নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্য ভালোবাসি, সাহিত্য নিয়েই আছি, সাহিত্য নিয়েই থাকতে চাই।

মৌরি হক দোলা

আগুনপাখি

মৌরি হক দোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার বই পড়া

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮



২০০৬সালে আমি যখন স্কুলে ভর্তি হব, তখন আমরা প্রথম মফস্বল শহরে বাসা নেই। তার আগে আমরা গ্রামে দুই রুমের টিনশেডওয়ালা দালানে থাকতাম। ওই ইউনিয়নেই আমার মায়ের জব আজ প্রায় ২০বছর। আমার খুব আবছাভাবে মনে পড়ে, ওই বাসায় থাকাকালীন সময়ে আমার একটি গল্পের বই ছিল, ‘লাশকাটা ঘর’। ভূতের গল্পের বই। কাহিনি কিছুই মনে নেই তেমন, তবে বইটি যে আমাকে পড়ে শোনানো হতো তা আমার মনে পড়ে। এছাড়াও হয়তোবা দু’একটা বই তখন পড়েছি কি পড়িনি তা ঠিক মনে নেই।

ক্লাশ টু’তে পড়ার সময় আমি সুকুমার রায় সমগ্র গোগ্রাসে গিলতাম। আমার স্মৃতির পাতায় এটি জলছবির মতো স্পষ্ট। কারণ, বাল্যকালে সেই ছিল আমার প্রথম বই পড়ার শুরু। পাগলা দাশুর গল্পগুলো সবচেয়ে বেশি ভালোলাগত। আর ভালোলাগত সুকুমার রায়ের লেখা ছড়াগুলো। তাঁর ‘সৎ পাত্র’ কবিতাটি এতই ভালোলাগত যে পড়তে পড়তে আমার পুরোটা মুখস্ত হয়েছিল। আমি একা একাই কবিতাটা আবৃত্তি করতাম। তাঁর ‘ওয়াসিলিসা’ গল্পটিও দু’বার স্কুলে গল্পের ক্লাসে বলেছিলাম। আর পড়তাম বিবিধগুলো ওই সমগ্রের। মোটামুটি আমার বাল্যকালের একটা সময় যাবত আমি শুধু সুকুমারের বইটা নিয়েই কাটিয়েছি।

এরপর যখন আরেকটু বড় হলাম, বাসায় কেউ না থাকলে আমি এই বই সেই বই বইয়ের র‌্যাক থেকে নামিয়ে পড়তাম। কারো সামনে পড়তে আমার কেমন যেন লাগত। কারণ সেই বইগুলো প্রাইমারি স্কুলের স্টুডেন্টের পড়ার মতো ছিল না। সবই বড়দের বই- হিমুর রূপালী রাত্রি, নীল অপরাজিতা, যুবরাজ, পরিণীতা, দেবদাস...! বাসায় ছোটদের বই একেবারে ছিল না বললেই চলে। আমারো কিনতে চাইতে ভয় লাগত। কখনো সাহস করে বলিনি কিনে দেওয়ার জন্য। কেন যেন মনে হতো বই কেনার কথা বললেই বকা শুনতে হবে।

তখন ভীষণ চুপচাপ ছিলাম। আমার প্রথম গল্পটা যখন লিখি ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময়, লিখে ডাইরিটা পুরোনো খাতা-ডাইরির মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম। মা একদিন গোছগাছ করতে গিয়ে ওটা পেয়েছিল। আমার সামনেই পড়তে শুরু করলেন। আমি কেন যেন ভয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছিলাম ওই ফাগুন মাসে! কিন্তু মা যখন গল্পটা পড়ে কোথাও কোথাও দাঁড়িকমা ঠিক করে দিয়ে বললেন যে, তুই আরো লিখবি, যা ইচ্ছে হয় সেটাই লিখবি, তখনই আমি লেখালেখির ভরসা পেলাম। একটু একটু করে লিখতে থাকলাম। কিন্তু তাও বই কেনার কথা বলতে পারলাম না। ওই পুরোনো বই আর আমার শ্রদ্ধেয় আজিজুল স্যারের থেকে পাওয়া শরৎ রচনা সমগ্র লুকিয়ে লুকিয়ে পড়েই দিন কাটতে লাগল।

