![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিথি প্রীতিভাজনেষু, ঠিক এইরকমই একটা রাত, যার কৈশোর কেটে গেছে দূরন্ত অবহেলায়, এখন যার দূর্দান্ত যৌবন...তোকে দেয়া গেল। সঞ্জীবদার নিজের ছায়া, বাড়িয়ে দেয়া হাত, এবং তার নিরব হাতছানি উপেক্ষা করার অনিচ্ছুক সাহস- আর সেই ভলভো বাসটার দ্রুত চলে যাওয়া- দেখতে দেখতে অনেকটা পথ অতিক্রান্ত আজ! সময়ের দাবী বন্ধুত্ব আজ নিত্য অভ্যাস কিনা সে ভাবনা নিন্দুকের ঘাড়ে চাপিয়ে চল পেরিয়ে যাবো অবহেলার হিমালয়। কোন কথা আজ নয়, কারণ আমরা আজ জেনে যাবো আগের মত কিছু নেই। আজ গানের তালে হাওয়ার নাচ, বুকে স্বাধীনতার স্বপ্ন.....এইসবসহ বেরিয়ে যাবো সমুদ্র-স্নানে। মুক্তি আজ আমাকে ইশারায় অভিসারের আহবান জানাচ্ছে। একবার যদি সুযোগ পাই, আমিও আলিঙ্গন করবো মুক্তির স্বাদ। নীলাচলের পাদদেশে বাধা ঘরের ধারটায় আজ ফুটেছে অনেক রঙমাতাল অর্কিড আর তার খুব কাছে একটা মাত্র ক্যাকটাস! কিন্তু আমি আজ উপলব্ধি করি কাঁটা বাদ দিলে ক্যাকটাসের ফুলের তোড়ায়ও ভালবাসা হয়। একদিন বহুদিন পরে যদি একটা দিন আমার হয়, কথা দিচ্ছি সেই দিনটা তোদের...শুধু রাতটুকু আমার নিজস্ব। কারণ তোরাতো অন্তত জানিস, ভালবাসা পেলে-আর একবার যদি ভালবাসা পাই তাহলে আমি আকাশ ছুঁবো! কারণ বুকে আমার সাগরদোলার ছন্দ। তবুও ভাবনার গভীরে একটা অক্টোপাস এমনভাবে জড়িয়ে রাখে, আমি শ্বাস নিতে পারি না। তবুও জানি একদিন এই চাঁদের সঙ্গী রাতটার মত হারতে হারতে জিতে যাবো আমি, তুই, সে, তারা অথবা আমরা সবাই.......................
ভার্সিটিতে ক্লাস শুরুর প্রথম দিনই রিমির সাথে আমার জনম জনমের বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চারমাস পরেই ও চলে যায় দিনাজপুর মেডিকেলে, পরিবারের সবার ইচ্ছা মেয়ে ডাক্তার হবে। ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলাম তখন। মোবাইল ছিল না, যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল চিঠি। আমার প্রথম চিঠির উত্তরে ওর চিঠিটা আমার সংগ্রহের এক অমূল্য সম্পদ। এই চিঠিটা আমাকে চিঠি লিখতে শিখিয়েছিল, চিঠি লেখাকে ভালবাসতে শিখিয়েছিল। এরপর আমি কত যে চিঠি লিখেছি। রোজ রোজ প্রতিটি বন্ধুর হাতে একটা করে চিঠি ধরিয়ে দিতাম, তাদের উত্তরের জন্য ঘ্যানঘ্যান করতাম। কত রঙের কাগজ আর কত রঙের কলম যে ছিল আমার চিঠি লেখার জন্য! এখন অবশ্য আর চিঠি লেখা হয় না কাউকেই।
কালরাতে পুরনো চিঠিগুলো খুলে খুলে পড়ছিলাম। কত কত স্মৃতি, কত কত ঘটনা! হাসি-আনন্দ, মন খারাপ, মান-অভিমান.......আর রিমির প্রথম চিঠিটা, সবগুলো চিঠির মধ্যে সবচেয়ে সেরা। বারবার বারবার ঘুরে ফিরে পড়লাম।
আমার আদরের T, ১৪/১১/০২
ভালবাসা আর শুভকামনা জানিস। তোর চিঠি পেয়ে যতটা আনন্দ হয়েছে, ঠিক ততটাই কষ্ট হয়েছে। ভাল লাগার কারণ-তোরা আমার জীবনের সবচেয়ে সবচেয়ে আনন্দের, গৌরব আর স্বপ্নময় সময়ের, স্বচ্ছ আর মুক্ত আকাশের বন্ধুপাখি। তোদের চিঠিতে যেন তোদের অবারিত ডানার গন্ধ আর অপূর্ব ডানা ঝাপটানোর বাতাস লেগে থাকে। আর কষ্টের কারণ.........বুঝিসইতো, আমি আমার আকাশ হারিয়েছি।
