নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দরতর ও শ্রেষ্ঠতর আগামীকালের অপেক্ষায়...

সমুদ্র কন্যা

তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................

সমুদ্র কন্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি আসবে বলে আমার এ অপেক্ষা

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৬

সূচী দাঁড়িয়ে আছে। বিব্রত চেহারা, ভিতরের উত্তেজনা ওর প্রতিটা নড়াচড়ায় টের পাওয়া যাচ্ছে। এক মূহুর্তের জন্যও স্থির হতে পারছে না। একবার ডান পায়ে তো একটু পরেই বাম পায়ের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়াচ্ছে। বারবার তাকাচ্ছে ডানে-বামে, সামনে-দূরে... । অস্থির হাতে চুল ঠিক করছে, টিস্যু দিয়ে মুছছে নাকের ডগাটা, বারবার মুছতে মুছতে লাল হওয়ার জোগাড়! ভাবছে একবার আয়না বের করে চেহারাটা দেখে নেবে কিনা। পরমূহুর্তে আবার সংকোচ হচ্ছে রাস্তার মাঝখানে... কত লোক আশপাশে। এমনিতেই তাদের দৃষ্টিতে কৌতুহলের অভাব নেই।



আজ নিরবের সাথে দেখা হওয়ার কথা। নিরব, নামটাই শুধু নিরব। মানুষটা যে কতখানি সরব! আনমনে একটু হাসে সূচী। কথা, হাসি, কৌতুক, গল্প, গান, আবৃত্তি অথবা ফোনের ওপাশে নি:শব্দ উপস্থিতি, হালকা নি:শ্বাস...সবকিছুতেই নিরব নিজের অস্তিত্বকে সরবে জানান দেয়। খেয়াল করে ওপাশ থেকে মুড়িওয়ালাটা হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে আছে সূচীর দিকে। একা একা হাসছিল বলে? ধুর এটা একটা জায়গা হল দাঁড়নোর! আর ছেলেটা যে কি...এখনও আসছে না। নিরব বলেছে, '’আমরা দেখা করবো রমনায়। তুমি দাঁড়াবে অস্তাচল গেটের সামনে, একসাথে ভেতরে ঢুকবো।'’ '’ওখানে কেন?'’ '’কারণ ঐ জায়গাটা আমার সবচেয়ে পছন্দ।’'



সূচী ভাবে সত্যিই জায়গাটা সুন্দর। সামনের রোডটা, দুপাশ থেকে গাছ ডালপালা ছড়িয়ে রাস্তার ওপর ছাদ বানিয়ে রেখেছে। গাছের ছায়ায় রোদটা অতখানি কড়া না বরং কেমন মায়াময় একটা আলো চারদিকে! গাড়িগুলো সাঁ সাঁ করে চলে যাচ্ছে। শুধু আশপাশে ফেরিওয়ালাগুলো যদি না থাকতো! সূচীর অস্থির অপেক্ষা দেখে তারা খুব মজা পাচ্ছে, তাকিয়ে আছে ড্যাবড্যাব করে, নিজেদের মধ্যে কিসব বলছে আর মিচকি মিচকি হাসছে। রাগ হয়ে যাচ্ছে সূচীর।



দূরে একটা ছেলে হেঁটে আসছে। লম্বা, ঝাকড়া চুল, চোখে সানগ্লাস। ’'এই ছেলেটাই নাকি?'’ ভাবে সূচী। ছেলেটার হাতে একটা গোলাপ। ভাল লাগে দেখে। প্রথমদিন দেখা করতে আসছে, ফুল আনবে না...এটা কেমন কথা? ’'গুড বয়’'। সূচী ভাল করে দেখে। কিন্তু ছেলেটা ওর দিকে কোন মনোযোগই দিচ্ছে না। ’'আশ্চর্য! না তাকালে চিনবে কি করে!’' ওরা কেউই কাউকে আগে দেখেনি। এমনকি ছবিও না। সূচী কতদিন বলেছে তোমার একটা ছবি আমাকে মেইল করে দাও। কিন্তু নিরব কিছুতেই রাজি হয়নি। ওর যুক্তিটা অবশ্য খুবই সুন্দর। ও যে কতটা কল্পনা প্রবণ ছেলে এটা শুনলেই বোঝা যায়। ও বলে, '‘তোমার কণ্ঠই তোমার অস্তিত্ব আমার কাছে। তোমার প্রতিটা কথা, হাসিতে আমি তোমাকে নতুনভাবে অনুভব করি। আমি কল্পনা করি তোমার চোখ, চোখের তারার ঝিকিমিকি, তোমার হাসি...প্রতিবার তুমি নতুন করে ধরা দাও আমার কাছে। কিন্তু যদি তোমার একটা ছবি দেখে ফেলি, তাহলে তুমি সেই ছবিটাই হয়ে থাকবে শুধু। যতই তোমাকে ভাবতে চাই না কেন তোমার ছবিটা একইভাবে তাকিয়ে থাকবে আমার দিকে। আমরা নিজেদের মত করে নিজেদের গড়ে নেবো কল্পনায়। ছবি পাঠিয়ে সেটা নষ্ট করো না।'’ ভাল লেগেছিল সূচীর কথাগুলো। তাই আর জোর করেনি। সূচী আবার আগ্রহ নিয়ে তাকায় ছেলেটার দিকে। অনেকখানি কাছে চলে এসেছে। সূচী ভাবে, '‘কে আগে কথা বলবে? আমি না, কক্ষণো না।’' গম্ভীর হবার চেষ্টা করে সূচী অন্যদিকে ঘুরে তাকায়। আর ছেলেটা ওকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। ‘'ওহ, এ নয় তাহলে!’' সূচী যেন কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। এই ছেলেটা দেখতে ভাল হলেও সূচীর কল্পনার সাথে কিছুতেই মেলে না। কিন্তু নিরব যে কেন আসছে না এখনো!



