নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্দোষ না দোষী ?

১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২



আপনাকে যদি বেছে নিতে বলা হয়, তাহলে কোন বিশ্বাস আঁকড়ে ধরবেন?
- নির্দোষ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত দোষী?
- দোষী প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ?

‘সামহোয়্যার অন দ্য আর্থ’ বা কোন এক অজ্ঞাত স্থানের ঘটনা দিয়ে, অনেক সময় মুভি শুরু হয়।
উপরের প্রশ্নের উত্তরের জন্যে, আমি কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরব, যেগুলো ‘সামহোয়্যার অন দ্য আর্থ’ এ ঘটেছে।
আসলে, ঘটনাস্থল ইচ্ছে করেই বলছি না। তবে, আলোচনার খাতিরে বলা যেতেই পারে যে, ঘটনাগুলো সত্যি নাও হতে পারে!!

ঘটনা – ১
সময় – ২০০৬ সাল
স্থান – সামহোয়্যার অন দ্য আর্থ
প্রথম বিশ্বের এক অতি ক্ষমতাধর দেশের এক স্পেশ্যাল ফোর্স স্থানীয় এক মিলিশিয়া বাহিনীর গোপন কম্পাউন্ডে আক্রমন করে। ঐ অঞ্চলে সংঘটিত ইতিপুর্বেকার, অন্য আর দশটা সামরিক অভিযানের মতই, এটি ছিল অত্যন্ত গতানুগতিক ও সাদামাটা একটি অভিযান।
মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যদের ট্রাকিং ডিভাইস দিয়ে ট্র্যাক করে, তাদের কম্পাউন্ডে ঢুকে ১৬ – ১৭ জনকে হত্যা করা হয় আর বন্দি করা হয় ১৭ জনকে। একটি গুপ্ত অস্ত্রভান্ডার খুঁজে বের করে সেটাও ধংস করা হয়। গুরুতর আহত একজন বন্দিকে উদ্ধার করে, সবাই ঐ কম্পাউন্ড থেকে নিজেদের বেস ক্যাম্পের দিকে রওয়ানা দেয়।

বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা ঐ জায়গা থেকে চলে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই মিলিশিয়া বাহিনীর পালিয়ে যাওয়া সদস্যরা ফিরে এসে ঘটনাস্থলকে পরিষ্কার করে এবং মৃত সহযোদ্ধাদের অস্ত্রগুলো সরিয়ে এমনভাবে ছবি তুলে ও ভিডিও করে; যা দেখে যে কেউ মনে করবে, কিছু নামাজরত মুসুল্লিকে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি তারা একটা প্রেস রিলিজও এই ছবিগুলোর সাথে আপলোড করে দেয়; যেখানে বলা হয় যে, মসজিদে ঢুকে নামাজরত মুসুল্লিদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।

এই ভিডিও এবং ছবিগুলো ইন্টারনেটের কল্যাণে সবার নজরে পড়ে।সন্দেহাতীতভাবে, আরবী এবং ইংরেজী সংবাদ মাধ্যমগুলো এটি লুফে নেয় এবং স্বাভাবিক ভাবেই অতি দ্রুত সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, এই সামরিক অভিযানে অংশ নেয়া সেনা সদস্যরা তাদের বেস ক্যাম্পে ফিরে বিস্তারিত রিপোর্ট করার আগেই ছবিগুলো ভাইরাল হয়ে যায়।

অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এই অতি সাধারণ এবং গতানুগতিক একটি সামরিক অভিযান দুনিয়ার তাবৎ সংবাদ মাধ্যমে স্থান করে নিতে যেমন বেশী সময় লাগে না। তেমনি, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে নিন্দা, মিছিল, কুশপুত্তলিকা দাহ করা, প্রতিবাদ ইত্যাদির সুনামি বয়ে যেতেও খুব একটা দেরী হয় না।

