলে বল্তে চাচ্ছন রাছুল নিজে কোরান লিখেন্নি (নিজে না লিখলেয়ো বকলম, মূর্খ গালি দেয়া সংগত নয়) বা লিখান্নি?
৩. উসমান আল্লাহ/রাছুলের বিরুদ্ধে/বিপরীতে (তার যা করেন্নি! চানন্নি!) কেন কোরান লিখলেন?
৪. অহি পেয়েই কি সংকলন করেছেন?
৫. দোয়া করি: পুন প্রশ্নের আগে বর্ণিত সকলের জবাব/ছয়োয়ালের উপর চোখ দিবেন!
ভালো থাকুন।
বিনীত।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫১
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ঘ. [৯৬: ১-৪] তোমার প্রতিপালকের নামে পড়-যিনি লিখিতভাবে/লিখার মাধ্যমে (পেন্সিল/কলমের সাহায্যে) শিক্ষা দিয়েছেন।
সূরা আলাক এর ১-৪ নং আয়াত
১> পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন
২> সৃষ্টি করেছেন মানুষকে রক্ত পিন্ড থেকে
৩> পড় তোমার রব মহিমান্বিত
৪> শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে কলমের দ্বারা
৫> শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না।
আপনি "লিখিতভাবে/লিখার মাধ্যমে" এই অংশটা করা উচিত ছিল ব্র্যাকেটে। আর এই (পেন্সিল/কলমের সাহায্যে) অংশটা দেওয়া উচিত ছিল ব্র্যাকেট ছাড়া। কিন্তু কোরআনে আয়াতকে রেখেছেন ব্র্যাকেটে আর নিজের মন্তব্য লিখেছেন কোরআনের আয়াত আকারে।
আপনি প্রথম আয়াত (তোমার প্রতিপালকের নামে পড়) এর সাথে এ্যাড করছেন ৪ নং আয়াত (শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে কলমের দ্বারা)। আর বুঝিয়েছেন (তোমার প্রতিপালকের নামে পড়+শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে কলমের দ্বারা)। "মানুষকে" শব্দটাও বাদ দিয়ে দিছেন।
এটা কি কোরআনের বিকৃত উত্থাপন নয়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
মেনে নিলাম আপনার কথা! কিন্তু তাতে কি রাছুলের মূর্খতা! নিরক্ষরতা! বর্বরতা! বকলমত্বতা ইত্যাদি প্রমান হয়?????????
বিনীত।
৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনি সার্থক। কারণ আপনি কাট পেষ্ট কইরা নিজের বক্তব্য টা তুলে ধরছেন নিজের মনগড়া ভাবে। এটাও নাস্তিকদের একটা বড় গুণ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
নাস্তিকগণ কিন্তু মুনাফেক/মুশরিকদের তুলনায় অনেক অনেক ভালো। কোরানে তার প্রমান আছে, খুজে নিন।
বিনীত।
৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৪
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সূরা আরাফ-৫৯ থেকে শেষ পর্যন্ত সব নবী রাসুল এর কাজ এর উল্লেখ করা হইছে। তারা প্রত্যেকেই বলেছেন, হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং আমার অনুসরণ কর। এটা পদবী। সব নবীই এই কাজ করছেন। এখানে ঋণের কি আছে তা আমার বোধগম্য নয়। লেখক ব্যাপার টা ক্লিয়ার করলে ভালো হয়।
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. 'এটা পদবী।' বিষয়টা বোধগম্য নয়।
২. হ্যা! ঋণ-টিনের কথাটি কথার কথা মাত্র। মুল কথা হলো: আগের নবি/রাছুলদের কথাই পরবর্তি নবি/রাছুরগণ প্রচার প্রতিষ্ঠা, ব্যাখ্যা তফছির য়ো সংরক্ষণ করেছেন!
পরবর্তি নবি/রাছুরগণ আগের নবি/রাছুলদের কথাই---! পাথর্ক কিছুই নেই। আর পার্থক্য করলেই অমুছলিম, কাফির, মুনাফিক হতে হবে। (দ্র: ৩: ৮৪; ৪: ১৩৬, ১৫০-১৫২; ২: ১৩৬)।
আয়াতগুলির আলোকে শিয়া, ছুন্নী, হানাফি কাদিয়ানগণ আমরা সকলেই অমুছলিম, কাফির মুনাফিক। সুতরাং গালি গালাজ ম জ বাসার কেন শুনবে???
বিনীত।
৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০০
মাহমুদডবি বলেছেন: আবুল
২১ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আবুল অর্থ আব্বা, বাবা, পিতা, জন্মদাতা।
বিনীত।
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: বাসার ভাই,
আমি আপনার বইটি পড়ে বিতর্ক না করার যে সিন্ধান্ত নিয়েছিলাম আসলে সেটাই ঠিক ছিল। অথচ দেখুন কথা বলতে গিয়ে কেমন বিতর্কে জড়িয়ে যাচ্ছি। এতে কি কোন লাভ হচ্ছে? হচ্ছে না - বিতর্ক দিয়ে আসলে কোন কালেও কোন কিছুর সমাধান হয় নি। কারণ বিতর্কের মুল বৈশিস্টই হচ্ছে প্রতিপক্ষের দুর্বলতম/দুরতম/কম গুরুত্বপুর্ণ বিষয়কে সামনে এনে আঘাত করা। এ'ভাবে যখন উভয়ে উভয়ের দুর্বলতা/প্রান্তিক বিষয় খুজতে থাকে তখন তার্কিকদের মাঝে দুরত্ব কেবল বাড়তেই তাকে। এ'জন্যই আদালতে যখন দুই পক্ষের উকিল তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে তখন বিচারকগন উপস্থিত থাকেন। চিন্তা করুনতো একটা আদালতের কথা যেখানে কোন বিচারক নাই শুধু উকিলরাই বিতর্ক করে চলেছে? সেটা কি একটা হাস্যকর বিষয় হয়ে যায় না?
এ'সব বিতর্ক বাদ দিন। আসুন আমরা বরং জানার জন্য আলোচনা করি। আপনাকে আমি কিছুদিন আগে জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি যে মতবাদ প্রবার করছেন তার ভিত্তিতে আমাদের কী হবে যারা আপনাকে প্রত্যক্ষান করছি। আপনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেলেন। যাক উত্তর দিতে না চাইলে তো আর কিছুই করার নেই। আজকে বরং আর একটা কথা জিজ্ঞেস করি - আপনি কি ধ্যান/মেডিটেশন করেন বা আপনার মানব ধর্ম কি ধ্যান/সাধনাকে উৎসাহিত করে বা ধ্যান/মেডিটেশন সম্পর্কে আপনার মানব ধর্মের দৃস্টিভঙ্গি কি?
জানি না এই প্রশ্নের উত্তরও পাব কি না - না দিতে চাইলে সেটা সরাসরি বলে দিলেই হবে - কৌশলে এড়িয়ে যাবার প্রয়োজন নাই।
ভাল থাকুন - আল্লাহ আমাদের সহায় হোন - আমীন।
১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আর একটা বিষয় - আপনি এক কমেন্টে বলেছেন:
"জাকারীয়াকে রেপ কেসের আসামী করে করাত দিয়ে ২ টুকরা করছে! "
আমি আগেও লোকমুখে শুনেছি যে যাকারিয়া(আ.) গাছের মধ্যে লুকিয়ে ছিলেন আর মানুষ সেই গাছ ওনাকে সহ করাত দিয়ে কেটে ছিল। কিন্তু কোরআনের কোথাও এই ঘটনা খুজে পাচ্ছি না - 'যাকারিয়া' দিয়ে সার্চ দিলে ৬ টা আয়াত পাওয়া যায় যার কোনটাই এই ঘটনার সাথে সংশ্লিস্ট নয়। আপনার কাছে কি কোরআনের রেফারেন্স আছে নাকি বিষয়টা কেবলই প্রচলিত উপকথা গল্প কাহিনী?
