নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সব ভালো যার শেষ ভালো

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

ছবি-পেলেস ক্যাসল, সিনাইয়া, রুমানিয়া। @ গুগল।

আগের কাহিনি জানতে অসহায়ত্ব

আমার টাকার অংক শুনে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছে না।
হতবাক হয়ে গেছে।
অবিশ্বাসের ভঙ্গীতে মাথা ঝাকিয়ে আবার জানতে চাইল।
এই প্রথম তাকে বিস্মিত হতে দেখে আমার আত্নবিশ্বাস ফিরতে শুরু করেছে।

টাকার অংকটা আবার বললাম। আত্নবিশ্বাসের সাথে।
সে যা দাবি করেছিল, তার চেয়ে অস্বাভাবিকরকমের কম।
সে এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না।
কিছুক্ষণ বুঝানোর চেষ্টা করলো।
পুলিশ, হোটেলের স্টাফ, মেয়েদের মেইন্টেইন করা, বারের খরচা, লোকাল মাফিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
যার অনেক কিছুই যে সে আমাকে বলার কথা নয়, তাও জানাতে ভুললো না।

ততক্ষণে যা বোঝার, আমি বুঝে গেছি।
বঙ্গবাজারের দামাদামির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে, তাকে বিস্মিত রেখেই উঠে দাড়ালাম।
হাটতে শুরু করেছি দরজার দিকে। পিছন থেকে কি যেন বলছে?
না শোনার ভান করে, একবারের জন্যেও পিছনে তাকালাম না। দ্রুত বেরিয়ে এলাম।
প্রায় দৌড়ে হোটেলে ফিরেছি। রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করা পর্যন্ত ভয় পাচ্ছিলাম। এই বুঝি পিছন থেকে তারা দৌড়ে এসে আমাকে ধরে ফেলে! এমনকি রুমের মধ্যেও কয়েকবার মনে হলো, যদি হোটলেই চলে আসে?

পরের দিন, আড়াই ঘন্টার ট্রেন জার্নি শেষে পৌঁছলাম সিনাইয়া স্টেশনে।
মধ্যযুগীয় বিল্ডিং এর বিশাল হল্রুমের ভিতরটা এক নজর ভালভাবে দেখতে দাড়াতেই হলো। ফিরতি যাত্রার টিকেট নিয়ে বাইরে পা ফেলতেই ঝকঝকে রোদের মিষ্টি উষ্ণতার ছোঁয়া পেলাম। পোস্ট কার্ডের ছবির মতো একটা জায়গা। স্টেশনের পিছনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পর্বতমালা। সাধারণ দৃষ্টি সীমা ঘন বনের সবুজ গাছগাছালিতে আটকে যায়। মুখ তুলে তাকালেই কেবল পর্বতচুড়া দেখা সম্ভব। সবুজ চুড়ার মাঝে অল্প বিস্তর সাদা বরফের উপস্থিতি সৌন্দর্যে আলাদা অলংকার যোগ করেছে। চারদিকে এক নজর তাকিয়েই মনটা ভালো হয়ে গেল।

সিনাইয়ার মূল আকর্ষণ ‘পেলেস ক্যাসল’ (PELEȘ CASTLE)।
প্রথম দেখায় মনে হলো, সিনড্রেলা, রাপুনজেল, বা লিটল ব্রায়ার-রোজদের কেউ এখানে থাকে।
বার বার মনে হচ্ছিল, রুপকথার বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে পুরো একটা ক্যাসলকে তুলে এনে কার্পাথিয়ান পর্বতমালায় বসিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকের কাছেই পেলেস ক্যাসল হলো ইউরোপের অন্যতম অত্যাশ্চর্য দুর্গ। নতুন-রেনেসাঁর স্থাপত্যের একটি মাস্টারপিস। ১৮৮৩ সালে চালু হওয়ার পর থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এটা রাজ পরিবারের সামার রেসিডেন্স হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে।

