নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে সিরিয়া ( ২য় পর্ব)

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮



সিরিয়ায় এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু ছিল । শুধু মাত্র বাথ পার্টি দেশ শাসন করত । প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতেন শুধু একজন আর তিনি বাশার আল আসাদ। প্রেসিডেন্ট গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতেন। গণআন্দোলনের কারনে গণভোটের মাধ্যমে আসাদ সংবিধানে উল্লেখযোগ্যকিছু পরিবর্তন আনেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে বহুদলীয় ব্যবস্থা চালু করেন এবং সারা দেশে প্রথমবারেরমত ২০১২ সালে ৭ ই মে বহুদলের অংশগ্রহনে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠীত হয় কিন্তু বিদ্রো্হীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।তারা স্বশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে যেতে থাকে কারন তাদের মদতদাতা হল স্বয়ং যুক্তরাস্ট্র । আর সিরিয়ায় সিভিল ওয়ার যত দীর্ঘস্থায়ী হবে তত লাভ হবে ইসরায়েলের কারন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ মানেই ইসরায়েলের আয়ু বাড়া । এর কারন হল ইসরায়েলের প্রতিবেশী যতবেশি দুর্বল হবে ইসলায়েলের বেঁচে থাকার সম্ভবনা তত প্রবল হবে । ইসরায়েলের এমন একটা অবৈধ রাস্ট্র যুদ্ধের মাধ্যমেই যার জন্ম, যুদ্ধই তার ব্যাপ্তি আর যুদ্ধই তার জীবন।





সিরিয়াতেও আরব বসন্তের ঢেউ লেগেছিল সেটা আগেই বলেছি কিন্তু সেই ঢেউ যেমন পারেনি শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখতে তেমন পারেনি নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে।আর ইসরায়েল, আমেরিকা ও মার্কিনপন্থী পুতুল আরব শাসকরা নিজেরাও এরকম একটা সুযোগ খুজতেছিল । কারণ এই মার্কিনপন্থী পুতুল আরব শাসকরা ইসরায়েলকে যতটা না হুমকি মনে করে তার চেয়ে শতগুণে তারা হুমকি মনে করে ইরানকে যদিও এরকম কোন নজির নেই যে কম করে হলেও পাঁচশত বছরের মধ্যে ইরান আরবদের কোন দেশ আক্রমণ করেছে অথচ ইসরায়েলের এরকম ভুরি ভুরি প্রমান আছে । সিরিয়া, ইরান, হামাস ও হিজবুল্লাহ যেহেতু মিত্র আর এরা সবাই মার্কিন-ইসরায়েল বিরোধী একটি অক্ষশক্তি আর আরব শাসকদের ক্ষমতার উৎস তাদের জনগণ নয় বরং তাদের ক্ষমতার উৎস হল মার্কিন ও ইসরায়েলী তাবেদারী তাই তাদের প্রভুদের সন্তুষ্ট করা ও আরবের বসন্তকে হাইজ্যাক করা যাতে সেই বসন্তের ঢেউ স্বৈরাচারী রাজাবাদশাহদের শরীরে না লাগে এজন্য সিরিয়ার শান্তিপূর্ণ ঢেউকে সশস্ত্র বিপ্লেবে রুপ দেওয়া ছিল এই পাপেট আরবদের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য । আর আমেরিকা-ইসরায়েলের উদ্দেশ্য হল সিরিয়াকে ধ্বংস বা দুর্বল করে আমেরিকা-ইসরায়েল বিরোধী জোটকে নির্মূল করা আর ফিলিস্তিনিদের বাকি খন্ড খন্ড জমিটুকু ইসরায়েলের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া । তুরস্কের উদ্দেশ্য হল মধ্যপ্রচ্যে ইরানের প্রভাব খর্ব করে নিজের ওসমানীয় সাম্রাজ্যের অবস্থায় ফিরে আসা যেখানে তুরস্কই হবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির নিয়ন্ত্রনকর্তা কিন্তু তুরস্কের এটা মনে হয় উপলব্ধিতে নেই যে ন্যাটোর অংশীদার, আমেরিকা-ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে মুসলমানদের নেতৃত্ব দিতে গেলে সেটা বুমেরাং হবে । হয়েছেও তাই । এখন তুরস্ক পাকিস্থানের মত নিজের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত । তাকসিম চত্বর অন্যতম উদাহরণ।

এখন আসা যাক সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কারা কারা ?

সিরিয়াতে লড়াইরতম বেশিরভাগই যোদ্ধা হল বিদেশী। এর মধ্যে আছে আল কায়েদা, তালেবান, ফাতাহ আল ইসলাম,জুনুত আল ইসলাম,হিজবুত তাহরীর, ইসলামিক ফাইটিং গ্রুপ ইন লিবিয়াসহ আরো অনেক বিদেশী জঙ্গী আর এর সঙ্গে আছে সিরিয়ার আর্মির সামান্য একটু বিচ্যুত অংশ। সৌদি আরব, কাতারসহ কতিপয় আরবদেশগুলি থেকে হাজার হাজার আসামীকে যারা খুনসহ বিভিন্ন ভয়ংকর অপরাধে অভিযুক্ত তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিরিয়ায় এই শর্তে যে তারা সিরিয়ান সরকার ও জনগণেরবিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ইতিমধ্যেই আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল- জাওয়াহিরির ভাই মুহাম্মাদ আল-জাওয়াহিরি সিরিয়ায় আটক হয়েছেন। সিরিয়ার সামরিক বাহিনী তাকে দারা শহর থেকে আটক করেছে বলে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে।আল কায়েদার সিরিয়া শাখার নাম হল আন্ নুসরা । এই কয়েকদিন আগে সৌদি আরবের গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স বন্দর বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ আলে সৌদ সিরিয়ার বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীদের আল-কায়েদার নেতৃত্বে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আল-কায়েদার সিরিয় শাখা আন্-নুসরার নেতৃত্বে কাজ করতে অস্বীকারকারী বিদ্রোহীদের হত্যা করা হবে। এই ফ্রি সিরিয়ান আর্মি পরিচালিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোর সরাসরি তত্বাবধানে। ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে তুরস্কে। অর্থায়ন করতেছে সৌদি, কাতার ও তাদের প্রভূ যুক্তরাস্ট্র, ইসরায়েলসহ ইউরোপিয়ান দেশগুলি।এসএনসি নামে দেশের বাইরে একটি সংগঠন আছে যাদেরকে যুক্তরাস্ট্র, ইউ ও কতিপয় আরব দেশ সিরিয়ার বৈধ প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ।এই এসএনসির প্রধান হলেন জর্জ সাবরা যিনি একজন খ্রিস্টান ও পরে মুয়াজ আল খতিব । যিনি সম্প্রতি বলেছেন ইসরায়েল আসাদের পতনে আমাদের সহায়তা করলে আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতিসহ ইসরায়েলের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করব। অবশ্য ইসরায়েলে ইতিমধ্যেই সিরিয়ার জঙ্গীদের সহায়তা করতেছে তারো প্রমান অনেক আছে। মজার ব্যাপার হল সিরিয়ান অভ্যন্তরে লড়াইরত যোদ্ধাগণ এই এসএনসিকে তাদের বৈধ প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকার করতেছে না । যারা বিদেশের মাটিতে বসে সাম্রাজ্যবাদীদের পরামর্শে সিরিয়ার বৈধ প্রতিনিধিকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে তারা ক্ষমতায় আসলে সিরিয়ার পরিণতি কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।





জাতিসংঘের হিসাবমতে সিরিয়ার সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ লোকের প্রাণহানি হয়েছে কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার হল সিরিয়ায় বর্তমানে যা হচ্ছে তা কোনক্রমেই সমর্থনযোগ্য নয়। একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে আলকায়েদা, ওয়াহাবী, সালাফী সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষন দিয়ে সেখানে পাঠিয়ে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে সরকার পরিবর্তন কতটুকু যুক্তিসম্মত বা সমর্থনযোগ্য ? সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরোধী একজন নেতা ইহুদিবাদী ইসরাইলের চ্যানেল-টু টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদই তার একমাত্র শত্রু এবং আসাদের বিরুদ্ধে কথা বললে তিনি সাবেক ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারনকেও শ্রদ্ধা করতে প্রস্তুত !!!



