![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. The Qur'an is the Most Influential, Most Powerful, Most Memorized, and Most Followed Book on the planet Earth।Find out why @ LinguisticMiracle.com ২: I believe A little science leads one away from God, a great deal of science leads one back to Him ৩: I will make the most of everything in life, because life is no rehersal... So if i love someone, i will tell them, if im upset with someone, i will forgive them and if anyone chooses to love me in return, i will be most certainly grateful, and show them everyday for as long as i am capable to do so, how much it means to me
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আবার নিয়ে এলাম কোরআনের ভাষা গত সৈন্দর্য পোস্ট নিয়ে। এই পোস্ট সমুহে আমরা কোরআনের একটি আয়াতের সুন্দর শব্দ/বর্ন বিন্যাস ও কেন তা ব্যবহৃত হয়েছে তার কারন জানার চেস্টা করি। আজ দেখবো
সূরা আল আহযাব সুরা নং ৩৩) ( মদীনায় অবতীর্ণ ), আয়াত ৪
مَّا جَعَلَ اللَّهُ لِرَجُلٍ مِّن قَلْبَيْنِ فِي جَوْفِهِ وَمَا جَعَلَ أَزْوَاجَكُمُ اللَّائِي
বাংলা অনুবাদে দেয়া আছে: আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি।
সঠিক অনুবাদ হবে: আল্লাহ কোন পুরুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। কারন لِرَجُلٍ অর্থ পুরুষ , মানুষ নয় (মানুষ হলে স্ত্রী পুরুষ উভয়কে বুঝাত)
ইংরেজী অনুবাদ সমুহ: দেখুন Click This Link
Al-Ahzab Verse:004
Abdul Daryabadi : Allah hath not placed unto any man two hearts in his inside।
Dr. Mohsin : Allâh has not made for any man two hearts inside his body.
Mufti Taqi Usmani : Allah has not made for any man two hearts in his chest cavity,
Pickthal : Allah hath not assigned unto any man two hearts within his body,
Yusuf Ali : Allah has not made for any man two hearts in his (one) body:
এবার আসি মুল বিষয়ে কোরআনের এই আয়াতের ভাষার সুন্দরতা/ স্বচ্ছতা/ সূক্ষ্মতা/ সৌন্দর্য বিষয়ে:
আয়াতটি ছিল আল্লাহ কোন পুরুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি।
দেখুন আল্লাহ যিনি একমাত্র উপাসনা ও অনুগত্য পাবার যোগ্য তিনি সুন্দর ভাবে বলেন যে তিনি কোন পুরুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি
এখানে কাকে বাদ দেয়া হয়েছে নারী কে তাই না? তিনি যদি বলতেন তিনি কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি তবে সেটা স্ত্রী পুরুষ উভবে বুঝাত মানে সবার ক্ষেত্রে কথাটা বলা হতো।
কিন্তু আপনি যদি لِرَجُلٍ অর্থ দেখেন দেখবেন সেটা পুরুষকে বোঝায় মানে নারী অর্ন্তভুক্ত নয় গুগুল ট্রন্সলেটে ইংরেজি থেকে এরাবিক দেখতে পারেন رجل অর্থ man, male, leg, boy, pin, bloke বা যেকোন ভালো আরবী জানা লোককে বা ইমামের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।
এবং সেই আয়াতে অরো লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এই আয়াতের বাকী অংশে নারীদের কে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে কিন্তু প্রথম অংশটি বিশেষ ভাবে পুরুষকে নিয়ে বলা হয়েছে ।
আরো মজার বিষয় লক্ষ্য করবেন যে যখনি কোন আয়াতে হার্টের কথা বলা হয়েছে সেখানে সাধারনত বলা হয়ে থাকে "আল কুলুবিল্লাতি ফিস সুদুর" হার্ট বা হৃদয় যা বুকের মধ্যে বিদ্যমান বা হার্ট বুকের ভিতরে কিন্তু এই নিদ্দির্স্ট আয়াতে এসে হার্ট হৃদয়ে বা বুকের মাঝে না বলে তিনি جَوْفِهِ যাউফ শব্দটি ব্যবহার করেছেন যার অর্থ পুরো বডি/শরীর মানে এই আয়াতে বলা আছে পুরুষের সারা বডির ভিতরে আল্লাহ দুটি হার্ট দেন নি বা দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি।
এবার এত সুক্ষ সুন্দর পারফেক্ট শব্দ সিলেকশনের কারন কি জানেন: কারন নারী গর্ভবতী হতে পারে আর নারী যদি গর্ভবতী হন তবে নারীর ভিতরে দুটি হৃদয় থাকে এক তার এবং অন্যটা বাচ্চার এবং হার্ট দুটো শুধু বুকেই বিদ্যামান থাকেনা কারন বাচ্চা থাকে পেটের দিকে তাইনা এজন্যই جَوْفِهِ যাউফ শব্দটি অর্থ পুরো বডি/শরীর বেশি উপযুক্ত
