নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
মুরালি/গজা/খুরমা/আঙ্গুলি/ঝুরি ...একে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে নামকরণ করা হয়। তো একে আর কি নাম বলে আপনার এলাকায় জানাবেন ?
ছোট বেলা থেকেই আমাদের এলাকায় দেখে আসছি-টাকা বা অন্য ভাঙ্গারী জিনিস-পত্র দিয়ে ফেরি করি মুরালি বিক্রি করতো। দোখানেও বিক্রি করতো। বিশেষ করে গুড়ের মুরালীর যে স্বাদ তা আজও লোভনীয়। গত সপ্তাহে বাড়িতে গিয়েছি তো মুরালিও নিলাম এখন দেখি খোলা বা হাতে বানানো এবং প্যাকেটজাত দুটাই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।
দুরকমই নিলাম। প্যাকেটারটা বেশি কড়কড়ে, মুরমুরে ও মসলার ঘ্রাণ থাকায় ভাললাগেনি। হাতে তৈরীটা আগের মতই রূপ, রস, স্বাদে, গন্ধে/ঘ্রাণে অতুলনীয়।
শহরে যে মুরালি পাওয়া যায় সেটা গ্রাম থেকে হাতে তৈরী করারটার ধারে কাছেও নাই। অনেক অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
মুরালি তৈরী রেসিপি-
চিনি/গুড় : ১ টে চামচ, সয়াবিন তেল: আধা কাপ, লবণ : সামান্য পরিমাণ, পানি: প্রয়োজন মত, তেল : প্রয়োজন মত ভাজার জন্য
সিরার বানানোর জন্য :
চিনি/গুড় : এক কাপ, পানি : আধা কাপ
প্রণালি :
ময়দার সাথে তেল, চিনি/গুড় ও লবণ মিশিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে অল্প অল্প পানি দিয়ে শক্ত ডো বানাতে হবে এবং ডো টাকে একটি ভেজা কাপড় দিয়ে ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিতে হবে।
এবার এই খামির বা ডো থেকে একটু মোটা করে রুটির মত বেলে একটি ছুরি দিয়ে মুরালির আকারে কেটে হালকা ডলে সাইজ করে নিতে হবে।
চিনি/গুড় ও পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে অল্প জ্বালে সিরা রেখে দিতে হবে।
এবার ভাজার জন্য তেল হালকা গরম হলে ওই তেলে মুরালি গুলো মাঝারি আচে বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে।
এবং ভাজা হলে একটি টিস্যুর উপর ছরিয়ে রাখুন।এবার ভেজে রাখা মুরালি গুলো চিনির/গুড়ের সিরায় দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না মুরালি গুলো চিনি/গুড় গায়ে লেগে ঝরঝরা না হয়।
ডান্ডা হয়ে গেলে বয়ামে ভরে সংরক্ষণ করে অনেক দিন খেতে পারবেন।
ছবি-প্রথমটা নিজের তোলা আমাদের এলাকার সেই মুরালি, ২য়টা নেট থেকে নেওয়া।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বেশি তেল দিলে তা ক্ষতিকর হতে পারে কিন্তু অভার অল এতে পেট খারাব বা হার্টের জন্য গুরুতর ক্ষতিকর কোন উপাদান নেই বিশেষ করে হাতে তৈরি মুরালি।
ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার এলাকায় আঙ্গুলী বলে তবে এখন কম দেখি ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ তথ্য শেয়ারে। এই খাবারটা এখন কমে গেছে কারণ ফাস্টফুড এসেগেছে।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮
রামিসা রোজা বলেছেন:
আমরা এটা কে মুরালি বলি । আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের
বিশেষ করে মেলা পার্বণ এর জনপ্রিয় খাবার এটি ।
সেদিনও আমি সুপার শপ থেকে কিনে এনেছি ।
ধন্যবাদ ভালো লাগলো লেখাটা ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মেলা ছাড়াও আমাদের গ্রামের বাজারে সারা বছর পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করায়। ভাল থাকবেন।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মাইদুল ভাই, কি কয়ে যে আপনেরে ধন্যবাদ দিমু ,বাসা(ভাসা) আরাইলাইছি।
আহা ,মুরালি (শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালি ধন নয়)।ব্যাপোক বালা বাই।কত যে খাইছি। আর গ্রামীণ মেলার এবং গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রধান অনুষংগ।যদিও এখন তেমন পাওয়া যায়না তারপরেও পাইলেই খাই।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হাছাই কইছেন - যারা খায় তারাই এর মজা পায়।
লেখাটা লিখার সময় মুত্তিয়া মুরালি ধরনকে মনে পড়েছে বটে। আপনিও এটা উল্লেখ করলেন ব্যাপক বিনুবোদন।
ধন্যবাদ লইয়েন ।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১
সপ্তম৮৪ বলেছেন: আমরা বলি খুরমা। মুরুব্বিরা হাট থেকে ফেরার সময় বাচ্চাদের জন্য নিয়ে আসতেন। গরম গরম খেতে বেশ মজা।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। একেক এলাকায় একেকটা বলে।
ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে কিনি। খাই। এবং গ্যাস্ট্রিকে ভূগি।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আদা খাবেন কাচা আদা নো গ্যাস্ট্রিক। ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: মজার জিনিষ। আমরা এটাকে খুরমা বলি।
এটা হলো লবঙ্গ, আপনারা কি বলেন ?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
খুরমা প্রথম শুনলাম।
ছবির এটাকে আমাদের এদিকে কি যেন বলে মনে আসছেনা তবে এটার সাইজ লম্বা ধরনের হয় এরকম গোল বানায় না (এখন তেমন পাওয়াই যায় না)। এরকম গুল আকৃতির ঝাল যেটা বানায় সেটা অন্থন।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭
কল্পদ্রুম বলেছেন: আমি গজা নামে চিনি। এটার যে এতগুলো নাম চালু আছে জানতাম না। গরম গরম খেতে ভালো লাগে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। গরম ও ঠান্ডা দুটোই ভাল লাগে।
পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
জুন বলেছেন: ছোট বেলায় এক রকম মুরালী খেতাম মিষ্টি লাল রঙের পুরু কোটিং দেয়া। কি যে মজার ছিল আর খেলে জিহভা লাল হয়ে যেত, আর আম্মার বকা খেতাম। মেলায় এখন কেমন যেন সাদা সাদা, আগের স্বাদ পাই না। মনে হয় বয়স
+
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ জুন আপু।
আগে হয়তো রং দেওয়া হতো, এখন দেওয়া হয়না। আর আমাদের এলাকারগুলো এখনো আগের মতই স্বাদের।
চিনি দিয়ে করলে সাদা হয়, গুড়ের গুলো একটু লালচে।
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: ছোটবেলায় মেলা থেকে কিনে দিতো।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ । আমিতো বড় বেলায়ও খাই, ভাললাগে।
১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০৯
ইসিয়াক বলেছেন: গজা বলে আমাদের এলাকায়।
আমার খুব প্রিয়।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো প্রিয় ভাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ। ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
হার্টের ও পেটের জন্য ক্ষতিকর; এগুলোর বিক্রয় বন্ধ করে দেয়া উচিত, কেহ চাইলে ঘরে তৈরি করে খেতে পারে।