নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান

ম জ বাসার

ম জ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদম প্রথম মানুষ নয়।

০৫ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০২

কুরআন বলে আদম প্রথম মানুষ নয়;বিপরীতে শরিয়ত বলে আদম প্রথম মানুষ।



'দাম'শব্দের বহুবচন 'আদম'অর্থ: রক্ত,রুধির,প্রলেপ দেয়া,রং,রংএর প্রলেপ,কদাকার হওয়া,বদ হওয়া,নীচ হওয়া,ত্বক,চর্ম,ছালন মাখানো,ব্যঞ্জন মিশানো,মিল সাধন করা, পিংগলবর্ণ হওয়া প্রভৃতি;অর্থাত বিবর্তিত মনুষ্যজাত;কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তির নাম নয়।



অ এজ কালা—ইয়ালামুন (২: ৩০) অর্থ: এবং যখন তোমার প্রতিপালক ফেরেস্তাদেরকে বলেছিলেন-নিশ্চয় আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করব,তারা বলেছিল তুমি কি ইহাতে এমন সৃষ্টি করবে যে,তারা তম্মধ্যে অশান্তি উত্পাদণ করবে এবং শোনিত পাত করবে? এবং আমরাই ত তোমার প্রশংসাসহ মহিমা ঘোষণা করছি এবং তোমারই পবিত্রতা বর্ণনা করে থাকি;তিনি বলেছিলেন তোমরা যা অবগত নও নিশ্চয় আমি তা পরিজ্ঞাত আছি।



উল্লিখিত বাক্যের মূল শব্দ ৩টি:

ক. মালাএকাত= মালক/মূল্ক,মালাকা/মালিক থেকে মালাএকাত অর্থ: বড়,মালিক, কর্তা,জমিদার,ভিত্তি,মূল,কাঠামো,অপরিহার্য,শর্ত,ক্ষমতা,অধিকার,কর্তৃত্ব,স্বাধীন,ইচ্ছা, স্বেচ্ছা,রাজা,ফেরেস্তা



খ. আর্দ্ব= ধরণী,ধরা,ভূমি,পৃথিবী।



গ. খলিফা= উত্তরাধিকারী,প্রতিনিধি,স্থলাভিসিক্ত।



সমালোচনা

ক/ক. ফেরেস্তা অর্থটি মূলত: বাংলা অর্থ/অনুবাদ নয়;উহা ভ্রান্ত শিয়াদের কাছ থেকে ছুন্নিদের অনর্থক ধার করা শব্দ।কারন: আরবি মালাকাত ও ইরানী ফেরেস্তা উভয়ই বাংগালীদের কাছে সমান দুর্ভেদ্য।



খ/খ. আর্দ্ব অর্থ ধরণী বা ধরা;অর্থাত যা ধরা,ছোয়া,অনুভব,উপলব্ধি বা দর্শনজ্ঞানে প্রমান করা যায়;উহাই ধরা বা ধরণী;এ অর্থে নিউট্রন,প্রোটন,ইলেক্ট্রন ও এ্যটাম এবং ইহাদের নব আবিস্কৃত স্রষ্টা: কোয়ার্ক,ল্যাপটন,বোসন ও ফার্মিয়ানও ধরা বা ধরণী।আর্দ্ব অর্থ পৃথিবী নয়,পৃথিবীর আরবী শব্দ দুনিয়া।



গ. খলিফা শব্দার্থটি সংগত এবং যথার্থ।



সঠিক ও সংগত অর্থ:

এবং তোমার প্রভু (স্ব স্ব জ্যোতিদেহ) মুল/কর্তা জ্ঞানী/সাধকদের (মালাএকাত) যখন খবর দেন/উপলব্ধি করান (বলেন) যে,বস্তুর (আর্দ্ব) উত্তরাধিকারী (খলিফা) হয়;অর্থাত বস্তু বিবর্তনশীল;তখন জ্ঞানীরা (মালাকাত) ভাবে/কামনা যে,‘উত্তরাধিকারী বা বির্বতনের (ঘর্ষনে) কারণে কষ্ট-ক্লেস,অশান্তি,রক্তারক্তি হয়;আমাদের বিবর্তন না হয়ে অপরিবর্তনীয়/চিরস্থায়ী হোক! আমরাই তো স্রষ্টার নিখুত (নুকাদ্দেছু=পবিত্র, নিষ্কলুষ,খাটি) স্বয়ংক্রিয় (নুছাব্বেহু= কর্ম ব্যস্ততা,সন্তরণ,পানিতে ভাসা,বিশ্রামে থাকা)স্বীকৃত যথার্থ বাস্তবতা। কিন্তু আমিত্ব সত্তা/শক্তির নিয়ম (আমি যা জানি) ওরা জানে না।

অতএব 'আদম' প্রথম সৃষ্টি, প্রথম মানুষ বলে ধারণা করার কোনই আকার ইংগীত আয়াতে নেই।



প্রচলিত অনুবাদ মতেও আদম প্রথম মানুষ নয়

১. খলিফা বা উত্তরাধিকার বলতে পূর্বাধিকারীর পরবর্তি অধিকারীগণ;পূর্বাধিকারী না থাকলে উত্তরাধিকারী বা খলিফার প্রশ্নই অবান্তর হয়;সুতরাং কথিত আদম বলতে পূর্বাধিকারীর পরবর্তিগণ।



২. তার পূর্বে মানুষ না থাকলে তার উত্তরাধিকারী হয় কিভাবে? পূর্বে মানুষ না থাকলে সে কার প্রতিনিধি বা নেতা হবে?