এজন্য আল্লাহ আয়াতের প্রথম দিকে যখন পুরুষের কথা বলেন তখন তিনি বলেন দুটি হৃদয় স্থাপন করেন নি। এবং এজন্যই আয়াতটি ত্রুটি মুক্ত কারন নারী সহ বা মানুষ কে বললে আয়াতটি ভুল হতো।
এতে আরো একটি বিষয় প্রতিয়মান হয় যে কোরআন মানব রচিত কোন গ্রন্থ নয়। মানুষের রচিত হলে এই সুক্ষ ভুল সমুহ রয়ে যেত তাই নয় কি?
ভিডিও লিংক: || Subtlety in Language | GBMProductions | Nouman Ali Khan || HD
পুর্বের পর্ব সমুহ:
কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ৬- সুনিদ্দিস্ট শব্দ/কথা/বাণী/উক্তি সিলেকশন- সূরা ফীল ১০৫: আয়াত নং ১
Click This Link
কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব:৫/ সূরা ইয়াসীন ৩৬ আয়াত:৪০
Click This Link
কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ৪/ সূরা আল মুদ্দাসসির আয়াত:৩
Click This Link
কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব ৩ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ২৩-২৪ ইসলামে পিতা মাতার অধিকার
Click This Link
কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য:পর্ব: ২ :- নিশ্চই আমি মানুষকে কষ্ট সহ্য কারী/পরিশ্রমি রূপে সৃষ্টি করেছি।
Click This Link
কোরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য-১: সুরা বাকারা ২ আয়াত ১৪৩
Click This Link
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩২
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কোরআন হোক মানবতার মুক্তির পথ প্রদর্শক
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৩
সুলাইমান হাসান বলেছেন: লগ ইন না করেই পোস্টটা পড়ছিলাম। কিন্তু লগ ইন না করে থাকতে পারলাম না। খুবই interesting লেগেছে।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫০
মেলবোর্ন বলেছেন: হ্যা সুলাইমান ভাই কোরআন একাধারে ইন্টারেস্টং , পথ প্রদর্শক, উপদেস্টা , এবং মুক্তির নিদের্শ কারী মানব জীবনেরর জন্য এ এক অসাধারন গাইড লাইন আমাদের শুধু তা জেনে মেনে জীবনটাকে পরিচালিত করতে হবে তবেই আমরা সফলকাম হবো।
৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩০
বিডি আমিনুর বলেছেন: ভাল লাগলো
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫১
মেলবোর্ন বলেছেন: মহান আল্লার বানীতে যে কত সুন্দর উপাদান বিদ্যামান ভাল লাগতেই হবে শুধু প্রয়োজন সঠিক ভাবে জানার।
৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪২
হাসানুর বলেছেন: সুবহানাল্লাহ , ভাল লাগল ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ হাসানুর ভাই, আশাকরি এই রকম ইন্টারেস্টং বিষয় গুলো আমাদের কোরআন বুঝে পড়ার জন্য সহায়ক হবে । আল্লাহ আমাদের কবুল করুন
৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৫
---পরিকল্পনা--- বলেছেন: এই অকালের সময়ে ভাল একটা তথ্য দেখে মনটা খুবই আনন্দিত হয়েছে।
জাঝাকাল্লাহু
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৭
মেলবোর্ন বলেছেন: এই ভাল তথ্য ১৪০০ বছর আগের দেয়া আছে দোষ আমাদের আমরা ঠিক মত খুজে দেখিনি , আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরআন সঠিক ভাবে বোঝার তৈফিক দান করুন
৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১১
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত লেখক,
পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তেীফিক দান করুন ।
আস সালামু আলাইকুম
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৮
মেলবোর্ন বলেছেন: ওলাইকুমুস সালাম, আশাকরি ভাল আছেন আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো, ভালো আছেন আশাকরি
৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৩
সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
আল্লাহপাক আপনাকে উত্তম বদলা দান করুক, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত করুক এবং আমাদের মঝে আল্লাহর দ্বীনকে পরিপূর্নভাবে প্রতিষ্টা করে দিক।রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর তরিকা প্রতিষ্টা করে দিক্ । ঈমানের জ্ঞান পূর্নাঙ্গ করে দিক। আখেরাতের কঠিন দিনে মিজানের হিসাব সহজকরে দিক, সিরাতের পারাপার সহজ করেদিক, হাইজের পানি নসিবকরে দিক, পিতামাতা স্ত্রী সন্তান সহ আপনাকে জান্নাতের মেহমান করেনিক-আমিন।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৯