বই কেনা শেখা শুরু করলাম, ক্লাস সেভেনের বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে। তখন থেকে যখন যেভাবে সুযোগ হতো একটা দু’টো বই কিনিয়ে নিতাম। বান্ধবীদের থেকে ধার নিয়ে পড়তাম। জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে পড়লাম হিমু, নবম শ্রেণিতে পরিচিত হলাম মিসির আলীর সাথে। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে পড়লাম সাতকাহন-১। তখন থেকেই আমি নিয়মিত বই পড়ি। মা বলতেন ভালো ভালো পুরোনো লেখকের বই পড়তে। কিন্তু আমার ভালোলাগত হুমায়ুন আহমেদের জোছনা মাখা গল্প আর বৃষ্টিতে ভেজা উপন্যাস। তাই কলেজে ওঠার আগে হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বইগুলো নিয়েই থাকতাম। এসএসসি দিয়ে পড়লাম বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল- হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস সমগ্র।

কলেজে এসে যখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করলাম, তখন পরিচিত হলাম তারাশঙ্কর-বঙ্কিমসহ দেশবিদেশের সেরা লেখকের লেখাগুলোর সাথে।অনুধাবন করলাম, কেন মা সবসময় এদের লেখা পড়তে বলতেন। এরপর আবার শুরু করলাম গোয়েন্দা সমগ্র পড়া- ফেলুদা-ব্যোমকেশ-কাকাবাবু।

আমি বুঝতে পারলাম, আমার জীবনের এই ছোট্ট পরিসরে আমি আগের কাজ আগে আর পরের কাজ পরে করতে পারিনি। যখন আমার কিশোর সমগ্র পড়ার কথা, তখন পড়েছি প্রেমের উপন্যাস। তাই আমার বই পড়ার পদ্ধতিটা ঠিক ছিল না। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে না এলে হয়তো আসল সাহিত্যরস উপভোগও করতে পারতাম না কখনো। এর কারণ একটাই, আমি পরিবার থেকে সবসময় উৎসাহ পেয়েছি, কিন্তু কখনো ‘গাইডেন্স’টা পাইনি। আমার পরিবার আমাকে বই পড়তে বলেছে, কিন্তু ভালো একটা বই কিনে এনে আমার হাতে দেয়নি। হয়তো তারা আমাকে বরাবরের মতো বই পড়ার ক্ষেত্রেও পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চেয়েছেন, কিন্তু পূর্ণ মানসিক বিকাশের জন্য সময়ানুযায়ী যে বই পড়ার একটা থিওরি, এটা যে গুরুত্বপূর্ণ এটাও অস্বীকার করা আমার পক্ষে সম্ভব না।

তাই আমার মনে হয়, আমাদের উচিৎ আমাদের ছোটভাইবোনগুলোর দায়িত্ব নিজেদের বহন করা। ওদের আনন্দের দিকে লক্ষ্য রেখেই ওদের বয়সোপযোগী বই ওদের হাতে তুলে দেওয়া, বই পড়তে উৎসাহিত করা। আর বাবা-মায়েরও তার সন্তানদের প্রতি একই ভূমিকা পালন করার আবশ্যকতা যে তীব্র, তা আমি অনুভব করতে পারি। নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথে চালিত করতে হলে তার হাল আমাদেরই ধরিয়ে দিতে হবে।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪০

ওমেরা বলেছেন: আরে পিচ্চি আপুনি বই পড়ে পড়ে কত জ্ঞানি হয়েছে, কত জ্ঞানের কথা জানালেন আমাদের । অনেক ধন্যবাদ পিচ্চি আপুনি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

মৌরি হক দোলা বলেছেন: হাহাহা... =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার মাকে সালাম! আপনার ব্লগিং বা বই দেখে তিনি নিশ্চয় খুশি হন।