সিনাইয়া থেকেই ব্রাশোভ ঘুরে এলাম।
ব্রাশোভও স্কি রিসোর্টের জন্য বিখ্যাত। ঝকঝকে শহর, রঙ্গিন দালানকোঠা আর খোলা রেস্তোরায় ছাতার নিচে বসে সুস্বাদু লাঞ্চ উপভোগ্য ছিল। এটি বেশ জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা। কিছু প্রাচীন টাওয়ার, চার্চ এবং মূলত গ্রীষ্মের রঙিন পোশাকের ট্যুরিস্ট দেখতে দেখতেই একটা ব্যস্ত দিন কেটে গেল।

কয়েকদিন পরেই ফিরলাম বুখারেস্টে।
স্টেশনের কাছেই বাস স্টপেজ, রাস্তার উল্টোপাশে।
স্টপেজ যাত্রী অল্প।
আমি অপেক্ষায় আছি, আমার সিরিয়ালের বাসের জন্যে।
ষ্টেশন থেকে সরাসরি এয়ারপোর্টে যায়। কিছুক্ষনের আগেই একটা গেছে।
পরেরটার জন্যে অপেক্ষা ছাড়া এখন আর কোন উপায় নেই।

একটা চৌদ্দ-পনের বছর বয়সী ছেলে নজরে পড়ল।
কিছুটা দূরে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছে। সম্ভবত রুমানিয়ার নয়।
গায়ের রং ফর্সা হলেও রুমানিয়ানদের মতো সাদা নয়। বরং কিছুটা ময়লা হয়ে যাওয়া ফর্সা। পোশাক আশাকে দৈন্যতার ছাপ সুস্পষ্ট।
সে অনেকক্ষণ ধরে আমাকে দেখছে।
বুঝতে দিতে না চাইলেও, আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া দেখালাম না।
বেশ কিছুক্ষণ পরে, আমার কাছে এসে ভাঙ্গা ইংরেজিতে জানতে চাইলো,
- “ তুমি কি মুসলমান?“
- “ হ্যাঁ, কেন?” অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লাম।
- “আমিও মুসলমান। সব মুসলমান ভাই ভাই।“ বলে হাত বাড়িয়ে আমার হাত ধরে ফেলল। অনেকটা মুসাফাহা করার মতো। ইংরেজি এখনো ভাঙ্গা ভাঙ্গা।
- “তোমার কাছে ডলার আছে?” কিছুটা ইতস্তত করেই জানতে চাইল।
- “আছে।“ এক কথায় উত্তর দেই।
কথা বাড়াতে চাই না।
তার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়ে গেছে আমার কাছে। টাকা চাইবে। এরকম সাহায্য প্রার্থী আগেও দেখেছি।
- “ ব্রাদার, আমার কাছে একটা ডলারের নোট আছে। কিন্তু এটা আসল না নকল বুঝতে পারছি না। তুমি কি একটু দেখবে?”
তাজ্জব ব্যাপার!
এমন অনুরোধ কখনোই পাইনি। বিস্মিত কণ্ঠেই বললাম,
- “আসল না নকল? আমি কিভাবে চিনবো? আমি আসল বলার পরে যদি দেখা যায়, সেটা নকল?”
- “ তোমার মানিব্যাগ বের করে দেখবে? একটা ডলার বের করে একটু মিলিয়ে দেখো না? দুইটা ডলার পাশাপাশি রাখলেই বুঝা যাবে। আমারটা আসল ডলার কিনা?” ইংরেজি ভাঙ্গা ভাঙ্গা হলেও কণ্ঠের কাতরতা বুঝতে বেগ পেতে হয় না।
- “ তুমি মানি চেঞ্জারের কাছে যাও। তারাই তোমাকে বলে দিবে।“
- “তাদের কাছে যাওয়া যাবে না। আমরা রিফিউজি। আমার ডলার নিয়ে নিবে। বলবে, আমি চুরি করেছি।“
তার উত্তর শুনে আরো বিস্মিত হলাম। করুণাও হলো। হয়ত কোন ট্যুরিস্ট তাকে দিয়েছে। নিজের টাকা। অথচ, খরচ করতে গেলে সন্দেহ! বিস্মিত কণ্ঠেই বললাম,
- “তুমি যদি মনে করো, সে তোমার টাকা মেরে দিবে, তাহলে পুলিশের কাছে গিয়ে সাহায্য চাও।“
তারপরে রাস্তার অপর পাশে এক পুলিশ দেখিয়ে, তাকে আরো বললাম,
- “ আমার হাতে সময় আছে। তুমি চাইলে, ঐ পুলিশের কাছে গিয়ে আমি সব বুঝিয়ে বলতে পারি।“
আমার আঙ্গুল অনুসরণ করে পুলিশ দেখামাত্রই, সে আর কিছু বলল না। দ্রুত চলে গেল।