মেলবোর্ন বলেছেন: আমিন, আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন আর আপনাকেও সরল পথে পরিচালিত করুন
৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:২৬
অচেনা পথিক ১৮ বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর উপস্থাপনের জন্য। প্রিয়তে নেয়ার জন্য লগইন করতে হল।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩২
মেলবোর্ন বলেছেন: জাঝাকাল্লাহু
৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
দিশার বলেছেন: হুম চিন্তার বিষয় , ১৪০০ বছর আগে কিভাবে জানলো এক টাই হৃদয় থাকে সারা সরির য়ে . নিশ্চয় কোরান বিজ্ঞান য়ে ভরপুর।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:১৪
মেলবোর্ন বলেছেন: নারে ভাই বিজ্ঞানে ভরপুর না তবে বিজ্ঞানের সাথে কন্টাডিক্টরি কিছু পাবেন না সেটা বলতে পারি সাহস করে।
Should we understand Qur’an through Modern Scientific Explanations?
The Qur’an is not speaking to us in scientific explanations, but through human experience – what the eye sees and perceives. So if we stay true to the language and how the Arabs would communicate to each other during the life of Allah’s Messenger – then we may be closer to the intended meaning of the Qur’ans understandings.
This general rule will remove all doubts against the Qur’an by atheists who might say that the Qur’an is scientifically incorrect. It isn’t. Rather, the Qur’an is explained for the masses, so it will describe what is clear/apparent to the human eye.
So yes, we are aware that the night is really due to a lack of sunlight (many early muslim scientists would even affirm such concepts, knowing well that the Qur’an is not in contradiction), but Allah will still describe it as a covering for us, since that is its role and it actually does look like that for the general masses of people throughout history.
This may be done to avoid wasteful dispute throughout history, and instead allow mankind to agree on what is fully apparent, so they should reflect and be grateful for that. Then, scientists can study these phenomenon further to see them from a purely scientific perspective.
This is an answer to those who might be in doubt as to how some verses can be interpreted scientifically. So in reality, they don’t have to be interpreted in such a manner.
And Allah knows best.
১০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩১
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। খুব ভাল লাগল।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২১
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৭
নস্টালজিক বলেছেন: খুব সুন্দর!
শুভেচ্ছা মেলবোর্ন!
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩২
মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও শুভেচ্ছা
১২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০২
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ভাই আপনার লিখার জন্য ধন্যবাদ, প্রথমবারেই ভক্ত হয়ে গেলাম, ভাই আমার একটা প্রশ্ন ছিল, অনেককে করার পর মনমত উত্তর পাইনি, আপনি যদি বিরক্ত না হন ,
প্রশ্নটা কি করব ?
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
মেলবোর্ন বলেছেন: অবশ্যই, যদিও জানি না কি বিষয়ে তবে যথা সম্ভব চেস্টা করবো উত্তর দিতে।
১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:১৯
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ভাই আল্লা সব জায়গায় আছেন এটা কোন অর্থে বলা হয়েছে।
এই কথাটা কি কোরআনে আছে।
নাস্তিকরা এই বিষয় নিয়া অনেক লাফালাফি করে, উত্তর দিতে চাই....
