নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথ

সপ্নবাজের কথা

সপ্নবাজের কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

।। একটি আপোসের রায় ও পরবর্তী বাংলাদেশ ।।

০৭ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

আমরা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চাইবো আবার বিচার বহির্ভূত হত্যার পক্ষে শ্লোগান ধরবো...এমন স্ববিরোধীতা কখনো মেনে নেয়া যায় না। সকল ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে মানবিকতার স্বার্থেই।খালেদা জিয়া বাসায় বসে হেফাজতের পাশে থাকার পরামর্শ দেন,আহ্ববান জানান। আল্লামা শফি নিরাপত্তার কারণে মতিঝিল যান না। শেখ হাসিনা ১৩ দফা নিয়ে মিহি সুরে কথা বলেন।হেফাজতি, লীগ, দল ঠিকই বেঁচে থাকে।মরে যায় শুধু মানুষ,সাধারণ মানুষ । হেফাজত যা করেছে ৫ইমে তা অন্যায় বোঝলাম তাই বলে মধ্যরাতে হামলা করে মানুষ হত্যা করা হল কেন?এইখানে মুলত খমতার দ্বন্দ্ব এর কারনে এমনটা করা হএছে।স্বার্থের হিসাবের কারনেই এত গুলো মানুষ আবার জীবন দিল ।২৫ মার্চ ১৯৭১ এর কথা মনে পরে গেল,মনে পরে গেলো স্বৈরাচার এরশাদের কথা ।তবে এইটাই কি গণতন্ত্র ?কিন্তু পাশে শাহবাঘ এ গনজাগরন মঞ্চ কে ৫মে পর্যন্ত টানা ৩মাস সভা করতে দেওয়া হল ,গনজাগরন মঞ্চ সৃষ্টি হইয়েছিল তাও সরকার এর প্রতি অবিশ্বাস থেকে ,কাদের মুল্লার আপোশের রাইয়ের বিরদ্ধে ।কিন্তু সরকার ঠিক তাদের বাঁধা না দিয়ে পারলে তাদের আরও সহযোগিতা করেছে ।সরকার গনজাগরনের সফলতা দেখে আন্দোলনকে তার রাজনৈতিক কাজে লাগাতে গিয়ে আন্দোলনের গ্রহণ যোগ্যতা নষ্ট করেছে ।গনজাগরন মঞ্চ ত সফল হইয়েছিল কাদের মুল্লার রাইএর বিরুদ্ধে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে এবং সাইএদির ফাঁসির রায়ের ফলে । তারপরও সরকার তার নিজের স্বার্থে বরোধী দল কে আন্দলনে বাধা দিতে গনজাগরন কে ব্যবহার করতে তাদের বসিয়ে রাখল । ফলে বিরোধী দল এবং জামাত শিবির আন্দলন নিয়ে ষড়যন্ত্র করার অনেক সময় পেলো পরে নাস্তিকতার কথা বলে আন্দলনের ১২ টা বাজাল । আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নোংরা রাজনীতি করে যে যার স্বার্থ হাসিল করল । নাস্তিকতার কথা বলে খেপিয়ে দেওয়া হল ধর্মানুসারীদের । হেফাজত এবং গনজাগরন মঞ্চএর মধ্যে দ্বন্দ্ব লগিয়ে দেওয়া হল ।আমার মুক্তিযুদ্ধ এর চেতনাএবং আমার ইসলাম কখনই সাংঘষিক নয় । গভীর ষড়যন্ত্র করে আজ আমার এই দুটি সত্তাকে মুখোমুখি করে দেওয়া হল । বিশ্বের অন্য দেশ গূলো যখন জাতিগত ভাবে এক হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ,তখন আমরা কিছু ক্ষমতা পিপাসুদের অভিলাষ পূরণের জননে তাদের সৃষ্ট ভিবাজন এ নিজেদের বলী করে যাচ্ছি । মিছে জীবন দিয়ে যাচ্ছি অবিরাম ।মানুষ নিয়ে এই মরণ খেলা বন্ধ করো । প্রত্যেক টা দেশে সরকার এর জনগনের প্রতি অনেক দায়িত্ব থাকে , একটি রাষ্ট্রে ননা মতের ,বরনের,ধরমের মানুশ থাকতে পারে তাদের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা রাষ্ট্র তথা সরকারের উপর ই বর্তায় । RTG মানে ROYAL THAI GOVTএর একটি জনপ্রিয় নীতি আছে ।এই জনপ্রিয় নীতি এর প্রধান উদ্দেশ্য হল রাষ্ট্রের নানা মতের সংগঠনের মাঝে সমন্বয় গড়ে তোলা ,কিন্তু আমাদের দেশে আমরা দেখি রাজনৈতিক দলগুলো বিপরীত পন্থা অনুসরণ করে তারা নিজেরা ক্ষমতাই টিকে থাকার জননে এবং ক্ষমতাই যাওয়ার জননে আমাদের জনগণের মধ্যে বিভাজন করে রেখেছে। তাদের অন্যায় এর বিরুদ্ধে যাতে এক হতে না পারি তাই এই বিভাজন নীতি । লীগ, বি,এন,পি, আস্তিক,নাস্তিক, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে , নব্য রাজাকার ইত্যাদি নানা ভাবে আমাদের ভাগ করে রাখা হয়েছে ,ছাত্র রাজনীতি এর নামে ছাত্রদের হাতে পিস্তল ও মাদক তোলে দেওয়া হয়েছে ।যাতে আমরা সচেতন ছাত্ররা মাথা তোলে অন্যায় শাসনের প্রতিবাদ করতে না পারি তাই এইসব ষড়যন্ত্র । যেই ডাকসু এর মাধ্যমে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে ৯১ এর পর থেকে আজও তা বন্ধ রাখা হয়েছে । স্বামী, বাবার দোহাই দিয়ে গণতন্ত্র এর নামে চলছে পরিবারতন্ত্র ।ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়ছে মনুষের উপর,বিল্ডিং ভেঙ্গে মরছে শ্রমিক আসলে এই শোষণকারী শাসন কাঠামো ভেঙ্গে গেছে ।আর বেশি দিন আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টী করে তোমরা নিজেদের স্বার্থ হাঁচিল করতে পারবে না ।ক্ষমতাই টিকে থাকা এবং ক্ষমতাই যাওয়ার জননে জনগণের মধ্যে ভিবাজন সৃষ্টী করে আপনার আমার লাশ আর রক্ত নিয়ে কার বা কাদের লাভ্ তা হিসেব করার এখনই সময় ।আমার মাথাই কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার দিন ত শেষ , নাম আমার জনগণ আমি বাংলাদেশ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.