নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কবিও নই আমি সাংবাদিক ও নই তাই লেখার প্রকাশভঙ্গী আর শব্দ চয়নের মায়াজালে হয়তোবা আপনাদের বেধে রাখতে পারবো না, আমি শুধু যা দেখেছি বা জেনেছি সেটুকুই সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারবো। ধন্যবাদ

জাকির হোসেন ঝরাপাতা

আমি বিশ্বাস করি আমি একজন সদালাপী এবং ইতিবাচক মানুষ। মানুষকে বড্ড বেশি বিশ্বাস করি, আর ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। না বলা শিখিতে চেষ্টা করছি, আর চেষ্টা করছি কিছু খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে।

জাকির হোসেন ঝরাপাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমানার ওপারে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮


বাংলাদেশের সীমানার বাইরে বাংলাদেশের ইউনিয়ন, হ্যা আমি তিন বিঘা করিডোর দিয়ে দহগ্রাম-অঙ্গরপোতা ছিটমহলে যাওয়ার কাহিনী শোনাবো। লালমনিরহাট জেলাধীন পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ছিটমহল দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা। আপনারা বলবেন আরে ভাই ছিটমহল সমস্যার ত সমাধান শেষ। দহগ্রাম-অঙ্গরপোতা আসলে ছিটমহল সমস্যার বাইরের ব্যাপার। এটি একটি স্বতন্ত্র ভূমি যার ভিতর দিয়ে ভারতের এবং বাংলাদেশের আলাদা দুটি রাস্তা আছে। ইন্দিরা-মুজিব সীমান্ত চুক্তি১৯৭৪ অনুযায়ী তিন বিঘা করিডোর বাংলাদের চিরস্থায়ী ইজারা পায় যার আয়তন ০.০১৫ বর্গকিলোমিটার এবং বিনিময়ে ভারত কে দেয় দক্ষিণ বেরুবাড়ী যার আয়তন ৭.৩৯ বর্গকিলোমিটার। তাহলে কি দাঁড়ালো? তিন বিঘা করিডোর কার? কে তার মালিক? কে দেখভাল করে? বাংলাদেশ? কিন্তু না সবকিছুই করে ভারত, নামে শুধু আমরা ইজারা নিলাম। আমাদের বিজিবি থাকে বাইরে বেশ কিছুটা দূরে আর ভিতরে সব বি এস এফ, আর তাদের ব্যবহার যে খুব নিচু জাতের সেটা নিশ্চই বলে দিতে হবে না। পুরা তিন বিঘা করিডোর কাটাতারে ঘেরা শুধু দুই বিপরীত দিকে বাংলাদেশ এবং ভারতের (গেট নেই) দুটি রাস্তার মুখ খোলা থাকে।

১৯৭৪ সালে চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ সাথে সাথেই দক্ষিণ বেরুবাড়ী ভারতের কাছে হস্তান্তর করে, যদিও ভারত তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশের কাছে রাজনৈতিক কারণে হস্তান্তর করেনি। এটি হস্তান্তরে ভারতের সাংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন ছিল।পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের অনেক বিরোধিতার পর ২০১১ সালে ভারত পূর্ণভাবে এটি বাংলাদেশকে দেওয়ার বদলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ইজারা হিসাবে দিয়েছিল এই শর্তে যে একই সময়ে দক্ষিণ বেরুবাড়ি ভারতের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। কান্ডটা দেখে মনে হয়, মামা বাড়ির আব্দার! ২০১১ সালের পর থেকে এখন ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে কিন্তু সেখানেও শর্ত প্রযোজ্য আর সেটা হল যেখানে ভারতের যানবাহন দিব্যি চলে যাচ্ছে কোন বাধা বিঘ্ন ছাড়াই সেখানে আমাদের নেমে হেটে যাওয়া লাগে। যে জমি আপনি অতি উচ্চ মুল্যে ইজারা নিলেন সেই জমিতেই আপনার কোন কতৃত্ব নেই, নেই কোন অধিকার। আমি মনে করি এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমিকতা কিছুটা হলেও প্রশ্নবিদ্ধ করে যে আসলেই কি আমরা ভারত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত? যাইহোক ২০১১ সালে তাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপে ২৪ ঘন্টা যাতায়াত এর সুফল ত ভোগ করছে অবহেলিত মানুষজন, যেখানে আগে ১ ঘন্টা পর পর করিডোর দিয়ে বাংলাদেশীদের যাতায়াতের সুযোগ দেয়া হত এবং ৯০ এর দশকের আগে ত যোগাযোগ করার সুযোগ ছিলনা বললেই চলে।