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:০৫
মেলবোর্ন বলেছেন: সুরা নং ২ বাকারা আয়াত ১১৫ "পূর্ব ও পশ্চিম আল্লারই। অতএব, তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও, সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ। "
এখানে সকল কিছু যে আল্লাহর বা সকল বিষয়ে যে আল্লাহ জানেন সেটাই বোঝানো হয়েছে।
আরো দেখুন সুরা নং ২ সুরা বাকারা আয়াত নং ২৫৫ আল্লাহ বলেন:
"আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।"
আল্লাহ ফিজিক্যলি সকল জায়গায় আছেন এটি বোঝায় না বরং সব জায়গার সকল কিছুর স্রস্টা তিনি, তিনি সকল বিষয়ে জানেন -এটাই মুল বিষয়।
এবং আয়াত ২৮৪ "যা কিছু আকাশসমূহে রয়েছে এবং যা কিছু যমীনে আছে, সব আল্লাহরই। যদি তোমরা মনের কথা প্রকাশ কর কিংবা গোপন কর, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করবেন এবং যাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেবেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।"
৩) সূরা আল ইমরান আয়াত নং ৫ "আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন বিষয়ই গোপন নেই। "
৪) সুরা আন নিসা আয়াত নং ১২৬ : "যা কিছু নভোন্ডলে আছে এবং যা কিছু ভুমন্ডলে আছে, সব আল্লাহরই। সব বস্তু আল্লাহর মুষ্ঠি বলয়ে।" এবং আয়াত ১৩২ "আর আল্লাহরই জন্যে সে সবকিছু যা কিছু রয়েছে আসমান সমূহে ও যমীনে। আল্লাহই যথেষ্ট কর্মবিধায়ক ।"
৫) সূরা আল মায়েদাহ আয়াত নং ৭:"নিশ্চয়ই আল্লাহ অন্তরের বিষয় সম্পর্কে পুরোপুরি খবর রাখেন। "
৬) সূরা আল আন-আম আয়াত ৫৯:"তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।"
৬) সূরা আল আন-আম আয়াত ১০৩:" দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।
৯) সূরা আত তাওবাহ আয়াত ৭৮:"তারা কি জেনে নেয়নি যে, আল্লাহ তাদের রহস্য ও শলা-পরামর্শ সম্পর্কে অবগত এবং আল্লাহ খুব ভাল করেই জানেন সমস্ত গোপন বিষয় ?"
১৩) সূরা রা’দ আয়াত ৯-১০:" তিনি সকল গোপন ও প্রকাশ্য বিষয় অবগত, মহোত্তম, সর্বোচ্চ মর্যাদাবান। তোমাদের মধ্যে কেউ গোপনে কথা বলুক বা তা সশব্দে প্রকাশ করুক, রাতের অন্ধকারে সে আত্নগোপন করুক বা প্রকাশ্য দিবালোকে বিচরণ করুক, সবাই তাঁর নিকট সমান। "
১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৮
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: আমরা কি নাস্তিকদের লিখা পড়ে তার উত্তর দেয়ার চেষ্ঠা করব নাকি তাদের কে এভয়েড করব ?