দেখুন সিরিয়ায় গুলি করে বেসামরিক নাগরিকের হত্যা কার্যকর (ভিডিও)



সিরিয়া বর্তমানে পরিণত হয়েছে পরাশক্তি ও আঞ্চলিক পরাশক্তিদের যুদ্ধক্ষেত্র । সিরিয়ায় সহিংসতার এর মুল ভূমিকায় আছেন তুরুস্ক ও কাতার, সৌদি, যুক্তরাস্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাবিশ্ব। আমি এখানে সিরিয়ার ঘটনার সাথে স্পষ্টই মিল পাচ্ছি ৮০’র দশকে আফগানিস্থানের ঘটনার সাথে তবে পার্থক্য হল জঙ্গি আফগানরা সেসময় লড়েছিল বাহিরের শক্তির সাথে আর সিরিয়ায় জেহাদীগ্রুপ গুলো লড়তেছে সিরিয়ার বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সময় আফগানিস্থানে পাকিস্থান, সৌদি ও যুক্তরাস্ট্রের সক্রিয় সহযোগীতায় গঠিত হয় আল কায়েদা ও তালবান আর এই আল কায়েদা ও তালেবানরা উৎখাত করে সোভিয়েতদের কিন্তু এরপর তালেবানরা ক্ষমতায় এসে আফগানিস্থানের কি অবস্থা করল ? আফগানিস্থান ফিরে গেল পাথরের যুগে।সিরিয়াতেও একই নাটক মঞ্চায়িত হচ্ছে।



আর যুক্তরাস্ট্র-ইসরায়েল এখানে খেলতেছে জটিল এক গেম । যে যুক্তরাস্ট্র আল কায়েদা ও এরকম মতাদর্শের বিরুদ্ধে ক্রুসেড ঘোষনা করেছিল সেই যুক্তরাস্ট্র কৌশলে সেই যুদ্ধকে সিরিয়ায় সম্প্রসারিত করেছে । এরফলে যুক্তরাস্ট্রের লাভ হয়েছে যে যুক্তরাস্ট্রকে এখন থেকে আগের মত আর আল কায়েদা বিরোধী লড়াই করতে হবে না । কারণ আল কায়েদা, সালাফি ও ওহাবী মতাদর্শের উগ্র যোদ্ধাগণ ছুটছে সিরিয়ার পানে সেখানে লড়াই হচ্ছে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সাথে । মানে দাড়ালো কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা । এত মারা যাচ্ছে বা হতাহত হচ্ছে দুপক্ষের লোকজন অথচ এই দুই শক্তিই ইসরায়েল-আমেরিকার বিরোধী ।সিরিয়াতে যুক্তরাস্ট্র শিয়া-সুন্নি লড়াই বাধাতে পারলে যদিও তা করতে সক্ষম হয়েছে অনেকটা তাহলে যুক্তরাস্ট্র ও ইসরায়েল তখন নাকে খাঁটি সরিষার তেল দিয়ে ঘুমাবে !



মাস কয়েক আগে যখন বিদ্রোহীরা কোণঠাসা তখনই এরা বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দিয়ে গৃহযুদ্ধ আবার উস্কে দিলেন । যদি তা মেনে নেন তাহলে বাহরাইনে যা হচ্ছে সেখানে তথাকথিত জাতিসংঘ, ওয়াইসি ও আরবলীগের ভূমিকা কি ? পশ্চিমা বিশ্ব কেন সেখানে নিরব ? কারন একটাই বাহরাইন সরকার হল তাদের হাতের পুতুল, তাদের সেবাদাস। আরো সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো যে আরবরা সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্র পাঠাচ্ছে তাদের সিরিয়ান ভাই বোনদের হত্যা করতে অথচ সেই আরবরা যখন ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হত্যযজ্ঞ চালায় তখন তারা একটি বুলেটও পাঠানোর সাহস পায়নি কারন মার্কিন ও ইসরায়েলী মুরব্বি যে নাখোস হবে !!!



যুক্তরাস্ট্র, ইউরোপ রাশিয়া ও চীনসহ বিশ্বশক্তিগুলো জেনেভা সম্মেলনে একমত হয়েছিল যে সিরিয়ায় সবপক্ষকে নিয়ে একটা ঐক্যমত্যের সরকার গঠন করা হবে এবং সেই প্রস্তাবে ইরানসহ স্বয়ং সিরিয়া পর্যন্ত সমর্থন করছিল কিন্তু যুক্তরাস্ট্র, তুরস্ক ও কতিপয় আরব রাস্ট্রের হঠকারিতার কারনে সেই প্রস্তাব ভেস্তে গেছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় সৌদি, কাতারের মত দেশগুলিতে কোনদিন কোন নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হয়নি আর আজ তারাই সিরিয়ায় তথাকথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে !!!



এরই মধ্যে ইরান সিরিয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য ছয়দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে যা হল মুলত অস্ত্রবিরতি, বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা, ত্রাণ সরবরাহ ও সর্বোপরি সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠান করা । রাশিয়া এই পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছে কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে যা মনে হল রাশিয়া, ইরান ও চীন আর অন্যদিকে তুরস্ক, সৌদি, কাতার ও তাদের মিত্র আমেরিকা, ইউরোপ সবাই নো অফ রিটার্নিং পজিশনে চলে গেছে।তাই মনে হয় না ইরানের প্রস্তাব কার্যকরী হবে । রাশিয়া ইতিমধ্যেই সতর্ক করে দিয়েছে সিরিয়ায় কোন বাইরের হেলমেট ঢুকতে দেওয়া হবে না । শেষ পর্যন্ত ন্যাটো হয়তো হস্তক্ষেপ করবে না কিন্তু সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলতে পারে বছরের পর বছর ধরে যতদিন না পর্যন্ত কোন একটা পক্ষ পরাজিত হয়। এতে প্রাণহানী যেমন ঘটবে সীমাতীত তেমনি সিরিয়ায় হয়তো ক্ষমতায় আসবে তালেবানী ধারা এবং সিরিয়া যাবে প্রস্তরযুগে ফিরে আর এর ফলাফল ইরান ও আরব বিশ্বসহ বাদবাকী বিশ্বকেই ভোগ করতে হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিরিয়ান তথাকথিত বিদ্রোহীদের উপলব্ধি হয় ততই মঙ্গল । সবপক্ষই বসে একটা গ্রহযোগ্য সমাধানে পৌছাতে পারলেই সিরিয়া ও বাদবাকি বিশ্বের মঙ্গল। যুক্তরাস্ট্রের বিরোধীতা সত্তেও মিশরের প্রেসিডেন্ট মুরসির উদ্যেগে গঠন করা হয়েছিল কন্টাক্ট গ্রুপ ইরান, তুরস্ক, সৌদি ও মিশরকে নিয়ে। তবে মন্ত্রী পর্যায়ের কায়রো বৈঠকে সৌদির কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। যার ফলে সেটা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। যুক্তরাস্ট্রের অনুমতি ছাড়া সৌদিরা যে এক পা বাইরে ফেলতে পারেন না এটা আর একটা প্রমান। আর মিশর ইতমধ্যেই সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করেছে।