৩. কথিত ফেরেস্তাগণ বলে,ওরা তো রক্তারক্তি ও অশান্তি সৃষ্টিকারী-;অর্থাত কথিত আদমের (মানুষ) পূর্বের আদমজাত সম্বন্ধে বাস্তব ও প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে যে,তারা অশান্তি ও খুনাখুনী করে।



৪. আল্লাহ যে জ্ঞান দেয় তা ব্যতীত কথিত ইরানী ফেরেস্তাদের অগ্রীম জ্ঞান থাকা শরিয়ত বিরোধী বিধায় অনুবাদটি স্ব বিরোধী ও সাংঘর্ষিক।



বিবর্তনচক্র বা সাইকেলিং ব্যতীত সৃষ্টির শুরু নেই,শেষও নেই;'আমি'র আমিত্বের বার বার শুরু এবং বাব বার শেষ চক্রে চক্রিত হয়।



এক্ষণে এতদসম্বন্ধে মৌলবাদের ১৪শ বছরের পালিত ভ্রান্ত বিশ্বাসের সংস্কার করুক!অনুবাদ সংশোধন করুক!

বিনীত।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: খুব সুন্দর ও গঠনমূলক লেখা, অনেক ভালো লাগলো আপনার যুক্তিগুলো। বাসার ভাই ভালো থাকবেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
কৃতজ্ঞ;নকসাব্লগডটনেট এ আসুন সেখানে আপাতত: মুক্ত আলোচনা করা যায়।
বিনীত।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
আপনি শারিরীক/মানষিক ভালো আছেন তো? আপনার অভাব অনুভব করছি।
বিনীত।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
আপনি শারিরীক/মানষিক ভালো আছেন তো? আপনার অভাব অনুভব করছি।
বিনীত।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছালাম বাশার ভাই। ঈদ মোবারক।

আহা কাঙাল মুরশিদ ভাইয়ের জন্য হিংসে হচ্ছে ;)

কেমন আকুল করে ডাকছেন :):):)

ভাল থাকুন।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৫

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
কাংগাল ভাই নিজের ভ্রান্ত দর্শন স্বীকার করত: ম জ বাসারের উদ্বৃত কুরআনের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন! না দেহ গোপনে গেলেন! বুঝা গেল না।
বিনীত।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম বিদ্রোহী ভৃগু,
১. কুরআনের আলোকে ঈদ-ফুর্তি, ভোগ-বিলাসের স্থান নেই। আমার উপবাস পূর্ণতা হয় পৌষ মাসের শেষ বা মাঘের ১লা।
২. Nokshablog.net (নকসাব্লগডটনেট) এ আসুন; সেখানে মোটামুটি/আপাতত: স্বাধিনভাবে লেখার সুযোগ আছে।
বিনীত।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: সালাম

আপনি আমাকে আহ্বান করেছেন দেখে বড়ই ভাল লাগছে - নিজেকে গুরত্বপুর্ণ সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে!! দু:খিত অনেক দিন ব্লগে প্রবেশের সুযোগ হয়নি।

এখানে আপনি যা বলেছেন তার মুল কথা হল: "বিবর্তনচক্র বা সাইকেলিং ব্যতীত সৃষ্টির শুরু নেই,শেষও নেই;"

এটা বহুল প্রচলিত পুণ:জন্ম মতবাদ বা সর্বেশ্বরবাদ এরই একটি বর্ণনা মাত্র। আজ থেকে কিছুদিন আগেও বিজ্ঞান বলত শক্তির কোন সুচনা বা শেষ নাই। শক্তি কেবল এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তিত হতে পারে। আপনার এই বর্ণনাও অনুরুপ। এই বর্ণনায় সৃস্টির সুচনা ও সমাপ্তিকেই অশ্বীকার করার মাধ্যমে মুলত স্রস্টার অস্তিত্ব অশ্বীকার করা হয়। কারণ সৃস্টির সুচনা থাকলে সুচনাকারী বা স্রস্টার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতেই হয়।

কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান 'বিগব্যাং' তত্বের মাধ্যমে আপনাদের এই অসৃস্ট চক্রের ধারনা বাতিল করে দিয়েছে। শক্তি স্থান সময়ের যেমন সুচনা আছে তেমনি তার সুচনাকারীও আছে এবং সেই সুচনাকারী কখনই মানুষ নিজে নয়। মানুষতো এই বিশ্বজগতের তুলনায় অতি অতি অতি নগন্য এক সৃস্টি মাত্র। সুতরাং আপনার এই তত্বের দিন বহু আগেই ফুরিয়ে গেছে - আপনি এখনও জানতে/বুঝতে পারেন নি - এটাই দু:খজনক।

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. সুযোগ থাকতেও পুনরায় সুযোগ পেলেন বলে কৃতজ্ঞ।
২. পুন:জন্ম মতবাদ গীতার যেমন ঠিক কুরআনেরও তেমন;তিল পরিমও পার্থক্য নেই অন্তত নীচের আয়াতগুলি লক্ষ্য করত: স্বীকার করলে করুণ! না করলে নাই।
ক. –তিনি অস্তিত্ব দেন এবং তার পুনরাবর্তন ঘটান- (৮৫: ১৩)
খ. –আল্লাহ সৃষ্টি করেন অত:পর তার পুনরাবর্তন ঘটান- (৭১: ১৪)
গ. – প্রাণহীন থেকে তিনি তোমাদের জীবিত করেন; আবার মারেন, আবার জীবিত করেন; পরিণামে আল্লাতেই বিলীণ হও- (২: ২৮)
ঘ. –তিনিই মৃত থেকে জীবিতের এবং জীবিত থেকে মৃতের আবির্ভাব ঘটান-(৩০: ১৯)
ঙ. –মৃত থেকে জীবন্ত ও জীবন্ত থেকে মৃতের নির্গত করেন- (৬: ৯৫)
চ. –তোমাদের মাটি থেকে সৃষ্টি করি এবং তাতেই ফিরিযে দেই; আবার তা থেকে পুনরায় জীবিত করি-(২০: ৫৫)
ছ. -তিনি তোমাদের জীবন দেন ও মৃত্যু ঘটান আবার জীবন দেন- (২২:৬৬)
জ. -তিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনেন অত:পর ইহার পুনরাবর্তন ঘটান- (১০: ৩৪)

৩. সর্বেশ্বরবাদের অন্যতম আকাট্য প্রমান:
*. তিনি আদি তিনিই অন্ত; তিনিই প্রকাশ তিনিই অপ্রকাশ; যাবতীয় জ্ঞানই তিনি। (৫৭:৩)
*. পুর্ব পশ্চিম যে দিকেই তাকাও সে দিকেই আল্লাহ; আল্লাহ সর্বব্যপী সর্ব জ্ঞানই আল্লাহ (২: ১১৫)
৪. ভুল বা বিপরীত বললেন: সৃষ্টির সুচনা ও শেষ থাকলে বরং আল্লাহকেই অস্বীকার করা হয়; কারণ আল্লাহর তো সুচনা নেই, শেষও নেই। অস্বীকার করা হয় ক্যামনে? তবুও সাক্ষ্য প্রমান দিয়ে বলুন: সৃষ্টির সুচনা কবে? শেষই বা কবে? না পারলে বর্ণিত কুরআনের আয়াতগুলি সহজ-সরলভাবে মেনে নিন? তবে হ্যা! নির্দিষ্ট বস্তু, নিউট্রন-এ্যটম বা কোয়ার্ক ফার্মিয়ানদের সুচনা ও শেষ আছে; তবে কি না এই সুচনা ও শেষ পুন: পুন: হয় যাকে আপেক্ষিক বলে।
৫. স্রষ্টা অস্তিত্ব বা বস্তুশীল নয়; স্রষ্টা অনস্তিত্বশীল কিন্তু অস্তিত্ব বা আপেক্ষিক বস্তু তার প্রমান। অস্তিত্ব মানেই তো সৃষ্টি।
৬. কথিত আদম মিয়া যে প্রথম মানুষ এ গুরুতর ভুলটা সংশোধন করলেন তো?
৭. জানতে-বুঝাতে এমন কোন যুক্তি বা সাক্ষি-প্রমান হাজির করেন নি; এটাই হতাসার জনক।
দীর্ঘ জীবন নিয়ে ভালো থাকুন।
বিনীত।

১০| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ঠিক আছে - আপনি যদি সর্বেশ্বরবাদে বিশ্বাসী হন - আপনি যদি সৃস্টির সুচনা ও সমাপ্তিবিহীন অনন্ত চক্রে বিশ্বাসী হন - হতেই পারেন(যদিও আধুনিক বিজ্ঞান বলছে সৃস্টির সুচনা ছিল)। পৃথিবীতে এমন ধর্মেরতো অভাব নাই - না হয় আর একটা ধর্ম তৈরী হল। কিন্তু কোরআনের অল্প কয়েকটা আয়াতের খন্ডিত অর্থ নিয়ে এটাকে ইসলাম বলে চালাতে চাইছেন কেন??