কপাল ভালো যে, ঐ অপারেশনে অংশ নেয়া স্পেশ্যাল ফোর্সের সদস্যদের হেলমেটে ক্যামেরা থাকায় এবং তাদের সাথে ‘ক্যামেরা ইউনিট’ থাকায় পুরো ঘটনার ভিডিও করা ছিল। এরপরও প্রায় তিন দিন ধরে তারা চেষ্টা চালায় শুধুমাত্র সত্য ঘটনাটুকু মিডিয়াতে তুলে ধরার জন্যে। আরো ভয়াবহ বিষয় হলো, এই ঘটনার ব্যাপারে খুব কম লোকই তাদের কথা বিশ্বাস করে, যা কিনা আসলেই সত্যি ছিল। এরই পাশাপাশি, প্রায় মাসব্যাপী এক তদন্ত চালানো হয়, যার পুরো সময়টা ঐ স্পেশ্যাল ফোর্সকে কোন সামরিক অভিযানে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ঘটনা – ২
সময় – ১৯৮৬ সাল।
স্থান – সামহোয়্যার অন দ্য আর্থ।
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সশস্ত্র আন্দোলন হতে দেশের অখন্ডতা রক্ষা আর তাদের ক্রমবর্ধমান নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড হতে নিরীহ জনসাধারণকে নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে সরকার সেনাবাহিনী মোতায়েনে বাধ্য হয়। এমনি এক এলাকায় সেনাদের ক্যাম্পের আশে পাশের এলাকায় সেনারা স্থানীয়দের জন্যে স্কুল নির্মাণ করে, মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্যে সেলাই মেশিন প্রদান করে, পুকুর করে মাছ চাষ করতে দেয়, ধর্মকর্ম করার জন্যে মন্দির তৈরি করে দেয়।

কিছুদিন পরে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সশস্ত্র দলের তরফ হতে গ্রাম প্রধানের কাছে নোটিশ এল যে, শরণার্থী হিসাবে তাদেরকে নিজের দেশ ছেড়ে পাশের দেশে চলে যেতে হবে; আদেশ না মানলে সবাইকে মেরে ফেলবে। কিন্তু গ্রামের কেউ যেতে রাজী নয়। তাই সেনারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করল।

সপ্তাহ খানেক পর, সেনাদের টহল দলকে এম্বুশ করল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সশস্ত্র দল। নিরীহ গ্রামবাসী মারা পড়তে পারে ভেবে, এম্বুশে পড়া টহল দলের নেতা তাদেরকে গ্রামের মাঝে গুলি চালাতে নিষেধ করে। পাশাপাশি, অন্য আরেকটি টহল দল নিয়ে সন্তর্পণে গ্রামের অন্যদিক দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছাকাছি চলে যায়। এরপর, শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে গুলী বিনিময়, মারা পরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ৩ সশস্ত্র সন্ত্রাসী।

যেহেতু পুরুষ ছাড়া শরণার্থী নিবে না বিচ্ছিন্নবাদিরা, তাই গ্রামের পুরুষদের রাতে ঘুমনোর ব্যবস্থা সেনা ক্যাম্পের পাশে করা হল। আর ক্যাম্প কমান্ডার আরো কিছু সেনা নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধাওয়া করতে গেলেন। তাদের নাগাল না পেয়ে ফিরে এলেন দিন কয়েক পরেই। ফিরে এসে দেখে, পুরো গ্রামে কোন মানুষ নেই, আর সব পুড়ে শেষ।

কয়েকদিন পরেই, মানবধিকার সংস্থার চিঠি এল । অভিযোগ, ক্যাম্পের সেনারা আগুন দিয়ে মন্দিরসহ পাড়ার সব বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, গুলি করে ৩-জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যাও করেছে।

সেনারা গ্রামে গেলে, যে বাচ্চাগুলো তাদের দেখলে ছুটে আসতো, যে মহিলারা তাদের ভাত রেধে খাইয়েছে, তাদের নাকি ঐ সেনারা হত্যা আর ধর্ষণ করেছে। নিজের হাতে গড়া স্কুল আর বাড়িঘরে নাকি এই সেনারাই আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।

