নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হে আমাদের প্রতিপালক সকল প্রশংসা তোমারই

মাহমুদডবি

মনে রাখবা তোমার রবের কাছে তোমাকে হিসাব দিতে হবে।

মাহমুদডবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর মুরিদ ও খানকাহ-দরগাহ ও তাদের ভন্ডামি

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৪

কয়েকদিন যাবত ( বিব্ভ্রান্ত ) নামের একজন ব্লগার " যার পীর নাই তার পীর শয়তান' এই টাইপের পোষ্ট দিচ্ছে। কিন্তু কোনো মন্তব্য করা যায় না। এই সব রাজারবাগীদের এই সব ভ্রান্ত মতবাদে যাতে কোনো মুসলিম বিভ্রান্ত না হ্য় তাই এই পোষ্ট.।



বর্তমানে যার ইসলামের নামে কাজ করছে তাদের মধ্যে পীর-মূরীদ ও খানকাহ দরগাহ পদ্ধতি অন্যতম। এরা মনে করে যে আদ্ধাতিক শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি এবং নফসের জিহাদি সবচেয়ে বড় জিহাদ। কিছু দূর্বল ও জাল হাদীস এবং পীর সাহেবদের স্বপ্নের ভিত্তিতে একটি আলাদা ধর্ম তৈরী করেছে তারা যাকে 'তাসাউউফ' ও তরিকত পন্থী বলে বিশ্বাস করে।এরাও আল্লাহ (সুব: ) প্রদত্ত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত তরীকা থেকে সরে গিয়ে নতুন ইসলাম তৈরী করেছে। নিন্মে তাদের ধর্মের কিছু বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলো।





১) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ : পীর-মুরিদদের আক্বীদাহ হলো ' পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ' । যদি কারো দুই জন পীর থাকে তবে ' দুই পীর তোমার দুই ডানা ধরে বেহেশতে নিয়ে যাবেন। কোনো ক্ষতি নেই। ( মাওয়ায়েজে এছহাকিয়া' সৈয়দ মা:মো: মোমতাজুল করিম রচিত: পৃষ্টানং ৫৫-৫৬)

আরো বলে " যার কোনো পীর নাই তার পীর শয়তান "। এজন্য তারা একটি আরবি বাক্যও তৈরী করছে।( ভেদে মারেফাত বা ইয়াদে খোদা, মাওলানা সৈয়দ মো: এছহাক রচিত, পৃষ্টা নং ২৩ )

এই আরবী বাক্য শুনে অনেকেই এটাকে হাদিস মনে করে অথচ এটা কোনো হাদিস নয় পীরদের মনগরা বানানো উক্তি।পীরদের যত গুলি ছিলছিলা আছে প্রায় সকলের আক্বীদাই এক।যেমন চরমোনাই পীরদের আক্বীদাহ তাদের বই থেকে উপরে উল্ল্যেখ করা হলো।

এনায়েতপুরী পীর ওতার অনুসারীদের আক্বিদাহ ও বিশ্বাস একই রকম। তাদের রচিত ( 'শরীয়তের আলো ' খাজাবাবা এনায়েত পূরীর অনুমতিক্রমে মাওলানা মো: মকিম উদ্ডিন প্রনিত।প্রকাশক পীরজাদা মৌ: খাজা কামারউদ্দিন নুহ মিয়া) বইতে "পীর ধরা সবার জন্য ফরজ"



সুরেশ্বরী পীর লিখছেন : পীরের নিকট দীক্ষা না হইলে কোনো বন্দেগী কবুল হয় না। ( নুরে হক গন্জ নুর, পৃষ্ঠা নং ২৫, শুরেশ্বর দরবার এর পক্ষ হতে সৈয়দ সশাহ নুরে মন্জুর মোরশেদ ( মাহবুবে খোদা) ও ভ্রাতাগন কতৃক প্রকাশিত একদশ সংস্করন ১৯৯৮ )



এখানে মুরীদ হওয়াকে ইবাদত- বন্দেগীর জন্য শর্ত তথা ফরজ সাব্যস্ত্য করা হয়েছে। অথচ ফরজ বিধান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে :- তিনি তোমাদের জন্য দ্বীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইব্রাহীম, মুসা ও ইসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হলো, তোমারা দ্বীন কায়েম করবে এবং এতে বিচ্ছিন্ন হবে না।তুমি মুশরিকদের যে পথে আহবান করছো তা তাদের কাছে কঠিন মনে হয়; আল্লাহ যাকে চান তার দিকে নিয়ে আসেন। আর যে তার অভীমুখী হয় তাকে তিনি হেদায়েত দান করেন। ( সুরা শুরা ৪২: ১৩ )



অন্য আয়াতে আল্লাহ (সুব: )বলেন :- তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারন করে দিয়েছি শরীয়ত ও স্পস্ট পথ। (সুরা মায়েদা ৫:৪৮



উপরোক্ত আয়াতগুলোতে পরিস্কার হয়ে গেলো যে শরিয়ত নির্ধারন করার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহর। কোনো পীর ফকিরদের নয়।পীর-সুফীগন হয়তো মনে করতে পারেন আল্লাহকে পাওয়ার জন্য আল্লাহ (সুব: ) এবং তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে শরিয়াহ দান করেছেন টা যথেষ্ট নয়। দ্বীন ইসলাম এ ব্যাপারে অসম্পুর্ন। আল্লাহ (সুব: ) তাদের এই ভ্রান্ত ধারনা নাকচ করে দিয়ে পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট ভাবে ঘোষনা করে দিলেন : - আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ন করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পুর্ন করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্ড করলাম ইসলাম কে। ( সুরা মায়েদা ৫ : ৩)।

এ আয়াতে আল্লাহ (সুব: ) দ্বীন ইসলামকে পরিপূর্ন বলে আখ্যায়িত করেছেন আর কোনো কিছু পরিপূর্ন হয়ে গেলে তার ভিতর নতুন কিছু সংযোজনন করার সুযোগ থাকে না।



রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহিন ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : - যখন কোনো জাতি তাদের দ্বীনের মধ্যে বিদআত প্রবেশ করায় তখন আল্লাহ (সুব: ) তাদের দ্বীন থেকে ঐ পরিমান সুন্নত তুলে যে যা কিয়ামত পর্যন্ত আর কখনো ফিরে আসে না। ( সুনানে দারমী ৯৮, মিশকা্তুল মাসাবিহ ১৮৮, হাদিসটি সহীহ )