২২ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:৩০
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. তর্ক-বিতর্ক ২ ব্যক্তির মধ্যে হলেয়ো শুধু মাত্র ২ জনের জন্যই করা হয় না/সীমাবদ্ধয়ো থাকে না। এই পরম নিয়তেই করা হয়; সুতরাং এ বিষয় কখনো হতাস/নিরাশ হয়োয়া ঠিক নয়।
২. ‘কোরান বনাম শরিয়ত’ বইটির প্রতিটি দর্শন প্রতিটি পৃষ্ঠা, প্রতিটি পারার বিষয়বস্তু কোরানের আলোতে সুঠামভাবে প্রতিষ্ঠিত। তদুপরি আপনার সাথের যাবতিয় বিতর্কের বিষয়বস্তুয়ো অনুরূপ প্রতিষ্ঠিত বিধায় উহা খন্ডানোর ক্ষমতা মানুষ/জ্বীন/ ফেরেস্তার নেই! আমি নিজেয়ো চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। কারণ উহা একমাত্র আল্লাহর কোরানিক দর্শন! তারপরো যদি কেহ উহাকে আলাদা/ব্যক্তি মতবাদ বলে আখ্যায়িত করে তবে সে ব্যক্তি অবশ্যই কোরান সম্বন্ধে তিল পরিমাণো ধারণা নেই অথবা আবু হানিফা, বোখারীদের ২ নম্বরী কেতাব, ফতোয়া ব্যতীত কোরান মানেন্না, মানবেনই না; সুতরাং:
আপনি যে মতবাদ প্রচার করছেন তার ভিত্তিতে আমাদের কী হবে যারা আপনাকে প্রত্যক্ষান করছি। একাধিকবার উত্ত প্রশ্নের পরো উত্তর দেয়া প্রয়োজন অনুভব করিনি, আজো করি না। কারণ:
৩. কোরানিক মতবাদ প্রত্যাখ্যান করে, ‘মুছলিমত্বে সন্তুষ্ট না হয়ে রাছুলের বিপরীতে ভন্ডদের বেদাত যুক্ত শিয়া, ছুন্নী, হানাফি, কাদিয়ানী মুছলিম ধারণ করে আপনাদের কি ছোয়াব হলো! বরং সে ফলটাই ঐ প্রশ্নের উত্তর; যাতে আপনার কোনই সন্দেহের উদ্রেক হবে না, পুন তর্কেরো প্রয়োজন হবে না!
৪. ছালাত মানেই প্রার্থনা; প্রার্থনা মানেই আরোধ্য বিষয়বস্তু প্রাপ্ত হয়োয়া; ছালাতের অপর নাম মেডিটেসন। রাছুল হেরার গর্তে, বুদ্ধ ডুমুর গাছের তলে, রাম বনবাসে যে ছালাত করে রাছুল/নবি হলেন সেটাইইই প্রকৃত ছালাত। শীব, কৃষ্ন, নানক, ঈছা, মূছাসহ সকল নবি-রাছুলগণই ঐ ছালাত করে স্ব স্ব আরোধ্য বিষয়বস্তু প্রাপ্ত হয়েছেন! আর সর্ব প্রধান এবং সর্বশেষ আরোধ্য বিষয় হলো নিজকে চেনা। অর্থাত আপনা দেহের সাথে আপনা জীবনের সম্পর্ক-সাক্ষাত। (৮: ২৪; ২৪: ৩৫; ৫০: ১৬) ভন্ড, মৌলবাদী দল উপদলের প্রচলিত নামাজ/পুজা/প্রেয়ার ঐ মূল ছালাত/মেডিটেসন থেকে সমস্ত জাতিকে পদস্খলিত করেছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে আপনাদের দলীয় ২ নম্বরী বইতেয়ো উহার সাক্ষি পায়োয়া যায়!
ক. মান আরাফা নাফছাহু ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু = যে নিজকে চিনেছে সে তার রবকেয়ো চিনেছে।
খ. কুলবুল মুমেনীন আরশিল্লা= আদর্শ/নিবেদীত লোকের হৃদয়ই আল্লাহর আসন।
গ. কোন এক যুদ্ধে আলীর পায়ে তীর বিদ্ধ হয় যা কিছুতেই খুলতে পারছিলেন্না অতপর তিনি বল্লেন: ‘আমি যখন ছালাতে মগ্ন হই, ঠিক তখনই তীরটি টেনে বের কর! এবং সেভাবেই উহা বের করা হয় তিনি টেরয়ো পান্নি। (দরকার হলে মোল্লাদের কাছ থেকে রেফারেন্স নিন)।
মূলত: আপনারা কোরান তো মানেন্নাই অতপর ফতোয়া হাদিছো মানেন্না! আপনারা সংখ্যা গরিষ্ঠ মুনাফিক/মুশরিক (আমিয়ো) ১২: ১০৬)।
৫. জাকারিয়ার ঘটনাটা কোরানে সরাসরি পায়োয়া যায়নি। বহু নবিকে হত্যা করেছে, তা পায়োয়া যায়! আর নবিদের হত্যার কারণ গৌণ! হত্যাটাই মূখ্য।
৬. আল্লাহ আমার সহায় হয়েছে! এখন আপনাদের সহায় হলে হোক!
বিনীত।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৭
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি কোরআন ও শরিয়ত গ্রন্থে যা লিখেছেন এবং আমি একজন স্বাধারন পাঠক হিসেবে যা বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে আপনার বক্তব্য হচ্ছে এই দুনিয়াই সব - মৃত্যুর সাথে সাথেই এর সমাপ্তি - বেহেশত দোজখ যা কিছু সব এ'খানেই - এই দুনিয়ায় প্রশান্তিতে থাকাই জান্নাত - প্রয়োজন হচ্ছে শয়তান যা মানুষের প্রশান্তি নস্ট করে ইত্যাদি ইত্যাদি। এই মতবাদ অনুসারে দুনিয়াতে যে প্রশান্তিতে থাকেই সেই সফল - যারা দুনিয়ার প্রশান্তি পায়না তারাই বিফল। জানি না কতটুকু বুঝেছি - যদি বুঝের ভুল থেকে থাকে ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব। যদি এ'টাই ঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনার মতবাদ মানা না মানায় কিছুই এসে যায় না। দুনিয়ার কস্টতো অতি সাময়ীক - আর দুনিয়াতে মানুষ কখনই শুধুমাত্র কস্টে থাকে না - কিছু সুখ কিছু আনন্দ সবসময়ই থাকে। কাজেই আপনাকে প্রত্যাক্ষান করে, আপনার মতবাদ অনুসরন না করে আমরা খুব একটা বিপদে নাই!!
