নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসহায়ত্ব

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩৩



আগের কাহিনি জানতে কৌতুহল

মেয়েটি নিশ্চুপ।
আগ্রহের চেয়ে বেশি অস্বস্তি নিয়ে তার দিকে তাকালাম।
তাকিয়ে আছে সামনে, দেয়ালের দিকে।
দৃষ্টিতে নির্লিপ্ততা। চেহারায় ফুটে উঠেছে অসহায়ত্ব।
দেখে নিজের মধ্যে অপরাধবোধ জেগে উঠেলো।
হঠাৎ করেই নিজেকে বাংলা সিনেমার ভিলেনের ভুমিকায় আবিস্কার করে, নিজের কাছেই লজ্জিতবোধ করছি।

আলাপচারিতায় সঞ্চালকের ভূমিকা লোকটি নিজ উদ্যোগে নিয়ে নিয়েছে।
মেয়েটিকে ইংরেজিতে জানতে চাইল, আমাকে পছন্দ হয়েছে কিনা?
মেয়েটি চকিতে তাকালো, আমার দিকে।
তারপর, মাথা ঝাকিয়ে সায় জানালো। মুখে জোর করে আনা স্মিত হাঁসি।
সাফল্যের হাঁসি মুখে এনে, লোকটি এবার আমার কাছে জানতে চাইল, যেহেতু সে আমাকে পছন্দ করেছে, আমি তাকে কোনো ড্রিংক্স অফার করতে চাই কিনা?
অনিচ্ছা সত্ত্বেও, ওয়েট্রেসকে ইশারা করে মেয়েটিকে আমার মতোই আরেকটা ড্রিংক্স দিতে বললাম।
মনে মনে গালি দিলাম, লোকটাকে। আমার পয়সা খসানোর জন্যে।
অন্যদিকে, মেয়েটিকে ড্রিংস অফার করতে পেরেছি ভেবে একটু স্বস্তিবোধ করলাম। কে জানে সর্বশেষ কখন, কী খেয়েছে?

পরিস্থিতির পরিবর্তনে ততক্ষণে ভয় পেতে শুরু করেছি।
মনের মধ্যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
শুধু একটা অপরিচিত লোক এসে টেবিলে বসেছিল।
তখন মনে ভয় ছিল না। ছিল অস্বস্তি আর বিরক্তি।
এখন একই টেবিলে পাশের চেয়ারে এক কিশোরী বসে আছে, আমার সম্মতির অপেক্ষায়।
এদের আসল মতলব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা নেই।
আমাকে কোন বিপদে ফেলবে কে জানে?
এই বিদেশ বিভূঁইয়ে আমার কিছু হলে, কেউ তো জানতেও পারবে না!
বরং সবুজ পাসপোর্ট আর তরুণ বয়স বিবেচনায় ধরেই নিবে, আমি দালালের খপ্পড়ে পড়েছিলাম। পরে বনিবনা না হওয়ায় বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়েছে। অন্যদিকে, আমার বাবা-মা আজীবন আমার ফেরার অপেক্ষায় থাকবে। না জেনেই, কী ঘটেছে আমার ভাগ্যে?

ঈশ! কোন দুঃখে যে বলতে গিয়েছিলাম, আমি একা বেড়াতে এসেছি?
বিদেশে একা ট্রাভেল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। এমন অনেক খবর মাঝে মাঝেই পেপারে আসে।
অনেক দেশেই মেয়েদের মাধ্যমে ট্রাপে ফেলে, পরে পুলিশের সহযোগিতায় ট্যুরিস্টদের ফাঁসানোর কাহিনীও হরহামেশা শোনা যায়। এমনকি, ড্রাগ কেইসে ফাঁসানোর উদাহরণও আছে। বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপের দেশেই এমন ঘটনা বেশি ঘটে। এই দেশের পুলিশের দুর্নীতির যে কাহিনি শুনেছি, এরা নির্দ্বিধায় আমাকে এক ভাগ্যান্বেষী হতভাগ্য তরুণ হিসেবে ফাঁসিয়ে দিতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা, মুসলিম সমাজে বেড়ে উঠা, ধর্মীয় বিধি-নিষেধ, বাবা-মায়ের আদর্শ আর ব্যক্তিগত নীতিবোধ মিলিয়ে এ ধরনের কোন কিছুতে জড়াতে ঘোর আপত্তি আছে। এখন যে কোনো উপায়ে এই বিপদ থেকে বাঁচতে হবে।

