![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এভাবেও তাহলে জেতা যায়! বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে দেখার পর এ ছাড়া যে আর অন্য কোনো কিছু মাথায় আসছে না কারও। এভাবেও জেতা যায়? এভাবেও ফেরা যায় ম্যাচে, মাঠে, জীবনে! নিষেধাজ্ঞার দুঃসময় পেরিয়ে ফিরে এসে শেষ ওভারের ভয়ংকর চাপকে উড়িয়ে কীভাবেই না বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিলেন তাসকিন আহমেদ। ছয় মাস যে দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে পার করে এসেছেন তা যেন উড়িয়ে দিলেন। ৪ উইকেট নিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচে বাংলাদেশকে জিতিয়ে দিলেন ৭ রানে।
বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পাওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্ত হচ্ছিল তাসকিনের। প্রথম বলটি ওয়াইড দিয়ে পরের বলেই ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন মোহাম্মদ শেহজাদকে। কিন্তু ইমরুল কায়েস কোনোভাবেই বলটা হাতে রাখতে পারলেন না। ষষ্ঠ ওভারে ওই তাসকিনের বলে টানা তিন চার মেরে শেহজাদ ভয়ংকর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তাঁকে পরের ওভারেই ফেরালেন অধিনায়ক মাশরাফি। পরের ওভারেই অন্য ওপেনার সাবির নূরিকে ফিরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান।
এরপরই যেন শীতনিদ্রা পেয়ে বসল বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদের। লাইন লেংথ ভুলে ছন্নছাড়া বোলিং আর একের পর এক মিস-ফিল্ডিং আফগানদের জন্য রান করাটা একেবারেই সহজ করে দিলেন। পড়ে পাওয়া এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহীদী। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এই জুটি এনে দিয়েছেন ১৪৪ রান। শেষ দশ ওভার যখন বাকি, আফগানদের জন্য তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় জয়টা তুলে নেওয়া মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। শেষ ১০ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে দরকার ছিল মোটে ৭৭।
৪১তম ওভারে ১৯০ রানের মাথায় রহমতকে (৭১) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে আবারও আশা দেখালেন সাকিব। আগের ওভারেই অবশ্য তাইজুলের বলে হাশমতউল্লাহর ক্যাচ ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। সেই হাসমতউল্লাহ ফিরলেন তাইজুলের বলে। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিকে ৭২ পর্যন্ত টেনে আফগানিস্তানকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। একটু পর নজীবুল্লাহ জাদরানকে ফিরিয়ে আবারও খেলা জমিয়ে দেন মাশরাফি।
৪ ওভারে ২৮ রান দরকার এমন অবস্থায় বোলিংয়ে এলেন সাকিব। প্রথম বলে এক রান, এর পর আর কোনো রান হলো না ওই ওভারে। কিন্তু তৃতীয় বলটিতেই ম্যাচটি বাংলাদেশের দিকে হেলে পড়তে পারত। সাকিবের দুর্দান্ত এক বলে ক্যাচ তুলেছিলেন স্টানিকজাই, কিন্তু মুশফিক যে ক্যাচটি ধরতেই পারলেন না!
তবে সেই দুঃখ কাটল পরের ওভারেই। আগের ৬ ওভারে ৪৯ রান নিয়ে কোনো উইকেট নেই। ভয়ংকর চাপে বোলিং করতে এসেও মাত্র ৬ রান দিয়ে দুই দুইটি উইকেট তুলে নিলেন তাসকিন। ২ ওভারে দরকার ২১ রান এমন পরিস্থিতিতে নিজের জাত চেনালেন পুরো ম্যাচে অদৃশ্য থাকা রুবেল হোসেন। একের পর এক ইয়র্কার। প্যাডেল স্কুপে একটি চার খেলেও শেষ বলে বোল্ড রশিদ খান।
শেষ ওভারে দরকার ১৩ রান। বোলিংয়ে ফিরলেন তাসকিন। আগের ওভারেই দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ টেনে এনেছেন বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু শেষ ওভারে চাপটা তবু কমল না। এই ওভারে হয় হিরো হবেন, নয়তো জিরো। প্রথম বলে ২ রান চাপ আরও বাড়িয়ে দিল। দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লু মিরওয়াইশ আশরাফ। পরের ২ বলে মাত্র ৩ রান। শেষ দুই বলে দরকার ৮ রান। পঞ্চম বলে ডট! কোনো অতিরিক্ত রান না হলে বাংলাদেশ তো জিতেই গেছে। শেষটা সর্বোচ্চ সুন্দর করতেই তাসকিন শেষ বলে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করলেন জাদরানকে। ৭ রানে জিতে গেল বাংলাদেশ।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: খেলাটা দেখিনি। আপনার পোস্টে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটলো। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ খেলা শেষ হওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যে এমন চমতকারভাবে কাব্যিক ভাবে খেলাটির ধারা বিবরণী দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।