কিন্তু কোরআন পড়ে আমি নিজে যা বুঝেছি তার ভিত্তিতে আমার বিশ্বাস এই জগত অতি ক্ষনস্থায়ী। মৃত্যুর সাথে সাথে আমরা আর একটা চিরস্থায়ী জগতে প্রবেশ করব। সেই জগতে এই দুনিয়ার জীবনের ভাল ও খারাপ কাজের অতি সুক্ষ্ম বিচার হবে এবং যে অপরাধী বিবেচিত হবে সে চিরস্থায়ী জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। যদি আমার বিশ্বাস সঠিক হয় এবং ভ্রান্ত বিশ্বাস ধারন ও প্রচারের দায়ে আল্লাহ যদি সেদিন আপনাকে অপরাধী সাব্যস্ত করেন(আমি দোয়া করি তেমনটি যেন না হয়) তাহলে আপনার অবস্থা কী হবে একবার চিন্তা করে দেখার অনুরোধ করছি। আমি আবার বলছি এ'ব্যাপারে বিতর্ক চাই না - আল্লাহ বলেছেন:
"আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। অতঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর শুধু পারস্পরিক জেদের বশবর্তী হয়ে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, আপনার পালনকর্তা কেয়ামতের দিন তার ফয়সালা করে দেবেন।৪৫:১৭ "
সুতরাং মতোভেদ থাকবে এবং শেষ বিচারের দিন আল্লাহই সব মতোভেদের ফয়সালা করে দেবেন। আশা করি সেই পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করতে সমস্যা হবে না।
মেডিটেশন বা ধ্যান সম্পর্কেও আপনার সাথে আমি একমত নই। আমি মনে করি ধ্যানের মাধ্যমে যে শক্তির সাথে সম্পর্ক করা যায় তা আল্লাহ নয় বরং তাও আল্লাহর তৈরী কোন শক্তি। কারণ ধ্যানের মাধ্যমে পাওয়া সেই শক্তিকে মানুষ কাজে লাগাতে পারে - আপনার পিতা সম্ভবত এই শক্তি কাজে লাগিয়েই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেখেছিলেন। যা মানুষ নিজের ইচ্ছায় নিজের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারে তা আল্লাহ হতে পারে না। যাই হোক আমার প্রশ্নের কারন সেটা নয়। বরং আমি নিজেও মেডিটেশ সেখার জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ৪ দিনের কোর্সে অংশ নিয়ে ছিলাম। আমি দেখেছি সেখানে তারা বলে ধ্যানের গভীর স্তরে গিয়ে কোন কিছু কল্পনা করলে তা সত্যি বলে মনে হয়। তারা তাদের পদ্ধতিতে মেডিটেশন করানোর সময় বিভিন্ন সুন্দর স্থানের বর্ননা দেয়। কিন্তু আমি কখনই সেইসব স্থানকে বাস্তব হিসেবে উপলব্ধি করিনি। আমার সাথে কোর্সে অংশ নেয়া আরেকজনের সাথে আলাপ করে দেখেছি যে তিনিও তেমন কিছুই অনুভব করেন নি। পরে কোয়ান্টামের লোকদেরকে বষয়টি জানালে তারা বল্ল এটা নাকি ধ্যানের গভীরতার উপর নির্ভর করে আর ধ্যানের গভীরতা নির্ভর করে বিশ্বাসের উপর। কোয়ান্টাম বা এর গুরুজীর উপর আমাদের বিশ্বাস গভীর ছিল না বলেই আমরা ব্যার্থ হয়েছি। আপনি যদি ধ্যানের পথে অগ্রসর হয়ে থাকেন তাহলে হয়ত সেই গভীরতায় পৌছাতে পেরে থাকবেন। সেটা জানার জন্যই প্রশ্ন করেছিলাম - আসলেই কি আপনি ধ্যানের সেই স্তরে পৌছাতে পারেন যেখানে কল্পনার সবকিছু বাস্তব হয়ে দেখা দেয়?
যাকারিয়া(আ.)কে করাত দিয়ে কাটার ঘনটাটা তাহলে সঠিক নয়। আর অন্য যেসব নবীকে হত্যা করা হয়েছিল তাদের জাতির কী হয়েছিল সে ব্যাপারে কোরআনের বক্তব্য কি? আমি কোরআনে যত নবীর কথা পেয়েছি তাদের সবাই প্রকাশ্যে দাওয়াত দিয়েছেন - যে জাতি মেনেছে তারা উন্নত হয়েছে আর যে জাতি মানেনি আল্লাহর গজবে তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। এমন কোন নবীর ঘটনা আমি পাইনি যে নিরবে তার কাজ করে গেছেন তার জাতিও কিছু জানে নি আর তাকে অমান্য করার পরও তার জাতির কিছুই হয়নি। আপনি কি এ'রকম কোন নবীর ঘটনা কোরআন থেকে দেখাতে পারেন?
৬. আল্লাহ আপনার সহায় হয়ে থাকলে সেটা খুবই আনন্দের কথা! কিন্তু আমরা সন্দেহবাতিকগ্রস্থ সাধারণ মানুষ সেটা সহজে মানতে রাজি নই। আমরা মহানবী (স.)কেও সহজে মানি নি - তায়েফের ময়দানে পাথর মেরে রক্তাক্ত করেছি এবং তিনি তা সহ্য করে আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। বরং আল্লাহর সহায় পাওয়া ব্যাক্তিদের চরিত্রের সাথে মিলাতে গেলে মনে হয় তাদের আরো অনেক বেশী বিনয়ী ও ধৈর্য্যশীল হওয়ার কথা যা আপনার কথা বর্তায় খুব একটা দেখা যায় না। আমরা বরং আপনাকে দেখি অহংকারী, রাগী, প্রতিপক্ষকে অভিশাপকারী, একগুয়ে ব্যাক্তি হিসেবে। যে শক্তির সহায় হয়ে মানুষ এ'রকম হয়ে যায় সেই শক্তি আর যাই হোক আল্লাহ হতে পারে না - আপনি আবার চিন্তা করে দেখুন কোন শক্তির হাতে নিজেকে সপে দিয়েছেন - কোন বিপদ মাথায় নিয়ে একগুয়েরমত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছেন? আপনার ফিরে আসার সময় থাকবে মৃত্যু পর্যন্ত - মৃত্যুর পরে আর সংশোধনের সময় পাবেন না। আশা করি আল্লাহ আপনাকে চুড়ান্ত ধ্বংসের আগেই উপলব্ধির সুযোগ দিয়ে রক্ষা করবেন - আমীন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম ভাই,
আমার জন্য দোয়া করতে পারতেন যে, ম জ বাসার যাইই করুক সবই ঠিক! যদি মরার আগে কলেমাটা পড়তে পারে! বাস!
নিশ্চিত থাকুন যে, কলেমাটা মুখস্তই আছে।
বিনীত।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:০৭
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ব্লগিয় পরিবেশে কোন কমেন্টের উত্তর দেয়া না হলে বা এড়িয়ে গেলে ধরা হয় লেখক সেই কমেন্টটি মেনে নিয়েছেন। আমি কি ধরে নেব উপরের কমেন্টের কথাগুলি আপনি মেনে নিয়েছন বা উত্তর জানা নাই??
মরনের আগে কালেমা পড়ার ব্যাপারে আপনি যে ভুল ধারনায় আছেন সম্ভবত অন্যসব ভুলের অন্যতম উৎস সেটি। কথাটা এ'ভাবে চিন্তা করুন - "বি.সি. এস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় ১০০ টি বৃত্ত যে সঠিক ভাবে পুরোন করতে পারবে সি নিশ্চিত ভাবেই পাশ করবে।" কথাটা কি ভুল? নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু কে তা পারবে? যে সারা বছর ভাল ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে সেই পারবে। কিন্তু যে প্রস্তুতি নেয় নি তার কী হবে?