মনটা খারাপ হলো।
হয়ত পুলিশ দেখলে ভাববে, ট্যুরিস্টের কাছে সাহায্য চাইছে। তারপরে ধরে টাকাপয়সা কেড়ে নিবে।
নিশ্চয় পুলিশের সাথে এর আগের অভিজ্ঞতাগুলো সুখকর ছিল না। তাই পুলিশের সামনে পড়তে চাচ্ছে না। মন খারাপ করেই বসে রইলাম।

অনেকক্ষন পরে আমার বাস এলো।
লাইন ধরে একজন একজন করে উঠছি।
হঠাৎ দেখি শখানেক গজ দূরে, মোড়ের আড়ালে কিশোরটি। বাস স্টপেজের দিকে তাকিয়ে আছে।
একবার মনে হলো, হাত নেড়ে কি যেন ইশারা করছে? আমাকে বিদায় জানাচ্ছে ? ছেলেটা এত ভালো? আর আমি কিনা তাকে ভুল বুঝেছিলাম!আমার সন্দেহবাতিকতা কবে দূর হবে?
আর বেশি কিছু দেখার সুযোগ নেই। মনোযোগ এখন বাসের পাদানিতে।
স্যুটকেসটা পাদানিতে রেখে, এক পা দিয়ে উঠে গেলাম।
এক হাতে স্যুটকেস ধরে রেখেছি। আরেক হাত দিয়ে দরজার হ্যান্ডেল ধরে বাসের ভিতরের সিড়ি দিয়ে উঠার জন্য পা তুলেই দেখি এক মোটা মহিলা নামার চেষ্টা করছে।
ইতোমধ্যে আমার পিছনেও একজন পাদানিতে উঠে দাঁড়িয়েছে।
আশ্চর্য, এমন গা ঘেঁষে কেউ উঠে দাড়ায়?
শুধু তাই নয়। বিরক্তিকরভাবে গায়ের সাথে লেপ্টে আমাকে উপরের দিকে ঠেলে রেখেছে।
আমি পিছনে যেতে পারছি না। সামনেও এগোতে পারছি না। পাদানির তলার সিড়িতে এক পা, মধ্যের সিড়িতে আরেক পা। একটা হাতও খালি নেই।

রুমানিয়াতে যাত্রীরা নামে বাসের পিছনের দরজা দিয়ে। সামনের দরজা শুধু উঠার জন্যে ।
কোনমতেই বুঝতে পারছি না, এই মোটা মহিলা সামনের দরজা দিয়ে নামছে কেন?
আর পিছনের লোকটি একটু অপেক্ষা করে উঠলে চলতো না?
বাস তো আর তাকে ফেলে যেতো না?
হতবাক হয়ে দুজনের চাপে পিষ্ট হচ্ছি।

দরজার সাইডে চেপে মহিলাকে নামার জন্যে জায়গা বের করতে গিয়ে দেখি, মহিলা তার শরীরের ভার আমার শরীর থেকে সরাচ্ছে না। তাই, আমি সরতেও পারছি না। এভাবে আরো কয়েক সেকেন্ড চলে গেল। মহিলার পিছনের এক পুরুষকে দেখলাম কেমন যেন একটা ইশারা করলো। পরক্ষনেই সেই পুরুষ এবং মহিলা দুজনেই সামনের দরজা দিয়ে নামার চেষ্টা বাদ দিয়ে, অস্বাভাবিক দ্রুততায় দৌড়ে পিছনের দরজা দিয়ে নেমে গেল। আমি হাপ ছেড়ে বাঁচলাম।
উঠতে উঠতেই খেয়াল করলাম আমার পিছনে যে যাত্রী ছিল সেও নেই!
বাসে উঠেনি? তাহলে ব্যাটার এতো তাড়ার কি ছিল?