আমার জীবনে, জানিস, নিরঙ্কুশ আনন্দের সময় কখনো আসেনি। চিরকালই আমি বিষন্নতায় মলিন। কৈশোর থেকে তো ‘মন খারাপ’ কথাটা আমার জীবনে সিল মারা হয়ে গিয়েছিল। তখন আমি যখন কোন প্রিয় মানুষকে চিঠি লিখতাম, তা হতো আমার আজকের চিঠির ভাষাগুলোর মতো কবিতা-কবিতা।
যখন আমি নিজেকে পড়াশুনার চাপ, দৈনন্দিন যাতায়াত, পরিশ্রম, দু:খ, আঘাত-সবকিছুর উপস্থিতি সত্ত্বেও নিরঙ্কুশ সুখী মনে করলাম, সেই আই.ই.আর-এ, তখন আমার চিঠির ভাষা হয়েছিল তোর চিঠিটার মত, প্রাণবন্ত, জীবনের সাথে নির্ভয়ে জড়িত।
আজকের চিঠি পেয়ে কি তবে বুঝতে পারছিস, আমি কেমন আছি?---তবু কষ্ট পাস না। আমি ঠিক আমার মত করে ভাল নেই, তবে ভাল আছি। জীবনে নিশ্চিন্ত প্রতিষ্ঠা, প্রিয় আপনজনদের অনাবিল সন্তুষ্টি-যান্ত্রিক পৃথিবীতে বোধহয় এগুলোই বেশি কাঙ্খিত। ‘যান্ত্রিক’ না বোধহয়, বলা উচিত ‘সদা দৌড়ায়মান পৃথিবী’।
যখন তুই লিখলি, “আমি আর পিকুল ‘ঢাবিসাস’ এ আবৃত্তি ক্লাস করছি.....”
“পড়ালেখা বাদ দিলে আমাদের দিন আগের মতই চলছে। সেইতো ক্যান্টিনে কি মল-চত্বরে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে বসে গ্যাঁজানো.....”
“আপা বলেছিল না, আই.ই.আর.-এ একদল উন্মাদ ভর্তি হয়েছে। এমন কিছু ভুল বলেনি।”
..................আমার এমন উন্মাদ হতেই যে ভাল লাগে T!
এখানে ক্লাস এ বসে আমি শুধুই বুক মুচড়ে মুচড়ে খুঁজি শ্যামলী ম্যাডাম, রাশিদা ম্যাডাম, তাহমিনা ম্যাডাম, সিদ্দিকী স্যার, পাভেল স্যারদের উজ্জ্বল, ভালবাসা, স্নেহ আর বন্ধুত্ব মাখানো, আমাদের অনুভূতি, জিজ্ঞাসা, মতামতের প্রতি অ™ভুত সহনশীল মুখগুলো। জানিস, এখানে সহজে ছুটি দিচ্ছে না। - অথচ আমি যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় যাবার জন্য উদগ্রীব - শুধু ভার্সিটি খোলা থাকলে গিয়ে তোদের সবাইকে একবার দেখবো বলে। আর বাসা, চিরকালের নিজস্ব টেবিল, বিছানা - বুকের ভেতর হৃদপিন্ডটাকে বারবার চেপে ধরে সব।
আমি আর পারি না আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এর ঐতিহাসিক সুবিস্তৃত ভবন, মাঠ, রাস্তা, ভাস্কর্য, টি.এস.সি., আই.ই.আর., বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য যমজ বাস, ক্যাফেটারিয়া, শহীদ মিনারের ঝকঝকে স্মৃতিগুলো নিয়ে। আমি আর পারি না ‘আমার বাংলা আমার বৈশাখ’ নামের দেয়ালিকা, পহেলা বৈশাখ, মঙ্গলবারের স্বরশীলন, ক্যান্টিনের প্রতীক্ষা কয়েকজনকে নিয়ে, প্রথম শীত, ‘ধীরে চলুন’ এর সামনে ধীরে চলার স্মৃতিগুলো নিয়ে।
কি করে ভুলি বল!
ব্যস্ততায় ‘সলিল সমাধি’ না হয়ে গেল, মাঝে মাঝে সবার উদ্দেশ্যে একটা গণচিঠি লিখবো। - তুই কিন্তু নিয়মিত লিখিস। লিখতে বলিস আমাদের বাকি ৭ কনড্রিকথিস, মিশু, দ্যুতি, হিমেল, মাসুম, জামিকে।
আচ্ছা ১১ই ডিসেম্বর তোদের আমার ঘরে পাবোতো? যদিও এখন সন্ধ্যা হয় তাড়াতাড়ি। তোদের হয়তো সমস্যা হবে। তবু বাসায় একটু বুঝিয়ে, আসতে পারবি না একসাথে? সক্কালে? বিকালে নাহয় তাড়াতাড়িই ফিরে যাস!
