![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এই সাইটের সদস্য হতে চাই । আমি খুবই আগ্রহী । আমি লিখতে চাই।
আলুটিলা রহস্যময় গুহা
খাগড়াছড়ি শহর হতে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পযর্টন কেন্দ্রে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। তবে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থিত বলে আমরা একে আলুটিলা গুহা বলেই চিনি। এটি খাগড়াছড়ির একটি নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। খাগড়াছড়ি বেড়াতে এলে সবাই অন্তত এক বার হলেও এখানে ঘুরে যায়। এটি একটি চমত্কার পিকনিক স্পট। তাই সারা বছরই এখানে ভীড় লেগে থাকে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়, হৃদয় ছুয়ে যায়। দেখলেই মুহুর্তের মাঝে মন ভাল হয়ে যাবে। আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার সব চাইতে উচু পর্বত। নামে এটি টিলা হলেও মূলত এটি একটি পর্বতশ্রেনী। আলুটিলার পূর্বের নাম ছিল আরবারী পর্বত। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র সমতল হতে ৩০০০ ফুট। এখান হতে খাগড়াছড়ি শহরের বেশ কিছুটা অংশ দেখা যায়। শুধু তাই নয় পাহাড়ের সবুজ আপনার চোখ কেড়ে নেবে। আকাশ পাহাড় আর মেঘের মিতালী এখানে মায়াবী আবহ তৈরি করে।
আলুটিলা রহস্যময় সুগঙ্গে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট কেঁটে ভীতরে প্রবেশ করতে হবে। ফটকের দুই পাশে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ আপনাকে স্বাগত জানাবে। ফটক দিয়ে পর্যটন কেন্দ্র প্রবেশের সময় আপনাকে মশাল সংগ্রহ করতে হবে। কারন রহস্যময় গুহাটিতে একেবারেই সূর্যের আলো প্রবেশ করে না। পর্যটন কেন্দ্রের ফটক দিয়ে প্রবেশ করে ডান পাশের রাস্তা দিয়ে মিনিট খানে হাঁটলেই চোখে পড়বে একটি সরু পাহাড়ীপথ। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচে নেমে গেছে এই পথটি। এই পথটি বেয়ে নিচে নামলেই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে প্রথম চমকটি। হটাত চোখে পড়বে একটি ছোট ঝর্না। ঝর্নার পানি নেমে যাচ্ছে নিচের দিকে ঝিরি বরাবর। তবে এখানে পাহাড়ী লোকজন ঝর্নার পানি আটকে রাখার জন্য একটি বাঁধ দিয়েছে। তারা এই পানি খাবার ও অন্যান কাজে ব্যবহার করে। আলুটিলার উল্টোপাশেই রয়েছে আবাসিক হোটেল ‘ইমাং’। পাহাড়ের উপর অবস্থিত এ হোটেল থেকে খাগড়াছড়ি শহরটিকে ছবির মতো সুন্দর দেখায়। ইমাংয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা রওয়ানা হলাম রিসাংয়ের উদ্দেশ্যে। আলুটিলা থেকে প্রায় দেড় কি.মি. আগে রিসাং। সেখান থেকে ঝাড়া সোয়া দুই কিলো হাঁটা পথ । সমতল পথ নয়, জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ী পথ। যাওয়ার সময় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সঙ্গী হওয়ায় হেঁটে যেতে তেমন কষ্ট হলোনা। কিন্তু ফেরার সময় প্রচন্ড রোদ থাকায় পাহাড়ী রাস্তায় চলতে চলতে আমাদের দম বের হওয়ার জোগাড়। স্থানীয়দের কvছে রিসাং ঝর্না ‘তেরাংতৈ কালাই ঝর্না’ নামে বেশি পরিচিত। আর মারমা ভাষায় ‘রিসাং’ মানে পাহাড় থেকে পানি পড়া।