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩৮
মেলবোর্ন বলেছেন: তাদের লিখা যদি যুক্তি পুর্ন হয় তবে কেন পড়বেন না যদি নাই জানেন কোন বিষয়ে তাদের সহমত নেই তবে সবাই একমত হবো কি করে। তবে বাজে বা ইচ্ছাকৃত ভাবে ইসলামকে হেয় করলে বা সমাজে বিশৃংক্ষলা সৃস্টি করলে সেটা এরিয়ে যাওয়াই উত্তম ,
উত্তর দেয়ার চেস্টা করা যাবে যদি আপনি সেবিষয়ে জানেন অনেক বিষয়ে আমিও ভাল জানিনা তবে যতটুকু জানি সেই থেকে উত্তর দেয়ার চেস্টা করি নিজের কাছেও ক্লিয়ার হওয়ার জন্য।
এবার কিছু কোরআনের আয়াত:
২)সুরা বাকারা আয়াত: ৭: আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
৪১) সূরা হা-মীম সেজদাহ , আয়াত নং ৫৩ : এখন আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাব পৃথিবীর দিগন্তে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; ফলে তাদের কাছে ফুটে উঠবে যে, এ কোরআন সত্য। আপনার পালনকর্তা সর্ববিষয়ে সাক্ষ্যদাতা, এটা কি যথেষ্ট নয়? Quran Fussilat 41:53
২৭) সূরা নমল আয়াত ৬৩ : বলুন তো কে তোমাদেরকে জলে ও স্থলে অন্ধকারে পথ দেখান এবং যিনি তাঁর অনুগ্রহের পূর্বে সুসংবাদবাহী বাতাস প্রেরণ করেন? অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক ঊর্ধ্বে।
২৭) সূরা নমল আয়াত: ৬৪: বলুন তো কে প্রথমবার সৃষ্টি করেন, অতঃপর তাকে পুনরায় সৃষ্টি করবেন এবং কে তোমাদেরকে আকাশ ও মর্তø থেকে রিযিক দান করেন। সুতরাং আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? বলুন, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর।
২৭) সূরা নমল আয়াত ৮১: আপনি অন্ধদেরকে তাদের পথভ্রষ্টতা থেকে ফিরিয়ে সৎপথে আনতে পারবেন না। আপনি কেবল তাদেরকে শোনাতে পারবেন, যারা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস করে। অতএব, তারাই আজ্ঞাবহ।
১৬) সুরা নাহল আয়াত ১২৫ :"আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। "
২৯) সুরা আল আনকাবুত আয়াত নং ৪৬: "তোমরা কিতাবধারীদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে না, কিন্তু উত্তম পন্থায়; তবে তাদের সাথে নয়, যারা তাদের মধ্যে বে-ইনসাফ। এবং বল, আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে, তাতে আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য একই এবং আমরা তাঁরই আজ্ঞাবহ। "
৩৩) সুরা আল আহযাব আয়াত ৪৮ : আপনি কাফের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের উৎপীড়ন উপেক্ষা করুন ও আল্লাহর উপর ভরসা করুন। আল্লাহ কার্যনিবার্হীরূপে যথেষ্ট।
৪)সুরা আন নিসা আয়াত ১৪০ " আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।"
পৃথিবীতে সবাই মুসলমান হবে না আর সবাই অবিশ্বাসীও হবে না সবার সহ অবস্থানের মাধ্যমে পৃথিবীকে সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা এবং সবার সুন্দর জীবনের নিরাপত্তা বিধানই হোক সবার মুল লক্ষ্য - মানুষের কল্যানের জন্যইতো এত বিধান , নিয়ম নীতি, আলোচনা ও সমালোচনা তাই না। সবার কল্যান কামনা
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:১৪
মেলবোর্ন বলেছেন: : আমি কিন্তু বড় কোন আলেম নই সাধারন মানুষ একজন, নিজেই চেস্টা করছি নিজের ধর্ম বিষয়ে জানার তাই আমার জবাবই যে সঠিক তা মেনে নেয়ার কোন কারন নেই নিজের জ্ঞান ও যুক্তি প্রয়োগ করে যদি আমারটা সঠিক মনে হয় তবে মানবেন, পারলে কোন বিজ্ঞ আলেমের কাছ থেকে রিকনফার্ম হয়ে নিবেন। ভুল হতে আগেই ক্ষমা প্রর্থি।
১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:২৬
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কাজে লাগবে....
ভবিষ্যতে কোন প্রশ্ন থাকলে করব
আর দোয়া রাইল আপনার জন্য...