এ'জন্যই আপনাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম - আপনার এই অনন্ত চক্র আর সর্বেশ্বরবাদ ধারনা ঠিক রেখে পুরো কোরআনের অনুবাদ করুন। কিন্তু আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন সেটা সম্ভব নয়। কোরআনের ৭০ ভাগ আপনার বোধগম্য হলেও বাকি ৩০ ভাগ অপরিবর্তিত রেখে অনুবাদ করতে গেলে এই তত্বগুলি টেকে না। কাজেই আপনি সেই ৩০ ভাগের অর্থ নিজেরমত করে বদলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ সত্যিকারের কোরআন বিশ্বাসীর কাজ ছিল নিজের মতামত বাদ দিয়ে কোরআনের কথাই মেনে নেয়া।

বস্তুত কোরআন একটি ব্যাপক অর্থবহ মধ্যপন্থী গ্রন্থ। এখানে খুজলে সবদিকের কথাই কম বেশী পাওয়া যায়। এর কিছু বক্তব্য পুঁজিবাদের সাথে মেলে, কিছু মেলে সমাজতন্ত্রের সাথে। বংশানুক্রমিক উত্তরাধীকার যেমন আছে তেমনি আছে যার যার কর্মঅনুযায়ী বিচারের কথা। মধ্যপন্থী মতবাদ হওয়ার কারণে দুনিয়ার সকল প্রান্তিক মতবাদ এর কিছু না কিছু কথা কোরআনের সাথে মিলে যায়। কিন্তু তাই বলে কোরআনে বর্ণিত ইসলাম সেই প্রান্তিক ধারনাগুলির কোনটারই অনুরুপ নয়। বরং পুরো কোরআন বিবেচনায় নিলে সম্পুর্ণ ভিন্ন একটা চিত্রই ফুটে ওঠে।

তবে সমস্যা হল কেউ যখন কোন একটা মতবাদের চশমা চোখে নিয়ে কোরআন পড়ে তখন তার চোখে কেবল নিজের পক্ষের কথাগুলিই ধরাপরে - অন্যগুলি হয় এড়িয়ে যায়, অথবা আপনারমত অতি চালাক হলে বিভিন্ন ঘোরান প‌্যাচান যুক্তির মাধ্যমে বদলে নিতে চায়।

তাই কোরআন বুঝতে হলে অন্যসব মতবাদ এবং সেই সাথে নিজের পুর্বধারনাসমুহ বাদ দিয়ে খোলা মনে কোরআনের স্বাধারণ অর্থ (ঘোরান প‌্যাচান ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে) বিবেচনায় নিতে হবে - অন্যথায় আপনাদের তিন পুরুষেরমত কেবল অন্ধকারেই ঘুরে মরতে হবে - সত্যের পথ খুজে পাওয়া যাবে না।

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. তিনি আদি তিনি অন্ত, তিনি দৃশ্য তিনি অদৃশ্য; তিনিই সর্বব্যপী সর্বত্র বিরাজিত (৫৭:৩)।
আয়াতটিকে খন্ডিত প্রমান করার সুযোগ বিশ্বের কারো নেই; আরবী ‘ইছলাম’ শব্দের অর্থ নিজ ভাষায় না বুঝা পর্যন্ত অসাম্প্রদায়িক আল্লাহর ধর্ম নিয়ে হীন সাম্প্রদায়িকাই করে যাবেন।
ক. একাকার আল্লাহর ধর্ম মত আদি অনন্তকাল থেকেই একক একাকার অপরিবর্তনীয়, স্থীর, শাশত্ব। পৃথিবীর অন্যান্য ধর্মমতগুলি আল্লাহর মধ্যে হলেও আল্লাহর নয় উহা আবু হানিফা বা বোখারীগংদের মতই দল উপদলের বিকৃত রচিত শয়তানী ধর্ম।
খ. বিজ্ঞান সৃষ্টির সুচনা বলেনি! বলার অভিজ্ঞতা তারা এখনো প্রাপ্ত হয়নি। তারা মাত্র সৃষ্টির মধ্যের ইউনিট/কোষ বা স্বতন্ত্র বস্তুর সুচনার কথা বলে। তারা কেন! বরং উহা আপনিও জানেন, দেখছেন নিত্য নতুন মানুষ, পশুপক্ষ, লতাপাতা অনবরত সৃষ্টি হচ্ছে আবার লয়ও হচ্ছে; পৃথিবী, সুর্য, সৌরজগতও বস্তু উহাও অনুরূপ আপেক্ষিকতার অধীন সৃষ্টি নয় কিন্তু সৃষ্টির বিষয়বস্তু; সৃষ্টির কুল কিনারা খেকে বিজ্ঞানীগণ এখনো বহুদূর।
গ. যা হোক এ সম্বন্ধে বর্নিত কুরআনের অখন্ড দর্শনকে খন্ডিত বলার আগে অখন্ড দর্শনের প্রমান হাজির করা উচিত ছিল।
ঘ. ম জ বাসারের নিজস্ব সৃষ্ট বা আবিস্কৃত কোন ইছলাম চালাতে চাচ্ছে না, তার প্রমানও দিতে পারবেন না; বরং সে ক্ষমতা তার বা কোন নবি-রাছুলেরও নেই, ছিল না। অজ্ঞতা বশত: কুরআনিক ইছলামকেই অসত্য, মিথ্যা বা ভুল মনে করে প্রকৃত মিথ্যা দলীয় খন্ডিত ইছলামকে সত্য বলে বিভ্রান্ত হয়েছেন।

