নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলগিরি

খুবই খুশী এটার সদস্য হলে ।

মনিবেস্ট

আমি এই সাইটের সদস্য হতে চাই । আমি খুবই আগ্রহী । আমি লিখতে চাই।

মনিবেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নপুরীর মায়াবী রাজ্যে

০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৯



স্বপ্নপুরীর মায়াবী রাজ্যে

দিনাজপুর শহর থেকে ৫২ কিমি দক্ষিণে নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১৫০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে নান্দনিক সৌন্দর্যের এক স্বপ্নিল বিনোদন জগত স্বপ্নপুরী। স্বপ্ন নয়, অথচ স্বপ্নের মতো সুন্দর নিরিবিলি এক মোহন মায়াবী স্বপ্নময় ভুবন স্বপ্নপুরী। যা দর্শনাথী, পর্যটক, নাট্যকার, চলচ্চিত্রকারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে। এর অবস্থান দিনাজপুর জেলা শহর থেকে সড়ক পথে ৩৩ মাইল বা ৫২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে জেলার নবাব গঞ্জ উপজেলার ৯নং কুশদহ ইউনিয়নের খালিশপুর মৌজায়। ফুলবাড়ি উপজেলা শহর থেকে স্বপ্নপুরীর দূরত্ব ১২ কি.মি.। দিনাজপুর থেকে ফুলবাড়ি আফতাবগঞ্জ হাট হয়ে পাকা রাস্তা দিয়ে এখানে আসা যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চিত্তবিনোদন বা পিকনিক করার জন্য বিশেষ করে শীত মৌসুমে এখানে বেশি জনসমাগম ঘটে। বর্তমান চলচ্চিত্র স্পট হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে। ইতোমধ্যে এখানে কয়েকটি চলচ্চিত্র চিত্রায়িত হয়েছে। নয়ন জুড়ানো নিরিবিলি এ স্বপ্নপুরীতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। আফতাবগঞ্জের প্রত্যন্ত পল্লীর গহীন বনজঙ্গল ও মজাপুকুর সংস্কার করে প্রায় ১০০ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে মনোরম ভ্রমণ কেন্দ্র স্বপ্নপুরী। এ উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রকৃতিপ্রেমি দেলোয়ার হোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি পিকনিক কর্ণার গড়ার পরিকল্পনায় গড়ে উঠে এ স্পট। ১৯৮৯ সালে এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯০ সাল থেকে বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় স্বপ্নপুরী। এই





স্বপ্নপুরীর প্রবেশমুখে স্থাপিত প্রস্তরনির্মীত ধবধবে সাদা ডানাবিশিষ্ট দুটি সুবিশvল পরী যেন মোহনীয় ভঙ্গীতে পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। স্বপ্নপুরী হচ্ছে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পশু-পাখির অবিকল ভাষ্কর্য, কৃত্রিম পাহাড়, কৃত্রিম ঝর্ণা এবং ইট-সিমেন্ট নির্মিত বাংলাদেশের এক সুবিশাল মানচিত্রের সমন্বয়ে তৈরী একটি কৃত্রিম চিড়িয়াখানা, জীবন্ত পশুপাখীদের চিড়িয়াখানা, শিশুদের জন্য পার্ক, দোলনা, বায়োস্কোপ ইত্যাদি।

স্বপ্নপুরীর আরো আকর্ষণঃ সারি সারি সবুজ দেবদারু গাছের মনোলোভা সৌন্দর্য আর বিস্তীর্ণ ঝিলের তীরে ফুটন্ত গোলাপ বাগানের মাঝখানে স্থাপিত অপরূপ সুন্দর “নিশিপদ্ম”। পর্যটকদের বিনোদনের জন্য আরো রয়েছে বিশাল দিঘিতে স্পিডবোট ও ময়ূরপঙ্খী নাও, দুই ঘোড়াচালিত টমটম, হরেক রকম সুগন্ধ ও সৌন্দর্য এবং স্বচ্ছ পানির ফোয়ারাবিশিষ্ট কয়েকটি ফুল বাগান এবং বিশ্রামের জন্য আকর্ষণীয় রেষ্টহাউস ও ডাকবাংলোসহ বিনোদনের আরো অনেক উপকরণ।

স্বপ্নপুরীতে এসে পৌঁছলে স্বাগত জানাবে স্বপ্নপুরীর গেটে দণডায়মান দুটি বিশাল আকৃতির পরীর মূর্তি। এ দুটি পরী তাদের দু'ডানা প্রসারিত করে ও এক হাত উঁচু করে গেটের দু'পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গেট পেরিয়ে পথের দু'ধারে বিভিন্ন গাছের সমারোহ। চোখে পড়বে পথের দু'ধারে সারি সারি দেবদারু গাছ। দেবদারু গাছের দু'পাশে আবার নারিকেল গাছের সারি।