মৃত্যু হচ্ছে জীবনের ফাইনাল পরীক্ষা - ঐ ভয়াবহ মৃত্যুর মুখে দাড়িয়ে যে কালেমা পড়তে পারবে আল্লাহকে নিজের রব এবং মুহাম্মদ(স.)কে নিজের নেতা বলে ঘোষনা করতে পারবে সে নিশ্চয়ই মুক্তি পাবে - কিন্তু কে তা পারবে? যে সারা জীবন আল্লাহর নির্দেশ রাসুল(স.) এর সুন্নত অনুযায়ী পালন করেছে সেই পারবে কারণ আল্লাহই তাকে তা করার সুযোগ দেবেন। আর আল্লাকে যে সারা জীবন মানেনি, রাসুল(স.)কে যে অপমান করেছে সে কালেমা যতই মু্খস্ত করুক ঐ সময় তা বলতে পারবে না। ঠিক সেই পরীক্ষার্থীরমত যে আসল পড়াশুনা না করে শুধু বৃত্ত ভরাট করতেই শিখেছে আর আশা করছে পরীক্ষার সময় বৃত্ত ভরাট করেই পার পেয়ে যাবে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:২১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. 'মৌন থাকা সম্মতির লক্ষণ' এটা বোখারীদের ২ নম্বরী অহি হাদিছ; কেবলমাত্র বোখারীদের উম্মতগণই তা মান্তে পারে।
২. পুরানো, উল্লেখযোগ্য নয় বিধায় পূর্ববত ধারাবাহিক জবাব দেয়া নিষ্প্রয়োজন মনে হলো। আশা করি ক্ষমা করবেন। আর ম জ বাসারের মত লোকে কাউকে অবমূল্যায়ণ করার অর্থই সে ব্যক্তিটি অমূল্য ধন (কেহ বলে)।
৩. ধর্ম বিষয় ব্যক্তি আবেগ, ভাবাবেগ, কল্পনা, ধারণা, যুক্তি-প্রমানহীন অন্ধ বিশ্বাস গর্হিত আপরাধ। এত্থেকে নিজকে যথা সম্ভব মুক্ত রাখা, মনে করলে উচিত, মনে না করলে না উচিত।
বিনীত।
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:১৭
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: কি বল্লেন কিছুই বুঝলাম না। মৌনতা সম্মতির লক্ষন এটা যদি আপনি না মানেন আবার প্রশ্নগুলোর উত্তরও না দেন তাহলে আমি কি বুঝব? আমার জানার বিষয় ছিল আপনি ধ্যানের মাধ্যমে ঐস্তরে পৌছাতে পারেন কি না যেখানে সবকিছুই সত্য মনে হয়? যদি না পারেন তাহলে বলে দিলেইতো হয় - আমি নিজে ব্যার্থ হয়ে ছিলাম বলেই জানতে চাচ্ছিলাম আপনি সফল কি না।
৩. জি, এই কথাটা আমার চেয়ে আপনার উপরই সবচেয়ে বেশী প্রযোজ্য। কারণ আপনই ধর্মের নতুন নতুন ব্যাখ্যা হাজির করছেন - আমি নই। আপনিই একবার বলছেন কোরআনই চুড়ান্ত এর বাইরে কিছু বলা যাবে না আবার বলছেন কোরআন নির্ভুল নয়। তাহলে কোরআনের নামে আপনি যা বলছেন তার মধ্যেই যে ভুল নাই সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?
যাইহোক উত্তর দিতে না চাইলে সরাসরি বলুন - উত্তর জানি না বা দেব না। কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নাই।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. অতীব লক্ষনীয় যে, পূর্বের তুলনা দিন দিন আপনার প্রশ্ন পত্র বা সমালোচনার মান তেমন একটা প্রগতিশীল হচ্ছে বলে মনে হয় না।
২. ১৪শ বছরের প্রচলিত নমাজে কি সফলতা অর্জন করেছেন? ঐ ফলাফলেই তো আদর্শ জ্ঞানীদের ভাবিয়ে তোলা দরকার!
৩. কোন্টা আম গাছ আর কোন্টা মাকাল লতা তা কি গাছ লতাকে জিজ্ঞাসা করতে হয়? বাস্তব কর্ম ফলের পাত্তা না দিয়ে মৌখিক বয়ান শোনার আগ্রহের লক্ষণ শুভ নয়! সঙগতয়ো নয়। আর ম জ বাসার অনুরূপ প্রশ্নে লজ্জিত।
৪. কোরান আর কোরান গ্রন্থ এক নয় যা প্রতিবেদনের শুরুতেই বলা হয়েছে। এভাবে অনেক সময় অনেক কিছু অবজ্ঞা করত সময় নষ্ট করা হয় বিধায় সম্প্রতি অনেক প্রশ্ন এড়ানো হয়! এজন্য ক্ষমার চোখে দেখবেন। অথবা যেগুলির উত্তর না দেই বরং নীরব/মৌন থাকি/এড়ানো হয়! সেগুলির উত্তর দিতে অসমর্থই ধরে নিবেন।
৫. শতভাগ প্রশ্নের জবাব দিয়ে শতভাগ মানুষকে সন্তুষ্ট করার জ্ঞান/ ক্ষমতা ম জ বাসারের নেই! আর কোনদিন হবেয়ো না।
বিনীত।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আমরা নামাজে আর কিছু না পাই বিশ্বব্যাপী একধরনের গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছি। সেই মরোক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এবং বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ প্রায় একইভাবে নামাজ পড়ে। আপনি ধ্যানের মাধ্যমে কি কি সফলতা পেয়েছেন সেটাই জানতে চাচ্ছি। আপনাকে ব্লগের মাধ্যমে যতটুকু চিনেছি, আপনার রাগ, অহংকার, একগুয়েমী, প্রতিপক্ষকে গালাগাল, কোরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা ইত্যাদি যা দেখেছি তাতে মনে হয় সফলতার চেয়ে আপনার ব্যার্থতার পাল্লাই বেশী। বাস্তব জগতের কেউ আপনার কথা শোনে না বলেই ভার্চুয়াল জগতে এসেছেন - এই কথা কোন এক কমেন্টে আপনিই বলেছিলেন। এ'খন আমি জানতে চাইলাম ধ্যানের সেই স্তরে যেতে পেরেছেন কি না যেখানে যেতে আমি ব্যার্থ হয়েছি - আপনি সেটারও উত্তর দিচ্ছেন না। তাহলে কি আমি ধরে নেব সেখানেও আপনি ব্যার্থ??
২৪ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. যা পেরেছি/পেয়েছি তা অনবরত দিয়েই যাচ্ছি মোটেই কার্পণ্য করছি না! তবুয়ো ফাল্তু ম জ বাসারের ব্যক্তিত্বের উপর বিশাল প্রশ্ন করছেন!
২. তার ফলো পাচ্ছি! কোরান অনুযায়ী সকল প্রশংসা আল্লাহর আর তাই সকল কলংক ম জ বাসারের। পক্ষান্তরে শরিয়ত অনুযায়ী সকল প্রশংসা আল্লহর নয়! শরিক আছে রাছুল এবং কাঙগাল মুরশিদগণ।
২. ঐ একই যুক্তিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানগণো গ্রহনযোগ্যতা পেয়ে প্রতিষ্ঠিত আছে।
৩. ঐ দিন আপন কর্ম ব্যতীত সংখ্যা গরিষ্ঠতা, ভোটাভুটি, চা-পানি ইত্যাদি দ্বিতীয় কোন কিছুই গ্রহন করা হবে না (২: ৪৮, ১২৩, ২৫৪; ৩৫: ১৮; ৫৩: ৩৮, ৩৯)। আয়াতগুলির উপর সামান্যতম বিশ্বাস থাকলে কি আর অনুরূপ কথা বলেন??
বিনীত।
১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আসল কথার উত্তর না দিয়ে শুধু এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন? ভয় কি, বলুন না ধ্যানের কতটা গভীরে যেতে পেরেছেন। কোয়ান্টামের গুরুজি যখন বলছিলেন ধ্যানের একটা গভীরতায় সব কিছু সত্য বলে মনে হয়, কল্পনায় আম খেলে সত্যিকারের আম খাওয়ারমত স্বাদ পাওয়া যায় - আমার কাছে তা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় নি। সম্ভবত এ'কারনেই আমি সেই স্তরে পৌছাতে পারিনি। আপনিতো এই লাইনে বহুদিন আছেন - বলুন না সত্যিই কি ধ্যানের মাধ্যমে কল্পনাকে সত্যি করা যায়? আপনার নিজের অভিজ্ঞতা আছে কি না - মানে আমি একজন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞ ব্যাক্তির কাছ থেকেই শুনতে চাচ্ছি। দেখি বিশ্বাস করা যায় কি না।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. এরিযে যাচ্ছি না! বরং অসমর্থ, দুর্বলতা, মাত্র। আর ৩ নম্বরে ভয়ের কথা বল্তেয়ো পারেন। কারণ সাক্ষি আপনি নিজেই। সদ্য প্রমান ডিলিট/ড্রাফট করা প্রতিবেদন। আর বছর ধরে লেখার প্রায় ফল শুন্যতা (একদিকে)। প্রত্যেকটি মানুষই কিন্তু নিজকে লটারী পায়োয়ার উপযুক্ত মনে করেই লটারী কাটে!