এ কারনেই ইমাম মালেক (র: ) বলেছেন : যে ব্যক্তি ইসলামের ভিতরে কোনো বিদআত প্রবেশ করালো আবার সেটিকে বেদআতে হাসানা বলে আখ্যায়িত করলো সে যেন দাবী করলো যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ক্ষেত্রে খিয়ানত করেছেন। ( মুহাব্বাতুর রাসুল বাইনাল ইত্তিবায়ী ওয়াল ইবতিদায়ী ১/২৮৪ )।



জেনে রাখুন আল্লাহ (সুব: ) যখন দ্বীনকে পরিপূর্ন বলে ঘোষনা করেছেন তখন যা কিছু দ্বীনের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ট ছিলো না তা এখনো দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য হবে না।



সুতরাং কোনো বিদআতি আমল ইসলামে্ তৈরী করা যাবে না।



প্রচলিত পীরদের ফরজ বলা নিজেরা শরিয়াহ তৈরী করার শামিল। আর শরিয়াহ তৈরী করার অধীকার কারো নাই। আল্লাহ (সুব: ) বলেন :- তাদের জন্য কি এমন কিছু শরিক আছে যারা তাদের দ্বীনের বিধান দিয়েছে, যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? ( সুরা শুরা ৪২ : ২১ )



এরকম মনগড়া শরিয়াহ তৈরী করা মূলত : আল্লাহকে দ্বীন শিক্ষা দেওয়ার শামিল ( নাউযুবিল্লাহ)

। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ (সুব: ) বলেন :-" বল, তোমরা কি আল্লাহকে আসামনসমুহ ও জমিনে থাকা এমন বিষয়ে সংবাদ দিচ্ছো যা তিনি অবগত নন? তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা শরীক করে , তা থেকে অনেক উর্ধ্বে। ( সুরা ইউনুস ১০: ১৮ )



পরের পর্বে লিখবো পীরদের আল্লাহর সাথে মিশে যাওয়ার আক্বীদাহ নিয়ে।

মন্তব্য ৫৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:০৮

দূর প্রবাসী বলেছেন: ভাইজান কি ইসলাম নিয়ে নতুন গবেষণা করতাছেন নাকি? আপনার দাদার দাদা কার কাছে গিয়া মুসলমান হইছে তা আগে বাইর করেন, তারপর পীর মানে কি সেটা নিয়ে লেখেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৯

মাহমুদডবি বলেছেন: বাপদাদার ইসলামেইতো সমস্যা। আল্লাহর রহমতে আমি যতটুকু জানি আমার বাব দাদার কেউ এতটুকু জানতো না । আর বাপদাদার জামানা কি এখন আছে ? আমি যখন প্রথম দাড়ি রাখি আমার বাপ ১০০ টাকা দিয়া বলছিলো ফেলে আসো। বলবেন কি কতজন বাপ এখন ছেলে মেয়ে নামাজ না পড়লে খাবার বন্ধ করে দেয় ?


পীর একটি ফার্সি শব্দ। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি পীর না বলে আল্লাহর ওয়ালী বলেন। আল্লাহর ওয়ালীরা শরিয়তের বাইরে কোনো কাজ করে না।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১০

বিব্ভ্রন্ত বলেছেন: View this link

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫২

মাহমুদডবি বলেছেন: সকল রাজারবাগী, দেওয়ান বাগী, কুতুববাগী, আটরশী, খাজাবাবা, গাজাবাবা, ল্যাংটাবাবা, খাজা বক্স, বন্দে নেওয়াজ , গরীবে নেওয়াজ, ছারসীনা, এনায়েতপুরির সকল মুরীদের আল্লাহ হেদায়েত দিন।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৪

সুলতানা১২ বলেছেন: শিরোনামের শুরুতে ভন্ড শব্দটা লাগানো উচিত।
না হলে র্পূববত অনেক খ্যাতিমান মহাপুরুষদের নামেও কল্ঙ্ক লেপনের দোষে আপনি দুষ্ট হবেন।
/
বড়পীর হযরত গাউছুল আযম আব্দুল কাদির জিলানি(র) সম্পর্কে আপনার কি মত?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০০

মাহমুদডবি বলেছেন: আসলে কি পোষ্ট না বুঝলে হলো সমস্যা।
আব্দুল কাদের জিলানি (র: ) হলেন আল্লাহর একজন ওয়ালী । এই ধরনের যেসকল ওয়ালী রয়েছেন তাদের নামের উপর বেয়াদবী করার সাহস আমার নাই । আল্লাহ মাফ করুন। এই সকল আল্লাহর মাহবুব বান্দা গন বহু কষ্ট করেছেন । এদের এমন একটা কাজের বর্ননা দেন যেটা তারা আল্লাহর কোরআন ও রাসুলের সুন্নাহর বাইরে করেছেন।

সমস্যা হলো তাদের নাম বেচে , মিথ্যা কাহীনি বানিয়ে কতিপয় খারাপ লোক ভন্ড পীর সেজে আজও বসে আছে। এদের দেখলেই বুঝতে পারবেন ।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৮

নিলু বলেছেন: আসলে এখন অনেকেই নকল পীর হয়ে বসেছে বলেই তর্ক বা বিশ্বাস ভংগতা এসে গেছে , আর এর সাথে টাকার সম্পর্ক জড়িয়ে গেছে তাই অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে তবুও বাঙ্গালি এখনো অনেকেই ভক্ত , আবার সেখান থেকে ঘুরে এসেই আগে যাই তাই দেখা যাচ্ছে , তাই আমার মনে হয় যতো পীর / ফকিরের কথাই বলি না কেন বা মুরিদ বলি না কেন সমাজের ধর্মের পথের কোন পরিবর্তনের কিছু দেখা যাচ্ছে না , ধন্যবাদ

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

মাহমুদডবি বলেছেন: পোষ্টের মুলটা ধরতে পারার জন্য ধন্যবাদ।

এদেশের মত এত ওয়াজ নসিহত আর কোথাও হয় বলে জানা নেই । হলে কি হবে যা সেই থাকে।

যাদের বিরুদ্ধে বলা হচ্ছে তাদের বিষয়ে না বলে সবাই নিয়ে যাবে আব্দুল কাদের জিলানী (র: ), মাইনউদ্দিন চিশতী (র) দিকে। আরে তাদের নিয়ে কে কথা বলেছে। তারা আল্লাহর কোরআন সুন্ণাহর বাইরে কোনো কাজ করেছেন কি ?