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
মেলবোর্ন বলেছেন: অবশ্যই করবেন তবে এই পোস্ট গুলো পড়লে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন বলে আশা রাখি:
১)ইসলাম : যে- কোন প্রশ্ন ও সংক্ষিপ্ত সময়ে পরিপূর্ণ উত্তর লিখেছেন -গোলাম দস্তগীর লিসানি Click This Link
২) ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের ২০টি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব (ডা: জাকির নায়েক এর লেকচার): পর্ব ৪ লিখেছেন মুক্তির অন্বেষায় Click This Link
৩)ইসলাম নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা, ধমীয় অনুসন্ধানই বলেন আর ক্যাচাল বলেন -রিফাত হোসেন
Click This Link
৪)নারী ও ইসলাম- আসুন দেখি সত্যের চোখে-লিখেছেন মেলবোর্ন
Click This Link
৫)রাসূল (সঃ)এর অবমাননা ও আমাদের করনীয় -লিখেছেন মেলবোর্ন - Click This Link
১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৭
দিশার বলেছেন: @লেখক ভাই , আপনার ৯ নম্বর কমেন্ট এর জিস্ট করলে তো বলতে হয় , কোরান তাইলে ১৪০০ বছর আগের আরবের জন্য প্রযোজ্য, আজকে যুগে অচল, কারণ এখন তো কোরান এর থাকা ভুল গুলো আমাদের সামনে পরিষ্কার। আপনি যে বললেন যে, তখন কার মানুষ দের বুঝাইতে , সাধারণ ভাষায় যা দৃশমান তাই বোঝানো হইসে! জি আমি ও তাই মনে করি, কোরান যে এমন কিসু নাই যা তত্কালীন পৃথিবীর মানুষ জানত না বা কমন সেন্স থেকে বলতে পারত না , মানে এটা ঐশ্বরিক কিছু নাই।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
মেলবোর্ন বলেছেন: আবারো গুলাইয়া ফালাইলেন কোরআন তখনো উদাহরন দিয়েছে সাধারন মানুষের জন্য যাতে সবাই বুঝতে পারে এবং সেটা এখনো বিদ্যমান - আপনার আমার মত লেখা পড়া হয়তো সবাই করে নাই তাই বলে তাদের ক্যামনে বোঝাবেন একটা তো উপায় থাকা চাই, তাদের জন্যই সহজ বর্ননা আর আপনাদের মত বিজ্ঞদের জন্যও রয়েছে বর্ননা তাই আপনাদের মত বিজ্ঞ জনের জন্য কোরান এমন কিসু নাই যা তত্কালীন পৃথিবীর মানুষ জানত না বা কমন সেন্স থেকে বলতে পারত না এবিষয়ে বিজ্ঞ লোকদের মুখেই শুনুন বা তাদের লিখা হতেই পড়ুন আশাকরি উত্তর পাবেন, ঐশ্বরিক কিছু আছে না নাই তাও হয়তো খুতে পেতে পারেন , আমি ভাই কম জান্তা মানুষ বিজ্ঞান বলতেই যে অজ্ঞান লিংক দিয়েই আপাদত আমি ক্ষ্যান্ত দিলাম
http://www.sultan.org/articles/QScience.html
১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:১৭
ঝটিকা বলেছেন: বাহ খুব মজার তো। কোরআনে কত সুক্ষ্ণ সুন্দর বিষয় যে আছে!!!
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
মেলবোর্ন বলেছেন: নিজে জানি আপরকে জানাই , কোরআনে উৎসাহিত হই ধণ্যবাদ
১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩২
দিশার বলেছেন: @লেখক , ভাই মাফ করবেন, কিন্তু আপনার কথা কোরান এর বেসিক ঘোষণার সাথে যায় না , কোরান নিজেকে বলসে সর্বকালের সর্ব মানুষের জন্য প্রযোজ্য। আর আপনার কথায় যে, কোরান অশিক্ষিত মানুষের জন্য "সাধারণ" "ভুল" উদাহরণ দিসে।
কোরান কে বিজ্ঞান যে ভরপুর প্রমান করতে না যায়ে , মুসা আল্কাজেম ভাই এর মত বিজ্ঞান কেই ভুল বলেন তাও ভালো , হেহে .
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
মেলবোর্ন বলেছেন: আমি বলিনি যে কোরআন বিজ্ঞানে ভরপুর, তবে বিজ্ঞানের সাথে কন্টাডিক্টরি কিছু পাবেন না সেটা বলতে পারি এটা বলেছিলাম ,
কোরআন যে সবার জন্য এটার প্রমান হচ্ছে আপনি চাইলে কোরআনে বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করতে পারেন চাইলে না করতে পারেন তবে কোরআন নাযীল হয়েছিল মানুষের মোরাল, সামাজিক, অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জণ্য সুষম সমাজ ব্যবস্থার জন্য কোরআন সাইন্টেফিক গবেষনার চেয়ে মানুষের মনের গবেষনায় বেশি মনোযোগি
Qur’an is psychological, look into yourself, look outside of yourself. The Qur’an guides a person through different forms of Psychological Reflection.