২. এবার আর কোরানে আয়াত দিয়ে আপনাকে বিভ্রান্ত/বিব্রত করতে চাচ্ছি না। এবারে হাদিছ দিয়ে:
ক. আচ্ছালাতু মিরাজুল মুমেনীন= নমাজ বিশ্বাসীদের মিরাজ (আল্লাহ দর্শন)।
খ. কুলবুল মুমেনীন আরশুল্লাহ= মুমীনের হৃদয়ই আল্লাহর আরশ।
১৩ শ' বছরের ঐ হাদিছি বিশ্বাসটি জীবনে কখনো কোনদিন উহার সত্যতার পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন মনে করেন্নি! আজো করেন্না কেন?
৩. হাদিছদ্বয় কিন্তু কোরানীক সাক্ষি: ৮: ২৪; ২৪: ৩৫; ৫০: ১৬ সম্মত।
৪. ছালাত নমাজ যে কন্সেনট্রেসনের মাধ্যমে মেডিটেসন! উল্লিখিত হাদিছ এবং কোরানের আয়তগুলিই অকাট্য প্রমান। কিন্তু প্রচলিত নমাজের নাচানাচিতে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফেলেছে।
৫. সত্য কথা বল্তে কি বাবাকে বলেছিলাম 'কিছু দায়ো বাবা?' বল্লেন: দেয়ার কিছুই নেই! পায়োয়ার অনেক কিছু আছে এবং তা অর্জন করতে হয়।'
বিনীত।
১৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
বাসার ভাই,
আপনি যেভাবে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন তাতে আর আপনাকে একই প্রশ্ন করে বিব্রত করতে চাই না। আসলে কোয়ান্টামে ধ্যান সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনায় যা শুনেছিলাম তার মুল কথা হচ্ছে মানুষ যখন ধ্যানের একটা গভীরতম স্তরে পৌছে যায় তখন তার কাছে নিজের কল্পনার সবকিছু সত্যি হিসেবে দেখা দেয়। আমি নিজে বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারিনি কিন্তু যদি তাই হয় তাহলে কিন্তু তা খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ কেউ যদি কোন ভুল/বিভ্রান্ত বিষয় নিয়ে ধ্যান করে তাহলে তার কাছেও সেই ভুলই সঠিক বলে ধরা দেবে। আমার মনে হয় বিভিন্ন ধর্মের সাধকরা প্রত্যেকে যে নিজের চিন্তাকে সঠিক বলেন তারও কারণ এটিই। ভগবান ওশো রজনীসের বই যদি পড়েন দেখবেন তিনি কত দৃঢ়তার সাথে মুর্তি/তিলক/মন্দির/জন্মান্তরবাদ এ'সবের পক্ষে কথা বলেছেন। এমনকি তিনি নাকি মানুষের বুকে হাত রেখে তার পুর্ব জন্মের কথাও বলে দিতে পারতেন। এতটা দৃঢ়তা উনি কোথায় পেলেন? আমার মনে হয় ঐসব বিষয়গুলি নিয়ে ধ্যানের সেই স্তরে উপনিত হওয়ার কারণে ওনার কাছে ওগুলোকেই সত্য বলে মনে হয়েছে। কাজেই সত্য/সঠিক বিষয় আগে জেনে বুঝে না নিলে ধ্যানের স্তরে মিথ্যা/ভুল বিষয়কে সত্য মনে করারমত মারাত্মক ঝুকি থেকে যায়।
নামাজে মনোযোগ দেয়ার মাধ্যমে যে মেডিটেশন হয়, নামাজ মুমিনের মিরাজ - এ'ব্যাপারেতো কেউ দ্বিমত করেনি। দ্বিমত হচ্ছে নামাজ শুধুমাত্র মেডিটেশন কি না? অথবা নামাজ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র মেডিটেশন করলে নামাজের হক আদায় হবে কি না। আমি কোরআনের একটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি -
"যখন আপনি তাদের মধ্যে থাকেন, অতঃপর নামাযে দাঁড়ান, তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে এবং তারা যেন স্বীয় অস্ত্র সাথে নেয়। অতঃপর যখন তারা সেজদা সম্পন্ন করে, তখন আপনার কাছ থেকে যেন সরে যায় এবং অন্য দল যেন আসে, যারা নামায পড়েনি। অতঃপর তারা যেন আপনার সাথে নামায পড়ে এবং আত্মরক্ষার হাতিয়ার সাথে নেয়। কাফেররা চায় যে, তোমরা কোন রূপে অসতর্ক থাক, যাতে তারা একযোগে তোমাদেরকে আক্রমণ করে বসে। যদি বৃষ্টির কারণে তোমাদের কষ্ট হয় অথবা তোমরা অসুস্থ হও তবে স্বীয় অস্ত্র পরিত্যাগ করায় তোমাদের কোন গোনাহ নেই এবং সাথে নিয়ে নাও তোমাদের আত্নরক্ষার অস্ত্র। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদের জন্যে অপমানকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। ৪:১০২"
এখানে দেখুন প্রচলিত আনুষ্ঠানিক জামাতবদ্ধ নামাযের কথাই বলা হয়েছে। এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও এই নামায ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হয়নি - এটা কি মেডিটেশনমুলক নামায ছিল? যুদ্ধের গন্ডোগোলের মধ্যে কি জামাতবদ্ধভাবে অস্ত্রনিয়ে মেডিটেশন করা যায়?
নামাজ আসলে অনেক কিছু - কখনও এটা মেডিটেশন যেমন ভোর রাতের তাহাজ্জুদ নামায, কখনও এটা সামাজিক শৃংখ্যলার প্রশিক্ষন যেমন মসজিদে জামাতবদ্ধ নামায, কখনও এটা বিশ্রাম - কাজের মাঝে দুপুর ও বিকালের নামায, কারও জন্য এটা শরীর চর্চা - যারা সারাদিন চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করে - এবং সবার জন্য এটা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন ও প্রার্থনার উপায়। আসলে বিশ্বের ৭শ কোটি মানুষ কেউ কারমত নয় - প্রত্যেকের যোগ্যতা, পারিপার্শিক পরিবেশ আলাদা। আর ইসলাম এসেছে প্রতিটি মানুষের জন্য - কাজেই এটা সংকীর্ণ নয় বরং এমনভাবে ফ্ল্যক্সিবল যাতে সব ধরনের সব পরিবেশের মানুষ এখান থেকে উপকার পেতে পারে। এটাই ইসলামের অনন্য বৈশিস্ট্য যা অন্য প্রায় কোন ধর্মেই দেখা যায় না।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:০৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ক. জীব প্রতি মুহুর্তের কাজটি কোয়ান্টম ধ্যানের বশীভুত হয়েই করে। অন্যায়কারী অন্যায় করে অন্যায়কে ন্যায় ভেবে।
খ. এই কোয়ান্টম ধ্যানের বশীভুত হয়েই বাংলার প্রায় শতভাগ শরিয়তী/মৌলবাদীগণ স্বাধিনতার বিরুদ্ধাচারণ গুরুতর অন্যায়কে শ্রেষ্ঠ ন্যায় ভেবেই আপনা জ্ঞাতি গোষ্ঠিকে হত্যা, যুলুম, অত্যাচার করেছে; দেশ স্বাধিন হয়েই প্রমান করেছে যে, শরিয়তের ঈমান মতেই ইহা আল্লাহরই অনুমোদনে হয়েছে। কিন্তু এখনো ৪০ বছর পরেয়ো কোয়ান্টম ধ্যানে বুদ হয়ে আছে বলে আজো অনুশোচনা/অনুতপ্ত (তয়োবা) করতে হৃদয় গলেনি! অথচ তারা জানে যে, যাবতিয় অন্যায়/ভুল অনুশোচনা/অনুতপ্তে (কোরানে যাকে তোবা বলে) সংগে সংগে ভবিষ্যতে পুন: অনুরূপ অন্যায় না করার শপথ করত: উহা রক্ষা করে চল্লেই আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু কোয়ান্টম ধ্যানে তারা নেশাগ্রস্থ হয়ে আছে বলেই জীবন দিতে রাজি কিন্তু এই সহজ, সরল শান্তির পথ প্রহণ করতে রাজি নন!
