![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মচ্যুত এবং নিজেকে নবী দাবী করা মিশরিয়ান বিজ্ঞানী ড. রাশেদ খলিফা কোরআন গবেষণা করে ‘কোড-নাইন্টিন’ প্রকাশ করেছিলেন, এজন্য তিনি এই আসমানী কিতাবের প্রত্যেকটি হরফ-কে কোরআনের শব্দ-গঠনের নিয়ম ঠিক রেখেই কম্পিউটার ম্যাট্রিক্সে বিন্যাস্ত করেন। তিনি যদিও দাবী করতেন যে, হাদিস কিংবা ইজমা-কিয়াস নয় শুধু কোরআন কে তিনি মান্য করেন। মূলত তিনি কোরআনকেও অস্বীকার করেছেন, পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাহু-আলাইহি-সালাম –এর পরে নবুয়্যতের দরজা কেয়ামত পর্যন্ত বন্ধ। মিশরিয়ান বিজ্ঞানী’র প্রকাশিত থিওরি’র কিছু কন্টেন্ট ছিলো এরকমঃ-
আল-কোরআনের সূরা সমষ্টি (১১৪),যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। কোরআন পাকে প্রতিটি সূরার শুরুতে (সূরা আত-তাওবা ব্যাতিত) ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ আয়াতটি আছে । প্রতিটি সূরায় একবার করে হলেও সূরা ‘নামল’ -এ এই আয়াতটি দু'বার এসেছে (সূরা'র শুরুতে ছাড়াও এই সূরা'য় হজরত সুলায়মান (আঃ) রানী বিলকিসকে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে চিঠি লিখতে উক্ত চিঠি'র শুরুতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ ব্যাবহার করেছেন)। তাই সমগ্র কোরআনে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’-এই আয়াতটিও এসেছে ১১৪ বার, যা ১৯ সংখ্যাটি দ্বারা বিভাজ্য।
সমগ্র কোরআনে ‘ইস্ম’ (অর্থ নাম) শব্দটি ১৯ বার এসেছে, যা ১৯ দ্বারা ভাগ করা যায়, 'আল্লাহ' (সৃষ্টিকর্তার মূল নাম) শব্দটি ব্যাবহৃত হয়েছে ২৬৯৮ বার, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। ‘রহমান’ (দাতা) শব্দটি ব্যাবহৃত হয়েছে ৫৭ বার, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। ‘রহীম’(করুণাময়) শব্দটি ব্যাবহৃত হয়েছে ১১৪ বার, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। তাছাড়াও কোরআনে বর্ণিত আল্লাহতায়ালার সর্বমোট নামের সংখ্যা (মূল কিংবা গুনবাচক মিলে) ১১৪ টি, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
কোরআন পাকে 'রসূল' ও 'রব' শব্দ দু'টি এসেছে ৫১৩ বার ও ১৫২ বার, যারা উভয়েই ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। ‘ইবাদত’ ও 'আবেদ' কোরআনে এই শব্দ দু'টি এসেছে ১৯ বার ও ১৫২ বার, এবং উভয়েই ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
কোরআন মাজিদে বিছিন্ন হরফের (যেমন 'আলিফ লাম মীম' বা 'আলিফ লাম রা', যে সকল হরফের রহস্য শুধু আল্লাহ্ আর তার রাসুলই ভালো জানেন) সমষ্টি ৫৭, যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। শুধু তাই নয় এই বিচ্ছিন্ন হরফগুলো যত সংখ্যকবার এসেছে উক্ত সংখ্যা সমূহও ১৯ দ্বারা বিভাজ্য।
১৯ সংখ্যার গানিতিক সেটেলমেন্ট নিয়েই এই ফর্মুলা করা হয়েছে বলে ড. রশিদ মনে করেন। মানুষ দুই নম্বর হলেও গবেষণা’তো চমৎকার।
তথ্য সুত্রঃ
https://en.wikipedia.org/wiki/Rashad_Khalifa
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
মাধব বলেছেন: সেটাই
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯
েমাঃ এহ্েতশামুল হক বলেছেন: " এবং তার উপরে রয়েছে উনিশ" ৭৪ নং সুরা মুদ্দাস্সের এর ৩০ নং আয়াত।এরপর নাযিল হয় সুরা আলাকের শেষ ১৪ আয়াত। আমরা জানি, সর্বপ্রথম নাযিল কৃত আয়াত হল সুরা আলাকের প্রথম ৫ আয়াত যার শব্দ সংখ্যা ১৯ টি। এই সুরার মোট আয়াত ৫+১৪= ১৯ টি। প্রথম ৫ আয়াতের অক্ষর ৭৬ আর পুরো সুরার অক্ষর ২৮৫ উভয়ই ১৯ দ্বারা বিভাজ্য। গাণিতিক বিদ্যার ক্ষুদ্রতম সংখ্যা এবং সর্ব বৃহৎ সংখ্যা ১ ও ৯ ইহারা পাশাপাশি ১৯ হিসেবে দেখায়। ইহা মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ পাকের পক্ষ থেকে এসেছে। তিনি আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন, আমিন।
৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ইনফরমেটিভ লেখা। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: পবিত্র কোরানের ১৯ সংখ্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।