এবার একটু চোখ ফেরাই অন্যদিকে, ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে দহগ্রাম ও আঙ্গরপোতা ছিটমহল পাটগ্রাম উপজেলার একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন ‘দহগ্রাম ইউনিয়ন’ হিসেবে পরিগণিত হয় এবং ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ আগস্ট এখানে ইউনিয়ন পরিষদের শুভ উদ্বোধন ঘটে। কিন্তু এই দহগ্রামের প্রায় ২২,০০০ মানুষের জন্য মাত্র ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল আছে, নেই কোন কলেজ, মাত্র ৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় (জাতীয় তথ্যা বাতায়ন)। আমরা যখন দহগ্রাম অতিক্রম করছিলাম তখন অনুভব করতে পেরেছিলাম কত যুগ ধরে অবহেলার শিকার এই জনপদ, কত ভঙ্গুর তাদের জীবনব্যবস্থা। আশার কথা হল বর্তমান সরকার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এখানকার টেকসই উন্নয়নের জন্য। তবে ভারতের বিমাতা সুলভ আচরণ অগ্রহণীয় বলে আমি মনে করি। সব শেষে বলতে চাই, আপনি যদি কখনো উত্তর বংগে যান তাহলে দহগ্রাম আর তিন বিঘা করিডোর ঘুরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আসুন কিন্তু মনে রাখবেন করিডোরের ভেতর অযথা দাঁড়ানো যাবেনা, কারন বি এস এফ গুলো বেজায় পাজী।


[কেউ যদি এই ছবি ব্যবহার করতে চায় তবে অবশ্যই লেখকের অনুমতি নিতে হবে]

https://www.facebook.com/jakir1.bd
https://www.youtube.com/jakirhossaindu
https://twitter.com/jakirdu12
https://www.scribd.com/user/265934287/Jakir-Hossain-Raju
https://soundcloud.com/jakirdu12
https://www.instagram.com/landless_lord_jak
https://www.linkedin.com/in/jakirdu12/
https://www.pinterest.com/jakirdu12/
https://www.slideshare.net/jakir1bd



তথ্যসূত্রঃ
১. জাতীয় তথ্য বাতায়ন Click This Link

২. জেলা তথ্য বাতায়ন site/tourist_spot/1fa986b9-18ff-11e7-9461-286ed488c766/তিন-বিঘা-করিডোর-ও-দহগ্রাম-আংগরপোতা
৩. উইকিপিডিয়া bn.m.wikipedia.org/wiki/তিনবিঘা_করিডোর

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই করিডোর দিয়ে কাহারা কোথায় যাওয়া আসা করে? মুল বাংলাদেশের সাথে এখনো কোন ছিট মহলকে কি যোগ করেছে এই করিডোর?

ভারতের ভেতরে কি এখনো ছিট মহল আছে?

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

জাকির হোসেন ঝরাপাতা বলেছেন: এটা আসলে ছিটমহল সমস্যার বাইরের ব্যাপার কারন এটা ১৯৭৪ সালেই মিটে গেছে কিন্তু ভারত তা মেনে না নিয়ে তাদের জোর দেখিয়ে আসছে, আপনি পুরা পোস্ট টা পড়লে আরো ক্লিয়ার হবেন, ধন্যবাদ।
B-)

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি প্রশ্ন বুঝেছেন, নাকি প্রশ্ন ফাঁস কর‌্তে হবে?

এই করিডোর কি ভারতের ভেতরে কোন ছিট মহলকে বাংলাদেশের সাথে যোগ করছে এখনো?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০৪

জাকির হোসেন ঝরাপাতা বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার পোস্টা না পড়েই আবোল তাবল প্রশ্ন করেই চলেছেন, আমি একাধিক বার বলেছি হ্যা এটা এমন একটা ভূমি যা দুই দেশের দুইদিক দিয়ে একত্র করেছে। প্রশ্ন ফাঁস না করে পোস্টটা পড়ুন কাজে দিবে।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভারতে কতৃত্ববাদী মানসিকতার বিপরীতে বাংলাদেশের চলমান সরকারের এত এত উদার দানের পরও তাদের নীচুতা গেল না!
সার্বভোমত্ব কিছূটা না ভালই প্রশ্নের মূখে পরে! কিন্তু প্রশ্ন করার কেউই নেই!

তারা পুরো বাংলাদেশর বুক চিরে ট্রনজিটের রাজকিয় সুবিধা ভোগ করে! অথচ সামান্য জায়গাটুকুতেও ছাড় দিতে কৃপণতা!

কিছূ কিছূ জিনিষ আদায় করে নিতে হয়। কারো দানের ভরসায় থেকে নয়।


১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৬

জাকির হোসেন ঝরাপাতা বলেছেন: কথা খারাপ বলেননি

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: জোর যার মুল্লুক তার। আমরা যতই লাফাই না কেন কামার যা গড়বে তা গড়েই যাবে

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৮

জাকির হোসেন ঝরাপাতা বলেছেন: একদম, যা বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.