উপরে যে সকল প্রমান দিয়েছে সেটায় ভুল থাকলে তা নিয়ে কথা বলুক । সেটা তারা করবে না । ভন্ড পীর গুলী তাদের মনে এত কঠিন ভাবে বাসে গেছে , নবীর বিরুদ্ধে কথা বললে তাদের ইমান দারায় না বাট তাদের পীরদের বিড়ুদ্ধে কিছু বললে বলবে ওহাবি, হাবিজাবি আরো কত কি ?

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৬

সুলতানা১২ বলেছেন: আপনার ব্লগ ঘুরে আসলাম..........আপনার ১৮+ অশ্লীল অশালীন পোস্টের বাহার দেখে আপনাকে দুষ্ট লোক বলেই মনে হলো।
/
আমরা আসলে সবাই চাই নিজে যত আকাম কুকাম করমু...কিন্তু অন্যরে কমু ভাই ভালো হইতে পয়সা লাগে না।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১২

মাহমুদডবি বলেছেন: ধন্যবাদ বোন । আমি যখন প্রথম ব্লগে আসি তখন আমার ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতাম না। ব্লগে হিট পেতে হবে এরকই ছিলো মনের ভাবনা। আল্লাহর রহমতে এখন ইসলাম কে জানার চেষ্ট করছি এবং ভালো হওয়ার চেষ্টা করছি। আপনি আমার ব্লগে দেখবেন প্রথম দিকে কিছো জোকস নিয়ে ঐ ধরনের পোষ্ট ছিলো। তার যখন ভুল ভাংলো তখন থেকে আর কোনো জোকসের পোষ্ট বা ১৮ + লিখিনি। আমার মনে যদি খারাপই থাকতো বা ভালো সাজার কোনো নিয়ত থাকত তাহলে আমি পোষ্টগুলি মুছে দিতাম। একজন মানুষ খারাপ বলে কি ভালো হতে পারেনা। আশা করি বুঝতে পারছেন।

যতটুকু জানতে পারছি সেটুকু জানাতেও চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ ।

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩২

চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: সব রাজারবাগী,দেওয়ানবাগি আরো যতো বাগি আছে সব গুলারে গদাম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৪

মাহমুদডবি বলেছেন: তারা সবাই হেদায়েত পাক।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

রঙ্গভরা বঙ্গদেশী বলেছেন: চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: সব রাজারবাগী,দেওয়ানবাগি আরো যতো বাগি আছে সব গুলারে গদাম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৪

মাহমুদডবি বলেছেন: তারা সবাই হেদায়েত পাক।

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪০

মাক্স বলেছেন: চেয়ারম্যানের লগে একমত

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২১

মাহমুদডবি বলেছেন: তারা সবাই হেদায়েত পাক।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৭

নজিবুল্লাহ বলেছেন: আপনার পোষ্ট দেখে কালকে রাতে ঘটে যাওয়া আমার একটি কাহিনী বলার লোভ সামলাতে পারলাম না।

কালকে ফেবু তে একজন আপনার দ্বীনি ভাই (সালাফী/ওহাবী) বাংলায় জাকির নায়েকের উপর একটি দূর্দান্ত গ্রুপ খুলবে বলে সবার কাছে একটি নাম চাইছে, কি নাম দেয়া যায় গ্রুপের। তো অনেকেই নাম দিল আমিও দিলাম। পরিশেষ আমার দেয়া নামটা গ্রহণ করে সবাই আমাকে মারহাবা দিল। হঠাত একজন দেওবন্দী আলেম এসে জাকির নায়েক ও তার প্রশংসাকারী সকল মুসলিমকে কাফের বলে তুখোর গালাগালি শুরু করল। সে খানে দেখলাম আপনার দ্বীনি ভাই (সালাফী/ওহাবী/আহলে হাদীস) যারা যারা আছে তারা তার সাথে বাহাসে পেরে উঠতেছেনা। পরে আমি তাকে বললাম যে, আপনিতো দেওবন্দি আলেম, আর দেওবন্দী ভাল ভাল আলেমরা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের জবাব লিখে এই এই বই লিখেছে, তাকে বই এর লিঙ্ক দিলাম। সে তো খামোস , সবাই আমাকে দ্বিতীয় দফা ধন্যবাদ জানালো। যাক শুকরান। হঠাত ঘটলো কি জানেন ? যে এই পেইজটি খুলবে বলে নাম চাচ্ছিল সে সহ আরো কয়েকজন সালাফী/আহলে হাদীস ভাই সকল দেওবন্দী আলেমদেরকে কাফের বলে গালাগালি শুরু করে দিল। কারন দুটি । দেওবন্দিরা মাযহাব মানে আর সুফিবাদ চর্চা করে। আমি তো বসে বসে তামাসা দেখতাছি। এক পর্যয়ে আর বসে থাকতে পারলাম না । আমার দ্বিতীয় দফা বাহাস শুরু হয়ে গেল আমার ই প্রশংসায় রত আহলে হাদীস/সালাফী ভাইদের সাথে। তখন রাত প্রায় ৩ টা। আমি ঘুমাতেও পারি নি, তাদের সাথে বাহাস করতে করতে। হঠাত তারা এমন একটা কাজ করে বসল যা আমি কল্পনাও করতে পারি নাই। তারা আমার ফেবু আর জিমেইল দুইটাই হেক করে ফেলল। এখন আমি ফেবু আর জিমেইল কিছুই ইউছ করতে পারতেছিন। অথচ এরাই কিন্তু আমাকে দেওবন্দিদের বিরুদ্ধে বাহাসের সময় বাহ বাহ দিয়েছিল। এই হল আমাদের মুসলিম দল গুলোর অবস্থা । আমি আর বেশি কিছু বলব না। পাঠকগণই বুঝে নিবে আমি কি বলতে চাচ্ছি।

