নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ ও দেশের অরাজগতা,অনাসৃষ্টি,অবনতি,আশান্তির মুল কারণ ঘুষ, স্বজনপ্রীতি,লোভ,হিংসা,মোহ ও ক্রোধ। বিশেষ করে সরকারের নখ থেকে মাথা পর্যন্ত আপাদামস্তক রন্দ্রে-রন্দ্রে,অণু-পরমাণুতে এই নিকৃষ্ট সংক্রামক রোগটি প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বিস্তার লাভ করেছে।
সরকার আসে-সরকার যায়;কিন্তু সকল সরকারেরই শাষন,আইন,বিচার,ধর্ম,শিক্ষা, সামরিক-অসামরিক প্রভৃতি সমূহ বিভাগের দারোয়ান থেকে শুরু করে মন্ত্রী-মিনিষ্টার, প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত এই সংক্রামক রোগে চরমভাবেই আক্রান্ত।
সাধারণের সেবার জন্য সরকার নিয়মিত ট্যাক্স নেয়। বিয়ে করার ট্যাক্স থেকে শুরু করে, ঘর-বাড়ীর ট্যাক্স,বিষয় সম্পত্তির ট্যাক্স,পানি,মাটি,বিদ্যুত ট্যাক্স,নিরাপত্তার ট্যাক্স,ব্যবসা-বানিজ্যের ট্যাক্স,চলা-চলের ট্যাক্সসহ জন্ম-মৃত্যুর ট্যাক্স পর্যন্ত দিচ্ছে।অথচ পাগলা গারদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির অফিস পর্যন্ত সাধারণকে প্রতি পদে পদে শতভাগ সকরারী কর্মচারীদের বে-হিসাবী ঘুষ দিয়ে সেবা নিতে হয়।গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ শাষণ,বিচার ও শিক্ষা বিভাগের ইট-পাথর পর্যন্ত ঘুষ খায় বলে সর্বজন বিদিত;বিচার চাইতে গেলে বাদী-বিবাদী,দোষী-নির্দোষী,অভিযুক্ত ও খালাসপ্রাপ্ত উভয়েরই সম পরিমাণ ঘুষ দিতে হয়। পাগলা গারদ,লাস কাটা ঘর থেকে রাষ্ট্রপতির ঘর পর্যন্ত যেন এক একটি সরকারী ঘুষের কেন্দ্রীয় অফিস।
অপরদিকে শরিয়তী ইমাম-আলেম,মুফতিদের নামাজে টাকা ,তারাবিতে টাকা,জাকাতে টাকা,ফতোয়া,ওয়াজ-নছিহতে টাকা,মিলাদে ,জানাযায় টাকা,বিয়েতে টাকা,তালাকে টাকা,জন্মে টাকা মৃত্যুতে টাকা,পীরের চেহাড়া দেখতে টাকা,মাজারে টাকা,ওরসে টাকা! টাকা ছাড়া ধর্ম-কর্ম শতভাগ অচল হয়ে পড়ে। অথচ কোরআন ঘোষনা করে,ধর্ম কর্মের বিনিময় অর্থ গ্রহণ মদ শুকরের চাইতেও হারাম (তথ্যসুত্র: ২: বাকারা-১৭৪,৪১,৭৯)।
ইছলামী-অনইছলামী,আস্তিক-নাস্তিক,রাজনীতিক-সমাজিক,গায়ক,লেখক,কবি-সাহিত্যিক,ইমাম-আলেম,মুফতি-পীর,গাউস-কুতুব,সাধারণ-অসাধারণ কেহই হেন সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত নয় বিধায় কেহই উহা নির্মূলের দায়িত্ব নেয় না,ঘুনাক্ষরেও বিষয়গুলি আমলে নেয় না।যদিও সকলেই জানে যে,ব্যক্তি থেকে দেশব্যপী অনিয়ম-অশান্তির মূল কারণ প্রধানত: ঘুষ আর স্বজনপ্রীতি।সরকারের জানা সত্বেও কোন সরকার নিজ কর্মচারীদের অবৈধ-হারামী,অগণতান্ত্রিক আচরণ থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয় না। এই অলিখিত প্রচলিত দুরনীতির কারনে দেশের আইন,বিচার,শাষণ,শিক্ষা,ধর্ম বিভাগসহ সকল বিভাগ চরমভাবেই ব্যর্থ-কলুষিত,দেশময় অন্ধকার-অরাজগতা, বিভিষীকাময়।
এক্ষণে এমন একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় দল দরকার যারা রাস্তা-ঘাট,সেতু নির্মানের ওয়াদা না করে,গণতন্ত্র রক্ষার ভাওতাবাজি না করে,মিলিয়ন-বিলিয়ণ ঋন খেলাপীদের ক্ষমা না করে,১০ টাকা সের চাউল,কালোকে-সাদা,হারামকে-হালালের ওয়াদা না করে,ঘোমটা-দাড়ি রাখা,পাঞ্জেখানা নামাজের ওয়াদা না করে,যুদ্ধাপরাধীর বিচারের প্রহসন না করে দুরনীতি মুক্ত নির্মল-নিষ্কলুষ সরকার প্রতিষ্টার ওয়াদা করে। অন্যথায় জনসাধারণ অবিলম্বে যাবতীয় ট্যাক্স প্রদান বন্ধ করুক! ৪২ বছরের দলীয় নাটকীয় নির্বাচন বয়কট করুক।
আজ ৪২ বছর যাবত সরকার বা প্রত্যেকটি দল-উপদল ব্যক্তি ও দল স্বার্থে যা করে আসছে!তা দেশের জন্য যুদ্ধাপরাধীর তুলনায় ঢের ঢের বেশি নিকৃষ্ট অপরাধ।
কেহ ভারত পন্থী,আমেরীকা পন্থী,চীন পন্থি আবার কেহ পাকিস্থান পন্থী;যার যার স্বার্থের নেশায় সে সাধ্যমত সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে;এতে সকল দলই দেশ বা সাধারণের কাছে সমান অপরাধী বটে!
এত্থেকে মুক্তির উপায়-পথ কারো জানা আছে কি??
বিনীত।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কেহ ভারত পন্থী,আমেরীকা পন্থী,চীন পন্থি আবার কেহ পাকিস্থান পন্থী" - আবার কেহ কেহ দেশ ছেড়ে নিরাপদ উন্নত জীবনের আশায় কানাডারমত উন্নত দেশে পাড়ি জমায়!!
অনেক দিন পর আবার ব্লগে আপনার লেখা দেখলাম। কেমন আছেন?
