নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলগিরি

খুবই খুশী এটার সদস্য হলে ।

মনিবেস্ট

আমি এই সাইটের সদস্য হতে চাই । আমি খুবই আগ্রহী । আমি লিখতে চাই।

মনিবেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীলগিরি

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯



নীলগিরি

কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। মনে বিষন্নতার সৃষ্টি হয়েছে পারিপার্শ্বিক নানা কারণে। দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন, যেখানে আপনি মিশে যেতে পারবেন প্রকৃতির মাঝে। প্রকৃতির কাছে বলতে পারবেন আপনার হৃদয়ের কথা। অথবা নতুন বিয়ে করেছেন, মধুচন্দ্রিমা করতে চান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এমন কোন জায়গায় যেখানে আপনারা নিজেদের নিয়ে যেতে পারবেন আরও কাছাকাছি। তাহলে চলে যান নীলগিরি পাহাড়ে। বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বান্দরবানে অবস্থিত নীলগিরি অন্যতম। এই যেন এক স্বপ্নরাজ্য। সমুদ্র সমতল হতে বাইশ শ’ ফুট উপরে আকাশের কোল ঘেষে নীলগিরি যেন প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের স্বপ্নরাজ্য। এখানে আকাশ পাহাড়ের সাথে মিতালী করে। মেঘবালিকা চুমু দিয়ে যায় পাহাড়ের চূড়ায়। হাত বাড়ালেই ছোয়া যায় মেঘের পালক। মেঘের দল এখানে খেলা করে আপন মনে। সে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি। মনে হবে আপনি উড়ে বেড়াচ্ছেন আকাশের বুকে মেঘের সাথে। আকাশ বাতাস সবুজ আর মেঘের দল লুটোপুটি খায় পদতলে। বান্দরবন হতে মাত্র ৫২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্বর্গদ্যান। পাহাড়ের গা বেয়ে উপরে ওঠা যেমন রোমাঞ্চকর, পাহাড়ে চূড়া যেন আরও বেশি। এখানে যাবার জন্য একমাত্র বাহন হলো চান্দেরগাড়ী। ভাড়া ২০০০-২৫০০ টাকা। কিন্তু অদ্ভুত সে যাত্রা। আলীকদম হতে থানচীগামী রাস্তা ধরে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন নীলগিরি। বান্দরবনকে বলা হয় প্রকৃতির কন্যা। এখানে এলে সত্যিই এর মর্মার্থ অনুধাবন করা যায়। পাহাড়ের চূড়ায় উঠলেই দেখবেন একটি চমত্কার সাজানো গোছানো রিসোর্ট অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। নীলগিরি হিল রিসোর্ট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এই রিসোর্টটি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। এটি এতই অপূর্ব যে নীলগিরির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

নীলগিরি যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে বান্দরবন যেতে হবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম হতে সরাসরি সাধারণ মানের ও বিলাসবহুল বাস পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে আট থেকে নয় ঘণ্টার যাত্রা। আর একটি উপায় আছে। বিমান পথ। আপনি চাইলে বিমানে করে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম পৌঁছতে পারেন। সেখান হতে বাসে বান্দরবান। অথবা ট্রেনে করেও আপনি ঢাকা হতে চট্টগ্রাম যেতে পারেন। বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়েযায়। নীলগিরি যাবার জন্য বান্দরবান হতে আপনাকে একটি বিশেষ বাহন ভাড়া করতে হবে। সেটি হলো চান্দের গাড়ি। এটি স্থানীয় নাম। আসলে এটি এক ধরনের ফোর হুইলার গাড়ি। তবে ল্যান্ড রোভার অথবা প্রাইভেক গাড়ি অত্যধিক নিরাপদ। কিন্তু একটা কথা সত্য যে প্রকৃত এডভেঞ্চারের জন্য চান্দের গাড়ির কোনো বিকল্প নেই। এই গাড়িগুলো পাহাড়ে চূড়ার জন্য বিশেষ উপযোগী এবং এর চালকগণও পাহাড়ি আঁকাবাঁকা ও ঢালু পথে চলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এই গাড়িগুলো ২০০০-২৫০০ টাকা ভাড়া নিবে এবং আলীকদম-থানচী রাস্তা ধরে আপনাকে পৌঁছে দেবে পাহাড়ের চূড়ায় নীলগিরির পাদদেশে যেখানে মেঘ আর পাহাড় খেলা করে প্রকৃতির আপন খেয়ালে।

নীলগিরি পর্বতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি রিসোর্ট রয়েছে। নীলগিরি হিল রিসোর্ট।চমত্কার ছিমছাম, গোছানো এক কথায় দৃষ্টিনন্দন। আপনি চাইলে এখানে থাকতে পারেন। তবে তার আগে এখানে যাবার পূর্বে সেনাবাহিনীi কাছ থেকে থাকার অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হবে। নীলগিরি রিসোর্টে থাকতে না চাইলে আপনি বান্দরবনের যে কোন হোটেলে থাকতে পারেন। বান্দরবনে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এর মোটেল রয়েছে ছাড়াও রয়েছে বেসরকারী আরো অনেক হোটেল ও মোটেল। এখানে থেকেও আপনি ঘুরে আসতে পারেন নীলগিরি।





নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় নxলগিরি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অতি উচ্চে অবস্থানের কারণে এই স্থানটি সর্বদা মেঘমণ্ডিত আর এটাই এই পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে নীলগিরি ধীরে ধীরে দেশব্যাপী মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত লাভ করতে শুরু করে। নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থান এবং রাত্রিযাপনের অভিজ্ঞতা রোমাঞ্চকর এবং অবিস্মরণীয় বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[১] এই পুরো পর্যটন কেন্দ্রটিই প্রতিষ্ঠা করেছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং তারাই এর পরিচালনা করে থাকেন।