নাকি এক কাজ করবি- তোরা ‘দুম’ করে হারিয়ে যা আমার জীবন থেকে। বাসায় গেলেও যেন আমার আই.ই.আর.-এর স্বপ্নের মত প্রিয় মানুষগুলোর জন্য কোন প্রতীক্ষা না থাকে।
আমার কথা সত্যিই বলে সবাই? জানি, মানুষ হারিয়ে যাওয়া মানুষকে একসময় ভুলে যায়। কিন্তু তোরা তোদের এই বোকা, অথচ জটিলতর জীবনাবর্তে ঘুরপাক খাওয়া বন্ধুটাকে অন্তত মনে রাখিস! অনেকদিন পর পর হলেও ক’জন একসাথে আমার গল্প বলিস! আমি তোদের সত্যিই বড় ভালবাসি। আমি তোর অদ্ভুত সুন্দর চোখ দুটোকে ভালবাসি। আমি তোর অসামান্য বন্ধুত্বকে ভালবাসি।
--------------হ্যাহ।। মনের ভারে আমার বিছানা, টেবিল দেখছি ভেঙে যাবার যোগাড় হয়েছে! ইয়াব্বড় চিঠি জুড়ে শুধু নিজের কথা লিখছি বলে নিজেকে একটুও স্বার্থপর মনে হচ্ছে না। যে চ্যাপ্টারগুলো ক্লোজড, সেগুলোর গল্প হবে দেখা হলে। তবু তুই ভাল থাকিস বন্ধু। তোদের মাঝে আমি দেখতে চাই পৃথিবীর মত গভীরতা, বিশালতা।
তোদের পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে, তাই না? খুব ভাল করতে হবে কিন্তু! তোরা এতটাই ভাল করবি, এতটাই ভাল অবস্থানে যাবি, এতটাই স্বচ্ছ মনের অধিকারী হবি যেন আমি একদিন গর্ব করে বলতে পারি-এরা আমার আই.ই.আর.-এর বন্ধু, আমি আই.ই.আর.-এর ৮ম ব্যাচের একদল উন্মাদের মাঝে একজন হতে পেরেছিলাম।
বন্ধু
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আররে.......এতদিন পরে ফাস্টু হইছো?
ভেরি গুড...ভেরি গুড...
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৭
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: সব বন্ধুরা ভাল থাক!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সব বন্ধুরা ভাল থাক!
অনেক ধন্যবাদ আপু।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৬
মাহমূদ হাসান বলেছেন: ভাল লাগে যখন এমন ভালোবাস দীর্ঘদিন টেকসই করে। আমি তো জানি বান্ধবী তো দূরে মেয়েরা বিয়ের পর বোনেরা বোনেরাই কত দূরে চলে যায়।
বিশুদ্ধ হোক আমাদের হৃদয়। অনাবিল সুখ শান্তিতে ভরে উঠুক আমাদের জীবন।
ভাল লাগল স্মৃতি রোমন্থন। আজকাল আসলে অতীতটাকে একেবারেই ভুলে গেছি। শুধু সামনের দিনগুলোকে নিয়েই ভাবছিলাম। ইচ্ছে নেই নিজের অতীতকে নিয়ে ভাববার, তবু ভাল লাগল এই স্মৃতি রোমন্থন। সত্যিই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, আপনি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মিশুক প্রকৃতির। ভাবুক তো তাই।
ওকে টেক কেয়ার। বাই।
আদরের T , এই T মানে কি ভাই?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমূদ। অতীতটা এত সুন্দর, উজ্জ্বল , আলোকিত! অতীতে ফিরতে চাই না, কিন্তু এই স্মৃতিগুলো সবসময় আপন হয়ে থাক।
আর ভাল থাকুন, আপনিও।
T, আমার নামের আদ্যাক্ষর।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২০
মুজিব রহমান বলেছেন: রিমি ভালো আছে তো? আপনিও ভালো থাকুন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: রিমি ভাল আছে। নতুন জীবন শুরু করেছে কিছুদিন হল। দোয়া করবেন ওর জন্য।
অনেক ধন্যবাদ মুজিব। ভাল থাকুন আপনিও।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২২
কাব্য বলেছেন: আমি অকুন লিকবার গেলে ঠিক এরুম দুখের একখান চিডি হইবো ,তয় এতো সুন্দর না ।
বন্ধু কি এখন FCPS করছে ?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কেন...কেন...কাব্যবাবুর এরুম দুখের চিডি হইবো ক্যান?? চিঠি হবে হাসি আর আনন্দের অনন্ত উৎস, বুঝেছেন?
হাতের কি অবস্থা? না, বন্ধু এখনো FCPS করে নাই। করবে ইনশাল্লাহ।
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২২
কথক পলাশ বলেছেন: হুমম। চিঠির মধ্যে সবসময় কি যেন একটা থাকে। অনেক আনন্দের চিঠিও কেন জানি মনটা বিষন্ন করে দেয়। আমিও একটা চিঠি পোস্ট করেছিলাম। সময় পেলে পড়বেন। লিঙ্ক দিলাম।
ভূতুড়ে চিঠি!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: চিঠির মধ্যে কি থাকে সে রহস্য নাহয় নাই ভেদ করলাম। ভালবাসায় জড়ানো থাক প্রতিটি চিঠি, প্রতিটি স্মৃতি।
ভাল থাকুন পলাশ।
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২২
অন্ধকার বলেছেন: চমত্কার লেখনি...