চিন্তা করেও কূলকিনারা বের করতে পারছি না।
শত চেষ্টার পরেও চোখে মুখ থেকে অস্বস্তি আর ভয়ের ছাপ সরছে না।
বিপদে পড়লে মানুষের বুদ্ধি সুদ্ধি লোপ পায়। আমি বোকার মতো ভয় দেখাই,
-“পুলিশ যদি ঝামেলা করে?”

পাকা খেলোয়াড়ের মতোই লোকটি এমন সহজ শিকার চিনতে ভুল করেনি।
প্রশ্ন শুনে তার ধারনা আরো শক্ত হয়।
এখন সে পুরোপুরি নিশ্চিত। আমি শুধু আনাড়িই নই। বরং চরম বেকুব কিছিমের এক চিড়িয়া।
সে অভয় দেয়,
-“ তুমি পুলিশ নিয়ে দুশ্চিন্তা কোরো না। আমার হাতে ছেড়ে দিতে পারো। একটা নোট হাতে দিলেই সে তোমাকে কিছু বলবে না। “

খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টায় শেষ অবলম্বন হিসেবে সতর্ক করি,
-“হোটেলের রিসেপসনিস্ট নিষেধ করেছে। বাইরের কাউকে রুমে নেয়া যাবে না।“

সে নিজেই উপায় বাতলে দিলো,
- “রিসেপসনিস্টের জন্যে কিছু চকোলেট নিয়ে যেয়ো। বাকিটা আমি দেখবো।“

ঠান্ডার মধ্যেও ঘামতে শুরু করেছি।
ধরা যে ইতোমধ্যে খেয়েছি, সেটা বুঝতে পেরেছি।
তবে কিছুটা, না পুরোটা? সেটা এখনো ঠাহর করতে পারছি না।
নিজেকেই ধিক্কার দিচ্ছি, মনে মনে।
হোটেলে বসে একা একা টিভি দেখলেই বরং নিরাপদ ছিল।
মনে মনে মুরুব্বিকেও গালি দিলাম। আজ মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি, সুযোগ থাকলেই কিংবা নির্দোষ মনে হলেও সব কিছু দেখার প্রয়োজন নেই।

চরম অসহায়ত্বের এর চেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে না।
জেনে-বুঝে ফাঁদে পা দিতে হচ্ছে।
বিপদ চোখের সামনে দেখেও এড়াতে পারছি না। কী করবো এখন?
কি বললে এরা আমাকে ছেড়ে যাবে?
মাথায় কিছুই আসছে না।

আমাকে চুপচাপ দেখে, সে নিজেই আবার বলে উঠলো, তুমি যা যা বলবে, এই মেয়ে সব করতে পারবে।
বলেই মেয়েটির দিকে তাকিয়ে, জিজ্ঞেস করল।
- “ কি? পারবে না?”
নির্লিপ্ত ভঙ্গীতে মেয়েটি মাথা ঝাকালো।
সম্মতি নাকি অসম্মতি? খেয়াল করার মতো মানসিকতা অনেক আগেই গায়েব হয়ে গেছে।
মোমের পুতুলের মতো কোমল এক চেহারা দেখে এতো ভয় পাওয়া সম্ভব? এই পরিস্থিতিতে না পরলে জীবনেও বিশ্বাস করতাম না।

দুজনেরই ড্রিংক্স শেষ।
খালি বোতল টেবিলের উপরে।
ওয়েট্রেস এসে জানতে চাইল, আরো কিছু চাই কিনা?
আমি কিছু না বলে, মাথা ঝাকিয়ে নিষেধ করলাম।