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
১. ঘুষ, স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, উশৃংখ্যলতার সংগে দেশ ত্যাগে বিদেশ পাড়ীর কোন সায়-সম্পর্ক নেই; অপ্রাসংগিক।
কেহ যায় পেটের ধান্দায়, কেহ যায় আত্ম রক্ষায়, পলাতক হয়ে; আবার কেহ যায় অতি লোভে। এক্ষণে ম জ বাসারের অবস্থান সম্বন্ধে আপনার কোনই ধারণা নেই।
২. আপনাকে একটা গুরুতর কথা বলি:
ম জ বাসার কে, কি, কোথায় থাকে; বংশ পরিচয় কি, জন্ম পরিচয় কি! এ সকল খোজ খবর নিয়ে হয়তো বা পরিচয় পেতে পারেন বিভ্রান্ত শিয়া/ছুন্নীদের চেয়েও নিম্নতর! হতে ও পারে। কিন্তু সে আদিকাল থেকেই নিজস্ব রচনা নয় বরং আল্লাহ/রাছুল তথা কুরআনের বিধি বিধান, সাক্ষি প্রমানসহ কারে লিখে; অর্থাত তার টারগেট একমাত্র কুরআন।
পক্ষান্তরে:
আপনার টারগেট একমাত্র ম জ বাসার! তার লেখা নয়; সে কতখানি উপরে/নিচে উঠেছে/নেমেছে! সেখান থেকে টেনে হিচড়ে উঠা/নামাবার জন্যই আপনার যাবতীয় প্রচেষ্টা ও মন্তব্যের বিষয়বস্তু থাকে; যা নিতান্তু ব্যক্তিগত অহং বৈ আর কি! এবং যা হতাসাজনক।
আশকরি ধর্মের খাতিরে/স্বার্থে যোগ্যতা প্রমান হলে পরে ম জ বাসারকে গদাম দিন? মাথা কামিয়ে ঘোল ঢেলে উল্টো গাধার পিঠে চড়িয়ে শহরময় হরতাল করুন? কিন্তু সে যা বলে তা কুরআনিক প্রমানিত হলে তাকে নিজ স্বার্থে সন্মান করার অভ্যাস করুন?
৩. হ্যা! আপনি ও আলতামাসের জন্যই ব্লগ থেকে অর্ধ বিতাড়িত বলে মনে হয়; সত্য/মিথ্যা আপনিই নিশ্চিত।
৪. দৈহিক ভালো নেই; ফিসিং করতে গিয়ে হোচট খেয়ে সামান্য আহত; মানসিক হতাস। বিলিয়ণ-ট্রীলিয়ণ ডলার দরকার; যাতে বইগুলি ছাপিয়ে অন্তত বাংলা এরিয়ার প্রতিটি মানুষের হাতে বিনামূল্যে পৌছানো যায়।
দোয়া ত্যাগ করত: সম্ভব হলে দয়া করুন।
বিনীত।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আশকরি ধর্মের খাতিরে/স্বার্থে যোগ্যতা প্রমান হলে পরে ম জ বাসারকে গদাম দিন? মাথা কামিয়ে ঘোল ঢেলে উল্টো গাধার পিঠে চড়িয়ে শহরময় হরতাল করুন? কিন্তু সে যা বলে তা কুরআনিক প্রমানিত হলে তাকে নিজ স্বার্থে সন্মান করার অভ্যাস করুন?"
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে - 'বাঙ্গালীকে হাইকোর্ট দেখান'। আপনিও যেভাবে কথায় কথায় প্রমানের দাবি করেন তাতে ঐ প্রবাদটা মনে পরে যায়। আপনি যে প্রমান চাইছেন তার বিচার কে করবে?? আপনি কি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে বিচারক মানতে রাজি আছেন? আপনারা তিন পুরুষ মিলে শতাধিক বছর একটা মতবাদ প্রচার করছেন অথচ অতি অল্প সংখ্যাক মানুষ ছাড়া প্রায় কেউই তা গ্রহন করে নি - এটা কি একটা বিচার নয়? এই শতাধিক বছরে আপনারা কত হাজার মানুষের কাছে বিষয়টা তুলে ধরেছেন? তাদের মধ্যে কতজন এটা মেনেছে? শতকরা ১ ভাগও নয় - তাই না? তারপরও কি আপনি সেই ৯৯% মানুষের রায় মানতে পেরেছেন? তাহলে আপনি কার রায় মানবেন, কার বিচার মানবেন? আপনার মতবাদের সত্যতা/গ্রহনযোগ্যতা কে বিচার করবে??
অথচ ইতিহাস দেখুন - মুহাম্মদ (স.) যখন ইসলাম প্রচার করেছিলেন তখন মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে আরবের অধিকাংশ মানুষ সেটা মেনে নিয়ে মুসলমান হয়েছিল। পরবর্তী ৩০ বছরে তখনকার পরিচিত সভ্য দুনিয়ার অর্ধেকের বেশী মানুষ তাঁর শিক্ষা মেনে নিয়েছিল। যদি আপনাদের কথা মুহাম্মদ(স.) এর অনুরূপ হত তাহলেতো আপনাদের বেলায়ও তেমনিই হওয়ার কথা ছিল - তাই না?
হ্যা, কোরআনে কিছু নবী/রাসুলের ইতিহাস আছে যাদেরকে তাদের জাতির লোকেরা মানেনি। কিন্তু তার পরিনতিতে সেইসব জাতিসমুহকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। অথচ দেখুন আপনার নানা ও পিতা নিজেরাই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেও এই বাংগালী জাতি বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। কেন? এ'সবই কি প্রমান হিসেবে যথেস্ট নয় যে আপনি বংশানুক্রমে যে মতবাদ পেয়েছেন সেটা সত্য নয়, সেটা ইসলাম নয়, সেটা কোরআনের শিক্ষা নয়?
