![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মা কানা মোহাম্মাদুন আবা আহদিম ম্মির রিজালিক্বুম অলা কির রাছুলিল্লাহি অ খাতামান্নাবিন। (৩৩: ৪০)
অনুবাদ: মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের/মানুষের পিতা নহেন; বরং তিনি আল্লাহর রাছুল ও নবির সিল্/শেষ নবি।
আয়াতের আরবি '১. রিজালুন ২. মা ও ৩. খতম’ শব্দত্রয়ের অনুবাদে ঘোর বিভ্রান্তকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে :
১. রিজালুন
ক: রিজালুন অর্থ: পুরুষ/মানুষ; বাংলা অনুবাদে সর্বদাই ‘পুরুষ/মানুষ’ গৃহীত আছে।মূলত: মুহাম্মদ মানুষ বা নারি-পুরুষ উভয়েরই পিতা (উভয়েরই সন্তান); যেহেতু তার একাধিক পুত্র ও নারি সন্তান ছিলেন; যা অস্বীকার করার ক্ষমতা মানুষ, জ্বিন, ফেরেস্তা বা শয়তানেরো নেই। আর ‘পিতা’ বল্তে জিবীত/মৃতের ‘পিতা’য় পিতৃত্তের উপর প্রধানত: কোনই প্রভাব ফেলেনা; পিতা সে পিতাই।
খ: রাছুল যায়েদের পিতা বা রাছুলের ঔরশজাত সন্তান ছিলেন্না! তা মুছলিম, কাফির, মুনাফিক সকলেরই জানা ছিল; সুতরাং উহা নতুন করে অহি দিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করানো অবান্তর।
২. মা
ক. আরবি শব্দ ‘মা’ নিয়েই বিপরিতমূখী গুরুতর বিভ্রান্ত। ‘মা’ শব্দের ব্যকরণভেদে ‘না’ও হয় এবং ‘হা’ অর্থবোধক প্রশ্নবাচক ‘কি?’ও হয় (দ্র: আরবি-বাংলা অভিধান; মা. মুহিউদ্দিন খান; আরবি-ইংরাজী অভিধান; জে এম কাউয়ান)। যেমন: ক. মা ইছমুকা?= তোমার নাম কি? খ. অ মা হুম বিমুমিনীন= তারা বিশ্বস্ত না। ‘হা’র পক্ষে আরো ১টি অতিরিক্ত (নফল) উদাহরণ: আমি কি হজ্জ করিনি? উভয় পক্ষেই কোরানে ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে।
সুতরাং অনুবাদ হবে: মুহাম্মদ কি তোমাদের কারো (মানুষের) বাপ নয়? মুহাম্মদ স্বয়ং আল্লাহর দোহাই দিয়েই অন্যত্র বলেন: -(নিশ্চয়ই) আনা বাসারু মিছলুকম= আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ-(দ্র: ১৮: ১১০; ১৭: ৯৩)।
অর্থাত মুহাম্মদ আমাদের মতই কারো পিতা, জামাই, শ্বশুর, সন্তান, মামা, স্বামী, সালা-সম্বন্ধী; অর্থাত আমাদের মতই মানুষ (জ্বিন/ফিরিস্তা নয়) কিন্তু তিনি রাছুল/নবি (যা আমরা নই) অসাধারণ। উহাই আয়াতে জোর দিয়ে/চ্যালেঞ্জ করে স্পষ্ঠত: বলা হয়েছে মাত্র।
খ. আয়াতটি ১বার পড়লেই ১টি স্পষ্ঠ ছবি ফুটে উঠে যে, প্রথম অংশের সাথে ২য় অংশ শতভাগ অসামঞ্জস্য হজবরল; যেমন: মুহাম্মদ কোন মানুষ/পুরুষের পিতা(হয়েই আছেন) বা যায়েদের পিতা হলেই (কি) তার পক্ষে রাছুল/নবি হওয়া সম্ভবই ছিল না! যা কোন সেন্স মেক করে না! বরং রাছুলের কলংক! রটিয়েছে শরিয়তের শতভাগ আলেম-আল্লামা, মুফতি-মুজাদ্দেদগণ।
গ. অনুবাদটির সহজ-সরল ১ম অংশটি যে ভুল-ভ্রান্তকর! তা তার আতুর সন্তান তৈয়ব, তাহের, কাসিম ইব্রাহিমসহ দেড় বিলিয়ণ শিয়া-ছুন্নীরাই সাক্ষি-প্রমান; তবুও তারা আজ ১৫শ বছর যাবত অস্বীকার করছে। অতএব ২য় অংশটি যে সন্দেহীন/অভ্রান্ত স্ব-বিরোধী ও বিভ্রান্তকর! তা এক্ষণেই লক্ষ্যনীয়:
৩. খতম
নবির সিল্/শেষ নবি।
ক. শরিয়ত নিজেরাই আরবি ‘খতম’ শব্দটির ৭টি আয়াতে অনুবাদ করেছে ‘সিল্/মোহর’ বা মার্কা (তথ্য: ২: ৭; ৬: ৪৬; ৪২: ২৪; ৩৬: ৬৫; ৪৫: ২৩; ৮৩: ২৫, ২৬)। পক্ষান্তরে ঐ ৭টি আয়াতের বিপরীতে ১টি মাত্র আয়াতে ‘খতম’ অর্থে ‘শেষ নবি, লাষ্ট প্রফেট, ফাইনাল প্রফেট, কমপ্লিট প্রফেট, নবুয়ত শেষ, আখেরী নবি, আর নবি আসবে না, আল্লাহ আর নবি পাঠাবে না, ইত্যাদি স্ব-বিরোধী এবং চুড়ান্ত বিভ্রান্তকর অনুবাদ/ব্যাখ্যার উদ্যেশ্য কি?
খ. 'নবির সিল্' মানেটাই বা কি? উহা কি নন্সেন্স মেক করে না?