আল কায়েদা, তালেবান সন্ত্রাসী কর্তৃক সিরিয় নিরিহ নাগরিকদের নৃশংস হত্যা ।



অন্যদিকে তুরস্ক মরিয়া হয়ে উঠেছিল সিরিয়াকে আক্রমন করার জন্য। সিরিয়া আক্রমন করার জন্য তারা পার্লামেন্টে বিলও পাশ করিয়েছে। ন্যাটো ঘোষনা দিয়েছে তুরস্ককে রক্ষায় তারা পদক্ষেপ নিবে । যেমন কথা তেমন কাজ । ন্যাটোর প্যাট্রিওট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম এখন তুরুস্কে তথাকথিত সিরিয়ান জুজুর ভয়ে। রাশিয়া ও ইরান তুরুস্কের এ পদক্ষেপের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারন করেছে। এর প্রতিবাদের ইরানি প্রেসিডেন্ট তার পরিকল্পিত তুরুস্ক সফর বাতিল করেছেন। রাশিয়া ন্যাটোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে যে ন্যাটোকে লিখিত দিতে হবে যে প্যাট্রিওট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম রাশিয়ার জন্য কোন হুমকি নয় কিন্তু ন্যাটো তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন স্পষ্টই এই ডিফেনস্ সিস্টেম ইরানের জন্য হুমকি ও সম্ভবত ইরান আক্রমনের প্রস্তুতি কারন সিরিয়াকে প্রতিরোধ করার জন্য ঐ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের কোন প্রয়োজন ছিল না । কারন, সিরিয়ায় ন্যাটো বা তুরুস্কের হস্তক্ষেপ মানে ইরান বাধ্য সিরিয়ার সঙ্গে করা সামরিক চুক্তির বলে সেই যুদ্ধে যোগ দিতে আর সিরিয়ায় রেজিম চেন্জ করে পশ্চিমাদের পরবর্তী টার্গেট হল ইরান ।



আর সৌদি, কাতার, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স তো অজস্র ডলার ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতেছে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের তারপরেও কোন কুল কিনারা তারা পাচ্ছেন না। কয়েকমাস আগে সিরিয়ান এক রাষ্ট্রদুত প্রকাশ করে দিয়েছেন যে কাতার সরকার তাকে ডলার দিয়ে কিনে নিতে চেয়েছিলেন এবং এ জন্য প্রতিমাসে তাকে ২০,০০০$ করে বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল থাকা ও নিরাপত্তা সুবিধাসহ।। এরপরেও ঐ রা্ষ্ট্রদুত তাদের পক্ষালম্বন করেন নি। অন্যদিকে ইরানও বসে নেই।ইরান ঘোষনা করেছে সিরিয়া বহিশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা চুপ করে বসে বসে দেখবে না। ইরানও সেনা পাঠাবে।কয়েকমাস আগে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সিরিয়ার সাথে এখনো আমাদের নিরাপত্তাগত চুক্তি কার্যকর।এই কিছুদিন আগে ইরানের পররাস্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহী বলেছেন, তেহরান সিরিয়ার রেজিম চেন্জ করতে কখনোই পশ্চিমাদের অনুমতি দিবে না ।





প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদও চাচ্ছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে।পশ্চিমাদের দাবি আসাদের পতনই একমাত্র সমাধান। এর মাধ্যমেই পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র বোঝা যায় তারা চাচ্ছে সিরিয়াকে তাদের একটা পাপেট রাস্ট্র বানাতে যেমন বানিয়েছে আফগানিস্থান ও লিবিয়াকে কিন্তু রাশিয়া বলেছে তারা সিরিয়াকে কোনমতেই লিবিয়া হতে দিবে না । গত ৬ই জানুয়ারী বাশার আসাদ জাতির উদ্দেশ্য ভাষন দিয়ে বিদ্রোহীদের অস্ত্র পরিত্যাগ করে সংলাপে বসার আহবান জানিয়েছেন। ভাষনে প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, "দেশে যে লড়াই চলছে তা সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে নয় বরং সিরিয় জাতি এবং তার শত্রুদের মধ্যে লড়াই।" প্রেসিডেন্ট আসাদ তার ভাষণে একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনা দিয়েছেন। এ পরিকল্পনায় সংহতি সম্মেলন ও জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলা হয়েছে। এ সরকার দেশটিতে নতুন নির্বাচন, নতুন সংবিধান অনুমোদনে গণভোটের আয়োজন এবং সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয় তদারকি করবে।ভাষনে আসাদকে খুবই আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে । ইরান, রাশিয়া, লেবানন, ইরাক আসাদের শান্তিপ্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে আর স্বভাবতই পশ্চিমা আসাদের দেওয়া শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে । দেখে শুনে মনে হচ্ছে সিরিয়ার জনগণ ঐ পশ্চিমারাই । আর কয়েকটা বিদ্রোহী গ্রুপ অবশ্য আসাদের শান্তি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে আর বাদ বাকি গ্রুপ প্রত্যাখান করেছে।



এরমধ্যেই সিরিয়ার গুরত্বপূর্ণ একটি শহর কুসাইর সিরিয়ার সেনাবাহিনী দখলমুক্ত করেছে যা পশ্বিমা মিডিয়াগুলোতে একে বিদ্রোহীদের জন্য একটি বিরাট চপেটাঘাত হিসাবে বর্ণনা করেছে কারণ এই শহরটাই ছিল বিদ্রোহীদের রসদ পরিবহনের প্রধানতম রুট । এই ঘটনার পর বিদ্রোহীদের আত্মবিশ্বাসে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে । এজন্য বিদ্রোহীরা আমেরিকা ও তাদের আরব মিত্রদের কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়ে পাঠিয়েছে । না হলে তারা আসন্ন জেনেভা সম্মেলনে যোগ দিবে না । অবশ্য তাদের আবদনে সাড়া দিয়ে সৌদি ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার ডলারের উন্নত অস্ত্র পাঠিয়েছে , আমেরিকাও অস্ত্র পাঠানোর পথে আর সাথে ইসরায়েল তো আছেই ।ইসরায়েলও উন্নত অস্ত্র শস্ত্র পাঠিয়েছে বিদ্রোহী গ্রুপদের জন্য।