২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. জনাব! রাছুলের সময় মাত্র হাতে গোনা অল্প কয়েকজন সঠিক ঈমান এনে ছিলেন; বাকীরা তাদের জ্ঞান, গুন ও শক্তি কাছে হার মেনেছিল। একারনেই রাছুলের মৃত্যুর পর পরই পুনরায় অরাজগতা, উশৃংল বিশৃংখল, খুন খারাবী, সন্ত্রাসী নতুন মোড়কে পুরানো অন্ধত্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠে; এমনকি রাছুলের বংশাবলী সমূলে নিপাত করেছে। যার জোয়ার অদ্যাবধি চলছে।
এ দর্শনটিও ম জ বাসারের বা তার বাপ-নানার নয়! বাস্তবতার পক্ষে কুরআনের সমর্থন দেখুন:
ক. আল্লাতে বিশ্বাসী সংখ্যাগরিষ্টই শিরকী/কাফির। (১২: ১০৬)
খ. আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করেছি; কিন্তু সংখ্যাগরিষ্টরাই কাফির ব্যতীত নয়। (১৭: ৮৯)
আপনাদের কাছে কুরআনের দ্রষ্টব্য দিয়ে কোন ফায়দা নেই; কারণ উহাতে আপনাদের ঈমান বিশ্বাস নেই।
২. মুহাম্মদের বেলায় যা হয়েছে সবার বেলায় তা হয়নি, কখনও হবে না। স্থান, কাল ও পাত্রভেদ অনবরত অবিরত; সুতরাং ব্যতিক্রমও অনবরত অবিরত হবেই হবে।
ক. ১ নং দেখুন: সংখ্যা গরিষ্ট মানুষ অতীতেও মেনে নেয়নি আজও না। আপনিও না। আপনার বিশ্বাস-দাবি উল্লিখিত কুরআনের বিরুদ্ধে বিপরীত।
খ. ম জ বাসার বা তার বাবা-নানা নতুন কিছুই বলেনি, বলে না; একমাত্র কুরআনের কথাই বলে, বলেছে। হিন্দু, ইহুদি, খৃষ্টান বা আবুজেহেলের অনুসরণেই আপনার উক্তি; তারাও সংখ্যা গরিষ্টের দোহাই দিয়ে মুহাম্মদকে বর্জন করেছে; আজকের সংখ্যা গরিষ্টের মধ্যে একজনও ‘মুছলিম’ নেই! আপনিই উহার জ্বলন্ত সাক্ষি।
ঘ. কুরআন সামনে রেখে জন সমর্থনের দোহাই বড়ই আহম্মুকী ও লজ্জ্যাজনক; বরং কুফুরী; যেমনটা আবু জেহেল করেছিলেন।
ঙ. জন সমর্থন বা অসমর্থনে নবি-রাছুল বা আল্লাহর কিছু যায় আসে না। সাধারণের স্ব স্ব স্বার্থ ব্যতীত তাদের কোনই স্বার্থ নেই, আগ্রহও নেই। যে সকল নবিদের ১জন লোকেও মানেনি তাদের নবিত্বে যেমন কোনরূপ আঘাত হানেনি; তদ্রুপ মুহাম্মদের কিছু সমর্থনেও তিনি নবিদের নবিত্ব পাননি; বরং তাদেরই অনুসারী বা ভক্ত স্বীকার করত: তাদেরই দর্শন অনুসরণ করেছেন।
চ. আজকের বিভ্রান্ত পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্টতায় খৃষ্টানগণ ১ নম্বরে, বৌদ্ধগণ ২ নম্বরে আর শিয়া, ছুন্নী, কাদিয়ানী, হানাফি-হাম্বেলীগণ একত্রে ৩য় স্থানে এবং তারা একত্রে হলেও পরস্পর কাফির মনে করে। অতএব মুহাম্মদের নামে অর্থহীন অবান্তর সংখ্যাগরিষ্টের অহং এবারে ত্যাগ করা উচিত।
বিনীত।
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:২৮
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: বাংলা আর একটা প্রবাদ মনে পড়ছে - 'চালুনি বলে সুইকে তোর পাছায় একটা ফুটা'।
আপনার নিজের মতবাদের পক্ষে যেখানে দুই চারজন মানুষও আছে কি না সন্দেহ সেখানে আপনি ইসলামের শতকোটি মানুষের মধ্যকার মতভেদকে ভিত্তিকরে বলতে চাইছেন যে তারা সবাই মিথ্যাপন্থি!!! আর সত্যপন্থি কেবল একা আপনি? বাহ বাহ - দরুন। এ'রকম অহংকার কেবল আপনকেই মানায়।
আপনি আবার কথা ঘুরাচ্ছেন - আমি কখনই বলিনাই যে জনপ্রিয়তা দিয়ে নবী বাছাই হয়। বরং আমি সবসময় বলেছি নবি আগে মনোনিত হন এবং পরে সত্য বলার কারণে ও আল্লাহর সাহায্যে মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হন। আর যদি কোন জাতি সেই নবীকে না মানে তাহলে আল্লাহ সেই জাতিকেই ধ্বংস করে দেন।
আমি আরো বলছি আপনি কোরআনের যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন সেটাই যে সঠিক সে বিচার কে করবে? আপনি কার বিচার মানেন? নিজেকে ছাড়া আর কারো বিচার মানারমত অবস্থা কি আপনার আছে??
যাই হোক - আপনি পারলে কোরআন থেকে একটামাত্র উদাহরণ দিন যেখানে এমন একজন নবী/রাসুল/প্ররনাপ্রাপ্তের কথা বলা হয়েছে যে নিজেই তার পরিচয় জানত না বা নিজেই নবী/রাসুল হওয়ার কথা প্রকাশ্যে ঘোষনা করেনি বা তার মৃত্যুর পর ছেলে/নাতি এসে ঘোষনা দিয়েছে যে আমার পিতা/নানা নবী/রাসুল ছিলেন - চ্যালেঞ্জ থাকল, এবং আমি নিশ্চিত ভাবেই জানি এই চ্যালেঞ্জে আপনার পরাজয় সুনিশ্চিত। তার পরও যদি উত্তরাধীকার সুত্রে পাওয়া মতবাদকে সত্য, নিজের মৃত পিতা নানাকে নবী/রাসুল/প্রেরণা প্রাপ্ত বলে বিশ্বাস করেন তাহলে সেটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কী হতে পারে?