গ. আয়াতটির সঠিক অনুবাদ: মুহাম্মদ কি তোমাদেরই কারো পিতা নয়? কিন্তু সে আল্লাহর প্রেরণাপ্রাপ্ত ও মোহর/মার্কাযুক্ত নবাগত (৩৩: ৪০)।
অর্থাত নিখুত, নির্ভেজাল (রেজিষ্ট্রার্ড); সুতরাং সন্দেহের কোনই কারণ নেই।
উদ্যেশ্য ২টি:
•* মাওলানা= আমরা/আমাদের আল্লাহ, ছাইদি=প্রভু, অরেছাতুল আম্বিয়া= নবিগণের উত্তরাধিকারী, নায়েবে রাছুল= রাছুলের সেক্রেটারী, হুযুর কিব্লা প্রভৃতি ধর্মমেন্টারী পদগুলি জিতার জন্য আল্লাহর প্রতিদন্দী ইব্লিছের চ্যালেঞ্জকে সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটে জয়যুক্ত করা (করেছেও)।
•* অত:পর পাশ/ফেল সদস্যগণ রাছুল/কোরানের বিপরীতে ঐতিহ্যধারী দলীয় নেতা বোখারীদের উপর ঈমান পাকাপোক্ত করে বংশ পরম্পরায় একচেটিয়া ধর্ম ব্যবসা অব্যাহত রাখা (রেখেছেও)।
৩/খ. ঐ একই হাদিছে আবার বলছে রাছুলের পিঠে কবুতরের ডিমেরমত খতম/মোহর, সিল্ বা মার্কা ছিল! যা অনেক ছাহাবারাই স্ব চক্ষে দেখে চুমো দিয়ে জীবন ধন্য করেছেন!
৩/গ. মূলত: হিন্দি, উর্দ্দু ও ফার্সী ভাষার ‘খতম’ অর্থ শেষ হতে পারে। কিন্তু আরবী ভাষার ‘খতম’ অর্থ: সিল্/মার্কা (দ্র: ক এ বর্ণিত তথ্য: শরিয়তেরই ৭টি অনুবাদ)
মন্তব্য:
১. রেছালাত/নবুয়ত শেষ হওয়ার পক্ষে দেড় বিলিয়ন শিয়া/ছুন্নী/কাদিয়ানী, ৭ বিলিয়ণ মানুষ, শয়তান, জ্বিন-ফিরিস্তাসহ একত্রে চেষ্টা করলেও কোরান থেকে ১টি মাত্র আয়াত উত্থাপণ করতে সক্ষম হবে না। বরং অনবরত আগমনের পক্ষে অন্তত ৫০টির মত আয়াতে স্পষ্ঠ/অস্পষ্ঠ ইংগীত রয়েছে, যার ১টি মাত্র এখানে:
পূর্বেও তোমাদের নিকট স্পষ্ঠ বিবরণসহ ইউসুফ এসেছিল; কিন্তু তাতেও তোমরা বার বার সন্দেহ পোষণ করেছ; অবশেষে সে যখন মারা গেল তখনও তোমরা বলেছিলে, ‘তার পরে আল্লাহ আর কাকেও রাছুল করে পাঠাবেনা।‘ এভাবেই আল্লাহ সীমালংঘনকারী ও সংশয়বাদীদের (মুশরিফ-মুরতাব) বিভ্রান্ত করে (৪০: ৩৪)।
২. এযাবত কেন নবি আসেনি?- আরবি ‘রাছুল/নবি’ শব্দদ্বয়ের অনুবাদ (ব্যাখ্যা/তফছির নয়) আপন আপন ভাষায় বুঝলে, বাকি ৪৮টি আয়াত জানলে এবং ৪২: ৫১ নং আয়াতে বিশ্বাস করলে অন্তত ভাষা শিক্ষিত লোকেও অনুরূপ প্রশ্ন করতে লজ্জ্যা পাবে।
৩. তবুও তারা কোরান মানবে না; সুতরাং ‘ঝাড়ু এবার অনিবার্য এবং শীঘ্র।‘
৪. বিস্তারীত জান্তে চাইলে নিম্ন লিংকে ‘কোরান বনাম শরিয়ত’ গ্রন্থে বর্ণিত ‘শেষ নবি মতবাদ ও নবুযত শেষ হওয়ার বিষয় নয়’ প্রতিবেদনদ্বয় পড়তে হবে।
http://www.youngmuslimsociety.com
বিনীত।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. অপূর্ণ স্বাদ নিয়ে একপ্রকার। আপনি ভালো আছেন?
বিনীত।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১১
ডাইনোসর বলেছেন:
অসাধু বালক@ তিনি যে কাদিয়ানী কি করে বুঝলেন??
ভাল করে ওনাকে জানতে হলে ওনার ব্লগের লেখা গুলো পড়েন।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৮
অসাধু বালক বলেছেন: তাহলে অন্য কোন জাতের,
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৩
ShusthoChinta বলেছেন: ডাইনোসর কিছুক্ষন আগেই একটা পোষ্টে সিদ্ধান্ত দিয়ে আসলোঃ 'আল্লাহ বলে বালছাল কিছু নাই' তো এহেন লোক এসে বাসারের পক্ষে সাফাই গাইতেছে, সো ডালমে কুছ কালা তো অবশ্যই!!
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
রাকি২০১১ বলেছেন: আমার মন্তব্য কই গেল???!!!!!!!!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
দু দু বার সতর্ক করা হয়েছে যে, প্রসংগবিহীন, অসংলগ্ন, অবান্তর, যুক্তি-প্রমানহীন, অসভ্য, অশ্লীল, নেশাগ্রস্থ মন্তব্য মুছে/ব্লক করা হবে। সোয়া বছর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল, আর নয়। কারণ ওতে কোন ছোয়াব/লাভ নেই।
২. ক্ষমতা থাকেতো বর্ণিত কোরানিক সাক্ষ্য যুক্তি-প্রমানগুলি একে একে কোরানের আলোকে খন্ডন করুণ?
বিনীত।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১১
হারকিউলিস বলেছেন: পরের নবী নাম কি হৈবে?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
প্রতিবেদনটি বুঝ হলে পরে বাংলায় প্রশ্ন করুণ? বুঝ না হলে খন্ডনের চেষ্টা করুণ?