এই সেনারা কোন বিশেষ বাহিনী নয়, এদের হেলমেটে কোন ক্যামেরাও ছিল না। তাই, এদের প্রমান করারও কোন উপায় নেই যে, তারা এমন জঘন্য কাজ করেনি। যারা সাক্ষী দিতে পারত, সেই মানুষগুলোতো ততদিনে শরণার্থী হয়ে অন্য দেশে!
উল্লেখ্য, প্রায় একই প্দ্ধতি অনুসরণ করে আনুমানিক লাখখানেক মানুষকে শরণার্থী করা সম্ভব হয়েছিল, ঐ অঞ্চলে।

ঘটনা – ৩
সময় – ২০১৮ সাল।
স্থান – সামহোয়্যার অন দ্য আর্থ।
সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অত্যাচার আর নিপীড়নে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাঁদার দাবীতে জলবেষ্টিত এই এলাকার সাথে যোগাযোগের একমাত্র উপায় নৌকা/লঞ্চ ইত্যাদি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বাইরের দুনিয়ার সাথে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। প্রায় মাস খানেক ধরে একমাত্র বাজারও বয়কটে বাধ্য করছে। এরই মধ্যে কয়েকটি হত্যাকান্ডও ঘটে গেছে।

এমনি এক পরিস্থিতিতে, স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের তরুন সেনা অফিসার কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। যার ফলো আপ হিসেবে, গোপন খবর আসে যে পাশের গ্রামে আরো কয়েকজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাত কাটাবে। তখন ঐ তরুন অফিসার এক টহল দল নিয়ে অভিযানে নেমে পড়ে। তবে, এবার আর কাউকে ধরতে পারে না।

অভিযান চলাকালীন সময়ে, টহল দলের এক সদস্য দুই দিকে বেড়াবিহীন এবং দরজায় কাপড়ের টুকরো দিয়ে আড়াল তৈরি করা হয়েছে – এমন এক ঘরে ঢুকে কয়েকজনকে কম্বল গায়ে শুয়ে থাকতে দেখে। এদের পরিচয় নিশ্চিত হতে, কম্বল তুলে চেহারা দেখতে গিয়ে একজনে কিশোরীর গায়ে হাত লাগে, তার। কিশোরী ভয়ে চিৎকার দেয়।

পাশের ঘরেই অনুসন্ধানরত তরুন অফিসার দৌড়ে এসে, দেখে এক কিশোরী দরজায় দাঁড়িয়ে কাঁদছে। বিস্তারিত অনুসন্ধান করে, উপস্থিত গ্রামবাসীর সামনেই নিশ্চিত হয় যে, গায়ে হাত দেয়া ছাড়া বেশী কিছু ঘটেনি। তবে, তার অনুমতি ছাড়াই, টহল দলের ঐ সদস্য অন্ধকারে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ঐ ঘরে ঢুকেছে বলে, সকলের সামনেই তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঐ গ্রাম ত্যাগ করে। নিজের ক্যাম্পে ফেরার পথে, গ্রাম প্রধানকে ডেকে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে দেয় নিজে থেকেই। উদ্দেশ্য সকলেই যাতে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে।

পরেরদিন, তার হেডকোয়ার্টার থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, কি ঘটেছিল ঐ রাতে। কারণ, স্থানীয় জেলা শহর হতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দাবি করছে যে, ঐ রাতে কিশোরী দুই বোনকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তাদের মা-বাবাকে অস্ত্রের মুখে ঘরের বাইরে আটকে রেখে।

ইতিমধ্যে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো অতিশয় ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ল, প্রতিবাদের ঝড়ের পর ঝড় বইতে লাগলো দেশজুড়ে, রাজধানীতে মশাল মিছিল, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অভিযোগ – লঙ্কা কান্ডের কিছুই বাকী থাকল না।
কয়েকদিনের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া গেল যে, মেয়ে দুজনের বাবা-মা ঐ রাতে গ্রামের বাইরে ছিলেন। গণধর্ষণের সুযোগ ছিল না, কারণ ঘরের ভিতরে মাত্র একজন প্রবেশ করেছিল। আর, ধর্ষণতো দুরের কথা, কোন ধরণের শারীরিক জোরজবরদস্তির চিহ্নও ঐ দু’বোনের বড় জনের শরীরে নেই। আর , ছোট বোনকে তো স্পর্শই করেনি কেউ, ঐ রাতে।