সিরিয়া সংঘাতে যুক্তরাস্ট্রের দ্বিমুখী ভুমিকা লক্ষনীয়। যে যুক্তরাস্ট্র বলে আসতেছে তারা সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেই যুক্তরাস্ট্র আল কায়েদা ও তালেবান সদস্যদের তুরস্কের সহযোগীতায় গণহারে সিরিয়ায় পাঠাচ্ছে যুদ্ধ করার জন্য। আর অন্যদিকে বাহরাইনের গণআন্দোলন ও বাহরাইনের আমীরের জনগণের প্রতি নির্যাতনের ব্যাপারে পুরোপুরি নিরব কারন বাহরাইন আর যাইহোক যুক্তরাস্ট্রের সেবাদাস।





সাধারন জনগণের মাঝে প্রেসিডেন্ট আসাদ



আসাদের পতন যে সহজেই হচ্ছে না তা অনেকটা নিশ্চিত। আমি সিরিয়ার আন্দোলনের শুরুতেই বলেছিলাম যে সিরিয়া কোন মিশর বা লিবিয়া নয় যে আসাদের পতন সহজেই হবে ।সমস্যার শান্তিপুর্ন সমাধান না হলে বিশ্ববাসী অচিরেই যে একটা সিরিয়া নামক নতুন আফগানিস্থান বা সোমালিয়া দেখবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আর যদি তাই হয় তাহলে এর শেষ পরিণতি কোথায় ? এর শেষ পরিণতি হবে মধ্যপ্রাচ্যে মানচিত্র পরিবর্তনের মধ্যদিয়ে। ইরাকের কুর্দিস্থান প্রায় স্বাধীন । স্বায়ত্বশাসেনর নামে তারা ভোগ করতেছে স্বাধীনতা । ইরাকের কুর্দিস্থান সরকারের বাইরের কোন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে বাগদাদ সরকারের কোন অনুমতি লাগে না । তাছাড়া কুর্দিদের রয়েছে আলাদা পুলিশ বাহিনী। আর তুরুস্কের কুর্দিরা স্বাধীনতা চাচ্ছে সেই কয়েকযুগ থেকে। তাদের কয়েকটা স্বাধীনতাকামী সংগঠনও আছে যেমন পিকেকে। মাঝে মাঝেই তুরস্কের সেনাবাহিনীর সাথে এদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায় আর বাকি থাকলো সিরিয়ার কুর্দিরা । আসাদের পতন হওয়া মানে তারা মুক্ত । এরই মধ্যে আসাদ তার নিয়ন্ত্রিত কুর্দিস্থান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আর সিরিয়ার কুর্দিস্থান এখন পুরোপুরি কুর্দিদের নিয়ন্ত্রনে। এর মানে দাড়ালো স্বাধীন কুর্দিস্থান হতে আর বেশি দেরি নেই। তুরুস্কের অটোমান সাম্রাজ্যে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। কুর্দিরা লড়বে স্বাধীনতার জন্য আর সিরিয়ার বাকি অংশে চলবে সোমালিয়ার মত বছরের পর বছর লড়াই আর এক অংশ নিয়ন্ত্রন করবে আসাদপন্থিরা আবার হয়তো অন্যদিকে নিয়ন্ত্রন করবে বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ জঙ্গীরা । থেমে থেমে চলবে সংঘর্ষ। ধীরে ধীরে এ লড়াই গ্রাস করবে তুরস্ক, লেবাননসহ পাশ্ববর্তী আরব দেশগুলিতে । মাঝখানে লাভবান হবে ধুর্ত ও চতুর ইসরাইল ।



(.. চলবে)




১ম পর্বের লিংক

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ইনফরমেটিভ পোষ্ট


প্লাস

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ *কুনোব্যাঙ* ভাই ।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

হিরক রাজা বলেছেন: এই প্রথম সিরিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও ইসরাইলের ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের তথ্যবহুল ও প্রমাণ্য একটি লেখা পড়লাম। ইচ্ছে হচ্ছে- সৌদি, কুয়েত, কাতার, তুরস্কসহ পাশ্চাত্যের দালাল শাসকদের এক রশিতে ফাঁসি দেই। -- আল কায়েদা সন্ত্রাসীদের কারণেই আজ আফগানিস্তান মার্কিনীদের দখলে। তাদের কারণেই ইরাক অস্থিতিশীল। এখন তারাই আবার আমেরিকার পক্ষে আসাদ বিরোধী সন্ত্রাস চালাচ্ছে। অথচ এই আলকায়েদা সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোন কথা বলে না। ইসরাইলের ব্যাপারেও তারা নিশ্চুপ! -- পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে আসাদ সরকার টিকে থাকুক এ কামনা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। কিন্তু আসাদ কি চতর্মূখি ষড়যন্ত্রের কবল থেকে নিজ দেশকে রক্ষা করতে পারবে ?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত ভাই ।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

যুবায়ের বলেছেন: অসাধারন এক লেখা!!!
পিলাচ ++++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আরো পড়ুন

সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদেশি সন্ত্রাসীরা সাময়িকভাবে সিরিয় নারীদের বিয়ে করতে পারবে বলে সৌদি আরবের কট্টরপন্থী এক ওয়াহাবি আলেম ফতোয়া দিয়েছেন।

শেখ মোহাম্মাদ আল-আরিফি নামের এই আলেম দাবি করেছেন, "বিদেশি সন্ত্রাসীরা সিরিয় নারীদের বিয়ে করলে তাতে তাদের যৌন কামনা মিটবে এবং তারা সিরিয়ার নাগরিকদের হত্যায় গভীরভাবে মনোনিবেশ করতে পারবে।"

তিনি এ সব বিয়েকে তার ভাষায় 'সহবাসমূলক বিয়ে' বলে অভিহিত করে দাবি করেছেন, ১৪ বছর বয়সী সিরিয় কিশোরীদেরকেও বিয়ে করা যাবে। সিরিয়ার যে সব নারী এসব সন্ত্রাসীকে বিয়ে করতে এগিয়ে আসবে তারা সবাই বেহেস্তে যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ আল-আরিফি।

ঠিক ৭১ এ আমাদের দেশে যা হয়েছিল । এইসব ওহাবী আলেমদের ফতোয়ার কারনে আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ মা বোন হয়েছিল বিরঙ্গনা আর নির্যাতিতা ।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: প্লাস প্লাস প্লাস

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০২

যুবায়ের বলেছেন: অনেক ত্তথবহুল লেখা

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮

প্রিয়তমেষূ বলেছেন: +++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু ।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০

মাক্স বলেছেন: নাইস পোস্ট।
চতুর্থ ভালোলাগা।:)

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২

রীতিমত লিয়া বলেছেন: প্রথম পর্বের কমেন্ট প্রত্যাহার করলাম। বাশার মোটেও দক্ষ শাসক নয় বরং তার নির্বুদ্ধিতা ও গোর্য়তুমি সিরিয়াকে এ পর্যায়ে এনেছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: প্রথম পর্বের কমেন্ট আপনার ঠিকই ছিল । শুধু আসাদকে দোষ দিলেই হবে না । আসাদের কিছু দোষ আছে কিন্তু যুক্তরাস্ট্র, তুরস্ক, সৌদি, কাতার যা করতেছে তা বন্ধ করলেই তো সিরিয়া শান্ত হয়।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আম্রিকা কাজ হলো ঘরে আগুন দিতে লোক পাঠায় আবার নিজেরাই দম কল সাইজা আগুন নিভায় , শেষে গিয়া আগুন নিভানোর চার্জ হিসাবে তেল গ্যাস নিয়া যায় । চোর ডাকাতের চাইতেও খারাপ :(

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

সোলায়মান আশরাফ বলেছেন: ইরাকের আন্ নুসরা গোষ্ঠী সন্ত্রাসীর তালিকাভূক্তি করেছে আমেরিকা। অথচ সিরিয়ায় একই গোষ্ঠীর সমর্থনে সব কিছু করছে। আরব দেশগুলোর কারাগার থেকে ১৮০০ খুনের মামলার আসামীকে ছেড়ে দিয়ে সিরিয়ায় পাঠানো হয়েছে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। এসব কিসের আলামত?
তুর্কি সরকার এসব বুঝেও কেন না বুঝার ভান করছে?

