নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মেহবুব । সামহোয়্যারইন ব্লগের সকল ব্লগারপাঠকভাইবোনদের আমার পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা । আশা করি আপনাদের আমি আবহমান বাংলার সব সুন্দর রচনা উপহার দিতে পারবো ।।

সৈয়দ মেহবুব রহমান

আমি মেহবুব । সামহোয়্যারইন ব্লগের সকল ব্লগার ভাইবোনদের আমার পক্ষ থেকে সালাম ও শুভেচ্ছা । আশা করি আপনাদের আমি আবহমান বাংলার সব সুন্দর রচনা উপহার দিতে পারবো ।।

সৈয়দ মেহবুব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসলে মানুষই কি এলিয়েন বা ভিনগ্রহী ?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৮

এখানে একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়ে আলোচনায় আসা যাক ।বিষয়টা একান্ত আমার ধারনা থেকে আলোচনা করি ।কথাটা হলো আমাদের মানব সভ্যতা বা মানুষের উৎপত্তি সম্বন্ধে । মূলত মানুষ কত বছর আগে এসেছে পৃথিবীতে, এই বিতর্কের কোন শেষ নেই ।এটা একটা ভয়াবহ রহস্য, যার উত্তর খুজতে জন্ম নিয়েছে বিবর্তনবাদ, ফসিলতত্ব তথা অনেক মতবাদই ।

আর আমাদের ধর্মমগ্রন্থের আদি মানব-মানবী তথা আদিপিতা-মাতার কথা তো উল্লেখ আছেই ।এই যেমন ধরুন ইসলাম ধর্মমতে আদম-হাওয়া, হিন্দু ধর্মমতে মনু-শতরূপা, খ্রিষ্ট ধর্মমতে অ্যাডাম-ঈভ।এতো গেলো প্রধান তিনটি ধর্মের উল্লেখিত কথা ।বিজ্ঞানীরা গবেষনালব্ধ ভাবে যেটা বলেন সেটা মূলত বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত ফসিল ও বিবর্তনবাদী ব্যাখ্যার মাধ্যমে । মানুষের উৎপত্তির যত বৈজ্ঞানিক যুক্তি বা তত্ব উপস্থাপন করা হয় সবই কিন্তু প্রাপ্ত জীবাশ্ম, ফসিল, অথবা বিবর্তনবাদ নির্ভর। ডারউইন এর বিবর্তন তত্ত্ব(১৮৫৯ সালে দ্যা অরিজিন অফ দি স্পিসিস গ্রন্থে সর্বপ্রথম প্রকাশিত ) অনুযায়ী মানুষ এর পৃথিবীতে আগমন রাতারাতি কোন ঘটনা নয় । এটা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া মাধ্যমে এক প্রকার প্রাইমেট বা বানর জাতীও প্রানী হতে দীর্ঘ এক বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীতে এসেছে ।এবং মানব আগমনের এই ইতিহাসটাও বেশ পুরাতন ও জটিল কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয় ।বিবর্তনের মাধ্যমে মানবজাতি সৃষ্টির পুরো ইতিহাস টা সংক্ষেপে এমন যে, গরিলা, শিম্পাঞ্জী, এবং হোমিনিন বংশের মধ্যে প্রাপ্ত জীবাশ্মের প্রমান হিসেবে শুরু তে প্রাপ্ত জীবাশ্ম এর প্রথম নমুনা, অর্রোরিন|টিউগেনেসিস(০৫ কোটি ৭০ লক্ষ বছর আগের), সালেন্থ্রপাস টিচডেনেসিস (০৭ মিলিয়ন পুরনো), আর্দিপিথেকাস কাদাব্বা (৫.৬ মিলিয়ন বছর) আগের ।এই প্রজাতি গুলোর বিবর্তন শেষ হবার পর এলো হোমো প্রজাতির প্রাথমিক সদস্য হিসাবে এলো হোমো হাবিলিস(২.`৪ মিলিয়ন বছর পূর্বে), হোমো ইরেকটাস (১.৩-১.৮ মিলিয়ন বছর পূর্বে), আফ্রিকান হোমো ইরেকটাস এর বংশধররা ৫,০০,০০০(পাঁচ লক্ষ)বছর পূর্বে ইউরেশিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে ।এভাবে আরো ক্রম বিবর্তনের মাঝ দিয়ে এসে মানুষ তার বর্তমান প্রজাতি তথা বর্তমান মানুষ হোমো স্যাপিয়েন্স (Homo Sapiens) এ এসে পৌঁছেছে । এবারে আসি প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাসের কথায় ।আপনারা অনেকে হয়তো হবুতি সন সম্বন্ধে পড়েছেন ।হবুতি সন বলা হয় ইসলাম ধর্ম মতে মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদম (আঃ) এর পৃথিবীতে অবতরনের বছরকে ।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর জন্ম গ্রহনের বছর ছিল হবুতি(৪৫৭৪) চার হাজার পাঁচশো চুয়াত্তর সাল । বর্তমানে এর সাথে আরো ১৪৪৭ হবুতি সাল পেরিয়ে গেছে ।তার মানে মানুষ এসেছে পৃথিবীতে ৪৫৭৪+১৪৪৭=৬০২১ হবুতি বছর আগে ।আর হিব্রু বাইবেল অনুসারে হুজুর (সাঃ) পর্যন্ত ৫৯৯২ বছর । সে হিসাবে এখন হবুতি ৫৯৯২ +১৪৪৭ =৭৪৩৯ বছর চলছে এই ২০১৭ তে একবার এখন দেখা যাক বিজ্ঞানীদের লক্ষ লক্ষ প্রাপ্ত বছরের ফসিল তত্তের কাছে এই যুক্তি কতটুকু টেকে । উইকিপিডিয়ার দেওয়া তথ্যমতে খৃস্টপূর্ব ১০,০০০ সনে মানুষ আনুমানিক ০১ থেকে ০৪ মিলিয়ন ছিল । যদিও সেখানে বলা আছে সেই সংখ্যাটা আনুমানিক । জোরাল এভিড্যান্স নেই এর পক্ষে ।খ্রিষ্টাব্দ ০১ এ এসে দাড়ায় ২৭০ থেকে ৩৩০ মিলিয়ন এর মধ্যে । ১৫০০ শতাব্দীতে ৪৪০ থেকে ৫৪০ মিলিয়ন এর মাঝে এসে দাড়ায় । ১৯৫০ সালে ছিল ২৩৫ কোটির মত ।২০১৭ সালের দিকে এসে দাঁড়িয়েছে ৭৩৫ কোটির মত । তাহলে এখন যদি আমরা কেউ বর্তমান থেকে বা অতীত থেকে একটা আনুমানিক জনসংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধির হিসাব করি তাহলে কিন্তু আমরা মানবজাতির শুরুটা খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারি । আরো বড় সমস্যা কি জানেন মানবজাতি পূর্ব থেকেই তার পূর্ব পুরুষের বংশানুক্রমিক জন্ম তালিকা সংরক্ষন করবার প্রয়োজনীয়তা বোধকরেনি । তাহলে হয়তো আমরা সঠিক একটা তথ্য পেয়ে যেতাম মানবজাতির সঠিক উৎপত্তি কত বছর আগে ।তবে বিজ্ঞানিরা যে লক্ষ লক্ষ বছর আগের কথা বলেন সেটা কিন্তু মানবজাতির জনসংখ্যার এই ধাপে ধাপে বৃদ্ধির পরিসংখ্যান এর দিকে তাকালে এটা স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে আমাদের এই মানবজাতির শুরু বা আমাদের আদি পিতা লক্ষ লক্ষ বছর আগের নয় , বিবর্তন ও নয় ,মানব জাতির আদি পিতা স্বর্গ থেকেই পৃথিবীতে এসেছেন , অবিশ্বাসী যদি হন তবে বড়জোর বলা যেতে পারে তিনি এ গ্রহের নন ,ভিনগ্রহের থেকে এসেছিলেন ।তবে এলিয়েন এর জেনেটিকস বা DNA আমাদের মাঝে আছে কিনা সেটা নিয়েও অনেক বিজ্ঞানী আশাবাদী গবেষক হিসেবে চেষ্টা চালাচ্ছেন