রিসাং যাওয়ার পথে আদিবাসীদের ঘর-বাড়িগুলো চোখে পড়ার মত। বেশিরভাগ বাড়িই পাহাড়ি মাটির তৈরী। দেখতে চমত্কার । স্থানীয় একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো মাটির তৈরি হলেও বাড়িগুলো যথেষ্ট মজবুত। জানা গেলো, ওখানে টিপরা বা ত্রিপুরার অধিবাসীদের বাস।
হাঁটতে হাঁটতে পেয়ে গেলাম সিড়ির দেখা। কয়েকশো ধাপ। কিছু ধাপ পেরোতেই শুনতে পেলাম পাহাড় থেকে অনবরত জল পতনের ধ্বনি। বুঝে গেলাম রিসায়েংর খুব কাছে চলে এসছি। আরো কিছুটা নামার পর দেখv পাওয়া গেলো যৌবনবতী রিসাংয়ের। সিড়ির শেষ ধাপটি পেরিয়ে আর কাদাময় পিচ্ছিল পথ আর ছড়াটা অনেকটা দৌড়ে রিসাংয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। চোখ জুড়িয়ে গেলো, মন ছেয়ে গেলো প্রশাস্তিতে। আর দেরি করলাম না। কাপড়চোপড় নিয়েই আমরা নেমে পড়লাম ঝর্নার পানিতে শরীর জুড়াতে। দুঃসাহসী কয়েকজন কে দেখলাম ঝর্নার ঢালু অংশ থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে নীচের ছড়ায় পড়ছে। ব্যাপারটা আনন্দদায়ক সন্দেহ নেই কিন্তু বিপদজনকও বটে। রিসাংয়ে গিয়ে আমাদের কারোরই ফিরতে মন চাইছিলো না।
আলুটিলার উল্টোপাশেই রয়েছে আবাসিক হোটেল ‘ইমাং’। পাহাড়ের উপর অবস্থিত এ হোটেল থেকে খাগড়াছড়ি শহরটিকে ছবির মতো সুন্দর দেখায়। ইমাংয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা রওয়ানা হলাম রিসাংয়ের উদ্দেশ্যে। আলুটিলা থেকে প্রায় দেড় কি.মি. আগে রিসাং। সেখান থেকে ঝাড়া সোয়া দুই কিলো হাঁটা পথ । সমতল পথ নয়, জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ী পথ। যাওয়ার সময় ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সঙ্গী হওয়ায় হেঁটে যেতে তেমন কষ্ট হলোনা। কিন্তু ফেরার সময় প্রচন্ড রোদ থাকায় পাহাড়ী রাস্তায় চলতে চলতে আমাদের দম বের হওয়ার জোগাড়। স্থানীয়দের কvছে রিসাং ঝর্না ‘তেরাংতৈ কালাই ঝর্না’ নামে বেশি পরিচিত। আর মারমা ভাষায় ‘রিসাং’ মানে পাহাড় থেকে পানি পড়া।
রিসাং যাওয়ার পথে আদিবাসীদের ঘর-বাড়িগুলো চোখে পড়ার মত। বেশিরভাগ বাড়িই পাহাড়ি মাটির তৈরী। দেখতে চমত্কার । স্থানীয় একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো মাটির তৈরী হলেও বাড়িগুলো যথেষ্ট মজবুত। জানা গেলো, ওখানে টিপরা বা ত্রিপুরা অধিবাসীদের বাস।
হাঁটতে হাঁটতে পেয়ে গেলাম সিড়ির দেখা। কয়েকশো ধাপ। কিছু ধাপ পেরোতেই শুনতে পেলাম পাহাড় থেকে অনবরত জল পতনের ধ্বনি। বুঝে গেলাম রিসায়েংর খুব কাছে চলে এসছি। আরো কিছুটা নামার পর দেখা পাওয়া গেলো যৌবনবতী রিসাংয়ের। সিড়ির শেষ ধাপটি পেরিয়ে আর কাদাময় পিচ্ছিল পথ আর ছড়াটা অনেকটা দৌড়ে রিসাংয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। চোখ জুড়িয়ে গেলো, মন ছেয়ে গেলো প্রশাস্তিতে। আর দেরি করলাম না। কাপড়চোপড় নিয়েই আমরা নেমে পড়লাম ঝর্নার পানিতে শরীর জুড়াতে। দুঃসাহসী কয়েকজনকে দেখলাম ঝর্নার ঢালু অংশ থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে নীচের ছড়ায় পড়ছে। ব্যাপারটা আনন্দদায়ক সন্দেহ নেই কিন্তু বিপদজনকও বটে। রিসাংয়ে গিয়ে আমাদের কারোরই ফিরতে মন চাইছিলো না।