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: " জনাব! রাছুলের সময় মাত্র হাতে গোনা অল্প কয়েকজন সঠিক ঈমান এনে ছিলেন; বাকীরা তাদের জ্ঞান, গুন ও শক্তি কাছে হার মেনেছিল"
এইটা আপনার নানা-পিতার নবী/রাসুল/প্রেরনা প্রাপ্ত হওয়ার দাবি মিথ্যা প্রমানের আর একটা অকাট্য যুক্তি - আমি অনেকবার বলার চেস্টা করেছি কিন্তু বোঝেন নাই। নিজেই যখন বলছেন তখন কথাটা আরো একবার বলি -
মুহাম্মদ (স.) এর সময় কতজন সঠিক ইমান এনেছিল? সাধারণ বিবেচনায় যে ওমর(রা.)কে দ্বিতীয় সম্মানিত খলিফা বিবেচনা করা হয় তার বিরুদ্ধেওতো আপনার অভিযোগের শেষ নাই? তাহলে কি একমাত্র আবুবকর(রা.) সঠিক ইমানদার ছিলেন? আচ্ছা আপনার কথামত না হয় মেনে নিলাম অতি অল্প কয়েকজন ( ধরি ১০-২০ জন) সঠিক ইমান পেয়েছিল। তাহলে আপনার কথামতই সেই অতি অল্প কয়েকজনের জ্ঞান গুন ও শক্তির কাছে তখনকার পৃথিবীর দুই প্রধান পরাশক্তি রোম ও পারস্যসহ সভ্য দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ হার মেনে ছিল- তাই তো? কেননা মুহাম্মদ(স.) এর আগমনের পুর্বে আরবতো তখনকার সভ্য দুনিয়ার বাইরের যাযাবর এবং চরম বিশৃংখ্যলাপুর্ণ কুসংস্কারাচ্ছন্ন জনপদ ছিল। তিনি তাঁর নবুয়তীর আলোকে ঐ জাতিকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিলেন।
তাহলে এখন বলুন আপনার নানা, পিতা ও আপনিতো সেই সঠিক ইমানের লোক - না কি? তাহলে আপনাদের তিনজনের কাছে বর্তমান দুনিয়ার অধিকাংশ মানুষ হার মানছে না কেন? দুনিয়া বাদ দেই, বাংলাদেশের অধিকাংশও বাদ দেই, দুই চার লাখ মানুষকেওতো আপনারা মানাতে পারলেন না - কেন? যদি আপনাদের কাছে থাকা সত্য মুহাম্ম(স.) এর সত্যের অনুরুপ বা কাছাকাছিও হত তাহলেতো তার ফলাফলও কাছাকাছি হওয়ার কথা ছিল - তাই না? কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি তিন প্রজন্মে শতাধিক বছর কাজ করার পরও ৩% বাঙ্গালীকেও মানাতে পারেন নি - এ'থেকেই কি প্রমানিত হয় না যে আপনারা যাকে সত্য ভাবছেন সেটা আসলে কিছুই নয়?
যদি সেটা আসলেই কিছু হত তাহলে তার ফলাফলও অনুরুপ হত। আর যদি সেটা সত্য হওয়ার পরও জাতি না মানত তাহলে সেই জাতিই ধ্বংস হয়ে যেত - কোরআনে অন্তত ছয়টি জাতির কথা বলা হযেছে যারা নবী/রাসুল না মানার কারনে ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু গত একশ বছরে বাংগালী জাতি ধ্বংসতো হয়ই নাই বরং ক্রমান্ময়ে উন্নতি করছে। এর পরও কি আপনার আর কোন প্রমানের প্রয়োজন আছে যে আপনার নানা - পিতা এবং আপনি নিজেদের মতবাদকে যা ভাবছেন বাস্তবিক সেটা তেমন কিছু্ই নয়?
৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:১৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম জনাব,
১. বার বার শতবার বলা হয়েছে যে, সামনে কুরআন গ্রন্থ রেখে সত্য/মিথ্যা জন সমর্থন দিয়ে বিচার করা কুরআনগ্রন্থ বিরোধী, কুফুরী।
প্রশ্ন: কুরআন গ্রন্থ মানেন? না জনসমর্থন মানেন? সাহস হলে সোজা উত্তর দিন? না পারলে নীরব থাকুন।
২. সত্য প্রকাশে কে মানল কে মানল না; কত পারছেন্ট মানলো এতে নবি-রাছুলদের বা আল্লাহর কিছুই যায় আসে না।তাদের নবিত্বের উপর প্রভাব পড়ে না। অতীত হাজার হাজার নবিদের ১জন মাত্র সমর্থক নেই, ছিল না। তাদের নাম পর্যন্ত জানা নেই। তাতে তাদের নবিত্ব খারিজ হয়ে যায়নি।
৩. রাছুলের পরপরই মুসলমান বনাম মুসলমান, ছাহাবা বনাম ছাহাবাদের রক্তক্ষয়ী ধংসাত্বক যুদ্ধের কারন কি? কেন তারা সকলেই নবি বংশ নিপাত করে শিয়া, ছুন্নী, হানাফি-হাম্বলী তথা তালিবানী উপনাম ধারণ করে?
৪. আজ দুনিয়ায় ১জন মাত্র রাছুলের উম্মত মুছলিম দাবিদার নেই কেন? আপনি নিজেই মুছলিম দাবি প্রত্যাখ্যান করত: তার সাথে বেদাতী প্রযুক্ত মুছলিম দাবিদার কেন???????? আবু হানিফা/বোখারীগংদের উম্মত দাবিদার কেন?? তারা নবি-রাছুল দাবি না করেই তাদের উম্মত প্রতিষ্টা করে গেলেন কি ভাবে?
৫. ম জ বাসার রাছুল প্রণীত কুরআনের কথাই হাজার বার বলে; তা মানতে আপনার এত আপত্তি কেন? ম জ বাসার ভুল বলে থাকলে তা সাক্ষি ও যুক্তি প্রমান দিয়ে সাব্যস্ত করুন?
৬. কয়জন নবি-রাছুলের কথা আপনাদের জানা আছে? মাত্র ২৮/২৯ জন। যারা জন সমক্ষে দাবি নিয়েই আসছেন। শরিয়ত মতে ১ লক্ষ ২৪ হাজার মতান্তরে ২ লক্ষ ২৪ হাজার নবি-রাছুলদের আপনার জানা নেই যারা অন্যদের মত দাবি উত্থাপণ করেনি; যাদের নাম পর্যন্ত জানেন না।
৭. ম জ বাসারের বাবা, নানার লেখায় প্রেরণাপ্রাপ্তের দাবি আছে; দর্শনে প্রেরণাপ্রাপ্তের সাক্ষি-প্রমান আছে; আরবী বাংগালী হয়ে আরবী নবি-রাছুল দাবি করার মত আহম্মক তারা ছিলেন না।
তারা নতুন কিছুই নিয়ে আসেন নি। রাছুলের কুরআন গ্রন্থই তারা পুন প্রতিষ্টার সংগ্রাম করেছেন; ক্ষমতা থাকলে উহা মিথ্যা ও ভুল প্রমান করার জন্য বার বার হাজার বার চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। সে দিকে মাড়ান না কেন? রাছুল ও তাদের পক্ষে ম জ বাসারের চ্যালেঞ্জ ক্ষমতা থাকলে গ্রহন করুন?
৮. আবারো চ্যালেঞ্জ করি: ম জ বাসারের বাবা, নানার নাম আপনার সুচীবাঈ হয়েছে; তারা মরে গেছেন, ভুলে যান; তাদের ও কুরআনের পক্ষে ম জ বাসারের কথা কুরআন গ্রন্থ বিরুদ্ধ কি না! মুছলিম হলে, ক্ষমতা থাকলে ১টি মাত্র সাক্ষ্য প্রমান হাজির করে কিস্তি মাত করার আমল করুণ?????