বিনীত।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৯
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: কোরআন শব্দ ও গ্রামার অনুযায়ী । এটি দেখবেন, আপনি আরো ভুলভাবে কোরআন ব্যাখ্যা করুন। সেই চেষ্টা চালিয়ে যান। যদি কারো এই আয়াতের প্রতিটি শব্দের আলাদা ভাবে মানে জানতে ইচ্ছা করে তবে, উপরের লিংকে ক্লিক করুন।
১। 'রিজ্জালিক্বুম' না 'রিজালিকুম' হবে (জএর সাথে আরেকটা জ, এবং ক এর নিচে ব-ফলা দিলে ভুল উচ্চরণ হয়) মানে হলো পুরুষ মানুষ। ওনার কোন পুরুষ সন্তান ছিল, এটি আপনি নিজেও জানেন, শুধু শুধু ফাইজলামি করেন কোরআন নিয়ে।
২। 'মা' মানে যে না, এটি আপনাকে বলে বুঝিয়ে লাভ নেই, কারণ আপনি বুঝবেন না। ৩৬:৬৯ আয়াতটি দেখবেন। কোরআন আপনার মন মত হয়নি বলে আপনার গা জ্বালা করে বুঝতে পারছি।
৩। 'খতম' শব্দের অর্থ শেষ না, শুরু ঠিকাছে? আপনি যেমন আকাশ পাতাল পরিবর্তন করতে পারেন অর্থ। শেষ শব্দের স্থানে শুরু ও ব্যবহৃত হতে পারে।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০০
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. উপরের লিংক কোন নবি/রাছুলদ্বারা সংকলিত হয়েছে কি?
২. আসলে 'রিজালিকুম'ই সংগত কিন্তু ধারণা ছিল আপনারা ফজলুর রহমান মুন্সীর ভক্ত তাই বলে তারই উচ্চারণ উদ্বৃত করা হয়েছে। সুতরাং প্রশ্নটি তাকে কেহ করেছেন কি? তিনি উচ্চারণের যে নাটক করেছেন তাতে রিজ্বালিকুম লিখলে তেমন কিছু যায়/আসেনা যেমন:
জিহ্বার অগ্রবাগ এবং ছানায়েত হয়। উলিয়ার সংযোগে ছানায়ে ছুফলা অর্থাত নীচের মাড়ির সম্মুখ দাতের কিনারা হইতে আরবি 'যে' বর্ণ উচ্চারিত হয়। এবারে ঠেলা সামাল দিন?
মুলত: অন্য ভাষা নিজের ভাষায় উচ্চারণে ঐ রকম শত শত পার্থক্য থাকেই থাকে। কিন্তু তাতে মূলে বা অনুবাদে প্রধানত: সমস্যা থাকে না।
৩. বাকী ২টি হাস্যকর মনে হলো। তবুও কৃতজ্ঞ যে ৫১% সভ্যতা বজায় আছে।
বিনীত।
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
ডাইনোসর বলেছেন:
ShusthoChinta বলেছেন: ডাইনোসর কিছুক্ষন আগেই একটা পোষ্টে সিদ্ধান্ত দিয়ে আসলোঃ 'আল্লাহ বলে বালছাল কিছু নাই' তো এহেন লোক এসে বাসারের পক্ষে সাফাই গাইতেছে, সো ডালমে কুছ কালা তো অবশ্যই!!
আরে বলদ। মজ বাশার কাদিয়ানী না হয়ে যদি সুন্নি,ওহাবি,মালেকি,শিয়া হয় তাতে আমার কি? আমি ওনার লেখা নিয়মিতই পড়ি তাতে কখনো মনে হয়নি সে কাদিয়ানি।। তাই বলছি ওনার লেখায় কোথাও কাদিয়ানী পাওয়া গেছে তা বলতে।
আর এটা কি সাফাই গাওয়া হলো??
তবে মানতেই হবে তিনি একজন ভদ্র লোক। কাউকে গালিগালাজ করেন না। আমি কখনো করতে দেখিনি।
৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ১. উপরের লিংক কোন নবি/রাছুলদ্বারা সংকলিত হয়েছে কি? ......... মানে কি? আসল কোরআনকে শব্দের ভিত্তিতে অনুবাদ করা হয়েছে, এখানে সংকলিত এর প্রশ্ন কোথা থেকে আসলো? তার মানে কি আপনি রসুল? আপনাকে নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কোরআন সংকলনের? এজন্যই কি বলতে চাচ্ছেন মুহাম্মাদ সাঃ শেষ নবী নন, ওনার পরে মজ বাসার আসবেন?
২. আসলে 'রিজালিকুম'ই সংগত কিন্তু ধারণা ছিল আপনারা ফজলুর রহমান মুন্সীর ভক্ত তাই বলে তারই উচ্চারণ উদ্বৃত করা হয়েছে। ....... আমরা আপনার মত কারো ভক্ত নই, আমরা আল্লাহর ভক্ত কোরআনের ভক্ত। কোথাকার কোন ফজলুর রহমানের ভুল উচ্চরণ নিয়ে এসেছেন আমাদের অনুবাদ শিক্ষা দিতে।
৩. বাকী ২টি হাস্যকর মনে হলো। .......... হাস্যকর তো মনে হবেই, কারণ কোরআন আপনার মন মত নাযিল হয়নি।
তাহলে মা কানা মোহাম্মাদুন আবা আহদিম ম্মির রিজ্জালিক্বুম অলা কির রাছুলিল্লাহি অ খাতামান্নাবিন। (৩৩: ৪০) এর অনুবাদ দাড়াচ্ছে: মুহাম্মদ তোমাদের মধ্যে কোন মানুষের পিতা নহেন; বরং তিনি আল্লাহর রাছুল ও নবিদের একজন, তারপরে ম জ বাসার আসবেন।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. মিয়া সাব! উচ্চারণে যত বিলিয়ণ মানুষ ঠিক তত বিলিয়ণ সুর, স্বর আর চেহাড়া-ছুরত।
২. এর মানে বল্তে চাচ্ছেন আপনার মত মত নাজিল হইছে??????