আমারও সাংঘাতিক 'আউট বই' পড়ার নেশা ছিলো। আর এই নেশা ধরিয়ে দেয়ার পেছনে ঢাকায় থেকে পড়াশুনা করা আমার বড় ভাই এবং তাঁর বন্ধুসমগ্র দায়ী!! ছোটবেলা থেকেই দেখতাম প্রতিমাসে বাসায় 'শিশু' পত্রিকাসহ আরও কয়েকটা শিশুতোষ পত্রিকা আসতো বড় ভাইয়ের সৌজন্যে। ছুটিতে আসলেই বিভিন্ন ধরনের বই আনতেন আমাদের জন্য। আমি যখন ক্লাশ সিক্সে পড়ি, সেসময় রবিনহুড নামে একটা বেশ মোটা একটা বই কুরিয়ার করে পাঠিয়েছিলেন। তারপর ভাইজান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তাঁর বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে গেছেন, সে সুত্রে তাঁরাও প্রচুর বই পাঠাতো আমাকে...

এখনকার দিনে ছেলেমেয়েরা বই পড়ার নেশায় মাতে না বলেই মনে হয়। আপনার পড়ার গল্প ভালো লাগলো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আপনার ব্লগিং বা বই দেখে তিনি নিশ্চয় খুশি হন।


খুশি হন না মানে!!! আমার বইপড়া, ব্লগিং, লেখালেখি... এসবে এখন আমার বাবা-মায়ের সাপোর্ট প্রচুর। আম্মুও এখন বিশ বছর পরে নতুন করে লেখালেখি শুরু করেছেন। খুব অল্প সময়ে আল্লাহর রহমতে খুব ভালোও করছেন। ২ বছর আগে আম্মুকে ব্লগেও নিক খুলে দিয়েছিলাম। পারভীন শীলা। অনিয়মিত হলেও মাঝেমাঝে লেখা দেন। তবে ফেসবুকে ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটে গত দুইমাস যাবত প্রচুর লেখালেখি করছেন। :)

আপনার ভাইয়ার কথা শুনে খুব ভালোলাগলো। আমরাও চেষ্টা করি আমার ছোটোভাই (সেও সিক্সে পড়ে) যেন বইমুখী হয়। কিন্তু সে শুধু মুক্তিযুদ্ধের বই ছাড়া কিছু পড়তে চায় না, পন্ডিতি করে। B-) আর সারাদিন দাবা খেলে।

৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: কিন্তু আপনি ২০০৬ সালে স্কুলে ভর্তি হবেন, মানে এ প্রজন্মেরই মানুষ আপনি, তবুও আপনার বই পড়ার বহর দেখে আপনাকে ব্যকিক্রম মনে হলো।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯

মৌরি হক দোলা বলেছেন: প্রতিনিয়ত পড়ছি, শিখছি, জানছি। বই-ই আমার নিত্যসঙ্গী ও সবচেয়ে ভালো বন্ধু। ধন্যবাদ। :)

৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

ঢুকিচেপা বলেছেন: কি ভয়ংকর কথা “ লাশকাটা ঘর” থেকে যাত্রা শুরু ?

নতুন বই না পাওয়ার থেকেও বড় কথা হলো পড়তে উৎসাহ দেয়া।

ইচ্ছা থাকলে লাশকাটা ঘরেও বই পাওয়া যায়!!!!!!!!!!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

মৌরি হক দোলা বলেছেন: হাহা..... ঠিক ভাইয়া। ধন্যবাদ। শুভকামনা.....

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

যায়েদ আল হাসান বলেছেন: শেষ অনুচ্ছেদটি দারুণ হয়েছে । সীমাবদ্ধতার কারনে আমিও ছোট বোনটিকে বই পড়ার সুযোগ করে দিতে পারিনি। পারিবারিক ভাবেই আমার পক্ষে ক্লাসের বাইরের বই পড়া নিষিদ্ধ ছিল। একবার ক্লাস এইটে ধরা পড়ে কঠিন শাস্তি পেয়েছি। আমার অভ্যাস ছিল রাস্তাঘাটে হাটার সময় কাগজের টুকরো পেলেই কুড়িয়ে নেয়া এবং সংগে সংগে পড়ে ফেলে দেয়া। আমার জ্ঞান এর একটি অংশ টোকাই বিদ্যা। ক্লাস টেনে ক্লাস ফাকি দিয়ে হুমায়ুন সমগ্র শেষ করি। এরপর শিবরাম, রবীন্দ্রনাথের গল্প ও বংকিম বাদে আর কারো লেখাই নেশা ধরায় না। মাঝে মাঝে মনে হয়, বই পড়া অলসের সান্ত্বনা বা আসক্তের আসক্তি ছাড়া কিছু না।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২