হাতের সুটকেস নামিয়ে রাখতে গিয়েই বুকটা ধ্বক করে উঠলো।
পকেটের মানি ব্যাগ গায়েব হয়ে গেছে!

বাসের দরজা বন্ধ, বাস চলতে শুরু করেছে ততোক্ষণে।
চিৎকার করে ড্রাইভারকে বললাম, আমার মানি ব্যাগ চুরি হয়েছে।
ড্রাইভার মাথা ঘুরিয়ে শুধু একবার আমায় দেখলো।
তারপর, নির্বিকার ভঙ্গীতে গাড়ি চালাতে লাগল।

বাসের পিছনের বড় কাঁচের মধ্য দিয়ে দেখি স্টপেজের পাশেই সেই কিশোর, মোটা মহিলা আরো কয়েকজন।
তবে কি তারা সব একই চক্রের সদস্য ছিল?
আমি আবার চিৎকার করলাম।
চেঁচিয়ে বললাম, পকেটমারদের দেখতে পাছি!
কিন্তু আমার চিৎকারে কোনো লাভ হলো না।
সবাই নির্বিকার। যেন কিছুই হয়নি।

বাস নিজ গতিতে এগিয়ে চলছে এয়ারপোর্টের দিকে।
আর আমি, স্টপেজের সেই জটলা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যাচ্ছি।
(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আনমোনা বলেছেন: গুলিস্তানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলেননা, ভালোয় ভালোয় শেষ বলছেন?
আপনি ভালোয় ভালোয় ফিরেছেন, এতেই আমরা খুশী।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে প্রথমে দেখে ভালো লাগলো।

ভাই, আল্লাহ্‌র বিচার।
তা না হলে, আমি কেন ঐ বারে ঢুকেছিলাম?
বড় বিপদ থেকে আল্লাহ্‌ বাচিয়েছে। কিন্তু ছোট হলেও একটা শিক্ষা দিয়ে দিয়েছে।

সারা জীবন মনে থাকবে।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকার গুলিস্তানের চোর ছিনতাইকারী আর পকেটমারদের নিজের চোখে দেখেছি।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার এখনো সেই সৌভাগ্য হয়নি।

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

জুন বলেছেন: এমন সমাপ্তি ভাবি নি মাহের ইসলাম। মনে করেছি বারের মেয়েটিকে নিয়ে বিশাল প্যারায় পরবেন সাথে থাকবে দুধর্ষ মাফিয়া। এখন দেখছি বড়ই সহজে মুক্তি পেলেন।
আর চিটারের পাল্লায় পড়েছিলাম বেইজিং বেড়াতে গিয়ে। কি অবিশ্বাস্য দ্রুততার সাথে ট্যাক্সি ড্রাইভার আমাদের আসল টাকার সাথে নকল টাকা বদলে দিল ভাংতি নেই বলে।
যাইহোক শেষ পর্বটি বড় দ্রুত শেষ হয়ে গেল, :(
তবে আপনার লেখার স্টাইল বরাবরের মতই চমৎকার।
+

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: একরাশ সমবেদনা রইল, আপনার চিন্তা-ভাবনার বাইরে গিয়ে হলেও, সহজেই বেঁচে গেছি বলে। চেষ্টা থাকবে, এর পরে কোনো প্যারায় পড়তে। তারপরে কি হবে জানি না !!