৩. আপনার জ্ঞান-বুদ্ধির চাপে আপনি নিজেই জিতে গেছেন।
বিনীত।
১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫১
মামুণ বলেছেন: আপনে যা কইতে চান খোলাসা কইরা বইলেন। মুহাম্মদ শেষ নবী না হইলে এখনও তো নবী আসার কথা তয়লে শেষ নবী কে আর বর্তমানে কোন নবী আছে কিনা । এই সব বিষয়ে জাতি আপনার জ্ঝানগর্ভ বক্তৃতা জান্তি চায়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
বক্তৃতা যা দেয়ার তা দেয়া হয়েছে। নিজের আওতায় না আসলে জাতির কাছেই পৌছে দিন। জাতি জান্তে পারবে, আপনার আশা পুরণ হবে।
বিনীত।
১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৯
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সালাম
ভাই আপনার লেখাটি মন দিয়ে পড়লাম। অফিসে আছি।পরে একসময় বেশ কিছু বিষয় আলোচনা করবো। যদি আপনার সময় সুযোগ হয়।
সালাম।
১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: মামা
আগের লেখায় উল্লেখিত প্রশ্নগুলির কোন সদউত্তর দিতে পারলেন না বরং দুটো নতুন পোস্ট দিয়েছেন দেখলাম - দুটিরই বিষয় মুহাম্মদ(স.) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী নয় তা প্রমান করা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যায় এটা আপনি প্রমান করতে এজন্যই চাচ্ছেন যাতে নিজের নবী/রাসুল হওয়ার যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন - যদিও মুখে তা আপনি কখনই স্বীকার করবেন না।
আপনি আচরণ করবেন নবীর মত, জেনে শুনে নবী/রাসুলেরমত দাবি করবেন 'আমি ছাড়া সবাই ভুল' আর মুখে বলবেন আমি নবী/রাসুল দাবি করছি না - এ'ধরনের আচরণকেই কী মুনাফেকী বলে না?
আমি আগেও বলেছি যদি সাহস থাকে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিন যে আপনি যা বলেন তা সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত এবং আপনি আল্লাহর বর্তাবাহক/নবী/রাসুল/প্রেরতা প্রপ্ত, আপনাকে মানার মধ্যেই মানুষের ইহ/পরকালীন মুক্তি অন্যথায় ধ্বংস অনিবার্য - ঠিক যেরকম ঘোষণা কোরআনে বর্নিত সকল নবী/রাসুল(আ.)গন দিয়েছেন। পারবেন? পারবেন না - কারণ আপনি নিজেও জানেন আপনি আল্লাহর মনোনিত নন। আল্লাহর সাথে আপনার কোন যোগাযোগ নাই। আপনি যা বলেন, যে কোরআনের রেফারেন্স দেন তাও সরাসরি আল্লাহর কাছে থেকে পাওয়া নয় বরং মানুষের দ্বারা সংরক্ষিত মানুষের দ্বারা অনুদিত দেড় হাজার বছর আগের কোরআন।
অন্যথায় কোরআন থেকে অন্তত একজন নবী/রাসুল/বার্তবাহক/প্রেরনাপ্রাপ্তের উদাহরণ দিন যিনি আপনারমত পরিচয় গোপন রেখে কাজ করেছেন, তাকে তার জাতি গ্রহন না করে দেশান্তরিত করার পরও তাদের উপর কোন গজব আসেনি - পারবেন? পারবেন না, কারণ আপনি নিজেও জানেন পুরো কোরাআনে এ'রকম কোন উদাহরণ নাই।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন 'কুফর' শব্দের অর্থ গোপন করা। আপনি আল্লাহর মনোনিত বার্তাবাহক হয়ে কি তা গোপন করার মাধ্যমে কুফুরী করছেন না?? আল্লাহর প্রিয় কোন বান্দার পক্ষে কি সত্য গোপনের মাধ্যমে কুফুরি করা সম্ভব???
যদিও আমি জানি আপনার পক্ষে সারা জীবনের ধ্যান-ধারনা, নিজের সম্পর্কে উচ্চতর চিন্তা ছেড়ে দেয়া খুবই কস্টের - কিন্তু তার পরও আপনার চিন্তা ধারায় যেধরনের পরিবর্তন ইতিমধ্যে দেখা গেছে তা খুবই আশাব্যাঞ্জক। আর একটু চেস্টা করে দেখুন না এই ধারনাটা বদলাতে পারেন কি না - কারণ এটিই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় বিভ্রান্ত অহংকার - আর কে না জানে "অহংকারই পতনের মুল" ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. শতভাগ প্রসংগবিহীন।
২. জোর যুলুম/মানষিক চাপ সৃষ্টি করে বাসারকে একটি (সম্ববত) অবাঞ্জিত বিষয় স্বীকারে বাধ্য করতে চাচ্ছেন! যা অসম্ভব/অবাস্তব/অপ্রাকৃতিক কল্পনা। আপনার মত ভদ্র, সম্ভ্রান্ত শিক্ষিত বালকের পক্ষে অশোভনীয়।
ক. তাদের মধ্যে এমন কতক নিরক্ষর লোক আছে যাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কিছুই জানা নেই। তারা কেবল অমূলক ধারণা পোষণ করে (২: ৭৮)।
খ. যদি তুমি দুনিয়ার সংখ্যা গরিষ্ঠ লোকের কথা মত চল তবে তারা তোমাকে পথভ্রষ্ঠ করবে। তারাতো শুধুমাত্র অনুমানের অনুসরণ করে এবং অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে (৬: ১১৬)
গ. উহাদের অধিকাংশই অনুমানের অনুসরণ করে, সত্যের বিপরীতে অনুমান কোনই কাজে আসে না-(১০: ৩৬)।
৩. প্রতিবেদনদ্বয় সহজ, সরল ও স্পষ্ঠ কোরানের আলোতে প্রতিষ্ঠিত; এমন সুন্দর বিষয়বস্তু প্রত্যাক্ষান করে যে বিষয় আলোচনা করছেন তাতে হতাস হতে হলো।
৪. কোরানের উপর প্রতিষ্ঠিত বিষয়বস্তু উপর অহংকার করার সুযোগ নেই? তবুও যদি সুঠাম অহং প্রমানিত হয় তবে তা কি প্রকাশকের? না লেখকের (আল্লাহ/রাছুলের)???????
৫. পূর্বে বল্লেন অতীত নবির কোনই জ্ঞান/গুণ বা ছুন্নত নেই! আজ বলেন আচরন নবির মত! অগত্যা ম জ বাসার বিব্রত।
আহম্মদ হয়েছেন অগ্রাহ্য
সুতরাং ঝাড়ু এবার কপালে অনিবার্য।
ম জ বাসারের কপালেও (সম্ভবত।
বিনীত।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম পুনশ্চু:
দাবি দাওয়ার বিষয় পলাতক ডা: এস এম রায়হানের পরামর্শ/দর্শন নিতে পারেন।
বিনীত।
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০২
রাকি২০১১ বলেছেন: রাকি২০১১ বলেছেন: আমার মন্তব্য কই গেল???!!!!!!!!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৭
লেখক বলেছেন: ছালাম,
দু দু বার সতর্ক করা হয়েছে যে, প্রসংগবিহীন, অসংলগ্ন, অবান্তর, যুক্তি-প্রমানহীন, অসভ্য, অশ্লীল, নেশাগ্রস্থ মন্তব্য মুছে/ব্লক করা হবে। সোয়া বছর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল, আর নয়। কারণ ওতে কোন ছোয়াব/লাভ নেই।
২. ক্ষমতা থাকেতো বর্ণিত কোরানিক সাক্ষ্য যুক্তি-প্রমানগুলি একে একে কোরানের আলোকে খন্ডন করুণ?
