নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

When the solution is simple, God is answering.

we need to read and understand the gift given to us, the QUR\'AN and spread the message of ISLAM , The love for your fellow human, the respect for WOMEN, making world a Better Place.

মেলবোর্ন

১. The Qur'an is the Most Influential, Most Powerful, Most Memorized, and Most Followed Book on the planet Earth।Find out why @ LinguisticMiracle.com ২: I believe A little science leads one away from God, a great deal of science leads one back to Him ৩: I will make the most of everything in life, because life is no rehersal... So if i love someone, i will tell them, if im upset with someone, i will forgive them and if anyone chooses to love me in return, i will be most certainly grateful, and show them everyday for as long as i am capable to do so, how much it means to me

মেলবোর্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ প্রিয় কবির জন্মদিন, তো প্রিয় একটি কবিতা হয়ে যাক ! সাথে কিছু পরিসংখান আগ্রহীদের জন্য

২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

আজ আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর জন্মদিন।এই অধমের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ...





দরিদ্র অবহেলিত কবি, আমাদের উপরে কোন ক্ষোভ রেখো না, দিতে পারিনি তোমার প্রপ্প সম্মান করেছি কতো আপমান, ক্ষমা করো মোদের, তুমি তো বিদ্রোহী এই দুর্বলদের ঘুম ভাংগাতে চেয়েছো কিন্তু আমরাতো এমনই জাতি যে জেগে ঘুমায় তাকে উঠাবে কি করে ? যে চেস্টা তুমি করে গিয়েছো আমরাও করবো সে চেস্টা ঘুম আমাদের ভাংতেই হবে জেগে ওঠতেই হবে আমাদের --বাংগালী যেমন আরাম প্রিয়, প্রয়োজনে সেই বাংগালী মরতেও জানে সেই সব নীর্ভিক অকুতভয়দের জন্য তোমারই ভাষায়



বিদ্রোহী



বল বীর -

বল উন্নত মম শির!

শির নেহারি আমারি, নত-শির ওই শিখর হিমাদ্রীর!

বল বীর -

বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'

চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'

ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া,

খোদার আসন "আরশ" ছেদিয়া

উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!

মম ললাটে রুদ্র-ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!

বল বীর -

আমি চির-উন্নত শির!



আমি চিরদুর্দ্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,

মহা- প্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস,

আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর!

আমি দুর্ব্বার,

আমি ভেঙে করি সব চুরমার!

আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,

আমি দ'লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃংখল!

আমি মানি নাকো কোনো আইন,

আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম,

ভাসমান মাইন!

আমি ধূর্জ্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর!

আমি বিদ্রোহী আমি বিদ্রোহী-সূত বিশ্ব-বিধাত্রীর!

বল বীর -

চির উন্নত মম শির!



আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণী,

আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণী!

আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,

আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,

আমি চল-চঞ্চল, ঠুমকি' ছমকি'

পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি'

ফিং দিয়া দিই তিন দোল্!

আমি চপলা-চপল হিন্দোল!



আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা',

করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,

আমি উদ্দাম, আমি ঝঞ্ঝা!

আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরিত্রীর।

আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির-অধীর।

বল বীর -

আমি চির-উন্নত শির!



আমি চির-দুরন্ত-দুর্ম্মদ,

আমি দুর্দ্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দ্দম্ হ্যায়্ হর্দ্দম্

ভরপুর মদ।

আমি হোম-শিখা, আমি সাগ্নিক, জমদগ্নি,

আমি যজ্ঞ, আমি পুরোহিত, আমি অগ্নি!

আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি শ্মশান,

আমি অবসান, নিশাবসান।

আমি ইন্দ্রাণি-সূত হাতে চাঁদ ভালে সূর্য্য,

মম এক হাতে-বাঁকা বাঁশের বাঁশরী, আর হাতে রণ-তূর্য্য।

আমি কৃষ্ণ-কন্ঠ, মন্থন-বিষ পিয়া ব্যথা বারিধির।

আমি ব্যোমকেশ, ধরি বন্ধন-হারা ধারা গঙ্গোত্রীর।

বল বীর -

চির উন্নত মম শির।



আমি সন্ন্যাসী, সুর-সৈনিক

আমি যুবরাজ, মম রাজবেশ ম্লান গৈরিক!

আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস,

আমি আপনা ছাড়া করি না কাহারে কুর্ণিশ!

আমি বজ্র, আমি ঈশান-বিষাণে ওঙ্কার,

আমি ইস্ত্রাফিলের শিঙ্গার মহা-হুঙ্কার,

আমি পিনাক-পাণির ডমরু-ত্রিশূল, ধর্ম্মরাজের দন্ড,

আমি চক্র ও মহাশঙ্খ, আমি প্রণব-নাদ-প্রচন্ড!

আমি ক্ষ্যাপা দুর্বাসা-বিশ্বামিত্র-শিষ্য,

আমি দাবানল-দাহ, দাহন করিব বিশ্ব!

আমি প্রাণ-খোলা-হাসি উল্লাস, - আমি সৃষ্টি-বৈরী মহাত্রাস,

আমি মহা-প্রলয়ের দ্বাদশ রবির রাহু-গ্রাস!

আমি কভু প্রশান্ত, - কভু অশান্ত দারুণ স্বেচ্ছাচারী,

আমি অরুণ খুনের তরুণ, আমি বিধির দর্প-হারী!

আমি প্রভঞ্জনের উচ্ছাস, আমি বারিধির মহাকল্লোল,

আমি উজ্জ্বল আমি প্রোজ্জ্বল,

আমি উচ্ছল জল-ছল-ছল, চল-ঊর্মির হিন্দোল্ দোল!



আমি বন্ধন-হারা কুমারীর বেণী, তন্বী-নয়নে বহ্নি,

আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম-উদ্দাম, আমি ধন্যি।

আমি উন্মন মন উদাসীর,

আমি বিধাতার বুকে ক্রন্দন-শ্বাস, হা-হুতাশ আমি হুতাশীর!

আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির-গৃহহারা যত পথিকের,

আমি অবমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা, প্রিয়-লাঞ্ছিত

বুকে গতি ফের!

আমি অভিমানী চির-ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,

চিত- চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম পরশ কুমারীর!

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল ক'রে দেখা অনুখন,

আমি চপল মেয়ের ভালোবাসা, তা'র কাঁকন-চুড়ির কন্-কন্।

আমি চির-শিশু, চির-কিশোর,

আমি যৌবন-ভীতু পল্লীবালার আঁচর কাঁচলি নিচোর!

আমি উত্তর-বায়ু, মলয়-অনিল, উদাসী পূরবী হাওয়া,

আমি পথিক-কবির গভীর রাগিণী, বেণু-বীনে গান গাওয়া!

আমি আকুল নিদাঘ-তিয়াসা, আমি রৌদ্র রবি,

আমি মরু-নির্ঝর ঝর-ঝর, আমি শ্যামলিমা ছায়া-ছবি! -

আমি তুরিয়ানন্দে ছুটে চলি এ কি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!

আমি সহসা আমারে চিনেছি, আমার খুলিয়া গিয়াছে

সব বাঁধ!



আমি উত্থান, আমি পতন, আমি অচেতন-চিতে চেতন,

আমি বিশ্ব-তোরণে বৈজয়ন্তী, মানব বিজয় কেতন!

ছুটি ঝড়ের মতন করতালি দিয়া

স্বর্গ-মর্ত্ত্য করতলে,

তাজি বোরবাক্ আর উচ্চৈস্রবা বাহন আমার

হিম্মত-হ্রেস্বা হেঁকে চলে!

আমি বসুধা-বক্ষে আগ্নেয়াদ্রি, বাড়ব-বহ্নি, কালানল,

আমি পাতালে মাতাল অগ্নি-পাথর-কলরোল-কল-কোলাহল!

আমি তড়িতে চড়িয়া উড়ে চলি জোর তুড়ি দিয়া, দিয়া লম্ফ,

আণি ত্রাস সঞ্চারি ভুবনে সহসা, সঞ্চরি' ভূমি-কম্প!

ধরি বাসুকির ফনা জাপটি', -

ধরি স্বর্গীয় দূত জিব্রাইলের আগুনের পাখা সাপটি'!