এখানে রয়েছে কৃত্রিম হ্রদ, পাহাড়, লেক, উদ্যান, বৈচিত্র্যপূর্ণ গাছ-গাছালি ও ফুলের সমারোহ, শিশু পার্ক, চিড়িয়াখানা, কৃত্রিম পশুপাখি, ফুলবাগিচা, ইটখোলা, কৃত্রিম ঝরণা, ঘোড়ার রথ, হংসরাজ সাম্পান, শালবাগান, খেলামঞ্চ, নামাজঘর। কুঞ্জ, ভাস্কর্য, ডাকবাংলো, মাটির কুটির, বাজার ও বাংলাদেশের মানচিত্র। যেন এক মোহন-মায়াবী সপ্নxল ভুবন। কয়েক ভাগে বিভক্ত করা এই স্বপ্নময় জগতের পথে চলতে চলতে দেখা যায়, ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা ঘাড়গুঁজে বসে থাকা অবসন্ন কৃষকের ভাস্করয। সেখানে সারিবদ্ধ চেয়ার, টুল বসানো আছে। হংসরাজ সাম্পানে চড়ে স্বচ্ছ নীল পানির লেকে হারিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। সাম্পানে যেতে যেতে দেখা যায় কোথাও একাকী দাঁড়িয়ে আছে নারী, মাথা নিচু করে বসে আছে হতাশাগ্রস্ত যুবক অথবা ফুটে আছে বিশালকৃতি কচুপাতা। এরপর রয়েছে কৃত্রিম পশু দুনিয়া। প্রবেশ পথে দুটি ড্রাগন সাদর সম্ভাষণ জানানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। দেয়ালে চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় হিংস্র প্রাণীদের প্রতিকৃতি। এরপর দু'এক পা ফেলতেই চমকে উঠতে হয়। সামনেই পথ জুড়ে হা করা এক নর-করোটি। এই নর-করোটির মুখের ভেতর দিয়েই মূল পশু দুনিয়ায় পেঁৗছতে হবে। এখানে রয়েছে কৃত্রিম পাহাড় ও ঝরণা। ঝরণার পানি গড়িয়ে একটি ছোট জলাশয়ে পড়ছে। লেকের পাশ্র্বে রয়েছে ২৫০০ বর্গফুট বিস্তৃত বাংলাদেশের মানচিত্র, যা ইট-সিমেন্ট দিয়ে সুন্দরভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

সিংড়া ফরেস্ট

বীরগঞ্জ উপজেলার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের পূর্বে সিংড়া ফরেস্ট অবস্থিত। এই বনভূমিতে প্রচুর শালগাছ দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া ইদানিং বন বিভাগের লাগানো ইউক্যালিপ্টাস ও আকাশমনি গাছ বনকে করেছে আরো সমৃদ্ধ। বনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট একটি নদী দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে দেয়।

হিলি স্থলবন্দর

দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায় হিলি স্থলবন্দর অবস্থিত। এটি দিনাজপুর জেলা শহর থেকে ৬০ কি: মি: দক্ষিনে জেলা সীমানায় অবস্থিত। হিলি স্থলবন্দরের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলা এবং ভারত অংশে রয়েছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট। বন্দরের আমদানী ও রফতানী হয় সড়ক পথে।

নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থান

দিনাজপুরের মাটির বাড়ি

দিনাজপুর রাজবাড়ি





o

o দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় অবস্হিত এই এমিউজমেন্ট পার্কটি। রাইডগুলো আহামরি কিছু না হলে মধ্যস্হিত বাগান খুবই চমৎকার। বাগানে মন জুড়াবেই। পাশেই আছে প্রানী ভাসকর্যের আরেকটি পার্ক।







দিনাজপুর গেলে ঘুরে আসতে পারেন।দিনাজপুর থেকে ঘন্টাখানিক বাস যাত্রা। কাছেই ফুলবাড়ী কয়লা খনি , অবশ্য এতে ঢুকতে অনুমতি লাগবে।

o

o

o

o

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে দিনাজপুরের দূরত্ব সড়কপথে ৪১৪ কিলোমিটার এবং রেলপথে ৪৮৩ কিলোমিটার । এছাড়া খুলনা ও রাজশাহী থেকে সড়কপথ ও রেলপথে দিনাজপুর আসা যায়। ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী বাস ছাড়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। এ পথে ভাল বাস সার্ভিস হলো- হানিফ এন্টারপ্রাইজ- ৮০১৩৭১৪, ৮০১৫৩৬৮, এস আর ট্রাভেলস-৮০১৩৭৯৩, ৮০১৯৩১২, কেয়া পরিবহন-৯০০০৮১২, এসএ পরিবহন-৯৩৩২০৫২, শ্যামলী পরিবহন-৯০০৩৩১। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন আন্ত:নগর দ্রুতযান ছাড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে। আর আন্ত:নগর একতা এক্সপ্রেস ছাড়ে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে। যাতায়াত ও প্রবেশ মূল্য-