Use your sense of balance and justice (universally recognised principles) – but ask yourself where did you get your balance from? How can that balance make you become even better, by not just believing its right, but implementing and spreading balance and justice among mankind too.
It goes beyond philosophy, it actually guides to what is higher than human thought. This is Qur’anic logic.
তো এটা কি সর্বকালের মানুষের জন্য হলো না? কারন সর্বকালে শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই থাকবে তো অশিক্ষিতদের জন্য সাধারন আলোচনা আর শিক্ষিত বা বিজ্ঞদের জন্য বিজ্ঞ আলোচনা, তানাহলে তো আপনারাই বলা শুরু করবেন কোরআন নাকি সর্বকালের তাইলে এইটাতে একটা সাইন্সের কিছু দেখাও এজন্যই কোরআনে আল্লাহ সকল কিছুই আলোচনা করেছেন যতটুকু দরকার, বাকী মানুষের উপর সে কত গবেষনা আর শিক্ষার মাধ্যেমে এগিয়ে নিতে পারে। মানুষ যতই সাইন্টিফিকলি আগে বাড়ুক তার মন, আর চিন্তা আকাক্ষা তো মানুষের প্রবত্তি, হিংসা, ক্ষোভ, ঘৃনা, ভালোবাসা, আশা, নিরাশা হতাশা সেই একই আছে তাই মোরাল বা মেইন থিমটাতে জোর বেশি দেয়া হয়েছে কোরআনে,
কোন বিষয়ে বিস্তারিত গবেষনা, সমসাময়িক বিষয়ে বিস্তারিত সমাধান সেটা যুগের সথে সে সময়কার বিজ্ঞরা নির্ধারন করবেন। কিন্তু মোরাল বা মেইন থিমটা কিন্তু কোরআনেরই থাকবে যেমন পিতা মাতার সাথে ভাল ব্যবহার, স্ত্রী, কন্য নারীর অধিকার, প্রতিবেশির দায়িত্ব, সমাজের প্রতি দায়িত্ব, রাস্ট্রের প্রতি দায়িত্ব , মানুষে মানুষে আচার আচরন এর মানদন্ড এ সকলই কোরআনে রয়েছে কোরআনরের মুল শিক্ষাই হলো মানুষকে ভালো পথে পরিচালিত করা সরল পথে যে পথে রয়েছে শান্তি যদি সঠিক ভাবে কোরআনের বিধান মানা হয়।
১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
মেংগো পিপোল বলেছেন: চালিয়ে যান ভাই। ইদানিং এত বেশি ব্যাস্ততায় আছি ব্লগে সময় দিতে পারছিনা। আপনারা লিখে যাচ্ছেন দেখে ভালো লাগলো। দুরত্ব যতই হোক সাথেই আছি।
ভালো থাকবেন।
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
মেলবোর্ন বলেছেন: কস্ট করে সময় বের করে আসার জন্য ধণ্যবাদ
২০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
ভারসাম্য বলেছেন: ১৪০০ বছর আগের মানুষেরাও জানত একটি মানুষের হৃৎপিন্ড একটাই থাকে এবং তা মানুষের বক্ষস্থলে থাকে। কাজেই কুর'আনে কোন পুরুষের দেহে দুইটি হার্ট না থাকার কথা বলা কুর'আনের বিজ্ঞানময়তার দিক থেকে সম্ভবতঃ তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উদাহরণ হতে পারেনা।
কিন্তু অবাক করার বিষয় হল এর শব্দচয়ন। যদি 'রজুল' (পুরুষ মানুষ) না বলে 'ইনসান/নাস' (মানুষ) ব্যাবহার করা হত তাহলে স্বাভাবিক অর্থগত দিক দিয়ে তেমন কোন পার্থক্য হতনা বরং নির্দ্দিষ্টভাবে পুরুষের উল্লেখ করাই একটু অস্বাভাবিক মনে হয়। এজন্যই সম্ভবতঃ অনেক অনুবাদেও পুরুষ উল্লেখ না করে শুধু মানুষ উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ আপনার এই পোষ্টটি পড়ে 'রজুলিন' এর উল্লেখ কেন করা হয়েছিল তা এখন আমার কাছে সুস্পষ্ট। এর ইংগিতও ঐ আয়াতেই ছিল যা এই লেখাতেও উল্লেখ করেছেন। কুর'আনের অন্য যে সব আয়াতে হার্ট এর অবস্থান বক্ষস্থলে বলে উল্লেখিত হয়েছে সেখানে আলোচ্য আয়াতে শরীরের নির্দ্দিষ্ট কোন অঞ্চল উল্লেখ না করে 'জাওফিহি' (অভ্যন্তরে) বলা হয়েছে।