আমি দেব-শিশু, আমি চঞ্চল,

আমি ধৃষ্ট আমি দাঁত দিয়া ছিঁড়ি বিশ্ব-মায়ের অঞ্চল!



আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী,

মহা- সিন্ধু উতলা ঘুম্-ঘুম্

ঘুম্ চুমু দিয়ে করি নিখিল বিশ্বে নিঝ্ঝুম্

মম বাঁশরী তানে পাশরি'

আমি শ্যামের হাতের বাঁশরী।

আমি রুষে উঠে' যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,

ভয়ে সপ্ত নরক হারিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া!

আমি বিদ্রোহ-বাহী নিখিল অখিল ব্যাপিয়া!



আমি প্লাবন-বন্যা,

কভু ধরণীরে করি বরণিয়া, কভু বিপুল ধ্বংস-ধন্যা -

আমি ছিনিয়া আনিব বিষ্ণু-বক্ষ হইতে যুগল কন্যা!

আমি অন্যায়, আমি উল্কা, আমি শনি,

আমি ধূমকেতু-জ্বালা, বিষধর কাল-ফণি!

আমি ছিন্নমস্তা চন্ডী, আমি রণদা সর্বনাশী,

আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি!



আমি মৃণ্ময়, আমি চিন্ময়,

আমি অজর অমর অক্ষয়, আমি অব্যয়!

আমি মানব দানব দেবতার ভয়,

বিশ্বের আমি চির দুর্জ্জয়,

জগদীশ্বর-ঈশ্বর আমি পুরুষোত্তম সত্য,

আমি তাথিয়া তাথিয়া মথিয়া ফিরি এ স্বর্গ-পাতাল-মর্ত্ত্য

আমি উন্মাদ, আমি উন্মাদ!!

আমি চিনেছি আমারে, আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে

সব বাঁধ!!

আমি পরশুরামের কঠোর কুঠার,

নিঃক্ষত্রিয় করিব বিশ্ব, আনিব শান্তি শান্ত উদার!

আমি হল বলরাম স্কন্ধে,

আমি উপাড়ি' ফেলিব অধীন বিশ্ব অবহেলে নব সৃষ্টির মহানন্দে।



মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত,

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -

বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত

আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দিই পদ-চিহ্ন,

আমি স্রষ্টা-সূদন, শোক-তাপ-হানা খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব-ভিন্ন!

আমি বিদ্রোহী ভৃগু, ভগবান বুকে এঁকে দেবো পদ-চিহ্ন!

আমি খেয়ালী বিধির বক্ষ করিব ভিন্ন!



আমি চির-বিদ্রোহী বীর -

আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!



কিছু উল্লেখযোগ্য পরিসংখ্যান



১। নজরুল বাংলা ভাষায় সর্বাধিক “হামদ-নাত” এর রচয়িতা।

২। গ্রামোফোন কোম্পানী থেকে নজরুলের হামদ-নাত যখন বের হোতো, তখন মাঝে মাঝে রেকর্ডের ওপর “পীর-কবি নজরুল” লেখা থাকত।

৩। বাংলা ভাষায় যারা হামদ-নাত রচনা করে গেছেন, তাদের মধ্যে একই সাথে হিন্দু এবং ইসলাম ধর্ম উভয় বিষয়ে পারদর্শী কেউ ছিলনা, একমাত্র ব্যতিক্রম নজরুল।

৪। একাধিক আরবী-ছন্দ নিয়ে নজরুলের অসংখ্য কবিতা আছে, বাংলা ভাষার আরও এক প্রতিভাবান কবি ফররুখ আহমদ এ বিষয়ে কারিশমা দেখাতে পারেনি।

৫। ইরানের কবি হাফিজ আর ওমর খৈয়ামের যতজন ‘কবি’ অনুবাদক আছেন তার মধ্যে নজরুল একমাত্র মূল ফারসী থেকে অনুবাদ করেছেন, বাকী সবাই ইংরেজীর থেকে।