২. কোন একটি বিদেশী ভাষার গ্রন্থের অনুবাদ/বাদানুবাদ করার জন্য কেহ কারো প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার অধিকার বা দায় দায়িত্ব বর্তায় না। তবুও যারা হেন দায়িত্ব ধারণ করে তবে তা অজ্ঞানতার পরিচয়।
ক. যে কোন ঐশী গ্রন্থের শতভাগ রহস্য, অর্থ, ভাবার্থ কোন নবি-রাছুলদেরই জানা ছিল না। রাছুলের কাছেও পূরো কুরআনের অর্থ অবোধ্য ছিল; এজন্য তিনি হতাস ছিলেন। দ্র: দেখুন: ৭৫: ১৬-১৯। তবে সাধ্যমত ম জ বাসার অনুবাদের কাজ যথাসাধ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী বই মেলায় ‘কুরআন-শ্লোক’-১ খন্ড প্রকাশ হতে যাচ্ছে।
খ. কুরআন ‘মানি-মানি-মানি’ বলে জীবনভর চীত্কার করলেও কুরআন না বুঝা পর্যন্ত মানার প্রশ্নই অবান্তর হাস্যকর। বরং পাগলের প্রলাপ বলেই সাব্যস্থ হয়। প্রচলিত অনুবাদে আপনাদের অন্ধ বেকুফী ফাল্তু বিশ্বাস ব্যতীত সংগত বিশ্বাস নেই, কষ্মিণকালেও ‘মানি’র প্রমান করতে পারবেন না। সাধারণ লাইনে শিক্ষিতগণ এ প্রলাপ বন্ধ করা উচিত।

৩. অথচ সত্যিকারের কোরআন বিশ্বাসীর কাজ ছিল নিজের মতামত বাদ দিয়ে কোরআনের কথাই মেনে নেয়া (কাংগাল মুরশিদ)।
এখানে খুজলে সবদিকের কথাই কম বেশী পাওয়া যায়। এর কিছু বক্তব্য পুঁজিবাদের সাথে মেলে, কিছু মেলে সমাজতন্ত্রের সাথে (কাংগাল মুরশিদ)।

ক. কুরআনের উপর আপনার সংঘর্ষিক ঈমান উপরের উদ্বৃতিতে সাক্ষ্য-প্রমানিত। অর্থাত আপনারা দ্বৈতবাদী মুনাফিক যা নিজেই স্বীকার করলেন।
খ. শিয়া/ছুন্নী বা সমগ্র শরিয়ত যে মুনাফিক তা আপনার উদ্বৃতিই সাক্ষি। এজন্য আপনি নিজে দায়ি নন! দায়ি প্রচলিত শরিয়তী অনুবাদ এবং তার উপর আপনার অন্ধ বিশ্বাস; যা এক্ষণে কিছুটা চোখ খোলায় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। এক্ষণে এ ও স্বীকৃত যে দুনিয়ায় ১জন মাত্র মুছলিম নেই। যেহেতু এই দ্বৈতবাদী কুরআনেই তাদের সমান অন্ধ বিশ্বাস। ম জ বাসার ঐ দলে যে নেই তা আপনিই প্রত্যক্ষ সাক্ষি, হতে পারে তার বাবার পূর্ব পুরুষ জারজ, বা ছুন্নী হানাফি।
গ. কুরআন আল্লাহর বাণী হলে উহাতে সাঘর্ষিক বা পরস্পর বিরোধী কোনই দর্শন নেই, থাকা অসম্ভব; অনুবাদগুলি বিভ্রান্ত বোখারীদের হাদিছের অনুসরণে অনুদিত যা দল উপদল বা রাজ শক্তির প্রভাবিত। এজন্যই দুটি বিপরীতমূখী পুজিবাদ-সমাজবাদ উভয়েরই সমর্থন পান। আশাকরি আপনার মতানুযায়ীই প্রচলিত অনুবাদ কুফুরী! তাই এক্ষণে স্বীকার করুন যে, একজন মুছলিমের পক্ষে উহা অনুসরণ করা চুড়ান্ত কুফুরী।
ঘ. আর যদি মুল কুরআনেও অনুরূপ বাণী দৃষ্ট প্রমানিত হয়! তবে ইহাও স্বীকৃত যে উহাও ব্যক্তি, দল ও রাজ শক্তিদ্বারা পরিবর্তিত, সংকোচন-সংয়োজিত; কারণ একটাই সাক্ষি-প্রমান যে, ঐ কুরআনেই ঘোষিত আছে যে ‘আল্লাহর বাণীতে অসংগতি, পরস্পর বিরোধী কোন আয়াত নেই, পাবে না।‘ যেখানে অনুরুপ পাবে তা অবশ্যই আল্লাহর নয়!
ঙ. কুরআন নতুন কিছু নয়, নতুন দর্শন নয়; অতীত কেতাবেরই সমর্থক, সমার্থক ও সংরক্ষক এবং উহাদেরই বিশদ ব্যাখ্যা বৈ অন্য কিছু নয়। আর ইছলাম পূর্বের সকল ধর্মের মতই ব্যক্তি ও দল কর্তৃক পরিবর্তিত, পরিবর্ধিত, সংযোগন ও সংকোচিত আজকের শরিয়ত। শিয়া/ছুন্নী বা শরিয়ত অর্থই অমুছলিম; শরিয়ত অর্থই অকুরআন ২ নম্বরী হাদিছ-ফতোয়ার সংযোজন।