মৌরি হক দোলা বলেছেন: বাহ! খুব ভালোলাগলো জেনে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩

মৌরি হক দোলা বলেছেন: আপনি দেখছি নতুন ব্লগার। স্বাগতম! দ্রুত সেফ হওয়ার শুভেচ্ছা রইল :)

৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১

মা.হাসান বলেছেন: মানুষে মানুষে ব্যবধান ঘোচানোর জন্য বই উত্তম হাতিয়ার। ভালো-খারাপ যা পাওয়া যায় পড়লে ক্ষতি নেই, লাভ ছাড়া।বই না পেলে ঠোঙা, বোতলের লেবেল, পোস্টার, দেয়ালের শ্লোগান - যা পাওয়া যায় পড়া ভালো । অসংখ্য রিসার্চ আছে যা দ্বারা প্রমানিত পড়া মগজের জন্য ভালো (আয়রনিকালি, মগজ না থাকলে পড়া সম্ভব না বলে যারা ঐ বস্তুর অভাবে ভোগেন তাদের জন্য কোনো প্রেসক্রিপশন নাই)। ব্লগে অনেক ভালো লেখক আছেন। আমাদের মডারেটর কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের পোস্টে মাঝে মাঝে দু-এক জনের নাম উঠে আসে।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

মৌরি হক দোলা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া.....

৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার নিজের অভিজ্ঞতা সাবলীল ভাবে তুলে ধরলেন যাহা খুব প্রয়োজনীয় । এবং সত্যই বটে

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

মৌরি হক দোলা বলেছেন: শুকরিয়া নেওয়াজ ভাই.....

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুকুমার অলটাইম বস। অথচ তিনি বেশি দিন বাচেন ই।

এই ব্লগে আপনিই বোধহয় সব চেয়ে পিচ্চি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

মৌরি হক দোলা বলেছেন: হাহা... আমাদের ব্যাচেরই তিন-চার জন আছি। B-)

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

শাহ আজিজ বলেছেন: কিছু অনুবাদ গল্প সাহিত্য পড়বে । ভারত , রাশিয়া মানে সাবেক সোভিয়েত এবং দক্ষিন আমেরিকার লেখকদের বই। গল্পের পরিসর জানতে বুঝতে এর বিকল্প নেই । খুশবন্ত সিং , সাদত হাসান মানটো পড়ে আমার কলেজের শুরুতে আমি চমকিত ছিলাম । এদের পড়লে তুমি গল্প তৈরির কাঠামো শিখতে পারবে , আমার বিশ্বাস ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬

মৌরি হক দোলা বলেছেন: অনেকন ধন্যবাদ। ইনশাআল্লাহ পড়ার চেষ্টা থাকবে অবশ্যই।

১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু পেশাগত ব্যস্ততার জন্য আমি ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম বেশ কয়েক দিন। আপনার বই বের হয়েছে এটা জানলাম মিররডলের পোস্টে আমাকে নিয়ে আপনার মন্তব্য পড়ে। বই প্রকাশের খবরে খুব খুশি হলাম জেনে। সুযোগ পেলেই কিনে ফেলব ইনশাল্লাহ। আমাকে ব্লগে খুজেছেন জেনে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার পড়ার অভ্যাসটা একটা অত্যন্ত ভালো গুণ। এই প্রজন্মের হিসাবে আপনি অনেক এগিয়ে আছেন এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আপনার পড়ার অভ্যাসই একদিন আপনাকে একজন বড় লেখক বানাবে এটা আমি কল্পনার দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি। ব্লগে অনেক গুনি লেখক ও প্রকাশক আছেন। তাদের সাহায্য আশা করি পাবেন। ভালো থাকবেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০