আপনাকে শুধু এতটুকুই বলব আপনিও আমার পোষ্ট এ যেমন আমাকে মুবারক বাদ জানিয়েছিলেন আমিও আপনার ধর্মীয় পোষ্ট গুলোর জন্য আপনাকে ইসলামের খাদেম হিসাবেই মনে করি। বাট গলদ যে গোড়ায় ! আপনিও ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী হবার কারনে তাসাউফকে ইসলাম বিরুধী প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তাই আমি শুধু আপনাকে এতটুকু্ই বলব যে, তাসাউফ ইসলাম বহির্ভূত ত নয় ই বরং ইসলাম সহ সকল ধর্মের মূল নির্যাস ই হলো তাসাউফ। যাকে সুফিবাদ/পীর-মুরিদী/আধ্যত্মিকতা ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হয়। নি:শ্বন্দেহে তাসাউফ ইসলামের চুড়ান্ত মনি। কিন্তু তাসাউফেও গলদ ঢুকেছে। এখানে শের্ক-বেদাতের সবচাইতে বড় আখড়া বসেছে। কিন্তু মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার চিন্তা করা বোকামী। তাই তাসাউফের দোষ নেই ভাই। দোষ হলো তাসাউফের নাম নিয়ে ব্যাবসায়ী পীর দের। আপনি তাসাউফের সকল যেসকল ইমামগণ ছিলেন তাদের কিতাব যদি পড়েন (আব্দুল কাদের জিলানী, মইনুদ্দীন চিশতি, মুজাদ্দি আলফে সানি, গাজ্জালী, রুমী) তাহলে দেখবেন তাসাউফ ই হলো ইসলামের মগজ। তাই শুধু সৌদি আলেমদের বই না পড়ে সকলের বই ই পড়েন। এক পক্ষের বই পড়ে তো আর সত্যকে জানতে পারবেন না। তখন বড় বড় সকল আউলিয়ায়ে কেরামগণকে মুশরিক আর কাফির বলেই খালি গালাগালি করবেন। ওহবী মতবাদের কিতাবাদি পড়ে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে হেদায়েত নসীব করুন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৯

মাহমুদডবি বলেছেন: ভাই আল্লাহর ওয়ালীদের বিরুদ্ধে কোনো কিছুই বলিনি আমি আমার পোষ্টে যে সকল পীরদের নাম বলেছি তাদের খোজ নিয়ে দেখুন। আল্লাহর ওয়ালীরা কখনো দাবী করেনা আমরা পীর বা তারা বলেওনা পীর ধরা ফরজ।

পীরের কাছে যারা এখন যায় বেশীর ভাগই , ধন দৌলত, ঘরের শান্তি কেমনে আসবে, কিভাবে মন্ত্রী হবে এই ব্যাপারে যায় ইসলাম পালন করার জন্য নয়।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৪

আফিফা মারজানা বলেছেন: উপরে অনেকেই বলে দিয়েছেন ।তাই অন্য কথায় আসি ।
১ ।জসীম সাহেবের নামের শেষে রাহমানী লিখার অধিকার নেই ।রাহমানিয়া থেকে এই অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে ।২ ।আমি চরমোনাই এর ভক্ত বা সমর্থক নই কিন্তু কেরাণীগন্জের ঘটনাটার আদ্যোপান্ত জানি ।
৩ ।জসীম সাহেবকে আপনারা শায়খ বলেন কেন ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩০

মাহমুদডবি বলেছেন: কার আগে পিছে রাহমানি আছে সেটা প্রশ্ন নয় প্রশ্ন হলো পোষ্টে যা প্রমান দেওয়া আছে সেখানে যদি কোনো মিথ্যা থাকে সেটা নিয়ে প্রমান দিন।

বাংলাদেশের ভন্ড ভুরীওয়ালা পীর গুলি জাকির নায়েক ও জসিমউদ্দিনকে খুব ভয় পায় কারন জানে তলা খুলে যাবে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১১

মাহমুদডবি বলেছেন: চরমোনাইয়ের প্রথম পীর সৈয়দ মোহাম্মদ এসহাক সাহেব তার প্রায় সকল বইতে উল্লেখ করেছেন " আামার প্রিয় বন্ধু গন জানিয়া রাখবেন দোযখের আযাবের পথ বন্ধ করিয়া বেহেশতেবযাইবার জন্য কেতাবে ১২৬ তরিকা বয়ান করিয়াছেন। তারমধ্যে চিশতিয়া সাবেরিয়া তরিকা একেবারে শরটকাট। ( আশেকে মাশুক সৈয়দ মাওলানা এশাক রচিট পৃষ্ঠা নং৬)।

ইসলামকে আর কত শর্ট করবেন আপনারা। এই রাস্তা কি আল্লাহর রাসুল ও তার সাহাবীদের জানা ছিলো না । নাকি আপনার পীর সাহাবিদের চাইতে ইমানদার ? তারা ইসলামের জন্য জীবন বাজি রেখে জিহাদ করেছেন, আবার রা্তে নামাজে দাড়িয়ে কাটিয়েছেন। কি দরকার ছিলো এত কষ্টের ? শর্ট কাট তরীকা হইলেইতো চলে।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৭

আফিফা মারজানা বলেছেন: শায়খ ও পীর সমার্থক শব্দ ।আপনারা যতই হাউকাউ করেন আপনারাও পীর মুরিদী করেন ।জাকির নায়েক পীর আপনারা মুরীদ ।জসীম সাহেব পীর আপনারা মূরীদ ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪০

মাহমুদডবি বলেছেন: জসিমের কাছে আসুন না একদিন আপনার পীরকে নিয়ে।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৭

আফিফা মারজানা বলেছেন: এই ভোল পাল্টে ফেললেন ।এতক্ষণ পীরের আগে ভন্ড শব্দটি ছিলো না ।এবার এসে গেলো ।
জসীম সাহেবকে খুব কাছ থেকে চিনি ।আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে ঘুমুতেন ।দুর্দান্ত আলেম ।ওনার সামনে এদেশের ভন্ড পীরদের দাড়াবার কোনো সাহস নেই ।কিন্তু ওনার সমস্যা হলো উনি ভন্ড ও হককে গুলিয়ে ফেলেছেন ।আমার পীর নেই ,তবে আমি একজনার ভক্ত ,মারকাযুদ দাওয়াহর আবদুল মালেক সাহেব ।ওনাকেও কি ভন্ডদের কাতারে ফেলবেন ?জানিনা কেরাণীগন্জের ঘটনাটা জানেন কিনা ,তবে ঐদিন জসিম সাহেবের সাথে আলোচনার জন্য উনিও উপস্হিত ছিলেন ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৩

মাহমুদডবি বলেছেন: খুলে বলুন কিভাবে ?