এই পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবান জেলা সদর ধেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ২২০০ ফুট ওপরে, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটকের হাতের মুঠোর ফাঁক দিয়ে ঘুরে বেড়ায় মেঘদল। এখানে যেতে হলে পাহাড়ের গা ঘেঁষে উঠতে হয়। আর এর জন্য রয়েছে পুরোনো জীপজvতীয় গাড়ী যা চান্দের গাড়ি নামে পরিচিত। বান্দরবানের আলীকদম থেকে থানচীগামী রাস্তা ধরে এক ঘণ্টার মধ্যে নীলগিরি পৌঁছানো কাফ্রুপাড়াসংলগ্ন পাহাড়চূঁড়ায় অবস্থিত।[২] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নীলগিরির সম্ভব।

পাহাড়ের মাঝে নির্মিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ যেন মেঘে ভাসছে। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে আঁকাবাঁকা রাস্তা, সবুজ প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হচ্ছি সবাই। সবুজ, মেঘ এবং দিগন্ত প্রকৃতির এক বৈচিত্র্যময় রূপ। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবন মুগ্ধ হওয়ার মতো। প্রকৃতির এতো কাছাকাছি আগে কখনো আসা হয়নি।নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের বান্দরবন জেলায় নীলগিরি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে নীলগিরি ধীরে ধীরে দেশব্যাপী মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত লাভ করতে শুরু করে। বান্দরবন জেলা সদর ধেকে নীলগিরির অবস্থান ৫২ কিলোমিটার দুর। সাকুরা হিল রিসোর্ট থেকে থানচী গামী রাস্তায় এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে নীলগিরি পৌঁছানো সম্ভব। পাহাড়ের চুড়ায় স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত নীলগিরি হিল রিসোর্ট এবং অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যা হয়তো বলে বোঝাবার নয়...............





অপূর্ব যে নীলগিরির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুন।

পার্শ্ববর্তী দৃশ্যাবলী

বগা লেক

অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবন আর তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গহলো বগালেক। প্রকৃতি পাহাড়েরর চুড়ায় জলরাশির আধার তৈরি করেছে এখানে। এ এক অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে সমুদ্র সমতল হতে ১৫০০ ফুট উপরে জলরাশি সংরক্ষণ করে পাহাড়ের চুড়ায় তৈরি করেছে জলাধার।

রামু সদর উপজেলা হতে মাত্র ১৫ কিমি. দুরে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে বগালেক। নীল রং এর জল আর সবুজে ঘেরা চারপাশ একে দিয়েছে ভিন্ন এক রূপ, আলাদা এক পরিচিতি। মনে হবে যেন আকাশ আর বগালেকের নীল একাকার হয়ে মিশে গেছে দুর সীমানায়। এযেন প্রকৃতির এক মিলনমেলা। আর মিলনের এই মূহুর্তগুলো পর্যটকদের কাছে টানে চুম্বকের মত।

বগালেক যেতে চাইলে প্রথমে বান্দরবন হতে রুমা উপজেলায় যেতে হবে। এখানেও চান্দের গাড়ী আপনাকে পূর্ন সহযোগিতা করবে। সেখানে রুমা বাজার গিয়ে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে যেতে হবে বগালেকে।

নীলগিরি যেতে চাইলে প্রথমে আপনাকে বান্দরবন যেতে হবে। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম হতে সরাসরি সাধারণ মানের ও বিলাশবহুল বাস পাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ৮-৯ ঘন্টার যাত্রা। আর একটি উপায় আছে। বিমান পথ। আপনি চাইলে বিমানে করে ঢাকা হতে চট্টগ্রাম পৌছতে পারেন। সেখান হতে বাসে বান্দরবন। অথবা ট্রেনে করেও আপনি ঢাকা হতে চট্টগ্রাম যেতে পারেন। বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা হতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নীলগিরি যাবার জন্য বান্দরবন হতে আপনাকে একটি বিশেষ বাহন ভাড়া করতে হবে। সেটি হলো চান্দের গাড়ী। এটি স্থানীয় নাম। আসলে এটি এক ধরনের ফোর হুইলার গvড়ী। তবে ল্যান্ড রোভার অথবা প্রাইভেক গাড়ী অত্যধিক নিরাপদ। কিন্তু একটা কথা সত্য যে প্রকৃত এডভেঞ্চারের জন্য চান্দের গাড়ীর কোনো বিকল্প নেই। এই গাড়ীগুলো পাহাড়ে চড়ার জন্য বিশেষ উপযোগী এবং এর চালকগনও পাহাড়ী আকাবাকা ও ঢালু পথে চলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । এই গাড়ীগুলো ২০০০-২৫০০ টাকা ভাড়া নিবে এবং আলীকদম-থানচী রাস্তা ধরে আপনাকে পৌছে দেবে পাহাড়ের চুড়ায় নীলগিরির পাদদেশে যেখানে মেঘ আর পাহাড় খেলা করে প্রকৃতির আপন খেয়ালে।

তথ্যসূত্র

1. ↑ মেঘ এসে ছুঁয়ে যায় নীলগিরির কটেজ পর্যটক মুখর বান্দরবান

2. ↑ বান্দরবানের নীলগিরিতে স্পীকার, নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান; দৈনিক কালের কণ্ঠ (প্রিন্ট মাধ্যম), পৃ. ১৮। ঢাকা থেকে প্রকাশিত। প্রকাশকাল: ৩ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ। সংগ্রহের তারিখ: ৩ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।









































মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.