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । কার্র্টুন হলেও এটাই সত্য ।

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এখন ঘুমুতে যাব ভ বাকি উত্তর ঘুম থেকে উঠে দেব ।
আপাতত শুভ রাত্রি ।

১৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১

ইভা_110 বলেছেন: বাহরাইনে যা হচ্ছে সেখানে তথাকথিত জাতিসংঘ, ওয়াইসি ও আরবলীগের ভূমিকা কি ? পশ্চিমা বিশ্ব কেন সেখানে নিরব ? কারন একটাই বাহরাইন সরকার হল তাদের হাতের পুতুল, তাদের সেবাদাস। আরো সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো যে আরবরা সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের অস্ত্র পাঠাচ্ছে তাদের সিরিয়ান ভাই বোনদের হত্যা করতে অথচ সেই আরবরা যখন ইসরায়েল গাজায় নির্বিচারে হত্যযজ্ঞ চালায় তখন তারা একটি বুলেটও পাঠানোর সাহস পায়নি কারন মার্কিন ও ইসরায়েলী মুরব্বি যে নাখোস হবে !!!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সহমত আপু ।

১৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

ইভা_110 বলেছেন:

১৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

গাজী সালাহউদ্দিন বলেছেন: কেয়ামতের আলামত - কোন সন্দেহ নাই । ঈসা (আঃ) এর সিরিয়ায় অবতরণ করার কথাই বলা আছে হাদীসে ।

যা হবার তা হবেই - কিছু বলার নাই ... :(

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে সুস্বাতম ভাই । আপাতত আর কিছু বলার নেই । দেখা যাক ।

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

বাংলার হাসান বলেছেন: অসাধারন এক লেখা!!!
পিলাচ ++++

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

১৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

রীতিমত লিয়া বলেছেন: এখনো ঘুম থেকে উঠেন নাই। এইডা কিছু হইলো???

১৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ঘুম থেকে উঠেছি আজ অনেক লেটে লিয়া আপু । আর সবার উত্তর দিব পর্যায়ক্রমে ।

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

স্পোর্টসম্যান বলেছেন:

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

jakaiulo বলেছেন: এমন তথ্যবহুল লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কবে মক্তি হবে মজলুমানের।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২০

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ । মুক্তি হবে সৌদি, ইসরায়েল ও যুক্তরাস্ট্রের পতন হলেই ।

২১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সিরিয়ায় গুলি করে বেসামরিক নাগরিকের হত্যা কার্যকর (ভিডিও)

Click This Link

২২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

স্পোর্টসম্যান বলেছেন: আপনার লিংক তো কাজ করছে না

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনারটাও কাজ করে না !

২৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৭

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

২৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

যুবায়ের বলেছেন: পশ্চিমা মিডিয়ার একপেশে খবর শুনে সিরিয়ার বাশার আল আসাদের প্রতি বিরুপ ধারনা হয়েছিল। আপনার লেখা পড়ে সার্বিক অবস্হা জানতে পারলাম।
সিরীয় জাতি মুক্তি পাক এইসব পশ্চিমা শকুনদের রাহুগ্রাস থেকে।

২৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

যুবায়ের বলেছেন: সৌদির ভূমিকা নিয়ে আর কি বলবো ভাই??..
ওয়াহাবী সালাফিরাই মুল জঙ্গি উৎসের কারন আর জঙিগদের পৃষ্টপোষক হচ্ছে সৌদি আরব এবং স্বয়ং আমেরিকা!!..

২৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৬

নিষ্পাপ কয়েদি বলেছেন: সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক , ইরান ----এইগুলা হইসে দুনিয়ার আর্বজনা, আমি চাই এইগুলা ধ্বংস হোক।

২৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৯

রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: মনে হলো সিরিয়ার সরকারি মিডিয়া হতে কপি পেষ্ট করতেছেন। এই লিখাটা জমা দিলে রেডিও তেহরান হতে মাশোয়ারা ও পাবেন।

তিউনেশিয়ার বেন আলীর বিরুদ্বে মানুষ জাগছে, ঠিক আছে।
মিশরের মোবারকের বিরুদ্বে মানুষ জাগছে, ঠিক আছে।
ইয়েমেনের সালেহের বিরুদ্বে মানুষ জাগছে, ঠিক আছে।
বাহরাইনের শেখের বিরুদ্বে মানুষ জাগছে, ঠিক আছে।

সিরিয়ার আসাদের বিরুদ্বে মানুষ জাগছে, ঠিক নাই ঐডা ষড়যন্ত্র!!

সিরিয়া নিয়া দুই পর্ব লিখলেন, কিন্তু কোথাও দেখলাম না কিভাবে এই শিয়া আলাওয়িরা সিরিয়ার ক্ষমতায় এলো, কিভাবে সিরিয়ার টেলিফোন,মোবাইল ব্যবসা, তেল, গ্যাস, সব ধরনের ব্যাংক ও ব্যবসা বানিজ্য এই সংখ্যালঘু আলাওয়ি শিয়ারা নিয়ন্ত্রন করে আর বাকি ৯০% সুন্নীদের ভুখা রাখে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। আপনি যে তিউনেশিয়া, মিশরের উদাহরন দিলেন সেখানে গণআন্দোলন হয়েছে আর সেই গণঅভ্যুত্থানে গদিচ্যুত হয়েছেন মার্কিন ও ইসরায়েলেল বংশবদ বেন আলী ও মোবারক । সবচেয়ে বড় কথা কোন দেশের জনগণ যদি তাদের স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করে তাতো সমর্থন না করার কোন কারন থাকতে পারে না ।

কিন্তু সিরিয়ায় হচ্ছেটা কি ? সিরিয়ান তথাকথিথ বিদ্রোহীরা অস্ত্র কোথা থেকে পাচ্ছে ? তাদের ট্রেনিং কারা দিচ্ছে ? অর্থ সাহায্য কারা করতেছে ? তাদের স্বীকৃতি কারা দিয়েছে ? যুক্তরাস্ট্র, ইউরোপ আর যুক্তরাস্ট্র, ইসরায়েলের সেবাদাস আরব রাজা বাদশাহগণ ?

বাহরাইনের কথা বললেন। বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর ঘাটি আছে সেটা জানেন তো ? বাহরাইনের বাদশাহ যুক্তরাস্ট্রের হুকুম ছাড়া এক পা বাইরে ফেলতে পারে না সেটা জানেন তো ?

গাজায় যখন ইসরায়েলী হানাদেরদের আক্রমনে শিশু, নিরীহ নারী পুরুষ নিহত হয় তথকন কোথায় থাকে আপনার সেই ধর্ম ভ্রাতা সুন্নি আরব শাসক ?