মানবাধিকার কমিশনের এক তদন্ত দল , ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন, ডাক্তারি রিপোর্ট দেখলেন এবং বুঝলেন যে ভুয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা এতটা উৎকন্ঠিতও সরব হয়েছিলেন। অবশ্য, সকলের উৎকণ্ঠা আর নিন্দামিশ্রিত প্রতিবাদ যতটা প্রচার পেয়েছে, উনাদের উদঘাটিত তথ্যাবলী আর ঐ তরুন অফিসারের টহল দলের নিরাপরাধ প্রমানিত হওয়া কিংবা কিছু লোকের ‘কান নিয়েছে চিলে’ বলে চিলের পিছনে দৌড়ানোর অভ্যাস ইত্যাদি অতটা প্রচার করার প্রয়োজন কেউ অনুভব করেনি।

মেয়ে দুজনকে মেডিক্যাল করানোর জন্যে হাঁসপাতালে না আনলে কিন্তু, ঐ তরুন অফিসার আর তার টহল দলের দায় মুক্তির কোন উপায় থাকত না! বরং তাদেরকে ব্যস্ত থাকতে হত নিজেদের নির্দোষ প্রমান করতে।

ঘটনা – ৪
সময় – ১৯৯৬ সাল।
স্থান – সামহোয়্যার অন দ্য আর্থ।
এবারও ঘটনার নায়ক এক তরুন সেনা অফিসার। যে কিনা ইতোমধ্যেই কয়েকটি সাফল্যজনক অভিযান চালিয়ে এলাকার সাধারণ জনগণের কাছে হিরো কিন্তু আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের এক নির্বাচনের আগের রাতে স্থানীয় এক প্রগতিশীল ও প্রতিবাদী নারী নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে।

অপহরনের ঘটনার বর্ণনা অনুযায়ী, ঐ নেত্রীসহ নেত্রীর দুই ভাইকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে, দুই ভাইকে গুলি করা করেছিল, রাত প্রায় ২ টার দিকে। অথচ, ঘটনাস্থলের প্রায় ৭৫ গজের মধ্যেই আরেক ঘরে থাকা অপহৃতার অন্য দুই ভাই সেই গুলীর শব্দ শুনতে পায়নি। এমন কি, প্রায় ৭০০-৮০০ গজ দূরে নির্বাচনী কর্তব্যে আগত প্রায় ৯০ জন মানুষ যাদের মধ্যে বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাও ছিলেন, তারাও শুনেনি। অপহৃতার ঘরে ব্যবহার্য কাপড়চোপড়, বইপত্র ইত্যাদি পাওয়া যায়নি, যেন অপহরণকারীরা তাকে দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রসহ অপহরণ করেছে।

এখানেই শেষ নয়, নিখোঁজ নেত্রী তার নিজের দলের প্রতিপক্ষ দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাচ্ছিলেন। একাধিক উদাহরণ আছে, যেখানে এমন বোকামির সাজা হিসেবে অন্তত অপহরণ বা মারধোর করা হয়েছে, অনেক ব্যক্তিকে; ঐ নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলাকালীন সময়েই ।
অপরদিকে,ঐ তরুন সেনা অফিসারের এই ঘটনায় জড়িত না থাকার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমান থাকে সত্ত্বেও শুধুমাত্র নিখোঁজ নেত্রীর ভাইয়ের মুখের কথার ভিত্তিতে তাকে দোষী দাবি করা বিচারের আওয়াজ তোলা হয়েছে। যদিও সম্ভাব্য অপহরণকারীর ব্যাপারে ঘটনার পর পরই দেয়া তার ভাইয়ের বক্তব্য, আর অন্য সময় দেয়া বক্তব্যে যেমন ভিন্নতা আছে; তেমনি নির্বাচনের ফলাফলের আগে ও পরে সম্ভাব্য অপহরণকারীর পরিচয় ভিন্ন ভিন্ন দেখা গেছে, ঐ নেত্রীর পার্টির প্রেস রিলিজে।