শিকার যে জালে আটকে গেছে, লোকটি বুঝে ফেলেছে।
বেহুদা সময় নষ্ট করতে চাইলো না। বললো,
- “ অবশ্যই রাত দশটার মধ্যে ছেড়ে দিও। সে স্টুডেন্ট। দেরী করে বাসায় ফিরলে সমস্যা হবে।“

পাকা শিকারি।
কিছু বলার সুযোগ দিয়ে বোকামি করতে চায় না।
আমার প্রত্যুত্তরের অপেক্ষায় না থেকে, হোটেলে যাওয়ার আগেই ক্যাশ পেমেন্ট করতে বলল।
আশ্বস্ত করে বলল, ডলার দিলেও চলবে।

টাকার কথা শুনেই, বিদ্যুৎ চমকের মতো, মাথায় বুদ্ধিটা এলো।
তাই তো!
টাকা!
টাকাই এখানে সব কিছুর মূল নিয়ামক!

ছবি- গুগল

শেষ পর্ব সব ভালো যার শেষ ভালো


মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:১৫

বলেছেন: এ পৃথিবী টাকার গোলাম --- আবার টাকায় নিয়ে আসে অপমান।।
ইউ,টসে ফাইনান্সার, অস্টিন কারাগারে মৃত্যু বরণ করেছে যেন আসলে নারী বাজি করতো, টাকা তার কাছে কোন সমস্যা ছিলো না কিন্তু শেষরক্ষা হলো না।।


দারুণ মেসেজ দিয়েছেন +++

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: খাটি কথা বলেছেন।
টকার ক্ষমতা অসাধারণ।

তবে, মানুষের ভালোবাসা এবং ব্যক্তিগত চিন্তধারার ভূমিকা কিন্তু মোটেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্তত আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:০৬

আনমোনা বলেছেন: শুরু করলেন মেয়েটির অসহায়ত্ব দেখিয়ে, শেষ নিজের অসহায়ত্বে। আমাদের এ অবস্থায় বেশিদিন রাখবেননা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫০

মাহের ইসলাম বলেছেন: অবশ্যই বেশি দিন রাখবো না।
অশেষ শ্রদ্ধ্বা না জানিয়ে পারছি না, এমন সুন্দর করে এতো অল্প কথায় পুরো ব্যাপারটিকে প্রকাশের জন্যে।

অসংখ্য ধন্যবাদ,
শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পের পট দারুণ। উপস্থাপন ও বেশ সহজসরল, সুন্দর।
ঈদের শুভেচ্ছা।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা, জুনায়েদ ভাই।
ভালো লাগলো আপনার কথা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: গল্পটা সুন্দর ।
ভালো লেগেছে ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
যদিও আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি এখানে ঘটনা বেশিদুর এগিয়ে নিতে পারিনি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: এলিট শ্রেনীর কাছে সাধারন মানুষ অসহায়।
এই এলিট শ্রেনী অসৎ উপায়ে এলিট হয়। দুদক তাদের ধরে না। এই এলিট শ্রেনীরাই দুদকদের পালে।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: কয়েকবার চেষ্টা করেও কিছুই বুঝতে পারলাম না।
মানে, আমার পোস্টের সাথে এই মন্তব্যের সম্পর্ক আর কি।

ভালো থাকবেন।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনুপ্রাণিত করার জন্যে ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "মোমের পুতুলের মতো কোমল এক চেহারা দেখে এত ভয় পাওয়া সম্ভব?- গল্পে এক অতিব কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। বিদেশ- বিভুঁইয়ে একা একা ভ্রমণ করা যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ ; যেখানে পদে পদে লোভ লালসার ট্রাপে পড়ার প্রবল হাতছানি তা অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। গল্পে পঞ্চম লাইক।

গল্পের পরবর্তী পরিস্থিতির জানার প্রবল আগ্রহে রইলাম।
বেশ কিছু টাইপো চোখে পড়লো।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: খুশী হলাম যথারীতি, আপনাকে দেখে।
মন্তব্যে অবশ্যই অনুপ্রাণিতবোধ করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কিছু মনে না করলে, 'টাইপো' শব্দটি বুঝিনি?

ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুন বলেছেন: এই পর্বে তো আপনি আরো সাসপেন্সের মাঝে ফেলে দিলেন মাহের ইসলাম । তবে আপনি যে শেষ পর্যন্ত তাদের ফাঁদে পরেন নি সে ব্যাপারে ১০০% শিওর =p~
যাইহোক তারপর কাহিনিটি কি ভাবে এগিয়ে নিবেন তা জানার জন্য সাথে রইলাম ।
গল্পের মাঝে হ্যারল্ড রবিন্স আর এলিয়েস্টার ম্যাকলারেন এর গন্ধ পাচ্ছি ।
চলুক আপনার গল্প :)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২০

মাহের ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। অনুপ্রাণিতবোধ করছি।

আসলেই তাদের ফাঁদে পড়িনি।
তবে, অন্য এক বিপদে পড়েছিলাম, যা আসছে একেবারে শেষে, ইনশা'আল্লাহ।

তবে দুইজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বলে আমাকে যে কি লজ্জায় ফেলেছেন, বলে বুঝাতে পারবো না। পারলে এই চার তলার উপর থেকে পুরো বিল্ডিংসহ মাটির নিচে চলে যাই।

লেখার সাথে আছেন জেনে কৃতজ্ঞ বোধ করছি।
আপনাদের মতো শ্রদ্ধ্বেয় ব্লগারদের ছোট খাট উৎসাহ আমাদের জন্যে পরম অনুপ্রেরণার উৎস।

আপনার ভ্রমণ কাহিনিগুলো আমি ঈর্ষা নিয়ে পড়ি।
সুন্দর সুন্দর বেড়ানোর জায়গা ছাড়াও, সহজ করে সব বর্ণনা করতে পারার এই দুর্লভ গুনের জন্যে ঈর্ষাতে দোষ দেখি না।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মাহমুদুর রহমান জাওয়াদ বলেছেন: আমরা টাকা খরচ করি টাকা পাওয়ার জন্যই।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: ব্লগে ঘুরের যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

তবে সবাই কিন্তু টাকা পাওয়ার জন্যেই খরচ করে না।
আমি বিশ্বাস করি, আপনি জীবনে অনেক খরচ করেছেন। যেখানে টাকা পাওয়ার কোন আকাঙ্ক্ষা ছিল না।

শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

১০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আবার হিন্দি সিরিয়ালের মতো লম্বা করছেন তৈরি করছেন সাসপেন্স আর দিচ্ছেন টেনশন !!! আগামীতে শেষ করুন তারপর নতুন গল্প লিখুন, নয়তো পরে আর সমালোচনা করবো না। “খুব ভালো লেগেছ“ লিখে চলে যাবো। আপনার মাথায় কম করে হলেও ৫০ টি গল্প আছে এক গল্প লিখতে গিয়ে হিন্দি সিরিয়াল করে দিবেন??? আমি ব্লগ পড়তে বসে খেজুর খাই, খেজুরের টাকা দিবেন। এটা মাফ নাই।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, এটা লিখতে লিখতে আরো বড় লিখেছিলাম।
পরে, এডিট করার সময় আপনার সাজেশন মাথায় রেখে, কাটাকুটি করেছি।
এর পরেরটা আরও ছোট করতে পারবো, আশা করছি।

অনেক অনেক খুশী হয়েছি, সরাসরি বলার জন্যে। না বললে, আমার মতো নবীন লেখকদের লেখা কোনোদিনও ভালো হবে না। একই যায়গায় দৌড়াতে থাকবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
শুভ কামনা রইল।

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮

জুন বলেছেন: স্যরি দ্বিতীয় লেখকের নাম হবে এলিয়েস্টার ম্যাকলিন্স। ফরমুলা ওয়ান ড্রাইভিং দেখতে দেখতে মাথায় ম্যাকলারেন মার্সিডিজ নামটাই ঘুরছে মাহের ইসলাম :`>

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২

মাহের ইসলাম বলেছেন: স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, আমি আপনার দ্বিতীয় জনকে প্রথমে চিনতে পারি নাই।