আজকের এই দিনটার জন্য যে সূচীর কত অপেক্ষা, কত প্রস্তুতি। ওরা আরো আগেই দেখা করতে পারতো কিন্তু সূচীর পরীক্ষা, নিরবের আম্মার অসুস্থতা এমন একটার পর একটা ঝামেলায় দেরি হয়ে গেল। ছয় মাস! পরিচয় হওয়ার ছয় মাস পর দেখা করছে ওরা। সূচীর এখনো অবাক লাগে। রঙ নাম্বারে চলে যাওয়া একটা ফোন কলের সূত্র ধরে যে পরিচয় তা আজ কতদূর গিয়ে পৌঁছেছে। ও যে কখনো এমন অপরিচিত কারো সাথে কথা বলবে তাইতো ভাবে নি। নিরবের কথায় কেমন যেন একটা যাদু আছে। এমন করে কাছে টেনে নেয়! সূচী কিছুতেই পারল না এড়াতে। জড়িয়ে গেল। ঘন্টার পর ঘন্টা, রাতের পর রাত ওরা কথা বলে পার করেছে। কথার পিঠে কথা সাজিয়ে এঁকে গেছে রঙিন স্বপ্ন। ভালবাসার জোয়ারে ভেসেছে দুজন। শুধু দেখা করাটাই হয়ে উঠেনি। ‘দেখা কর, দেখা কর’ বলে অস্থির করে ফেলেছে নিরবকে। এবং অবশেষে আজকেই সেই দিন। রাজি হয়েছে নিরব দেখা করতে।



সারারাত উত্তেজনায় ঘুম হয়নি সূচীর। ছাড়া ছাড়া অস্থির ঘুমে কেটে গেছে রাত। সকাল সাতটায় এলার্ম দেয়া ছিল ঘড়িতে। কিন্তু ঘুম ভেঙে গেছে আজানের সাথে সাথেই। কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করে শেষ পর্যন্ত উঠেই পড়েছে বিছানা ছেড়ে। গোসল সারল, শ্যাম্পু করল চুলে। যত্ন করে চুল শুকালো। ধীরে ধীরে বেশ সময় নিয়ে সাজল। ঠিক যেভাবে নিরব ওকে দেখতে চেয়েছিল। নিরব বলেছিল, ‘'এত সেজো না যে আমি তোমাকেই দেখতে পাবো না’।' এত সাজেনি সূচী। লাল-সাদা জামাটা পরেছে, হাল্কা কাজলের রেখা টেনেছে চোখে, ছোট্ট একটা সাদা পাথর বসানো লাল টিপ কপালে, হাল্কা একটু লিপস্টিক, কানে লাল পাথরের ছোট্টো একটা দুল আর হাতভর্তি লাল চুড়ি। এই-ই। সাজ শেষে যখন আয়নায় তাকাল সূচী নিজেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সারারাতের জাগরণ এতটুকু ছাপ ফেলেনি মুখে। বরং অনেক স্নিগ্ধ, সুন্দর দেখাচ্ছে। নিজেই নিজেকে মিষ্টি একটা হাসি উপহার দিল।