তবে আন্তরিক ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্যে।

আমি একটু কাটছাট করেছি, ছোট করার জন্যে। আশা আছে, সিনাইয়া এবং পেলেস ক্যাসল নিয়ে আরেকটা পোস্ট করবো। সেখানে কিছু অনুল্লেখযোগ্য ঘটনা আছে। ইচ্ছে করেই এখানে আনিনি।

শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার মাথায় মিনিমাম ৫০ টা গল্প/কাহিনী/ঘটনা আছে অবসরে লিখুন, না লিখলে মাথায় ঘটনাগুলো বার বার আপনাকে জানান দেবে “আমরা আছি” !!! লিখুন তবে এক পর্বে।। আছি - পড়ছি। ভালো লিখেছেন। ভালো থাকুন।।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলতে কি, এখানেই আরো ছোট ছোট কিছু ব্যাপার ছিল।
তবে, আপনার লাস্ট ওয়ারনিং এর পরে, সেগুলো ছেটে ফেলেছি।

সাজেশনের জন্যে আবার ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহের ভাই,

গত পর্বে আপনি যে আগ্রহ, জিজ্ঞাসা বা অনিশ্চয়তার দোলাচলে তৈরি করেছিলেন এই পর্বে টাকার বার্গেনিং করে নেহাত ছুটে পলায়ন করার মধ্য দিয়ে পাঠকদের সমস্ত জিজ্ঞাসার যবনিকাপাত করলেন। আপনি হয়তো নিরাপদে নিজেকে সরিয়ে নিলেন কিন্তু আমাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা জলাঞ্জলি গেল। আমরা গল্পের নায়ক যে আরো খাদের পাশে দেখতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম চূড়ান্ত অস্থিরতার মধ্যেও তার অবিচলিত মনের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু নায়কের এমন নিরামিষ পলায়নে আশাহত হলাম। হাহা হা
রিফিউজি বাচ্চাটির ডলার সনাক্তকরণের ট্রাপে না ফাঁসলেও মোটা মহিলার পকেট মারি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না।এ প্রসঙ্গে জুনাপুর মন্তব্যটি বেশ ভালো লেগেছে। যদিও সার্বিকভাবে বিষয়টির মধ্যে উপমহাদেশের রাস্তাঘাটের কালচারের প্রতিচ্ছবি ধরা পড়লো।


১৪ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

আমার ধারনা রিফিউজি কিশোর আর মোটা মহিলা একই চক্রের লোক।
আমাকে অবজারভ করেই আমার পিছনে লেগেছিল।

আমি আপনাদেরকে কিছুটা আশাহত করেছি। সেজন্যে দুঃখিত।
দেখি, এর পরে আরো বড় বিপদে পড়ে, হাবুডুবু খেতে পারি কিনা।

আন্তরিক ধনব্যাদ এবং কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো থাকবেন।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


রুমানিয়ায় শিল্প কারখানা কি রকম দেখলেন?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: সাথে থাকার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি গিয়েছিলাম, আজ থেকে ২০ বছর আগে।
একা যেতে অনেকটা বাধ্য হয়েছিলাম। যার বিস্তারিত এই গল্পের প্রথমেই বলে নিয়েছি।
বুখারেস্টে যে কয়দিন ছিলাম, মন মেজাজ ভালো ছিল না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছি, হাতে একটা সিটি ম্যাপ নিয়ে।
এর পরে সিনাইয়া চলে যাই। একটা স্কি রিসোর্ট। লোকজন সামারে সাধারণত সময় কাটাতে যায়।

শিল্প কারখানা দেখার চেষ্টা ছিল না। তাই সুযোগও খুঁজিনি।

ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৪:৩২

সোহানী বলেছেন: আরে এতো দেখি আমাদের দেশীয় স্টাইলে পকেটমার।... তবে সাবধানতার বিকল্প নেই....

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩১

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন।
তবে আমি মনে করি, আমি যথেষ্ট সাবধান ছিলাম।
কিন্তু এতো রীতিমতো সুযোগ সৃষ্টি করে , আমাকে বেকায়দায় ফেলে পকেট মার হয়েছে।
ভাগ্য ভালো যে, মানি ব্যাগে শুধু টাকা আর টার্কিশ আইডি কার্ড ছিল।
নাহলে এয়ারপোর্টে কি অবস্থায় পড়তে হতো, আমি কল্পনা করতেও ভয় পাই।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৬:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
শুভসকাল

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

মাহের ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে, আমারও ভালো লাগছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, সাথে থাকার জন্যে।

ভালো থাকবেন।

৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৮:২৪

বলেছেন: তারপর.......
মানিব্যাগ খুইয়ে লেখা শেষ হয়ে গেলে --

মানিব্যাগ হারিয়ে ভাষাহীন লেখক??

