নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে বলার মত তেমন কিছু নাই। পরিবারের ছোট ছেলে আমি। সবেমাত্র স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিলাম। এখনও ফলাফল হয় নি। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে মাস্টার্স করলাম। পাশাপাশি একটা কিন্ডারগার্টেনে সহকারী শিক্ষকতা করেছি দুই বছর। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বেকার হয়ে বসে

ম্যানচিনেইল

ম্যানচিনেইল › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধর্ষকেরা সাবধান" - হারকিউলিস

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫

হারকিউলিস! হারকিউলিস!! হারকিউলিস!!!

ছোটবেলায় টিভিতে দেখতাম এক রোমাঞ্চকর এডভেঞ্চারাস টিভি সিরিজ। তখনও বুঝতাম না জীবনের মানে। শুধু আনন্দ পাওয়ার উদ্দেশ্যেই দেখতাম। সেই সাথে দেখতাম আলিফ লায়লা, সিনবাদসহ নানারকম সিরিজ। খুবই মজার আর আনন্দের ছিল দিনগুলো। পাশের বাসার যাদের টিভি ছিল তাদের ঘরে গিয়ে টিভি দেখা কিংবা জানালার গ্রিল ধরে টিভি দেখা হত। তাই নিজের ইচ্ছামত দেখতে পারতাম না কিছুই। তার উপর রাত ১০ টার খবরের বিরতি। ওহ, কি বেদনাময় ছিল সেই নোটিশ। যাই হোক মূল কথায় আসি।

আজ টিভি দেখার সময় সংবাদ শিরোনাম দেখলামঃ হারকিউলিসকে খুঁজে বের করে তাকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

শিরোনাম দেখে কিছুটা অবাক হলাম। এটা কেমন কথা!
তৎক্ষণাৎ মোবাইল ফোনটা হাতে নিয়ে গুগলে সার্চ দিলাম বিষয়টা আরও স্পষ্ট হওয়ার জন্য।

সেখান থেকে যা জানতে পারলাম তা হলঃ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ভান্ডারিয়া গ্রামে ১ ফেব্রুয়ারিতে পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশে উদ্ধার হয় রাকিব মোল্লার (২০) মৃতদেহ। তাঁর গলায় সাদা কাগজে লেখা একটি চিরকুট লেখা ছিল, ‘আমি পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার...(অমুকের) ধর্ষক রাকিব। ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান- হারকিউলিস।’ রাকিব মোল্লা একই উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী (১৩) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। এরপরই ‘হারকিউলিস’ বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। মানবাধিকারকর্মীরা বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে এ ধরনের ঘটনার সমালোচনা করেন। তাঁরা রাষ্ট্রীয় বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন। _সূত্রঃ প্রথম আলো।

কিছুটা বিচলিত হলেও তৎক্ষণাৎ বিষয়টা ভালই মনে হল। কেননা, বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থায় ঐ অপরাধের ন্যায় বিচার পাওয়া খুব সহজ নয়। যদিও উপযুক্ত আইন রয়েছে, কিন্তু আইনের উপযুক্ত প্রয়োগ যথাযথভাবে হতে আমরা খুবই কম দেখেছি। সরকারের কিংবা আইন শৃংখলা প্রতিষ্ঠাকারী কর্মকর্তাদের উচিত যথাযথভাবে আইনের প্রয়োগ করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থায় বিচার সম্পন্ন করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। এবং বিভিন্ন মিডিয়ার উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে বিচার কাজ সম্পন্ন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সাম্প্রতিক সংবাদের পাশাপাশি ঐ ঘটনার নিয়মিত প্রতিবেদন করা। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমগুলো তা না করে শুধু তাৎক্ষণিক গরম খবর নিয়ে ব্যস্ত হয়ে থাকে, যার ফলে পুরোনো ঘটনাগুলো নতুন ঘটনার চাপে নিচে পড়ে যায়।

এই অবস্থায় ন্যায় বিচার সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত না হওয়ার কারণে, হয়ত কোন ব্যক্তির কিংবা কতিপয় সংঘবদ্ধ ব্যক্তির উদ্যোগে এমন হিংসাত্মক ও প্রতিশোধমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আর আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের নিজেদের দোষ বা দুর্বলতা স্বীকার না করে বরং হারকিউলিস নামক ছদ্মবেশী প্রতিশোধ গ্রহণকারীদেরকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।

আমি বলছি না যে হারকিউলিস সঠিক কাজ করেছে, আমি এটাও বলছি না যে, হারকিউলিসকে আইনের আওতায় আনা উচিত নয়।
হারকিউলিসের বিচার নিশ্চয় করা উচিত।

তবে আমি বা আমার সাথে যারা একমত তাদের সবার এমনটাই চাওয়া যে, হারকিউলিসকে ধরার চেষ্টার পাশাপাশি যে কারণে সমাজের বুকে হারকিউলিস নামক শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে সেই কারণগুলোকে আগে সমাধান করুন।

একজন সাধারণ লোক তখনই অপরাধ করে যখন তার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আমার আকূল আবেদন এই যে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। ন্যায় বিচারের প্রতি সাধারণ জনগণের আস্থা তৈরি করুন। আমরা হারকিউলিস হিসেবে কোন সাধারণ মানুষকে দেখতে চাই না। আমরা হারকিউলিস হিসেবে আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে দেখতে চাই।
আর নয়তো সবাইকে বলতেই হবেঃ- "ধর্ষকেরা সাবধান" - হারকিউলিস

#আমার_ছোট্ট_মস্তিষ্কের_চিন্তা_ভাবনায়_ভূলভ্রান্তি_হয়ে_থাকলে_সবাই_ক্ষমা_সুন্দর_দৃষ্টিতে_দেখবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.