• আপনার সংগে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা বা তর্ক-বিতর্কে আপনার আবৃত চোখ কিছুটা হলেও অনাবৃত হয়েছে প্রমান পেয়ে নিজের কর্ম প্রচেষ্টার কিছুটা স্বার্থক হল।
ভালো থাকুন।কৃতজ্ঞ ও
বিনীত।

১২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:১৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি যে আসলেই একজন বিভ্রান্ত ব্যাক্তি তা আবারো প্রমানিত হল। সহজ কথার সহজ অর্থ গ্রহনের যোগ্যতা আপনি বহু আগেই হারিয়েছেন। কোরআনের সহজ কথাগুলি যেমন ঘুরিয়ে পেচিযে নিজের ভ্রান্ত মতবাদের পক্ষে নিতে গিয়ে যে বদঅভ্যাস তৈরী হয়েছে তার ফলে কাঙ্গালের কথারও সহজ অর্থ বুঝতে পারছেন না। একই স্টাইলে ঘুরিয়ে নিতে চাইছেন নিজের দিকে - সত্যিই আপনি এক বিস্ময়কর জটিল চিন্তার মানুষ!!!

কোরআনের মধ্যে বিভিন্ন মতবাদের চশমা দিয়ে খুজলে সেইসবের পক্ষে কিছু কথা পাওয়া যাবে - এর অর্থ এই নয় যে কোরআনে পরস্পর বিরোধী কথা আছে। কোরআনে যা আছে তার সার্বিক চিত্র অবশ্বই অনন্য - কিন্তু দেখার ভিন্নতার কারণে সেটাকে এক এক দিকের মনে হয়। সহজ করে বলি - ধরুন দুই ধারার মানুষ রাস্তার দুই দিক দিয়ে হাটছে। এখন যদি কেউ রাস্তার ঠিক মাঝ বরারব হাটে তাহলে দেখা যাবে দুই দিকের মানুষই তাকে নিজের লোক মনে করছে। ডান দিকের মানুষ দেখছে তার ডান পাশ নিজের দিকে আছে, বাম দিকের মানুষ দেখছে তার বাম পাশ নিজেদের দিকে আছে। যদি কেউ সেই মানুষটাকে সম্পুর্ণরুপে দেখে তখন সে বুঝতে পারবে যে লোকটা ডান পক্ষেরও না আবার বাম পক্ষেরও না। সে বরং নিজেই একটা পক্ষ - মধ্যপন্থি।

একই ভাবে মানুষের মাঝে প্রচলিত যত মতবাদ আছে তার সবগুলিই যখন খন্ডিত, প্রান্তিক আর কোরআন আছে মধ্যপন্থায় তখন ঐসব মতবাদের লোকেরা তাদের অবস্থান থেকে কোরআনের কিছু কিছু বক্তব্য নিজেদের পক্ষে দেখতে পায়। কিন্তু পরিপুর্ন কোরআনিক মতবাদ ওগুলির কোনটাই নয় - বরং স্বতন্ত্র ও অনন্য এক মধ্যপন্থি পরিপুর্ণ মতবাদ।

এ'কারণেই আপনি আপনার মতবাদে প্রতিষ্ঠিত থেকে পুরো কোরআনের অনুবাদ কখনই করতে পারবেন না। হয় আপনার অবস্থান বদলাতে হবে - না হয় কোরআনের অর্থ বদলে দিতে হবে। দু:খজনক হল আপনি এবং আপনারমত কিছু বিভ্রান্ত মানুষ কোরআনকেই বদলে দিতে চায়। সময় থাকতে যদি এই জঘন্য প্রবনতা থেকে ফিরে না আসেন তাহলে আপনাদের ধ্বংস অনিবার্য।

১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৮

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ১ম পারাটা কুরআনের বিপরীতে নিছক নিজস্ব ফতোয়া;যার কোন ভিত্তি নেই তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