ঘটনার পড়ে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মতে, নিখোঁজ নেত্রী নিজ ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক অপহৃত হয়েছে বলে মতামত দেন। কিন্তু যেহেতু অপহরণ কারীকে চিহ্নিত করতে পারেনি, তাই কারো বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেনি। তদুপরি, প্রতি বছর ঐ তরুন সেনা অফিসারের বিচারের দাবীতে অনেক অনেক কার্যক্রম ও নানা ধরণের আয়োজন করা হয়।

নিরাপত্তা রক্ষার জন্যে যাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়, তারাই যদি অপরাধ করে , তাও আবার হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, অপহরণ ইত্যাদির মত জঘন্য অপরাধ; তাহলে কোন অজুহাত দেখানো বা সাফাই গাওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ থাকতে পারে বলে মনে হয় না।

ঘটনাগুলোর সংবেদনশীলতা এত বেশী আর ভিলেন এমনি এক চরিত্র যে, এগুলো খুব স্বাভাবিকভাবেই অতি আলোচিত।
সাধারণ বিবেকবান যে কোন মানুষই যেখানে এ ধরণের ঘটনার প্রতিবাদ করবেন, সেখানে যদি প্রতিবাদ নিশ্চিত করার জন্যে বিশেষ কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়, তাহলে প্রতিবাদের পারদের মাত্রা কোন উচ্চতায় উঠতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়।

আমাদের চারপাশে এমনি ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এমন অনেক ঘটনাতেই, উদোড় পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল, অন্যকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্যে অনেক ক্ষেত্রে নিজেই ঘটনা ঘটিয়ে কৃতকর্মের দোষ আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেয়ার নানাবিধ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, নির্দোষ প্রমান করার কোন উপায় না থাকলে, অভিযুক্তকে দোষী হিসেবেই বিবেচনা করা হয়েছে, প্রায় সকল ক্ষেত্রেই । শুধু তাই নয় বরং অভিযোগকে ভাইরাল করে, প্রতিবাদ আর বিচারের দাবীর সুনামি বইয়ে দেয়া হয়েছে।

এমন ঘটেই চলছে, এবং আরো চলতে থাকবে, হয়তবা।
তবে, আমি বা আপনি এক্ষেত্রে কোন বিশ্বাস লালন করছিঃ
- নির্দোষ প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত দোষী?
- দোষী প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ?

ইচ্ছে হলে, উত্তরটা আপনার নিজের কাছেই রেখে দিতে পারেন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

শহীদ আম্মার বলেছেন: দোষী প্রমাণ হওয়া পর্যন্ত নির্দোষী।

১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

মাহের ইসলাম বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

আমিও মনে করি, দোষী প্রমানিত না হওয়া পর্যন্ত একজনকে নির্দোষী হিসেবেই বিবেচনা করা উচিৎ।

ভালো থাকবেন।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অভিযুক্ত। প্রমাণিত হবার পর দোষী। এবং তার শাস্তি জরুরি।

১৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন:
শুধু একমত পোষণ করছি আপনার সাথে তাই নয়, বরং যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাতে চাই।

সময় নিয়ে পড়ার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নির্ঘুম সৈকত বলেছেন: দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত অবশ্যই সে নির্দোষী। মিডিয়া ট্রায়াল কখনোই শেষ কথা হতে পারে না। সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

মাহের ইসলাম বলেছেন:
“মিডিয়া ট্রায়াল কখনোই শেষ কথা হতে পারে না” – অনেক মুল্যবান একটা কথা বলেছেন।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এই যে, আমরা মিডিয়ার কথায় একজন কে দোষী বা নির্দোষী দেখতে শুরু করে দেই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পরের দুইটা ঘটনা আমি বুঝতে পেরেছি। এই দেশে চেতনা ব্যবসায়ীরা অপেক্ষায় থাকে এসব ঘটনার জন্য...