বিনীত।
খোচাটা কি জায়গামত লাগছে?? এই জন্য ডিলিট করে দিয়েছ????????
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
কারণগুলি নিজেই পুনরাবৃত্তি করেও মাথায় না ঢুকলে কারো কিছু করার নেই।
এরপর ব্লক যাতে না করতে হয়!
বিনীত।
১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১০
গ্রামের মানুষ বলেছেন:
আমি বলি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী ও রাসুল। শুধু বলিই না সাক্ষ্যও দেই।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আপনি কেন! দেড় বিলিয়ণ শিয়া, ছুন্নী, কাদিয়ানী ওহাবী সকলের মতই আপনি বলছেন এবং তা জন্মগত/উত্তরাধিকারী অন্ধ বিশ্বাসে।
তাদের বা আপনার সাক্ষ্য কোরানের বিপরীতে অবান্তর।
কোরানের আলোকে প্রমানিত/প্রতিষ্ঠিত বিষয় আপন/দলের সাক্ষ্যের ধার ধারে না।
বিনীত।
১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "যদি তুমি দুনিয়ার সংখ্যা গরিষ্ঠ লোকের কথা মত চল তবে তারা তোমাকে পথভ্রষ্ঠ করবে। তারাতো শুধুমাত্র অনুমানের অনুসরণ করে এবং অনুমান ভিত্তিক কথাবার্তা বলে (৬: ১১৬)" এই কথাটা কি আপনাকে বলা হয়েছে? না, এটা বলা হয়েছিল মুহাম্মদ(স.)কে - কারণ তিনি সত্য নবী ছিলেন, তিনি যাকিছু বলতেন আল্লাহর পক্ষ থেকে বলতেন। তাই তিনি সংখ্যা গরিষ্ঠ লোকের কথা অগ্রাহ্য করতে পারতেন। আপনি যদি নিজেকে নবী/রাসুল নাই ভাবেন তাহলে এই কথার উদাহরণ কেন দিলেন??
৫. পূর্বে বল্লেন অতীত নবির কোনই জ্ঞান/গুণ বা ছুন্নত নেই! আজ বলেন আচরন নবির মত! অগত্যা ম জ বাসার বিব্রত
আপনি কি তাহলে নবী/রাসুল(আ.)দেরমত 'আমিই সঠিক - অন্য সবাই ভুল' - এই অহংকারী দাবি করা থেকে বিরত হচ্ছেন? মেনে নিচ্ছেন যে আপনিও অন্যদেরমত ভুল-ভ্রান্তিসহ স্বাধারণ মানুষ? আপনার সাথে আল্লাহর যোগাযোগ নাই। আপনি যা বলেন তা নিজ বিবেচনায় বলেন - কোন ঐশ্বরিক শক্তির থেকে পেয়ে - আরবী না জেনেও আরবী কোরআনের ব্যাখ্যা করেন না? যদি এটা মেনে নিতে পারেন তাহলেই বিতর্কের অনেকটাই অবসান হয়ে যাবে।
আর যদি এখনও শুধুমাত্র নিজেকেই/নিজের ব্যখ্যাকেই সত্য/সঠিক ভাবার - অহংকারী দাবি করার ঘোর থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন - তাহলে প্রকৃত সত্য কোনদিনও বুঝবেন না।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দিন - আমীন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. প্রতিবেদনে ম জ বাসারের কোনই ব্যক্তিগত দর্শন নেই। কোরানের অনুবাদ সংশোধন করত: নবি রাছুলের কথাই উদ্বৃত করা হয়। ম জ বাসার যা কিছু বলে তা মুহাম্মদের কথাই; এবারো ব্যতিক্রম হয়নি। এজন্যই উদাহরণটি সুঠাম হয়েছে। নিজের মাশালা ঢুকিয়ে ঐ দ্র: দিলে আপনার কথা সঠিক হতো!
২. ম জ বাসার মুছলিম দাবি করলেও মিথ্যা, ভুল তো দূরের কথা! কাফিরও হতে পারে! খুশী তো? অকাট্য কোরানের কথা বলা হয় বলেই সুঠামভাবেই বলা হয়’ ‘আমিই সত্য নয় বরং ‘আমি’ যা বলেছে তাইই সত্য সঠিক, যেহেতু কোরানের। ফাহেসা আলাপ খাটো করে ক্ষমতা থাকেতো মিথ্যা প্রমান করুণ? তাতে মন-মগজের আবর্জনা কমবে।
আপনার সাথে আল্লাহর যোগাযোগ নাই-
৩. আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেই বলছেন? না আপনার কথা মতেই আাল্লাহর কথা! পূর্বের ২: ৭৮; ৬: ১১৬; ১০: ৩৬র আসামী! হাস্যকর।
৪. পূর্বেও বলেছি আরবি না জানা লোক অনুমান, কল্পনা ব্যতীত অন্যকে কি করে বলে যে, সে আরবি জানে না। আসলেই আপনি আসল ভাগ্নে হলে কান মুবারক ধরে হিচড়ে হেমায়েতপুর নিজ খরচে নিয়ে যেতাম (অট্টহাসি)।
৫. আল্লাহর ব্যাখ্যায়িত কোরানের ব্যাখ্যা করে কাফির মুশরিকে। ম জ বাসার কোরানের তফছির/ব্যাখ্যা করে না! অনুবাদের সংস্কার করে মাত্র! যা পূর্বেও বলা হয়েছে।
৬. মূলত: সর্বদাই মূল বিষয় গোপন করত: ফাল্তু বিষয় নকল মামুর সাথে দাবা খেলে সময় কাটাচ্ছেন!