৬। “ফারসী” এবং “আরবী”তে নজরুল এর জ্ঞান ছিল পাণ্ডিত্যের পর্যায়ে।

৭। গ্রামোফোন কম্পানি থেকে “ইসলামি গান” নজরুলের পূর্বে আর কেউ গায়নি।



নজরুল জীবনের শেষ অধ্যায়



নজরুলের জীবনের একমাত্র সাক্ষাৎকার যেটা উনি ১৯৪০ সনে দিয়েছিলেন, চিরদিনের জন্য অসুস্হ হয়ে যাবার কিছুদিন আগে- সেখানে উনি বলেছিলেন, :



"মুসলমানরা যে একদিন দুনিয়াজোড়া বাদশাহি করতে সমর্থ হয়েছিল সে তাদের ইমানের বলে। আজ আমরা ইমান হারিয়ে ফেলেছি। ইমানের প্রকৃত অর্থ ‘পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পন’। ভারতে রাজা-বাদশাদের দ্বারা ইসলাম জারি হয় নাই। আর মানুষের মঙ্গলের বিধান করেছেন আউলিয়া ‘পীর’ বোজর্গান। সারা ভারতে হাজার আউলিয়ার মাজার কেন্দ্র করে আজো সেই শান্তির কথা আমরা শুনতে পাই। আমি মওলানা আকরম খাঁ ও মৌলবি ফজলুর হক সাহেবকে বলেছিলাম যে, আসুন, আপনারা সমস্ত ত্যাগ করে হজরত ওমর (রাঃ) ও আবুবকরের (রাঃ) আদর্শ সামনে রেখে সমাজে লাগি, আমি আমার সব কিছু ছেড়ে কওমের খেদমতে লাগতে রাজি আছি।” --অতীত দিনের স্মৃতি, সম্পাদনা - আব্দুল মান্নান সৈয়দ পৃষ্ঠা ১৯২,১৯৩



কাজী নজরুল ইসলাম:

জন্ম: ২৪শে মে ১৮৯৯ চুরুলিয়া গ্রামে আসানসোন বরদান জেলায়, তৎকালীন ওয়েস্ট বেংগল।

মৃত্যু: ২৯ শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে ৭৭ বছর বয়সে ঢাকা, বাংলাদেশে।



এই পোস্ট লিখতে সদালাপের এই পোস্ট হতে সাহাজ্য নেয়া হয়েছে http://www.shodalap.org/deshebideshe/13308

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

খেয়া ঘাট বলেছেন: দুখি মানুষের দুখি কবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

তোমাদের পানে চাহিয়াগো বন্ধু আর আমি জাগিবো না,
কোলাহল করে সারাদিনমান কারো ধ্যাণ আমি ভাঙিবোনা।

২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

মেলবোর্ন বলেছেন: শিল্পী আব্বাসউদ্দিন একদিন অনেক খোঁজাখুঁজি করে নজরুলকে না পেয়ে সকালে তার বাসায় গেলেন। বাসায় গিয়ে দেখলেন নজরুল গভীর মনোযোগ দিয়ে কি যেন লিখছেন। নজরুল ইশারায় আব্বাসউদ্দিনকে বসতে বললেন। আব্বাস উদ্দিন অনকেক্ষণ বসে থাকার পর জোহরের নামাজের সময় হলে তিনি উসখুস করতে লাগলেন। নজরুল বললেন, “কি তাড়া আছে, যেতে হবে?” আব্বাসউদ্দিন বললেন, “ঠিক তাড়া নেই, তবে আমার জোহরের নামাজ পড়তে হবে। আর এসেছি একটা ইসলামি গজল নেবার জন্য। গজল না নিয়ে আজ যাওয়া হচ্ছে না।” [নজরুলকে যেহেতু বাউন্ডেলে স্বভাবের কারণে পাওয়া যেত না, তাই সবাই এইভাবে লেখা আদায় করত] নামাজ পড়ার কথা শুনে নজরুল তাড়াতাড়ি একটি পরিস্কার চাদর তার ঘরের আলমারি থেকে বের করে বিছিয়ে দিলেন। এরপর আব্বাস উদ্দিন যথারীতি জোহেরর নামাজ শেষ করার সাথে সাথে নজরুল আব্বাসউদ্দিনের হাতে একটি কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “এই নাও তোমার গজল।” আব্বাস উদ্দিন বিস্ময়ের সাথে দেখলেন তার নামাজ পড়তে যে সময় লেগেছে ঠিক সেই সময়ের মধ্যে নজরুল সম্পূর্ণ একটি নতুন গজল লিখে ফেলেছেন। নীচে গজলটি দেয়া হলো:

হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ
দিলাম তোমার চরণ তলে হৃদয় জায়নামাজ।
আমি গোনাহগার বে-খবর
নামাজ পড়ার নাই অবসর
তব, চরণ-ছোওয়ার এই পাপীরে কর সরফরাজ
হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।
তোমার অজুর পানি মোছ আমার পিরহান দিয়ে
আমার এই ঘর হউক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে;
যে শয়তান ফন্দিতে ভাই
খোদার ডাকার সময় না পাই
সেই শয়তান থাক দূরে (শুনে) তকবীরের আওয়াজ
হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ।

২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস পোস্ট



লাল সালাম হে কবি!

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

মেলবোর্ন বলেছেন: "কাজী নজরুল ইসলাম" শুধু একজন জাতীয় কবির নাম নয়,বরং সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, যোদ্ধা, দার্শনিক, তারচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন বিদ্রোহী। অমিয় কাব্যসুধার পাশাপাশি তিনি সৃষ্টি করেছেনপ্রগতিশীল প্রণোদনা।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। অগ্নিবীণা হাতে বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর প্রবেশ, তেমনি ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে –- কাজেই "বিদ্রোহী কবি"।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: হুম ।

২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

মেলবোর্ন বলেছেন: বল বীর -
আমি চির-উন্নত শির!

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বোকামন বলেছেন:







স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,
কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, -
জাগবে হঠাৎ চমকে!
ভাববে বুঝি আমিই এসে
ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন
শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!
বেদনাতে চোখ বুজবে -
বুঝবে সেদিন বুঝবে!



কবিকে কে বুঝার এখনো অনেক রয়েছে বাকী!
নজরুলের জীবনদর্শনের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে উদাসীনতা আজোও বিদ্যমান।

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, পরিশ্রমের জন্য।

আস সালামু আলাইকুম।

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

মেলবোর্ন বলেছেন: ধন্যবাদ বোকামন ভাই কবিকে আসলেই বোঝার অনেক বাকী তিনি কি সেটা এই বাক্যেই বোঝা যায় "“কেউ বলেন, আমার বাণী যবন, কেউ বলেন, কাফের। আমি বলি ও দুটোর কিছুই নয়। আমি শুধুমাত্র হিন্দু-মুসলমানকে এক জায়গায় ধরে এনে হ্যান্ডশেক করাবার চেষ্টা করেছি, গালাগালিকে গলাগলিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছি। "[নজরুল রচনাবলী - ৮, পৃষ্ঠা ৩, ৫]


মহা- বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত,
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল, আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না,
অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না -
বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত
আমি আমি সেই দিন হব শান্ত!

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: গ্রামোফোন কোম্পানী থেকে নজরুলের হামদ-নাত যখন বের হোতো, তখন মাঝে মাঝে রেকর্ডের ওপর “পীর-কবি নজরুল” লেখা থাকত।

আমি কিন্তু সিরিয়াসলি নজরুল ইসলামকে আল্লাহর ওয়ালী মনে করি এবং মনে মনে নামের পর দোয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি পড়ি।

যিনি খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে রইতে পারেন- এগুলো এম্নি এম্নি আসে না। এসব কথা অভিনয় নয়, এসব কথা অততুক্তি নয়।

নজরুল কতবার কাঁদিয়েছেন, আহা তাঁর মত করে নাম মুহাম্মাদ তো বলতে পারলাম না!

আর বিদ্রোহী কবিতা হল তাঁর পূর্ণতার স্বাক্ষর। আমরা তো আর বলতে পারব না, এরচে সেরা কবিতা আছে কিনা... অধমদের কাছে এটাই শ্রেষ্ঠ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:৪৭

মেলবোর্ন বলেছেন: আপনার কথার সাথে সম্পুর্ন একমত, ওনি যে মনের দিক থেকে শুদ্ধ এবং বর্তমানের অনেকের থেকেও ঈমানে বলিয়ান ছিলেন সেটা ওনার লেখনীতেই প্রকাশ পেয়েছে ওনার কবিতা যতই পড়ি ততই মুগ্ধ হই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.