তবুও ঝরঝরে পরিষ্কার লেখায় প্রভাবিত হলাম। ++++

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আসলেই আমি ভাষাহীন হয়ে গেছি।
চিন্তা করতে পারেন নিশ্চয়, লন্ডন থেকে রুমানিয়া বেড়াতে গেলেন। এর পরে পকেট মার এসে আপনার সব কিছু নিয়ে গেল!!
তখন মুখে সিলেটি আসবে, নাকি বাংলা, নাকি লন্ডনি ভাষা? ভাষাহীন হয়ে যাওয়া কি স্বাভাবিক না?

আপনার অনুপ্রেরনামুলক মন্তব্যে খুব খুশী হয়েছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা । ভালো থাকবেন।

১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহের ইসলাম,



ঢাকাইয়া (?) না-কি চাটগাইয়া পোলা হৈয়া এমুন ধরা খাইলেন? :( গুলিস্থানের অভিজ্ঞতা নাই ? তাইলে আপনেরে জাতীয় পরিচয় পত্র দেছে কেডা ? ;)

এটারও কিন্তু "শেষ ভালো" হয়নি। আগের পর্ব নিয়ে তিন তিনটে ফাঁড়া গেল। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে কিছু জমা হবে মনে হয় ! এমন সব অভিজ্ঞতা নিয়ে সমূহ বিপদ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন। না কি আবারও কোন ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বেন?


১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: পুরান ঢাকাইয়া নই, তবে বৃহত্তর ঢাকাইয়া বলা যেতে পারে।
আবার জীবনের একটা বড় অংশ চট্টগ্রামে কাটাতে হয়েছে। সেই সুবাদে চাটগাইয়া বললেও মেনে নিবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অভিজ্ঞতা আসলেই অনেক হয়ে গেছে।
তাই, আপাতত আর বিপদে পড়তে যাচ্ছি না, ইনশা'আল্লাহ।

শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

১১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমার এখনো সেই সৌভাগ্য হয়নি।

খারাপ জিনিস না দেখাই ভালো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: রাজীব ভাই, আপনাকে আবার দেখতে পেয়ে অবাক হলাম। তবে, তার চেয়ে ঢের বেশি খুশী হয়েছি।
আপনার সাদা শার্ট পড়া ছবিটা কিন্তু প্রোফাইল পিক হিসেবে দারুন মানাবে।
চোখের সামনে কতোক্ষন আর ক্যামেরা ধরে রাখবেন?

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৬

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে মডারেটর এত ভাল ভাল লেখক আর ব্লগের একমাত্র ব্লগার এর নাম দিয়ে পোস্ট দেবার পরও আমার মতো এত নিন্ম মান সম্পন্ন একজন কু ব্লগার (আমি তো লেখক নই) কে ফলো করতে শুরু করলেন কিল্লাই ভাইজান!
আমার পিছনে থাকলে আবার মাল্টিনিকধারী একদল ধান্দাবাজ ব্লগাররা আবার মাইন্ড করতে পারে!
সাধু সাবধান!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল।
আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
তবে, প্রশ্নটা কঠিন করেছেন, তা মানতেই হচ্ছে।

শুধু ভালো লিখলেই একজনকে ফলো করতে হবে বলে আমি মনে করি না। এছাড়া আরেকটা বিষয় আছে, আপনার দৃষ্টিতে 'ভালো লেখক', আমার দৃষ্টিতে নাও হতে পারেন। একইভাবে আপনার দৃষ্টিতে একজন 'কু ব্লগার', আমার দৃষ্টিতে তেমন নাও হতে পারেন।