পরে গেলাম গুগল মামার কাছে।
তিনি অনেক জনের কথাই আমাকে জানালেন।
সেখান থেকে একজন লেখক খুঁজে বের করে, আমি তাজ্জব বনে গেলাম।
এলিয়েস্টার ম্যাকলারেন এর প্রোফাইল দেখে বুঝলাম। আমি যাকে খুঁজছি, ইনি তিনি নন।
পরে, গুগল মামাকে বললাম, লেখক এলিয়েস্টার ম্যাকলারেন এর খোঁজ দিতে। তখন উনি আমাকে একজনের খোঁজ দিলেন যাকে তেমন চিনি না।
ভাবলাম, তাতে কি? জীবনে আর কয়টা বই পড়েছি, যে সবাইকে চিনতে পারবো?

যাকগে, আপনি পুনরায় এসে ছোট এক মন্তব্যের মাধ্যমে মানুষের অতি বড় এবং দুর্লভ একটা গুণের পরিচয় দিয়ে গেলেন। যার জন্য সম্মানিত বোধ করছি।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভ কামনা রইল।

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই সিরিয়াল আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। ভালো লাগছে পড়তে।

তবে জানতে ইচ্ছে করছে, এটা গল্প নাকি সত্য ঘটনা? বিষয়টা জানলে মন্তব্য করতে সুবিধা হয়। অনুমানে মন্তব্য করে ঠিক জুইত পাই না। :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে পাঠকের কাতারে দেখে খুব খুশী হয়েছি।
ভালো লাগলো।

গল্পটা পুরোপুরি গল্প নয়। সত্যি ঘটনা। ঘটনার পাত্র-পাত্রির নাম সঙ্গত কারণেই বদলে দেয়া হয়েছে।
আশা করি, আপনি হয়ত আপনার ঐ সমস্ত এলাকা ভ্রমণের আলোকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সত্যি ঘটনা হলেও পাত্র-পাত্রির নাম বদলে দেয়াই যুক্তিসঙ্গত। ঠিকই করেছেন। :)

তবে, নায়কের বোকামী দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। একা একা বেড়াতে গিয়ে কেউ এ'কাজ করে? তাও পূর্ব ইউরোপের একটা দেশে!!!

যাক গে, দেখি.....গল্প কোন দিকে এগোয়। সত্যি ঘটনা, তাই এখন আরো ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বলতে গেলে, আল্লাহ্‌ বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

নাহলে, কি ঘটতো, অনুমান করা সত্যি সত্যি কঠিন কাজ।
তবে, হ্যাঁ। একা একা বেড়াতে যাওয়া এবং তারপরে এই রকম দালালের কবলে পড়াটা চূড়ান্ত বোকামি হয়েছে, নিঃসন্দেহে।

পাঠকের কাতারে আছেন দেখে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
শুভ কামনা এবং কৃতজ্ঞতা রইল।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: শেষ পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিতবোধ করছি।

শেষ পর্ব আপলোড করেছি। সময় পেলে দেখে নিতে পারেন।

শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: বিদেশে আমি যতবারেই একা এসেছি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। একা কোথাও যাওয়া বা একা হোটেলে খেতে যাওয়া থেকে বিরত থেকেছি। একবারেই সুইজারল্যান্ডে ঘুরেছি বাট অগ্রীম সিটি ট্যুরের অনলাইন টিকেট কনফার্ম করেই বেরিয়েছিলাম।

ভালো লাগলো এবারের পর্বও। আসলে তরুন বয়সে এডভানসারাস (সরি,বানান ভুল) হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ ধরনের কৈাতুহল কোনভাবেই উচিত নয়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫১

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন।
তবে, সত্যিটা হলো , জীবনের মতো শিক্ষা হয়েছে।
আল্লাহ্‌ কোনোমতে বাঁচিয়ে দিয়েছেন।

সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ, জানতাম। তবে, ঘটনাপ্রবাহে আটকে গেছিলাম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাল লিখেছেন। সুন্দর করে গল্পটি করে গেছেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনুপ্রাণিত করার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.