![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের ভিতরে বড় হবার প্রচন্ড আকাঙ্খা ।। স্বপ্ন দেখতে খুউউউব ভালোবাসি।। ভালোবাসি বই পড়তে, ছবি আঁকতে আর বিখ্যাত মানুষদের জীবনী পড়তে .....
(১)
অ্যাঁক থ্যুঁ, বাবা আমাকে এটা কোথায় নিয়ে এলে?
কেন কি হয়েছে?
এই প্রাণীটাকে দেখে ঘেন্নায় আমার বমি আসছে।
কেন, ঘেন্না করবে কেন? কি হয়েছে প্রাণীটার? হ্যাঁ, দেখতে একটু কুৎসিত হলেও বমি আসার মত কোন জিনিস তো করে নি ওটা।
কি বলছ বাবা? এই পর্যন্ত অনেক প্রাণী আমি দেখেছি কিন্তু এটার মত কুৎসিত আর ভয়ংকর প্রাণী আমি কখনও দেখিনি !
কুৎসিতের কি দেখলে য়্যুসা ?
দেখনা ওর চেহারাটা, ওয়াক- থু- কত অমসৃণ একটা কাঠামো, এখানে- সেখানে বুদবুদের মত কি যেন, ওই দেখনা ওর সবচেয়ে কুৎসিত অংগটি দিয়ে কি করছে?
ওহ, ওটা ওর চোখ মা। ওটা কুৎসিত হলেও ওর কিছু করার নেই, কারণ ওটা দিয়েই সে দেখে।
হ্যাঁ হ্যাঁ, চোখ, দেখ না কেমন পিঁট পিঁট করে তাকাচ্ছে ! ওর মাথার উপরে দেখ, ওগুলো কি? ওয়াক, মনে হচ্ছে কেউ ওখানে ভুলে দুর্গন্ধযুক্ত "স্টেরন" ফেলে দিয়েছে। যার ফলে, ওগুলো কালো হয়ে গেছে। আচ্ছা বাবা, প্রাণীটার শরীরে ও দু'টো জিনিস কি?
ওহ, ওগুলোকে বলে হাত, ওটা দিয়ে ও যে কোন কিছু ধরতে পারে।
বুঝেছি, কিন্তু দেখনা ওগুলো দেখে মনে হয় যেন কেউ ওর শরীরের দু'দিকে দু'টি "ওল্টাসাম" গাছ লাগিয়েছে!!!
আচ্ছা হয়েছে, হয়েছে, আর কোন দোষ বের করতে হবে না। কিন্তু য়্যুসা, তুমি কি জানো যে, এই প্রাণীটার বুদ্ধিমত্তা প্রায় আমাদের সম-পর্যায়ের?
ও, তাই নাকি! আচ্ছা চল তো বাবা, ওটাকে কাছাকাছি গিয়ে দেখি।
যাবে! আচ্ছা চল।।
এই বলে দূর গ্রহের "ওমেগা" নক্ষত্রপুঞ্জের "পারিহা" নামক গ্রহের দু'টি প্রাণী চলে যেতে লাগল "মহাজাগতিক চিড়িয়াখানা"-র প্রধান কক্ষে, যেখানে অন্যান্য গ্রহের প্রাণীদের পাশাপাশি বন্দী অবস্থায় আছে পৃথিবীর প্রাণী "শামীম"। শামীম পেশায় ছিল নভোচারী, অত্যন্ত সুন্দর, সুঠাম দেহের অধিকারী শামীম, একা একাই ঘুরে বেড়াত সমস্থ মহাকাশ। কিন্তু হঠাৎ কিছু দিন আগে শামীম তার মহাকাশযানটিকে নিয়ে পড়ে যায় একটি গোলক-ধাঁধায়। যেটিকে ফাঁদ হিসেবে পাতিয়ে রেখেছিল আন্তঃমহাজাগতিক দস্যুদল। আর সেই ফাঁদেই শামীম ধরা পড়ে যায় কুখ্যাত দস্যুদলের হাতে, যারা কিনা পরবর্তীতে তাকে বিক্রি করে দেয় এই মহাজাগতিক চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের কাছে।
(২)
শামীম অনেকক্ষণ চোখ বন্ধ রাখার পর চোখ মেলল। কিসের যেন চাঁপা একটা দুর্গন্ধে তার গা গুলিয়ে আসছিল। সে তার খাঁচার বাইরে তাকাল এবং দেখল, অত্যন্ত কুৎসিত দু'টি প্রাণী অদ্ভুদভাবে হেটে হেটে তার কাছে আসছে। শামীম প্রাণীদুটোর দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাল। সে দেখল, প্রাণীগুলোর যেখানে চোখ থাকার কথা, তা সেখানে নেই। চোখ ছিল ওদের হাঁটুতে। আর ওদের মাথা ছিল পেটের কাছে, মনে হচ্ছে যেন এই বুঝি মাথাটা ছিঁড়ে পড়ে যাবে। ওগুলোর গলা থেকে পেঁচানো