এই মোদ্দা কখায় আপনার কোনই আগ্রহ না থাকার কারণ স্পষ্ট যে মুছলিম দাবি করার ক্ষমতা বা অধিকার আপনার নেই; চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আপনারা ব্যর্থ অনুপযুক্ত এবং ইহাই মিথ্যা, বিভ্রান্তের প্রত্যক্ষ সাক্ষি-প্রমান।
বিনীত।
৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. সামনে কুরআন গ্রন্থ থাকতে শতকোটী মানুষের মধ্যে মতভেদ থাকলে তা নিশ্চিতভাবেই তারা সকলেই বিভ্রান্ত এবং তার সাক্ষি প্রমান দেবে শতকোটি মানুষের হাতের কুরআন গ্রন্থ; কুরআনগ্রন্থ খুলে নিজেই বিচার করুণ; একমাত্র কুরআন গ্রন্থই বিচারে সক্ষম। আপনি না, শতকোটি মানুষ না, ম জ বাসার বা তার বাবা, নানা না। বাস্ বিতর্ক শেষ করার এইই সর্বোত্তম পথ; কিন্তু আপনি এই বেছিক-মৌলিক দর্শন সর্বদাই প্রত্যাখ্যান করেন কেন?
২. রাছুল ও তার কুরআন নিয়ে কথা বলা কি অহংকার? হাস্যকর বিষয় বটে! এমন অহংকার মুছলিমদের থাকাই উচিত।
৩. জনাব! অনুমান, অযৌক্তিক ও ভাবাবেগের কথা পরিহার করুণ? রাছুলকে হিন্দু, ইহুদি খৃষ্টান, বৌদ্ধগণ মানেনি তারা কি ধংস হয়েছে?????? আপনি মানেন নি বলে আপানি কি ধংস হয়েছেন?
৪. নবি দাবি করার আগে কখন কোথায় কি ভাবে মনোনিত হয়েছেন! মনোনিত হওয়ার কখন, কতদিন পরে দাবি উত্থাপন করেছেন সে সম্বন্ধে আপনার কিছু জানা বুঝার সাক্ষি প্রমান আছে??
৫. ম জ বাসারের উত্থাপিত সত্য ব্যাখ্যা সত্যই প্রমান করার জন্য কুরআনগ্রন্থই একমাত্র উপযুক্ত ও যথেষ্ট; কিন্তু আপনি তো তা মানেন না। আর প্রমান বিহীন মিথ্যা বলার জন্য আপনি বা শতকোটি বিভ্রান্ত শিয়া, ছুন্নী, হানাফি-হাম্বলী, কাদিয়ানীগণ যথেষ্ট। এখন আপনি কোন দিকে তা আপনার বিষয়।
৬. ম জ বাসারের সত্য বলা বা প্রমান করার অধিকার নিজের নেই; কুরআনগ্রন্থই তার সাক্ষি প্রমান এবং চ্যালেঞ্জ; ক্ষমতা থাকে তো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুণ?
৭. আপনি সর্বদাই ম জ বাসার, বাবা, নানার নাম ভাংগান কিন্তু কষ্মিণ কালেও তাদের কুরআনিক কথা আমলে নেন না বরং সরাসরি পালিয়ে যান।
৮. কুরআন সাক্ষি হাজার লক্ষ নবি-রাছুল গত হয়েছে; তাদের দাবি তো দূরের কথা নাম পর্যন্ত জানেন না; তাদের মধ্যে দাবি না করার নবি-রাছুল যে ছিলেন না তা কি হলফ করে প্রমান দিয়ে বলার ক্ষমতা আপনার আছে কি??
৯. কুরআন ঘোষনা করে: সকল কালে সকল যুগে নবি-রাছুল উপস্থিত থাকেন; কিন্তু আবু হানিফা/বোখারীগংদের উম্মতগণ ঐ বাণী অস্বীকার করে:
ক.- তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য আমরা নবি-রাছুল মনোনীত করি-( ২: ১৫১)। এই ‘তোমাদের’ বলেত আপনি কি তার মধ্যে নন?? না বাহিরে?
খ. –এমন কোন জনপদ নেই যেখানে আমরা নবি-রাছুল মনোনীত করি না্ (৭: ৯৪)। আপনি কি জনপদ থেকে আলাদা?
গ. –প্রত্যেকটি সম্পদ্রায়ের কাছে নবি-রাছুল আসেন (১০: ৪৭)। আপনি কি সম্পদায় থেকে আলাদা?
ঘ. আমরা প্রত্যেকটি সম্পদায়ের জন্য নবি-রাছুল মনোনীত করি-(১৬: ৩৬)।আপনি কি সম্পদায় থেকে ভিন্ন জাত?
১০. আপনার সাথে বিতর্ক করে আনন্দ পাই; সময় কাটে। ব্লগে যেমন ধর্মালোচনায় ১টি লোকও নেই; অনুরূপ ব্লগের বাহিরে সমাজে, দেশে, বিদেশেও ১জন মাত্র বিতর্কের উপযুক্ত লোক নেই যেমন ১জন মাত্র ছলীড ‘মুছলিম’ও নেই; আপনিই তার সাক্ষি।
১১. ধর্ম সম্বন্ধে আপনার/আমার জয়/পরাজয় নিয়ে মাথা ঘামানো বা প্রচেষ্টা স্বার্থন্তেষী, অহং যা কুফুরী। কুরআনের সত্য সঠিক প্রমানিত বিষয় হিন্দু/মুছলিম যে কেউ সাব্যস্ত করুক! তা স্ব স্ব স্বাথেই মেনে নেয়া উচিত।
সুতরাং চুড়ান্তভাবে অনুরোধ করি মজ বাসার, তার বাবা, তার নানা সাদা না কালো, নবি-রাছুল কি আবু জেহেল প্রভৃতি ব্যক্তি গুণগান বা কুত্সা রটনা পরিহার করে তারা যা বলে তা কুরআন সম্মত কি না উহাই বিচার করে গ্রহণ বর্জন করুণ। মিথ্যা বললে কুরআন দিয়েই তা স্বপ্রমান করুণ? জনগণ, জন সমর্থন, হাফেজ, কারী, মুফতি-ইমামদের ভুলে যান; একমাত্র কুরআনের প্রতি শ্রদ্ধাশিল হোন, বুঝুন, জানুন এবং উহারই সাক্ষি প্রমান দিয়ে আপন সত্য সাব্যস্ত করুন?