মৌরি হক দোলা বলেছেন: ওহ আচ্ছা!! যাক আলহামদুলিল্লাহ! :)

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪

রামিসা রোজা বলেছেন:

লেখার ব্যাকগ্রাউন্ড ও বৃত্তান্ত ভালো । আশারাখি সামনে
আরো এগোতে পারবেন , শুভকামনা ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

মৌরি হক দোলা বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৯

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: ভাল অভিজ্ঞতা।
পারলে বুদ্ধদেব গুহ পড়বেন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

মৌরি হক দোলা বলেছেন: বুদ্ধদেবের ‘পরদেশিয়া’ পড়েছিলাম। সামনে আরো কিছু পড়ার ইচ্ছে আছে। ধন্যবাদ।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

প্রেক্ষা বলেছেন: আমার বই পড়া শুরু হয়েছিলো নন্টে-ফন্টের কমিকস দিয়ে। টু-থ্রি পর্যন্ত বীরবল,বেতাল পঞ্চবিংশতি এগুলো নিয়েই থাকতাম।আমার সাথে আম্মুর চুক্তি হতো,পরীক্ষায় ভালো করতে পারলে পছন্দসই গল্পের বই কেনার। তাছাড়া গল্পের বই কিনে না দিলে হাঙ্গার স্ট্রাইকের ব্যাপার তো ছিলোই :#)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

মৌরি হক দোলা বলেছেন: বাহ! খুব ভালো। ধন্যবাদ।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে। বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

মৌরি হক দোলা বলেছেন: বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।

একদম!
ধন্যবাদ। :)

১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ক্লাস ওয়ানে যখন ছিলাম তখন ঠাকুরমার ঝুলি ও বন্দে আলী মিয়ার রূপকথার বই দিয়ে পড়া শুরু করি। তবে তখন বড়দের সাহায্য লাগতো পড়ার জন্য। ক্লাস টু তে উঠে সেবা প্রকাশনীর কুয়াশা সিরিজ পড়া শুরু করি। বাসাতে প্রায় ৩০ টার মতো সিরিজ আগে থেকেই ছিল। এই সময় বাসায় সাপ্তাহিক বিচিত্রা রাখা হত, সেটাও পড়তাম। বেগম পত্রিকার কয়েকটা সংখ্যা পড়েছি। ক্লাস থ্রিতে কিছু বিখ্যাত বিদেশী উপন্যাসের সংক্ষেপিত বাংলা শঙ্কলন পড়ি। পরবর্তীতে পুরো উপন্যাস পড়ার সময় এই সংক্ষেপিত গল্পগুলি আমাকে কাহিনী বুঝতে সাহায্য করেছিল। আমার মা রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা পড়তেন। বাসায় একটা সঞ্চয়িতা ছিল যেটাতে কিছু নির্দিষ্ট কবিতা উনি আন্ডার লাইন করে রেখেছিলেন। আমাদেরকে ওগুলি পরে বুঝিয়ে দিতেন ( যেমন পুরাতন ভৃত্য, দুই বিঘে জমি, তাল গাছ একপায় দাড়িয়ে, হি তিং ছট, জুতা আবিষ্কার ইত্যাদি)। আমার মায়ের অনুসরণে আমিও গুরুত্বপূর্ণ লেখা যখন পড়ি তখন পেন্সিল বা কলম দিয়ে আন্ডার লাইন করি। প্রতি জন্মদিনে আমি অন্য কিছুর বদলে বই নিতাম। ক্লাস সেভেন থেকে লাইব্রেরী সুবিধা পাই ও তার পূর্ণ ব্যবহার করি। অন্যের লাইব্রেরী কার্ড দিয়েও বই আনতাম। তবে বহু বছর পেটের তাগিদে বেশী একটা পড়ার সময় পাই না। কিছু বই অনলাইনে কিনি আর কিছু ফ্রী অনলাইন ভার্শন পড়ি।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: বাহ! আপনার বই পড়ার গল্পও বেশ সুন্দর। :)

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: বই পড়া ভালো। আমারও আপনার লেখা পড়তে অনেক ভালো লাগে। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩০

মৌরি হক দোলা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.