নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশে যে কোটা ব্যবস্থা বিদ্যমান, এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? “ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড” কোটার প্রয়োজনীয়তা আমি অবশ্যই স্বীকার করি। অবশ্যই যারা এই চ্যালেঞ্জের স্বীকার তাদের যুদ্ধের সাথে আমাদের যুদ্ধ মেলে না। আমরা যে যুদ্ধ করি, সে যুদ্ধ তো তারা করেই; সাথে আরো অতিরিক্ত যুদ্ধ তাকে করতে হয়। তাই এই কোটা নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। কিন্তু “মুক্তিযোদ্ধা কোটা”, ”উপজাতি কোটা”?
’৭১ এ যাঁরা যুদ্ধ করেছেন, অবশ্যই তাঁদের অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁদেরকে অন্তত আমি সবসময়ই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। কিন্তু তাঁদের এই অবদানের জন্য তাঁদের বংশধরেরা ক্রমাগত সুযোগ পায় কীভাবে; যেখানে অনেক ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা (!) আর অবহেলিত সত্যিকারের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসহায়ত্বের কথা আমাদের দেশে ওপেন সিক্রেট?
একজন সাধারণ পরীক্ষার্থী যখন অনেক পরিশ্রম করে ৭০+ পেয়েও পাবলিক ভার্সিটিতে সিট কনফার্ম করার প্রচেষ্টায় হিমশিম খায়, সেখানে শুধুমাত্র কোটার জোরে অনেক ৪০+ মার্কস নিয়েও সুযোগ পায়। যে স্টুডেন্টটা পড়াশোনা করে চান্স পেল, আর যে কোটায় অল্প মার্কস পাওয়া সত্ত্বেও চান্স পেল, এদের আপনি এক পাল্লায় মাপতে চান কী? জানি, তাদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ, আমাদের সাধারণের ঘরে তারা অনধিকার ফলাতে আসবে না; তবুও কি এটা অযৌক্তিক মনে হয় না?
উপজাতি কোটা কেন থাকে যেখানে তারা নিজেদের “উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী” ট্যাগকে অপমানজনক মনে করে? যদি বলেন, পাহাড়ী এলাকায় শিক্ষা সুবিধা এখনও অনগ্রসর- তবে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশে এখনো অনেক গ্রাম আছে যেখানে হতদরিদ্ররা টাকার অভাবে পড়াশোনা করতে না পেরে অল্প বয়সেই কাজে যুক্ত হয় কিংবা মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ দেখা যায়। তবে তাদের জন্য কোটা নেই কেন??
আমার ক্লোজড ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যেই অনেকের কোটা আছে। তাদের প্রতি কিংবা অন্য কোনো কোটাধারীর প্রতি আমার বিন্দুমাত্র কটাক্ষ নেই। বরং আমিই তাদের বলি তোর যেহেতু কোটা আছে, চিন্তা করিস না; হয়ে যাবে ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমার কটাক্ষ এই সিস্টেমের প্রতি। সিস্টেমে থাকলে আর তা আমার সাথে গেলে আমি অবশ্যই সেই সুযোগ ভোগ করতে চাইব। এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আমার মনে হয়, এই কোটা সিস্টেম (শুধুমাত্র ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড কোটা বাদে) আমাদের শিক্ষা/চাকরির বাজারে অহেতুক বিভাজনের সৃষ্টি করে। অনেক যোগ্য পরীক্ষার্থী সুযোগ না পেলেও অনেক অযোগ্যরাই সুযোগ পেয়ে যায়।
এই বৈষম্য বন্ধ হোক!!!
ছবি: সংগৃহীত। অথচ প্রতিবন্ধী কোটাতেই বেশি সুযোগ থাকা উচিৎ ছিল! আর নারী কোটা!!!!!!!!