আর ফটক হতে বাম দিকের রাস্তা বরাবর হাঁটলে পরে পাবেন রহস্যময় সেই গুহা। গুহাতে যাবার আগে আপনি পাবেন একটি বিশ্রামাগার ও ওয়াচ টাওয়ার। এর সামনে দিয়ে রাস্তা চলে গেছে আলুটিলা গুহা মুখে। আগে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে হতো গুহামুখে। কিন্তু এখন পর্যটন কর্পোরেশন একটি পাকা রাস্তা করে দিয়েছে। ফলে খুব সহজেই হেঁটে যাওয়া যায় গুহামুখে।
পাকা রাস্তা শেষ হলে আপনাকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে। প্রায় ৩৫০টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলে পরে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত সেই গুহা। আলুটিলা গুহা। গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল। কোন প্রকার সূর্যের আলো প্রবেশ করে না তাই মশাল নিয়ে ভীতরে প্রবেশ করতে হয়। একেবারেই পাথুরে গুহা এটি। গাঁ ছম ছম করা পরিবেশ। খুব সাবধানে পা ফেলে সামনে এগুতে হয়। কারন সুরঙ্গের ভীতরে কোন আলো নেই। সুরঙ্গের তলদেশ পিচ্ছিল এবং পাথুরে। এর তলদেশে একটি ঝর্না প্রবাহমান। তাই খুব সাবধানে মশাল বা আলো নিয়ে গুহা পাড়ি দিতে হবে। পা ফসকে গেলেই আহত হতে হবে। তবে অন্য কোন ভয় নেই। গুহাটি একেবারেই নিরাপদ। আলুটিলার এই মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা সত্যিই প্রকৃতির একটি আশ্চর্য খেয়াল। দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহার ভীতরে জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে, রয়েছে বড় বড় পাথর। রিতিমত রূপকথার সেই গুহার মতই। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। গুহাটি উচ্চতা মাঝে মাঝে এতটাই কম যে আপনাকে নতজানু হয়ে হাটতে হবে। সব কিছূ মিলিয়ে মনে হবে যেন সিনেমার সেই গুপ্তধন খোঁজার পালা চলছে। বিশ্বে যতগুলো প্রাকৃতিক রহস্যময় গুহা আছে আলুটিলা সুরঙ্গ তার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু খুব একটা প্রচার না থাকাতে আমরা এই সুন্দর ও রহস্যময় গুহাটি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
ইতিহাস
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় খাগড়াছড়িতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এলাকার জনগত এই পর্বত হতে বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে বেঁচে থাকে। তার পর থের্ক এই পর্বতটি আলুটিলা নামেই পরিিচতি লাভ করে। এখনো এখানে প্রচুর পরিমান বুনো আলু পাওয়া যায়।
পার্শ্ববর্তী দৃশ্যাবলী
দেবতার পুকুর