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অন্ধকার।
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:২৭
নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বলেছেন: আবার যদি আমরা সবাই চিঠি লিখতাম .....................
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সত্যি, আবার যদি লিখতাম!! কিন্তু সময় কোথায় কারো? সবাই এত ব্যস্ত...এত ব্যস্ত...
ভাল থাকুন যোদ্ধাসাহেব।
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৩৭
সকাল রয় বলেছেন:
ইয়াব্বড় চিঠি.....................
রিমি আপনার বন্ধু এখন্ও আছে নাকি ???
তাকে আমার বৈশাখি শুভেচ্ছা দিবেন কবি
____________________________
গনচিঠি লিখতে আমার্ও ইচ্ছে করে ........................
+++++++++++++++++++++++++++++
আমি চিঠি পড়তে পছন্দ করি
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হুমম আরো বড় ছিল কিন্তু...এহটু কাটছাট করেছি।
থাকবে না! আমরাতো জনম জনমের বন্ধু!!
বৈশাখী শুভেচ্ছা পৌঁছে দিলাম। কিন্তু তুমি বোধহয় আর শোধরাবে না, না?
আর কিভাবে বলবো আমি কবি নই? কেন এভাবে লজ্জা দাও?
এত্তগুলো +!! এত্ত এত্ত ধইন্যা
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪২
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: চিঠি লেখা মিস করি...কিন্তু, বাস্তবতাকে তো মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই...!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বাস্তবতাকে গুল্লি মেরে চিঠি লেখা শুরু করে দিন না..........যাকে ইচ্ছা হয়। আপনাকে অবাক করে দিয়ে দেখবেন ঠিকই উত্তর চলে এসেছে।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: চিঠি যে কি জিনিস.....একসময় কত চিঠি লিখেছি.....প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে চিঠি পাওয়াটা যে কি আনন্দের!
আপনার আর রিমির জন্যে শুভকামনা।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমরা একসময় কত কত কাজ করেছি আমাদের অনেক অনেক পছন্দের। চিঠি লিখেছি, চিঠি পেয়েছি........মন ভাল হয়েছে, দু:খ হয়েছে, মান-অভিমান হয়েছে..........সবই একসময়.........
একসময়টা এত তাড়াতাড়ি কেন যে শেষ হয়ে যায়!
অনেক অনেক ধন্যবাদ হামা।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:১৭
সকাল রয় বলেছেন:
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কথাটার মধ্যে হয়তো একটা মেসেজ আছে, কিন্তু কি বলবো.....বন্ধুত্বকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করতে বাধছে ভীষণ। আরো কতভাবেইতো বলা যায়, তাই না? এভাবে কেন?
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:২৭
রাজিব খান০০৭ বলেছেন: এই জীবনে বন্ধুদের চিটি লেখা হলো না। আফসুস।
আচ্ছা ইমেইল কি চিটি হবে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: লেখা হল না, এখনও তো লেখা যায়, তাই না?
আর ইমেইল ও বোধহয় একরকম চিঠিই, তবে বন্ধুর হস্তাক্ষরে অলংকৃত এক টুকরো কাগজ, একটি চিঠি...যে চিঠিকে স্পর্শ করা যায়, অনুভব করা যায় তাতো ইমেইল দিয়ে হবে না।
১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩২
মনোয়ার পারভেজ বলেছেন: আমার চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছে।
Click This Link
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ইচ্ছে করলে তো ইচ্ছে পূরণ করাই উচিত, তাই না? লিখে ফেলেন, ঝটপট।
১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৭
চাঁপাবাজ বলেছেন: ফ্রেমে ফরি গেছি গা.........
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এখন আর ফায়দা হবে না ফ্রেমে ফরলেও.....পাখি উড়ে গেছে।
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩৮
কালপুরুষ বলেছেন: প্রেম বা ভালবাসা মানুষকে চিঠি লিখতে শেখায়- আমাকেও শিখিয়েছিল।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমিও চিঠি লিখতে শিখেছিলাম বন্ধুদের অকৃত্রিম ভালবাসায় সিক্ত হয়ে। চিঠি লিখেছিলাম হাজার হাজার।
এখন আর লেখা হয় না অবশ্য। আপনি কি এখনও লেখেন?
ভাল থাকবেন দাদা।
১৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৫
অবাক বিস্ময় বলেছেন: সুন্দর লিখা, পরে ভালো লগলো. আচ আপনাদের সাথে কি শমল নামে কোনো একটা ছেলে ছিল এগবি কলোনিতে থাকত?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অবি।
আই.ই.আর. এ? কোন ব্যাচ?
দু:খিত, এমন কাউকে চিনতাম বলে মনে পড়ছে না।
১৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪৬
মাহামুদ রাহি বলেছেন:
আফসুস... আপনাদের কত স্মৃতি বিশ্ব-বিদ্যালয়কে নিয়ে.. কত টানা-পোড়ন... আমার বন্ধুরা সব স্কুলেই ঝড়ে যায়... আমার পড়াশুনা হয়নি... হিংসা হয়..আপনাদের।
সুন্দর এবং মন খারাপ করা চিঠি.. nostalgic...