কেরানীগন্জের ঘটনা জানতে চাই ।

১৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০০

ব্লুম্যাজিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: সকল রাজারবাগী, দেওয়ান বাগী, কুতুববাগী, আটরশী, খাজাবাবা, গাজাবাবা, ল্যাংটাবাবা, খাজা বক্স, বন্দে নেওয়াজ , গরীবে নেওয়াজ, ছারসীনা, এনায়েতপুরির সকল মুরীদের আল্লাহ হেদায়েত দিন।

এখনকার ৯৯।৯৯% পীর ভন্ড।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২১

মাহমুদডবি বলেছেন: একমত। আল্লাহর ওয়ালী গন কোরআন সুন্নাহর বাইরে কোনো কাজ করেনা, তারা সম্মেলন করে বলেনা আমি পীর আমারে গরু দে, উট দে , ভেড়া বকরি সব দে।

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৫

আফিফা মারজানা বলেছেন: চরমোনাইয়ের
প্রথম পীর সৈয়দ মাহাম্মড এশাক
সাহেব
দেখুন ,আপনি নাম বিকৃত করেছেন ।আপনারা তো আহলুল হাদীস ,খুঁজে দেখবেন নাম বিকৃত করা নিয়ে কোনো হাদীস আছে কিনা ?
তাও প্রথম শব্দটি আবার মুহাম্মাদের বিকৃত রূপ !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৯

মাহমুদডবি বলেছেন: মোহাম্মদ এসহাক ই লিখেছিলাম কী বোর্ডের ভুল সংসোধন করে দিচ্ছি

১৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৭

নতুন বলেছেন: আরব বিশ্বে এতো পীর ফকির নাই কেন? শুধু মাত্র আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে এতো পীর ফকির কেন?

আমেরিকা, ইউরোপে..চীনে পীর ফরিকের প্রচারনা কেন নাই? ঐখানে তো আরো বেশি প্রচারনা করা উচিত তাইনা?

কারন ঐসব দেশের মানুষ আমাদের চেয়ে বাস্তব বাদি আর ভন্ডামী কম....

আমাদের দেশে সব ভন্ডপীরেরা সবাই তাদের ভক্তদের টাকা পয়সা বা ক্ষমতার জন্য ধম`কে পুজি করে সবাইকে বোকা বানাচ্ছে... :(

৮রসি, দেওয়ানবাগী, রাজারবাগীরা সব পীরাই দুনিয়াবি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন... কেন?

সব ভন্ডপীর নিপাত যাক.... মানুষ নিজের চোখে বাস্তবতা দেখুক..প্রতারনার হাত থেকে বাচুক...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

মাহমুদডবি বলেছেন: এদের বিরুদ্ধে কিছু বললে এদের ভক্তরা আব্দুল কাদের জিলানি ( র: ) টেনে নিয়ে আসবে আর পেচাবে। এই ভন্ডদের ধইরা জবাই করা উচিত।

১৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

আফিফা মারজানা বলেছেন: লেখক বলেছেন: কার
আগে পিছে রাহমানি আছে সেটা প্র
শ্ন নয়
পিতা যদি পুত্রকে তাজ্য করে তখন কি তার কোনো আবেদন নেই !

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৮

মাহমুদডবি বলেছেন: আপনি কিন্তু আসল জিনিস রেখে অন্য দিকে যাচ্ছেন । আপানর পীর যদি ভন্ডদের মধ্যে না পড়ে থাকেন তাহলেতো আপনার কষ্ট পাওয়া কিছু নাই। আর উপরের লেখায় সেসব প্রমান আছে সেখানে ভুল থাকলে সেটার প্রমান দিন।

১৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

মহসিন আহমেদ বলেছেন: মুতা বিবাহ কবে থেকে হারাম হইছে দয়াকরে বলবেন। তাহলে আপনার পোস্টের কিছুটা জবাব আপনার থেকেই পাওয়া যাবে।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৮

মাহমুদডবি বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নাটার জবাব আমি পড়ে দিবো । কারন পীর নিয়ে পোষ্ট এখনো শেষ হয় নি সামনে আরো আসতেছে ইনাশা-আল্লাহ রেফারেন্সসহ।

১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

মহসিন আহমেদ বলেছেন: "তাসাউফ ইসলাম বহির্ভূত ত নয় ই বরং ইসলাম সহ সকল ধর্মের মূল নির্যাস ই হলো তাসাউফ। যাকে সুফিবাদ/পীর-মুরিদী/আধ্যত্মিকতা ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হয়। নি:শ্বন্দেহে তাসাউফ ইসলামের চুড়ান্ত মনি।"

সহমত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৯

মাহমুদডবি বলেছেন: সমস্যা কোথায় জানেন ? আমরা জানি খুব বেশি মানি খুব কম।

১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৪

নতুন বলেছেন: পীর হলে সবার অলোকিক ক্ষমতা কেন থাকতে হবে? - দেওয়ানবাগী/৮রশি--এদের কেরামতের অভাব নাই... একজনকে তো চাদে দেখা যায় ..

পীরেরা কোরান আর হাদিসের বাইরে কি শিক্ষা দিয়ে থাকে? --



০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৫

মাহমুদডবি বলেছেন: পীররা কি শিক্ষা দেয় তার কিছু নমুনা উপরে দেওয়া আছে প্রমান সহ।

২০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫

আফিফা মারজানা বলেছেন: নতুন@হকপন্থী পীর সাহেবদের কোনো অলৌকিকতার মুখাপেক্ষী হতে হয় না ।পীরকে অবশ্যই আলেম হতে হবে ।
লেখক আমি অন্যদিকে গেলাম কই ?জাস্ট আপনার পীর সাহেবের যাকে আরবীতে আপনারা শায়খ বলেন একটু নাড়া দিলাম ।পোস্টটা তো পীর মুরিদী নিয়েই নাকি ?
এখন একটু নিজেকে দেখুন
আপনার মাজহাব -নায়েকী মাযহাব ।
আপনার পীর -জসীম সাহেব ।
আমরা শেষের জনার বিভ্রান্ত হওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি ,উনি আমাদের অনেক বড় সম্পদ ছিলেন ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৯

মাহমুদডবি বলেছেন: বাহ কি চমৎকার মনগড়া বলে দিলেন আমার মাজহাব নায়েকী, আমার পীর জসিম সাহেব। সাথে আর একটু বলতেন আমি ওহাবী আর কিছু। আসেন আমরা দলে দেলে সুফী হই সংসার ছাইরা বনে যাইয়া বাস করি।

২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

নজিবুল্লাহ বলেছেন: চাইছিলাম এ বিষয়ে আপনাদের সাথে তর্ক করব না। কারন আমি ভাল ভাবেই জানি এ সকল তর্ক-বিতর্কের রেজাল্ট নিরেট জিরো। তারপরেও কিছু বলি দেখেন মাথায় কিছু ঢুকাতে পারেন কিন।

