নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন মৃত্য এবং প্রশ্ন

এমএিব সুজন

এমএবি সুজন। এমএসএস (পাস) ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন। তথ্য সংগ্রহ ও রচনা: ক্রাইম পেট্রোল (এটিএন বাংলা), ক্রাইম ফিকশন (জিটিভি), সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টারস সোসাইটি (ঢাকা মহানগর উত্তর)

এমএিব সুজন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শস্যের চেয়ে টুপি বেশি; ধর্মের আগাছা বেশি......

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০১

শস্যের চেয়ে টুপি বেশি; ধর্মের আগাছা বেশি- সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি সার্বজনিন উক্তি করেছেন বটে। বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন সকল মাদ্রাসার সাথেই এতিমখানা শব্দটি শোভা পায়। এতিমখানায় গরীব, এতিম ও অসহায়দের জন্য লিল্লাহ ফান্ডে সাধারণ মানুষ তথা সমাজের বিত্তবানরা নিয়মিত দান, খয়রাত, যাকাত, ফেৎরা, ছদকা ইত্যাদি প্রদান করেন ধর্মীয় অনুশাসন মোকাবেলা করবার জন্যে। অথচ এতিমের হক কোন মাদ্রাসা কতৃপক্ষ সঠিক ভাবে আদায় করে বলে বিশ্বাস করিনা। প্রায় সব মাদ্রাসাতেই ২/৩/৪ রকমের রান্না হয় স্ট্যাটাস অনুযায়ী। এতিমদের ভাগ্যে জোটে নিরামিষ ঝুটা বাসি পরিত্যাক্ত খাবার। এতিমরাও প্রতিশোধ নেয়; সুবিধাফল ভোগ করে তবে শিক্ষা জীবন শেষে অধীনস্ত অন্য এতিমদের হক মেরে। সমস্ত এতিমের নামে প্রাপ্ত ভিক্ষা বিত্ত বেশির ভাগ মাদ্রাসার হুজুরদের পোশাক আশাক ও রঙিন মোবাইলে চিক চিক করে। মানুষের দান বন্ধ হলে দেশের সব মাদ্রাসা অচল হয়ে যাবে অথচ এসব মাদ্রাসার অকৃতজ্ঞ বিশ্বাস ঘাতক কিছু ওলামা নামধারী ইদানিং তাদের রিযিকের উসিলা মানুষের উপর আপত্তিকর চাপ সৃষ্টি করছে। আদতে মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্র তথা সমাজের বোঝা। এ বোঝার ওজন ক্রমাগত বাড়ন্ত; ভাবনার বিষয়, এ কাল ওজন বহনযোগ্য নয়। সাপের ধর্ম সাপের কাছে; মানুষের ধর্ম মানুষ পালন করে। তবে সাপ মানুষকে বিশ্বাস করে না; মানুষ সাপকে বিশ্বাস করে দুধ কলা খাইয়ে পোষে। এজন্যে মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: সাপ মানুষকে বিশ্বাস করে না; মানুষ সাপকে বিশ্বাস করে দুধ কলা খাইয়ে পোষে। এতিমের হক যারা মেরে খায় তাদের শাস্তি জাহান্নাম।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

চোরাবালি- বলেছেন: কোন কিছু সম্পর্কে কিছু বলতে হলে নিজে একটা প্রতিষ্ঠা করে দেখান। আপনার বিশ্বাসে অবিশ্বাসে কি এসে যায়? তারপরও তো এতিম ছেলে মেয়েরা বড় হতে পারছে খেয়ে পরে। বিভিন্ন জায়গা হাত পেতে ভিক্ষা করে এনে এদের লালন পালন করে বড় করছে। কিন্তু আপনাদের মত অবিশ্বাসী সুশীল সমাজ তো মাইকে বক্তিতায় সার। আর বাড়ীর কাজের লোকটিকে খেতে দেন বাসি পচা যার ফলে ধরে নেন সবাই বাসি পচা খাবার খাওয়ায়। আপনারা খাওয়ান গরীব ভেবে আর ওরা খাওয়ায় দারিদ্রতার কারনে।