সাড়ে দশটায় আসার কথা। সবসময় নিরব বলেছে, ‘'আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রেখো না’'। অপেক্ষা করিয়ে যাতে রাখতে না হয় তাই সূচী সোয়া দশটায় চলে এসেছে। অথচ বাবুর দেখা নেই। কখন যে আসবে কে জানে! অস্থির হয়ে ঘড়ি দেখল সূচী। পৌনে এগারটা বাজে। আবার তাকাল রাস্তার দুপাশে, যদি দেখা যায়। একবার ভাবল ফোন করবে কি না। কিন্তু আবার গাল ফুলিয়ে ভাবল, '‘কেন আমি ফোন করবো? গরজ কি আমার একার?’' ভীষণ অভিমান হচ্ছে সূচীর। আশপাশের লোকগুলো কেমন সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। ওর ইচ্ছে করছে চলেই যায়। এভাবে অপেক্ষা করিয়ে রাখার কোন মানে হয়? তবু নিরবের আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকল সূচী।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১১

রাজসোহান বলেছেন: পুত্তুম পিলাইচ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাইডি, থ্যাঙ্কু :)

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২২

শ।মসীর বলেছেন: তুমি আসবে বলে তাই ..............আমি ..............।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আহারে তাও আসে না........দু:খ...দু:খ :(

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৩

স্বপ্নকথক বলেছেন: হৈ, এইডা কি হৈল!! ধুত! মাইনাচ X(( X(( X(( X(( X(( X((

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: স্বপ্নকথক চেতছে দেখি...হি হি...মজা পাইলাম.... :D
স্বপ্ন বলে বেড়ান আর জানেন না স্বপ্ন এর চেয়ে বড় হয় না...এইরকম হঠাতই শেষ হয়ে যায়........

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

অদ্বিতীয়া সিমু বলেছেন: হুমমম........অপেক্ষার প্রহর বড় দীর্ঘ.......++++


Click This Link

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩২

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ সিমু।

৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৪৯

তাজা কলম বলেছেন: এভাবে অপেক্ষা করিয়ে রাখার কোন মানে হয়? তবু নিরবের আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকল সূচী।

ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে অপেক্ষায় অপেক্ষায়
নিরব এসে সরব হবে, এ আশায়
সূচী দাঁড়িয়ে থাকে, নির্জন অভিসারে!
তবুও নীরব আসে না।
হে নরাধম নিরব, আর কত সময় নিবি তুই
আর কত দীর্ঘায়িত করবি প্রতীক্ষাকাল?
হারামজাদা, চলে আয় এক্ষুনি
আমাদের গল্পের নায়িকা সূচীর কিছু হলে
রক্ষা নেই তোর, ডাকুম র‌্যাব
ক্রসফায়ারেই হারিয়ে যাবি নিমেষেই।


২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হা হা হা........তাজা কলম দেখি মারদাঙ্গা হয়ে উঠছে দিন দিন........
কি যে হবে! B:-/

৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২

পাপতাড়ুয়া বলেছেন: তবুও অপেক্ষায় থাকে সূচী।

ছোট্ট একটা না পাওয়া অনেক সুন্দর হয়ে উঠেছে সমুদ্র কন্যার আঙুল ধরে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৯

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনার বলাটাই যে কত সুন্দর হয়েছে!
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাপী।

৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৮

কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি বলেছেন: এইটা কি এখানেই শেষ হয়ে গেলো!!!

অপেক্ষা জিনিসটা খুবই বাজে।
নিরবের জন্য মাইনাচ, আপনার জন্য রইলো শুভেচ্ছা-ভালো লাগলো লেখাটা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫১

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি জানি না শেষ কি না। ভাবিনি এটা নিয়ে এরপর।
অপেক্ষা জিনিসটা আসলেই খুব বাজে। প্রথমদিন অন্তত নিরবের আগে আসা উচিত ছিল।
অনেক ধন্যবাদ মেঘ-বৃষ্টি।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৬

কঁাকন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা ;এবার পাঠক গল্প বানাক নিরব কি এলো নাকি এলোনা; কেন এলো না, কেন এই দেরি.....

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১৬

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাঁকন।
ঠিক বলেছেন, গল্পের বাকিটা আপনাদের হাতে......

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৫

ইচ্ছে বলেছেন: সুন্দর,
পাঠকের চেয়ে আপনার হাতেই মনে হয় ভাল পুর্নতা পাবে গল্পটা যদিও আপনার লেখাটা রবিন্দ্র নাথের ছোট গল্পের সেই সংজ্গাটাই মনে করে দেয় "শেষ হইয়াও হইল না শেষ..."

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৭

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইচ্ছে।
গল্পটা নাহয় অপূর্ণই রয়ে যাক......"শেষ হইয়াও নাহোক শেষ"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.