যাদের নিজ দেশে কোনদিন ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি তারাই উদ্যেগ নিয়েছে সিরিয়ায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ? এরচেয়ে হাস্যকর আর কিছু আছে ?

//কিন্তু কোথাও দেখলাম না কিভাবে এই শিয়া আলাওয়িরা সিরিয়ার ক্ষমতায় এলো, //

এই আলাওয়িরা কি সিরিয়ান নাগরিক নয় ? তারা কি বহিরাগত ? আর কিভাবে হাফেজ আল আসাদ ক্ষমতায় এসেছে তার বিবরন প্রথম পর্বেই দেওয়া আছে তা কি পড়েননি ?



জর্ডান থেকে যখন হামাস নেতাদেরকে বহিষ্কার করা হয় তখন সেই হামাস নেতাদের কারা আশ্রয় দিয়েছিল ?

ইসরায়েল যখন গাজায় হামলা করে তখন সেই হামাসকে কোনদেশটি সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করেছে ?

শুধু সৌদিকে অন্ধেরমত ভালবাসা নয় । মধ্যেপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনীতিকে বিবেচনায় আনতে হবে ।

সিরিয়ায় কি ঘটতেছে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । েএখানে কটি পেস্টের প্রশ্ন আসবে কেন ? আমি এই ব্যাপারটা বুঝলাম না !

আমি যা লিখেছি আপনি তার একটি তথ্যকেও খন্ডন করতে পারেননি শুধু অযথাই ম্যা ম্যা করেছেন ।

উপরে যে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর নাম উল্লেখ করেছি সেগুলো যে সিরিয়ান গণহত্যার জন্য দায়ী তা বলার অপেক্ষা রাখে না আর যে মানুষ সেই জঙ্গিদের সাপোর্ট করতে পারে তার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না ।

২৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৪

নিষ্পাপ কয়েদি বলেছেন: মর শালা আরব দুনিয়া

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: মানুষের ধ্বংস কামনা কেন করবেন ভাই ? সে আরব হোক আর আমেরিকান হোক !

২৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩১

রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন:
সিরিয়াকে যখন ফ্রান্স উপনিবেশিক বানায়, তখন সিরিয়ার সুন্নীরা ফ্রান্সের বিরুদ্বে সশস্র যুদ্ব চালিয়ে যেতে থাকে। হামাসের সামরিক সংগঠন ইজ্জাদিন আল কাশেম নাম করন করা হয় ঐ সিরিয়ার সশ্স্র সুন্নী গেরিলা লিডারের নাম দিয়ে। এই সুন্নিদের ঠেকাতে ধুদন্ধর ফ্রান্স সরকার ও ব্রিটিসদের মতো ডিভাইড এন্ড রুলে যায়।
ফ্রান্স সরকার তখন সিরিয়ার জাতীয় আর্মী গঠন করে যাদের ৮০% এর ও বেশী আলাওয়ী শিয়া। এই আলাওয়ী শিয়ারাই তখন সিরিয়ার আর্মি ডোমিনেট করতো। ফ্রান্স সিরিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এদের হাতেই ক্ষমতা দিয়ে যায়। এরাই সিরিয়া ১৯৬০ হতে শাসন ও শোষন করে আসছে। তারপর এলো হাফেজ আল আসাদ। তার মৃত্যুর পর হাফিজ আল আসাদ।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী হতে ব্যবসা বানিজ্য, প্রশাসন সবকিছুই এই আসাদ ফ্যামিলি নিয়ন্ত্রন করে।

আরব বসন্তের ধাক্কায় এই সিরিয়ার লোকেরাও রাস্তায় নামে স্বৈরাচারের বিরুদ্বে।
কিন্তু বিধি বাম!!!!!

সিরিয়ার সেনাবাহিনী তিউনেশিয়া বা মিশরের মতো নয়, যারা জনগনের উপর বুলেট না চালানোর অভিপ্রায় ব্যাক্ত করে, যারা বলে আমরা পারবোনা আমাদের দেশের লোকদের উপর গুলি চালাতে।


সিরিয়ার আর্মিতো আর ৯০% সুন্নীদের নয়, ওরা আলাওয়ী শিয়া। তাই গুলি চলতে থাকে বিক্ষোভকারীদের উপর। কিছু সুন্নি আর্মীও ছিলো ওদের মাঝে যারা গুলি চালাতে অস্বীকার করে, এবার সিরিয়ার শিয়া আর্মি ওদের উপরই গুলি চালায়, সুন্নি আর্মিও পাল্টা লড়াই শুরু করে। এবার শান্তিপূর্ন মিছিলগুলো ভায়োলেন্ট হয়ে উঠে।


এবার আর্মিদের মধ্যে থাকা সুন্নিরা জনগনকে প্রটেক্টশন দিতে শুরু করে।

এটা অনেকটা আমাদের দেশের স্বাধীনতা যুদ্বের মতো। বাঙালী সৈন্যরা যারা সেনাবাহিনীতে ছিলো, ওরা বাঙালীদের উপর গনহত্যা দেখে ডিফেক্ট হয়ে মুক্তিযুদ্বে অংশগ্রহন করে।

সিরিয়ার যুবকদের ৭০% বেকার। ৪০ বছর ধরে দেশটা লুটেপুটে খেয়ে খোসাটা রেখেছিলো আসাদ পরিবার। এমনিতে বেকার তার উপর সরকারের বিরুদ্বে প্রতিবাদ করায় লাশ হয়ে ফিরতে তাই ওরাও অস্র হাতে তুলে নেয়।

নেলসন মেন্ডেলা একবার বলেছিলেন, ইটস ফিউটাইল এন্ড ইউজলেস ফর আস টু কনটিনিউ মেইক নন-ভায়োলেন্স প্রটেস্ট এগেইনস্ট এ গভার্নমেন্ট হুজ রিপ্লাই অনি সেভেজ এটাক ওন ইন্নোসেন্ট সিভিলিয়ান।



আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, আমার শত্রুর বন্ধু আমার শত্রু, এইভাবে বিভিন্ন সুবিধাবাধী দেশ এগিয়ে আসে।
যেমন, ব্রিটেন, আম্রিকা ও ফ্রান্স। অথচ এই ফ্রান্সই একসময় এই শিয়াদের ক্ষমতায় এনেছে সুন্নিদের টেকাতে।

তুরস্ক এখানে এসেছে ভাতৃত্বের বন্ধনে, যদি তুরস্কে একেপি ক্ষমতায় না থেকে কামাল আতাতুর্কের দলটা থাকতো, তাহলে কোন সিরিয়ানকে তুরস্কে শরনার্থী হিসেবে ঢুকতেই দিতোনা।

সৌদি এখানে এসেছে ইরান ও হিজবুল্লাহকে কাউন্টার দিতে। সৌদি বরাবরই ইরানকে নিজেদের জন্যে থ্রেট মনে করে।

ছোট্ট দেশ কাতার ২০০৬ সালে লিবানান-হিজবুল্লাহ-ইসরাইল যুদ্বে হিজবুল্লাহ ও লেবাননকে অনেক সাহায্য করে। বিভিন্ন সড়ক, পুল, হসপিটাল তৈরী করে। তাই কাতারের আমিরকে নিয়া হিজবুল্লার টিভি আল-মানার প্রসংসার গান ও তৈরী করে।