আশা করি পরার্শটা গ্রহনযোগ্য হবে। ভালো থাকুন।
বিনীত।
৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: " একমাত্র কুরআন গ্রন্থই বিচারে সক্ষম।"
সেই একই কথা - বাঙ্গালকে হাইকোর্ট দেখান।
আপনি কি কোরআন যেমন আছে তেমন মানেন? আপনিতো কোরআনের বক্তব্য ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে নিজের মতবাদ প্রতিষ্টা করতে সচেস্ট। আপনি যদি সবমনগড়া ব্যাখ্যা বাদ দিয়ে কোরআনে যা আছে তাই সরাসরি মানতে পারতেন তাহলে নিজেই বুঝতে পারতেন কত বড় বিভ্রান্তিতে আছেন। সেটা না করে, নিজের ইচ্ছামত বদলানো কোরআনের দোহাই দেয়া কি কখনই যৌক্তিক হতে পারে?
"মিথ্যা বললে কুরআন দিয়েই তা স্বপ্রমান করুণ?" - কোন কোরআন দিয়ে প্রমান করব? কোরআনের একটা অনুবাদ গ্রন্থের নাম বলুন যেটার বক্তব্য আপনি মানেন। আর যদি বলেন আপনার নিজের অনুবাদ দিয়েই প্রমান করতে হবে - তাহলে আগে পুরো কোরআন কোন গোজামিল/পরস্পরবিরোধীতা/সংযোজন-বিয়োজন ছাড়া অনুবাদ করুন - তারপর দেখাযাবে আপনার মতবাদ কতটুকু টেকে??
১০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
কুরআনগ্রন্থের অনুবাদ কেমন আছে! তাইই তো আপনার জানা নেই। যদিও জানেন যে অনুবাদ করেছে ধর্মান্ধ ব্যবসায়ীগণ
২. আলহামদোলীল্লাহ! তাহলে পুরো কুরআন গ্রন্থের অনুবাদে গোজামিল/পরস্পর বিরোধী/সংযোজন-বিয়োজন আছে বলে স্বীকার করলেন?
৩. আপনার প্রত্যাশিত অনুবাদ শেষের দিক থেকে শুরু করে প্রায় ৭০টির মত ছুরা হয়ে গেছে; কিন্তু আপানি চান না যে উহা অন্যান্য ব্লগারগণ দেখুন পড়ুক! রহস্যটা কি জনাব?
৪.নিজের ইচ্ছামত মনগড়া ব্যাখ্যার সাক্ষি-প্রমানসহ ১টি মাত্র উদাহরণ দিন? এ চ্যালেঞ্জ বহু আগ থেকেই আপনার উপর চড়াও হয়ে আছে।
সেই একই কথা - বাঙ্গালকে হাইকোর্ট দেখান (কাংগাল মুরশিদ)।
এই পুথিপত্রের পুরানো প্রবাদটা এই যুগে শতভাগই অচল; কারণ উহা অতীতের তুলনায় বহু পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়েছে।
৫০/৬০ বাংগালী আছে যারা হাইকোর্ট সম্বন্ধে কোন ধারণাই নেই; আপনি/আমিই তার উপযুক্ত সাক্ষি। ঐ প্রবাদের অহংকারে নিজেই হাইকোর্ট দেখতে চান না।
প্রায় শতভাগ শিয়া/ছুন্নী কুরআনগ্রন্থ দেখেছে, পড়েছে কিন্তু উহাতে কি আছে তার ১%ও জানা বুঝা নেই; সাক্ষ্য হিসাবে আপনিই যথেষ্ট।
বিনীত।
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ২. জী না - বর্তমান অনুবাদের কথা বলি নাই। বলেছি আপনি যে অনুবাদ করবেন সেখানে কোন গোজামিল দেবেন না। কোরআনের কোন একটা শব্দও সংযোজন/বিয়োজন করবেন না। এটা এই জন্য বলা যে আপনাকে যতটুকু চিনেছি তাতে এটা নিশ্চয়ই বলা যায় যে আপনার নিজের মতবাদ ধারনা প্রমানের জন্য আপনি কোরআন বলদে দিতে খুবই আগ্রহী। আপনার প্রতি আমার চ্যালেঞ্চ এটাই ছিল যে - কোরআনের একটা শব্দও না বদলিয়ে এমন অনুবাদ করতে হবে যাতে কোন গোজামিল বা পরস্পর বিরোধীতা না থাকে।
৩. শেষের দিকের ৭০ সুরা মানে পুরো কোরআনের ১০% এর বেশী হবে না। এটা করতে গিয়েই কত আয়াত বাদ দিয়েছেন, কতগুলি শব্দের অপ্রচলিত অর্থ সংযোজন করেছেন আর কতগুলি ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন - আল্লহই ভাল জানে। তবে এখানে আরো একটা প্রশ্ন আছে - আপনার অনুবাদে যে কোন পরস্পর বিরোধীতা নাই সেটা কে বিচার করবে?? আপনার অনুবাদ পড়ে যদি আমি এবং আমারমত আরো হাজারো মানুষ বহু পরস্পর বিরোধীতা তুলে ধরে - তার পরও কি আপনি তা মানতে পারবেন?? আপনিতো নিজেকে ছাড়া আর কাউকেই মানেন না - তাহলে??
৪. আপনার পুরো মতবাদইতো মনগড়া ইচ্ছেমত ব্যাখ্যা। ইতিপুর্বে আপনার সাথে বিভিন্ন আলোচনায় অনেকগুলিই তুলে ধরা হয়েছে - কিন্তু আপনি মানতে পারেন নাই। যদি আপনি না মানতে চান তাহলে কে, কীভাবে আপনাকে বুঝাবে যে ঐ ব্যখ্যাগুলি কোরআনের অনুরূপ নয় বরং আপনার নিজের বা নিজের পিতার বা নানর উদ্ভাবিত বিষয়? আপনাকে তো কোন না কোন বিচারক মানতে হবে - আপনি কি তেমন কাউকে মানেন?? যদি নাই মানেন তাহলে আপনার কাজ বিচার করা বা সঠিক হয়েছে কী না তা বলার/বোঝার উপায় কী??