আপনি লিখেছেন : " বর্তমানে যার ইসলামের নামে কাজ করছে তাদের মধ্যে পীর-মূরীদ ও খানকাহ দরগাহ পদ্ধতি অন্যতম। এরা মনে করে যে আদ্ধাতিক শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি এবং নফসের জিহাদি সবচেয়ে বড় জিহাদ। কিছু দূর্বল ও জাল হাদীস এবং পীর সাহেবদের স্বপ্নের ভিত্তিতে একটি আলাদা ধর্ম তৈরী করেছে তারা যাকে 'তাসাউউফ' ও তরিকত পন্থী বলে বিশ্বাস করে।এরাও আল্লাহ (সুব: ) প্রদত্ত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত তরীকা থেকে সরে গিয়ে নতুন ইসলাম তৈরী করেছে। নিন্মে তাদের ধর্মের কিছু বৈশিষ্ট তুলে ধরা হলো।

আবার কমেন্ট এ গা বাচানোর জন্য আব্দুল কাদের জিলানী (র.), মঈনুদ্দীন চিশতি (র.) এদেরকে ওলী বলেও স্বীকৃতি দিচ্ছেন। এ সবই আপনার মূর্খতা। আপনি যদি সৌদি আলেমদের আরো বই পড়েন সুফিবাদ সম্পর্কে তাহলে দেখবেন তাদের অনেকেই এ দু জন সহ সকল আউলিয়ায় কেরামগণকে মুশরিক হিসেবে ফতোয়া দিয়েছে। এমনকি ইমাম গাজ্জালী , রুমী (র.) সহ সকল তাসাউফ চর্চা করীগণকেই। এ জন্যেই ইসলামের এ সকল আভ্যন্তরীন মত পার্থক্যের অন্তর্দন্দগলো এরকম পাবলিক প্লেসে করা বিচক্ষন মুসলিমরা মূর্খতাই মনে করে। তাই আমিও এ সকল বিতর্ক সর্বদা এড়িয়ে চলি। কারণ তাতে ইসলাম বিরুধী গোষ্ঠী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রগুলো বেগবান করার আরো স্পৃহা লাভ করে। যাই হোক আপনাকে দু চারটা কথা বলেই ছেড়ে দিচ্ছি।

দেখেন আপনি তরীকতকে বললেন ইসলামের নামে নতুন ধর্মের সৃষ্টি। তা হলে জেনে রাখুন এ সকল তরীকতের প্রতিষ্ঠাতা কারা ছিলেন। প্রধান চারটি তরীকত এর প্রতিষ্ঠাতা গণ হলেন যুগ শ্রেষ্ঠ চার জন ওলী ও আলেম। যেমন : কাদরীয়া তরীকতের প্রতিষ্ঠাতা হলেন হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র.), চিশ্তিয়া তরীকতের প্রতিষ্ঠাতা হলেন হযরত মুঈনুদ্দীন চিশ্তি (র.), নকশেবন্দিয়া তরীকতের প্রতিষ্ঠাতা হলেন হযরত বাহাউদ্দীন নকশেবন্দি (র.) ও মুজাদ্দেদীয়া তরীকতের প্রতিষ্ঠাতা হলেন হযরত মুজাদ্দেদ আলফে সানী সেরহিন্দী (র.)। এখন আপনি বাঙ্গালী দেখে এবং এ ভারত উপমহাদেশে তাদের জীবনী সবাই জানে দেখে আপনি তাদেরকে মুশরিক বলতে আপনার বিবেকে বাধে। কারন ছোট বেলা থেকেই তাদেরকে বিরাট ওলী আল্লাহ হিসেবে জেনে শুনে এসেছেন। অথচ আপনি যেই দলের অনুসারী সেই দলের প্রতিষ্ঠাতাদের মতেই এরা এক এক জন বিরাট বড় বড় মুশরিক। (নাউযুবিল্লাহ)।

এবার আসি আরেকটু গভীর আলোচনায়। এই তরীকত বা তাসাউফটা কি জিনিস। কোরআন এ একে বলা হয়েছে তাযকিয়ায়ে নফস আর হাদীসে একে বলা হয়েছে এহসান। আর পরবর্তীতে একে তাসাউফ বা আত্মশুদ্ধির বিদ্যা নামে নামকরণ করা হয়েছে। অধিকাংশের মতে তাসাউফ শব্দটির উৎপত্তি আহলে সুফ্ফা থেকে। যারা নবী করীম (স.) এর সময় মসজিদে নববীতে ইবাদত গুজারে মগ্ন থাকতেন। এমনকি উপার্জনেও বের হতেন না অনেকই। হাদীসে ইহাসন এর ব্যাখ্যা এভাবে বলা হয়েছে- " এহসান হল- তুমি এমন ভাবে ইবাদত করবে যেন তুমি আল্লাহ পাককে দেখতেছ আর যদি তুমি একাগ্রতার এ স্তরে পৌছতে না পার তবে অন্তত এতটুকু খুশু-খুজু নিয়ে ইবাদত কর যেন আল্লাহ তোমাকে দেখছেন। এখন বলেন তো আপনি আল্লাহকে দেখছেন এ মনোভাব নিয়ে জীবনে কতদিন নামাজ পড়তে পেরেছেন ? এটাই হলো তাসাউফ। আর বিস্তারিত ব্যাখ্যায় গেলে মুমিনের সকল কাজই ইবাদত। এবং সকল সময় ই সে এভাবে আল্লাহকে হাজীর-নাজির যেনে ইবাদত করে তখন তার দ্বারা কোন পাপ কাজ তো দূরের কথা একটি মুস্তাহাব আমলও তার থেকে ছুটা সম্ভব নয়। এটাই হলো তাসাউফ তথা আত্মশুদ্ধির ইলেম অর্থাত আমাদের অন্তরে যে সকল রোগ ব্যাধি রয়েছে (অহংকার, লোভ, হিংসা,) ইত্যাদি দূর করে ভাল গুণ গুলো অর্জন করে ১০০% লৌকিকতা মুক্ত হয়ে রিয়া হীন ভাবে একমাত্র আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যেই সকল ইবাদত করা। রীয়া হিন ভাবে জীবনে কত ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পেড়েছেন বলতে পারবনে? একজন মুমিনকে ইমানের এ সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করার জন্য যে ট্রেনিং কোর্স করানো হয় তাকেই বলে তাসাউফ। আর উপরে উল্লেখিত চারজন ইমাম এ কোর্স করানোর জন্য চারটি ভিন্ন ভিন্ন কায়দা কানুন বের করেছেন। যাকে বলে তরীকত। এখন কেউ যদি ইসলাম সহ সকল ধর্মের এ চুড়ান্ত মনিকে ব্যাবহার করে ব্যাবসা করার লক্ষ্যে পীর-মুরিদীর ব্যাবসায় নামে তাহলেকি আপনি তাসাউফ বা তরীকতকে ইসলামের নামে নতুন ইসলাম বলতে পারেন ? আপনি কোন কোন ভন্ড পীর কি কি কোরআন-হাদীস বিরোধী তালিম-তালকিন তার মুরিদদেরকে দিচ্ছে তা সারেজমীন এ গিয়ে জেনে শুনে তারপর তার বিরোধীতা করুন। সবাই সাধুবাধ জানাবে। কিন্তু ভন্ড পীরের বিরুধীতার নামে তো আপনি ইসলামের এ সর্বোচ্চ স্তর তথা তাসাউফের বিরোধীতা করতে পারেন না। আমি আগেই বলেছি শের্ক-বেদাতের এক মহা প্রলয় চলছে এ পীর-মুরিদীকে কেন্দ্র করে। আমার পোষ্ট গুলো দেখেন আমি রাজারবাগীদের শের্ক-বেদাতগুলো কিভাবে দলীল সহ তুলে ধরেছি। কিন্তু আমি কি তার জন্যে পীর-মুরিদী বা তাসাউফকেই নতুন ইসলাম বলতে পারি ?