একটি শূড় বের হয়ে আসছে, যেটা দিয়ে ওগুলো হালকা নীল রংগের তরল পদার্থ তাদের নিজের শরীরে ছিটিয়ে দিচ্ছে একটু পর পর। যাই হোক, শামীম দুর্গন্ধটা আরও বেশী অনুভব করল। আর ঠিক যখন প্রাণীগুলো তার খাঁচার পাশে এসে দাড়াল, তখনই শামীম বুঝল দুর্গন্ধটা আসলে কোথা থেকে আসছে। ভিনগ্রহী প্রাণীগুলোর শরীরের ওই থকথকে নীলাভ তরল থেকে এই গন্ধ বের হচ্ছে আর যাকিনা, কুকুর বা বিড়াল পঁচা গন্ধ থেকেও আরো ভায়াবহ! না, শামীম আর পারল না। "ওয়াককক" করে এক গাদা বমি করে ফেলল সে খাঁচার ভেতরে। আর তখনই বিচিত্র শব্দ করে প্রানীগুলো একটু দূরে সরে গেল।
বাবা, দেখলে প্রাণীটা কি করল ?
হ্যা, দেখলাম।
ওটা কি তার দেহের বর্জ্য পদার্থ এই মুহূর্তে বের করল?
না য়্যুসা, এটা তার বর্জ্য নির্গমনের পথ নয়। এটা দিয়ে সে কিছু শক্তি গ্রহণ করে।
কিন্তু, ও এটা কি করল বাবা ?
হয়ত, তোমার মত ওটাও আমাদের দেখে ঘেন্নায় বমি করে ফেলেছে! হা..হা...হা....!!
হুহ বাবা, কি যে বল না। আমরা হলাম এই ব্রম্মান্ডের সবচেয়ে সুন্দর এবং বুদ্ধিমান প্রানী। আমাদের ওপরে আর কোন প্রাণী এই ব্রম্মান্ডে জন্মায় নি।
য়্যুসা, তুমি নিশ্চয়ই জান, সৌন্দর্য জিনিসটা হচ্ছে আপেক্ষিক। আমাদের কাছে যেটা সুন্দর বা রুচিশীল তা হয়ত পৃথিবী নামক গ্রহের মানুষ নামের ওই প্রাণীটার কাছে কুৎসিত। অথবা, তুমি যে ওই প্রাণীটাকে কুৎসিত বললে, হয়তবা সে তার গ্রহের প্রাণীদের মধ্যে সুন্দর বলে বিবেচিত, তাই না ?
হতে পারে বাবা। তবে, ওগুলো যে এই ব্রম্মান্ডের সবচেয়ে কুৎসিত প্রাণী তা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি।
য়্যুসার বাবা ওর কথার কোন উত্তর না দিয়ে ওকে নিয়ে ধীরে ধীরে চলে যেতে লাগলেন। আর শামীম ওই বিদঘুটে পঁচা দুর্গন্ধ থেকে মুক্ত হতে পেরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল !!!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
মাহবুব আলম চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভাল্লাগসে ||
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
মাহবুব আলম চৌধুরী বলেছেন: লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে শুনে, আমার সত্যিই খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহহ্
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২
মাহবুব আলম চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
সাদনান সারওয়াত বলেছেন: কোথায় যেন পড়সি লেখাটা?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫২
মাহবুব আলম চৌধুরী বলেছেন: কন কি ভাই? তাইলে কি আমার লেখা কেউ চুরি করল যদি পারেন সোর্সটা দিয়েন।
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৫
জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: ভাল লাগা রইল++++
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
মাহবুব আলম চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭
মদন বলেছেন: +