২. কুরআনে: ধরুন, মনে করুন, ধারণা করুন এ সমস্ত বিভ্রান্তকর মাশালা-মাশায়েলের স্থান নেই; উহা সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল বিশদ ব্যাখ্যা, মাশালা-মাশায়েলপূর্ণই ২টি পথ যথা: সত্য ও মিথ্যা।কুরআন স্বীকার করুণ:
ক. বলুন! সত্য আসলে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়; মিথ্যা বিলুপ্তই হয় (১৭: ৮১)।
খ. আমরা কি ২টি পথ দেখাইনি? (৯০; ১০)।
সুতরাং এর মাঝে যারা নতুন মনগড়া পথ আবিস্কার করে কুরআন তাদেরকে মুনাফিক সাব্যস্থ করে; এরা কাফিরদের তুলনায় নিকৃষ্ট।
এবার স্বীকার করুন যে, মধ্যম পথ বলতে কুরআনের কোন পথ নেই; উহা শরিয়তের বিভ্রান্তকর অনুবাদ। সংশোধন করলে করুণ? না করে মুনাফিক থাকলে তা নিজস্ব বিষয়; এতে কারো হাত নেই, দায়-দায়িত্বও নেই।

৩. তদুপরি আপনার ফতোয়া গোজামিল, অসম্পুর্ণ যথা:
ক. রাস্তাটি কি অজ পাড়া গায়ের? না শহর বন্দরের। নির্বোধ ব্যতীত আধুনিক জ্ঞানীরা কিন্তু যে কোন রাস্তার মধ্য দিয়ে হাটে না। কারণ তাতে যে কোনভাবে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।
খ. একই রাস্তায় পরস্পর কেহ আসে আবার কেহ বিপরীত দিকে যায়; আপনি এক পক্ষের কথা বলেছেন মাত্র; অন্য পক্ষ লিখতে ভুল করেছেন বা জ্ঞানে ধরেনি।

৪. আপনার অনুপ্রেরণায় ম জ বাসার কুরআনের অর্ধেক অনুবাদ করে আপনার ভবিষ্যত বানী আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। বাকিটা সম্ভব হতেও পারে; অর্ধেক অনুবাদই তার প্রত্যক্ষ সাক্ষি।
খ. কুরআন বদল করা মানুষ/অমানুষের দ্বারা সম্ভব নয়; তবে কুরআন বইটি বহু আগেই আপনারা ধর্মান্ধ মৌলবাদীগণ বদল করত: উহাতে যেন আর কেহ হাত না দেয়, সংশোধন না করে! সেজন্য ১৩/১৪শ বছর যাবত বিজ্ঞাপন/প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
সাক্ষি দেখুন:
ক. ৪: ১১.১২; সম্পত্তি বন্টনের আয়াত; উহা ভুল-মিথ্যা; যা শরিয়ত স্বয়ং স্বীকার করত: আল্লাহর উপর হস্তক্ষেপ করে সংশোধন করেছে! যা করেছে তাও ভুল, মিথ্যা গোজামিলপূর্ণ।
খ. শরিয়তের দাবি/ঘোষনা: কুরআনে ব্যভিচারিনীকে পাথর মেরে হত্যা ও স্বামী- স্ত্রীর বুকের দুধ পান যায়েজের আয়াত বিবি আয়শার ছাগলে খেয়ে কুরআনকে কানা করে ফেলেছে (ইবনে মাজাহ, ২য় খ. হা নং-১৯৪৪; ই. ফা)।
গ. শরিয়তের দাবি কুরআনের আয়াত সংখ্যা ৬৬৬৬টি; কিন্তু আপনি এক্ষণে গুণে দেখুন পাবেন ৬২৩৬টি। বাকীটা কি ম জ বাসার, তার বাবা-নানা বিবি আয়শার ছাগলের মতই কি খেয়ে ফেলেছে? না আপনি বা আপনার পূর্ব পুরুষরা খেয়েছে।
ঘ. শরিয়ত প্রণীত ও স্বীকৃত ইছলামিক ফাউন্ডেসনের সংক্ষিপ্ত ইছলামিক বিশ্ব কোষ দেখুন যে ইহাতে নিজদের মধ্যেই কুরাআন সংকলন নিয়ে অজস্র মতভেদ/মতবিরোধ ও তর্ক বিতর্ক রয়েছে।
এতদ সম্বন্ধে আপনার মতামত কি??????????