দু'চার টাকা দান করে বড় দানশীল ব্যক্তি হয়ে যায়। আমি একজনকে চিনি যিনি বছরে ১২লাখ টাকা দেন এতিম খানায়। উনাকে কোনদিন বলতে শুনি নাই এবং অবিশ্বাসও পোষণ করতে দেখি নাই।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

কে বা কারা বলেছেন: মানুষের দান বন্ধ হলে দেশের সব মাদ্রাসা অচল হয়ে যাবে

মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক কিছুই তো বললেন। আমার ভাই মাদরাসায় পড়ে; সে লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে খায় না। লিল্লাহ বোর্ডি আলাদা। তার খরচ ৩০০০+ টাকা মাসে।

অর্থগৃধ্নুরা খুলুক এতিমখানা। কে মানা করেছে তাদেরকে?

যারা আজ আপনার উক্তি বের করছে মুখ দিয়ে, তারা যে কোন মাদরাসায় কয় টাকা দিয়েছে, আমরা ভালো করেই জানি। মসজিদে যে বিশ টাকার বেশি মাসিক বেতন দিতে চায় না তাও আবার ছয় মাসের টাকা জমার পর তিন দিন ঘুরিয়ে এক মাসেরটা দেয়, তারাই সপ্তাহে একদিন মসজিদে এসে চিল্লাচিল্লি বেশি করে।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

রবিউল ৮১ বলেছেন: আদতে মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্র তথা সমাজের বোঝা। এ বোঝার ওজন ক্রমাগত বাড়ন্ত----রাষ্ট্র এদের কি কি সুবিধা দেয়া জানতে পারি কি?স মাজের এ ক বারে গরীব মানুষটি যখন তার সন্তান কে খাওয়াতে অক্ষম হয়ে পড়ে রাষ্ট্র তখন তার জন্য কি কি করে সেটাও একটু জানাবেন?

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৭

পুংটা বলেছেন: সমাজের বিত্তবান চোরেরা এইসব মাদ্রাসা চালায়, তারা তাদের জীবনের পাপ মোচনের জন্য পিচাশ তৈরী করে। X(

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

রবিউল ৮১ বলেছেন: পিচাশের স ংজ্ঞা ও দেখি পরিবর্তন হয়ে গেছে।যারা সরকারী চাকুরী করে সবাই কোন শিক্ষায় শিক্ষিত?এই সীমাহীন অন্যায় আর দূর্নীতি কোন শিক্ষায় শিক্ষিত লোকেরা বেশী করছে? যারা ৪২ বছর ধরে ক্ষমতায় তারা কোন শিক্ষায় শিক্ষিত জানতে পারি কি?শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজপথে কারা সবচেয়ে বেশী কোপাকুপি তে লিপ্ত?দেশের উন্নয়নের টাকা কারা মেরে খায়?তারা মনে হয় আপ্নের ভাষায় সুশিল আর যারা সমাজের নুন্যতম সুযোগ সুবিধা ভোগ করে না,যারা দিনের পর দিন কষ্টে করেও চু রি ডাকাতি তে লিপ্ত হয় না তারা আপ নের ভাষায় পিচাশ।খুব পুলকিত হইলাম আপনার জ্ঞান দেখে।আবশ্য আপনার প্রফাইল পিক দেখে আপনার জ্ঞানটা আন্দাজ করা যায়।@পুংটা

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

পুংটা বলেছেন: প্রফাইল দেখে কি আর মানুষ চেনা যায় রে রবিউল। রবিউল নামে আমাদের দেশে একজন বড় মাপের কমেডিয়ান ছিলেন। আপনার নাম যিনি রেখেছেন তিনি আপনার নামকে নিয়ে আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় কমেডি করেছেন:-P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.