বিনীত।
১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ১. সমস্যাতো এখানেই - আপনি কোন যোগ্যতায় কোরআনের অনুবাদ সংস্কার করেন?? যদি আরবী ভাষার উপর পান্ডিত্য থাকত - তাহলে হয়ত সেটাকে একটা যোগ্যতা বলা যেত - কিন্তু আপনিতো নিজেই স্বীকার করেন সেটা নাই। আর দ্বিতীয় হতে পারত যদি আপনি আল্লাহর বানীবাহক নবী/রাসুল হতেন। তাহলে বলতে পারতেন আপনি সরাসরি আল্লাহর কাছ থেকে পেয়ে বলছেন - কিন্তু আপনিতো তাও স্বীকার করেন না। তাহলে কোরআনের সকল অনুবাদ বাতিল করে আপনার সংস্কারিত অনুবাদকে কেন সত্য বলে মানতে হবে??
২. নিজে মুসলিম না হয়ে - নিজেকে কাফের ঘোষনা করেও বলছেন কোরআনের অনুবাদ সংস্কার সঠিক ভাবে করছেন? এটাই কি আপনার যোগ্যতা? তাহলে কি আমরা এখন থেকে নিশ্চিত মুসলিম মুহাম্মদ(স.) এর আদর্শ ত্যাগ করে কাফের আবু জেহেলদের কাছ থেকে কোরআন শেখার চেস্টা করব??
৩. আমিতো দাবি করিনাই যে আরবী জানা লোকেরা কোরআনের যে অনুবাদ করেছেন তা সবই ভূল - আর আমি যা বলি তাই ঠিক? এই দাবি আপনি করেন - তাই আল্লাহর সাথে যোগাযোগ আপনার থাকা উচিত - যদি না থাকে তাহলে আপনি নিজের কথা আল্লাহর নামে চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত - শেষ বিচারের দিন আল্লাহর কাছে কী জবাব দেবেন সেই চিন্তা করুন।
৪. হাসতে চাইলে আপনাকে হাসতে মানা করার কোন কারণ নাই - হাসুন, যা হাসার দুনিয়াতেই হেসে নিন - পরে আর সুযোগ নাও পেতে পারেন। আমি আরবী জানি না - তাই কোরআনের অনুবাদ সংস্কার করতেও যাই না। আপনি আরবী না জেনে সেই কাজ কিভাবে করছেন সেটাই প্রশ্ন। আরবী জানা বহু মানুষ কোরআন অনুবাদ করেছেন - যাদের মধ্য থেকে আপনি একটি অনুবাদ গ্রন্থও দেখাতে পারবেন না যেখানে আপনার অনুরুপ অনুবাদ করা হয়েছে। তাহলে আপনি অনুবাদ সংস্কার করছেন না নিজের মনগড়া কথা কোরআনের অনুবাদ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছেন? হাসি থামিয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন।
আপনি আমার মৌলিক প্রশ্নগুলির উত্তর না দিয়ে শুধু কথা ঘুরাচ্ছেন। এটা মুলত নাস্তিকদের চারিত্রিক বৈশিস্ট্য। আমি জানি আপনি মৌলিক প্রশ্নগুলির উত্তর জানেন না। আবার নিজের সারা জীবনের ভুলগুলিও মেনে নিতে পারছেন না।
আচ্ছা যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই নবুয়তের ধারা শেষ হয়নি - তাহলেও কি আপনি গত দেড় হাজার বছরের মধ্যে কোন নবী/রাসুলের নাম বলতে পারবেন?? ঈসা(আ.) এর মাত্র ৬শ বছরের মধ্যে মুহাম্মদ(স.) আসলেন - অথচ তাঁর পরের ১৪শ বছরেও কেউ আসল না কেন? আপনি ভাষাগত পার্থক্যের কথা বড় করে দেখাতে চান - সেটা না হয় বাংলাদেশের বেলায় মানা গেল - আরবে কেন নতুন কোন নবীকে আল্লাহ ঈসা(আ.) বা মুহাম্মদ(স.) এরমত ব্যাপক জনগোষ্ঠির সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত করলেন না? এর থেকেই কি প্রমানিত হয় না যে নবুয়তের ধারা আসলেই শেষ হয়ে গেছে??
হ্যা, নিশ্চিত ভাবেই প্রমানিত হয়। তবে তাদের জন্য নয় যারা জেনেও না জানার, বুঝেও না বোঝার ভান করে। যে জেগে জেগে ঘুমায় তাকে জাগান যায় না। যাই হোক আপনি যে ধ্যান সাধনার পথে আছেন সেই পথেরই কিছু কথা আপনাকে বলছি চিন্তা করে দেখতে পারেন - যদি চিন্তা করার মানসিকতা থাকে।
ধ্যান স্বাধনার অনেকগুলি স্তর আছে। এক এক স্তরে মানুষের চিন্তা চেনতা অনুভুতি হয় এক এক রকম। এই স্তরগুলির উচ্চতর একটা স্তরে মানুষের কাছে সবকিছু শুন্য মনে হয়। মনে হয় কিছুই নাই। এটা মুলত কাঙ্খিত স্তরের ঠিক পুর্বের স্তর। এটা হয় মানুষের হৃদয়কে প্রতিষ্ঠিত সকল ধ্যান ধারনা বিশ্বাস থেকে মুক্ত করার জন্য। অনেকটা নতুন ফসল বোনার আগে খেত খামারের আগাছা পরিষ্কার করার মত। এই স্তরে মানুষ মনে করে দুনিয়ার সবকিছু ভুল/মিথ্যা শুধুমাত্র সে নিজেই সত্য। সবাই ব্যার্থ/ জাহান্নামী শুধু নিজেই বা নিজের অনুগত অতি অল্পসংখ্যাক সফল/জান্নাতি। যে এই স্তরে এসে থেমে যায় সে সরা জীবন এই ধারনা নিয়েই বেঁচে থাকে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত সবকিছুর মধ্যে শুধু ভুল/মিথ্যা দেখতে পায় - নিজেকে খুব বড় কিছু, সত্য প্রাপ্ত মনে করে।