৫. জনাব ভয় দেখিয়েন না? নিজে ভয় দেখুন? নবি-রাছুল বা আবু যেজেলরাও ধংস হয়েছে। আপনিও ধংস হবেন; ম জ বাসারও। এই ধংসের মধ্যে কোনই মতভেদ, মতবিরোধ বা সংশয় নেই। ভালো থাকুন।
বিনীত।

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "বলুন! সত্য আসলে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়; মিথ্যা বিলুপ্তই হয় (১৭: ৮১)"

এইটা আপনার বংশের নবী/রাসুল/প্রেরণা প্রাপ্ত - হওয়ার বিপক্ষে আরো একটা বড় প্রমান। যদি আপনাদের কাছে সত্য আসত আর প্রচলিত শরিয়ত যদি পুরোপুরি মিথ্যা হত তাহলে এই নীতি অনুসারে শরিয়ত বিলুপ্ত হয়ে আপনাদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল - অথবা বাংগালী জাতিই বিলুপ্ত হয়ে যেত, যেমন কোরআনে ছয়টা জাতির কথা বলা হয়েছে যারা নবী/রাসুলের আনা সত্য অমান্য করার কারণে বিলুপ্ত/ধ্বংস হয়ে গেছে । সেটা হয়েছে কি? না কি ক্যানাডায় পলায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে আপনার মতবাদই বিলুপ্ত হয়েছে?? এরপরওকি বুঝবেন না কোনটি সত্য??

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
উল্টা বুঝলেন জনাব! সত্য এসেছে বলেই ম জ বাসারের কোন একটি সত্য দর্শনও আজ পর্যন্ত মিথ্যা প্রমান করতে সক্ষম হননি। অর্থাত আপানারা ম জ বাসারের দর্শনের কাছে বিলুপ্ আবর্জনা মাত্র।
২. বিষয়টি মুহাম্মদকে দিয়েই উপলব্ধি করুণ? তিনি আসার পরেও পৌক্তলীক, ইহুদি, খৃষ্টানগণ বিলুপ্ত হয়নি; বরং তারা শিয়া/ছুন্নীদের তুলনায় অধিক। তবে সত্য/মিথ্যা দলের সমর্থনের উপর নির্ভর করে না তা বহু বার বলা হয়েছে।
আয়াতটির মর্মার্থ হলো নিজের মধ্যে সত্য আশ্রয় নিলে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়ে যায়। আবার মিথ্যা আশ্রয় নিলে সত্য বিলুপ্ত হয়। আপনার মধ্যে সত্য আশ্রয় নেয়নি বলেই মিথ্যায় ডুবে আছেন।
৩. জাত বেজাতের আগে নিজের অস্তিত্ব সম্বন্ধে প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়ার জন্যই প্রধানত; কুরআনগ্রন্থ।
৪. মুহাম্মদের জাত সত্য-সঠিক ‘মুছলিম’ বিলুপ্ত হয়ে আজ মিথ্যা শিয়া/ছুন্নী/হানাফি-হাম্বলী সমুন্নত রয়েছে।
৫. জনাব! মুহাম্মদও ধংস বিপরীতে আবুজেহেলও ধংস। প্রকৃতির এই বিধান নিয়ে অহংকার করা বোকামী। বরং আবুজেহেলের দর্শনই শিয়া ছুন্নীরা সমুন্নত করে রেখেছে। তার প্রমান স্বরুপ আপনি ‘মুছলিম’ নন। বরং ছুন্নী হানাফি; রাছুল যা ছিলেন না।
৬. মুহাম্মদ মক্বা থেকে পালিয়ে মদিনায় শেষ পর্যন্ত মৃতু বরণ করেছেন। সত্য প্রচারে উহা কোন ফ্যাক্টর নয়; শিশুতোষ বিতর্ক থেকে যৌবনী বিতর্কে কবে পদার্পন করবেন সেই আশায়
বিনীত।

১৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার চিন্তা চেতনা যে ইতিমধ্যেই সংশোধন অযোগ্য অধ:পতনে পতিত হয়েছে তা বহু আগেই বুঝতে পেরেছি। তাই আপনাকে কিছু বুঝান কার পক্ষেই সম্ভব নয়।

আপনার পক্ষেই বলা/ভাবা সম্ভব যে মুহাম্ম(স.) হাজার বছর ধরে শত কোটি অনুসারী থাকতেও সে ধ্বংস/বিলুপ্ত হয়ে গেছেন আর আপনার নানা, পিতা এবং আপনি নিজে শত বছর চেস্টা করে দুই চারজনকে বুঝাতে না পারলেও এমনকি আপনি স্থায়ী ভাবে কানাডায় পালিয়ে গেলেও আপনারাই সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছেন!!

ঠিক আছে থাকেন আপনি আপনার প্রতিষ্ঠিত সত্য মতবাদ নিয়ে। আর কয় দিন? অচিরেইতো দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। শেষ বিচারের দিন আল্লাহই আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন কতটা ভুল/বিভ্রান্তিতে ছিলেন সারা জীবন। তখন এই কাঙ্গালের কথা মনে হবে নিশ্চয়ই - কিন্তু তাতে কোন উপকার কী পাওয়া যাবে? পরীক্ষা শেষ হবার পর সঠিক উত্তরটি মনে পড়লেও তার কোন সুফল কি পাওয়া যায়??

১৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:১২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কুরআন/মুহাম্মদের দর্শনের লেসমাত্র দুনিয়ায় নেই; ১জন মাত্র মুছলিম নেই; আপনিও নন! এটা কুরআনিক ও বাস্তবিক সাক্ষি প্রমান।
বিনীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.