হামাসকে ও কাতার প্রচুর সাহায্য করে, কিছুদিন গাজায় তিনিই প্রথম সফর করেন কোন দেশের প্রধান হয়ে। ৫০০ িলিয়নের ও বেশী সাহায্য দেন। তাছাড়া হামাসের প্রধান খালিদ মিশেল ও তার হেডকোয়ার্টার সিরিয়া ছেড়ে কাতার ও কায়রোর মধ্যে করেছে।


এইভাবে কাতার যেই বিপন্ন তাকে সাহায্য করে তাই, তারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকেও সাহায্য করে।

তবে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে এখনো, একটা বুলেট ও দেয়নি। এ জন্যে ফ্রি সিরিয়ান আর্মিও তাদের উপর ক্ষেপ্যা।



বিপরীতে সিরিয়াকে অস্র ও অর্থ দিয়ে রাশিায়া, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া ও ইরান সাহায্য করছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: এই মিথ্যা তথ্যগুলো পরিবেশন করে কি বলতে চান ? যুক্তরাস্ট্রের মত দেশ, ইসরায়েলের মত দেশ , সৌদির মত যাদের সাপোর্ট করে, অর্থ সহায়তা দেয়, অস্ত্র দেয় তাদেরকে সমর্থন করা প্রশ্নই আসে না । সিরিয়ান জঙ্গিরা আমেরকিার তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করতেছে এ তথ্য কি জানা আছে ? ইসরায়েল প্রতিমুহুর্তে আসাদের পতন কামনা করতেছে কেন করতেছে ?

গত নভেম্বরে যখন ইসরায়েল গাজা আক্রমন করে তখন কোথায় ছিল সেই কাতার সম্পর্কে নিচের একটি ছবি পোস্ট করতেছি তাতেই ক্লিয়ার হবেন ।

৩০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন:

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১৫

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার জ্ঞানের দৌড় বুঝা গেছে ! এই কার্টুন ছবিগুলোই তার প্রমান । পারলে আমার আর্টিকেলে তথ্যগুলো মিথ্যা প্রমান করুন । কোন কার্টুন নয়। আবার বলতেছি তথ্যগুলো ।

৩১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন:

৩২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: উপরের এই ছবিটা দেখুন কাতারের আমীর আর ইসরায়েলের সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি !!!!!

সেই কাতার আপনার কাছে মহান আর কিছু বলার নাই । তবে মনে রাখবেন সিরিয়ায় আসাদের পতন হচ্ছে না । মাঝখান থেকে লাভবান হচ্ছে ইসরায়েল । আর আপনি সৌদি, যুক্তরাস্ট্র তো তাই চায় ।

৩৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: কাতারের আমীর পাশ্চত্য শিক্ষিত। জিপি লিভনির সাথে তার এই হ্যান্ড শেক হয়েছে নিউইয়র্কে বহুদিন আগে। ১৯৯৬ সাল হতে ২০০৮ পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে কাতারের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু গত ২০০৮ এর গাজা যুদ্বের পর কাতার সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। সিরিয়ার সাথেও এই ধরনের সম্পর্ক ছিলো, তারাও ২০০৮ এর যুদ্বে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। এই ডা দেখতে পারেন, Click This Link


কাতারের আমিরই সর্বপ্রথম কোনো দেশের প্রধান অবরুদ্ব গাজা ভিজিট করে $৪০০ মিলিয়ন দিয়েছে ফিলিস্তিনিদের। হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া সয়ং কাতারের আমিরের গাড়ি চালিয়ে রাফা বর্ডার হতে গাজা সিটিতে নিয়ে আসেন।

মূল খবর এখানে, Click This Link

এই গত নবেম্বরে চলা গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্যে $১০ মিলিয়ন ডলার দেয়। Click This Link



হামাসের খালিদ মিশাল। সিরিয়ার দামেস্কে থাকতেন। কিন্তু সিরিয়ার চলা সুন্নিদের গনহত্যায় তিনি সমর্থন দেন নি। হামাসের সকল লিডাররা দামেস্কে ছেড়ে দিয়ে নতুন আরব বসন্তের দেশ মিশর, তিউনেশিয়ায় পাড়ি জমান। শত হলেও হামাস একটা সুন্নী সংগঠন, সুন্নীদের উপর শিয়াদের গনহত্যা এরা মেনে নেয় নি।
এজন্যে খালিদ মিশালের মতো হামাসের লিডারকেও ইরানের মিডিয়াগুলো "জায়োনিস্টের এজেন্ট" বলেছে। কি রকম নীচু মানুসিকতার হলে এরা এমন হয়। Click This Link



সিরিয়ার সুন্নি বিদ্রোহীরা পশ্চিমাদের উপর রেগে আছে, শুধু লিপ সার্ভিস দেওয়ায়। কোন অস্রতো দিচ্ছেনা বরং কাতার ও তুরস্ককেও মানা করছে পোর্টেবল ক্ষেপনাস্র না দেওয়ার জন্যে।

এবার প্রশ্ন করতে পারেন কেন তুরস্ক ও কাতার সাহায্য করছে।

ব্রিটিস সাংবাদিক ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধিকে প্রশ্ন করেছিলো, আপনারা কেন বাংলাদেশের গেরিলাদের সাহায্য করেছেন।
উত্তরে ইন্দিরা বলেছিলেন, আপনারা কি চান যে বাংলায় গনহত্যা চলতে থাকুক? নারীদের উপর ধর্ষন চলতে থাকুক। ওদের উপর গনহত্যা চলতে থাকে যখন কোন গেরিলা ছিলো না। এটা তোমাদের পত্রিকা, আমেরিকার পত্রিকা, আরব পত্রিকায় দেখতে পারেন।
গনহত্যা থামাতেই আমরা বাংলার গেরিলাদের সাহায্য করছি।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আজ সৌদি আরব, কাতার ও তুরস্কের মত আমেরিকার তল্পিবাহক রাস্ট্র গুলো যে কুমিরাশ্রু বিসর্জন করছে কি করে বুঝব যে তা নিজের ভ্রাত্যি শোকে করছে? আপনাদের নিশ্চিয়ই জানা আছে পুরো এশিয়াতে আমেরিকার সামরিক অপারেশনের হেড কোয়াটার কাতারের বুকে অবস্থিত। সৌদি আরবের অলিতে গলিতে গরে উঠেছে সিআইএ এর দপ্তর। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য ও ইসলামের চিরশ্ত্রু ইসরাইলের অন্যতম বন্ধু। যদিও ২০১০ সালে তুরস্কের ত্রানবাহী জাহাজে হামলার জের ধরে তুরস্ক-ইসরল বন্ধুত্বে ভাটা পরেছিলো এদানিং পেট্রিয়ট ক্ষেপনাস্ত্র ব্যবস্থার বিনিময়ে ইউরোপ আমেরিকা আবার সে সম্পর্কে জোয়ার এনে দিয়েছে। ইসরেলকে ন্যাটোর পূর্নাঙ্গ সদস্য পদ দিতে তুরস্ক তার আপত্তি তুলে নিয়েছে।যখন ২০০৩ সালে আমেরিকা ইরাকে আগ্রাসন চালায় তখন তারা জানপ্রাণ দিয়ে কাদের সহযোগিতা করেছে? আমেরিকা ইউরোপিয়ানদের। আফগানিস্তানেও ওরা একি ভুমিকা পালন করেছে। বর্তমানে এসে লিবিয়াতে ওরা আমেরিকার পক্ষে নিজেদের সৈন্য পাঠিয়েছে গাদ্দাফিকে হত্যা করে লিবিয়ার স্বাধিনতাকে পদানত করার জন্য। এখন সিরিয়া বধের পালা। ইরাক, আফগানিস্থানে আমাদের লক্ষ লক্ষ ভাইবোন শহিদ হয়েছে এখন প্রতিনিয়ত হচ্ছে কিন্তু তাতে সৌদি, কাতার, তুরস্কের ভ্রাতিত্ববোধ জাগ্রত হয় না, হৃদয় কাদে না। মাঝে মাঝেই আমাদের অসহায় ফিলিস্তিন ভাই-বোনদেরকে শুধু পশুত্বের খোরাক যোগানোর জন্য হত্যা করছে তাতেও ওদের কোন উচ্চবাচ্য নেই। আমেরিকা প্রতিদিন রুটিন করে পাকিস্তান, ইয়েমেন আফগানিস্থান সহ অন্যান্য দেশে ড্রোন দিয়ে মুসলীম হত্যা করছে এসব ওদের মনযোগ আকর্ষন করতে পারে না। সুধু মুসলীম হওয়ার অপরাধে মিয়ানমারে যাদেরকে জালিয়ে পুরিয়ে হত্যা করা হচ্ছে তাদের আর্ত চিৎকার ওদের কানে পৌঁছায় না। যত মায়া শুধু লিবিয়ান ও সিরিয়ানদের জন্যে। হায়রে ভ্রাতিত্ববোধ!!!!!!!!!!!!



