নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে সুস্বাগতম !!! যখন যা ঘটে, যা ভাবি তা নিয়ে লিখি। লেখার বিষয়বস্তু একান্তই আমার। তাই ব্লগ কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবুন এই লেখা আপনার নিজের মস্তিস্কপ্রসূত নয়।

মিজানুর রহমান মিলন

জয় হোক মানবতার ও মুক্তিকামী মানষের যারা নব্য উপনিবেশবাদের বলির পাঠা হতে চায় না ।

মিজানুর রহমান মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের সফলতার কিছু দিক

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের তাৎক্ষণিক বিজয় হল জয় বাংলা স্লোগানের মুক্তি । ৭১ এর স্লোগান জয় বাংলা এখন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমগ্র বাংলাদেশে ধ্বনিত, প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ।” এই আন্দোলনের মাধ্যমে ”জয় বাংলা” স্লোগানের মুক্তি এই তাৎপর্য বহন করে যে বাঙ্গালি পূনরায় ৭১ এর চেতনায় উজ্জিবীত হয়েছে এবং এই স্লেগান কোন দলের একক সম্পত্তি নয় বরং এটাই আবারো প্রমান হল যে এই জয় বাংলা স্লেগান সমগ্র বাঙ্গালি জাতির এবং সমগ্র বাংলাদেশের।



১) ৭১ এর রণধ্বণি “জয় বাংলা” দলীয় ভাঁড়ার থেকে উদ্ধার ।“জয় বাংলা” একটি শ্লোগান ই নয় ,একটি দর্শন / তরুন প্রজন্ম চাইলে এ বিষয়ে খোজ খবর নিতে পারেন )



২) ঢাকার স্বধানীতা প্রজন্ম চত্তরে (শাহবাগ মোড়ে ) আন্দোলনের সাথে সহমর্মিতা , সংহতি প্রকাশ করুন । আমাদের জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে বড় মহান কোন ঘটনা নেই । তস্করেরা বারে বারে আমাদের স্বাধীনতার চেতনা , স্বাধীনতার প্রতি ভালবাসা , আনুগত্য নিয়ে তামাশা করেছে , রাজনীতির পণ্যে পরিনত করেছে , ক্ষমতায় যাবার জন্য দলীয় স্বার্থ হাসিলের উপাদান হিসাবে ব্যাবহার করেছে । তরুন প্রজন্মের সাথে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংহতি প্রকাশ ও নিজেদের ঐক্য গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।



৩) অবরুদ্ধ দ্বারের অর্গল তরুনেরা খুলে দিয়েছে , আন্দোলনকে নিশ্চিত ও যৌক্তিক লক্ষ্য পৌছে দেবার দায় ৭১ এর শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের উপর ও বর্তায় / দায়িত্ব আস্বীকার করা মানে রক্ত ঋণ অস্বীকার করা / ৭১ এর শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের ঐক্য বদ্ধ করুন । শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারের সব সদস্য দয়া করে সোচ্চার হউন , এক সুত্রে গ্রথিত হউন , দল মত নির্বিশেষে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলুন / এত সবে শুরু ,অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে , হেরে গেলে নিজ রক্তকে অসম্মান করা হবে।



৪) ট্রাইবুনালের ২১ এর ২ ধারার সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে আনা ।কেউ প্রশ্ন তোলে নাই , আইনে এই ফাঁক ফোকর কেন রাখা হয়েছিল ? কার স্বার্থে ? এর দায় স্বিকার করে কেউ দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা চায় নাই ।

৪) যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবি জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার দাবিতে রুপান্তরিত ।এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সমাজে প্রতিস্থাপিত হলেও তারা এই দেশের স্বাধীনতা কোন দিন মেনে নেয় নাই । এদের ৭১ এ কৃত ঘৃণ্য কর্মের জন্য অনুশোচনা নেই, মুক্তিযুদ্ধ , শহীদ ও নির্যাতিত নারীদের প্রতি সম্মান নেই , এদের লজ্জা নেই ।

তাদের তাই আজকের ডাক, রাজাকার,আল-বাদর,জামাত ,জামাত বান্ধব ফোরাম,গ্রুপ ,পেজ ,সাংস্কৃতিক সংগঠন , বানিজ্যিক প্রতিষঠান , সামাজিক সম্পর্ক বর্জন করুন ।

৫) জামাতিদের বিভিন্ন অর্থকরি সংগঠন বাজেয়াপ্ত করার দাবি সহ বিবিধ



আপনারা কিছু বলুন , আপনাদের পর্যবেক্ষন দিন।


কৃতজ্ঞতা : ব্লগার জহির শামসেরী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

ল্যাটিচুড বলেছেন: প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনের তাৎক্ষণিক বিজয় হল জয় বাংলা স্লোগানের মুক্তি । ৭১ এর স্লোগান জয় বাংলা এখন শুধু টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া নয় ঢাকা থেকে কোলকাতা সমগ্রই ধ্বনিত, প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ।” এই আন্দোলনের মাধ্যমে ”জয় বাংলা” স্লোগানের মুক্তি এই তাৎপর্য বহন করে যে বাঙ্গালি পূনরায় স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জিবীত হয়েছে। আজ ঢাকা থেকে কোলকাতা - সমগ্র বাঙলা এই শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত ।

এখনি সময় - 'জয় বাঙলা শ্লোগানে' সমগ্র বাঙালী জাতির জেগে উঠার, এখনই সুবর্ণ সময় পূর্ব আর পশ্চিম সীমান্ত ঘুচিয়ে ফেলে - সমগ্র বাঙালীর জাতির এক হওয়ার।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

“জয় বাংলা”

জয় প্রজন্ম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.