আপনাদের বন্ধুত্বের মাঝে কোন প্রাচীর যেন না তৈরী হয়... এই কামনা করি।
আজকে চিঠির বাক্স কালকে অন্য কিছু এরকম খুজতে থাকুন পেয়ে যাবেন!!!!
আমার চা'?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হিংসা করা ভালু না...ভালু না...
অনেক অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ। সুন্দর কিন্তু কখনোই মন খারাপ করা না, অনেক অনেক মন ভাল করা, ভালবাসায় ভরা।
আপনার চাতো রেডিই। শুধু আপনি চলে আসলেই হয়, যেকোন দিন।
১৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:০০
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: চিঠিটা প্রচন্ড টাচিং । দারুন লাগলো ।
হায়রে!! দুঃখ এক্টাই কার চিডি ও পাইলাম না কাউরে লেখতাম ও পারলাম না ।
তবে চিঠিটা পড়ে স্মৃতিচারন মুলক কিছু লেখবো ডিসাইড করলাম ।
শুভকামনা !!
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সত্যি, চিঠিটা হাতে নিয়ে মনে হয়েছিল বন্ধুটার হাত ধরে বসে আছি।
আমি কিন্তু কারো উত্তরের জন্য অপেক্ষা করিনি। যখন ইচ্ছা হয়েছে নিজের মত লিখে গেছি, সব্বাইকে।ইচ্ছে হলে লিখে ফেলেন, আর কাউকে না পেলে মি. বীন এর মত নিজেকেই।
স্মৃতিচারন! পড়ার জন্য অপেক্ষা করছি।
শুভকামনা আপনাকেও!!
২০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৫
মেহবুবা বলেছেন: চিঠির কথ্ উঠলে আনমনা হয়ে যাই ।
একটা চিঠি আছে আমার আলমারীর ভেতরে দরজায় । এক স্কুল ফ্রেন্ড হাসপাতালে গিয়েছিল আমায় দেখতে বড় হয়ে। অনেকক্ষন বসে দেখা না পেয়ে চলে যাবার সময় হাসপাতলের রোগীর ব্যবস্থাপত্রের লম্বা চিকন টুকরো ছিড়ে চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিল । যে মেয়েটা সব সময় শার্ট প্যান্ট আর স্কার্ট পড়তো সে নাকি সেদিন শাড়ী পরে এসেছিল ; হাতে বেলী কুঁড়ির মালা ছিল আমার জন্য । দেখা হয় নি তার সাথে আর । এখন আমেরিকায় । কোন এক কারনে কারো সাথে যোগাযোগ রাখে না । অনেক মিস করি তাকে ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এইরকম কত্ত কত্ত চিঠি যে আমি রেখে দিয়েছি জমিয়ে!
অভিমানী স্কুলফ্রেন্ডটি ভাল থাকুক সবসময় যত দূরেই থাকুক।
শুভকামনা আপু!
২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০১
ভাঙ্গন বলেছেন: বন্ধুত্ব অটল হোক।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:০৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভাঙ্গনডিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
অটল হোক বন্ধুত্ব।
ভাল থাকুন সবসময়।
২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১২
ভোরের তারা বলেছেন: ভাল লাগল আপনার চিঠি। প্রিয় বন্ধুর চিঠি অনেক অনেক ভালবাসার আবেগের হয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভোরের তারা।
শুভকামনা রইল।
২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৮
সামিউর বলেছেন: শুধুই একটা প্লাস দিলাম। + সামু বেশি দিতে দেয়না.........।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি কিন্তু অনেকগুলো ধন্যবাদ দিতে পারি।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
...........................................
চাইলেই দেয়া যায়। একটা দেখা যাবে আর বাকিগুলো কল্পনা
শুধু বুঝে নিতে হবে।
২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫২
রাজসোহান বলেছেন: আমি কুনোদিওনও চিঠি পাইনাই
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আহারে কি দু:খ
দু:খে পরান ফাডি যায়
চিঠি পাওনাই, তুমি দিয়া শুরু করো না। বাসার ঠিকানা লাগবে?
২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
শায়মা বলেছেন: এমন চিটি পড়ে অবশ্যই চিঠি লেখা শেখার আছে তবে মনটা কেমন কেমন করে যেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি অনেক সুন্দর চিঠি লিখতে শিখে গিয়েছিলাম জানো? আর কত চিঠি যে লিখেছি!