আর যে আমেরিকা আল-কায়েদার ওজুহাতে গোটা মুসলীম বিশ্বে রক্ত গংগা বইয়ে দিল। যে সৌদি আরব আল-কায়েদা জুজুর ভয়ে আমেরিকান গোয়েন্দা ও সৈন্যে দেশ ভরে ফেলেছে। আল-কায়েদার দেখাপেলে সেনাবাহিনী দিয়ে সরাসরি গুলি করে মারছে তারাই আজ সিরিয়াতে আল-কায়েদার মত সংগঠনের হাতে আসাদ বিরোধী যুদ্ধের অস্ত্র ও নেতৃত্ব তুলে দিচ্ছে। এ থেকেও কি বোঝা যায়না ওদের উদ্দেশ্য সুধু নিজের স্বার্থ উদ্ধার করা সিরিয়ার নিরিহ মানুষের মৃত্যু ঠেকানো নয় বরং এ মৃত্যুর বিভিষিকার ভিতর দিয়ে সিরিয়ানদের জাতিগত মৃত্যু নিশ্চিত করা

এই লেখাটা Muslim Online News ড়েজের সৌজন্যে

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ”গনহত্যা থামাতেই আমরা বাংলার গেরিলাদের সাহায্য করছি। ”

কত বড় ডাহা মিথ্যবাদী হলে বাংলার সাথে সিরিয়াকে তুলনা করেন ! বাংরাদেশে সেই নির্যাতন চলে আসথেছিল ১৯৪৭ সাল থেকে আর সিরিয়ায় আসাদ ক্ষমতায় আছেন সেই ২০০০ সাল থেকে । ২০০০ টু ২০১০ সাল পর্যন্ত কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে ? একটু সংখ্যাটা জানাবেন ।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ”এজন্যে খালিদ মিশালের মতো হামাসের লিডারকেও ইরানের মিডিয়াগুলো "জায়োনিস্টের এজেন্ট" বলেছে। কি রকম নীচু মানুসিকতার হলে এরা এমন হয়”

ভন্ডামী করার জায়গা পান না ? না ? যে লিংক দিয়েছেন সেই লিংকটা কখনো পড়েছেন ? না পড়েই এখানে এসে লংক দিলেন !!!
েইরানের কোন পত্রিকা বা মিডিয়া মাশালকে ইহুদীদের এজেন্ট বলেছে তা তো ঐ লিংকে নেই !! ! পত্রিকার রেফারেন্স না দিয়ে বলা হল যে ইরানি পত্রিকা বলেছে এর চেয়ে ধোকাবাজী আর মিথ্যচার আর কি হতে পারে ? যান সৌদির সাথে যোগাযোগ করে কিছু মাষওয়ারা পেতে পারেন । হয়তো বা সেটা পাচ্ছেনও ।

৩৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১১

রোকসানা খাতুন লিজা বলেছেন: সিরিয়ায় সুন্নি মুসলিমদের উপর চলছে নিরব গনহত্যা এবং বাশার আল-আসাদের খোদা!! হওয়া।

এইটা লিখলাম, আপনার দাওয়াত রইলো।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: বাশার আল আসাদ নিজেই নামাজ পড়েন । যে ব্যক্তি নামাজ পড়েন সে কিভাবে নিজেকে খোদা দাবি করেন ? ভন্ডামী করার জায়গা পান না ?এসব ওহাবী সালাফিদের তৈরি করা ডকুমেন্ট মানুষকে ধোকা আর বিভ্রান্ত করার জন্য। আর কতদিন যুক্তরাস্ট্র ও ইসরায়েলের গোলামি করে যাবেন ? শিরক যদি কেউ করে থাকে তাহলে সেটা করতেছে একমাত্র সৌদি, কাতারের মত শাসকগোষ্ঠী । কারন এরা আল্লাহকে ভয় না করে ভয় করে যুক্তরাস্ট্র ইসরায়েলকে ।

৩৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১১

হিরক রাজা বলেছেন: লিজা আপুর কাছে কয়েকটা প্রশ্ন- তুরস্ক কেন পিকেকে গেরিলাদের দাবি মেনে না নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে? সৌদি আরব-কুয়েত-কাতার কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য হামাস কিংবা হিজবুল্লাকে অস্ত্র দিচ্ছে না। বাশার আসাদ তো সিরিয়ায় রাজতন্ত্র চালু রাখেন নি কিন্তু যারা সিরিয়ায় কথিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা কেন নিজেদের দেশে রাজতন্ত্র চালু করে রেখেছে এবং পাশ্চাত্যের গোলামী করছে?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৩৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আম্রিকা কাজ হলো ঘরে আগুন দিতে লোক পাঠায় আবার নিজেরাই দম কল সাইজা আগুন নিভায় , শেষে গিয়া আগুন নিভানোর চার্জ হিসাবে তেল গ্যাস নিয়া যায় । চোর ডাকাতের চাইতেও খারাপ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: সহমত

৩৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১

মুশাসি বলেছেন: বিতর্কটা ভালো পাইলাম..আপনার জ্ঞানের পরিধিকে সালাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ মুশাসি ভাই ।

৩৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১২

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: রোখসানা খাতুন লিজা --- দেখুন

যে ব্যক্তি নি জে নামাজ পড়ে সি কিভাবে নিজেকে খোদা দাবী করে ?

কতকাল করবেন এই ভন্ডামী ? এভাবে অপপ্রচার চালনাকে মোনাফেকী ছাড়া আর কি বলা যেতে পারে ?

৩৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন:

৪০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

ধুম্রজ্বাল বলেছেন: সবই "ডগস অব ওয়ার" এর অংশ

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: আপনার সাথে সহমত ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.