নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেবল দুই দিনের জন্য আমি একবার বেলজিয়াম গিয়েছিলাম। এক বাঙালি পরিবার দাওয়াত দিয়েছিলো। তাঁরা এগারো বছর ধরে সেদেশে বসবাস করছিলেন। এসেছিলেন ছাত্র হিসেবে।
দুটো ১০, ১২ বছরের ছেলে ছিল তাঁদের। তারা বাংলা বলতে পারে না। সেখানকার লোকাল ভাষায় কথা বলতো। তাদের একজনকে নাম জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে 'সফেদ' বা তেমন কিছু বলেছিল। ওর বাবার কাছে এ নামের অর্থ কি জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেছিলেন, 'এটা আসলে বাংলাদেশের জাভেদ। ওদের উচ্চারণ ভিন্ন বলে সফেদ শুনছেন।'
কথায় কথায় জানালেন, অভিবাসনের কাগজপত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি। প্রক্রিয়া চলছে। নেতিবাচক কিছু হলে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। ভাবছিলাম, দেশে ফিরে গেলে ওই ছেলে দুটোর ভবিষ্যৎটা কি?
পঁচিশ বছর আগের কথা বলছি। ওদের বয়স এখন চল্লিশের কাছাকাছি। জানিনা জাবেদরা কোথায় কেমন আছে?
যাঁরা বিদেশ গমনের চিন্তা করেন তারা আগপিছ আগেই ভেবে নেবেন। বিদেশে পা রেখে অস্তিত্বের লড়াই শুরু হয়; তখন ওসব ভাবার অবকাশ থাকে না।
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: আমার বোন আছে ডেনমার্কে, সিঙ্গেল মাদার, তিন ছেলে মেয়ে, অনেক চেষ্টা করছে বাংলা শেখাতে ধর্ম শেখাতে, আসলে কমিউনিটে না থাকলে সম্ভব হয়ে উঠেনা, বাংলায় বলার লোক না থাকলে ওরা আর বলবেইবা কার সাথে, তায় অমনটা হয়
৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: জ্বী আচ্ছা। ঠিক আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০৮
রিফাত হোসেন বলেছেন: মনোবিজ্ঞানকেন্দ্র ও ভাষাগবেষকের নৈকট্য পাবার সুযোগ হয়েছিল। তাদের মতে শিশুর মাতৃভাষায় দিক্ষা পাওয়া প্রথম অগ্রাধিকার এবং ঘরে বিদেশী শেখানো উচিত নয়। সেটা সে স্কুলে বা শিক্ষা মাধ্যমে যাদের মাতৃভাষা যে ভাষায়, সেই ভাষায় শিখবে। এতে ভুল উচ্চারণরীতি পরিহার করার সুযোগ হবে। এটা প্রবাসী বাংলাদেশি বা যে কোন জাতির জন্য প্রযোজ্য। এর মাধ্যমে একটি ভাষা কারো কাছে বিকৃত হয়ে গড়ে উঠবে না বা ভুলে যাবে না। পাশাপাশি শুদ্ধতার সাথে নতুন ভাষা রপ্ত করা যাবে।