গ. কোয়ান্টম ধ্যানের নেশায় বুদ হয়েই ‘মুছলিম’ থেকে পরম্পরায় কনভার্ট হয়ে শিয়া, ছুন্নী, কাদিয়ানী ইত্যাদি ৭২/৭৩ দলের স্ব স্বীকৃত হাদিছী ঈমানকে পদাঘাত করে শতের উর্দ্ধে দল উপ দলে বিভক্ত হয়ে আপনার মত্ অনুযায়ী কোয়ান্টম ধ্যানে দুনিয়াকে বিভত্স বিপদজনক করেই রেখেছে। একই কারন নাকের ডগায় কোরান রেখে বিপরীতে ২ নম্বরী হাদিছ> ফেকহা> ফতোয়ায় কোরানকেই গিলে ফেলেছে! মাত্র পড়ার জন্য কোরানকে খেলো করে রেখেছে।
ঘ. কোয়ান্টম ধ্যানে বুদ হয়েই ’কোরান গ্রন্থ ভুলের উর্দ্ধে কি!’ প্রতিবেদনটির যাবতিয় উদড়ের দোষ বুদোড় ঘাড়ে চাপিয়ে ড্রাফট করা হলো! জন্ম জন্মান্তরের, বংশ পরম্পরায় কোয়ান্টম ধ্যানে বুদ হয়েই তো ম জ বাসারের যাবতিয় কোরানিক কোয়ান্টম ধ্যানের ফল সমাজ গ্রহন করতে পারছে না (সত্র: ২: ১৭০)। তারপরো আপনি লিখছেন আমিয়ো উত্তর দিচ্ছি এবং এ সবই কোয়ান্টম ধ্যানের ছোয়াব।
২. মানুষ পড়া-শুনা, চিন্তা-গবেষণা, ধ্যান-তপস্যা করে সত্য আবিস্কার বা উপলব্দি/ভোগের জন্য! ইহার করার পূর্বেই যদি সত্য উপলব্দি হয়ে যায়! অতপর আর ঐগুলির দরকার থাকে কি (হাসালেন)?
৩. তোমরা অন্যকে সত্ কাজের উপদেশ দায়ো আর নিজের কথা ভুলে থাকো? অথচ তোমরা কিতাব পড়ছো! তবে কি কিছুই বুঝ না?(২: ৪৪)। আয়াতটির আলোকে আপনার মতমতগুলি একটিবার নিজের উপর চাপিয়ে দিলে পাপের ভয় নেই!
৪. আজ ১৪’শ বছরে নমাজে মিরাজ হয়েছে এমন কোন সাক্ষি সাবুদ পেয়েছেন কি? উহাতে আপনার ঈমান থাকতেয়ো আাপনার মিরাজ হয়নি কেন? যা পান্নি! তার উপর একমত/দ্বিমতের পার্থক্য খুব একটি তফাত কি??
কোয়ান্টম ধ্যানে পান্নি ১৪ বছরের নাচনী নমাজোয়ো পান্নি! তাই বলে উহা অবিশ্বাস বা ত্যাগ করতেয়ো পারছেন্না! কারন ঐ একই কোয়ান্টম ধ্যানে বুদ থাকার কারনে!
৫. ছালাত বহু রকমের কথাটা আপনার সত্য। আর তাই যাকে নামাজ বলেন উহা কোরানে সাধারণত সকাল-সন্ধা (বিশেষ সময় গভীর রাত তাহাজ্জুদ ৩য়)মাত্র ২ বার; প্রচলিত বাকি ৩বার সন্দেহজনক/ভুল! সুতরাং মসজিদ, যুদ্ধ মাঠের নমাজ বুঝার আগে য়োয়াক্ত সম্বন্ধে সত্যতায় উপনিত হয়ে কোয়ান্টম ধ্যান করুণ অথবা সুত্রটি ভুল স্বীকার করত ধ্যানের মাধ্যমে সত্যে উপনিত হোন!
৬. মেডিটেসন (নামাজী) সফল হয়োয়া সৈনিকদের যুদ্ধ মাঠের নামাজ যুদ্ধে জয়লাভ করার পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা/অনুপ্রেরণা মাত্র। ভিন্ন দায়িত্ব কর্তব্যে নিয়োজিত বিভিন্ন দিকের সৈন্য দলের ভিন্ন পরামর্শযুক্ত জামাত/সমাবেশে একদল অপর দলের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে। উহাই ৪: ১০২’র ছালাতের বিষয়বস্তু মাত্র।
৭. সম্ভবত বহুবার বহুজনকে বলা হয়েছে যে:
শত জনের শত প্রশ্নের শতভাগ সঠিক উত্তর দিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট করার লোক ম জ বাসার নয়।
বিনীত।
১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: না, আপনার সাথে কথা বলা আসলেই কঠীন। যা কিছু বলি সবই ঘুরিয়ে আমার উপর চাপানোর চেস্টা করেন। যে কোয়ান্টাম ধ্যনের গভীরতায় পৌছাতে ব্যার্থ হয়েছি বলে স্বীকার করেছি - সেই ধ্যানের দায়ই আমার ঘারে চাপানো কি ঠিক? আর যাদের কথা বলেছেন তারা কেউ কোয়ান্টামেরমত ধ্যান করে না। আপনি ধ্যান করেন - তবে ঐ স্তরে পৌছাতে পারেন কি না তা স্বীকার করেন নি - তাই ভুলকে সঠিক, কল্পনাকে বাস্তব দেখার ঝুকি আপনারই আছে, যেমন আছে ভগবান ওশো রজনীশের - আমার নাই। সেই ঝুকিতে না পরার জন্যই কোয়ান্টাম ধ্যান ত্যাগ করেছি। ধ্যান করেই যদি সত্য উপলব্ধি করতে হত তাহলে মুহাম্মদ(স.)ই সেই ধ্যানই শিখিয়ে যেতেন - বহু কাজের উপযোগী সালাত নয়। আর কোয়ান্টাম এটাও স্বীকার করে যে সবার পক্ষে ধ্যানের সেই স্তরে পৌছান সম্ভব নয়। অথচ শুধুমাত্র উচ্চ আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্য মানুষের জন্য ইসলাম আসেনি - ইসলাম বরং এমন বিধান যা থেকে সবার উপকৃত হওয়ার সুযোগ আছে। আপনি যেভাবে সবাইকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র নিজেকে এবং নিজের মতকেই সত্য বলে দাবি করেন ইসলাম যদি সত্যিই তেমন হত তাহলে মদিনার অধিকাংশ মানুষও মুসলমান হতে পারত না আর ইসলামী গন-বিপ্লবও হত না। হ্যা, আমি স্বীকার করি ইসলামে ধ্যান বা মোরাকাবার স্থানও আছে - কিন্তু তা নতুন করে সত্য খোঁজার জন্য বা আল্লাহর কাছ থেকে নতুন করে বিধান বুঝে নেয়ার জন্য নয় বরং কোরআনে যা আছে যেভাবে আছে সেটাই হৃদয়ঙ্গম করার জন্য। নিজেকে সেই বিধান মানার উপযোগী করার জন্য।
আমি আপনাকে ইমাম গাজ্জলী(র.) এর 'তাওহীদ ও তাওয়াক্কুল' বইটি পড়ে দেখার অনুরোধ করব। তিনিও ধ্যান বা আধ্যাত্মিকতায় অনেকদুর অগ্রসর হয়েছিলেন - কিন্তু আপনার মত সবাইকে জাহান্নামী আর শুধুমাত্র নিজেকে সত্য সঠিক বলে দাবি করেন নি - বা কোরআনের প্রচলিত অর্থের বাইরে কোন বিশেষ অর্থ উদ্ভাবনও করেন নি।