আর মনটা কেমন কেমন কেন আপুনি? সুন্দর স্মৃতি, মনকে আনন্দে ভরিয়ে দেয়।
ভাল থেকো সবসময়।
২৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮
ভিয়েনাস বলেছেন: চিঠি টা পড়ে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যখন দেশ ছাড়লাম ,আমি ও অনেক গন চিঠি লিখেছি এবং পেয়েছি। আমরা ৭ জনের একটা গ্রুপ ছিলাম। নাম ছিল "AB"গ্রুপ।আমাদের মধ্যে এতো মিল ছিল যে অন্যেরা হিংসা করত। অনেকে মজা করে বলত তোমাদের গ্রুপের ফর্মটা পেলে ফিলাপ করে সদস্য হতাম।
যেদিন আমার ভিসা কনফ্রাম হয় সবাই সবাই কে জড়িয়ে ধরে এতো কেদেছিলাম, হলের অন্যরা মনে করেছিলো কেউ মারা গেছে।
চিঠি পোস্টে খরচ বেশী ছিল বলে এক পাতাই ৭জনে ৭ প্যারা চিঠি লিখতো।আমিও ৭জনের নামে ৭ প্যারা লিখতাম।
এখন তো মোবাইল হয়েছে। এমন চিঠি পাওয়া যায়না।
ধন্যবাদ চিঠি শেয়ার করার জন্য।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমরাও সাতজনের একটা গ্রুপ ছিলাম। আমাদের নাম ছিল 'সপ্তম'। আমরা এখনও সাতজন আছি, তবে কয়েকজন অদল-বদল হয়েছে
হ্যাঁ, এখন আর কেউ চিঠি লেখে না। তাতে কি! স্মৃতিতো আছে।
ভাল লাগল আপনার গল্পটা। ভাল থাকুন।
২৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: মিশু টা আবার পাগলা মিশু নাতো? আই.ই.আর থেকে মার্কেটিং এ চলে গেছিল!
আপনি অনেক সুন্দর চিঠি লিখতেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: মিশু পাগলাই, তবে ও মার্কেটিং এ যায় নাই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আই.ই.আর. এ ছিল।
আমি সুন্দর চিঠি লিখতাম কে বলল? এটা কিন্তু আমার বন্ধুর লেখা, আমার না।
২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০০
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: হায় হায় আমি প্লাস দিতে পারতাছি না। প্লাস মাইনাসের নাট বোল্টুতো দেখি না।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৯
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হায় হায় আমার প্লাস মাইনাসের নাট-বল্টু কে খেয়ে ফেলল গো? এখন কি হবে গো?
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৯
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
তোমার লেখায় মাইনাস দিছে কে ?
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: দিয়েছে হয়তো কেউ ভালবেসে..........কি আর হবে............
৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১২
প্রবাসী রনি বলেছেন: আপু আমারে একটা চিঠি লিখে দিবে তা থিকে আমিও শিখবো কি করে চিঠি লিখতে হয়। জীবনে অনেক চিঠি লিখেছি সব ভাবী সেজে ভাইয়ার কাছে, চাচী হয়ে চাচার কাছে, প্রেমিক হয়ে প্রেমিকার কাছে এসব তাদের পক্ষ হয়ে লিখে দিয়েছি মাত্র যারা লিখতে পারতো না। কিন্তু নিজের জন্য কোন দিন একটা চিঠিও লেখা হলো না। আর ভূলেও কেউ আমার হাতে একটা চিঠিও আসে নাই।
ভালো থেকো T এবং আই.ই.আর.-এর ৮ম ব্যাচের সকল উন্মাদের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আরে, তোমার তো তাহলে প্র্যাকটিস হয়েই গেছে। ক্লাস এইটে আমি এক আপুকে তার প্রবাসী বরের জন্য চিঠি লিখে দিয়েছিলাম। কত কিইইই যে লিখেছি চিঠিতে। ভাবলে তো এখন লাল-কমলা হয়ে যাই। :#>
তোমাকে আর কি শেখাবো নতুন করে? লিখে ফেলো ঝটপট একটা চিঠি যাকে খুশি।
৮ম ব্যাচের সকল উন্মাদের পক্ষ থেকে তোমাকে ধন্যবাদ আর শুভকামনা। ভাল থেকো সবসময়।
৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৪০
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: ওহ রিমি ভাল চিঠি লিখতে পারে। প্লাসের নাট বল্টু পাইছি। কিন্তু প্লাস দিমু না। চিঠিতো রিমি লিখছে। আপ্নেরে দিমু ক্যা?
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: প্লাসটা নয় রিমিকেই দিতেন। নাট বল্টু খুঁজে পেয়েও প্লাস না দেয়াতো মহা অন্যায়, জানেন?
৩২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৬
প্রতীক্ষা বলেছেন: পড়লাম! অসাধারণ একটি চিঠি ! অনেক ভালবাসা নিয়ে লেখা--'তোদের মাঝে আমি দেখতে চাই পৃথিবীর মত গভীরতা, বিশালতা।'
কিন্তু আই.ই.আর. কি বুঝলাম না!
আপু তোমার চোখ দু'টি অদ্ভূত সুন্দর!!!
আমি ৭ বছর বয়সে প্রথম চিঠি লিখেছিলাম। এক লাইন লিখেছিলাম--আমার বাবু আমি তোকে খুব ভালবাসি!
জীবনে অসংখ্য চিঠি পেয়েছি--কিছুই জমিয়ে রাখিনি!
আমি সব স্মৃতি ফেলে দেই! একদম কুচি কুচি করে ছিঁড়ে তারপর বেসিনের পানিতে ধুয়ে ফেলে দেই!