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
এবারের মন্তব্যটি একটু সংগত মানের হয়েছে। ধন্যবাদ।
১. হ্যা! বলেছেন। প্রায় এমনই বলেছেন: পুজিবাদের কথা, সমাজতন্ত্রের কথাসহ বিভিন্ন দিক আছে; যে যেদিকে নিতে চায় সেদিকেই সমর্থন পায়।
মন্তব্যটি সাংঘর্ষিক, পরস্পর বিরোধী, অসামঞ্জস্য ও সন্দেহজনক। ভ্রান্ত অনুবাদের কারনেই হেন মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন; অস্বীকার করার হেতু নেই।
২. কুরআন গ্রন্থ বদলে দেয়া অসম্ভব বিকৃত কল্পনা। অনুবাদ উল্টিয়ে দেয়া সম্ভব। কারণ এক একটি শব্দের অনেক অর্থ আছে। ব্যবসায়ী অনুবাদকগণ অনেক ক্ষেত্রে উপযুক্ত ও সংগত অর্থ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণেই নাস্তিকগণ সমালোচনা করতে সুযোগ পায়; সুযোগ পাওয়া মানেই অনুবাদের দুর্বলতা, কুরআন গ্রন্থের বেইজ্জতী, মান হানি; শরিয়ত চরমভাবেই কুরআনকে বেইজ্জতী করেছে আর নিজেরাও পদে পদে বেইজ্জতী হচ্ছে।
৩. এ যাবতকাল পর্যন্ত ১টি মাত্র দর্শনও ভুল সাব্যস্ত করতে পারেন নি; যা তুলে ধরেছেন তা সংগে সংগে শতভাগই খন্ডন করা হয়েছে। যার কারণে দ্বীতিয়বার আর এগোন নি।
৪. সেটা বুঝাতে হলে আপনাকে অন্তত কিছুটা আরবী ভাষা জ্ঞান থাকতেই হবে। সংগে থাকবে অভিধান-ব্যকরণ, বাস্তব সাক্ষি-প্রমান ও মানব কল্যানের অকাট্য যুক্তি; ঐ সকল বিষয়গুলির আলোকে আপানার নিজস্ব ফোরকান বা সত্য-মিথ্যা পার্থক্যকারী আক্বল-জ্ঞানই রায় দেবে। যা প্রত্যেকটি মানুষকে দেয়া হয়েছে।
খ. বিকল্প পথ হলো প্রচলিত অনুবাদ যে ভাবে বিশ্বাস করেছেন।
কাউকে বিশ্বাস করতে বক্তৃতা/ওয়াজ নছিহত বা বিজ্ঞাপ্ত যথার্থ নয়। কোন নবিও বক্তৃতার উপর প্রতিষ্ঠিত হননি।
৫. ৭০টি ছুরার মধ্যে মৌলিক ধর্ম দর্শনের প্রায় ৮০% শতাংশ বিদ্বমান। বাকীগুলির অধিকাংশই তত্কালীন বাস্তবতা ও অতীত কিচ্ছা কাহিনী; উহাতে অনুশীলণের কিছু নেই, জানার আছে।
প্রথম থেকে ৮টি ও শেষের দিক থেকে ৬২টি=৭০টি।
৬. জনাব! কবিতা, শ্লোক, ছড়া বা গান প্রভৃতি ভাববাদী বর্ণনার শাব্দিক অনুবাদ আহম্মক বা পাগলে করে; কুরআনের অনুবাদ এমন ব্যবসায়ী পাগলরাই করেছে, যেমন:
ফুটিয়াছে সরোবরে কমরনিকর
কি আশ্চর্য ধরিয়াছে শোভা মনোহর।
শব্দার্থ: ফুটিয়াছে=ফুইট্টা রইছে; সরোবরে=পুকুরে; কমরনিকর=পদ্মফুল; কি আশ্চর্য=তাজ্যবের বিষয়; ধরিয়াছে= জড়ায়ে ধরছে; শোভা=জনৈক স্কুল ছাত্রী; মনোহর=জনৈক স্কুল ছাত্র।
অনুবাদ: পুকুরে পদ্মফুল ফুটে রয়েছে; অশ্চর্যের বিষয় যে শোভা মাকে মনোহর ছেলেটা জড়িয়ে ধরেছে। অস্তাগফিরুল্লাহ।
প্রচলিত অনুবাদ ঠিক এরকমই। উহা থেকে শিক্ষার কিছু উদ্ধার করতে পারেনি বলে; ২ নম্বরী হাদিছগুলি শরীক করেছে, আপনার ঐ সকল ব্যবসায়ী আলেম-ওলামাগণ। মিথ্যা হলে আপনার পছন্দমত একজন ওলামা হাজির করুণ? আপনাদের দাবি ব্লগে অর্ধ কোটিরও বেশী ব্লগার আছেন; তার মধ্য ২/১ জনো কি আপনার পছন্দের আলেম-ওলামা নেই? বা পরিচিত কোন?
বিনীত।
১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: এ'বার মনে হয় কিছুটা লাইনে এসেছেন! এতদিনে বুঝতে পেরেছেন যে ব্যাপক অর্থবহ কোরআনের শব্দগুলির সুবিধামত অর্থ নিয়ে ভিন্নতর অনুবাদ সম্ভব। এটা আপনি বুঝেছেন অন্যদের অনুবাদকে বিতর্কিত করার স্বার্থে - কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আপনি যে অনুবাদ করছেন সেটাও যে অনুরুপ দোষে দুস্ট নয় তার প্রমান কি?? আপনিও যে আপনার পিতা, নানার মতবাদ প্রমানের জন্য কোরআনের বিভিন্ন শব্দের ব্যাতিক্রমি অর্থ নিয়ে আপনার অনুবাদ তৈরী করেন নাই - সেই নিশ্চয়তা কে দেবে?
আপনি কি কাউকে বিচারক মানেন? আপনি মানুষের যে বিবেকের কথা বলেছেন সেই বিবেক সম্পন্ন কত হাজার মানুষের কাছে আপনারা তিন প্রজন্ম ঐ মতবাদ উপস্থাপন করেছেন? তার মধ্যে কতজন আপনাদের বক্তব্য গ্রহন করেছে? সম্ভবত ১%ও নয় - তার মানে ৯৯% মানুষের বিবেকের কাছেই আপনাদের মতবাদ গ্রহনযোগ্য হয় নাই। এখন ঐ মতবাদ ঠিক রেখে, সেটা প্রমানের জন্য কোরআনের একটা অনুবাদ তৈরী করলে সেটাও যে ৯৯% মানুষের বিবেকের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না - সেটুকু বোঝারমত অবস্থাও কি আপনার নাই??