ছোট একটা দুইটা কথা নিয়েও কিন্তু অনেকে যারা সারাদিন কথা বলে, একটু পর পর ব্লগ পোষ্টায় তাদের চেয়ে পছন্দের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে। আমি অন্তত তাই মনে করি।

মাইন্ড করতে চাইলে, ধান্দাবাজ বা মাল্টি নিক না থাকলেও চলবে। আর, যাদের মাল্টী নিক আছে, কিংবা যারা ধান্দায় ঘুরে, তাদের মতামতের ভিত্তিতে কাজ করতেই হবে এমন তো কথা নেই।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: ব্লগে আসা আপাতত বন্ধ রেখেছি। সময় করে আপনার লেখা গুলি ভাল করে পড়তে হবে।
আমি যদি কারও লেখা পড়ি তাহলে বেশ সময় নিয়েই পড়ি।
আমি এই ব্লগ বাড়িতে আবার ফিরে আসব ইনসাল্লাহ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: ইনশা'আল্লাহ।

সময় নিয়ে ব্লগ পড়া ভালো গুণ।
অনেকেই পারে না।
মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, কেউ কেউ স্কিপ রিডিং করেই মন্তব্য করেছে।

ভালো থাকবেন।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ হয়ে রোমানিয়ান পকেটমারের খপ্পরে পরলেন? ইজ্জত তো আর রইলো না! চোরের উপরে বাটপারি করতে হয়। আমি পকেটে ওয়ালেট রাখি ঠিকই, কিন্তু তাতে টাকা থাকে না, থাকলেও খুবই কম। টাকা রাখি নিরাপদে। যদিও আজ পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে আমাকে কেউ ফাসাতে পারে নাই। তাই বলে ভাববেন না যে চেষ্টা করে নাই! :)

আপনার এই ধারাবাহিকের শুরুতে মনে হয়েছিল গল্প, শেষে মনে হলো ভ্রমন কাহিনী.....আসলে কি লিখতে চেয়েছিলেন?

কথোপকথন যেভাবে দিয়েছেন, তাতে ইনভার্টেড কমা দেয়ার দরকার নাই। শুধু শুধু পরিশ্রম করেছেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

আমার কনফিউশন ধরে ফেলেছেন।
আমি ভ্রমণ কাহিনি লিখতে শুরু করেছিলাম।
পরে দেখি, বেশি লম্বা হয়ে যাচ্ছে। আর, গল্পটাই জমছে বেশি। তাই, ভ্রমণ কাহিনিটুকু বাদ দিয়ে দিয়েছি।
সিনাইয়া এবং ব্রাশোভ সুন্দর জায়গা। বিশেষ করে সিনাইয়ার পেলেস ক্যাসল দেখার মতো ।
ইচ্ছে করেই ঐগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা এবং ইতিহাসটুকু গল্পে আনিনি।

মানি ব্যাগে টাকা ছিল। তবে অনেক বেশি না। আবার, তরুণ ছাত্র হিসেবে কম নয়। তবে বড় ক্ষতি হয়েছে যে, আমার টার্কিশ আই ডি কার্ড, রেসিডেন্স পারমিট - এগুলো সব নিয়ে গিয়েছিল। এগুলো আবার বানাতে লজ্জা, অস্বস্তি এবং ঝামেলা সবই হয়েছিল। সবারই একই প্রশ্ন, দুনিয়ার এতো জায়গা থাকতে রুমানিয়াতে কেন গিয়েছিলাম ?

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:০৪

শায়মা বলেছেন: হা হা আহমেদ জি এস ভাইয়ার মন্তব্য পড়ে হাসছি!

তবে ভাইয়া এরা দেখছি বাংলাদেশের পকেটমারেরও বড় ভাই বোনেরা!!!!!! :|

১৬ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমিও হেসেছি।
তবে, কিছুটা মন খারাপও হয়েছে। কারণ, এখানে হাঁসির পাত্র তো আমি নিজেই।

আপনাকে এখানে পাঠকদের মাঝে দেখে ভালো লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.