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমি যত চিঠি পেয়েছিলাম সব রেখে দিয়েছি যত্ন করে, আগলে রেখেছি যক্ষের ধনের মতন। তবে অসংখ্য না, হিসাব করলে খুব সামান্যই।
জীবনে প্রথম কবে লিখেছিলাম, মনে নেই। খুব ছোটবেলায় নিশ্চয়ই। তবে রিমির চিঠিটাই আমাকে চিঠি লেখাকে ভালবাসতে শিখিয়েছিল।
আই.ই.আর.: ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ভাল থেকো পাখি-পাখি।
আর শোনো, তোমার সাথে কিন্তু রাগ। তোমার না আমাকে একটা ই-চিঠি পাঠানোর কথা? কবে বলেছি!
৩৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৬
সুরঞ্জনা বলেছেন: Bondhutter bhalobasha r chithi lekha choriye jak sobar mone. +
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপুনি, অনেক ধন্যবাদ।
ভালবাসায় জড়ানো চিঠি ছড়িয়ে যাক, কিন্তু আপুনি আজকাল চিঠি লেখার সময় কোথায় বলেন তো? সবাই এত ব্যস্ত!
৩৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৯
বীনা বলেছেন: আমার কাছে চিঠির এখনো অনেক মূল্যবান। ধন্যবাদ অনেক।
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বীনা।
চিঠি আমার কাছেও অনেক মূল্যবান এখনো, আর থাকবে সবসময়।
ভাল থাকুন।
৩৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০০
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আহা! কত স্মৃতি মনে পড়ে গেলো...
১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:০৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সত্যি, কত স্মৃতি........কত রঙ-বেরঙের স্মৃতি.........
৩৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:০৯
প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ ইশ কবে বলেছি!
তোমার নাম কি আর সাধে রাগ আপু দিছি! তুমি চাইলেও রাগ করতে পারবে না! শুধু আমিই সব রাগ ঝাড়ব তোমার উপর!
তোমার জন্য তো এখন অন্য পিসি থেকে মেইল করা লাগবে আপুটা!
দেখি অন্য পিসি পাই কিনা! আর আমি এখন বাসায় বন্দি!
অনেকক কাজ জমে আছে! কিছুই করতে মন চাচ্ছে না! অনেক অস্হির আছি--বুঝছো!
ইশ আমিও যদি তোমার মত এমন যক্ষের ধনের মত সব আগলে রাখতে পারতাম! তাহলে খুব ভাল হত! তবে সব স্মৃতি ফেলে দিলেও হৃদয়ের একদম গভীরে কিছু স্মৃতি থেকেই যায়--ঝড় হলেও সেগুলো ধুয়ে মুছে যায় না!
তুমিও ভাল থেকো--পাখি পাখি! আর রাগ করো না আপু সোনা! তোমার চেহারা পচা হয়ে যাবে তাহলে!
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পাখি-পাখিটা এমন মিষ্টি করে বলে যে বেশিক্ষণ রাগ করে থাকা যায় না।
কিন্তু এতদিন ধরে অস্থিরতা পুষে রেখেছো কেন বলতো? একদিন, বড়জোর দুইদিন...তারপর দিবে একটা ফুঃহহহহ্.......ব্যস, অস্থিরতা উড়ে চলে গেল।
৩৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:১১
সায়েম মুন বলেছেন: মোবাইল যুগের আগে প্রচুর চিঠি লিখতাম। আর আমার কাছে যত চিঠি আসতো সব রেখে দিতাম। এখনও অনেক চিঠি সংগ্রহে আছে।
আপনার রিমি বন্ধুর অসাধারণ চিঠিখানা পড়ে মনে হলো আমার পুরনো দিনের চিঠিগুলো কয়েকদিন সময় করে আবার পড়তে হবে!
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: পুরনো চিঠিগুলো খুলে খুলে পড়তে এত অসাধারণ লাগে! প্রতিটি লাইন মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি ঘটনা, পুরনো সব স্মৃতি...
আপনিও জমিয়ে রেখেছেন সব চিঠি! মাঝে মাঝেই খুলে দেখবেন। উড়ে আসবে স্মৃতির পাখিরা ডানা মেলে।
ভাল থাকুন সায়েম।
৩৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ২:৩২
রোকসানা রশীদ বলেছেন: অদ্ভুত! চিঠি লেখার ভূত মনেহয় আমার এই জীবনে যাবে না!
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৬
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।
চিঠি লেখার ভূতটা সবসময় মাথায় চেপে বসে থাকুক।
৩৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৩২
জাফরিন বলেছেন: আপনি অনেক লাকী! আমার খুব হিংসু হচ্ছে, কেন যে সেই সময়টায় পিচ্চি ছিলাম...