উপজেলায় নেমে স্বপ্নপুরীতে যাওয়া যায়। এছাড়া আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেসে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনে নেমে এখানে আসা যায়। স্বপ্নপুরীর ভিতরে প্রবেশ ফি জনপ্রতি ২৫ টাকা। প্রবেশমূল্য ছাড়vও দর্শনার্থীদের রাইডের জন্য রাজধানী ঢাকা থেকে দূরপাল্লার কোচে নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ি আলাদা আলাদা টাকা দিতে হবে।

এছাড়া ভেতরে গাড়ি পার্কিং এর জন্য বাস-ট্রাক ৯০০ টাকা, মাইক্রোবাস ৩০০ টাকা, কার-জীপ ১শ ৫০ টাকা, পিকআপ-মিনিট্রাক ৩০০ টাকা, রিকশা ভ্যান ১০ টাকা, মোটর সাইকেল ১০ টাকা, বাইসাইকেল ৫ টাকা গুণতে হয়। এ আয় থেকে পিকনিক কর্ণারে কর্মরত কর্মচারিদের বেতনভাতা মটিয়ে বাকি রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংস্কার কাজে ব্যয় করা হয় বলে জানা গেছে।



o স্বপ্নপুরীর বুকিং ও কটেজ ভাড়া



পর্যটকদের থাকার জন্য কর্তৃপক্ষ আকর্ষণীয় কটেজ বা রেস্টহাউস তৈরি করেছেন। নীলপরী, রজনীগন্ধা, নিশিপদ্ম, চাঁদনী, সন্ধ্যাতারা ও রংধনু নামে এসব কটেজের ভাড়া ৬শ' থেকে ১৫শ' টাকা। ডাবল, সিঙ্গেল ও তিন রুমসহ এসব কটেজ বুকিং ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য ম্যানেজারের সাথে-০১৭১২১৩৪০৯৫, ০১৭৩৮০৯৯০৬২ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে। স্বপ্নপুরী কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে এখানে একটি অত্যাধুনিক হোটেল, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে স্বতন্ত্র স্পট, 'পাখির রাজ্য', 'মাছের রাজ্য', রেলকার,

o



শেষকথা- -

ভৌগলিক অবস্থানগতভাবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে সোনালী সম্ভাবণাময় এবং বিগত বছরগুলোতে এ শিল্পের যথেষ্ট উন্নতি ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। স্বপ্নপুরী উত্তরবঙ্গ তথা সমগ্র বাংলাদেশে একটি আকর্ষণীয় পিকনিক বা ভ্রমণ স্পট হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছে। স্বপ্নপুরীর প্রবেশদ্বারে দণ্ডায়মান বিশাল আকৃতর দুটি পরীর প্রতিকৃতি। ওরা পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সদা প্রস্তুত। ছায়া আচ্ছাদিত স্থানে রয়েছে মুসল্লীদের নামাজের সুব্যবস্থা। রয়েছে স্বপ্নপুরীর মক্তমঞ্চ। মঞ্চে স্থাপিত ভাস্কর্য নৃত্যরত তরুণ-তরুণী সৃষ্টি করেছে স্বপনীলও সাংস্কৃতিক আবহ। সময় যেন এখানে এসে থেমে দাঁড়ায়। হারিয়ে ফেলে চলার গতি। শিশুপার্ক, ঘোড়ার গাড়ি চড়ার আনন্দ, রবীন্দ্র-নজরুলসহ বিভিন্ন ভাস্কর্য, জীবন্ত চিড়িয়াখানা, সৌরজগত, নভোথিয়েটার, স্বপনপুরী মালিকের আলিশান বাংলো, বিভিন্ন প্রজাতির গাছ- গাছালি স্বপ্নপুরীতে সৃষ্টি করেছে নতুন মাত্রা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে স্বপ্নপুরীকে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা যেতে পারে। এছাড়া এখানে অবস্থান করে ফুলবাড়ি কয়লাখনি, কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প ঘুরে এ এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। তবে এসব প্রবেশে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবে।



এবিএন/শুক্র-২য়/ফিচার/প্রতিনিধি/মুস্তাফিজ/মজুমদার/রিপা























মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

এঞ্জেল বয় বলেছেন:
আপনার পোস্টের ছবিগুলা লিখার মাঝখানে দিলে আর ও ভাল লাগত।

এই লিখাটা আমার পরিচিত একজন লিখেছে দেখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.