যাই হোক, ভাল থাকুন। আল্লাহ আমাদের হেদায়াত করুন - আমীন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৩১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. শরিয়তের ৫/৬ য়োয়াক্তি নমাজ রক্ষায় ৪: ১০২ আয়াতটিই শেষ অবলম্বন হিসাবে ব্যবহৃত হতো। আশাকরি আজ আর সেটায়ো অবশিষ্ট নেই।
২. এযাবত যতবারই 'আপনি' কথাটা ব্যবহার করেছি ততবারই আপনার সমাজকে বুঝিয়েছি, ব্যক্তিকে নয়। কারণ এযাবত কোন কথাই আপনার নিজের তরফ থেকে বলেন্নি! সমাজের কথাই বলেছেন। তবুয়ো কেন নিজের উপর টেনে নিচ্ছেন বোধগম্য নয়।
৩. ম জ বাসার সর্বদা শতভাগ কোরানের কথাই বলে; ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষি, যুক্তিপ্রমান ব্যতীত আজ পর্যন্ত কাউকেই জাহান্নামী বা মিথ্যা বলেনি! সে সাহস তার নেই! ধৃষ্ঠতায়ো নেই। কোরানের ছুরা নম্বর, আযাত নম্বরসহ কোরানের কথাই বলে! অথচ কি আশ্চর্য সবই ম জ বাসারের ঘাড়ে চাপানো হয়। শেষ ২টি উদাহরণ:
ক. ৩: ১০৩- ১০৫; ৬: ১৫৮; ৩০: ৩২ আয়াতের তথ্যে আল্লাহ বলে: হিংসা বিদ্বেষের কারনে জেনে শুনে নিজ ধর্মে মত্ মতভেদ সৃষ্টি করে যারা দল উপদলে বিভক্ত হয়েছে তার মুছলিম নয় তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব।
খ. আল্লাহতে বিশ্বাসী সংখ্যাগরিষ্টরাই মুশরীক। (তথ্যসুত্র: ১২: ১০৬)।
গ. শিয়া, ছুন্নী, কাদিয়ানী বেদাত প্রযুক্ত মুছলিম ছাড়া দুনিয়ায় একজনো শুধুমাত্র 'মুছলিম' দাবিদার নেই।
এগুলি ম জ বাসারের মূখে পুরে দিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ সংগত নয় ব্রাদার! লজ্জিত এবং দু:খিত হলাম।
৪. ঐ একই কারনে 'কোরান ভুলের উর্দ্ধে কি!' প্রতিবেদনটি শরিয়তের বাঘা বাঘা তফছিরকারদের মতামত, ইসলামিক ফাউন্ডেসনের মতামত ম জ বাসারের ঘাড়ে চাপিয়ে দস্তুর মত ব্যক্তির উপর যুলুম অত্যাচার করা হয়েছে।
৫. ইমাম গাজ্জালীর বই কোরান অনুবাদের তুলনায় উত্তম নয়; যারা উত্তম ভাবে তাদের কোরানের উপর আস্থা নেই! আল্লাহ রাছুলের উপর বিশ্বাস নেই।
৬. যাইই হোক ব্রাদার! এবারে ম জ বাসার স্থায়ী ব্লক হয়োয়ার আশংকা করছে।
তবুয়ো ভালো থাকুন! তুলনায় আপনাকে ধৈর্যশীল পেলাম। ব্লক হলেয়ো আপনার কথা মনে থাকবে।
বিনীত।
১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৬
পারভেজ আলম বলেছেন: নাস্তিকগণ কিন্তু মুনাফেক/মুশরিকদের তুলনায় অনেক অনেক ভালো। কোরানে তার প্রমান আছে, খুজে নিন।
এটা কি কইলেন? ভাল বা খারাপ মানুষ হইতে মুমিন বা নাস্তিক হইতে হবে কেন? মুনাফেক/মুশরিক কেন, নাস্তিক তো মুমিনএর চেয়েও ভাল হইতে পারে। অন্তত পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুমিনদের চেয়ে ভাল মানুষিতে নাস্তিকদের আগায়া রাখা যায় বটে।
মোহাম্মদ বকলম ছিলেন না বলেই মনে হয়। তিনি পড়া লেখা জানতেন এই মতের পক্ষেই তথ্য বেশী। ইহুদি খ্রীষ্টানরা মোহাম্মদকে তাদের ধর্ম থেইকা কপি করার অভিযোগ করাতেই মুসলমানদের মধ্যে মোহাম্মদ বকলম ছিলেন এই ধারণা প্রসার পাইছে বইলাই মনে হয়।
তবে মোহাম্মদ আগের কোন কিতাব একেবারেই কখনো পড়েন নাই এইটা জোর দিয়া বলার উপায় নাই। খাদিজার পরিবার বেশ শিক্ষিত পরিবার ছিল, খাদিজার চাচা ওয়ারাক্কা ইবনে নাওফল খ্রীষ্টান পন্ডিত ছিলেন, এবং বিভিন্ন ইহুদি খ্রীষ্টান কিতাব আরবীতে অনুবাদ করেন। আর তাছারা, মোহাম্মদ সিরিয়া ভ্রমন করেছেন, নেস্টোরিয়ান খ্রীষ্টানদের সাথে তার মোলাকাতএর বর্ণনা আছে, তিনি নিজেও নেস্টোরিয়ানদের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলেন। মক্কা মদিনায় এবং তার আশেপাশে ইহুদি জনগোষ্ঠির সংখ্যাও কম ছিলনা।
আমুর রুশদি অথবা শাহবাজ নজরুলএর লেখা পড়ি নাই। তবে মুসার কাছে ঋণী যদি সত্য হয় তাইলে ইহুদিদের কাছে ঋণী মিথ্যা বলা কি ঠিক হয়? যতজন নবির নাম পাওয়া যায় কোরআনে তাদের প্রায় সবাইতো ইহুদি ছিলেন।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:০৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. আস্তিক-নাস্তিক, মুমীন-মুশরিক বা মুনাফিক আরবি শব্দগুলির বংগার্থ না জেনেই মন্তব্য করা সংগত নয়।
২. রাছুল বকলম ছিলেন্না তা কোরানের সাক্ষিই যথেষ্ট।
৩. কোরান স্বয়ংই ঘোষনা করে যে, এই কোরান অতীত কিতাবের সমর্থক, সম-অর্থবোধক, অতীত কেতাবেরই কথা এবং উহারই বিশদ ব্যাখ্যা এবং তারই সংরক্ষক। অর্থাত কোরান নতুন কিছু নয়। সুতরাং মুহাম্মদ অতীত কেতাব পড়ছেন কি পড়ছেনা! এসমস্ত প্রশ্ন অবান্তর।
বাংলাভাষা আপনি নকল করেছেন! চিটাগং যায়োয়ার পথ আপনি নকল করেছেন! ২+২ =৪ হয়! তায়ো নকল করেছেন। এসকল অবান্তর কথাই বটে।
বিনীত।