ছবিটা লেখার পরে সংগ্রহ করেছি। নারী কোটা আর জেলা কোটাও যৌক্তিক বলে মনে করি না। নারীরা কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী না যে আলাদা কোটা রাখতে হবে। জেলা কোটার ক্ষেত্রেও একই মতামত। জানি, পূর্বে আন্দোলন করেও কিছু হয় নাই, ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না! তবুও এই বৈষম্য শেষ হোক, এ্টাই প্রার্থনা করি!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৪
মৌরি হক দোলা বলেছেন: সহমত।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময়, প্রায় ১ লাখের বেশী সাধারণ মানুষ যুদ্ধ করেছিলেন, যুদ্ধের পর, এঁদের কি চাকুরী দেয়া হয়েছিলো? আপনার কোন ধারণা?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
মৌরি হক দোলা বলেছেন: আমি যতটুকু জানি, অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাদের আসলেই সাহায্যের প্রয়োজন ছিল, তাঁরা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
স্বাধীনতার পর, ঢাকার বাসাগুলোতে "চাকর" বেশী ছিলো, নাকি "চাকরাণী" বেশী ছিলো? আপনি দেখেছেন, ২২/২৩ বছরের সুস্হ, সবল গৃহবধূকে চা বানিয়ে দিয়েছে ১০/১১ বছরের চাকরাণী? নারীদের এই মনোভাবকে আপনি কিভাবে দেখেন?
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪০
মৌরি হক দোলা বলেছেন: সামর্থ্য থাকলে কে একটা চাকর/চাকরাণী রাখবে নাকি ততোধিক রাখবে তা নিয়ে আমি কথা বলার কেউ না। কারো হাড়ির খবর নিয়ে আলোচনা করা আমার অপছন্দনীয়।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: কোটা ব্যবস্থা দুর্বলদের জন্য।
ইহা আমার পছন্দ নয়।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪০
মৌরি হক দোলা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: এই কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিলো । তার ফলে বর্তমানে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে আর কোটা ব্যবস্থা নেই । কোটা কেবল তৃতীয় এবং ৪র্থ শ্রেণীর চাকরির জন্য আছে ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪১
মৌরি হক দোলা বলেছেন: যতটুকু জানি, বিসিএসে এখনো কোটা ব্যবস্থা আছে। আর ভর্তি পরীক্ষায়ও আছে, খুব ভালোভাবেই আছে।
৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: শিক্ষা মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে যদিও এখনও আছে এই কোটা সিস্টেম তবে সহনীয় । যেমন আমার স্টুডেন্টের মেডিক্যাল এডমিশনের সময় দেখেছিলাম যে ডিএমসি, সলিমুল্লার জন্য চারটা করে কোটার সিট বরাদ্দ । চাকরি ক্ষেত্রে কোটা ছিল ৫৬% । সেটা আপাতত নেই ।
কোটা সিস্টেম থাকা দরকার । অনেকেই আন্ডার প্রিভিলজড আছে । তাদের জন্য একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়া দরকার আছে । তবে সেটা সর্বোচ্চ ৫-১০% । এর বেশি থাকা উচিৎ না কোন ভাবেই ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৪
মৌরি হক দোলা বলেছেন: কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আন্ডার প্রিভিলজড যারা, শুধু তো তারা এই সুবিধা পায় না। তার বাইরেও অনেকে পায়। একই দেশে বাস করে, একই রকম দুইটা হাত, দুইটা পা, দুইটা চোখ, একটা সুস্থ সবল মস্তিষ্ক নিয়ে এই সুবিধা পাওয়া অর্থহীন।
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৯
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: ১। ৩০ লক্ষ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নয় কেন ?
২। তালিকানুযায়ী প্রায় ২ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হলে নাতিপুতিরা কোটার ৩০% .পায় কিভাবে ?
৩।অথচ ১৭ কোটি জনতার ১ কোটি চাকরি প্রত্যাশী।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
মৌরি হক দোলা বলেছেন: আপনার থেকেই উত্তরগুলো জানতে চাচ্ছি।
৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১২
অপু তানভীর বলেছেন: না, সরকারি প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে এখন আর কোন কোটা নেই ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১
মৌরি হক দোলা বলেছেন: আচ্ছা। এটা খুবই ভালো ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কোটা ছিল-আছে থাকবে , এখন যদি প্রশ্ন করা হয় - কেন কোটা ব্যবস্থা তৈরী হয়েছে বা এখনো কেন আছে?