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ।
আমাদের দেশে এমন অনেক ঘটনা আছে, যেগুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা হয়।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে আমার খুব অস্বস্থি লাগছে।

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৪

মাহের ইসলাম বলেছেন:
রাজীব ভাই,
আপনি আমার একজন শ্রদ্ধেয় ব্লগার।
আমি অনেক শ্রদ্ধা এবং মুগ্ধতা নিয়ে আপনার লেখা এবং মন্তব্যগুলো পড়ি।

আপনার অস্বস্তির কথা শুনে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। আমি ক্ষমা প্রার্থী এবং লজ্জিত।
কিছুটা হলেও, আমিও এখন অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গেলাম – কি ভুল করেছি, সেই দুশ্চিন্তায়।

কাউকে অস্বস্তিতে ফেলা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।
আমার কাছে মনে হয়েছে, কিছু কিছু ঘটনা আমাদের চোখের সামনে যেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, সেগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও পরিবর্তিত ।
তাই, ঘটনা দেখা বা দেখানোর দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতায় কিরকম হতে পারে, সেটা উপলব্ধি করেই, আমি অন্যদের সামনে আমার চিন্তাভাবনাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: দোষী এর বিপরীত শব্দ নির্দোষ!!:)


মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্ররঃ
ধারা ১১, দন্ডযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের নিশ্চিত অধিকারসম্বলিত একটি প্রকাশ্য আদালতে আ‌ইনানুসারে দোষী প্রমাণিত না হ‌ওয়া পর্যন্ত নির্দোষ গণ্য হ‌ওয়ার অধিকার থাকবে।




বিষয়টা কি ক্লিয়ার??;)

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আমি শুধরে নিলাম, নিজেকে ।
আমার কাছে এখন বিষয়টা পুরোপুরি ক্লিয়ার।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ধারা ১০

নিজের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ এবং নিজের বিরুদ্ধে আনীত ফৌজদারি অভিযোগ নিরূপণের জন্য প্রত্যেকের‌ই পূর্ণ সমতার ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ বিচার-আদালতে প্রকাশ্য শুনানি লাভের অধিকার রয়েছে।


পুনশ্চঃ আরেকটি কথা মনে পড়লো
ক্রসফায়ার যে অবৈধ সেটা প্রমান(সংবিধান সহ) করতে ১০মিনিট সময়ও লাগবে না!;)

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


মিডিয়া ট্রায়াল বা সোশাল মিডিয়া ট্রায়াল।

অসভ্য ও ধার্মিক দেশগুলোতে জেনেশুনে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ, ফটোশপ প্রচারকারী ও শেয়ারকারিদের কোন শাস্তি হয়না।

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

মাহের ইসলাম বলেছেন:
সময় নিয়ে পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্যের সাথে আরেকটু যোগ করতে চাই।
অনেক সময়, উন্নত দেশেও মিডিয়ার এমন কারসাজি চলে।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেনা অভিযান সব সময়েই একটি স্পর্শকাতর এবং বিতর্কিত একটি বিষয়। তার পেছনে যৌক্তিক কারনও রয়েছে। তাই সভ্য দেশগুলো পুলিশ বাহিনী দিয়ে আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন করে। সেনা অভিযান সবসময়েই অনাকাংখিত। আমার নিজের অবস্থানও সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে। সেনা অভিযানের মত পরিস্থিতি তৈরী হবার পেছনে সরকারের ভ্রান্ত নীতিই সাধারনভাবে দায়ী থাকে।

হ্যা, সেনা অভিযান যদি করতেই হয় তবে সমস্ত বিষয় ভেবে চিন্তে করতে হবে। তাদেরকেই প্রমান করতে হবে সেনা অভিযানে মানবাধিকার লংঘিত হয় নি।

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫১

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমিও মনে করি, পুলিশ বাহিনী দিয়েই আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা উচিৎ এবং সেনা অভিযান কারো কাংখিত হতে পারে না।
মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ উঠলে, অবশ্যই সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হয়ে পড়বে প্রমান করা যে, মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি।

এর পাশাপাশি, সমাজের অন্যান্য অংশ, যেমন মানবাধিকার কর্মী, মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক দল যারা মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে সরব – তারা কি সকল ঘটনায় একই রকম সরব হবে না ?

প্রায়ই দেখা যায়, তাদের আওয়াজ ঘটনার গভীরতার পরিবর্তে , ঘটনার পাত্রপাত্রীর উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
এমনকি, প্রায় অনুরূপ ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। আবার অনেক সিরিয়াস ঘটনার তুলনামূলকভাবে হালকা প্রতিক্রিয়া যেমন দেখা যায়, তেমনি অনেক হালকা ঘটনার তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত সিরিয়াস প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়।

এও নিশ্চয়ই কাম্য নয় ?

