![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"হাওয়া" সিনেমায় একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দী অবস্থায় দৃশ্যায়ন করবার অভিযোগে মামলা নেওয়ার আবেদন করেছেন বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই আবেদন করেছেন বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক শছানাউল্ল্যা পাটোয়ারী বলেন, হাওয়া সিনেমায় পাখি আটকে রাখে দৃশ্যায়ন করে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৩৮, ৪১ ও ৪৬ ধারার অপরাধ করা হয়েছে। এছাড়াও ‘হাওয়া' সিনেমার দৃশ্যটি নিয়ে ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে, ছবি থেকে দৃশ্যটি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে তারা।
এবার আমি আমার কথা বলি। যদি ভুল না হয়, হাওয়া সিনেমাতে শালিক পাখিটাকে বন্দি অবস্থায় দেখানোর মাধ্যমে একটা সুন্দর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে আমি জানি । আমাদের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এবং ওই ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠন তা হয়তো বুঝতে পারেননি। আরো অবাক করবার বিষয় হলো , চিড়িয়াখানায় মানুষকে বিনোদনের নামে বন্য প্রাণীগুলোকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে , খাবার না দিয়ে যখন বছরের পর বছর খাঁচায় আঁটকে রেখে মেরে ফেলা হয় তখন তাদের টনক নড়ে না। তখন এই নির্বোধ প্রাণীগুলোর প্রতি ভালোবাসা দেখা যায় না। তখন হয় না কোন মামলা, দেখা দেয় না কোন আইন।
রাজধানীর কাঁটাবন পশুপাখি কেনার জন্য আদর্শ জায়গা। সেখানে কোন পরিবেশে প্রাণীগুলোকে রাখা হয় এ সম্পর্কে তারা অবগত নয়! এমনকি যারা পশু পাখিগুলো বিক্রি করছে তাদের যথাযথ লাইসেন্স রয়েছে কিনা সেটা কি কখনো খতিয়ে দেখেছে! লকডাউনে এই প্রাণীগুলো যখন বন্ধ ওসব দোকানের না খেতে মারা যাচ্ছিল তখন কোথায় ছিল এই ৩৩ টা পরিবেশবাদী সংগঠন! প্রানীগুলোকে জোরপূর্বক খাঁচায় বন্দী করে যে ব্যবসা চলে তা Animal Welfare Act 2019 এর section 6(d) অনুযায়ী পুরোপুরি অবৈধ । এমনকি প্রানীদের স্বাভাবিক চলাফেরার উপর হস্তক্ষেপ করে তাদের বন্দী করে রাখলে section 16(a) অনুযায়ী ৬ মাস জেল বা ১০ হাজার টাকা অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে । আইন থাকলেও সেখানে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে! মনে তো হয় না কারন পদক্ষেপ নিলে কাঁটাবনে অবাধে বেঁচা বিক্রি হতো না।
আমাদের দেশে এই প্রানীদের অধিকারের জন্য কাজ করা মানুষগুলো যদি সঠিক সময়ে , সঠিক কারণে সোচ্চার হয় তাহলে হয়তো এই নির্বোধ প্রাণীগুলোর একটু প্রান খুলে বাঁচতে পারতো।
সাধুবাদ জানাই বিশিষ্ট সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী সোহেলকে। যিনি চিড়িয়াখানা ও খাঁচায় আটক প্রাণীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে নিজেকেই খাঁচায় বন্দি করে মুক্তি চাই ব্যানারে অভিনব তিন দিনব্যাপী প্রতীকী আন্দোলন শুরু করেছেন। আশা করি উনি ওনার এই ব্যতিক্রমধর্মী আন্দোলনে সফল হোক আর চিড়িয়াখানা -কাঁটাবনের মতো জায়গায়গুলো চিরদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা হোক
ছবির সূত্র: গুগল
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনাকে সুস্বাগতম।