![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে ভাবতে সময় দাও, আমি তোমাকে গল্প দেবো।
প্রায় ৫ হাজার বছর আগে, চৈনিক সম্রাট শেনংগ তাঁর প্রাসাদে বসে একটা বাটিতে করে গরম পানি পান করছিলেন। এমন সময় কোথা থেকে উড়ে এসে কোনও গাছের গোটাকতক পাতা তাঁর পানির বাটিতে পড়েছিল। ভোজবাজির মতন পানির রঙ পাল্টাতে শুরু করে এবং সম্রাট সেই রঙিন পানির বাটিতে চুমুক দিয়ে তার স্বাদে এবং উত্তেজক ধর্মে অভিভুত হন। কাকতালীয়টার বাইরে দাঁড়িয়ে অন্য অভিমতটা হল- ভেষজ নিয়ে সম্রাট শেনংগের অপার অনুসন্ধিৎসা ছিল, সেই জায়গা থেকেই তিনি চা গাছের পাতা নিয়েও পরীক্ষা চালিয়েছিলেন এবং চা আবিষ্কার করেছিলেন। আবার বৌদ্ধধর্মের প্রচারকরা চা আবিস্কারের সব কীর্তি গৌতম বুদ্ধতে বর্তাতে চান। তাঁরা বলেন, বুদ্ধদেব যখন একদিন গরম পানি পান করছিলেন তখন চা গাছের ঝরাপাতা তাঁর বাটিতে উড়ে এসে পড়ে এবং এইভাবে তিনি পানীয় হিসাবে চায়ের আবিষ্কার ঘটান। আসলে এশিয় ভূখণ্ডে এক অতি প্রাচীন ও বহুপ্রচলিত পানীয়র নাম- চা। ফলে তার উৎসে যে Religious বা Royel গল্প থাকবে তা বলাই বাহুল্য। দুটি পাতা একটি কুঁড়ি- এই তো চায়ের গল্প। কিন্তু গাছটার নাম কি? দার্জিলিংইয়ের, আসাম না সিলেট এর চা ভাল? আর Black tea, Green tea বা Milk tea কোন চা খাবেন? চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Camellia sinester var. assamica বা camellia sinesis var. sinesis যার প্রথমটির উৎপত্তি চীনের হুনান(ইয়েনান) প্রদেশ থেকে আধুনা মায়ানমার হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়টির লীলাক্ষেত্র চীনের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল। কিন্তু আধুনিক জিনপ্রযুক্তিগত গবেষণা বলছে, বহুদিন ধরে এই বিভাজন সঠিক নয়। চা গাছ এক রকমই, মূলত camellia sinensis এবং তার আগে কোনও var. বা ভ্যারাইটি নেই।
তো হয়ে যাক এক কাপ চা।
©somewhere in net ltd.