এই লেখা কপি পেস্ট না করাই ভালো কপি পেস্ট করলে আমার ক্রেডিট দেবেন । কারন এটি বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস থেকে কপিরাইট সার্টিফিকেট প্রাপ্ত আমার লেখা ২০১৮ তে প্রকাশিত রহস্য ও বিজ্ঞান এর মিশেলে লিখিত বইকালোজাদু এর সামান্য অংশ মাত্র ।বইটি সম্পূর্ণ ফ্রি তে অ্যাড মুক্ত পড়তে চাইলে ঘুরে আসুন এখান থেকে

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



তা'হলে বিজ্ঞান চেষ্টা করছে, মানুষের মাঝে 'এলিয়েনের' ডিএনএ আছে কিনা, সেটা বের করতে? ওরা এলিয়েনের ও মানুষের ডিএনএ তুলনা করবে কিভাবে? ওদের হাতে কি এলিয়েণের ডিএনএ আছে?

২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রথম ২ জন মানুষ যদি অন্য গ্রহ থেকে আসে, সেই গ্রহে মানুষের সৃষ্ট কিভাবে হয়েছিলো? আর যদি স্বর্গ থেকে আসে, স্বর্গ আপনাদের বাড়ীর কোন পাশে?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

সৈয়দ মেহবুব রহমান বলেছেন: কি করে বলবো , আমিও যে জানিনা , তবে স্কুল জীবনে পড়েছিলাম কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক , কে বলে তা বহুদুর , মানুষের মাঝেই তা ......আর এলিয়েন ডিএনএর ব্যাপারটা হয়তো এ রকম একটা ব্যাপার থিম করে হতে পারে যে , যেহেতু ডিএনএ যে কোন জীবের অনেক অনেক দূর অতীতের বসবাস স্থলের আবহাওয়া , জলবায়ু , তেজস্ক্রিয়তা , সম্ভাব্য ক্ষেত্রে যদি কোন প্রাণী বিবর্তিত হয় তবে তার সিকুয়েন্সটাও ধারণ করে ডিএনএ , এখন কথা হলো নাসা এর কাছে অসংখ্যা গ্রহের জলবায়ু , পরিবেশ এবং জীবাণুর তথ্য রয়েছে । হয়তো এসবের সাথে মানবজাতির ডিএনএ র সাথে কোন তথ্যের মিল পেলেও পেতে পারে , যেটা হয়তো পৃথিবীর সাথে সামন্জস্য পূর্ণ নয় , আবার পৃথিবীর এরিয়া ৫১ মিথ / পিরামিড মিথ / গুপ্ত সংগঠন মিথ গুলো যদি সত্যি হয় তবে সেখানে পূর্ব থেকেই এলিয়েন স্পেসিমেন থাকলে তো আর কোন ব্যাপারই থাকলোনা ।।। রহস্যময় পৃথিবীর কিছু জানবার ও বোঝবার আগে পৃথিবীতে আমরা আসি আবার রহস্যময় পৃথিবীর কিছু জানবার ও বোঝবার আগেই পৃথিবী থেকে চলে যায় আমরা ।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব দামী লেখা আমার পড়তে ইচ্ছা করে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.