হা , এখন বলতে পারেন এ তাসাউফ এর এমন রুপরেখা রাসূলের (স.) যুগে ছিলন, সাহাবাদের যুগে ছিলনা, ভাই এখন যে আমরা ইন্টারনেট এ ধর্মের প্রচার করছি, মসজিদ, মাদ্রাসায়, পুস্তকের মাধ্যমে ধর্ম শিক্ষা দেয়া হচ্ছে এ অবকাঠামো কি রাসূলের যুগে ছিল ? ছিলনা কিন্তু তাই বলে কি এগুলোকে ধর্মহীন কাজ বলতে পারব ? ঠিক তদ্রুপ তাসাউফ বা তরীকতের সার নির্যাস সব কিছুই কোরআন-হাদীসে রয়েছে। আর এ তাসাউফ ই হলো ইসলামের মৌলিক জিনিস। কিন্তু এ সকল ইমামগণ একে একটা অবকাঠামো দাড় করিয়ে দিয়েছেন। যে আপনি প্রতিদিন এতবার জিকির করলে, দরুদ পড়লে এই এই নামাজ, দোয়া, কালাম ওজীফা পড়লে তাড়াতাড়ী নিজের আত্মশুদ্ধি অর্জন করে তাসাউফে এভাবে আগাতে পারবেন। এটা তারা একটা সিস্টেম দাড় করিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তাই বলেকি আমারা একে ইসলামের নামে নতুন ইসলাম বলতে পারি ? কখোনই নয়। আমি বার বার বলছি তাসাউফ জানতে হলে নবীর (স.) পূর্ণ জীবনী জানুন, সাহাবাগণের জীবনী জানুন, ইসলারেম সূফী দরবেশগেনর জীবনী যানুন। আমি একটা সিরিজ লিখতেছি দেখবেন, আধ্যত্মবা নাম দিয়ে। এ সিরিজে ইনশাআল্লাহ প্রায় দুইশ সুফির বানী তুলে ধরব। যে সকল বানী পড়লে বুঝবেন তারা কি আপনার দলের কথা মত মুশরিক ছিল নাকি তারা ইমানের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করতে পেরেছিল। তাই আপনি ওলিগণের জীবনী পড়ুন। তাদের সম্পর্কে জানুন। না জেনেই যদি আপনি একতরফা তাসাউফকেই পীরদের ভন্ডামীর একটা উসীলা বলে বসেন তবে সেটা হবে আপনার চরম মূর্খতা। আপনি ভন্ড পীর যে সবল আছে তাদের মুখোশ খুলুন সাবাই ই আপনাকে সাধুবাধ জানাবে। বাট তাসাউফ সম্পর্কে এভাবে আম মন্তব্য করলে সেটা হবে আপনার চরম জাহেলতী। আর ভাল লাগেনা, পাবলিক লিখতে। যেখানে আমাদের চারপাশে এত এত শত্রু তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোন পদক্ষেপ নেই আমরা আমি যারা যার মতাদর্শ প্রচারে ও অপর ইসলামী গ্রুপেরই চৌদ্দগুষ্টি উদ্দারের জিহাদে। আমার মতে এ সকল পাবলিক প্লেসে সবার আগে নাস্তিকদের খেদানো উচিত সবাই মিলে। আপিন হয়ত জানেন না, মুক্তমনা বাংলাদেশের একটি সম্মানিত পুরুষ্কার জাহানারা ইমাম পুরুষ্কার পেতে যাচ্ছে শুধুমাত্র ধর্মের বিরুধিতা করে ব্লগ চালানোর জন্যই। কোন্ দেশে আমরা বাস করি এবার চিন্তা করুন। এ সকল নাস্তিকদের বিরুদ্ধি কলমী জিহাদ করা ফরজ নাকি আমাদের নিজেদের মধ্যকার কোন দলের কয়জন কাকে শহীদ করতে পারলাম এ আত্ম তৃপ্তিতে ভুগা ফরজ। আমি বুঝিনা আমাদের ধর্ম প্রচারের স্থান-কাল-পাত্র নির্বাচন করতে এত মূর্খতা কেন! যেখানে আমাদের সকল মুসলিমদের উচিত ছিল আজকে যত ব্লগ এ যত নাস্তিক আছে তাদের বিরুদ্ধে একটি সোচ্চার কলমী জিদাদের ঢেউ তুলা সেখানে আমরা আছি নিজেরা নিজেদের মারামারি নিয়ে। তারপরে আছে কাদীয়ানী, হাদীস অস্বীকার কারী আহলে কোরআন সহ কত দল ইসলামের বারোটা বাজানোর তালে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোন জিহাদ নেই, আমরা আছি ওহাবীবাদ প্রচার ও প্রসার এ। আল্লাহ পাক আমাদেরকে স্থান কাল বুঝে দ্বীনের খেদমত করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩১

মাহমুদডবি বলেছেন: আপনার জবাব শুইনা খুব হাসি পাইলো । ঐ চারজন চার তরিকা বানাইছে এ কথা আপনি কই পাইছেন । আব্দুল কাদের জিলানী ( র: ) কোথাও কইছে এইটা আমার তরিকা এই তরিকা মত চলবা ? উদ্ভট কিছু কেচ্চা কাহিনী কই পান ? ওয়ালী আল্লাহরা সবসময় রাসুলের তরিকায় চলছে। আব্দুল কাদের বা চিশতী ( র) এমন কোথাও কি বলছে পীর ধরা ফরজ ?