জেলা সদর থেকে মাত্র ০৫ কি:মি: দক্ষিণে খাগড়াছড়ি – মহালছড়ি সড়কের কোল ঘেষে অবস্থিত মাইসছড়ি এলাকার নুনছড়ি মৌজার আলুটিলা পর্বত শ্রেণী হতে সৃষ্ট ছোট্ট নদী নুনছড়ি। মূল রাস্তায় বাস থেকে নেমে কিলো দুয়েক পায়ে হাঁটা পথ। নিজস্ব পরিবহন থাকলে তা নিয়ে আপনি সোজা চলে যেতে পারেন একেবারে পাদদেশে নদীর কাছে। হাঁটতে হাঁটতে উঁচু পাহাড় যখন পাড়ি দেবেন তখন নিজেকে অনেকটা দিগ্বিজয়ীর মতো মনে হতে পারে আপনার। ক্লান্ত হলে পাহাড়ের কোলে খানিকটা জিরিয়ে নিতে পারেন। যাওয়ার পথেই দেখা যাবে নুনছড়ি নদীর ক্ষীণ স্রোতের মাঝে প্রকান্ড পাথর। স্বচ্ছ জলস্রোতে স্থির পাথর আপনাকে মোহিত করবেই। প্রকৃতির অপূর্ব সাজে মুগ্ধতায় শিহরিত হবে আপনার মন। ছবি প্রেমিক পর্যটকরা এখানে ছবি তোলেন অনেকেই। সমুদ্র সমতল হতে ৭০০ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় দেবতার পুকুর রূপকথার দেবতার আশীর্বাদের মতো সলিল বারির স্রোতহীন সঞ্চার।
কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জল তৃঞ্চা নিবারণের জন্য স্বয়ং জল-দেবতা এ পুকুর খনন করেন। পুকুরের পানিকে স্থানীয় লোকজন দেবতার আশীর্বাদ বলে মনে করে। দেবতার অলৌকিকতায় পুকুরটি সৃষ্ট বলে এতো উঁচুতে অবস্থানের পরও পুকুরের জল কখনও শুকোয় না। প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নরনারী পূণ্য লাভের আশায় পুকুর পরিদর্শনে আসে। কিংবদন্তীর দেবতার পুকুরটি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাছে পূজনীয়, খাগড়াছড়িবাসীর কাছে গৌরব এবং পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষনীয় প্রতীক।
মহালছড়ি হ্রদ
কাপ্তাই বাঁধের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানি জমে নানিয়ারচর হয়ে মহালছড়ি অব্দি এসেছে। এ তথ্য অনেক পর্যটকের জানা নেই। বর্ষাকালে বিশাল জলরাশি জমাট হয়ে পরিণত হয় এক ফ্রিঞ্জল্যান্ডে। মহালছড়ি ডাকবাংলো হতে এ নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখে যে কোন পর্যটক মুগ্ধ না হয়ে পারেন না। এ ছাড়া মহালছড়ি হতে এ হ্রদ দিয়ে রাংগামাটি যাওয়ার পথে দু’ধারের মনোরম ও নয়নাভিরাম দৃশ্য ভ্রমন পিপাসুদের ভাল লাগবেই।
শতায়ুবর্ষী বটগাছ
মাটিরাংগা উপজেলার খেদাছড়ার কvছাকাছি এলাকায় এ প্রাচীন বটবৃক্ষ শুধু ইতিহাসের সাক্ষী নয় এ যেন দর্শনীয় আশ্চর্যের কোন উপাদান। এ গাছের বয়স নিরূপনের চেষ্টা একেবারেই বৃথা। পাঁচ একরের অধিক জমির উপরে এ গাছটি হাজারো পর্যটকের কাছে দারুণ আকর্ষণীয়। মূল বটগাছটি থেকে নেমে আসা প্রতিটি ঝুড়িমূল কালের পরিক্রমায় এক একটি নতুন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, ঝুড়িমূল থেকে সৃষ্ট প্রতিটি বটগাছ তার মূল গাছের সাথে সন্তানের মতো জড়িয়ে আছে। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষেরা এতটুকু শীতল ছায়ার খোঁজে এখানে জড়ো হয়। কথিত আছে, এ বটবৃক্ষের নীচে বসে শীতল বাতাস গায়ে লাগালে মানুষও শতবর্ষী হয়। শব্দের পংক্তি দিয়ে এ গাছের বিবরণ শেষ হওয়ার নয়। খাগড়াছড়ি কেউ যদি একবার আসেন তাহলে ভুলেও কেউ শতায়ু বর্ষী বটগাছ না দেখে ফিরে যান না।
পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র