কোরআনে বর্ণিত ইতিহাসকে আপনি শিক্ষনীয় বলে মেনে নিয়েছেন - কিন্তু ঐ সব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষনীয় বিষয়টা কি বুঝতে পেরেছেন? নবী/রাসুল গনের যে ইতিহাস কোরআনে আছে তার সবচেয়ে বড় শিক্ষনীয় বিষয় কি এটাই নয় যে মানব সমাজে নবী/রাসুল/প্রেরণা প্রাপ্তদের প্রচারিত সত্য প্রাথমিকভাবে অধিকাংশ মানুষ গ্রহন করতে না পরলেও চুড়ান্ত ভাবে সেটাই বিজয়ী হয়? এবং এই পরিনতি ঘটে দুই ভাবে - এক. নবী/রাসুল গনের বিজয়ের মাধ্যমে অথবা দুই. প্রত্যাখ্যানকারী মিথ্যাবাদী জাতির ধ্বংসের মাধ্যমে। এবং আরো গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে এই দুই পরিনতিই ঘটে নবী/রাসলগনের জীনবকালের মধ্যে।
নুহ (আ.) এর সাথে তার জাতির দ্বন্দ হয়েছিল - তারা পানিতে ডুবে গেছে নুহ (আ.) জিবিত থাকতে।
মুসা(আ.) এর দ্বন্দ হয়েছিল ফেরাউনের সাথে - ফেরাউনের ধ্বংস এবং বনীইসরাইল জাতির মুক্তি ঘটেছিল মুসা(আ.) এর জীবন কালের মধ্যে।
মুহাম্মদ (স.) কে মক্কার লোকেরা গ্রহন করেনি - কিন্তু তিনি মক্কা থেকে বিতাড়িত হওয়র মাত্র ১০ বছরের মধ্যে সেখানে ফিরেছিলেন বিজয়ী হিসেবে।
কোরআনে বর্ণিত সকল নবী/রাসুলগনের ঘটনা এভাবেই 'মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়' প্রতিষ্ঠিত করে।
অথচ আপনার নানা, পিতা এবং আপনার পরিনতি কেমন? আপনার নানার সাথে দ্বন্দ হয়েছিল প্রচলিত শরিয়ত পন্থিদের - আপনার নানা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন: তিনি বাংলার জনমানুষের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেন নাই, বিজয়তো দুরের কথা বাংলার ০.০১% মানুষও তার নামটা পর্যন্ত জানে না - আর তার মৃত্যুর পরও এই বাংলার শরিয়তপন্থীরা যাদের তিনি মিথ্যা মনে করতেন তারা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে!
আপনার পিতার সাথেও দ্বন্দ হয়েছিল এই বাংলার প্রচলিত মুসলিম শরিয়ত পন্থীদের যাদেরকে তিনি মিথ্যা মনে করতেন আর নিজেকে ভাবতেন সত্য পথের অনুসারী। অথচ আপনার পিতাও এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন - বাংলার মানুসের উপর বিজয়তো বহু দুরের বিষয় এই বাংলার দুই চার লাখ মানুষও তার নাম-পরিচয়ও জানে না।
আপনার সাথেও সেই একই জনগোষ্ঠির দ্বন্দ চলছে - আপনি প্রাণের মায়ায় পালিয়ে গিয়েছেন কানাডায় - আর আপনার দৃস্টিতে মিথ্যাপন্থীরাই টিকে আছে বাংলার মাটিতে।
এই তিন প্রজন্মের ধারাবাহিক পরাজয় ও বিলুপ্তির পরও যদি আপনি বুঝতে না পারেন যে কে সত্যপন্থী আর কে ভুল/বিভ্রান্ত - তাহলে কোরআন থেকে আপনি যে কিছু শিখেছেন সেটা বুঝি কিভাবে?
এই রকম জ্বলজ্যান্ত প্রমান চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার পরও আপনি যদি আপনার নানা, পিতা এবং নিজেকে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত ভাবতে পারেন তাহলে আপনার কোন বক্তব্য ভুল প্রমান করার উপায় কি? আমি বা অন্যরা যে যত যুক্তি প্রমান উপস্থাপন করুক - আপনিতো মানবেন না - তাই না?
আসলে দুনিয়ার সব রোগের উপযুক্ত চিকিৎসা যেমন আবিষ্কার হয়নি তেমনি সবাইকে বুঝানোরমত যুক্তিও তৈরী হয়নি। তবে মৃত্যুর পরে আল্লাহর বিচারের সামনে দাড়িয়ে আসল সত্যটা যে বুঝতে পারবেন - সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কাজেই তাড়াহুরার কিছু নাই - আরতো মাত্র কয়েকটা দিন। দু:খ কেবল একটাই, সেই সময়ের সেই বুঝ কোন কাজে আসবে না।
যাইহোক, ভাল থাকুন। পরীক্ষার হলে যতদিন আছেন এর মধ্যেই অপ্রিয় কঠীন সত্যকে মেনে নেয়ারমত মানষিকতা তৈরী হোক - এই প্রত্যাশা রইল।
১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কুরআন সামনে রেখে, কুরআনের বিপরীতে মানুষকে এমন কি মুছলিম নয় বরং শিয়া/ছুন্নীদের বিচারক মানা একজন মুছলিমের পক্ষে অসম্ভব।
কুরআন অনুযায়ী যারা বিচার মীমাংসা করে না/মানে না তারা কাফির, ফাছিক ও জালিম (দ্র: ৫: ৪৪-৪৭)। এখন আপনি কোন দলের! তা আযাতটিই রায় দিচ্ছে; এখানে ২য় ব্যক্তি নিষ্প্রয়োজন।
২. শরিয়তের অনুবাদে আদম প্রথম মানুষ, মুহাম্মদ বিশ্ব নবী প্রভৃতি অনুবাদ মিথ্যা, ভুল বিভ্রান্ত বলে প্রমান করা হয়েছে; এখন আপনি যাকে বিচারক মানেন তাকে দিয়ে ম জ বাসারের ঘোষনা মিথ্যা বা ভুল প্রমান করুন?
৩. বার বার শতবার বলা প্রমান করা হয়েছে যে সত্য জন সমর্থন/অসমর্থনের উপর ভিত্তিশীল নয়, ধার ধারে না। মানলে নিজের স্বার্থে, না মানলেও নিজের স্বার্থে; আল্লাহ বা নবি-রাছুলদের কিছুই যায় আসে না।
সম্ভবত আপনি ক্লান্ত; পূর্বের মত পুন: রেস্ট নিতে পারেন।
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১৭
আম্মানসুরা বলেছেন: সালাম
এথেকে আমাদের মুক্তির উপায় আমাদেরি বের করতে হবে। আমরা যদি সচেতন হই ও প্রতিবাদী হই তাহলে দুর্নীতি বিলুপ্ত হতে বাধ্য। কারন যে জাতি নিজের উন্নতি নিজে করে না সেই জাতিকে আল্লাহ সাহায্য করেন না।