১০| ১৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৩:৩২

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি কোন ঘটনাগুলো ইঙ্গিত করা হয়েছে। বিশ্বাস করুন সেই সময় মিডিয়াতে এত অভিযোগ তোলা হলেও ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমি খুব কনফিউজড হতাম। সবাই দোষী ভাবলেও যুক্তিতে ঠিক মিলতো না আমার। অবশ্যই দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগে শুধুমাত্র অভিযুক্ত, দোষী নয়। আবার এমনও কিন্তু আছে, নিশ্চিতভাবেই দোষী কিন্তু কোনভাবেই আইনি প্রমাণ করা যাচ্ছে না। যাইহোক সুন্দর এবং ভালো একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

মাহের ইসলাম বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনি একা নন, আমি এবং আরো অনেকেই কনফিউজড হয়েছি এর আগেও।

আমি আপনার সাথে একমত যে, অনেক সময় নিশ্চিত দোষীকেও আইনিভাবে প্রমান করার উপায় থাকে না।

১১| ১৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৬:১৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল মাহের ভাই। লেখাটা অত্যন্ত সাবলীল । ১, ২ নম্বর প্রমান ভিত্তিক হওয়ায় বিষয়টা পরিষ্কার হল। বাকি বিষয়গুলিও দেখলাম। আসলে নিরাপত্তা রক্ষীরা এমন কাজজে করেনা তা নয়, আর এই ধারনা থেকে জনমানষে এমন প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়। আর নির্দোষী বা দোষী ব্যাপারে মন্ডল ভায়ের কমেন্ট দুটি পড়ে বিষয়টাও জানা হল। সকলকে ধন্যবাদ।

শুভ কামনা জানবেন।

১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভ সকাল।

ঠিকই বলেছেন যে, নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা এমন কাজ কখনো কখনো হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে, তাদের বিচার এড়ানোর মানসিকতা থাকতে পারে – এমন সন্দেহ আমাদের মনে যে উকি দেয় নাই, তা কিন্তু নয়।

আমি মনে করি, সেই সকল ক্ষেত্রে অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

এর পাশাপাশি, আমি বলতে চাই যে, মিডিয়াতে যেভাবে ঘটনাগুলো অনেক সময় উপস্থাপন করা হয়েছে, বা কিছু লোক যেভাবে অভিযোগের আওয়াজ তুলেছেন - অনেক ক্ষেত্রেই ঘটনা সেরকম তো দুরের কথা, ধারে কাছেও ছিল না।

তাই, প্রকৃত সত্য তুলে ধরা উচিৎ।
আর, অভিযুক্ত মানেই দোষী – এমন ধারনা পোষণ করে উচ্চকিত হওয়ার আগে আমাদের নিজেদের কিছুটা হলেও বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।

১২| ১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দোষী --- মুসলমান, ম্যাংগো পিপল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি প্রতিপক্ষ পাহাড়ি দেশদ্রোহী ,চুশীল, সরকার দলীয় বা পাঁঠা হয় !

দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ ----পশ্চিমা ঠাকুর সম্প্রদায় , পাঁঠা সম্প্রদায়, চুশীল, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি প্রতিপক্ষ ম্যাংগো পিপল, মুসলমান বা বিরোধী দলীয় হয় !

১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০০

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভ সকাল।

আপনি যে উদাহরণ দিয়েছেন, আমি বলার মত আর কিছু খুঁজে পাচ্ছি না।

বাস্তবে, মিডিয়াতে অনেক ক্ষেত্রেই এমন হয়েছে।
যা দেখে, আমরা যারা সাধারণ মানুষ, প্রকৃত সত্যের জন্যে যাদের দৌড় সংবাদপত্র বা সোশ্যাল মিডিয়া, তারা হয় কনফিউজড থাকি আর না হয়, উল্টো বুঝে নির্দোষ ব্যক্তিকে দোষী ভেবে ঘৃণা করতে শুরু করি, এমনকি পারলে রাস্তায় ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে গলা ফাটাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.