খাগড়াছড়ি শহর থেকে মাত্র ৩ কি: মি: পূর্বেই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। সবুজের অফুরন্ত সমারোহ আর স্বপ্নীল আবেশে যদি নিজেকে ভুলতে চান কৃষি গবেষণা কেন্দ্রই আদর্শ স্থান। পাহাড়ের বুক চিড়ে রাস্তার দু’পাশে ফলের বাগান, স্বচ্ছ-স্থির জলরাশি, টিয়া সহ নানান প্রজাতির পাখি দেখে আপনি নিজেকে নতুনভাবে আবিস্কার করবেন আরেকবার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি এ কেন্দ্রটি। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী আসে শুধু সবুজের স্নিগ্ধতা মন্থনের আশায়। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের অনিন্দ্য সুন্দর খামার যে কোন পর্যটককে মোহিত করার ক্ষমতা রাখে।
যেভাবে যেতে হবে
• ঢাকা কিংবা যে কোন স্থান হতে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে খাগড়াছড়ি।
• খাগড়াছড়ি হতে চান্দের গাড়ী কিংবা অন্য কোন বাহনে করে পৌছতে হবে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে।
• তার পর পায়ে হেঁটে গুহা দর্শন।
যেভাবে যাবেন
একদিনের ভ্রমণ হওয়ায় খাগড়াছড়ি শহরটি খুব ভালো করে দেখার সুযোগ হয়নি। তবে বাস থেকে শহরটিকে মনে হয়েছে ছিমছাম সাজানো গোছানো। খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে ঢাকা থেকে যেকোন এসি বা নন-এসি পরিবহনে যাওয়া যাবে। এসি পরিবহন স্টারলাইনের ভাড়া ৪০০ টাকা। আর শ্যামলী, এস আলম সহ বিভিন্ন নন-এসি পরিবহনের ভাড়া ৩০০ টাকা। ট্রেনে গেলে প্রথমে চট্টগ্রাম নামতে হবে। তারপর যেতে হবে বাসে। চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে পাওয়া যাবে বিরতিহীন বাস ‘শান্তি’। ভাড়া ১৪০ টাকা। যেতে লাগবে তিন ঘন্টা। রিসাংয়ের কাছাকাছি থাকার জায়গা হচ্ছে পর্যটন মোটেল । আর আলুটিলার কাছে হচ্ছে হোটেল ইমাং। এছাড়া শহরে বিভিন্ন দরের হোটেল পাবেন। হেঁটে না গিয়ে জিপ বা চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করেও রিসাং যেতে পারেন। তবে প্রকৃতির দুর্গমতাকে জয় করে সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাটা কিন্তু একবারেই আলাদা। #
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): ভ্রমণ কাহিনী ;
প্রকাশ করা হয়েছে: ঘুরন্তি বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:৪৮ | বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর...
•
কোথায় থাকবেন
থাকতে হবে খাগড়াছড়ির কোন হোটেলে। এখানে থাকার জন্য ভাল মানে অনেকগুলো হোটেল রয়েছে। যে কোনটিতেই থাকতে পারেন।
অনুমিত খরচ
পরিবহন
বাস ভাড়া ঢাকা থেকে খাগড়াছড়িঃ ৩৫০/৪০০ টাকা
হোটেল
খাগড়াছড়ি হোটেল ভাড়াঃ ৮০০/১৫০০ টাকা
পরামর্শ
• গুহাতে ঢোকার আগে মশাল নিতে হবে।
• মশালে কেরসিন থাকে। তাই আগুন হতে সাবধান
সাবধানে দেখে শুনে হাটতে
খাগড়াছড়িতে গেলে ফেরার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন জরুরী। পাহাড়ি রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য সন্ধ্যার পর বাস চলাচল করতে দেওয়া হয়না। পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জায়গাতেই সন্ধ্যার আগেই শেষ বাসটি ছেড়ে যায়।
©somewhere in net ltd.