এভাবে এইসব অতিসূক্ষ্ম বিষয় যা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে বরং একটু অস্বাভাবিক মনে হয় তাও এড়িয়ে না যাওয়া এবং তার কারণের ইংগিতও রেখে যাওয়া কুর'আনের অধিকাংশ আয়াতেই পাওয়া যায়।
কয়েকদিন আগেই এখানে একজন ব্লগার যিনি পেশাগত দিক দিয়ে একজন চিকিৎসক তাঁর একটা লেখায় সুরা কাহাফের গুহাবাসীগণ সম্পর্কিত আয়াতের উল্লেখ করে বলেছিলেন সেখানে গুহাবাসীদের পার্শ্বপরিবর্তন করানো হত এর উল্লেখ দেখে কুর'আনের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আরো সুদৃঢ় হয়েছে। কারণ পেশাগত কারণে তিনি জানেন কেউ একই ভাবে দীর্ঘদিন শোয়া থাকলে বেডসোর(এক ধরণের ঘা) তৈরী হয় তাই তিন শতাধিক বছর ধরে শায়িত কাউকে যদি নিয়মিত পার্শ্বপরিবর্তন করানো না হয় তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও বেডসোর হবার নিশ্চিৎ আশংকা থাকত। এটাকেও তিনি কুর'আনের বিজ্ঞানময়তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে আমার কাছে মনে হয় ১৪০০ বছর আগেও মানুষ এ রকম বেডসোর হবার ব্যাপারটা জানত। আমার কাছে আশ্চর্য লাগে যে কুর'আনে এরকম সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলোও এড়িয়ে না যাবার প্রবণতা দেখে। এইসব সূক্ষ্ম বিষয়সমূহর সচেতন প্রয়োগ কুরানে এত বেশি যে এটা কোন মানুষের রচনা হিসেবে বিশ্বাস করা অসম্ভব। কুর'আন নিশ্চিতভাবেই আল্লাহর বানী।
পোষ্টে +++ ।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মেলবোর্ন বলেছেন: ভারসাম্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনি পোস্টের বিষয়টাকে আরো নিখুত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন -- ডাঃ নার্গিস পারভীন এর ভলো লিখাটার লিংকের জন্য ধণ্যবাদ আসলেই কোনআনে অনেক কিছুই আছে যা কুর'আনের বিজ্ঞানময়তার প্রমান করে এখানে তেমনি কিছু বিষয়ে লিখা আছে ইচ্ছে থাকলে দেখে আসতে পারেন।
http://www.sultan.org/articles/QScience.html
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৭
মেলবোর্ন বলেছেন: কোরআনের রচনা শৈলী নিয়ে খুবই ইন্টারেস্টিং একটি ইবুক
The Qur’an The Linguistic Miracle. Download (125 A3 pages, 3.2 MB) Click This Link
২১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৪
না পারভীন বলেছেন: মাশাল্লাহ ।
একে বারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপনার রচনা শৈলীতে । সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে পারার জন্য গুন লাগে ।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৪
মেলবোর্ন বলেছেন: ডাঃ নার্গিস আপু আমি কিন্তু তেমন কিছুই লিখিনি শুধু একটি পছন্দের ভিডিওর বাংলা অনুবাদ করে দিয়েছি কোরআনের রচনা শৈলী নিয়ে খুবই ইন্টারেস্টিং একটি ইবুক
The Qur’an The Linguistic Miracle. Download (125 A3 pages, 3.2 MB)
Click This Link
যেহেতু ডাঃ মানুষ পড়া পছন্দ করেন তাই আশাকরি কাজে লাগবে
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন
আল কোরআন এর আলোচনা বিশ্ব মানবের মুক্তি ও দিক নির্দেশক ।
শুভেচ্ছা