নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোট ঊনচল্লিশটি লেখা নিয়ে সংকলিত হয়েছে জেসমিন চৌধুরীর ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’।
এসব লেখায় আছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বিবরণ, আছে নারীর সামাজিক অবস্থানের তীক্ষ্ম বিশ্লেষণ, আছে নানা উপকরণে সজ্জিত সমাজ ব্যবস্থার নানা আঙ্গিক। লেখাগুলো আমাকে ভল লাগার আনন্দ দিয়েছে।...
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’ বইয়ের ভূমিকা এই কথাগুলো দিয়েই শুরু করেছেন। বইটির উপর পর্যালোচনা লিখতে গিয়ে আমার মনে হলো বইটির মূল বিষয়বস্তু ব্যক্ত করার জন্য এই তিনটি বাক্যই যথেষ্ট উপযুক্ত।
বছরখানেক আগে বাতিঘর থেকে বই কিনে চলে আসার পথে আমার নজর কেড়েছিল লাল-কালো মলাটের একটি বই। প্রচ্ছদে লাল হরফে বড় বড় করে লেখা ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’। মানুষ তার সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই বরাবর নিষিদ্ধ বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট। আমিও এই প্রবৃত্তির দাস, বলাই বাহুল্য। বইটি হাতে তুলে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখলাম। নারী, শিশু ও বঞ্চিত মানুষের অধিকারের কথা নিয়েই এই বই। বেশ ভালো লাগল।
আরো বেশি ভালো লাগল বাসায় এসে বইটি পড়ার পরে।
লেখিকা জেসমিন চৌধুরী তার জীবনের প্রতিটি যুদ্ধের গল্প, যা তিনি জানতে পেরেছেন প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে, বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ‘এনেকডোটস’ আকারে। নারীর আজীবনের সঙ্গী ঋতুস্রাব, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, বিবাহবিচ্ছেদ, বহুবিবাহ, শিশু নির্যাতন, সমকামী মানুষের মনের যন্ত্রণা, ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা-- এমনই বহু তথাকথিত নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে লিখেছেন এই ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’। ব্যক্তিগত মতামত ও পর্যবেক্ষণ-মূলক এই বইয়ের বিষয়বস্তু রিসার্চ লাইব্রেরীতে নয়, বরং বাস্তব জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ঘটেছে। প্রতিটি লেখার সাথে কোনো না কোনো বাস্তব ঘটনা বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা। তাই পড়তে গিয়ে যেন বিষয়গুলো আরো বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। মনে হয় এ আমার, আমাদের, আমাদের এই চারিপাশের মানুষগুলোর অব্যক্ত মনের কথা।
বইটির কোথাও পড়তে গিয়ে মনে হয়নি যে এই বিষয়টিকে লেখিকা একপেশে করে ভেবেছেন। কারণ তার প্রতিটি উক্তির সাথে রয়েছে বাস্তব উদাহরণ এবং যুক্তি। যেখানেই মনে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, ঠিক তার কয়েক বাক্য পরেই রয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর। তাই বইটি পড়া শেষে মনে আত্মতৃপ্তি আসে।
প্রথমবার বইটি যখন পড়ি, তখনই খুব ইচ্ছে করছিল একটি পর্যালোচনা লিখব। কিন্তু তখন সেই সুযোগ ছিল না বিধায় আর লিখতে পারি নি। যখন হাতের কাছে ডিভাইস, ইন্টারনেট সংযোগ পেলাম তখনো কেন যেন লেখা হয়ে ওঠে নি। গতকাল দ্বিতীয়বার পড়লাম। আবারো ইচ্ছে হল একটি পর্যালোচনা লিখি। কারণ এই বইটি পড়লে পাঠক হয়তো কিছুক্ষণ ভাববেন। কিছু দুর্বল নারী হয়তো সাহস পাবেন। আমাদের সমাজ হয়তো শিশু নির্যাতনের বিষয়ে আরো সতর্ক হবে। আর এর একটিও যদি আমার লেখার উছিলায় একটিবারের জন্যও হয়, তবে আমি পুনরায় আত্মতৃপ্তি পাবো, যেমনটা পেয়েছিলাম ‘নিষিদ্ধ দিনলিপি’র প্রতিটি ‘এনেকডোটস’ পড়ার পড়ে।
বই: নিষিদ্ধ দিনলিপি
লেখিকা: জেসমিন চৌধুরী
প্রকাশনা: শব্দশৈলী
প্রচ্ছদ:সোহেল আনাম
মূল্য ৩০০ টাকা
১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
মৌরি হক দোলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া।
২| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: আর একটু বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো।
এখন আমি পড়ছি [sbতাজউদ্দিন আহমেদ নেতা ও পিতা বইটি। পড়া শেষ হলে একটা রিভিউ দিবো।
১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
মৌরি হক দোলা বলেছেন: পড়ে শেষ করুন। রিভিউয়ের অপেক্ষায় থাকলাম রাজীব ভাই
৩| ১৩ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
আল-ইকরাম বলেছেন: সংক্ষিপ্ত আকারে ’নিষিদ্ধ দিনলিপি’ বইটি সম্পর্কে বেশ লিখেছেন। আমি বই টি পড়িনি। পড়ার চেষ্টা করবো। বইটি সম্পর্কে আপনার এই ভাললাগা বোধ ও তার বহিপ্রকাশ লেখিকা কে আরও ভাল কিছু লেখায় প্রেরণা যোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। শুভেচ্ছা অগনিত।
১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:১৭
মৌরি হক দোলা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম।
পাঠে ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর...
৪| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৫
আহা রুবন বলেছেন: খুব কম কথায় বইটি পড়তে আগ্রহান্বিত করে তুললেন।
১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
মৌরি হক দোলা বলেছেন: শুকরিয়া
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
নয়ন বিন বাহার বলেছেন: বইটি পড়িনি। তবে আপনার লেখা পড়ে পড়ার আগ্রহ পেলাম।
আরও মনে হল প্রতিটি নারীর এটা পড়া উচিত।
ভাললাগা।