মনের করুন আপনি কোনো বড় আলেমের কাছে গেলেন এবং আপনার মত আরো অনেকেই আসলো তাদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। এক একজনের এক একরকম সমস্যা। তো আলেম আপনাদের সমস্যা অনুযায়ী কাউকে বললেন নীরবে ধ্যান করতে, কাউকে জীকির করতে , কেউকে তাহাজ্জুদ পড়তে । এই ভাবে আলেমের কথা অনুযায়ী আপনাদের সমস্যা সমাধান হলো । কিন্টু সমস্যা হলো পরবর্তীতে আপনারা যে যে ভাবে মুক্তি পেয়েছেন সেটাকেই মনে করলেন মুক্তির একমাত্র ওষুধ। বানাইলেন তরীকা চালাই দিলেন ঐ আলেমের নামে।

আর একটা হলো মন মত কিছু না হইলেই কইবেন ওহাবী আরো কত কি । এসব বাদ দেন কাজে লাগবে।

আপনি বললেন নবীজির আমলে মাদ্রাসা ছিলো না । ভুল বললেন । সাহাবারা ছাত্র আর নবিজী ( সা: ) স্বয়ং শিক্ষক।

উপরে যাদের কথা বলা হয়েছে এবং যেসব প্রমান দেওয়া হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে , সত্য কি না মিথ্যা তা জাচাই না করে আপনি আমাকেই তাসাউফ শিক্ষা দেওয়া শুরু করলেন।
৩৬০ আওলীয়ার দেশ , এখনো অলীতে গলিতে পীর কোনো পরিবর্তন কি আছে আমাদের সমাজে।

আমি রেফারেন্স ছারা কোনো কথা বলিনি ।


২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

আফজালনবীনগর বলেছেন: পির =আউলিয়া, অলি, সায়খ , মুর্শিদ , ছাদেকিন, মুহসিনিন সব অর্থ একই । পির ফার্সি সব্ধ । যে নামে আমরা অলিয়াল্লাহকে চিনি । যেমন নামায, রোযা , খোদা এগুলো ফার্সি ।

ওলিয়াল্লাহরা কিয়ামত পর্জন্ত জমিনে আগমন করবেন । মেহেদি আলাইহিস সালাম অলি হয়েই দুনিয়াই আগমন করবেন ।

বাজারে ভাল খারাপ দু'ধরনের এই জিনিস পাওয়া যায় । তাই বলে কি বাযার জাওয়া বন্ধ ?
কই কেউতো তা করেনা । বাজারে যেয়ে ঠিকই বাচাই কইরা ভাল জিনিস নিয়ে আসে ।

ভন্ড পির আছে বলে কি সবাইকে ভন্ড বলতে হবে । বাচাই করে ঈমান আমল দেখে খাটি পির খুজতে হইবে ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৪

মাহমুদডবি বলেছেন: পোষ্টে যাদের নাম ও দলিল সহ দেওয়া হয়েছে তারা আপনাদের মতে কি ?

২৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৯

নতুন বলেছেন: ব্লুম্যাজিক বলেছেন: লেখক বলেছেন: সকল রাজারবাগী, দেওয়ান বাগী, কুতুববাগী, আটরশী, খাজাবাবা, গাজাবাবা, ল্যাংটাবাবা, খাজা বক্স, বন্দে নেওয়াজ , গরীবে নেওয়াজ, ছারসীনা, এনায়েতপুরির সকল মুরীদের আল্লাহ হেদায়েত দিন।

এখনকার ১০০% পীর ভন্ড।

@ পীর ভক্তকুল>>> উপরের কোন পীর ভাল???

২৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২১

আফিফা মারজানা বলেছেন: ছারছিনা ৬০ ভালো ৪০খারাপ ।তবে এরা কট্টোর রাজাকার ছিলো ।আইয়ূব খানের কঠিন ভক্ত । বাকীদের ঈমান নিয়ে ১০০%সন্দেহ । @নতুন ।
মনগড়া নয় ।আপনি আপনার কমেনগুলো পড়ুন সাদাচোখে ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৫

মাহমুদডবি বলেছেন: আপনি আমার শত্র না যে কালো চোখে পড়ব। আপনিই বললেন রাজাকার আবার , ৬০ ভালো, ৪০ খারাপ কেমন যেন লাগে না। ১মন দুধ নষ্ট করারজন্য এক ফোটা লেবুই যথেষ্ট

২৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৫

নতুন বলেছেন: বত`মানে পীর প্রথা চলে আসতেছে..... রাজতন্ত্রের মতন...

বাবা পীর তো তার পোলায় পীর... পীরেরা বেহেস্তের টিকিট দিয়াদেয়...

কয়জন পীর তার মুরিদদের কোরআন/ হাদিসের থেকে শিক্ষাদেয়..?

সব পীর তাদের মুরিদের থেকে খেদমত পাওয়ার জন্য বইসা থাকে...

সব পীরই তাদের কাছে অতান্ত্য গোপন শিক্ষাআছে বলে দাবি করে...??? তাদের কাছে কি আছে? কেন শিক্ষা গোপন থাকতে হবে?

এই জন্যই পীরপ্রথা বন্ধ করতে হবে...

আমাদের মাদ্রাসায় অনেক ভাল আলেম আছেন যারা সামাজের মানুষকে কোরআন/হাদিসের শিক্ষা দিতে পারেন...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৭

মাহমুদডবি বলেছেন: ১০০ ভাগ সহমত সাথ থাকুন পড়তে থাকুন পরবর্তী পর্ব গুলি

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:০৯

দক্ষিনা মলয় বলেছেন: আপনার দাদার দাদা কার কাছে গিয়া মুসলমান হইছে তা আগে বাইর করেন, তারপর পীর মানে কি সেটা নিয়ে লেখেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০০

মাহমুদডবি বলেছেন: : তাইতো চিন্তার বিষয় B:-) । আপনিও পোষ্টটা বারবার পড়েন আর চিন্তা করেন আপনার পীর আসল না ভন্ড ।

২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৫১

ঠোটকাটা বলেছেন: Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.