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:৪১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কোন সময়টায় পিচ্চি ছিলেন? ভার্সিটিতে পড়ার সময়ে? তাহলে তো এখনও তাই আছেন
চিঠি লিখতে চাইলে বড় হওয়া আর পিচ্চি থাকা কোন ব্যাপার না। লিখে ফেলেন শুধু, ব্যস।
ধন্যবাদ জাফরিন। ভাল থাকুন।
৪০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৪৭
সোমহেপি বলেছেন: ভালো লাগল,অনেক।
চিঠির একেকটি শব্দ একেকটি মুক্তোর দানা
যন্ত্র এসে দিয়েছে হানা আবেগের ঘরে
১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৩৪
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সোমহেপি।
বন্ধুদের চিঠি, চিঠির প্রতিটি শব্দ আমার কাছে দামী রত্নের মত মূল্যবান।
৪১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৪৪
প্রতীক্ষা বলেছেন: পাখি পাখি কি কর! ঘুমাচ্ছ!!!
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৫৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: হুমম বিশাল ঘুম দিয়েছি কালরাতে।
আমি তো নিশাচর নই, ইনসমনিয়া, দিনসমনিয়া কোনটাই আমার নাই। সো, ঘুম..ঘুম...ঘুম...
৪২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৩
গুরুজী বলেছেন: চিঠি লিখটে মনচায়
কিন্তু কারে লিখুম? লিখতেও তো পারি না (
১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: চিঠি লিখতে মন চাইলে এক্ষনি লিখে ফেল, কাউকে না পেলে মি.বীনের মত নিজেকেই
আর চিঠি লেখা পারতে হয় না। ওটা আপনিই হয়ে যায়।
৪৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪২
অজন্তা তাজরীন বলেছেন: আমি স্পর্শকাতর মানুষ স্বাভাবিক ভাবেই স্পর্শকাতর হয়ে পরলাম। ভারি সুন্দর লেখা । +++
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: লেখাটা আপনাকে স্পর্শ করেছে দেখে ভীষণ ভাল লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ অজন্তা।
ভাল থাকুন সবসময়।
৪৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:২৬
কায়কোবাদ বলেছেন: চমৎকার লেখনী............. নষ্টালজিক হয়ে গেলাম, অনেক পুরনো স্মতি উঁকি দিয়ে গেলো।
শুভ নববর্ষ
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কত কত স্মৃতি যে মনের ভেতর জমে জমে আছে।
নববর্ষের শুভেচ্ছা কায়কোবাদ।
৪৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:১৮
আল-মামুন (নওগাঁ) বলেছেন: লেখাটা সুন্দর। লেখাটা সত্যি হলে আরো সুন্দর।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আল-মামুন।
ভাল থাকুন।
৪৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৩
প্রতীক্ষা বলেছেন: পাখি পাখি আপু টা শুভ নব বর্ষ
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আদরের পাখি পাখি নতুন বছর অনেক সুন্দর হোক। সব অস্থিরতা কেটে যাক, আনন্দে ভরে যাক জীবন।
৪৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:৪৯
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন:
জীবনের দীর্ঘতম চিঠিটা লেখেছিলাম এক নাবালিকা (বুঝে না কিছুই অর্থে), মাত্র ২৪ পৃষ্ঠা।
আর এক অবুঝ নারীকে নিয়ম করে রোজ একটা করে চিঠি লিখতাম। প্রতিদিন একটা ছোট কবিতা। প্রতিদিন ডাক বাক্সে ফেলে দিয়ে আসতাম।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: সত্যি আপনি বস। ২৪ পৃষ্ঠা চিঠি কেমনে লিখলেন! এত ধৈর্য!!
আর প্রতিদিন একটা করে কবিতা? কোত্থেকে আসল এত এত কবিতা? কই চলে গেল সেসব? চিঠি লিখতে কিন্তু অসাধারণ, তাই না?
স্বপ্নচারী, ভাল থাকুন অনেক। চিঠি লেখার ভূতটা আবার ভর করুক কাঁধে।
৪৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৫
সাইফুল ফারদিন বলেছেন: আমি সাপ্তাহিক এর ভালোবাসা দিবস সংখ্যায় একটি চিঠি লিখছিলাম। চিঠিটা প্রকাশিত ও হয়েছিল। কিন্তু দুখেঃর বিষয় আপু, চিঠিটা যাকে নিয়ে লিখছি সে চিঠিটি পড়েনি, কখন পড়বে বলে ও মনে হচ্ছ না। ভাল থেকো আপু।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৩০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: নাইবা পড়ল ভাইয়া, আপনি তো লিখেছেন...সেই অনেক।
আপনিও ভাল থাকুন।
নতুন বছর ভাল কাটুক। আরো অনেক অনেক চিঠি লিখেন।
৪৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:১২
চতুষ্কোণ বলেছেন: শেষ কখন চিঠি লিখেছি মনেই পড়েনা। খুব সম্ভবত আমার এক কাজিনকে লিখেছিলাম। ভালো লাগলো লেখাটা। দুজনের জন্যই শুভকামনা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২০
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: শেষ কবে চিঠি লিখেছি, আমারো মনে নেই। তবে অনেক অনেক লিখেছি একটা সময়।
অনেক ধন্যবাদ চতুষ্কোণ।
আপনিও ভাল থাকুন।
৫০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নয়ন মাহাদী বলেছেন: khub valo hoyese///
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৮
রাজসোহান বলেছেন: পুত্তুম পিলাচ