নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............
খেতে না চাওয়া বাচ্চাদের একটি কমন বদভ্যাস। সেদিন আমার মেয়ে জাফরিন বারবার বলছে তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিছুদিন আগেই এসে জ্বর আক্রান্ত হয়েছিল এবং এ কারণে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। সে অভিযোগ করছে পুরান বাসায় থাকতে তাকে বেশি ঘুরতে নিয়ে যেতাম আর নতুন বাসায় এসে আমরা তাকে তেমন কোথাও নিয়ে যাচ্ছি না।
তার মা বললো, ঠিক আছে তুমি খেয়ে দুপুরে ঘুমিয়ে নাও । বিকালে আমরা ঘুরতে বের হব। কিন্তু খাওয়াতে বসে ঘটলো-বিপত্তি। দুইদিন লোকমা খেয়ে মেয়ে আর খেতে চাচ্ছে না।
তার মা তাকে গল্প বলে , মোবাইল দেখিয়ে খাওয়াতে চাচ্ছে তবুও খাওয়াতে না পেরে বিরক্ত হয়ে তার পিঠে চড় মেরেছে। মেয়ের কান্না শুনে আমি এসে আমার স্ত্রীকে বকলাম এবং খাবারের প্লেট নিয়ে রাগ করে রেখে দিয়ে ।বললাম খাওয়াতে হবে না, মারতেও হবে না এবং তাকে ঠেলে সরিয়ে দিলাম। সে অন্য রুমে গিয়ে রাগ করে বসে থাকলো।
মেয়েকে শান্ত করে বুঝিয়ে শুনিয়ে আমি সবগুলো ভাত খাওয়ালাম। প্রায় ঘন্টাখানেক সময় লেগে গেল। আমি নিজে খেয়ে মেয়েকে রেডি করিয়ে ঘুরতে বের হব এমন সময় মেয়ে তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল, মা তুমি যাবা না।
মেয়েকে মারার গ্লানিবোধে তার মা নীরবে কাঁদছে। আমার মেয়ে, মায়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল, মা আমি তো সবগুলো ভাত খেয়েছি বাবার হাতে, তবুও তুমি যাবানা।
মেয়ের এই কথা শুনে এবং চোখের পানি মুছে দেওয়ায় মায়ের চোখে আরো অশ্রু ভিড় করতে লাগলো। অবশেষে আমরা বাপ মেয়ে বেরিয়ে গেলাম। সেদিন সন্ধ্যা অবধি পার্কে ঘুরলাম এবং শপিং করে বাসায় ফিরলাম।
কিন্তু মেয়ে বারবারই বলছিল মা কেন আজ আসলো না। আমি বললাম তোমার মার মন ভালো নেই। মেয়ে বলল কিন্তু আমার তো ঘুরতে এসে মন ভালো হইছে।
সেটা দিয়ে বুঝাতে চাইলো আম্মু ঘুরতে আসলেও আম্মুর মন ভালো হতো।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কিন্তু ভাই সমস্যা হচ্ছে আমার মেয়ে খুদা লাগলেও বলে না যে ক্ষুধা লেগেছে। সারাদিন চলে গেলেও বলে না খাবার খাব। আর তাকে খাওয়াতে তিন বেলায় তিন ঘন্টা লাগে। তাই মাঝে মাঝে ধৈর্যের সীমা ব্রেক করে মাইর খায়
হুম আমি ভিলেন হয়ে গিয়েছিলাম। আসার পরে আমার সাথে আর কোন কথা হয়নি পরের দিন রাতে গিয়ে কথা হয়েছে। তাও আবার সরাসরি না বাবুর মাধ্যমে।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
মেয়েকে নিজে খেতে দেন, মা বা আপনি খাইয়ে দেবেন না।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাবুকে নিজে খেতে দিলে সে এক লোকমা দুই লোকমা খেয়ে খাবার নষ্ট করে আর খায় না। ধন্যবাদ আমরা বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করছি যাতে সে নিজে নিজে খেতে পারে।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আরো গল্প হোক। খাওয়া নিয়ে অনেক সমস্যা করবে। মেনে নিন।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন আপনার ছেলের কি অবস্থা। খাবারের প্রতি তার আগ্রহ কেমন।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: কন্যা ভালো থাকুক। এই প্রার্থনা করি।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৭
মরুর ধুলি বলেছেন: কন্যার বাবাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খাবার খাওয়াতে জোরাজুরি করা উচিত না। যদিও মায়েরা ভালোর জন্যই করে থাকে।
গরীব বাচ্চার মায়েদের কখনও তার বাচ্চাকে খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে হয় না। এরা ঠিকই সময় মত যা পায় তাই খায়। শিশু বিশেষজ্ঞরাও বলে যে জোরাজুরি করলে আসলে কোন লাভ হয় না।
তবে মা এবং মেয়ের মান অভিমান ভালো লাগলো। আপনি মনে হয় মাঝখানে ভিলেন হয়ে গেছেন।
বাসায় ফেরার পর কি হল সেটা জানা হল না।