যে এই স্তরটা অতিক্রম করে যেতে পারে সে বুঝতে পারে প্রকৃত সত্য। সেই সত্য হয় সকল অংশিদার/কলঙ্ক মুক্ত - কারণ অংশিদার করারমত যারা ছিল তাদেরকে আগের স্তরে বাতিল করা হয়েছে। এই স্তরে মানুষ নিজের ক্ষুদ্রতা, অযোগ্যতা, অক্ষমতা অনুধাবন করতে পারে। তখন দুনিয়ার সবাইকে নিজের চেয়ে সৌভাগ্যবান সফল জান্নাতি মনে হয় - আর নিজেকে মনে হয় সবচেয়ে বিপদগ্রস্থ। নিজের দ্বিয়িত্বের তীব্র অনুভুতি তাকে বিনয়ী ও দ্বায়িত্ব পালনে সামান্য ত্রুটি/বিচ্যুতি নিয়ে শংকিত করে তোলে। এ'জন্যই হযরত উমার(রা.) বলতেন " যদি বলা হয় পৃথিবীর সকল মানুষ জান্নাতে যাবে শুধুমাত্র একজন ছাড়া - তাহলেও আমার ভয় হয় আমি সেই একজন হই কি না।"
( দয়া করে এই কথাগুলির উৎস জানতে চাইবেন না - কারণ দেয়ারমত কোন উৎসের সন্ধান সংগ্রহে নাই )
আপনার হয়ত মনে আছে আপনার সাথে পরিচয়ের পরপরই আমি কোন মন্তব্য না করে আপনার লেখা বইটি চেয়ে নিয়ে আদ্যপান্ত পড়েছিলাম। আমি আপনার ব্যাতিক্রমধর্মী লেখা দেখে আশান্নিত হয়েছিলাম বলেই পুরো বই পড়ার আগ্রহ হয়েছিল। কিন্তু আমাকে হতাশ হতে হয়েছে যখন দেখলাম আপনি ঐ স্তরে আটকে আছেন। আমি প্রথম দিকে আপনার লেখাগুলির সমালোচনা করতে চাইনি - কারন আমি জানতাম ঐ স্তরে আটকে থাকা সাধককে কোন কিছু দিয়েই বুঝান সম্ভব নয়। তার মুক্তির জন্য একমাত্র পথ হচ্ছে নিজ সাধানায় আরো গভীরে অগ্রসর হওয়া - যদি সে তা পারে তাহলে সে নিজেই নেজের আগের স্তরের ভুলগুলি বুঝতে পারবে।
তার পরও এই বিষয়টা সত্য কি না - তা বোঝার জন্য আপনার কিছু সমালোচনা করে দেখব বলে ঠিক করেছিলাম। এবং দু:খের সাথে দেখলাম যে বিষয়টা আসলেই সত্য। আপনার পক্ষে ঐ স্তরে থেকে অহংকার ত্যাগ করা আসলেই অসম্ভব। এখন আপনার প্রতি আমি একটাই অনুরোধ করতে পারি - আপনি যে পথে ধ্যান-স্বাধনা করছেন সেই পথেই আরো অগ্রসর হওয়ার চেস্টা করুন। দয়া করে বর্তমানে যেখানে আছেন/ যা বুঝছেন তাকেই শেষ ও চুড়ান্ত ভাববেন না - কারণ সাধকের জন্য এই ভাবনাটা তার সাধনার মৃত্যু তুল্য।
আপনি নিজেই একবার বলেছিলেন আপনার পিতার কাছে যখন কিছু দেয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি বলেছিলেন "দেয়ার কিছু নাই" - তিনি সত্যই বলেছিলেন - কারন এটা অন্যের পক্ষে দেয়ারমত বিষয় নয় বরং নিজে থেকে অর্জনের বিষয়। যারা এটা অর্জন করতে পেরেছেন তাদের জীবনই স্বার্থক - আর যারা মাঝ পথেই খুব বড় কিছু পেয়েগেছে বলে ভেবেছে আর সেটাকেউ চুড়ান্ত ভেবে প্রচার প্রচারনায় মেতে উঠেছে, তারাই ব্যার্থ হয়েছে।
আপনাকে আর একটা পরামর্শ দিতে পারি। কোরআনের দুই চার আয়াতের অনুবাদ সংশোধন না করে পুরো কোরআনই অনুবাদ করেন না কেন? যদি আপনি আপনার মতাদর্শ অনুসারে পুরো কোরআনের একটা অনুবাদ করতে যান তাহলেই বুঝতে পারবেন পুরো কোরআনকে পরস্পরবিরোধমুক্ত রেখে আপনার মতবাদ প্রতিষ্ঠিত রাখা কত কঠীন। তার পরও যদি অনুবাদ সম্পুর্ণ করতে পারেন তাহলে সেই অনুবাদই প্রচার করতে পারবেন - আলাদাভাবে দুই চার লাইন ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন হবে না।
পরিশেষে আপনাকে ধন্যবাদ দেই - একটা বিষয় অনুধাবনে সাহয্য করার জন্য। আর দোয়া করি আপনি যেন সাধনার চুড়ান্তে পৌছে নিজের জীবনকে সার্থক করতে পারেন। আমীন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কোন্ গাছের কি যোগ্যতা তা ফলেই বলে দেয় এবং উহার স্বাদেই গ্রহনযোগ্যতা নির্ধারিত করে। অন্তত এপর্যন্ত বুঝতে ভিন্নভাবে গবেষণা/সাধনভজন বা এস্তেখারার দরকার হয় না। এই সহজ সরল সুত্রটা আজো আপনাকে বুঝাতে সক্ষম হইনি। কারণ অতি জ্ঞানী লোকেরা অতি সাধারণ উপমায় হোচট খায়।
২. আরবি না জানা লোকের আরবি দর্শন সম্বন্ধে হেন মন্তব্য অলৌকিক।
৩. অহংকারের বিষয় আল্লাহকে অথবা কোরানকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন; ম জ বাসারকে নয়। এটুকু বুঝা উচিত যে নিজস্ব বিষয় ছাড়া অন্যের বিষয় নিয়ে অহংকার করার সুযোগ নেই। আর সত্য হলে অহং নিষ্প্রয়োজন কারন সত্য যাবতিয় অহং এর উর্দ্ধে 'অত্যাহংকার'; এজন্যই সত্য সর্বদাই কঠোর; মিথ্যার বিরুদ্ধে কঠোরতম এবং রুক্ষাতিরুক্ষ।