১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:০০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ আমাকে মনে রাখারমত মনে করেছেন বলে। আপনি যেমন আমাকে বলার মাধ্যমে আমার সমাজকে বুঝিয়েছেন যদি আমিও নিজেকে বলতে আমার সমাজকেই বুঝাই তাতেও বক্তব্যের কোন হেরফের হয় না। আমার সমাজ ধ্যানে অভ্যস্ত নয় - তাই তার ঝুকি কম। আপনি এবং আপনার মতবাদের অনুসারীরা ধ্যানে অভ্যস্ত যেখানে ভুলকে শুদ্ধ এবং কল্পনাকে বাস্তব দেখার সম্ভাবনা আছে - তাই ঝুকিটা আপনাদেরই বেশী। আর ধ্যানের মাধ্যমেই যদি সত্য পাওয়া যায় - অথবা যদি বলা হয় ধ্যানের মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তাই সত্য তাহলে ভগবান ওশ রজনীশ, শ্রী শ্রী রবীসংকর এবং আরো বহু মুনি-ঋষি-ভিক্ষুর কথাও সত্য বলে মানতে হয় - সেটা কি সম্ভব? আমার বক্তব্য হচ্ছে কোরআন প্রচারিত হয়েছে সাভাবিক অবস্থায় সাধারন মানুষের কাছে - ধ্যনমগ্ন উচ্চ আধ্যত্মিক স্তরে নয়। কাজেই সাভাবিক অবস্থায় সাধারন ভাবে যা বুঝা যায় তাই কোরআনের আসল বক্তব্য - এবং তাই সাধারনের জন্য যথেস্ট। হ্যা, সুফি সাধকগন মোরাকাবা ধ্যানের মাধ্যমে ভিন্ন কিছু যদি অনুভব করেও থাকেন সেটা তারাও সাধারনের মাঝে প্রচারযোগ্য বা সাধারনের জন্য পালনযোগ্য মনে করেননি - তাই আমার মনে হয় সেই ধ্যানেপ্রাপ্ত জ্ঞান শুধুমাত্র তারজন্যই প্রযোজ্য যে ঐ স্তরে পৌছাতে পারে। সর্বসাধারনের কাছে তা দুর্বোদ্ধ এবং বিভ্রান্তিকর মনে হওয়াই সাভাবিক। এবং সম্ভবত এ'কারনেই আপনার কথা আমাদেরমত সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়নি - আপনার নানা পিতা দীর্ঘ সময় প্রচার করার পরও সাধারন মানুষকে সম্ভবত এ'জন্যই বুঝাতে পারেন নি। আর আপনি একটা কথা প্রায়ই বলেন -"অধিকাংশ মানুষই ইমান আনে না - অধিকাংশ ইমানদারই মুশরিক" আমি এর সাথে আর একটু যোগ করি - "তার পরও অধিকাংশ মানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে এ'জন্যই যে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়,পরম দয়ালু, অসীম মেহেরবান" - এটা আমার ও আমার সমাজের বিশ্বাস।
যাই হোক, এটা আমার একটা পর্যবেক্ষন। সত্য-মিথ্যার চুড়ান্ত হিসেব আল্লাহর কাছেই এবং শেষ বিচারের দিন তিনিই ফয়সালা করে দেবেন। আজকের পত্রিকায় এবং এই ব্লগেও একটা সংবাদ ছাপা হয়েছে - এখানে দেখুন Click This Link
এ'ব্যাপারে আপনার মতামত কি? তিনি কি আপনারই কোন শিষ্য না কি মানব ধর্মের নতুন দাবিদার?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:২০
ম জ বাসার বলেছেন: আর আপনি একটা কথা প্রায়ই বলেন -"অধিকাংশ মানুষই ইমান আনে না - অধিকাংশ ইমানদারই মুশরিক" আমি এর সাথে আর একটু যোগ করি - "তার পরও অধিকাংশ মানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে এ'জন্যই যে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুনাময়,পরম দয়ালু, অসীম মেহেরবান" - এটা আমার ও আমার সমাজের বিশ্বাস।
আবারো আল্লাহর/রাছুল/কোরানের বাণী ম জ বাসারের মূখে পুড়ে দিয়ে আল্লাহ /কোরানের স্থলে ম জ বাসারকেই আসামী করলেন!
২. জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে জান্নাত থেকেয়ো বহিস্কার হয়োয়ার অপসান থাকতেই হয় ব্রাদার।
৩. আর অমূলক, অবান্তর কল্পনাগুলি আপনার দলীয় ভন্ড নবিদের (নবি না হয়েয়ো নবিদের মতই/বিপরীতে কথা বলে) কোরান বিরুদ্ধ অহি। ইহা শিরকী পাপ ব্যতীত সৃষ্টির যাবতিয় পাপ ভ্রান্ত ক্ষমার কলেমাটির পরেয়ো বিভ্রান্তকারীদের মরণ কামড়। অর্থাত জাহান্নামে যায়ো ক্ষতি নেই একদিন না একদিন মুক্তি পাবাই! কোরান বলছে তাদের জন্য চিরস্থায়ী জাহান্নাম (সুত্র দেয়া অপ্রয়োজন)।
ক্ষমতা থাকেতো দুনিয়ার দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/কাদিয়ানীরা কোরান দিয়ে প্রমান করুক!!
৪. প্রচলিত শিয়া শরিয়তী ইমাম মেহদী কনসেপ্ট যে ভ্রান্ত তা বইতেই পড়েছেন! ঐ লোকটি সম্বন্ধে কোনই ধারণা নেই।
৫. কোরান যারা মানে এবং জ্ঞানী তাদের জন্যই সহজ সরল প্রাঞ্জল; কোনই জটিলতা নেই। ভন্ড নবিদের উম্মতদের জন্য নয়। এ কথায়ো ম জ বাসারের নয়।
বিনীত।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪৩
ম জ বাসার বলেছেন: পুনশ্চু কাংগাল ভাই ছালাম,
৬. কলেমা শাহাদার বদৌলতে শিরকী পাপ ব্যতীত জীবনের সকল অপকর্ম মাফ হয়ে জাহান্নাম হারাম হয়;
অত;পর শিরকী পাপে যারা জাহান্নামে যাবে তাদেরো একদিন না একদিন জাহান্নাম হারাম হয়ে জান্নাতে যাবেই যাবে!! কি মজা!!
৭. দুনিয়ার লেটেষ্ট সস্করণের ধর্মকে এমন গাজাখোরী খেলো মিথ্যা ধর্মে পরিণত করলো স্বয়ং আল্লাহ/রাছুলের নামেই! এবং তার অন্যতম সমর্থক সদস্য আমাদের শিক্ষিত কাংগাল মুরশিদো!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩২
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
ক. [৬২: ২] -তাদের নিকট তাঁর আয়াত/কেতাব পড়ে শুনায়; তাদের পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত-।
=> আয়াত পড়ে শুনায় ভালো কথা। শুনানো দুই রকম হয়। যেমন মুখস্থ এবং গ্রন্থ দেখে দেখে। এখানে কি কোথাও বলা আছে তিনি গ্রন্থ দেখে দেখে পড়ে শুনাইছেন? যেহেতু বলা হয় নাই গ্রন্থ দেখে দেখে তখন এটাই মানতে হবে তাই মুখস্থই বলা হইছে। কারণ
সূরা নিসা-১০৫> নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি মানুষের মধ্যে ফয়সালা করেন, যা আল্লাহ আপনাকে হৃদয়ঙ্গম করান।
তিনি মুখস্থও করতেন ওহী নাজিলের সাথে সাথে। যেমন
সূরা কিয়ামাত-১৬> তাড়াতাড়ি শিখে নেয়ার জন্যে আপনি দ্রুত ওহী আবৃত্তি করবেন না।