তাহলে জবাব - কারো কারো সুবিধার জন্য কোটা ব্যবস্থা তৈরী হয়েছে (পিছিয়ে পড়া কিংবা বিশেষ চাহিদার কাউকে বিশেষ সুবিধা দিতে ) । এখন সেই পিছিয়ে পড়াদের থেকেও বেশী ও বিশেষ সুবিধা পায় বিশেষ বিশেষ কেউ । এটাই সমস্যা।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মৌরি হক দোলা বলেছেন: এখন সেই পিছিয়ে পড়াদের থেকেও বেশী ও বিশেষ সুবিধা পায় বিশেষ বিশেষ কেউ । এটাই সমস্যা।
এই সমস্যার সমাধান আছে বলে মনে হয়?
১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: আমিতো ভয়ে আছি কখন জানি রহিঙ্গা কোটা চালু হয়ে যায়।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মৌরি হক দোলা বলেছেন:
১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৭
জ্যাকেল বলেছেন: কোটা প্রথা আমাদের মত গরিব দেশের জন্য উপযুক্ত। তবে ইহা যেন সীমিত পর্যায়ে থাকে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাওতাল, গারো ইত্যাদি গোষ্টির ছেলেপিলে চান্স পাওয়া টাফ হইবে বিধায় তাদের ২/১ টা বের হয়ে আসলে পুরো সমাজের ভাল হইবে। এই কারণে কোটা সিস্টেম দরকারী।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধাদের নাতি কোটা, নারী কোটা ইত্যাদি দেশ ধ্বংস করার একটা পথ। কোটা সুবিধা নিয়ে যদি ৫১% লোক কোন কোম্পানিতে থাকে তাহা হইলে ওই কোম্পানির বারোটা বাজতে সময় লাগে না।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মৌরি হক দোলা বলেছেন: সাঁওতাল, গারো ইত্যাদি উপজাতির ছেলেপিলে যদি পড়াশোনা করে তবে কোটা লাগবে কেন? আমাদের ব্যাচে এবার যতজনকে কোটা নিয়ে চিল্লাপাল্লা করতে দেখেছি, সবার প্রাপ্ত মার্কসই অন্তত ৪০ এর কম।
১২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সামর্থ্য থাকলে কে একটা চাকর/চাকরাণী রাখবে নাকি ততোধিক রাখবে তা নিয়ে আমি কথা বলার কেউ না। কারো হাড়ির খবর নিয়ে আলোচনা করা আমার অপছন্দনীয়।
-আপনার পড়ালেখা এখনো কাজ করছে না, আপনি সঠিকভাবে ভাবতে পারেন না।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০
মৌরি হক দোলা বলেছেন: দোয়া কইরেন,পড়াশোনা যেন অতি দ্রুত কাজে লাগাইতে পারি। সঠিকভাবে ভাবতে পারি। কিন্তু কে কয়টা চাকরাণী রাখল, কে ঘরের কাজ করলো না পায়ের উপর পা তুইলা বইসা খাইলো, তা নিয়া যেন সৃষ্টিকর্তা কোনোদিন আমারে মাথা ঘামাইতে না দেন।
১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: সাঁওতাল, গারো ইত্যাদি উপজাতির ছেলেপিলে যদি পড়াশোনা করে তবে কোটা লাগবে কেন?
কারণ তারা পিছিয়ে পড়া জাতি। এদের থেকে কেউ যদি শিক্ষিত হয় গোটা সমাজের উপকার হবে। তবে এদের জন্য চাকরি কোটা আমি সাপোর্ট করি না। চাকরি কোটা কেবলমাত্র প্রতিবন্ধী/অসহায় এদের থেকে নেওয়া উচিত। তাও মেধা যাচাই করে নুন্যতম মান হতে হবে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৩
মৌরি হক দোলা বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা কি এখনো চাকুরী খুঁজতেছেন? খুঁজলে, ওঁদেরকে প্রথমে চাকুরী দেয়া হোক, এরপর কোন চাকুরী থাকলে, অন্যেরা করবেন।