৪. বিষয় এরিয়ে অবিষয়ের আলোচনা আন ফেয়ার।
৫. প্রমান হয় যে সাধনার স্তরগুলির সবই অতিক্রম করেছেন।
৬. সম্ভবত আপনি শেষ পর্যায় উপনীত। ছোয়াব/লাভ হলো: আপনাকে দিয়েই ম জ বাসারের কোরানিক দর্শন প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত। মানা না মানা নিজস্ব ব্যপার।
৭. দয়ার বিপরীতে দোয়া কার্যকর নয় হাস্যকর; তবুও সুবিধাবাদীরা ইহা দিয়েই দায়-দায়িত্ব এড়ায় আর ধার্মীক সাজে। (অবস্য আপনার ক্ষেত্রে নিপাতনে সিদ্ধ)
বিনীত।
১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ৫. লক্ষে পৌছাতে না পারলে যে যত উপরে ওঠে তার বিপদ আশংকাও ততই বেশী হয়। দুইফিট উপর থেকে পড়ার চেয়ে দুশফিট উপর থেকে পড়া কত ভয়ংকর। ইবলিসও বহু উপরে উঠেছিল - আর তার পতনও হয়েছিল সর্বনিম্নে। তাই স্বাধারণের চেয়ে উচ্চস্তরের লোকদের সাবধানতা বেশী প্রয়োজন। আশা করি স্বাধক হিসেবে আপনি প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
৬. আমি যদি কাংখিত পর্যায়ে উপনিত হতে পারতাম তাহলে নিশ্চয়ই এই অবাস্তব ( ভার্চুয়াল ) ব্লগে বসে নস্ট করার মত সময় পেতাম না বরং বাস্তবে সমাজ সংস্কারের কাজেই বেশী ব্যাস্ত থাকতে হত। আমি বরং সেই মানুষের সন্ধানে আছি এবং কোথাও সম্ভাবনা দেখা গেলে বিস্তারিত জানার চেস্টা করি।
আপনার বেলায়ও তাই করেছি। কিন্তু দু:খের বিষয় হচ্ছে সমাজের প্রচলিত হুজুরগন যেখানে চার মাযহাবের অন্তত একশ কোটি মানুষের জান্নাতে যাওয়া বা জীবন সার্থক হওয়া সমর্থন করে সেখানে আপনার মতে একশ জনের জীবনও সার্থক বলে মনে হয় না - অথচ আল্লাহ এই বিশ্বজগতের কোন কিছুই অনর্থক সৃস্টি করেন নাই। মহান আল্লাহর বিধানের বিষয়ে এতটা সংকীর্ণতা আমার কাছে কিছুতেই গ্রহনযোগ্য নয়।
কোরানিক দর্শন প্রতিষ্ঠিত ও প্রমানিত হওয়া কোন কাঙ্গালের উপর নির্ভরশীল নয়। তা আল্লাহর ইচ্ছায় প্রমানিতই আছে - আমাদের কাজ সেখান থেকে যতটুকু সম্ভব সংগ্রহ করে নিজেদের ধন্য করা। কোন মানুষ কোরআনিক দর্শনের সত্যতা প্রমান করবে - এই চিন্তাও চরম ধৃস্টতা ছাড়া আর কি??
যদি আমার কাছ থেকে কিছু পেতেই চান তাহলে আগের কমেন্টে দেয়া পরামর্শ দুটি বিবেচনা করতে পারেন - ১. সাধনায় সমাপ্তি না মেনে আরো অগ্রসর হওয়ার চেস্টা করা ২. পুরো কোরআনের পরস্পরবিরোধমুক্ত সরল অনুবাদ ( আপনার দর্শন অনুসারে ) প্রনয়ন করা। যদি আল্লাহর রহমতে এর কোন একটিতে সফল হন তাহলে সেটাই হবে আপনার জীবনের সেরা কর্ম ( গাছের সবচেয়ে সুমিস্ট ফল )।
আল্লাহ আমাদের প্রতিটি ভাল কাজ কবুল করুন - আমীন।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ‘বালাছ’ এর বহুবচন ‘ইব্লিছ’ আবার কোথাও ‘ইব্লিছ’ এরও বহুবচন দৃষ্ট হয়। বিষয়টি সম্বন্ধে নিশ্চিত না হয়ে নিশ্চিত কথা বলা মুশকিল। আগুন বনাম পানির প্রতিযোগীতা আপ্রাকৃতিক হাস্যকর; যেমন বিদ্বুত বনাম মুশিক। তবুও ইব্লিছ দ্বিতীয় রাউন্ডে শতভাগ সফল বলেই দুনিয়ায় ‘মুছলিম’ দাবিদার প্রধানত আর নেই।
২. জান্নাত-জাহান্নাম কোন ভৌগলিক অবস্থান/স্থানের নাম নয় আর ললিপপ/লাড্ডুও নয়। যেমন সুখ/দু:খ, শান্তি/অশান্তি,ভালো/মন্দ কোন ভোগলিক আবস্থানে সীমাবদ্ধ নয়, যাওয়া-আসাও করা যায় না। উহা কেবল ধারণ/অর্জন করতে হয়; অর্জিত হলে ধারিত শান্তি কথিত দোযখে গেলেও শান্তির ব্যঘাত ঘটে না। অশান্তির বেলায়ও তাই। ইব্রাহিমের অগ্নীকুন্ডে বাসই উতকৃষ্ঠ উদাহরণ।
৩. কোরানের অনুবাদ বিষয়ক পরামর্শ সুন্দর তবে তা ম জ বাসারের পক্ষে সম্ভবত সম্ভব নয়। তার দায়িত্বে যতটুকু হয়েছে তাই নিয়েই সে ব্যস্ত; তাছাড়া অতদূর পৌছা সম্ভব হয়নি। কোন ব্যক্তি এমনকি নবি-রাছুলদের পক্ষেও পূর্ণতা সম্ভব নয়, হয়নি। রাছুলের শেষ জীবনটা অন্তত টাটকা উদাহরণ।
আমলীল ইন্সানি মা তামান্না= মানুষের সকল আসা পুরণ হবার নয় (তথ্য: ৫৩: ২৪)
৪. কোন মানুষ ভ্রান্ত শরিয়তের মিথ্যাতা সুধরাতে/প্রমান করতে কোরানিক সত্যতার সাক্ষি-প্রমান উপস্থাপণা অবশ্যই ধৃষ্ঠতা নয়। বরং উহার বিপরীতই ধৃষ্ঠতা শঠতা।
৫. আপনার উপদেশের জন্য ঋণী হয়ে থাকলাম।
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৩
ডাইনোসর বলেছেন:
বাসার ভাই ভাল আছেন?